আকাশী পর্ব ৩৩

“আকাশী”
পর্ব ৩৩.

আকাশী কারের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে অপূর্বকে লাগেজ তুলতে সাহায্য করতে চাচ্ছে।
অপূর্ব বলল, ‘তার প্রয়োজন নেই। আমি পারব।’
আকাশী তবু ধরল। এই সময় সানজিদা আর মাহমুদ প্রস্তুত হয়ে এসে হাজির হন।
মাহমুদ বললেন, ‘অপূর্ব, সব ঠিকঠাক রাখা গেছে তো?’
‘হ্যাঁ, বাবা। আপনারা গাড়িতে বসে পড়ুন।’
তাঁরা গাড়িতে বসার আগে আকাশী তাঁদের পা ধরে সালাম করতে যায়। মাহমুদ তাকে একবাহু বেষ্টন করে অর্ধেক জড়িয়ে ধরলেন, ‘ভালো থেকো। অপূর্বের খেয়াল রেখো।’ অপূর্বকেও অনুরূপ আকাশীর খেয়াল রাখতে বললেন।
সে সময় আকাশী তার দিকে তাকিয়ে ভ্রূ একটা উঁচিয়ে ইঙ্গিত দেয়, “মনে থাকে যেন”।
সানজিদাকে সালাম করতে গেলে তিনি তাকে সালাম করতে দিলেন না, বুকে চেপে ধরলেন। জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় তার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘নিজের খেয়াল রাখিস মা।’ আকাশী তখনও তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিল, ‘বিশ্বাস কর, তুই অপূর্বের বউ হয়ে আসার পর থেকে সব পালটে গেছে। আগে আমি যে একাকীত্বটা বোধ করতাম, তা তোর আসার পর থেকে একদমই অনুভূত হয়নি। আমি সবসময় চাইতাম, ফেমিলির মানুষ সবসময় একে অপরের সাথেই থাকব। কিন্তু অপূর্ব দেশে থেকে চাকরি করার জেদ ধরায় এমনটা আর হয়ে উঠছে না। নইলে আমরা দুই বছর পর হজ্ব করার কথা ভাবছিলাম। তোদেরও সাথে নিতে পারতাম। যাক, বিয়ের দুই-চারটে বছর যাক, তারপর ওখানে যাস। ভালো কথা, আমি এই দুই বছর পর আমার নাতি বা নাতনির মুখ দেখতে পারব তো?’
আকাশী কিছুক্ষণ ঝুঁকে থাকে। বাবা গাড়িতে বসার পর মুখ তোলে আস্তে করে বলল, ‘শীঘ্রই মা।’
অপূর্ব পাশে ছিল; শোনে ফেলায় চোখকে ডাগর ডাগর করে ফেলল। আকাশী মুখ চেপে হেসে তার দিকে তাকায়। মা বললেন, ‘এভাবে হাবলার মতো করে হা করে কী তাকাচ্ছিস? আজ বিয়ের একটা মাস হয়ে গেল, অথচ বউকে কোথাও ঘুরতেও নিলি না! আমাকে কথা দে, আমরা যাওয়ার পর ওকে নিবি।’
অপূর্বের দিকে আকাশী তাকায়। সে কিছু করতে না পারলেও মায়ের সামনে মাথা না নেড়ে পারল না। সে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ল। সানজিদাও গাড়িতে ঢুকে পড়লেন। তিনি যখন অর্ধ খোলা গ্লাসের ওপর থেকে হাত নেড়ে বিদায় জানাতে চাইলেন, আকাশীর অনেক খারাপ লাগল। বুকের ভেতরের তল ক্রমশ হয়তো পড়েই যাচ্ছে। এমন ব্যথা আগে কখনও লাগেনি। এমনকি নিজের মাকে বহুবার সে বিদায় দিয়েছে। কিন্তু সে সময় এই ধরনের অনুভূতি ছিল না। নিঃসন্দেহে সে এই একটা মাস মায়ের ভালোবাসার আসল স্বাদটা পেয়েছে। এমন শাশুড়ি কে না পেতে চায়?
