অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্বঃ ৪

0
1715

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ৪
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

— এদিকে শুশ্বরবাড়ীতে দিনগুলি ভালোই কাটছিল।
!
— এভাবে কয়েকদিন চলে যায়।
— কথা রান্না করছে। কথার মা বাবা তার নানা বাড়ীতে গিয়েছে। হঠাৎ কথা তার বেড রুম থেকে কারো চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনতে পায়। দৌঁড়ে রুমের কাছে গেতেই দেখে রুমের দরজা বন্ধ।ভেতর থেকে তোবা বলছে। ছেড়ে দেন আমাকে! প্লিজ কাছে আসবেন নাহ্। প্লিজ আর এক পা আমার সামনে আসবেন। কি করছেন আপনি। আপু কোথায় তুমি। বাচাও এই লুচ্চা টা আমাকে “””””(তোবা)
!
— এদিকে কথার বুঝতে বাকি রইলে রাজ তার ছোট্ট বোন তোবাকে! ছিঃ ভাবতে পারছেনা আর কিছু! কথা জুরে জুরে দরজা ধাক্কা দিচ্ছে। আর বলছে রাজ প্লিজ আমার বোনটাকে ছেড়ে দাও — ( কথা)
!
— ভেতর থেকে তোবার আতৎনাদ আপু বাচাও আমাকে এই লুচ্চাটা আমার সর্বনাশ করে ফেললো!!
!
—- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও আমার ক্ষতি করোনা! ( তোবা)
!
— তোবা চুপ করবে! কি বলছো কেউ শুনলে কী ভাববে। প্লিজ এসব করেনা তোমার আপু কি ভাববে! ( আমি)
!
— এদিকে তোবা তার জামা ছিড়ে ফেলতেছে। বুকের ওড়না মাটিতে ফেলে দিয়ে জড়িয়ে ধরলো!
!
— তোবা কি করছো এইসব? (আমি)
!
—-তোবা আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ; আমি যাহ্ করছি ঠিক করছি! তোমাকে আমি ভালবাসি তুমি সেটা জানতে। কিন্তু বিয়ে করলে আমার বড় – বোনকে। আমার মাঝে কী নেই যে যা অাপুর মাঝে আছে। শোন রাজ আমাকে কাঁদিয়ে তুমি সুখের সংসার করবে তা কী করে হয়।( তোবা)
!
— ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগলাম, তোমার লজ্জা করেনা বোনের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতে। আর ‘হ্যাঁ, তুমি জানোনা ভালবাসা কখনো একতরফা হয়না। দু’জনকে ভালবাসতে হয়!
!
— আমি কিছু জানিনা আমি তোমাকে ভালবাসি। যাকে আমি পাবোনা তাকে অন্য কেউ পাবেনা!( তোবা)
!
— ছিঃ লজ্জা করে না তোমার নিজের বোনের স্বামীর সাথে এমন করতে? (আমি)
!
— ভালবাসায় লজ্জা থাকতে নেই। তোমাকে যেদিন প্রথম সজিব ভাইয়ার সাথে দেখি সেদিনই ভালবেসে ফেলি। তার পর তোমাকে কতবার ভালবাসার কথা বলেছি তুমি নাহ্ করে দিয়েছে। আর বিয়ে করলে শেষে আমার বোনকে। আমি কেমনে মেনে নিবো বলতে পারো? (তোবা)
!
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
—- প্লিজ আমার সংসারটা ভেঙ্গে যাবে প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে!
!
— এদিকে তোবা দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলেই কথাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো; আপু আমাকে বাঁচাও তোমার বর আমার সাথে! আপু আমি আর কিছু বলতে পারবো না!
!
— তোবা কি বলছো এইসব আমি তোমার বড় ভাইয়ের মতো। প্লিজ মিথ্যা অপবাদ দিয়োনা আমায়!
!
— কথা চেয়ে দেখে আমার পায়ের সামনে তোবার উড়না পরে আছে। তোবার জামা ছেঁড়া। রাজ তুমি এতটা দুশ্চরিএ তা কোনদিনই ভাবতে পারিনি। (কথা)
!
— কথা প্লিজ বিশ্বাস করো তুমি যা ভাবছো, তা ভুল ভাবছো! তোবা আমাকে ভালবাসে আমাকে পাওয়ার জন্য এমন করছে। ( আমি)
!
— আপু তুমি জানোনা, আমি প্রেম ভালবাসা পছন্দ করিনা। আর আমি তো তোমার সাথে সব শেয়ার করি। ( তোবা)
!
— তোবা প্লিজ আল্লাহর দোহাই লাগে আর একটি মিথ্যাও বলোনা। ( আমি)
!
