#i_m_mafia_lover
#part_21
#sabiha_kh
ইসান মাথা তুলে চোখ মুছে বলে- না এটা হয় না আমি তোমাকে খুজে বের করবো ইমা আমি তোমাকে খুজবো।। (ইসান আর দেরি না করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে পরলো ইমাকে খুজতে)
”
”
”
”
ইসান সারাদিন গাড়ি নিয়ে এখানে সেখানে ইমাকে খুজলো কিন্তু কথাও পেলো না।।।একরকম নিরাশ হয়ে হটেলে ফিরে এলো ইসান৷। গাড়ি পার্ক করে হটেলের সামনে আসতেই দেখে আকাশ জনি বসে আছে।। আকাশ পাশে তাকাতেই দেখে ইসান।। আকাশ জনির দিকে তাকিয়ে বললো- ওই যে স্যার।। (আকাশ জনি দ্রুত হেটে ইসানের কাছে আসে)
ইসান , জনি আকাশের মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে চাচ্ছিলো যেন তারা ভালো কনো খবর দেয়।।।
আকাশ- স্যার আপনি ঠিকাছেন??
জনি- স্যার আপনাকে অনেক বার কল করেছি।।
ইসান মাটির দিকে তাকিয়ে গভীর শ্বাস ছেড়ে বললো- ইমাকে খুজছিলাম কথাও পাইনি।। তোমরা,,,,,,,!!!!
আকাশ জনি মাথা নিচু করে আসতে বললো- আমরাও পাইনি স্যার।।।
বলে দুইজন হাটু ভেঙে ইসানের সামনে বসে মাথা নিচু করে বলে- আমাদের ক্ষমা করে দিন স্যার।। আমাদের ভুল হয়ে গেছে।।।। আপনি আমাদের যেই শাস্তি দিবেন আমরা মাথা পেতে নিবো।।।
ইসান আকাশ জনির কাঁধে থপথপিয়ে বললো- ভুল টা আমারো ছিলো৷৷
বলে চলে গেলো ইসান।।
দুই মাস পর,,,,,,
ইসান ইমার চিঠি খুলে চোখে সামনে ধরে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে দেখছে।।। এমন সময় আকাশ দরজায় নক করে।।। ইসান চিঠি ভাজ করে পকেটে রেখে আকাশকে ভিতরে আসতে বলে।।
আকাশ- স্যার লোকটা কাগজে সই করে দিয়েছে।।। (কাগজ এগিয়ে দিয়ে)
ইসান আকাশের হাত থেকে কাগজটা নিয়ে দেখলো।।।
ইসান- জনিকে বলো লোকটাকে মেরে ফেলতে।।
আকাশ- ওকে স্যার।।। ( আকাশ চলে গেলো)
ইসান তার বাবাকে কল করলো।।
ইসান- বাবা!!!
জহির- কি!!! কতো দুর। কাজ হলো??
ইসান- হমম শেষ।।। তোমাকে কাগজ পাঠিয়ে দিবো।।
জহির- আমার ছেলে!!! তোমাকে নিয়ে গর্ব হয় বাবা।। লোকটাকে মেরে ফেলেছো??
