#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৩৬
.
.
” ক্ষমা করে দিও আমায়। তোমার অনুমতি ব্যতীত এই মাঝরাতে ঘর ছেড়ে বাহিরে গিয়েছিলাম। তবে বিশ্বাস করো আমি কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে বাহিরে যাইনি। আমিতো কেবল ওই বাচ্চা মেয়েটির কথা ভেবেই যেতে বাধ্য হয়েছি। তবে কথা দিচ্ছি আজকের পর আর কখনো যাবো না। কখনোই না। ”
বলেই অতলের কপালে চুমু খেয়ে তানহা উঠে যেতে নিলেই অতল তানহার হাতটি ধরে ফেলে।
বিছানা থেকে উঠে বসতে বসতে শান্ত গলায় বলল,
” এতো অপরাধবোধ কিসের তানহা? আমি কী কিছু বলেছি তোমায় আজ অবধি? নাকি কিছু বলার ক্ষমতা রাখি? ”
” ক্ষমতা রাখি বলতে কী বুঝালে অতল? আমার প্রতি কী তোমার ক্ষমতা খাটানোর অধিকার নেই? আমি কী দেইনি তোমায় সেই অধিকার? ”
” আগে আমার সামনে বসো তারপর তোমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। ”
এক পা মেঝেতে রেখে আরেক পা বিছানার উপর ভাজ করে অতলের মুখোমুখি বরাবর বসলো তানহা। চোখ দুটো অপরাধের ন্যায় থাকলেও খুব দৃঢ়তার সহিত তাকিয়ে আছে অতলের দিকে।
” এবার বলি তাহলে তোমার প্রশ্নের উত্তর গুলো? ”
তানহার ভয়ে বুক ধকধক করছে। বারংবার ডুগ গিলেও পার পাচ্ছে না সে।কে জানে অতল কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়! তারউপর নিশ্চয়ই তার বিড়বিড় করে বলা কথাগুলো শুনেছে, যেহেতু অতল সজাগ। যদি অতল উত্তর দেয়ার বদলে উল্টো কোন প্রশ্ন করে সেসব কথার জন্য! সে কী উত্তর দিবে তাহলে! আর এই মাঝরাত্রে বাহিরে যাওয়ার কারণটাই বা কী বলবে সে! আচ্ছা, অতল যদি তার পিছু নিয়ে সব জেনে ফেলে, দেখে ফেলে তখন কী হবে! তার যে সব শেষ হয়ে যাবে!অবশিষ্ট বলতে কিছুই যে থাকবে না।
মাথা ধরে আসছে তানহার। চোখ মেলে রাখতেও ভয় পাচ্ছে আবার চোখ বুজে ফেলতেও ভয় পাচ্ছে। আর এই ভয়ের হ্রেস ধরেই মুখে টু শব্দটি না করে শুধু মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বোধক সম্মতি জানালো তানহা অতলকে।
তানহার কাছ থেকে সম্মতি পেতেই অতল তানহার চোখের দিকে তাকিয়ে স্থির গলায় বলল,
” স্নেহের দৃষ্টিতে দেখি তোমায়, শুধুমাত্র স্ত্রীর দৃষ্টিতে নয়। শুধু স্ত্রীর দৃষ্টিতে দেখলে আমাদের মাশাল্লাহ এই পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারতো। যা আজও ঘটার ধারের কাছেও যায়নি কিংবা বলতে পারো আমি যেতে দিই নিই। ”
” হুম। ”
” তার কারণ কী জানো? ”
তানহা কিছু না বলে চুপ করে তাকিয়ে আছে অতলের দিকে। এদিকে অতল তানহার নীরবতা দেখে নিজেই বলল,
” হয়তো কারণটি জানো কিংবা জানো না। তারপরও আমি বলে দিচ্ছি। ”
কিছুটা সময় থেমে ফের অতল বলল,
