#i_m_mafia_lover
#part_45
#sabiha_kh
আজকের পর্ব টা বিশাল বড় হয়ে গেছে। ভালো করে রিভিশন দিতে পারিনি।। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।।। 😊
পরের দিন ,,,,
ইমা লিলির বার্থডে পার্টিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে আয়নার সামনে দাড়াই ।।। নিজের প্রতিবিম্বোর দিকে তাকিয়ে থাকে অপলক দৃষ্টিতে।।।। হঠাৎ ইমার বিবেক কথা বলে উঠে –
ইমা – কি দেখছো? ভাবছো কি হলো এগুলো।। তুমি কি জানো তুমি কি করেছ?? আজ তোমার ভুল, তোমার অভিমান, তোমার রাগ তোমাকে এই জাগায় নিয়ে এসেছে ইমা।। সুখ কি এসেছিলো না!!! সুখ ঠিকই এসেছিলো কিন্তু তুমি নিতে পরোনি। সুখ টাকে পা দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছো।।। আজ কষ্ট পেয়ে কি লাভ!! ।যেই ইশান তোমাকে জীবনের সব মনে করতো তাকে তুমি দূরে সরিয়ে দিয়েছো।। ভালোবাসাটাকে আকড়ে ধরতে পারনি।। আজ কোন মুখ নিয়ে তুমি ইশান কে চাইছো??তোমার জন্য ইশান কি না করেছে। তোমাকে আকড়ে ধরার জন্য সে সব কিছু ছাড়তে পর্যন্ত রাজি হয়েছিল।। নিজেকে তোমার সামনে উজাড় করে প্রকাশ করেছে ।। কিন্তু তুমি কি করেছো ?? তুমি শুধু নিজের স্বার্থ দেখেছ।। আজ তাই তুমি একা।।। তুমি তাকে বিশ্বাস করোনি ।।। তাকে কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত দাওনি।।আজ এসেছো তার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে?? ঈশানের স্মৃতি মুছে গেছে সত্যি খুব ভালো হয়েছে। ও তোমার জন্য কেনো ধুকে ধুকে মরতে যাবে?? ভালো হয়েছে আল্লাহ ওকে বেচে থাকার পথ খুঁজে দিয়েছে।।। কথাই বলেনা ,,,আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। তোমার মত মেয়ের কাছ থেকে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে ওর স্মৃতি মুছে যাওয়াটাই ভালো।। তুমি একাই থাকবে সারাজীবন । আর এটাই তোমার শাস্তি ইমা।।
ইমার বুক ফেটে কান্না আসতে লাগে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখ চেপে ধরে কান্না করতে লাগে ইমা।। এমন সময় ইমার ফোন বেজে উঠে । ইমা চোখ মুছতে মুছতে গিয়ে বিছানা থেকে ফোন নিয়ে দেখে ইশান কল দিয়েছে।। ইমা কন্ঠ ঠিক করে ফোন রিসিভ করলো।
ইমা – hello
ইশান – রেডি হচ্ছেন ??
ইমা – হবো এখন ।
ইশান – জানতে পাড়ি কি রঙের ড্রেস পড়বেন??
ইমা – আ,,, নীল রঙের ড্রেস পড়বো ঠিক করেছি।।
ইশান – ও আচ্ছা ঠিকাছে আপনি রেডি হোন তাহলে।।। (বলে ইশান ফোন কেটে দিলো )
ইশান তো মহা খুশি । ইশান আলমারি খুলে নীল রঙের শার্ট বের করে এবং বলে – ইমা নীল রঙের ড্রেস পড়বে আর আমি পড়বো না ?? তা কি করে হয় । (হেসে)
এদিকে ইমা মুখ চোখ ধুয়ে এসে আয়নার সামনে বসে নিজের প্রতিবিম্বর দিকে তাকিয়ে বলে –
ইমা – আজ আমি খুব সুন্দর করে সাজবো।। শেষ সময় টা আমি সুন্দর ভাবে পার করতে চাই ঈশানের সাথে।।।
ইমা নিজেকে সুন্দর পরিপাটি করে সাজতে শুরু করে। ওদিকে ইশান নিজেকে স্মার্ট পরিপাটি করে সাজিয়ে তুলছে। যেনো ইমা তার প্রপোজ আজ প্রত্যাখ্যান করতে না পারে। ।।।
ঘণ্টা খানিক পর,,,,
ইশান রেডি হয়ে ৫ তলায় ইমার বাসার দরজার কলিংবেল বাজাই।। ইমা এসে
দরজা খুলে দিতেই ঈশানের চোখ যেনো ইমার উপর আটকে যাই।।। ইশান অবাক চোখে ইমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতে থাকে।। নীল রঙের ফুলহাতা গ্রাউন্ড ফ্রগ, ঠোঁটে হালকা লাল রঙের লিপস্টিক , চোখে হালকা কাজল, কানে ছোট সাদা পাথরের দুল, চুল একপাশে নিয়ে বেনুনি করা।।। এতো গর্জিয়াস দেখাচ্ছে ইমাকে যে ঈশানের চোখের পলক পর্যন্ত পড়ছে না।।।।এদিকে ইমা ও তেমন ইশান কে দেখে হা হয়ে দেখছে। নীল রঙের শার্ট তার উপর কালো রঙের পৃন্স কোট।।। কালো রঙের পেন্ট, কালো জুতা ,হতে কালো রঙের চেনের ঘড়ি।। মাথার চুল জেল দিয়ে একটু উচু করা।। খুব হ্যান্ডসাম এবং স্মার্ট দেখাচ্ছে ইশান কে।। দুইজনার মুখ দিয়ে কোনো কোথায় বের হচ্ছে না ।। দুজন দুজনকে অপলক দৃষ্টিতে দেখছে।। এমন সময় ইমার ফোন বেজে উঠে দুজনাই চমকে যাই।।।
ইমা তারাতারি অন্য দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বলে – আসুন ইশান ভিতরে আসুন ।
ইশান ভিতরে আসলে ইমা ঈশান বসতে বলে তারাতারি নিজের রুমে যাই ।।
ইশান বুকের বাম পাশে হাত রেখে বড় একটা শ্বাস ছেড়ে চোখ বন্ধ করে বলে – শান্ত হও আমার হৃদয় ।।। তুমি যদি এভাবে অশান্ত হয়ে যাও তাহলে আমাকে কে সামলাবে.?? আমি জানি ও অনেক সুন্দর। ও তোমার সামনে আসলেই তুমি যদি এমন করো তাহলে কি ভাবে হবে বলো। তাই একটু শান্ত হও প্লিজ।।
৫ মিনিট পর ,,,,
ইমা – আমি রেডি ।। ( মুচকি হেসে)
ইশান সোফা থেকে উঠে দাড়িয়ে ইমার দিকে তাকিয়ে বললো – না আপনি রেডি না।।
ইমা – মানে??
ইশান – কিছু একটা মিসিং আছে ।।
ইমা – কি মিসিং লাগছে আপনার কাছে ?