ইসান- হমম।।।
জহির- very good.. ইসান আজ বাড়িতে এসো এক সাথে ডিনার করবো।।
ইসান- দেখি।।। রাখছি বাবা।।। (বলে ফোন কেটে দিলো।।)
ইসান উঠে সোফার উপর থেকে কোর্টটা নিয়ে গায়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে একজন বডিগার্ড কে ডেকে বললো জনিকে ডেকে আনতে।। বডিগার্ড গিয়ে জনিকে ডেকে আনলো।।
জনি- জি স্যার।।।
ইসান- আমি একটু বের হচ্ছি।।। সব কিছু ক্লিন করে ফেলো।।
জনি- ওকে স্যার।।।
ইসান গাড়ি নিয়ে বের হলো।।। রাস্তায় সিগন্যাল লাইটে লাল বাতি জোলে উঠলে ইসান গাড়ি থামিয়ে দেয় এবং গ্রীন লাইট জলার অপেক্ষা করতে লাগে।।। এমন সময় সামনে দিয়ে একটা বাচ্চা মেয়ে তার মায়ের সাথে রাস্তা পার হচ্ছে পিচ্চি মেয়েটার হাতে একটা বেলুন।।। ইসান দেখে তার ইসমার কথা মনে হয়ে যাই।।। ইসান গাড়ির সিটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছাড়ে।।
এমন সময় গ্রীন লাইট জ্বলে উঠে।। ইসান চোখ খুলে সোজা হয়ে বসে এবং গাড়ি স্টার্ট দিতেই হঠাৎ তার চোখ রাস্তার অপজিট পাশে যাই।।। ইসান বিষফরিত চোখে সেদিকে তাকিয়ে থাকে দেখে ইসমা রাস্তার পাশে ব্রেঞ্চে বসে পুতুল নিয়ে খেলছে৷।। ইসান তারাতারি গাড়ি সাইডে পার্ক করে গাড়ি থেকে বের হয়।।। ইসান খুশিতে খুব বেশি এক্সাইটেড হয়ে পরে৷৷
ইসান আনন্দিত সুরে বলে- ওটা ইসমা।।। তার মানে আমি চোখে ভুল দেখছি না৷৷ ইসান তারাতারি রাস্তা পার হয়ে ইসমার সামনে গিয়ে হাঁটু ভেঙে বসতেই ইসমা চমকে ইসানের দিকে তাকায়।।৷ ইসমা ইসানকে দেখে এক্সাইটেড হয়ে বন্ধু বলে চিল্লায় জোরিয়ে ধরে।।
ইসান ইসমার কপালে চুমু দেয়।। এবং আবেগ ময়ি সুরে বলে- তোমাকে মিস করেছি মামুনি।।। কেমন আছো তুমি??
ইসমা – ভালো আছি বন্ধু।।।
ইসান ইসমার গালে আলতো ভাবে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বলে- লক্ষি মেয়ে।। তুমি এখানে একা কেন তোমার আম্মু কথায়???
বলতেই পিছন থেকে ইমা ইসান বলে উঠে।। ইসান ইমার কন্ঠ শুনে একদম স্তব্ধ হয়ে যাই।। ইসান ধীরে মাথা ঘুরিয়ে পিছনে ইমার দিকে তাকায় দেখে দুইহাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বিস্মিত চোখে তার তাকিয়ে আছে।।। ইসান ইমাকে দেখে নিজের আবেগকে আর আটকাতে পারলো না উঠে গিয়ে ইমাকে ঝাপটে শক্ত করে জোরিয়ে ধড়ে।। ইমা একদম হতোবাক হয়ে যাই। তার দুই হাত থেকে বাজারের ব্যাগ পরে যাই।।। ইমা কিছু বুঝেই উঠতে পারে না।।
ইসান চোখ বন্ধ করে কিছুখন জোরিয়ে ধরে থাকে ইমাকে।।। হঠাৎ ইমা খেয়াল করে মানুষ তাকিয়ে দেখছে তাদেরকে৷।
ইমা- ইসান কি করছো!!! ছাড়ো।। মানুষ দেখছে ( বলে একটু ঠেলা দিলে ইসান চোখ খুলে তাকায় দেখে সত্যি মানুষ তাকিয়ে দেখছে।।। ইসান তারাতারি ইমাকে ছেড়ে দিয়ে দুরে সরে দাড়ায়।। ইসান মাথা নিচু করে সংকোচিত সুরে বললো-
ইসান- সরি ইমা।।।
ইমা একটু লজ্জায় পরে যাই।। ইমা কানের পিছনে চুল গুজে দিয়ে সংকোচিত সুরে আসতে বলে- Its ok…
ইমা তারাতারি মাটি থেকে পরে যাওয়া বাজার তুলে ব্যাগে ঢুকাতে লাগে ইসান ও হাত লাগিয়ে সব গোছিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিলো।।।
Time skip
ইমা ইসানের দিকে কফির কাপ ধরে বলে- কফি।।
ইসান – Thank you…( কফির কাপ নিয়ে)
ইমা বসলো এবং কফি খেতে লাগে ইসান ও কফি খায়।।। দুইজন কিছু খন চুপ করে থাকে। ইসান আর চোখে ইমাকে দেখে।। এবং মনে মনে বলে- তুমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছো দেখে ভালো লাগছে ইমা।।
ইমা – তুমি ভাবছো আমি এই শহরে কেন???
ইসান- হমম!!!