” আমি কখনোই সেরকম ধরনের স্বামী হতে চাইনি যাদের ভয়ে অর্ধাঙ্গিনী নামক স্ত্রী মানবীটি থরথর করে কাঁপবে। আমি সর্বদা কেবল একটি জিনিসই চেয়ে এসেছি। আমি যখন পৃথিবীর বুকে থাকব না সেদিন আমার অর্ধাঙ্গিনী অর্থাৎ তুমি যেন আমায় নিয়ে কখনো কোনো খারাপ বা বাজে স্মৃতি মনে না করো ভালো ব্যতীত। আচ্ছা, তুমি বলতে পারবে কোনোদিন তোমাকে কোনকিছুর জন্য ফোর্স করেছি? পারবে না বলতে। আমি যে সেই সুযোগই তোমায় দিই নিই। ইচ্ছে করলে অনেক কিছুর ক্ষেত্রে তোমায় আমি ফোর্স করতে পারতাম। স্বামীত্বের ক্ষমতা দেখিয়ে অনেককিছু আদায় করে নিতে পারতাম। আর তুমি আমাকে সেই অধিকারটুকুও দিয়েছিলে। কিন্তু আমি এসবের কিছুই করি নিই। আমি যে অতটা নিচু মাইন্ডের নই। তাহলে কী করে দেখাই বলো? ”
” হুম। ”
” আশা করবো কিছুক্ষণ আগে ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে তোমার প্রশ্নের উত্তরটি দিতে সক্ষম হয়েছি। ”
” হুম। ”
” এবার আসি দ্বিতীয় কথায় যেটা আমার ঘুমন্ত মুখ দেখে বিড়বিড় করে বলছিলে। ”
অতলের মুখের কথাটি শোনামাত্রই তানহার মুখখানা ফ্যাকাসে হয়ে বুকের বাম পাশটায় মোচড় দিয়ে উঠে। কিন্তু অতলকে বুঝতে দেয় না সেই ব্যাথার কথা। উল্টো স্বাভাবিক স্বরে বলল,
” হুম বলো। ”
” তোমাকে কী আমি কখনো মাঝরাতে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছি? ”
” আমি একবারও বলিনি যে, তুমি নিষেধ করেছি। ”
“তাহলে কথাগুলো এতটা অপরাধের ন্যায় লাগছিল কেন? ”
” তোমাকে বলে যাওয়াটা উচিৎ ছিল কিন্তু সময়ের কারণে বলতে পারিনি সেই ভেবেই। ”
” বুঝলাম। তবে শেষে যে মেয়ের কথা বলেছিলে সেটা আমার আন্দাজ অনুযায়ী অবশই নিদ্রা হবে তাই না? ”
” হুম। ”
” কাল এ বাড়িতে নতুন বউ আসবে। সেই কথা ভেবেই নাহয় এই মাঝরাতেই ক্ষানিকটা কাজ করতে গিয়েছিলে তাহলে এখানে অপরাধবোধের কী আছে? আর কাল যদি বউ নাও আসতো তারপরও কী আমি তোমায় কিছু বলতাম মাঝরাতে ঘরের বাহিরে যাওয়ার কারণে? আমার জানামতে কিছুই বলতাম না। রাত হোক বা দিন তুমি যেকোনো সময় বাড়ির ভেতরে বিচরণ করতে পারো। বাড়িতে তো আর মানুষ নামক নরপশুদের ভয় থাকবে না, যে ভয় একা মেয়ে মাঝরাতে রাস্তার ধারে গেলে পাবে। তাই না? ”
” হুম। ”
” তাই বলছি বিনা কারণে কোনো কিছু নিয়ে এতটা অপরাধবোধে ভুগতে যেও না। ”
” আচ্ছা অতল! একটি প্রশ্ন করি? ”
” কখনো নিষেধ কী করেছি? ”
” তুমিতো ঘুমিয়েছিলে তাহলে বুঝলে কী করে আমি ঘরের বাহিরে গিয়েছিলাম? আর যদি বুঝেও থাকতে তাহলে নিষেধ করোনি কেন? ”
” ওই যে বললাম, তোমায় পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে সংসার করতে চাই। অপূর্ণতার মাঝে রেখে নয়। ”
” হুম, বুঝলাম। ”
” বুঝে যখন ফেলেছ এবার আর কথা না বাড়িয়ে চলে এসো বুকে ঘুমোতে হবে তো! তারউপর কাল হচ্ছে বিয়ে আমাদের যে খুব ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে যেতে হবে। তাই দেরি না করে দ্রুত এসো ঘুমের দেশে পা রাখতে। ”
” ঘুমবো তো অবশ্যই কিন্তু তার আগে….. তার আগে অপ্রিয় হলেও কিছু সত্য কথা বলার আছে তোমায়। ”
” তবে আমিও যে তোমায় সংক্ষেপে কিছু কথা বলতে চাই তানহা। বুদ্ধিমতি হলে বুঝে নিবে আশা করছি।”
” হুম, বলো। ”