— আপু তোর বর আমাকে ভালবাসার কথা বলে! জোর করে কিস করেছে! আপু আমাকে বাঁচাও। অসভ্যটা আমাকে ওইসব করতে চেয়েছিল।কথাগুলো বলে কথাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো তোবা।
!
— বোনটা না ভালো কাঁদিস না প্লিজ। আমার সোনা বোন তোর কেউ কিছুই করতে পারবেনা না তোর বোনটা কী মারা গেছে! (কথা)
!
—– তোবা এমন কথা বলতে তোমার মুখে আকটায় না। একটা মেয়ের সতীত্বটাই সব আর তুমি নিজে ছিঃ কেন করছো এসব। প্লিজ আর কোন অভিনয় করো না তোবা( অনেকটা করুণার সুরে আমি)
!
— ঠাস- ঠাস, চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো, তোর লজ্জা করেনা। তুকে আমার ভালো করে চেনা আছে। যে আমাকে পাওয়ার জন্য নিজের বন্ধুকে এ পর্যন্ত বলে থেমে গিয়ে আবারো বলতে লাগলো; তোর শার্টে তো এখনো লিপিস্টিকের দাগ লেগে আছে কেমনে মিথ্যা বলিস। (কথা)
!
— কথার চড় খেয়ে মাথাটা নিচু করে আছি। চোখ থেকে পানি টপ – টপ করে পড়ছে। মনে মনে বলছি আল্লাহ তুমিতো জানো, সত্যিটা।জানি পৃথিবীর সবাই বিশ্বাস করবে আমি দুশ্চরিএ কিন্তু সবাই যা না দেখে তা, ‘তো, তুমি দেখো। আল্লাহ তুমি তো জানো কথা অন্তঃসন্তা থাকার পরও তার সন্তানের পৃথিবীতে মাথা উচু করে বেঁচে থাকার জন্য তাকে বিয়ে করি সবই তুমি জানো। আল্লাহ আমি পারছিনা, আর তোমার কাছে নিয়ে নাও কাউকে এতো ভালবাসার পরও কেও আমাকে একবিন্দু বিশ্বাস করে না।
!
—- তোবা, মা- বাবা আসলে কিছু বলিস না। আর তুই লুচ্চা ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো বের হয়ে যা। তোর মুখটা দেখাও পাপ। প্লিজ দয়া করে আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে যাহ্ দুশ্চরিএ লুচ্চা। (কথা)
!
— কথা,, বিশ্বাস করো আমি তোমাকে আমার নিজের থেকেই বেশি ভালবাসি। প্লিজ আমায় ভুল বুঝনা! ( আমি)
!
— চুপ আর একটি কথাও নাহ্। লজ্জা করেনা ওই মুখে ভালবাসার কথা বলতে। আশা করি চলে যাবি তুই! ( কথা)
!
— নিজের স্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলামনা। কথাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে পড়লাম।
!
—- রাজ,তুই একা আসলি যে? বউমা আসলো না! ? ( মা)
!
— মা কথা তার বাবার সাথে আসতে চাইলো আমি আর না করিনি!
!
—- মা ভাইয়া, পঁচা আমার কিউট ভাবীটাকে ইচ্ছা করেই নিয়ে আসেনাই। ওর মুখ দেখে তাই বুঝা যাচ্ছে। ভাইয়া তুমি এতো কেয়ারলেস কেনো? নিজের কেয়ারতো নাওরি না, ভাবীর ও না। তুমি জানোনা ভাবী অন্তঃসন্তা, কিছুদিন পর আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আসবে। ( রিও)
!
— নতুন মেহমানের কথা শুনে বুকটা কেমন করে ওঠলো। কথার গর্ভে আমার সন্তান না তার পরও মনে হচ্ছে আমি বাবা। মনে পড়তেই মনটা ভরে যাচ্ছে। কিন্তু কথা তো আমায় ভালবাসেনা,। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোঁখটা ভেজে যাচ্ছে। আর কিছু ভাবতে পারছিনা, তাই দরজা টা লাগিয়ে শুয়ে পড়লাম।
!
— রাজ চলে যাওয়া পর কথা ভাবছে ;রাজ আমার জীবনটা তো নষ্টই করেছে এখন আমার বোনের জীবনটাও নষ্ট করে দিতে চাচ্ছে। আমার মৃত স্বামীর কসম আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার করবো। আমার রাজের বাসাতে যাওয়া উচিত। এদিকে কথা বাসা থেকে একা রওয়ানা দিলে, কথার মা কথার সাথে তোবাকে পাছিয়ে দেয়। যাতে করে কথার সুবিধা হয়। কারণ কথার এখন একা একা চলা বিপদজ্জনক। কথা তার মায়ের কথা আর ফেলতে পারেনা।সন্ধ্যা বেলা কথা আর তোবাকে তাদের বাবা পোঁছে দিয়ে যায়।
!
–তোবা মনে,মনে ভাবছে এই কতদিন তাও রাজের কাছা- কাছি থাকা যাবে!