ইমা- আমি অভির খুনিকে খুজতে এসেছি।।( এই কথা শুনে ইসান চনকে ইমার দিকে তাকায়)
ইমা- জানিনা পাবো কিনা। তবে হাল ছাড়ছি না।।। কিন্তু তুমি এখানে কেন???( বিস্মিত চোখে ইসানের দিকে তাকিয়ে)
ইসান থতমত খেয়ে বললো- আমি,,,,, আমি,,,,, আসলে এই শহরেই আমার বাড়ি।।।
ইমা- কি??? তোমার বাড়ি এখানে??? তুমি এই কথা আমাকে বলনি কেন??? (একটু অবাক হয়ে)
ইসান- তুমি কখনো জিজ্ঞেস করোনি তাই বলিনি।।। আর সেদিন বলা হয়নি কারণ তোমার মনের অবস্থা ভালো ছিলো না। আমি যদি জানতাম তুমি এখানে আসবে তাহলে আমি নিজে তোমাকে নিয়ে আসতাম।।।
ইমা- সরি আসলে এই কথাটা আমি কাওকে বলতে চায়নি।।। তাই তোমাকেও বলিনি।।।
ইসান- ইমা এটুকু বিশ্বাস করতে পারতে।। আমি কি আর না বলতাম বলো।। যাই হোক আমি তোমাকে সাহায্য করবো তোমার হাসবেন্ড এর খুনিকে খুজে বের করতে।।
ইমা- Thank You ইসান৷। (মুচকি হেসে)
ইসান- তুমি এখানে কি করছো???
ইমা- এক হসপিটালে আছি পাশাপাশি সার্জন হওয়ার জন্য পিপারেশন নিচ্ছি।।
এমন সময় ইসমা আসে।।
ইসমা- আম্মু আমার খেলনা খুজে পাচ্ছি না।।।( একটু রেগে)
ইমা- রুমেই আছে খুজে দেখো।।।
ইসমা- খুজেছি পাচ্ছি না।। এই বাসায় আমার ভালোই লাগছে না৷ আম্মু চলোনা আমরা বাড়িতে ফিরে যাই।।। (একটু জোরে)
ইমা- ইসমা রুমে যাও।।( রেগে বললো)
ইসান- ওকে বকা দিয়ো না৷ ইসমা আমার কাছে আসো।।( ইসমা মুখ ভার করে হেটে ইসানের কাছে আসে।।।) তোমার এই বাড়ি পছন্দ না?? (ইসমা মাথা নরিয়ে না বললো)
ইসান- ঠিকাছে মন খারাপ করো না তোমাকে একটা বড় বাসায় নিয়ে যাবো। কালকে ঠিকাছে!!!
ইসমা আনন্দিত সুরে বললো- সত্যি বন্ধু!!
ইসান- হমম।।
ইমা- ইসান ওকে এগুলো কি বলছো?? (কপাল কুচকে)
ইসান- ঠিকি বলছি।। ইমা তোমার ওই ফ্ল্যাটের থেকে এই বাড়িটা অনেক ছোট ও তো বাচ্চা মানুষ ওর সমস্যা হচ্ছে।।।
ইমা- ইসান এই মুহূর্তে আমি এতো টাকা কামায় করিনা যে ইসমাকে নিয়ে বড় বাসায় থাকবো।।
ইসান- ইমা এগুলো নিয়ে তুমি চিন্তা করো না।। আমি আছিতো।।।।
ইমা- না ইসান তুমি এটা ভেবোনা আমি তোমার বাসায় যাবো।।( একটু গম্ভীর সুরে)
ইসান- আমাকে ভুল বুঝছো ইমা।।। ওকে শুনো কাল তুমি ইমা তৈরি আমি এসে তোমাদের নিয়ে যাবো।। আচ্ছা ভালো কথা রোকসানা কে দেখছিনা!!!
ইমা- রোকসানাকে ওর দেশের বাড়ি পাঠিয়েছি। ওর মায়ের মৃত্যু বার্ষীকি।।
ইসান- ও আচ্ছা।। ওকে আমি উঠছি।। কাল কিন্তু তৈরি থেকো।। ইসমা আসি মামুনি কাল দেখা হবে।।। (ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে)
ইসমা- আচ্ছা বন্ধু টা টা।।। (হেসে)
ইসান চলে গেলো।৷ ইসান গাড়িতে উঠে আকাশ কে কল করে।।
আকাশ- স্যার!!
ইসান- কাজ শেষ হয়ছে???
আকাশ- জি স্যার মাত্র শেষ হলো।।
ইসান- দ্রুত আমার বাড়িতে আসো।।। তুমি আর জনি।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
ইসান ফোন কেটে দিলো।।
Time skip
জনি আকাশ ইসানের বাড়িতে আসে।।। দেখে তিনচারজন লোকের সাথে বসে ইসান কথা বলছে।।।
আকাশ- স্যার!!!!