আকাশী দেখল, মায়ের চোখ নমনীয় হয়ে এসেছে। ক্রমে সে বুঝতে পারল, তার গাল ভিজে গেছে বিধায় মায়েরও চোখ ভরে এসেছে। তিনি চোখকে আর প্রশ্রয় দিলেন না, অপূর্বকে গাড়ি চালাতে নির্দেশ দিলেন। ক্রমে তিনি আকাশীর চেয়ে একহাত দূরে অবশেষে অনেক দূরে দৃষ্টির সীমার বাইরে চলে গেলেন। সে একা রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রইল। বাড়িটা এখন একদম শূন্য। সে আর অপূর্ব ব্যতীত এখন থেকে এখানে কেউ থাকবে না। অপূর্ব তার ধারেকাছে থাকেন না। সে পুরোপুরিই একা। তবে সে নিজেকে এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে যেমনটা সে এযাবৎ করে এসেছে। সে আজীবন নিঃসঙ্গতাই তো চেয়েছিল। অপূর্ব তাকে এখন দিচ্ছে। ধরতে গেলে আকাশী মোটামুটি ভালোই আছে। স্বামী হিসেবে অপূর্ব তার কোনো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে যান না। আকাশী একাও থাকতে পারে। বরং অপূর্বের খেয়াল রাখতে তার খুব ভালোই লাগে। যেমনটা চলছে, তেমনটাই চলুক তা ঢের ভালো। সে অপূর্বকে ঠিক করতে চেয়েছে সেই চাঁদনী আলোর রাতে। কিন্তু সামান্য একটা ভুলের কারণে আজীবন অনুতাপ স্বীকার করার চেয়ে ঢের ভালো গতানুগতিক পর্যায়ে থাকা। অন্তত সে তাকে তার খেয়াল রাখতে দিচ্ছে। নিজেও আকাশীর খেয়াল রাখে। এরচেয়ে বেশি আর কী চায়? তবে একটা আক্ষেপ রয়ে গেল, অপূর্বের মনের অবস্থাটা বুঝা গেল না। কী কারণে সে আকাশীকে এতদূরে ঠেলে দিয়েছে তা আঁচ করতে পারছে না। সম্ভবত কিছু একটা হয়েছে। তিনি অন্য কোনো মেয়েকে পছন্দ করেন না তো? না, না। তা কেন হবে? তবে তিনি নিজ স্বাধীনতায় তাকেই বিয়ে করতেন। সে জানে, অপূর্ব কিছুটা ইগোইস্টিক হলেও এই ধরনের কিছুর আশঙ্কা নেই। তাকে সে অন্তত পিউর হিসেবে জানে, যার মন একদা আকাশীর মনকে পাওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন ছিল। কিন্তু এখন.. আকাশী বিবেককে আর চিন্তা করতে না দিয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে রুমে চলে যায়। আজ অনেকদিন পর সময় পেয়ে সে নিজের ডায়েরিটা খুলে। প্রায় পঁচিশ দিন আগে একবার ধরেছিল। সেদিন সে বর্ণনা করেছিল, কীভাবে সে আগের দিন খালের পাড়ে গিয়ে অপূর্বের মনের কথা জানার চেষ্টা করেছে। অপূর্ব বারবার বিরক্তি প্রকাশ করে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আকাশী যখন বুঝতে পারে, অসম্ভব, আর পারব না। তাছাড়া আরেকটু হলেই অপূর্ব রেগে আগুন হয়ে যেত। সে যে-কারও রাগ সহ্য করতে পারবে। কিন্তু স্বামীর রাগ নয়, যার সাথে কিনা পুরোটা জীবন অতিবাহিত করতে হবে। আকাশী এও লিখেছে, কীভাবে তার নতুন মা তাকে আদরে আগলে রেখেছে। সে কলেজ সেরে ফিরে এলে মা তার সাথে গালগল্প জুড়িয়ে দিতেন। তার সময়ও বয়ে যেত। এগুলো লেখার পর আর কিছু লেখা হয়নি। কিন্তু একসময় সে ডায়েরিটা সপ্তাহে একবার করে ধরত। সে হিসেবে এখনের জীবনটা যেন থেমেই গেছে। সে তো এমন কিছু চায়নি। সে চায়নি তার ডায়েরির পাতা একাধারে তিন সপ্তাহের জন্য খালি থাকুক। কেন এমনটা হয়েছে? তার জীবন কি বড়ই একঘেয়ে হয়ে পড়েছে? নাকি সেই বদলে গেছে? আর কিছু ভাবতে না পেরে আরও একবার একাকীত্ব গ্রহণ করার কথা ডায়েরিতে লিখল।
ক্রমে তিনটা দিন অতিবাহিত হয়। সবে অনার্সের তৃতীয় বর্ষে উঠায় পড়ার চাপ তেমন একটা নেই বললেই চলে। অপরদিকে ডিজাইনিং ক্লাসে এইমাত্র একটা সেশনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কয়েকদিন বন্ধ আছে। তারপর একসপ্তাহ বেসিক কিছু কাজ দেওয়া হবে। এগুলোর বিশেষ প্রয়োজন নেই। সে তৎক্ষণাৎ ডিজাইনার হতে চাইছে না। নইলে একাধারে ডিজাইনিং নিয়ে পড়ে থাকলে লেখাপড়া খাদে পড়ে যাবে। সে খুব বিরক্তিকর সময় কাটাচ্ছে। সে ভাবে, গ্রামীণ যেসব মেয়ে অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী করে এতগুলো সময় পার করে? তাদের কি একগুঁয়ে লাগে না? বিরক্তিকর লাগে না? রান্নাবান্না করো, বাচ্চা সামলাও