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
!
— সন্ধ্যা বেলা দরজা নর্ক করা আওয়াজে, দরজা খুলতেই দেখে কথা ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাশে তাকাতেই তোবা চোখ মারে !
!
— মনে মনে বলছি আল্লাহ এই বিপদটা আবার এখানে কেনো? ( আমি)
!
— দরজার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো? ( কথা)
!
— তুমি না বলেছিলে আসবে না?( আমি)
!
— মেয়েরা স্বামীর বাড়ি আশে বউ সেজে বের হয় লাশ হয়ে। তোমাকে চাইলেই ছেড়ে যেতে পারবোনা। ( কথা)
!
— সত্যি?
!
— কথা মনে মনে, ভাবছে আমি এসেছি আমার স্বামীর খুনির প্রতিশোধ নিতে। আমার বোনের সত্বিত্বের দাম নিতে!
!
— কি হলো কি ভাবছো? (আমি)
!
— নাহ্ কিছুনা।
— রাতের খাওয়ার পর, কথা রাজকে বললো , রাজ তোমাকে চড় দেওয়ার জন্য সরি। আর হ্যাঁ তোবার সাথে ওমনটি করা তোমার ঠিক হয়নি। আশা করি পরবর্তীতে এমন কিছু আর দেখতে না হয়।তোমাকে একটু ভালো মনে করতাম তাও আজ শেষ করে দিলে। (কথা)
!
— কথা বিশ্বাস করো তুমি এখনো আমাকে ভুল বুঝছো! (আমি)
!
— আচ্ছা ঘুমাও কথা বললেই কথা বাড়ে।
!
— কথার মনে হচ্ছে রাজের রক্ত দিয়ে গোসল করে। কিন্তু না এখন নাহ্। রাতে রাজ ঘুমিয়ে গেলে কথা রাজের কপালে আলতো করে চুমু দেয়। রাজ সজাগ পেয়ে যায়, রাজও কথাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,। কথা রাজের গলার নিচে, কিস করতে লাগলো। রাজও কিস করতে লাগলো। কথার গরম নিঃশ্বাস পড়ছে রাজের মুখের ওপর। একপর্যারে দুজন – দুজনের ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে এক অজানা ভালবাসার সাগরে হারিয়ে যাচ্ছে। রাজ আজ অনেক খুশি, কথা তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছে। হঠাৎ কথা ছুড়ি রাজের বুকে চালিয়ে দিলো বুক ছিঁড়ে ফেলকি দিয়ে রক্ত পরছে। কথা রাজের মুখটা চেপে ধরেছে। রাজের রক্ত গড়িয়ে বিছানা ভেসে যাচ্ছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছট-ফট করছে। হা, হা, হা, এই দিনটির জন্যই আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আমি স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিলাম”””

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here