ইসান- এসো এসো।।।( আকাশ জনি ইসানের পাশে গিয়ে দাড়ায়) আকাশ, জনি তোমরা বলেছিলে না দুই মাস আগে,,, স্যার আপনি যেই শাস্তি দিবেন আমরা সেটাই মাথা পেতে নিবো!!!
আকাশ, জনি ভীত সুরে বললো- জি বলেছিলাম।।
ইসান – আজ সেই শাস্তি তোমাদের দিবো তোমরা তৈরি আছো!!!
জনি আকাশ দুইজন দুইজনার দিকে তাকালো।।
ইসান- তাকাতাকি করে লাভ নাই।। এখন আমার কথা,মন দিয়ে শুনো।। ইনি হচ্ছেন মিঃ আরিফ এবং উনার টিম।। উনি রুম ডেকোরেশন করেন।। আমার উনার সাথে সব কথা হয়ে গেছে।। তুমি উনাকে আমাদের যেই ২৮ তালা বিল্ডিং আছে সেখানে ৭ তালার ফ্ল্যাটে নিয়ে যাবে এবং নিজে উনাদের সাথে দাড়িয়ে থেকে কাজ গুলো দেখবে।। এখন ঘড়িতে কেবল ৬ বাজে৷।।। আমার কাল সন্ধ্যা ৬ টাই সব তৈরি চায়।। সারা রাতে হয়ে যাবে কি বলো??
আকাশ- জি জি স্যার।। (ভীত সুরে)
ইসান- জনি আমি একটা লিস্ট তৈরি করেছি এগুলো সব এখন অডার দিবে। কালকে সন্ধ্যার আগে আমি সব কিছু কমপ্লিট চায়।।।
জনি- ওকে স্যার।।
ইসান- গো গো ফাস্ট সময় একদম নষ্ট করা যাবে না।।।
মিঃ আরিফ- স্যার আমি তাহলে এখন উঠি।।
ইসান- ওকে।। ( আরিফ তার টিমকে নিয়ে চলে গেলো।। ইসান দেখে আকাশ জনি এখনো দারিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।।।) কি হয়েছে??
জনি- স্যার এগুলো জিনিস পত্র,,,, (সংকোচ নিয়ে বললো)
বলতেই ইসান হেসে উঠে এবং জনি আকাশ কে গিয়ে জোরিয়ে ধড়ে।। আকাশ জনি দুইজনাই একদম হতবাক হয়ে যাই।।
ইসান আকাশ জনির কাঁধে হাত রেখে আনন্দিত সুরে বলে- এগুলো সব কার জন্য জানো???
আকাশ- কার জন্য স্যার???
ইসান- ইমা এবং ইসমার জন্য!! (আকাশ জনি ইসানের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই।।।) আরে সত্যি বলছি।।। ওদের খুজে পেয়েছি।। ওরা এই শহরে আছে।।। (হেসে)
আকাশ, জনি – কি?? স্যার সত্যি বলছেন??
ইসান- হমম সত্যি বলছি।।( জনি আকাশ খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই।।।)
আকাশ আনন্দিত সুরে বললো- স্যার আপনি কতো বড় বোজ আমাদের মন থেকে নামিয়ে দিলেন আপনি নিজেও জানেন না।
জনি হেসে বলে- জি স্যার আকাশ ঠিকি বলছে।।। আমরা সত্যি আজ অনেক খুশি।।
আকাশ- স্যার আপনি আমাদের যেই শাস্তির কথা বললেন এই শাস্তি আমরা আনন্দের সাথে মেনে নিলাম এবং আনন্দের সাথে শেষ করবো।। (হেসে)
ইসান- হয়েছে হয়েছ। এখন যাও সময় কম।।। (মুচকি হেসে)
আকাশ, জনি চলে গেলো।।।
Time skip
পরের দিন বিকালে ইসান চলে গেলো ইমার বাড়িতে।।।
ইসান- তৈরি তোমরা??
ইমা- হমম তৈরি কিন্তু এগুলো জিনিস পত্র!!
ইসান- এগুলো এখানেই থাক চলো।। ইসমা কথায়??
