Love With Dragon part -07

#Love_With_Dragon
#Episode_07
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]

রিদিয়া সামনে তাকাতেই আশ্চর্য হলো।

— আপনি…….(রিদিয়া)

— আমার ভাইয়ের কি হয়েছে ও এতো আহত হয়েছে কিভাবে।দেখে মনে হচ্ছে ভাম্পায়ারদের সাথে কিছু হয়েছে।

রিদিয়া অবাক হয়ে শুনছে রাহুলের কথা।

— আপনার ভাই রোহিত স্যার……..(রিদিয়া)

— এসব কথা পরে হবে এখন আমি আমার ভাইকে নিয়ে যাই তুমি বাড়ি চলে যাও।(রাহুল)

— আমি ও আপনার সাথে যাব প্লিজ আমাকে নিয়ে যান।(রিদিয়া)

— না তোমাকে নেওয়া যাবে না।তোমাকে ড্রাগন রাজ্যে নিয়ে গেলে অনেক সমস্যা দেখা দিবে কারন তুমি একজন সাধারণ মানুষ। (রাহুল)

— কিন্তু আমি বাড়ি যাব কি করে…….(রিদিয়া)

— আমি দেখছি কি করা যায়।(রাহুল)

— আমি সমস্যার সমাধান পেয়ে গেছি আপনি স্যারকে নিয়ে যান।(রিদিয়া)

— পারবে তো যেতে….. (রাহুল)

— হ্যাঁ পারবো😕।(রিদিয়া)

রিদিয়া ম্যাজিকম্যানকে মনে মনে ডাকলো।
সাথে সাথে ম্যাজিকম্যান তার সামনে হাজির।

— তুমি এখানে কেন রিদিয়া। কোনো সমস্যা হয়েছে। (ম্যাজিকম্যান)

রিদিয়া সম্পূর্ণ ঘটনা এড়িয়ে গেল ম্যাজিকম্যানের কাছ থেকে।

— কিভাবে জানি এখানে চলে এসেছি এখন বাড়ি যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না। আমায় আমার বাড়ি নিয়ে যাও প্লিজ। (রিদিয়া)

ম্যাজিকম্যানের রিদিয়ার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। কিন্তু রিদিয়াকে আর কিছু বলেনি।রিদিয়াকে বাড়ির সামনে রেখে ম্যাজিকম্যান চলে যায়।
____________________

রাত এগারোটা বিশ মিনিট বাজে রিদিয়া দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিভাবে ঘরে ঢুকবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে।

— আম্মুকে কি জবাব দিব আমি।(রিদিয়া)

রিদিয়া ভয়ে ভয়ে দরজায় হাত দেয় সাথে সাথে দরজা খুলে যায়।

— দরজা খোলা কেন। আম্মু আর মিহি আপু কোথায়।(রিদিয়া)

রিদিয়ার ভয় লাগতে শুরু করে।

কোনো কিছু পরে যাওয়ার শব্দে রিদিয়া পিছনে তাকায়। পিছনে তাকাতেই রিদিয়া ভয় পেয়ে যায়।

(🕍🐉”ড্রাগন রাজ্য”🐉🕍)

— মাস্টার এখন কি হবে ভাইয়া অনেক বেশি আহত
হয়েছে। (রাহুল)

— রোহিত মেয়েটাকে বাঁচাতে নিজের ক্ষতি করে ফেললো। ওই সাধারণ মেয়েটাই রোহিতের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।(মাস্টার)

— এইটা কিভাবে সম্ভব মাস্টার ও একটা সাধারণ মেয়ে…….(রাহুল)

— ম্যাজিকেল বইয়ে কি লিখা ছিল তুমি দেখনি….ম্যাজিকেল বইটাতে স্পষ্ট লিখা আছে রোহিতের সর্বনাশের কারন হবে সাধারণ কোনো মেয়ের দ্বারা। (মাস্টার)

— এখন উপায়…….(রাহুল)

— উপায় একটাই ওই মেয়েকে রোহিতের থেকে দূরে রাখতে হবে আর না হয় শেষ করে দিতে হবে।(মাস্টার)

রিদিয়াকে শেষ করে দেওয়ার কথা শুনে রাহুল কলিজা কেঁপে উঠল। কেন জানি তার বুকে প্রচন্ড যন্ত্রণা শুরু হলো।

— মাস্টার মেয়েটাকে না মেরে অন্য কোনো উপায় বলুন। ওই বেচারির কি দোষ। দোষ তো নিয়তির।মেয়েটাকে নিয়ে পরে ভাববো এখন ভাইকে কিভাবে সুস্থ করবো তার উপায় বলেন মাস্টার।(রাহুল)