” আমাদের জীবনে এমন কিছু কিছু সত্য আছে যেগুলো আড়ালে রাখাই ভালো। তা নাহলে হয় কি সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। যার ফলে অধিকাংশ সম্পর্কই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যেটা আমি কখনোই চাই না। আর আমার ধারণানুযায়ী তুমিও চাও না। তাই আমার মতে যে কথা এই পাঁচ বছরে বলোনি সে কথা এখন বলে কী লাভ? আর সবকথাই যে বলতে হবে এমনতো কোন যুক্তি নেই। তাই না? অযথাই এক মহা দ্বন্দ্বের উৎপত্তি সৃষ্টি হবে। আর যেদিন আমি ফিরে এসেছিলাম সেদিন হসপিটাল এবং বাড়িতে আসার পর আমার উধাও হওয়া নিয়ে তোমার কিছু প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটি কথাই বলেছিলাম আর আজ তোমার ক্ষেত্রেও সেই একই কথা বলব। সব কথা ব্যাখ্যা করতে নেই। কিছু ব্যাখ্যার ফলে মনে শান্তির সৃষ্টি হয় আর কিছু ব্যাখ্যার ফলে শান্ত মনেও কাল বৈশাখে ঝড় শুরু হয়ে যায়। তাহলে কী প্রয়োজন নিজে সেধে সেধে ঝড়কে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসার। থাক না কিছু কথা অন্তরালের গহীনে গাঁথা। কেননা অন্তরালের কথা যে অন্তরালেই মানায়। ”
অতলের কথা বলার ধরন দেখে তানহার বুক ধক করে উঠে। এ যে কোনো সাধারণ কথা বলার ধরন নয়, এ যে সবকিছু জেনেও অজানা হয়ে থাকার প্রবল ইচ্ছে পোষণের ধরন। অস্বস্তি যেন ঝেঁকে বসেছে তানহার মাঝে। মাথা ভার হয়ে আসছে তার। আস্তে আস্তে যেন সবকিছুই বুঝতে পারছে তানহা। অতলের সেই রাতে চলে যাওয়া, হসপিটালের বলা কথা সবকিছুই যেন স্বচ্ছ পানির মতো পরিষ্কার হতে লাগল তানহার চোখের সামনে।
এদিকে তানহাকে এতটা ভেঙে পড়তে দেখে তানহার দু’হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে নিজের বুকের উপর ফেলে দিল অতল। আর মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
” বউ তো তুমি আমার। তোমায় বুকে না নিয়ে আদর না করে কী ঘুমোতে পারি? ”
তানহা একচোখে তাকিয়ে আছে অতলের দিকে আর মনে মনে ভাবছে,
” একটি মানুষ কতটুকু ভালো হলে সবকিছু জেনেও অজানার মাঝে থাকতে চায়! ”
তানহাকে ভাবলেশহীন ভাবে দেখে তানহার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে অতল বলল,
” বড্ড ভালোবাসি গো তোমায়। ”
তানহা চোখের কোণে চিকচিক করা জলের ধারা গুলো পাহাড়ের ঝর্নার ন্যায় গাল বেয়ে ছেড়ে দিয়ে বলল,
” জীবনের শেষটুকু দিয়ে তোমায় ভালোবাসতে চাই অতল। তোমার এই বাহুডোরে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মানুষের মুখে রেখে যেতে চাই, তানহা স্বামীর সংসার করে উঠেছে। স্বামীর ভাতে কাপড়েই জীবন পার করে গিয়েছে। ”
” জীবনের শেষ টুকু দিয়ে যে আমিও ভালোবাসতে চাই তোমায়। তাই তোমাকে কোত্থাও যেতে দিব না। বেঁধে রাখব আমার এই বুকের মাঝে। ”
” ভালোবাসি। ”
” আমিও বউ। ”
বলেই তানহার ঠোঁট জোড়া নিয়ে নিল নিজের ঠোঁটের আয়ত্তে অতল। সেই সাথে ডুব দিল দু’জন দু’জনায় ভালোবাসার সাগরে।
.
