আমার_পূর্ণতা #রেদশী_ইসলাম পর্বঃ ২৫

0
490

#আমার_পূর্ণতা
#রেদশী_ইসলাম
পর্বঃ ২৫

ধীরে ধীরে চোখ খুলে তাকালো তাফসির। মাথাটা প্রচুর ভার। রুমে আবছা আলো। দৃষ্টি ঝাপসা। কিন্তু স্পর্শ অপরিবর্তনীয়। এখনো স্পর্শ করা ব্যক্তি ক্রমাগত শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে। উবুড় হয়ে শুয়ে ছিলো তাফসির। আস্তে আস্তে উল্টো ঘুরলো। রুমের আবছা আলোয় একটি নারী অবয়ব দৃশ্যমান। প্রাচুর্য? ধীরে ধীরে হুঁশ আসতে থাকলো তার। মনে পরলো সে বাংলাদেশ নয়। বরং কানাডার মাটিতে আছে। আর আজ এই মুহুর্তে সে উইলসনের বাড়িতে আছে। তাই প্রাচুর্য হওয়ার কথায় আসে না। আর শাহিন যে শ য় তা নি করে এমন করবে তাও না। কারন সে অন্য রুমে। তিন সেকেন্ড ও অপেক্ষা করতে হয় নি তার আগেই ঝটকা মেরে সরে এলো তাফসির। সামনের নারীটি ধাক্কা খেয়ে পরে গেলো শক্ত ফ্লোরের উপর। সাথে সাথে অস্ফুটস্বরে আর্তনাদ করে উঠলো।
ঝাপসা দৃষ্টি নিয়েই হাতরিয়ে হাতরিয়ে ঘরের লাইট জ্বালালো সে। এতক্ষণ অন্ধকার থাকার পর হঠাৎ উজ্জ্বল আলো চোখে এসে পরতেই চোখ জ্বালা করে উঠলো তার। তবুও অনেক কষ্টে চোখ মেলে সামনে তাকাতেই রাগে শরীর রি রি করে উঠলো তার। চোখের রং রক্তাভ হলো। তাফসির অগ্মি দৃষ্টিতে তাকিয়ে দাত খিচিয়ে বললো—

” তুমি এই রুমে এতো রাতে কি করছো ক্যামিলি? ”

ওই চাহনির দিকে তাকিয়ে ক্যামিলির অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেলো। তবুও মনে মনে ভীষণ সাহস যুগিয়ে বললো—

” এ.এমনি এসেছিলাম তাফসির। ”

” কেউ কারও রুমে এমনি আসলে এমন আবেদনময়ী পোশাক পরে আসে না। আর একটি ঘুমন্ত ছেলের গায়ে এমন অপ্রিতীকর স্পর্শ করে না। ”

ক্যামিলি মাথা নিচু করে মিন মিন স্বরে বললো—
” আসলে তাফসির আমি ভেবেছিলাম এখন আসলে তুমি আমাকে এক্সেপ্ট করবে। ”

ক্যামিলির কথায় তাফসির তাচ্ছিল্য হেঁসে বললো—

” হোয়াট? সিরিয়াসলি ক্যামিলি? আমাকে তোমার এতোটাই সস্তা মনে হয়? ”

” ন.না মানে আমি….”

তাফসির ক্ষিপ্ত গতিতে এসে ক্যামিলির চোয়াল চেপে ধরলো। রাগে শরীর কাঁপছে তার।

” আমি তোমাকে বলিনি যে আমি বিবাহিত? তারপরও তুমি কোন সাহসে আমার রুমে আসলে আর এমন থার্ড ক্লাস চিন্তা ভাবনা করলে? সামান্য সেল্ফ রেসপেক্ট টুকু নেই তোমার? জানি তোমাদের কালচার ভিন্ন তা বলে কেউ এতোটা নির্লজ্জ কিভাবে হয়? ”

তাফসিরের পুরুষালী হাতের চাপে মুখ ভেঙে যাওয়ার যোগাড় ক্যামিলির তারপরও অনেক কষ্টে বললো—

” ইট’স সো নরমাল তাফসির। তোমার এতো রিয়েক্ট করার কারন খুঁজে পাচ্ছি না আমি। ”

” এটা তোমার কাছে নরমাল হলেও আমার কাছে না। ”
ক্যামিলির চোয়াল ছেড়ে উঠে দাড়ালো। বাম হাত উঁচু করে অনামিকা আঙুল দেখিয়ে বললো—