ইশান – আসুন আমার সাথে। (ইশান ইমার হাত ধরে ইমার রুমে নিয়ে গেল এবং ইমাকে আয়নার সামনে দ্বারা করলো।।)
ইশান দেখে ড্রেসিং টেবিলের উপর একটা পাথরের লকেট রাখা।। ইশান পাথরের লকেট টা নিয়ে ইমার গলায় পরিয়ে দিল। ইমা অবাক চোখে ঈশানের দিকে তাকিয়ে রইল।।
ইশান – পারফেক্ট ।। (মুচকি হেসে)
বলতেই ইমা অন্য দিকে তাকাই।।। ইশান ইমার পিছনে দাঁড়িয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে বলে
ইশান – দেখুন এখন একদম পারফেক্ট লাগছে।। সত্যি বলতে আজ আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে।।
ইমা – thank you ।। এবার চলুন যাওয়া যাক।।
ইশান – চলুন।। (হেসে)
ইশান ইমা একসাথে বাড়ি থেকে বের হলো । ইশান ট্যাক্সি ডাকে। তারপর দুজন গাড়িতে উঠে বসে।।।
ইশান ইমার দিকে তাকাই দেখে ইমা গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।। কেমন মন মরা হয়ে।।
ইশান – ইমা !! (ইমা চমকে ঈশানের দিকে তাকাই) আপনি ঠিকাছেন??
ইমা – হম ঠিকাছি ।।
ইশান ইমার মুড ঠিক করতে ইমার সাথে পুরা রাস্তা গল্প করতে করতে গেলো।।
ইশান ইমা চলে আসে পার্টি স্পটে।। ইমা ,ইশান একসাথে পার্টিতে ঢুকলে সবাই ইশান ইমাকে দেখতে থাকে।। ইশান দেখে লিলি দাড়িয়ে গল্প করছে তার ফ্রেন্ডদের সাথে।।
ইশান – ইমা ওই যে লিলি চলো।। Sorry ,,, ভুল করে তুমি ,,,,,
বলতেই ইমা বললো – তুমি করে বলতে পারেন সমস্যা নেই।।
ইশান – তুমিও আমাকে তুমি করে বলবে তাহলে।।
ইমা হেসে বলে – ok।
ইশান – এখন চলো।। ইশান ইমাকে নিয়ে লিলির কাছে গেলো।
ইশান – লিলি!!
লিলি ইশান কে দেখে খুব খুশি হয় তারপর ইমার দিকে তাকাই দেখে দুইজন একই রঙের পোশাক করেছে । লিলির রাগ হয় কিন্তু লিলি কিছু বলে না।।
ইশান – happy birthday। (ফুল এগিয়ে দিয়ে)
লিলি ঈশানের হাত থেকে ফুল নিয়ে ঈশান জড়িয়ে ধরে। ঈশানের কাছে বিষয়টা একটু বিরক্তকর লাগে।।
লিলি – thank you ইশান । তুমি এসেছ আমি a
অনেক খুশি।। (বলে ঈশান কে ছাড়ে)
ইমা লিলির দিকে গিফট বক্স এগিয়ে দিয়ে birthday উইশ করে।। লিলি ইমার হাত থেকে গিফট বক্স নিয়ে thank you বলে।।। লিলির
সব বন্ধু বান্ধবীর সাথে লিলি ঈশানের পরিচয় করিয়ে দেই।। লিলির এক বন্ধু ইমার দিকে তাকিয়ে বলে – লিলি এই কিউট মেয়েটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে না??
লিলি – ও ইনি হচ্ছেন,,,,
বলতেই ইশান বললো – ইমা এই কিউট মেয়েটার নাম ইমা।।আমার বন্ধু।। ইমা ঈশানের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল।।
লিলি দেখে খুব রেগে গেলো এবং মনে মনে বললো – বন্ধু না কি আমি খুব ভালো করে জানি আজ সব শেষ করবো একটু ধৈর্য ধরো দুইজন।।।
লিলি – আরে কি সবাই চুপচাপ !! আজ আমার জন্মদিন গান হবে না বলো!!
সবাই – hmm শুরু করো।।
লিলি ঈশানের হাত ধরে হেসে বললো – চলো ইশান।। লিলি ইশান কে নিয়ে গিয়ে পিয়ানোর সামনে বসিয়ে দেই।।
লিলি – আমার পছন্দের গান Love me like you do ,,, চলো শুরু করি । ।(লিলি গিটার নিল ইশান মাথা ঘুরিয়ে ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে শুরু করলো পিয়ানো বাজানো।
লিলি –
তোমার যেমন খুশি আমায় ভালোবাসো
তুমিই দিন, তুমিই রাত
তুমি আমার রক্তের রঙ
তুমি উপশমক, তুমিই বেদনা
তুমিই একমাত্র যাকে ছুঁতে চাই আমি
কখনো বুঝিনি এটা খুব বেশি বিশ্রী হবে,খুব বেশি
তুমিই ভয়, আমি গ্রাহ্য করি না
কেননা আমি এর আগে এতটা উচুতে ছিলাম না
আমার পিছুপিছু আঁধারের দিকে চল
আমাকে আমাদের উপগ্রহে তোমাকে ফিরিয়ে নিতে দাও
তুমি দেখতে পাবে সে পৃথিবী যেখানে তুমি জীবন এনেছ, জীবন
তাই তোমার যেমন খুশি আমায় ভালোবাসো, তোমার যেমন খুশি আমায় ভালোবাসো
তোমার যেমন খুশি আমায় ভালোবাসো, তোমার যেমন খুশি আমায় ভালোবাসো
তোমার যেমন খুশি আমায় ছুঁয়ে দাও, তোমার যেমন খুশি আমায় ছুঁয়ে দাও
তুমি কিসের অপেক্ষা করছ???