— ঠিক আছে আমার কক্ষে নিয়ে নিয়ে আসো।(মাস্টার)

রাহুল রোহিতকে মাস্টারের কক্ষে নিয়ে গেল।

— এবার তুমি যেতে পারো।আগামী দশদিন আমাকে যেন কেউ বিরক্ত না করে। এই দশদিন দরজার বাহিরে তুমি পাহারায় থাকবে।কেউ যেন ভুলেও প্রবেশ করতে না পারে।আমি আমার সব শক্তি দিয়ে রোহিতের ক্ষতস্হান গুলো ঠিক করার চেষ্টা করবো।(মাস্টার)

— ঠিক আছে মাস্টার। (রাহুল)

বলে রাহুল ভাইয়ের দিকে একপলক তাকিয়ে কক্ষের বাহির চলে গেল পাহারায়।

(🕍 ভাম্পায়ার রাজ্য 🕍)

ভাম্পায়ার রাজ্যের রাজা পিটাস সিংহাসনে বসে আছে কিভাবে ড্রাগন কিংকে জব্দ করতে পারবে। সাথে নেকড়ে রাজ্যের রাজা হিউগো হাত মিলিয়েছে রাজা পিটাস এর সাথে।

— কিং জাফর ( ড্রাগন রাজ্যের প্রাক্তন রাজা) এর ছেলে রোহিতকে কিভাবে জব্দ করা যায় তার উপায় পেয়েছি বন্ধু। (পিটাস)

— কি উপায় পেয়েছিস পিটাস…..(হিউগো)

— একটা সাধারণ মানুষের মেয়ের ওপর রোহিত দিওয়ানা হয়ে গেছে…. (পিটাস)

— মানে কি বলছিস এইসব তুই পিটাস। তুই জানিস তুই কি বলছিস।যদি এইরকমটা হয় তাহলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। ম্যাজিকেল বুকে এই কথাটি আমি দেখেছি।

— তুই কিভাবে দেখেছিস হিউগো🤨…..(পিটাস)

— না মানে চুরি করে দেখেছি😁…..(হিউগো)

— তোর এই চোরা চুরি অভ্যাস আর গেল না।(পিটাস)

— যখন কিং জাফরের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল তখন।একদিন কিং জাফরের গোপন কক্ষে চুরি করে ডুকেছিলাম।তখন কিং জাফর ও ছিলেন কক্ষে তখন তিনি ম্যাজিকেল বুকটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলেন। ওই সময় সেই গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাটি চলে আসে।কালো রঙের কালির লেখাটি ছিল।(হিউগো)

— শুন হিউগো আমাদের কৌশলের সাথে সামনে এগোতে হবে।কিন্তু মেয়েটিকে চিনবো কি করে….. (পিটাস)

তখন মন্ত্রী বলে,,,,,

— আমি মেয়েটিকে ভালোভাবে চিনি মহারাজ। আমাদের অনেক ভাম্পায়ারদের ড্রাগন কিং হত্যা করেছে মেয়েটির জন্য সেখানে আমি আর আপনার ছেলে রবিনও ছিলাম। (মন্ত্রী)

— তাহলে সব হলো এখন মেয়েটিকে যেভাবেই হোক নিয়ে আসতে হবে।(পিটাস)

ড্রাগন কিং কে কিভাবে শেষ করবে এই নিয়ে রাজসভায় আলোচনা চলছে।
____________________

— নীল তোমার আসল রূপে আসো তো একবার কতদিন হয়েছে তোমার ভয়ানক নেকড়ের রূপ দেখিনি…..(অনিমা)

— অনিমা তুই এখানে কি করছিস বাড়ি যা তোর।
কাজের বুয়া দেখলে জামেলা হবে।(নীল)

— দেখ নীল তোকে আমি অনেক ভালোবাসি আর তুই আমাকে পাওাই দেছ না।আমার কোনদিক দিয়ে কম আছে বল।(অনিমা)

— তোর সাথে এইসব নিয়ে পরে কথা বলবো প্লিজ অনিমা তুই এখান থেকে যা।(নীল)

অনিমা নীলের কোনো কথা শুনলো না।অনিমা নেকড়ের রূপ ধারণ করে নীলের ওপর ঝাঁপিয়ে পরলো।

নীল এবার বাধ্য হয়ে নেকড়ের রূপ ধারণ করলো।

— অনিমা তোর জন্য যদি আমার এইখানে থাকা সমস্যা হয়ে পরে তাহলে দেখিস তোর কি হাল করি।(নীল)