” সি আমি বিবাহিত এটাই তার প্রমাণ। এই রিং টার দিকে তাকালে আমার শান্তি অনুভব হয়। মনে হয় আমার একজন ভালোবাসার মানুষ আছে। যে পৃথিবীর অন্য কোনো এক কোনায় বসে আমার জন্য প্রতিটা দিন, প্রতিটা ঘন্টা, প্রতিটা মিনিট এবং প্রতিটা সেকেন্ড অপেক্ষা করছে। আর তুমি ভাবলে যে এতো রাতে এমন থার্ড ক্লাস লুকে আসলে আমি তোমাকে এক্সেপ্ট করে বেড পার্টনার বানাবো? হাহ হাস্যকর। আমার থেকে দুরত্ব বজায় রাখবে আদারওয়াইজ আমি ব্যবস্থা নেবো। এতোদিন ভালো ব্যবহার করেছি বলে ভালো ভেবেছো কিন্তু দ্বিতীয় বার যদি আর আমার সামনে আসো বা এ ধরনের কোনো কাজ করো তখন বোঝাবো আমি কতোটা ভালো। শুধরে যাও ”

আর এক মিনিট ও দাঁড়ালো না তাফসির। গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে বের হয়ে গেলো রুম থেকে। পেছনে ঠিক আগের মতোই একই জায়গায় বসে রইলো ক্যামিলি। এতোটা অপমান সে আগে কখনো হয় নি। এই বাঙালি ছেলের পেছনে যতদিন ঘুরেছে সে অন্য কারও পেছনে এমন ঘুরে নি। বরং ছেলেরা তার জন্যই পাগল ছিলো আর বেশিরভাগ সময়ই সে ইউজ করতো তাদের। এমনকি এই বাঙালি ছেলের জন্য তার বয়ফ্রেন্ডের সাথেও ব্রেকআপ করেছে সে। আর সেই ছেলেই কি না তাকে অপমান করলো। এতো বড় বড় কথা বললো?
রাগে দুঃখে দুহাত দিয়ে মাথার চুল টেনে ধরে ক্যামিলি। অপমানে গায়ে জ্বালা ধরছে তার। চোখ ফেটে দু ফোঁটা পানিও গড়িয়ে পরলো নিচে।
**
বাইরে প্রখর ঠান্ডা। বরফের মোটা আস্তরণ এখনো লক্ষনীয় রাস্তা-ঘাটে। গাছে ফুল,পাতার বদলে দলা দলা বরফ। তাফসির পকেট থেকে ফোন বের করলো। সময় চেক করে দেখলো সাড়ে তিনটা মতো বাজে। রাস্তা-ঘাট নির্জন। মাঝে মাঝে কিছু পুলিশের গাড়ি টহল দিচ্ছে। একটি ছোট্ট ম্যাসেজ ঝটপট টাইপ করে শাহিনকে সেন্ট করলো। তারপর লাল আলোর নিচে ফুটপাত ধরে এগোতে লাগলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।
মন,মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে তার। ওই আদুরে মুখ খানা দেখতে ইচ্ছা করছে। ছুঁতে মন চাচ্ছে। কিন্তু তাও তো সম্ভব না। তাদের মাঝে যে বিস্তর দুরত্ব। দুজনে পৃথিবীর দু প্রান্তে। পারলে সে এক্ষুনি ছুটে যেতো ওই প্রান্তে ওই মানুষটার কাছে। কানাডায় এসেছে সাত বছরেরও বেশি সময়। তবে আগে কখনো এতোটা খারাপ লাগে নি। হ্যাঁ মিস করেছে সে সবাইকে তবে পরমুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়েছে। মোটিভেট করেছে নিজেকে নিজে। শক্ত হয়েছে। কিন্তু এইবার যেয়ে মাত্র এই একমাসে কি হলো তার!! একটা পুঁচকে মেয়ে পুরো তাকেই পাল্টে দিলো। মন মস্তিষ্ক জুড়ে দখল করে বসলো। এতোটা আবেগঘন তো সে কখনোই ছিলো না। আবেগকে বিশেষ প্রশ্রয় ও দেয়নি। তবে এখন? নাহ আর বেশিদিন থাকা সম্ভব নয় এখানে। খুব তাড়াতাড়ি কোনো একটা ব্যবস্থা করতে হবে তার। এমন মানুষিক টানা পরনে থাকা সম্ভব নয় তার। আর কাউকে কষ্ট দিবে না সে। না নিজেকে, না প্রাচুর্যকে, না মা কে আর না কখনো বাবাকে। এবার থেকে বাবার কথা শুনে চলবে সে। বিজনেসে ফিরবে। বাবা তার এতো বড় উপকার করলো। তার বিনিময়ে তো এটুকু করা যেতেই পারে।
.
.
.
.
রমনা বটমূলের ওয়াক ওয়েতে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া ও আরফান। রিয়ার মুখ থমথমে তবে আরফানের মুখে মুচকি হাসি। আরফান মুখে হাত দিয়ে রিয়ার মুখ পর্যবেক্ষণ করছে আর মিটিমিটি হাসছে। রিয়া বিরক্তসূচক আওয়াজ করে আরফানের দিকে তাকিয়ে বললো—

” এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? সমস্যা কি? ”

” বউ টাকে দেখছিলাম ”

রিয়া দাঁত খিচিয়ে বললো—

” একদম বউ বউ করবে না। মনে রেখো এখনো বিয়ে হয় নি আমাদের ”

” হতে কতক্ষণ বলো? ”

” এখন মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ভালো সাজা হচ্ছে তাই না? কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। ”

আরফান এগিয়ে এসে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়ালো। কোমড়ে হাত রেখে রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো—

” তাই? সত্যি তো? ”

হকচকিয়ে উঠলো রিয়া। আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো—

” কি করছো আরফান? দুরে সরো। আশেপাশে যথেষ্ট মানুষ আছে। ”

আরফান নির্বিকার ভঙ্গিতে বললো—

” আগে বলো কি হয়েছে? এমন করছো কেনো? ঠিকভাবে তো কিছুই বলছো না। না বললে বুঝবো কিভাবে বলো!!

রিয়া অন্যদিকে তাকিয়ে অভিমানী স্বরে বললো—

” তুমি আমাকে না জানিয়ে দেখতে এলে কেনো? আর জব? তুমি জব পেয়েছো সে কথা আমাকে একবারও জানাও নি। নাকি তুমি জানানোর প্রয়োজন মনে করো নি? ”

” ওহ ম্যাডামের তবে এটা নিয়ে রাগ? আমি যদি জানাতাম ই তবে সারপ্রাইজ দেওয়া হতো নাকি? বা তুমি এমন চমক পেতে নাকি? ”

” হ্যাঁ এমন চমক দিয়েছো যে তোমার ভাগ্য ভালো এট্যাক ফ্যাটাক করে যে মরে যায় নি তাই নাহলে বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যেতে। ”

” ধুর কিসব বলছো? ছেলেরা আবার বিধবা কিভাবে হয়? আর আমার জানা মতে বিয়ের পর স্বামী মারা গেলে স্ত্রী বিধবা হয়। আর আমি তো পুরুষ মানুষ। ”

” আচ্ছা এবার ফাও প্যাচাল বাদ দিয়ে বলো এস আর কোম্পানিতে জব পেলে কবে? ”

” আরও মাস খানিক আগে। ”

আরফানের কথায় রিয়া চমকে উঠলো। চোখ বড় করে বললো—

” মানে কি? এক মাস? আর তুমি আমাকে আজকে বলছো? ”

” শোনো রাগ করো না। আমি তো সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। ”

” ও তাই? দিয়েছো না সারপ্রাইজ? খুব খুশি হয়েছি। এবার খুশির ঠ্যালায় ব্রেকআপ করছি। একদম ফোন দেবে না আমাকে। চলে যাচ্ছি আমি। “__বলে রিয়া রাগে গজ গজ করতে করতে হাঁটা ধরলো। সাথে আরফানও রিয়াকে ডাকতে ডাকতে পিছন ছুটলো।
.
.
.
প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত তাফসিরকে কল দিয়ে চলেছে প্রাচুর্য। কিন্তু তাফসিরের একবারও কল ধরার নাম নেই। প্রাচুর্য রীতিমতো পায়চারি শুরু করেছে ঘরের মধ্যে। একদিক থেকে রাগে ফেটে পরছে তো অন্য দিক দিয়ে টেনশনও হচ্ছে।
তাফসির ব্যস্ত থাকলেও তো অন্যদিন তাকে অন্তত ছোট্ট একটি ম্যাসেজ দেয়।কিন্তু আজ সেই ম্যাসেজ টুকু দেওয়ার ও নাম নেই। বিভিন্ন আজে বাজে চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। রাগে চোখ ফেটে পানি ও আসতে চাচ্ছে কিন্তু অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করে আছে।
হাতে আর মাত্র আছে চার মাস। এইচএসসি শেষ হওয়ার মধ্যে যদি তাফসির না আসে তবে সে সোজা কানাডার ফ্লাইট ধরবে। বাবাকে বলবে সে কানাডায় যেতে চাই। তারপর বুঝাবে মজা। বিয়ে করেও এভাবে সিংগেল লাইফ কাটানোর থেকে তো বিয়ে না করাই ভালো ছিলো। বড় মার কথা শুনে বিয়ে করা উচিৎ হয় নি তার। আর কিছুদিন সময় নিতো। তবে সে তো জানতো যে এমন কিছুই হবে তবুও এখন কেনো কষ্ট পাচ্ছে।
আর মানুষ টা ও বা কেমন? তার কি প্রাচুর্যকে দেখতে ইচ্ছা করে না একটুও? কথা ও কি বলতে ইচ্ছা করে না? থাক সে আর ফোনে দিবে না। যা ইচ্ছা করুক গে। যতো ইচ্ছে ব্যস্ত থাকুক। তার যখন কথা বলতে ইচ্ছা হয় না তবে প্রাচুর্য কেনো এতোবার ফোন দিবে? তার কি আত্মসম্মান নেই নাকি?