[বি: দ্রঃ Love me like do অসাধারণ একটা গান। পুরাটা দিলাম না।😊 ]
গানের মাঝখানে লিলির বাবা আসে। লিলির বাবা ইশান কে দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় ।। উনার চোখের সামনে সেই দাম্ভিকতা রাগান্বিত ইশান চৌধুরীর চেহারা ভেসে উঠে ।
লিলির বাবা – ভাবতে পারছি না । ইশান চৌধুরী পিয়ানো বাজাচ্ছে।। ও,,, আর বাজাবেই না বা কেনো সবই তো ভুলে গেছে ।সত্যি খুব ভালো হয়েছে।। আজ আমি যেটা করবো সেটা করা মানে নিজের ঘরে সোনার হরিণ ঢুকানোর মত।।।
গান শেষ হলো।। ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।। ইমা মুচকি হাসে।। এমন সময় লিলির বাবা হাত তালি দিতে শুরু করে এবং লিলি ঈশানের প্রশংসা করতে করতে এগিয়ে আসে।।।
লিলি তার বাবাকে দেখে গিটার রেখে উঠে এসে বাবা জড়িয়ে ধরে আনন্দিত সুরে বলে – বাবা আমার পিছে যে দাড়িয়ে আছে সেই ইশান।।
লিলির বাবা – হম বুঝতে পেরেছি।।
লিলি তার বাবাকে ছাড়ে এবং বাবাকে ঈশানের কাছে নিয়ে আসে।।।
ইশান – hello !! (হাত বাড়িয়ে দিয়ে।।)
লিলির বাবা ঈশানের সাথে হাত মিলিয়ে বললো –
লিলির বাবা – খুব সুন্দর লাগলো তোমাদের যুগল পারফরমেন্স।।
ইশান – thank you।।
লিলি – ইশান ইনি আমার বাবা।।
ইশান – ও আচ্ছা। আপনার সাথে পরিচয় হয়ে ভালো লাগলো স্যার।।। (মুচকি হেসে)
লিলির বাবা – আমারও।। (লিলির বাবা ঈশানের ব্যাবহারে অবাক হলেও সেটা প্রকাশ করলো না।। )
ইশান যেতে চাইলে লিলির বাবা বললো- এখানেই দাড়াও ইশান।। লিলি আজ আমি একটা বিশেষ ঘোষণা করবো তোমার জন্য।।
ইশান – বিশেষ ঘোষণা করবে কিন্তু আমি এখানে দাড়াব কেনো?? ( সন্দেহর চোখে তাকিয়ে মনে মনে বললো)
এদিকে ইমা সব কিছু দাড়িয়ে দেখছে।।
লিলির বাবা – অ্যাটেনশন এভরিওয়ান,,,!!! (সবাই লিলির বাবার দিকে তাকাই) আজ আমার একমাত্র মেয়ের জন্মদিন।।। আমি আমার মেয়েকে খুব ভালোবাসি।। আমার মেয়ে যখন ছোট ছিল তখন একটা বাচ্চার হাতে সে তালিবাজনো পুতুল দেখে । লিলি আমার কাছে এসে সেই তালিবাজনো পুতুল চেয়েছিল।। আমি কাজে ছিলাম তাই লিলি কে না বলে দিই।। তারপর আমি পুতুলের কথা ভুলে যাই।। আমার লিলি পুতুলের জন্য খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। আমি সেটা পরের দিন জানতে পাড়ি।। । আমি আর একমিনিট ও দেরি না করে সব কাজ ফেলে দিয়ে আমার মেয়ের জন্য ৩ টা তালিবাজনো পুতুল কিনে নিয়ে আসি।। তারপর থেকে আমার মেয়ে আমার কাছে কোনো আবদার করলে আমি সব কাজ ফেলে দিয়ে তার আবদার আগে শুনি । অনেক সময় তাকে বলার সুযোগ দিইনি আগেই এনে দিয়েছি তার পছন্দের জিনিস।। আজ প্রায় ৫ বছর আমার মেয়ে আমার কাছে একটা জিনিশ চেয়েছে। আর আমি আমার মেয়েকে তার এই জন্মদিন সেটাই গিফট করতে চাই । ।
ইমা লিলির বাবার কথা শুনে একটু অবাক হলো – কি এমন জিনিস চেয়েছে লিলি যে সবার সামনে বলতে হবে?? (মনে মনে ভাবলো)
ভাবতেই লিলির বাবা বললো – আমার মেয়ে তার ভালোবাসার মানুষকে চেয়েছে তার জীবন সঙ্গী হিসেবে।।। (বলতেই ইমা চমকে উঠলো) আর সেই হলো ঈশান ।।।
ইশান লিলির বাবার কথা শুনে রীতিমত হতবাক হয়ে গেলো।। সবাই হাততালি দিতে লাগে কিন্তু ইমার কথা টা শুনে বুকের ভিতরটা খুব জোরে মোচড় দিয়ে উঠে।। ইশান ইমার দিকে তাকাই দেখে ইমা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।।।
ইশান লিলির বাবাকে কিছু বলতে যাবে সেই সময় লিলি এসে ঈশানের হাত চেপে ধরে।।
লিলি – প্লিজ কিছু বলো না ইশান।। পার্টি টা নষ্ট হয়ে যাবে ।।
ইশান – কিন্তু লিলি ,, বলে ইমার দিকে তাকাতেই দেখে ইমা চলে যাচ্ছে।।।
ইশান বিরক্ত হয়ে লিলি হাত ছাড়িয়ে দিয়ে ইমার কাছে যেতে লাগলে লিলির বন্ধু বান্ধবীর এবং আরো অনেকেই ইশানকে congratulations জানাতে ঈশানের দিকে এগিয়ে আসে।।। ইশান সেখান থেকে আর বের হতে পরেনা। পার্টি স্পর্ট থেকে বের হয়ে দেওয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে মুখ চেপে কান্নাই ভেঙে পরে ইমা।।।
ইমা – আল্লাহ আমি আর এই সব নিতে পাড়ছি না।। পারছিনা আমি।।( বলে ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে থাকে ইমা)
এমন সময় একজন আমেরিকান মহিলা ইমাকে কাদতেঁ দেখে এগিয়ে আসে এবং ইমার কাধে হাত রাখে ।।
ইমা চমকে মাথা ঘুরিয়ে মহিলাটির দিকে তাকাই ।
মহিলাটি ইমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে তার আগেই ইমা মহিলা টিকে sorry বলে দ্রুত গিয়ে ট্যাক্সি ধরে চলে গেলো ।
এদিকে ইশান সবাইকে এক্সকিউজমি বলে দ্রুত পার্টি স্পর্ট থেকে বের হয়ে বাইরে আসে এবং এদিক ওদিক তাকাই কিন্তু কোথাও ইমাকে দেখতে পাইনা।।।
ইশান – আমার সর্বনাশ হয়ে গেলো।। লিলি কী করলে তুমি।।। (উত্তেজিত সুরে বলতে বলতে পকেট থেকে ফোন বের করে ইমা কে কল করে।। )
এদিকে ইমা গাড়িতে বসে কান্না করেই যাচ্ছে।। এমন সময় ফোন বেজে উঠলে ইমা ব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখে ইশান কল করেছে । ইমা ঈশানের কল না ধরে ফোন উল্টা করে রেখে দেই এবং কাদতে থাকে।।। ইশান আবার কল দেই। ইমা এইবার কন্ঠ ঠিক করে কল রিসিভ করে কানে ধরে।
ইমা ঈশান কে কিছু বলার সুযোগ দেই না সরাসরি বলে – sorry ইশান আমি থাকতে পারলাম না। জরুরী কাজ পড়ে গেছে। আর হ্যাঁ Congratulations নতুন জীবনের জন্য।।।।
ইমার এত কান্না চলে আসে ইমা দ্রুত কল কেটে দিয়ে ফোন সুইচ অফ করে দেয়।।
ঈশানের কান্না চলে আসে ইশান ইমাকে আবার কল করে দেখে ফোন বন্ধ ।
ইশান গায়ের থেকে কোর্ট খুলে মাটির উপর আছাড় দিয়ে বললো – সব শেষ হয়ে গেলো।। হারিয়ে ফেললাম আমি।।
বলতেই লিলি বের হয়ে ঈশানের কাছে আসে।।
লিলি – ইশান!!( ইশান রাগান্বিত চোখে লিলির দিকে তাকায় ) লিলি এখানে কি করছো ??