বলতেই ইসমা রুম থেকে বের হয়ে এসে বলে- এই তো আমি বন্ধু!!! (হেসে)
ইসান- বাহ্ তোমাকে তো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।। একদম আমার প্রিন্সেস এর মতো।।। ( বলে ইসমাকে কোলে তুলে নেই।।)
ইসমা- জানো বন্ধু বাবাও আমাকে প্রিন্সেস বলতো।। (মন একটু খারাপ করে)
ইসান ইমার দিকে তাকালো।।। ইমা ইসানের দিকে।।
ইসান- ওকে ওকে চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে।। (হেসে)
ইসান ইমা ইসমাকে নিয়ে চলে আসলো সেই বিল্ডিংএ।।।।
ইসান- এসো।। ( ইসান ইসমাকে কোলে নিয়ে গিয়ে লিফটে উঠলো ইমাও উঠলো।। ৭ তালায় এসে লিফট থামলো।।) এসো ইমা।।।
ইসান বাড়ির দরজা খুলে দিলো এবং ইমাকে ভিতরে ঢুকতে বললো ।। ইমা বাড়ির ভিতরে ঢুকে একদম হতবাক হয়ে যাই সাথে ইসমাও।। ইসান ইমা ইসমাকে এমন অবাক হয়ে দেখতে দেখে মনে মনে খুব খুশি হয়।।
ইসান- ইসমা নতুন বাড়ি পছন্দ হয়েছে???
ইসমা- হমম বন্ধু খুব সুন্দর।। ( আনন্দিত সুরে)
ইসান- তোমার জন্য আরেকটা জিনিস আছে।।
ইসমা- কি বন্ধু???
ইসান হেসে বললো – চলো দেখায় তোমাকে।।। (বলে ইসান একটা রুমের দরজা খুললো।।।)
ইসমা রুমের ভিতরে তাকিয়ে দেখে গালে হাত দিয়ে বড় বড় চোখ করে বললো- এতো খেলনা।।
ইসান- হমম এগুলো সব তোমার।। পছন্দ হয়েছে???( হেসে)
ইসমা- খুব পছন্দ হয়েছে।। thank you বন্ধু।। ( বলে ইসানকে জোরিয়ে ধরলো)
ইসান – most welcome.. যাও খেলা করো।। (বলে ইসমাকে কোল থেকে নামিয়ে দে্য ইসমা গিয়ে খেলনা নিয়ে খেলতে লাগে।। )
ইমা পিছন থেকে বলে-
ইমা- এগুলোর কি দরকার ছিলো ইসান।। (ইসান ইমার দিকে তাকালো।।) আমি এগুলো চায়নি ইসান।। আমি সাধারণ,,,,
বলতেই ইসান বললো-
ইসান- ইমা তুমি এটা ভেব না আমি দয়া করেছি!! ইমা ইসমা ছোট বাচ্চা মেয়ে ও আমার মেয়ের মতো।। ওর জন্য কিছু করতে পারলে সত্যি আমার ভালো লাগে।। আর এই বাসার কথা যদি বলি।। এটা পুরাটাই আমার বিল্ডিং।। আমার বিল্ডিং থাকতে আমি তোমাকে অন্য কথাও রাখবো এটা হতে পারেনা।। দেখো তুমি কি ভাবছো আমি জানিনা তবে এই সব কিছু করে আমি খুব খুশি।।
ইমা- Thank you ….
ইসান- It’s ok… বাড়ি পরন্দ হয়েছে তো??
ইমা- হমম অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছো।।( মুচকি হেসে)
ইসান- কফি খাবে???
ইমা- তুমি বানাবে??( ভ্রু উচু করে)
ইসান- হ্যা আমি বানাবো।। কেন বানাতে পারিনা??