” প্রাচুর্য ঘরে আছিস? ”

ঘরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করলো রিয়া। প্রাচুর্য ফোন রেখে উঠে দাড়িয়ে বললো—

” হ্যাঁ আপু বলো। কিছু বলবে? ”

” তোর ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করেছি। ”

রিয়ার কথায় প্রাচুর্য ফোঁস করে নিশ্বাস ছেড়ে বললো—

” এ আর নতুন কি বলো? তোমাদের তো রোজ ই ঝগড়া হয়। ”

” ঝগড়া কি আর সাধে করি? ও কোনো কাজ করতে গেলে আমাকে একটু ও বলে না। তুই-ই বল আমি কি এতোটাই ঠুনকো? ”

” আরে বাবা ভাইয়া তো তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলো। তাই এমন করেছে। ”

রিয়া মুখ কাঁদো কাঁদো করে বললো—

” তা বলে কিছুই বলবে না আমাকে? জানিস আমার প্রতিবার কতো কষ্ট হয় যখন পাত্র পক্ষ দেখতে আসে আমাকে? ”

” যায় হোক এবার তো পার্মানেন্টলি ওই ঝামেলা থেকে বাঁচলে। আর তো কেউ দেখতে আসবে না। ”

” তাফসির ভাইয়া যদি বাবাকে ম্যানেজ না করতো তাহলে কি হতো বল তো? আমার তো জীবনেও এতো সাহস হতো না বাবাকে এটা বলার যে আমি আরফানকে ভালোবাসি। আর ভাইয়ার মাথায় কতো বুদ্ধি দেখেছিস? একদিক দিয়ে দু’জনের লাভ ম্যারেজ অথচ বাড়ি এমন ভাবে সব প্রেজেন্ট করেছে যেনো মনে হচ্ছে সবই এরেন্জ করা। সাপ ও ম র লো আর লাঠি ও ভাঙলো না। আমিও খুশি আর বাড়ির সবাই ও খুশি। ইশশ আমাদের তাফসির ভাইয়া একদম জিও। ”

” হয়েছে থামো। এতো খুশি হয়ো না। আগে বিয়ে টা তো হতে দাও। ”

” আমার তো এখনি খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে। তুই তো জানিস ই এটা আমার প্রথম ভালোবাসা আর তাকেই বিয়ে। অনুভুতি গুলো তো নতুন হবেই। ”
কথা বলতে বলতে রিয়ার গাল লাল হয়ে উঠলো। তবে প্রাচুর্যের কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। তার মন পরে আছে বিদেশে থাকা ওই মানুষটার কাছে। দেখি কখন মনে পরে তাকে।

—————

” কি বলছিস ভাই? ক্যামিলি এসব করেছে? ও খারাপ জানতাম কিন্তু এতোটা খারাপ তাতো জানতাম না। কি সাংঘাতিক মেয়ে রে বাবা। “__তাফসিরের কাছ থেকে সব কাহিনী শুনে উদ্বেগ নিয়ে বলে উঠলো শাহিন।

তাফসির কফির কাপে চুমুক দিয়ে লনের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে বললো—

” আমিও জানতাম না। আসলে মানুষের উপরের দিকটা দেখে কখনো বিশ্বাস করতে হয় না। যেখানে নিজের দাতই সুযোগ পেলে কামড় দেয় সেখানে তো আমরা জ্বল জ্যান্ত একটি মানুষকে বিশ্বাস করেছিলাম। আমারই ভুল ছিলো। যদি আগেই কোনো একটা ব্যবস্থা করতাম বা কঠোর ভাবে সামলাতাম তাহলে ও এতো দুর আসার সুযোগ পেতো না। আমি ভেবেছিলাম ও শুধরে গেছে। কিন্তু না আমি ভুল ছিলাম। ”

” থাক বাদ দে। এখন কি করতে চাচ্ছিস তুই?”

” আপাতত কিছুই করবো না। তবে বাড়িতে ফেরার প্লান আছে। এই ভিনদেশে মন টিকছে না আর। অনেক বছর তো হলো আর কতো?
আর প্রাচুর্যকে কিছু বলিস না। ওর কানে যদি কোনো ভাবে এই কথা গুলো যায় তবে ও অনেক কষ্ট পাবে। ইদানীং ও আমার বিষয়ে অনেক সেনসিটিভ দেখছি। একটা ছোট্ট বিষয় নিয়েও চোখের জল নাকের জল এক করছে। ”

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here