ইশান – তোমার সমস্যা কি লিলি এটা কি করলে তুমি?? আমি কি কখনো বলেছি আমি তোমাকে পছন্দ করি?? কখনো বলেছি আমি তোমাকে চাই?? কেনো এগুলো করলে??
লিলি ইশান কে জড়িয়ে ধরে বলে – আমি তোমাকে চাই ইশান আমি তোমাকে ভালো বসি।।। প্লিজ তুমি রাগ করো না!!
ইশান – ছাড়ো আমাকে লিলি।। (রাগান্বিত সুরে )
লিলি ইশান কে ছাড়ে না । ইশান রেগে লিলিকে ধাক্কা দেই। । লিলি মাটিতে পড়ে যায়।
ইশান – আমি ইমাকে ভালোবাসি বুঝেছ পরিষ্কার করে বলে গেলাম মাথায় ঢুকিয়ে নিও লিলি।।
বলে ইশান চলে গেলো সেই জায়গা থেকে।।। এদিকে ইমা চোখ মুখ ঠিক করে ইজমা কে নিতে যায় ইসমার বান্ধবীর বাসায় । ইসমা ইমাকে দেখে খুশি হয়ে যায়।
ইমা – চলো ইসমা বাসায় যাই।।
ইজমা – চলো। (হেসে )
ইসমা ইমা গাড়িতে উঠে বসে। ইসমা দেখে ইমার মনটা খারাপ। ইসমা ইমা কে মন খারাপ কেনো জিজ্ঞেস করে কিন্তু ইমা ইসমার কথার কোনো জবাব দেই না।।। ইমা ইসমা বাড়ি চলে আসে।।।
ইমা – ইসমা কাল সকালের ফ্লাইটে আমরা দেশে ফিরব।।।। তুমি তোমার কাপড়চোপড় বের করে রাখো আমি গছিয়ে দিবো।।
বলে ইমা চলে গেলো নিজের রুমে । ইমা সোজা ওয়াসরুমে গিয়ে ঝর্ণা ছেড়ে দাড়িয়ে থাকে ঝর্নার নিচে ইমার চোখের সামনে পার্টির ঘটনা গুলো ভেসে উঠছে।।। ইমা বসে পড়ে মেঝের উপর এবং হাউমাউ করে কাঁদতে লাগে।।।
এদিকে ইশান বারে বসে ড্রিংস করছে মনের দুঃখে । এমন সময় আকাশ ইশান কে কল করে।। ইশান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।
আকাশ – ভাইয়া কোথায় তুমি??
ইশান কান্না সুরে বললো – আকাশ আমার সব শেষ।
আকাশ ঈশানের কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় এবং উত্তেজিত সুরে বলে – ভাইয়া কি হয়েছে?? তুমি কোথায় আছো বলো আমি এখুনি আসছি।।
ইশান যেই বারে আছে সেই বারের ঠিকানা দিলো আকাশকে।।। আকাশ ঘণ্টা খানিক পর চলে আসে সেই বারে।। আকাশ দেখে ইশান বসে বসে ড্রিংস করছে।।। আকাশ এসে ঈশানের সামনে বসে ।।। ইশান আকাশকে দেখে মাতাল অবস্থায় হাউমাউ করে কেঁদে উঠে আকাশ কে জড়িয়ে ধরে ।। আকাশ হতবাক হয়ে যায়।।
ইশান কান্না করে বলে – ভাই রে আমি ইমাকে পাওয়ার আগে হারিয়ে ফেললাম ।
আকাশ ঈশানের কথা শুনে ভাবে ঈশানের হয়তো সব স্মৃতি ফিরে এসেছে।।। আকাশ খুশি হয়ে যায়।
এমন সময় ইশান বলে – আকাশ ইমা আমাকে ভুল বুঝেছে।। আমি ওকে প্রপোজ করতে পারলাম না তার আগেই লিলি এমন একটা কাজ করেছে তার জন্য ইমা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে এই কষ্ট আমি কোথায় রাখবো আমি কোন মুখ নিয়ে ইমার সামনে দাঁড়াবো।।।
আকাশ ঈশানের কোথায় হেসে উঠে।। ইশান আকাশ কে ছেড়ে রাগান্বিত চোখে আকাশের দিকে তাকায় বলে – তুমি হাসছো?? আমার কষ্ট আর তুমি হাসছো। চলে যাও এখুনি।।
বলে ইশান নিজের জাগায় বসে ড্রিংস করতে লাগলো।।
আকাশ মুখ ঘুরিয়ে হাসি থামানোর চেষ্টা করছে এবং মনে মনে বলছে – আল্লাহ যার সাথে তার এত বছরের সম্পর্ক তার নাকি আবার নতুন করে প্রেমে পড়েছে। ইসস যদি স্যারের সব মনে পরে যেতো তাহলে কতই না ভালো হতো ।
ভাবতেই ইশান মাতাল সুরে রেগে বলল – এখনও বসে আছো!! চলে যাও।।।
আকাশ – আরে ভাইয়া রাগ করছো কেনো?? Sorry আসলে আমি অন্য কারণে হেসেছি।।। যাইহোক তোমার কথা শুনে সত্যি খুব দুঃখ লাগছে।।
ইশান আবার নেশার ঘোরে উঠে আকাশ কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগে।।
ইশান – ভাইরে এখন আমি কি করবো আমি আর ইমাকে বলতে পারবো না।।
আকাশ – কে বলছে বলতে পারবা না ?? আমি তোমাকে সাহায্য করবো । চলো এখনি চলো এখুনি বলবে।।
ইশান মুখে হাত দিয়ে আকাশের কাছ থেকে সরে গিয়ে বললো – তুমি পাগল নাকি?? আরে আমি ড্রিঙ্কস করেছি এই ভাবে ইমার সামনে গেলে ইমা আরো না বলে দিবে।।
আকাশ – তাহলে কি করবে।। তাহলে এক কাজ করো কাল বলো। আমি ব্যবস্থা করে দেবো।।
ইশান খুশি হয়ে আকাশ কে জড়িয়ে ধরে বললো – thank you ভাই।। আমি জানি তুমি আমাকে সাহায্য করবে ।
আকাশ – হয়েছে হয়েছে ।। তুমি এখন পুরা মাতাল চলো বাসায় চলো।
ইশান – ok ।। চলো।।
আকাশ বিল পে করে ইশান কে নিয়ে ঈশানের বাড়িতে গেলো।। আকাশ ঈশান কে বিছানায় শুয়িয়ে দিলো। পায়ের জুতা খুলে দিয়ে শরীরে কম্বল দিয়ে দিলো ।।
আকাশ বেলকুনিতে গিয়ে দাড়িয়ে ঈশানের বারে বলা কোথায় হাসতে লাগে।।।