ইমা- আমি কি জানি।।
ইসান- ওকে যাও তুমি ফ্রেস হও আমি কফি বানায় গিয়ে।।। ওহ্যা ওইটা তোমার রুম। আশা করি ভালো লাগবে।।(মুচকি হেসে)
ইমা- ওকে।।। (বলে ইমা চলে গেলো)
ইসান মনে মনে খুব খুশি হয়।। ইমা তার রুমে ঢুকতেই দেখে তার পছন্দের রং দেওয়ালে করা।। বিছানা টা বিশাল বড়। বিছানার দুই পাশে টেবিল ল্যাম্প।।। পাশে বড় দেওয়াল আলমারি।। আরেক পাশে বড় একটা গরজিয়াছ ডিজাইন এর ড্রেসিংটেবিল ।। ইমা মুচকি হেসে ওয়াস রুমে গেলো এবং ফ্রেস হয়ে এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখ মুছতে মুছতে লাগে। হঠাৎ তার ইসানের বলা কথা মনে পরে- ( ইমা তুমি এটা ভেব না আমি দয়া করেছি!! ইমা ইসমা ছোট বাচ্চা মেয়ে ও আমার মেয়ের মতো।। ওর জন্য কিছু করতে পারলে সত্যি আমার ভালো লাগে।। দেখো তুমি কি ভাবছো আমি জানিনা তবে এই সব কিছু করে আমি খুব খুশি।।)
ইমা ঠোঁটের ফাকে মুচকি একটা হাসি আসে।।
ইমা- বদলে গেছো ইসান তবে কিছু পাগলামি থেকেই গেছে।। যেমন নিজের মর্জি মতো চলা।। যেটা ভালোলাগে সেটাই করো।। ( মুচকি হেসে)
ইমা রুম থেকে বের হয়ে হল রুমে আসতেই দেখে ইসান কফি নিয়ে আসছে।।
ইসান- কফি রেডি ম্যাডাম।।।( মুচকি হেসে)
ইমা ইসানের হাত থেকে কফির মগ নিলো।।
ইমা- thank you… (মুচকি হেসে)
এমন সময় ইসমা আসে।।
ইসমা- আম্মু ক্ষুধা লেগেছে।।
ইমা কিছু বলবে তার আগেই ইসান বলে-
ইসান- ক্ষুধা লেগেছে।। তাহলে কি করা যাই বলতো।।
ইসমা- কি করা যাই।। (বিস্মিত চোখে)
ইসান- উমমম আমি কিন্তু ম্যাজিক জানি। ম্যাজিক করে খাবার নিয়ে আসতে পারি।। তুমি দেখবে?? (ইসমা খুশি হয়ে মাথা ঝুকালো) ইসান তুমি নুডলস খাবে??
ইসমা- হমম আমার খুব পছন্দ।। (এক্সাইটেড সুরে)
ইসান- ওকে তুমি ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গুনো তারপর দেখো আমি কি করি।।।
ইসমা ইসানের কথামতো তাই করলো। ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গুনলো
ইসান চোখ বন্ধ করে বললো- আবরা কি ডাবরা গিলি গিলি ছু,,,,,,,,,,,,
বলতেই দরজায় কলিং বেল বেজে উঠে।। ইসমা ইসানের দিকে তাকায়।।
ইসান- কি হলো দেখতে হয়তো।। মনে হয় তোমার নুডলস চলে এসেছে।।।
ইসমা – সত্যি???
ইসান- হমম তুমি বসে আমি নিয়ে আসছি।।
বলে ইসান উঠে গিয়ে দরজা খুললে দেখে ডেলিভারি বয় এসে নুডলস দিয়ে যাই।।।
ইসান ইমার সামনে নুডলস বক্স খুলে আনন্দিত সুরে বলে উঠে- জাদু এই নাও তোমার নুডলস।।।।
ইসমা,নুডলস দেখে খুব খুশি হয়।। ইমা,, ইসান আর ইসমার কান্ড দেখে হাসছে।।। ইসানের হঠাৎ ইমার দিকে চোখ যাই দেখে ইমা হাসছে।।। ইসান মনে মনে খুব খুশি হয় ইমাকে হাসতে দেখে।।।
ইসান- তো ইমা,কফি কেমন লাগলো??
ইমা- হমম ভালো।। good… (মুচকি হেসে) কিন্তু এই নডুলস এর ব্যাপার টা বুজলাম না।।।
ইসান হেসে ফিস ফিস করে বললো- যখন কফি বাবায় তখনি ফোন করে অডার করি।।
ইমা ইসানের কথা শুনে মুখে হাত দিয়ে হাসতে লাগে।।
ইমা- তুমি পারেও বটে। আমার মেয়েটাকে এই ভাবে বোকা বানালা।।
ইসান- ওকে হাসাতে ভালো লাগে। ও আমারো মেয়ে।।( ইসমার দিকে তাকিয়ে)
ইমার এই কথা শুনে হাসি বন্ধ হয়ে যাই।। ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা হাসি বন্ধ হয়ে গেছে।।
ইসান- সরি ইমা।। মানে আসে আমি ইসমাকে মেয়ের মতো দেখি।। তাই,,,,
বলতেই ইমা বললো- It’s ok…
ইসান – ওকে আমি তাহলে এখন উঠি।।
ইমা- কিছু মনে না করলে রাতের ডিনার করে যেতে বলবো।।।
ইসান- ওকে ওকে আমার সমস্যা নেই।। (খুশি হয়ে)
,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।