এটুকুতেই তাদের দৈনন্দিন জীবন সীমিত? আকাশী ভাবে আজ যদি সে ডিজাইনিং কোর্স কিংবা পড়াশোনা না করত, তবে তার কী হতো? অপূর্ব মায়েদের দিয়ে আসার পর মায়ের কথামতো কাজের মহিলাকে ছুটি দিতে বলেছেন। সম্ভবত তিনি কোনো কাজও পেয়ে গেছেন। মা তাঁকে ছুটি দিতে বলেছিলেন, তারা যাতে একা থাকতে পারে। অপূর্ব তাই করলেন। যতটুকু জানা আছে, মায়ের হুকুম পালন করা ব্যতীত তার কোনো চয়েজ ছিল না। সে আর অপূর্ব নামের হাতে না আসা শক্ত একটা উড়ন্ত প্রজাপতি ছাড়া আপাতত কেউই নেই। দুই বছর কেউ থাকবেও না। আকাশী নিজেই রান্নাবান্না করবে।
ব্যালকনির দরজাটা এখন খোলা। সাদা রঙের পর্দাগুলো বাতাস এলে উড়ছে। বাতাসটা আকাশীকে গ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। একেক দিকের বাতাস হয়তো একেক রকম, যেমন মানুষও ভিন্ন ভিন্ন। এইযে, অপূর্ব সামনে সোফায় বসে ঘুমিয়ে পড়েছেন। বসা অবস্থায় আকাশী তা কখনও পারবে না। সে চাইলে অপূর্বের মতো ছেলে হতে পারবে না। যাহ্! ছেলে হতেও চায় না, নইলে অপূর্বকে হারাতে হবে। আকাশী বিছানায় বসে বসে তার দিকে চেয়ে রইল। আজ সে অপূর্বের পছন্দের রং; সবুজ রঙের শাড়ি পরেছে। কিন্তু তিনি কিনা তার দিকে তাকানোর আগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। ভাবতে ভাবতে অপূর্ব চোখ খুলল। আকাশী খেয়ালই করেনি। অপূর্ব সোফায় শোয়ায় ঘাড় সম্ভবত ব্যথা হয়ে গেছে। তিনি ঘাড় ধরে চোখ খানিকটা বন্ধ করে বিছানার দিকে এলেন। ভুল দিকে পা ফেলায় আকাশী তাকে তার দিকে টেনে নিয়ে তার পাশেই শুয়ে দেয়। ধপ করে কোমল বিছানায় শোয়ায় অপূর্বের টি-শার্ট পিঠের খানিকটা ওপরে উঠে গেল। আকাশী তা নামিয়ে দেয়। তার পায়ের জুতো খুলে দেয়। সে অপূর্বের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কী ভেবে তার মাথায় আলতোভাবে চুমো খায়। আজ একটা মাস হয়ে গেছে। লোকটার যদিও সে ভালোবাসা পায়নি, কিন্তু এতদিন সাথে থাকার কারণে লাগছে যেন তাদের জীবন এক হয়ে পড়েছে, সে তাকে কখনও ছাড়তে পারবে না। আকাশী জানত না, কেউ তার ওপর এতোটা প্রভাব ফেলবে। কাউকে, কারও চরিত্রকে সে এতোটা ভালোবাসবে। অপূর্ব প্রায়ই অফিস থেকে লেট করে ফিরলে কোনোভাবে ল্যাপটপের ব্যাগ রেখে কিছু না পাল্টিয়েই ধপ করে বিছানায় পড়ে ঘুমিয়ে যান। আস্তে ধীরে আকাশী তার জুতো খুলে দেয়, টাই শার্ট খুলে দিয়ে তাকে আধঘুমন্ত অবস্থায় ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। মুখহাত ধুয়ে দেয়। এই আধঘুমন্ত অবস্থায় অপূর্বকে দিয়ে অনেক কিছুই করানো যায়। তাকে হাঁটিয়ে নিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়া যায়। হাত তুলতে বললে তুলেন, মাথা নিচু করতে বললে ধীরে সুস্থে করেন। স্রেফ হুঁশটা তেমন কাজ করে না। এই অবস্থায় আকাশীর কথা বুঝে নিতেও তার দেরি হয়। আশ্চর্যজনকভাবে আধঘুমন্ত অবস্থায় কৃত কাজগুলো তার মনেও থাকে না। তিনি সহজেই এসব স্বীকার করেন না। আকাশী তার এসব অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে আরও প্রেমে পড়েছে তার। আরও প্রেমে পড়েছে যখন সে তাকে খাবার খাইয়ে দেয়। অফিস থেকে টায়ার্ড হলে ফিরে এসে সে ঘুমিয়ে পড়লে আকাশী তাকে আধঘুমন্ত অবস্থায় খাইয়ে দেয়। একহাতে সে তাকে চেপে ধরে, আরেকহাতে ক্রমাগত ভাবে ভাতের গ্রাস খাইয়ে দেয়। কোনো কোনো সময় এমন হয়েছে যে, অপূর্বের মুখের গ্রাসটা ফুরিয়ে এলে সে চোখ বাঁধা অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুখকে হা করে পরবর্তী গ্রাসের জন্য। আকাশী কিছুটা হেসে কিছুটা প্রেমে পড়ে তাকে খাইয়ে দেয়। এসবে সে এতই জড়িয়ে পড়েছে যে, তার প্রতি সে রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়েছে। সে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার সময় অপূর্ব হঠাৎ চোখ খুলে। আকাশী হাত নামিয়ে ফেলল। অপূর্বকে সে বলল, ‘ঘুম তো এখনই সব শেষ করে ফেলছেন। দুপুরে কী করবেন?’