আকাশ – সত্যি এটা অবিশ্বাস্য স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার পরে স্যার সেই মেয়েটার উপরে পাগল যে মানুষটাকে সে এত জীবন ভালোবেসে এসেছে। ।। আচ্ছা ম্যাডামকে ফোন দিয়ে জানাবো?? না থাক স্যার প্রপোজ করলে ম্যাডাম নিজেই অবাক হয়ে যাবে।।।
Time skip,,,,,,
সকালে ঈশানের ঘুম ভাঙ্গে একটা এসএমএস আসার রিংটনে।।। ঈশান ঘুম ঘুম চোখে ফোন নিয়ে এসএমএস অন করে ইশান ঝাপসা চোখ পরিষ্কার দেখতে পাইনা। তারপর আস্তে আসতে পরিষ্কার হয়ে যায় ।। ইশান দেখে উপরে এসএমএস ইমা ম্যাডাম নাম লিখা।। ইশান একটু অবাক হয় ফোন ঘুরিয়ে ব্যাক পার্ট দেখে বুঝতে পারে আকাশের ফোন।।।
ইশান – ইমা আকাশ কে এসএমএস করেছে??? (একটু অবাক হয়ে) দেখিতো কি লিখেছে।।
ইমা – আকাশ I am sorry।। আমি পারলাম না ইশান কে ঠিক করতে।। আমি ঈশানের কষ্ট দেখতে পারবো না । আমি দেশে ফিরে যাচ্ছি ।। এমনি ও ইশান আমাকে চিনে না তাই আমি তার কাছে অচেনাই থাকি। তোমার স্যাররের খেয়াল রেখো । ওর দিকে নজর রেখো।। আর হ্যাঁ আরেকটা কথা ,,, আমার একটা ডায়েরি খুঁজে পাইনি।। যেখানে যেখানে রাখতে পারি সেখানে সব জায়গায় খুঁজেছি কিন্তু সময়ের অভাবে আর খুঁজতে পারিনি।। ডাইরিটা আমার খুব কাছের।। তুমি আমার বাসায় এসে ডাইরি টা একটু ভালো করে খুজে দেখ । যদি পাও তাহলে কারো মাধ্যমে পাঠিয়ে দিও।। আমার খুব উপকার হবে ।
ইশান বিস্মিত হয়ে বললো – এগুলোর মানে কি ?? আচ্ছা ডাইরির কথা বলল না!!! আরে হ্যাঁ আমিতো ইমার বাড়ি থেকে ডাইরি নিয়ে এসেছিলাম।।
ইশান ধড়ফড় করে বিছানা থেকে নেমে খাটের নিচে তাকাই দেখে ডায়েরি রাখা।।।। ইশান খাটের নিচ থেকে ডাইরি বের করে ।। ডাইরির প্রথম পাতা খুলে দেখে তার হাতের লিখা ।।
ইশান নিজের হাতের লিখা দেখে চমকে গেলো ।।।
ইশান – আমার হাতের লিখা এখানে আসল কি করে???
ইশান তার লিখা পড়তে শুরু করে।।
(ইশান- আমি আজ সত্যি নিজেকে অনেক লাকি মনে করি যে ইমার মতো মেয়ে আমার জীবনে এসেছে।।আজ ইমার কারণে আমি প্রতিটা মুহূর্ত জীবনটাকে নতুন করে দেখতে পাই ।।। ইমা আমি তোমাকে আমার জীবনে প্রতিটা ঘন্টায়,প্রতিটা মিনিটে প্রতিটা সেকেন্ডে আমার পাশে চাই।। আজ তোমাকে ছাড়া সত্যি কিছু ভাবতে পারিনা। হয়তো আর পারবো না।।। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তোমার সাথ আমার চাই।। I love you,, I love you so much,,, ❤️)
মনের অজান্তেই ঈশানের চোখে পানি চলে আসে।।
ইশান – এটা আমি লিখেছি তারমানে ইমার সাথে আমার আগে থেকে সম্পর্ক ছিল??? কিন্তু আমার মনে নেই কেনো?? (অবাক হয়ে)
ইশান চোখ মুছে আরো পড়তে লাগে ইশান পুরা শেষ করার আগেই মাথার যন্ত্রণায় মাথা ঘুরে মেঝেতে তার শরীর লুটিয়ে পড়ে।। এদিকে আকাশ অফিসে এসে খেয়াল করে সে ঈশানের ফোন নিয়ে চলে এসেছে।। আকাশ বুদ্ধি না পেয়ে আবার ঘুরে ঈশানের বাড়িতে যাই।। আকাশ ঈশানের রুমে ঢুকতেই দেখে ইশান মাটিতে পড়ে আছে পাশে ডাইরি আর তার ফোন।।
আকাশ দৌড়ে ইশানের কাছে আসে।।এবং ইশান কে ডাকে ঈশানের কোনো হুশ নেই।। আকাশ আর দেরি না করে দ্রুত হসপিটালে ফোন দেয় এবং এম্বুলেন্স পাঠাতে বলে।। অ্যাম্বুলেন্স এসে ঈশান কে তুলে নিয়ে চলে যায় হসপিটালে।
#i_m_mafia_lover
#part_46
#sabiha_kh
আকাশ দৌড়ে ইশানের কাছে আসে।।এবং ইশান কে ডাকে ঈশানের কোনো হুশ নেই।। আকাশ আর দেরি না করে দ্রুত হসপিটালে ফোন দেয় এবং এম্বুলেন্স পাঠাতে বলে।। অ্যাম্বুলেন্স এসে ঈশান কে তুলে নিয়ে চলে যায় হসপিটালে।
”
”
”
”
ইমা দেশে চলে আসে।। ইমা ইসমা কে নিয়ে এ্যারপর্ট থেকে বের হতেই দেখে জনি গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে এবং এদিক ওদিক দেখছে।।এমন সময় জনি ও ইমার দিকে তাকাই।।
ইমা জনির দিকে এগিয়ে গেলে জনি ও এগিয়ে আসে হতবাক হয়ে।।। ।।
ইমা হেসে বলে – আরে জনি!! কেমন আছো??
জনি আনন্দিত সুরে বলল- ভাবতেও পারিনি আপনার সাথে এভাবে দেখা হবে ম্যাডাম!!। ইসমা কতো বড় হয়ে গেছে। আমাকে চিনতে পেরেছো ইসমা ?? (ইসমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো )
ইসমা – জী আপনি জনি আঙ্কেল।।।( হেসে)
জনি – তুমি ভালো আছো মামুনি ??
ইসমা – জী ভালো আছি।
ইমা – রোকসানা কেমন আছে জনি???
জনি – ও ভালো আছে।। সারাদিন বাবুকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে ।।
ইমা – তোমাদের বাবু হয়েছে??? বাহ!! কি বাবু হয়েছে??