— আচ্ছা তুই এমন কেন রে প্রথম যখন বলেছি তখন তো আমার কথা শুনিস নি।(অনিমা)

— দেখ আমার কাকা হিউগো একটা বাজে লোক।আমি ওই অভিশপ্ত রাজ্যে থাকতে চাইছি না।তাই শান্তির জন্য আমি মানুষের সাথে বসবাস করি।তুই কি আমার সে শান্তিও কেঁড়ে নিতে চাস।(নীল)

— দেখ তোর কাকা আমাকে পাঠিয়েছে তোকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে সভায়।(অনিমা)

— আমি কিছুতেই যাব না। নিশ্চয়ই আবার করো ক্ষতি করার কল্পনা- জল্পনা করছে হিউগোর বাচ্চা। যদি আমার কাছে সুপার পাওয়ার থাকতো তাহলে হিউগোকে শেষ করে দিতাম😡।কখন কার
ক্ষতি করবে এই নিয়ে পরে থাকে।রিদিয়ার খবর পেয়েছিস….(নীল)

— না রে এই মেয়েটা কখন কোথায় হারিয়ে যায়।একে খুঁজতে খুঁজতে আমার পুরো দিন শেষ।(অনিমা)

— হয়তো কোনো বিপদে ফেঁসে গেছে বেচারি। চল ওকে খুঁজে বের করি…(নীল)

নীল আর অনিমা রিদিয়াকে খুঁজতে বের হয়ে গেল।
_____________________

আকাশ আর মেঘলা কলেজের বাহিরে থাকা বেঞ্চে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।

— এখন কি হবে আকাশ রিদিয়াকে এত জায়গায় খুঁজলাম কোথাও পেলাম না।(মেঘলা)

— দুপুরে ওর বাড়িতে গেলাম আন্টি বললো আসেনি।ভয়েও বলিনি রিদিয়াকে যে পাচ্ছিনা।(আকাশ)

— আমাদেরই ভুল হয়েছে ওকে একা ছাড়া। আমরা তো নিজেদেরকে নিজেরা সুরক্ষিত করতে পারবো। কিন্তু ও তো সাধারণ মানুষ ও কিভাবে পারবে নিজেকে রক্ষা করতে।(মেঘলা)

— তুই বাড়িতে চলে যা আমি দেখছি কি করা যায়…..(আকাশ)

মেঘলা বসা থেকে ওঠে দু-তিন হাত সামনে গিয়ে হাঁটা থামিয়ে আবার পিছনে ফিরে তাকালো।
মেঘলা দৌঁড়ে এসে আকাশকে জড়িয়ে ধরলো।
হঠাৎ এমন হওয়াতে আকাশ ভয় পেয়ে গেল।

— কি হলো আমার ভাম্পায়ার রানী রক্ত খাওয়ার শখ জেগেছে নাকি😃।(আকাশ)

মেঘলা লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
_____________________

— আ……..আপনি এখানে কিভাবে আসলেন আপনি ওই ভাম্পায়ারদের সাথের ….(রিদিয়া)

— সেটা জেনে তুমি কি করবে জানপাখি…..

— একদম বাজে কথা বলবেন না আমায়…..(রিদিয়া)

— এখানে শুধু আমি আর তুমি আর কেউ নেই জানপাখি…

রবিনের মুখ থেকে জানপাখি শুনে রিদিয়ার রাগ ওঠে গেল।

— আমার মা আর বোনকে কি করেছেন আপনি😥…(রিদিয়া)

— কিছু করিনি শুধু ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি।(রবিন)

— ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিস মানে কি করেছিস আমার মা বোনের সাথে…. (রিদিয়া)
বলেই রিদিয়া পাশে থাকা ফুলদানি হাতে নিয়ে রবিনের মাথায় আঘাত করলো।
রবিন ও ক্ষেপে গেল।

— ভেবেছিলাম তোকে মারবো না আমার রানী করবো। না এখন তোকে পুরো শেষ করে দিব।তোর রক্ত খেয়ে আমার পিপাসা মিটাবো😈।(রবিন)

রিদিয়া ভয় পেয়ে গেল রবিনের কথায়।
রবিন এক পা এক পা করে সামনে এগোচ্ছে রিদিয়া পিছনে যাচ্ছে।
রবিন একটানে রিদিয়াকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো। আর রিদিয়া চটপট করছে ছাড় পাওয়ার জন্য। রবিন রিদিয়ার ঘাড়ে দাঁত বসাতে যাবে তখনই কেউ রবিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পরলো।

চলবে……
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
____________________

[বানানে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here