‘আই রিয়েলি ডোন্ট নো।’ ঘুমন্ত গলায় বলে অপূর্ব বেডে মুখ গুঁজে ফেলল। তার বাকি কথাগুলো ভিন্ন স্বরে বের হয়, ‘আমার অনেক বিরক্তিকর লাগছে আকাশী। সময় কাটছে না। অফিস বিরক্তিকর লাগায় ছুটি নিয়েছিলাম। এখন কী করি…’
‘আগে কী করতেন?’
‘আগে বন্ধুদের কিংবা কলিগদের সাথে বাইরে হ্যাং আউট করতে যেতে পারতাম। এখন লাইফ যাস্ট বোরিং হয়ে পড়েছে। তোমাকে একা রেখে কোথায় গিয়েছি শুনলে মা বকবে।’
‘আমি কিন্তু মাকে কিছু জানাব না।’
অপূর্ব মুখ তোলে কয়েক ইঞ্চি দূরে থাকা আকাশীর দিকে তাকায়, ‘মিথ্যা আমার পছন্দ নয়।’
‘তাহলে মা তো বলেছিলেন, আমাকে যাতে ঘুরতে নিয়ে যান। দুইজনেরই বাইরে ঘুরে আসা হয়ে যাবে।’
‘আইডিয়া খারাপ নয়। বাট ইউ প্রমিজ মি, আমাকে কাছে পেয়ে উল্টাপাল্টা কিছু করবে না।’
‘অ্যান্ড হোয়াট ডু ইউ মিন বাই “উল্টাপাল্টা”?’ আকাশী টেনে টেনে বলে হাসে।
‘মিনিং বুঝলেই হলো। এক্সপ্লেন করতে পারব না। প্রমিজ করো।’
‘যদিও আমি আপনার স্ত্রী, আমি কিছু করলেও আমার দোষ হবে না। তবু আপনার নাকের কাছেও আসব না আপনার পারমিশন ব্যতীত।’
অপূর্ব কিছুক্ষণ তার দিকে চেয়ে থাকে। এতে কোনো সন্দেহ নেই, এটাই সেই আকাশী, যে তার প্রথম প্রেম, তার জীবনে আসা প্রথম মেয়েটি। কিন্তু কোনোকিছু হঠাৎ করেই কী করে পালটে যায়? আদৌ কি সে টাকার জন্য বিয়ে করেছে? এমনটা হলে সে তার এতো খেয়াল কেন রাখে? অপূর্ব ভাবল, অনেক তো হয়েছে। হেস্তনেস্ত একটা করতেই হবে। দেখতে হবে, আসলেই তার মাঝে কোনো লোভ আছে কিনা। নইলে তাকে এভয়েড করে চলতে কষ্ট হয়।
অপূর্ব বলল, ‘তাহলে শুরুতে আমরা কক্সবাজার যাই।’
আকাশী লাফিয়ে উঠল, ‘রিয়েলি? আমি কিন্তু কখনও ওসব জায়গায় যাইনি।’
‘ঠিক আছে। একবার ঘুরে আসি।’ অপূর্ব উঠতে উদ্যত হলে বলল, ‘আমরা এখানে একসপ্তাহের আগে আসব না।’
আকাশীর উত্তেজনা গলা অবধি এসে থেমে যায়। সে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না, অবশেষে তারা একপ্রকার হানিমুনেই যাচ্ছে!
(চলবে..)
লেখা: ফারিয়া কাউছার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here