জনি – ছেলে হয়েছে ম্যাডাম।। ১ বছর বয়স ওর।। আমরা ভালো আছি ম্যাডাম।। অনেক ভালো আছি।।। ম্যাডাম আমার বাসায় চলুন তো।। রোকসানা আপনাদের দেখে খুব খুশি হবে।। প্লিজ ম্যাডাম চলুন।।। (অনুরোধ সুরে)
বলতেই ইসমা বললো – চলো না আম্মু কতো দিন রোকসানা আন্টিকে দেখিনি।।
ইমা – কিন্তু এইভাবে,,,,!! (একটু সংকচ নিয়ে)
জনি – প্লিজ ম্যাডাম!!!
ইমা – ok ok চলো।। (হেসে)
ইমার রাজি হওয়া তে জনি খুব খুশি হয়।।।
জনি – আসুন ম্যাডাম আসুন।। (আনন্দিত সুরে)
জনি ইমার ব্যাগ লাগেজ নিয়ে তার গাড়ির তে উঠাই ।
ইমা গাড়ি দেখে বলে- গাড়ি কিনেছো নাকি জনি!??
জনি – জী ম্যাডাম। এটা আমার নিজের গাড়ি।। আমি এখন গাড়ি চালায় আর একটা দোকানে পার্টটাইম জব করি।।
ইমা – বাহ খুব ভালো।।
জনি গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে বললো – বসুন ম্যাডাম ইসমা বসো মামুনি।।
ইমা ইসমা গাড়িতে উঠে বসে ।। জনি গাড়িতে উঠে রোকসানাকে ফোন দেই এবং বলে ভালো ভালো রান্না করতে মেহমান নিয়ে সে বাসায় যাচ্ছে।।।
জনি সারা রাস্তা ইমা ইসমার সাথে গল্প করতে করতে তাদের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে ।
জনি – ম্যাডাম রোকসানা কে সারপ্রাইজ দিবো।। আমি আগে যায় তারপর আপনারা আসুন।।
ইমা – ঠিকাছে।। (মুচকি হেসে)
জনি দরজাই কলিংবেল বাজায়।
রোকসানা – আসছি!!! (রোকসানা এসে দরজা খুলে দেই । ) তুমি একা যে ,,,বললে মেহমান নিয়ে আসছো !!
বলতেই ইমা ইসমা জনির পিছনে এসে দাঁড়ায়।।রোকসানা ইমা কে দেখে অবাক হয়ে যাই ।।
জনি সামনে থেকে সরে গেলে ইসমা রোকসানা কে জাপটে জড়িয়ে ধরে।। রোকসানা অবাক হয়ে যায় ।।। ইমা ইসমা কে এভাবে দেখে রোকসানা আবেগী হয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেই।।।।
ইসমা – তুমি কেমন আছো আন্টি??
রোকসানা – ভালো আছি মা ।। তুমি কত বড় হয়ে গেছো।। (কান্না সুরে) ম্যাডাম আপনি কেমন আছেন?? (ইমার দিকে তাকিয়ে)
ইমা – ভালো আছি।। বাইরেই দাড়িয়ে রাখবে??
রোকসানা – আরে না না ভিতরে আসুন ম্যাডাম।। (হেসে)
ইমা ইসমা ভিতরে ঢুকলো ..
জনি – এই গরীব ভাইয়ের বাসায় আপনাকে স্বাগতম।।
ইমা – কি যে বলো জনি।। কই তোমাদের ছেলে কই??
রোকসানা – ভিতরে বাবু।। আসুন ম্যাডাম।।
ইমা ইসমা রুমের ভিতরে গেলো দেখে বাচ্চাটা বিছানায় বসে খেলছে।। ইমা বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নেই।।
ইমা – মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর তোমাদের বাচ্চাটা। ওর নাম কি রেখেছো??
রোকসানা – ইশান আহাম্মেদ,,,!!!
ইমা – ইশান!! (একটু অবাক হয়ে)
জনি – জী ম্যাডাম ছেলের নাম ইশান রেখেছি।। স্যার কে হারানোর পর ,,,,,
বলতেই ইসমা বললো – না বাবার কিছু হয়নি ।। বাবাকে পেয়েছি জনি আঙ্কেল।।। (হেসে)
জনি , রোকসানা ইসমার কথা শুনে বিস্মিত চোখে ইমার দিকে তাকাই ।
ইমা – ইসমা চুপ করো।।( ইসমার দিকে তাকিয়ে)
ইসমা – কেনো আম্মু ?? জানো আঙ্কেল বাবা এখন আমেরিকায় আছে।।।
ইমা – এগুলো কথা পড়ে হবে।। তুমি এক কাজ করো তুমি বাবুর সাথে খেলো।
ইসমা – ঠিকাছে।। (খুশি হয়ে)
ইমা বাবু টাকে বিছানায় বসিয়ে দিলো । ইসমা বাবুর সাথে খেলতে লাগে।।।
ইমা – চলো বাইরে গিয়ে কথা বলি ।।
জনি – আসুন ম্যাডাম।।।
ইমা জনি রোকসানা বাইরে ডাইনিং রুমে এসে বসে।।।
জনি – ইসমা যেটা বললো সেটা সত্যি ম্যাডাম??
ইমা – হম সত্যি। ইশান বেচে আছে । তবে ওর স্মৃতি হারিয়ে গেছে ।
রোকসানা – একটু ডিটেলসে খুলে বলবেন ম্যাডাম???
ইমা রোকসানা জনি কে সব কিছু খুলে বললো।।।
জনি – আকাশ আমাকে এত পর ভাবলো আমাকে তো বলতে পারতো।! (মন খারাপ করে)
ইমা – বাদ দাও ও যেটা ঠিক মনে করেছে সেটাই করেছে । কিন্তু ,, আমি ঈশানের স্মৃতি ফিরাতে পারিনি।।ওর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলাম না।।।
রোকসানা – সেটাই ।। আপনার কথা শুনে বুঝতে পারছি ম্যাডাম ।।। আচ্ছা আবার কবে যাবেন আমেরিকা??
ইমা – আর কখনোই যাবো না।।
বলতেই বাচ্চার খেলনা পড়ার শব্দ হয় ইমা, জনি , রোকসানা পিছনে ঘুরে তাকাই দেখে ইসমা দাড়িয়ে আছে হতবাক চোখে।
ইমা – ইসমা ,,,!!!
ইসমা – তুমি কি বললে আম্মু!! আমরা আর যাবো না? আমি বাবার কাছে আর যাবো না?? (কান্না মাখা সুরে)
ইমা উঠে এসে ইসমার সামনে বসে বললো – তুমি ভুল বুঝছো ইসমা ।।
ইসমা কান্না করে জোরে বললো – আমি ঠিক শুনেছি আম্মু।।। তুমি আর যাবে না বাবার কাছে।।। কেনো মিথ্যা বললে আম্মু আমাকে কেনো মিথ্যা বলে এখানে নিয়ে আসলে??