” তানহা! অতল! কই হলো তোমাদের? সময় যে হাতে নেই বেশি একটা। আর তিহান! তুই কোথায় চলে গেলি? বেরোনোর সময় যে হয়ে গিয়েছে জানিস না? ধ্যাৎ! কারোই কোন শব্দ নেই। এই তিহান! তিহান! ”
মরিয়ম বেগম রেডি হয়ে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে দুই ছেলে ও ছেলের বউকে সমানে ঢেকে যাচ্ছে। পাশ থেকে আনিস খন্দকার মুচকি হেসে বললেন,
” আমাদের মতো কী ওরা বুড়ো বুড়ি নাকি যে, এতো দ্রুত রেডি টেডি হয়ে তোমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে যাবে? সময় তো ক্ষানিকটা বেশি লাগবেই। অল্প বয়সের ছেলেমেয়ে বলে কথা! ”
শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে করতে শ্বশুর ও শাশুড়ি মায়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে তানহা দাঁত কেলিয়ে হাসি দিয়ে বলল,
” অল্প বয়সের মেয়ে হলেও আমার কিন্তু বেশি সময় লাগেনি বাবা। মেয়ে হয়েও আপনার ছেলেদের আগে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। ”
” তাই তো দেখছি মা! ”
পাশ থেকে তানহার গালে হাত দিয়ে নিজের হাতে চুমু খেয়ে মরিয়ম বেগগম বললেন,
” মাশাল্লাহ! আমার তানহা মা’কে তো বেশ লাগছে দেখতে! আজ সবাই নতুন বউ দেখতে আসলেও আমার বিশ্বাস, আমার বড় বৌ মার থেকেও চোখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না।
ঘর থেকে বেরিয়ে হাতে ঘড়ি পড়তে পড়তে অতল মরিয়ম বেগমের উদ্দেশ্যে বলল,
” মানুষ আর কী নজর দিবে মা? তুমি নিজেই তো নজর লাগিয়ে দিচ্ছ আমার বউ টাকে। এই তানহা! এদিকে এসো তো তোমায় থুতু দিয়ে দিই। তাহলে আর কারো নজর লাগবে না। ”
মরিয়ম বেগম হেসে তানহার কনিষ্ঠা আঙুলে হালকা করে কামড় দিয়ে বললেন,
” পাগল ছেলে বলে কী! মায়ের নজর ছেলেমেয়েদের উপর লেগেছে কোনোদিনও যে, আজ লাগবে! আর যদি নজর লাগার সম্ভাবনাও থাকে তাহলে মা হলাম কি করতে? ”
তানহা রাগী লুক নিয়ে অতলকে বলল,
” তোমার মুখে দেখছি আজকাল কিছুই বাজে না! লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে বসেছ নাকি? কোথায় কোন কথা বলতে হয় সবকিছু ভুলে গিয়েছ কি? ”
” আরে আরে, তুমি ক্ষেপে যাচ্ছ কেন? এটা তো আমার আর মায়ের ব্যাপার। তুমি শুধু শুধু রাগ দেখাচ্ছ কেন? ”
” এটা মোটেও তোমার আর মায়ের ব্যাপার না। মা’টা তো আর তোমার একার নয় মা আমাদেরও। তাই কেউ কিছু বললে আমাদেরও গায়ে লাগে বুঝলে? ”
” আরে বাবা, আমিতো মজা করে বলেছি। সেটা মা নিজেও বুঝতে পেরেছে। শুধু শুধু তুমি এরকম করছ। ” কথাটুকু গাল ফুলিয়ে বলল অতল।
তানহা কিছু বলতে নিবে তার আগেই মরিয়ম বেগম বললেন,
” হয়েছে হয়েছে, এবার ক্ষ্যান্ত দেয় তোরা। কথা বাড়ালেই বাড়বে। তাই অকারণে কথা না বাড়িয়ে দ্রুত গাড়িতে গিয়ে বসে পড়। আমি আর তোর বাবা তিহানকে নিয়ে আসছি। কিন্তু তিহানটা যে কোথায় গেল! ”
” এইতো মা! আমি এসে গিয়েছি। ”
তিহান মেরুন কালারের একটি শেরওয়ানি পড়ে, মাথার পাগড়ী হাতে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে কথাটুকু বলল। তানহা ব্যতীত সকলেই তিহানের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। তিহানও তানহার দিকে পাত্তা না দিয়ে নিচে নেমে এসে আনিস খন্দকার, মরিয়ম বেগম ও বড় ভাই অতলকে পায়ে ধরে সালাম করে বলল,
” অনেকটা সময় ধরে তোমাদের অপেক্ষা করিয়েছি আর করাতে চাচ্ছি না। তাই চলো এখানে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে দ্রুত বেরিয়ে পড়ি। ”
ছোট ছেলে তিহানকে বরের সাজে দেখে মরিয়ম বেগম নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। চোখের কোণ থেকে সামান্য কাজল নিজের ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলে এনে তিহানের চুলের আড়ালে ছুঁয়ে দিয়ে নোনা জলে ভরপুর টলমলে চোখে তাকিয়ে বললেন,
” খুব সুন্দর লাগছে আমার রাজপুত্রকে। কারো নজর যেন না লাগে আমার রাজপুত্রের উপর। ”
.
.
চলবে…..