ইমা – আমার কথাটা শোনো মা।।
ইসমা চিল্লায় বললো – কিচ্ছু শুনবো না।। তুমি মিথ্যুক আমাকে মিথ্যা বলে নিয়ে এসেছো।। তুমি চাও না বাবা আমাদের সাথে থাকুক।। তুমি পচা আম্মু।।
বলতেই ইমা ইসমার গালে থাপ্পর বসিয়ে দিয়ে বললো – একদম চুপ ।।
জনি – ম্যাডাম কি করছেন !!!( দ্রুত গিয়ে ইসমাকে ধরলো)
রোকসানা – ম্যাডাম !!
ইসমা দৌড়ে গিয়ে রোকসানা কে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।।
জনি – ম্যাডাম ও তো ছোট না বুঝে এই সব বলেছে।।
ইমা জনির কোথায় কোনো কর্ণপাত করে না।। ধিরসুরে বলে – ওয়াস রুম টা কোনদিকে ??
জনি – ওই দিকে।।
ইমা ওয়াস রুমে গিয়ে বেসিনের ট্যাপের পানি ছেড়ে দিয়ে বেসিন ধরে কাদতেঁ লাগে।।
ইমা – কি করলাম মেয়ে টাকে মারলাম!!
উফফফ !! (কান্না সুরে )
কিছুখন পর ইমা চোখ মুখ ধুয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো ।। রোকসানা দেখে ইমার চোখ লাল হয়ে আছে। বুঝলো ইমা কান্না করেছে। কিন্তু রোকসানা কিছু বললো না ।।। টাওয়েল এগিয়ে দিল ।
ইমা মুখ মুছে বললো – ইসমা কোথায়??
রোকসানা – বেলকুনিতে বসে আছে!?
ইমা – আচ্ছা।।
ইমা রোকসানার হাতে টাওয়েল দিয়ে বেলকুনিতে গেলো দেখে ইসমা মন খারাপ করে বসে আছে ।।
ইমা গলা খাস দিলে ইসমা কোনো রিয়েকশন দেখায় না।। ইমা ইসমার পাশে বসে।।।
ইমা – sorry মামুনি আমার তোমাকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি।। (এই যে কান ধরছি।। কান ধরে বলে)
ইসমা তার মায়ের দিকে তাকাই।
ইমা – এবার ক্ষমা করবে। ??
ইসমা – হম ঠিকাছে । এবার কান ছেড়ে দাও। নাহয় সবাই বলবে ইসমা পচা মেয়ে ইসমা তার আম্মু কে কান ধরিয়েছে।।।( ইমা কান ছেড়ে দিয়ে হেসে ইসমাকে জড়িয়ে ধরলো)
ইমা – আমার সোনা মেয়ে ।। আর কখনো মারবো না মা।।। (বলে কপালে চুমু দিল)
ইসমা – ঠিকাছে এখন বলো কবে আমাকে বাবার কাছে নিয়ে যাবে বলো??
ইমা কি বলবে বুঝতে পারছে না ।
এমন সময় জনি এসে বলে- ম্যাডাম চলুন খেয়ে নিন । ইসমা চলো।।।
ইমা – চলো খেয়ে নিই।।
বলতেই ইসমা ইমা কে জড়িয়ে ধরে।। এবং বলে – sorry আম্মু আমি তোমার সাথে বিয়াদবি করেছি।।
ইমা – ঠিকাছে । এখন চলো।।।
ইসমা হেসে বললো – চলো।।
তারপর ইমা ইসমা গিয়ে খাওয়া দাওয়া কোরে জনি রোকসানার সাথে আরো কিছুক্ষন গল্প করে।।।
ইমা – এখন বিদায় নিবো।।
রোকসানা – কেনো। আজ থাকুন না ম্যাডাম!!
ইমা – না রোকসানা ।। অন্য কোনো দিন আবার আসবো। এই তো চিনে গেলাম তোমাদের বাড়ি।। আজ যায়।।
জনি – কথাই থাকবেন ম্যাডাম বাড়ি,,,,,
বলতেই ইমা বললো –
ইমা – এই শহরে আমার ফ্ল্যাট কিনা আছে তো।।।।
জনি – তাই!!
ইমা – হম চলো আমাকে গিয়ে রেখে আসো এবং আমার ফ্ল্যাট টাও দেখে এসো।। এখন উঠি রোকসানা।।
ইমা ব্যাগ থেকে দুইহাজার টাকা বের করে রোকসানার হাতে দিয়ে বলল – ছেলে কে কিছু কিনে দিও।
রোকসানা – কিন্তু ম্যাডাম!!!
ইমা – কিছু বলো না।। তুমি নিলে আমি খুশি হব।।( হেসে ) চলো ইসমা।।( ইসমার দিকে তাকিয়ে)
রোকসানা – আবার আসবেন ম্যাডাম।। ইসমা আবার এসো মা।। (ইসমার গালে হাত দিয়ে)
ইসমা – আসবো আন্টি।।। (হেসে)
তারপর ইমা ইসমা গাড়িতে উঠে জনি তাদের নিয়ে চলে যায় ।।।
Time Skip
রাত ১০ টা,,,,,,
ইমা ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।। এমন সময় ইসমা ইমার দিকে ঘুরে বললো –
ইসমা – আম্মু তুমি কি বাবার উপর কোনো কারণে রাগ করেছো??
ইমা – না তো!!
ইসমা – তাহলে কেনো যেতে চাইছো না??
ইমা – শুনবে কেনো যেতে চাইছি না??
ইসমা – হম।
ইমা – ওকে।। (ইমা ইসমা কে কিছু কথা খুলে বললো ) তোমার বাবাকে এই কষ্ট দিতে পারবো না ইসমা।। তাই আমি ঠিক করেছি আর যাবো না।। তোমার বাবা এমনি ভালো আছে ।। আমি চাই ও এভাবেই ভালো থাকুক।।। তুমিও এটা মেনে নাও ইসমা ।।
ইসমা কোনো কথা বললো না । ওপাশ ঘুরে ঘুমিয়ে পড়ল।।
সময় পার হতে লাগে ,,,,,,,
ইমা তার হসপিটালে আবার জয়েন করে।। ইসমাকে নতুন স্কুলে ভর্তি করে দেই।। কিন্তু নতুন স্কুলে ইসমা মন বসাতে পারে না । বেশির ভাগ সময় মন মরা হয়ে থাকে বাবার কথা ভাবে।। ইমার সাথেও কম কথা বলে।।। ইমা ইসমার এমন অবস্থা দেখে নিজেও মনে কষ্ট পাই। কিন্তু কি করার ইমা নিরুপায় তবুও ইসমাকে হাসি খুশি রাখতে ইসমার পুরনো সব ফ্রেন্ডদের বাড়িতে ডাকে।। এবং তাদের কে মাঝে মাঝে ইসমার সাথে এসে দেখা করতে বলে দেই।।
এভাবে প্রায় ২ মাস কেটে গেলো।।।
২ মাস পর,,,,,,
আজ ইমার জন্মদিন।। সকাল সকাল ইমা চলে যায় হসপিটালে।।। ইমা আশায় থাকে ইসমা তাকে কল করবে । জন্মদিনের শভেচ্ছা জানাবে ।কিন্তু ইসমা ইমাকে কল করে না।।
বিকাল ৩ টা,,,,
ইমা পেশেন্ট দেখছে এমন সময় তার ফোনে কল আসে ।।। ইমা ফোন বের করে দেখে ইসমা।। ইমা মনে মনে খুব খুশি হয়।। ইমা ভাবে নিশ্চয় ইসমার মনে পড়েছে জন্মদিনের কথা তাই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছে। ইমা ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।
ইমা – hello!!!
ইসমা – আম্মু আমি রিভার বাসায় যাচ্ছি স্টাডি করতে ।। আসতে রাত হবে।।
ইমা মন খারাপ করে মনে মনে বলে – সত্যি ইসমার মনে নেই।।
ইসমা – আম্মু!!!
ইমা – হম!!!
ইসমা – কিছু বললে না যে??
ইমা – হ্যাঁ বলছিলাম স্টাডি করা শেষ হলে আমাকে কল করো আমি গিয়ে তোমাকে রিভার বাসা থেকে নিয়ে আসবো।
ইসমা – ওকে।।। আর একটা কথা,,,
ইমা আনন্দিত সুরে – হম বলো।।
ইসমা – না কিছু না রাখি।।। (বলে ফোন কেটে দিলো )
ইমা টেবিলের উপর ফোন রেখে মনে মনে বলে – প্রতিবার নিজের হাতে কার্ড বানিয়ে আমি ঘুম থেকে উঠার আগেই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানতো আর এবার তো মনে নেই । জানি আমার উপর রাগ এখনো কমেনি ইসমার।।। (দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে)
বিকাল ৫ টা,,,,,
ইমা হসপিটাল থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে সেই জাগায় যায় যেখানে ইশান ইমাকে আকাশে আতশবাজি ফুটিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিল।।
ইমা একসাইড কোরে গাড়ি পার্কিং করে।। গাড়ি থেকে বের হয়ে সেই রাস্তা দিয়ে হেটে যাই যার দুই ধারে মোটা মেহেগুনি গাছের সারি ।। মৃদু বাতাস ।।। সেই লাল রঙের সূর্য । ইমা হেঁটে সেই জাগায় গিয়ে বসলো যেখানে ইশান ইমাকে নিয়ে বসে বিকালের সূর্য অস্ত যাওয়ার দেখেছিল।।।। ইমা বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ তার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।। ইমা মাটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে –
ইমা – তোমাকে খুব মনে পড়ছে ইশান।।। তুমি ভালো আছো তো??? তোমার মেয়ে আমার উপর রাগ করে আছে জানো!! অবশ্য রাগ করারই কথা।। আসলে ইসমা তোমাকে খুব ভালো বাসে।।।দুই বছর তোমার জন্য অপেক্ষা করেছে।। ও বিশ্বাস করতো তুমি আছো । আজ যখন ও তোমাকে পেয়েছে তখন আমি চলে এসেছি। আর এটাই ওর রাগ।।।
ইমা নীল আকাশের বুকে লাল সূর্যের অস্ত যাওয়ার অন্তিম মুহূর্ত টা দেখছে এবং ঈশানের সাথে কাটানো সময় গুলো মনে করছে।।।
সন্ধ্যা নেমে এলো ।। দূরে ব্রীজের উপর চলনত গাড়ি গুলোর লাইট টিম টিম করে জ্বলছে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে ।
ইমা ব্রিজের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে বলে ।।
ইমা – happy birthday to me।।।
বলে উঠে যেতে লাগে এমন সময় আকাশে ফুলঝুরি ফুটার শব্দ। ইমা পিছনে ঘুরে আকাশের দিকে তাকাই দেখে লাল ,সবুজ, হলুদ, ফুলঝুরির আলো ফুটছে।।। ইমা অবাক চোখে দেখতে থাকে।।। হঠাৎ ইমা খেয়াল করে ফুলঝুরি ফুটে happy birthday ima লিখা ইমা দেখে হতো বাক হয়ে যায় ।।
ইমা চোখ মুছে আবার তাকাই । দেখে সত্যি happy birthday Ima লিখা।।
ইমা – তার মানে,,,,, তার,,,,,, মানে,,,,, ইশান,,,,,!!
বলতেই গাড়ির হেডলাইট জ্বলে উঠে ইমা পিছনে ঘুরে তাকাই লাইটের আলোতে ভালো করে তাকাতে পারে না ।। তবে টিপ টিপ করে চোখ খুলে দেখে দুই পাশের গাড়ি হেডলাইট জালানো মাঝখানে কেও দাড়িয়ে আছে ।।
ইমা একটু ভয় পেয়ে যায়।। ভিত সুরে বলে –
ইমা – কে ওখানে!!!
বলতেই গাড়ির হেডলাইট গুলো বন্ধ হয়ে যায়।। চারপাশ অন্ধকারে দেখে যায়।। ইমার ভয় লাগতে লাগে।।। ইমা বুঝতে পারছে না কি করবে।। এমন সময় গিটারের শব্দ বেজে উঠে । ইমা একটু অবাক হয়।। হঠাৎ একটা গাড়ির হেডলাইট জ্বলে উঠে আর গান গাইতে শুরু করে –
হৃদয় স্পন্দন দ্রুত হচ্ছে,
রং এবং প্রতিশ্রুতি গুলো
সাহসী কিভাবে হয়।
পড়ে যাওয়ার ভয় পেলে ভালবাসবো কিভাবে???
কিন্তু তোমায় একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে,
আমার সব সন্দেহ হঠাৎ একরকম চলে যায়।
আরও এক কদম কাছে (এসো ),,,,,,,,,
ইমা একপা দুপা করে এগিয়ে যায়। কাছে আসতেই দেখে ইশান তার দিকে তাকিয়ে গান গাইছে ।।ইমা বড় বড় চোখ করে ঈশানের দিকে তাকিয়ে হতবাক হয়ে যায়।। ইশান গান গাইতে গাইতে উঠে ইমার দিকে এগিয়ে আসে,,,,!!
আমি প্রতিদিন মরেছি, তোমার অপেক্ষায়।
প্রিয়তম, ভয় পেও না, আমি তোমাকে হাজার বছর ধরে ভালবাসি
আর হাজার বছর ধরে ভালবাসব তোমাকে।
বি, দ্রঃ A thousand years গানটা অসাধারণ এবং আমার তো খুব পছন্দের । আরো বড় ছোট করে দিলাম😊]
ইশান গান গাইতে গাইতে ইমার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং আলতো ভাবে হাত রাখে ইমার গালে।।। ইমা আর নিজেকে আটকাতে পারে না । ইশান কে জাপটে ধরে কান্না করতে লাগে।।।
,,,,, Continue,,,,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।। ,,,,,,,,,,, Continue,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।