#ইংলিশ_টিচার
২য় পর্ব
মিলি হাসি হাসি মুখ করে বললো
-আংকেল ফেইসবুক ইউজ করেন তো??
-ইয়ে মানে আইডি তো ছিলো কিন্তু শুভর মা আর শুভ ইউজ করতে দেয় না।তাদের মনে হয় এই বয়সে এসে ফেইসবুক ইউজ করলে লোকে হাসবে।
-এখন থেকে ইউজ করবেন। এত্ত ভয় পাবেন না। কি এমন বয়স আপনার হয়েছে বলেন তো।মাশাল্লা এখনো ইয়াং লাগছে আর হ্যা আমাকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিবেন তারপর রিলেটিভ লিস্ট এ এড দিবেন মেয়ে হিসেবে।
-তার মানে তুমি রাজি বিয়ে করতে?
-জ্বী শ্বশুর আংকেল।
শুভর বাবা মিলির শ্বশুর আংকেল ডাক শুনে হাসি দিচ্ছিলো।তার মনে হচ্ছিলো মেয়েটা অনেক টা বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট আর একটু পাগলাটে । তার মিলিকে অনেক পছন্দ হয়েছে ছেলের বউ হিসাবে। শুভর বাবার বয়স হয়েছে ঠিকি কিন্তু এই পাগলামি গুলা সে পছন্দ করে সবার তো রবোটিক্স জীবন পছন্দনীয় হবে সেটা তো আর না।
মিলিকে সে বললো
-মিলি তুমি তোমার মতো করে একটু সেজে আসো।
-আচ্ছা শ্বশুর আংকেল।
নীল শাড়ী পড়ে,চোখে গাড় করে কাজল দিয়ে,খোঁপাতে বেলী ফুলের মালা পেঁচিয়ে মিলি সবার সামনে এসেছে।
সবায় তো অবাক!
এটা কারো বিয়ের সাঝ হতে পারে? কিন্তু মিলিকে এখন কিছু বললে সে তো বিয়েটাই করবে না। তাই সমাই চুপ।
এভাবে মিলি আর শুভর বিয়েটা হয়ে যায়।
বিয়ের পর মিলি একটা মিষ্টি নিয়ে শুভকে খাওয়াতে যায় আর শুভ খাবে না বলে দেয়।
মিলি জোর করে একটা মিষ্টি খাইয়ে বলে “করলা স্যার নেন মিষ্টি খান আর আপনার তিতো মুখটা মিষ্ট করেন।”
শুভ বেচারা রেগে আগুন হচ্ছিল।মিলি মনে মনে বলছিলো “করলা স্যার এইটা মাত্র ট্রেলার ছিলো ফুল মুভি তো বাকি”
এবার মিলির বিদায় এর পালা কিন্তু মিলি তো কান্নাকাটি করছেনা অন্য মেয়েদের মতো বরং সে হাসিহাসি মুখ করে গাড়িতে উঠে যাচ্ছে। ঠিক তখন মিলির বাবা শুভর হাতে ধরে বলে “বাবা প্লিজ আমার মেয়েটা কে দেখো, ও একটু পাগলাটে স্বভাব এর কিন্তু মেয়ে ভালো। আর বাবা আমার মেয়ের পড়াশুনা কিন্তু এবার তোমার দায়িত্ব,আমি চায়না সবাই ভাবুক একটা অযোগ্য মেয়েকে আমি তোমার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দিয়েছি।
শুভ ও তাকে শান্তনা দিয়ে বললো টেনশন না করতে।
শুভ মিলির বাবাকে টেনশন করতে না বলে সে নিজেই টেনশনে এ পরে গেছে।সে যে কলেজ এর টিচার সেখানকার সবচেয়ে খারাপ ছাত্রী হলো মিলি যে কিনা এখন তার স্ত্রী।
মিলি আর শুভ এবার শুভদের বাসায় চলে আসলো। মিলির শাশুড়ির তেমন মিলিকে পছন্দ হয়নি।
সব নিয়মাদি পালন করে অবশেষে এবার মিলিকে শুভর রুমে নিয়ে গেলো। মিলি তার শাশুড়ি কে বললো
-শাশুড়ি আন্টি আপনি আমাকে লাইব্রেরি তে কেন নিয়ে আসছেন? আপনার ঘরে কি আর রুম নাই থাকার মতো?
-লাইব্রেরি তে কেন নিয়ে আসবো? এইটা শুভর রুম আর আজ থেকে তোমাদের দুজনের রুম।আর হ্যা আম্মু বলবা আর না বলতে পারলে আন্টি বলবা এভাবে বলবেনা ঠিক আছে?
-আচ্ছা ঠিক আছে শাশুড়ি আন্টি না ইয়ে মানে আম্মু।
এরপর এক এক করে সবায় রুম খালি করে চলে গেলো।এক ননদ তো মজা করে রুমের লাইট ও অফ করে চলে গেছে।এদিকে এত্ত বই দেখে মিলির তো মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে,মনে হচ্ছে যেন বইয়ের মধ্যে এলার্জি আছে মিলির।এরিমধ্যে শুভ এসে হাজির,রুমে লাইট অফ তাই সে বলে উঠলো
“মিলি ”
মিলি বলে উঠলো “প্রেজেন্ট প্লিজ” থুক্কু জ্বী আছি।
শুভ বললো
-লাইট তুমি অফ করেছো?
-না আমি করিনি, আম্মুর সাথে আসছিলো তাদের মধ্যে কেউ একজন অফ করেছে।
শুভ লাইট অন করে মিলির পাশে বসেছে একটু কথা বলবে বলে ঠিক তখনি মিলি কাচের গ্লাসে রাখা দুধটা শুভর মাথায় ঢেলে দিলো।
শুভ মিলিকে ধমকের সুরে বললো
-এই মেয়ে শয়তানে ধরেছে নাকি?
-আপনার এক বোন আমাকে কানে কানে বলে গেলো তাই করলাম।
-আমার কোন বোন বলে গেছে? মিথ্যা বলা টা তো তোমার অভ্যাস।
-আসলে কানেকানে বলছে তো ঠিক বুঝি নাই।আর হ্যা আমাকে কিন্তু একবার জ্বিনে আছর করছিলো।আসলে মিথ্যা বলা আমার স্বভাব এ নাই তাই সব সত্যটা বলছি,এখনো মাঝেমধ্যে আমি দেখতে পায় তাদের। আসলে ঐ জ্বিন টা আমাকে পছন্দ করতো তো এখন আমার বিয়ে হয়ে গেছে শুনলে আল্লাহ না করুক আপনার সাথে খারাপ কিছু না হয়ে যায়।Stop.
বিঃদ্রুঃযারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা আমার বন্ধু হতে পারেন,,আপনার রিকুঃদিতে কষ্ট হলে আমাকে কমেন্টে বলবেন,,তাহলে আমি রিকুঃদেব,,,তবে আমার রিকুঃ একসেপ্ট করতে হবে।। START…
-এই মেয়ে আমি তোমার টিচার। তাই এসব আলতো ফালতু গল্প বলে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেনা। আর এসব জ্বিন আমাদের বাসায় চার পাঁচটা সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি,আমার দাদা জ্বিন পোষে জানতে না তুমি?
-কি? জ্বিন আছে এ বাসায়। ও আল্লাহ কি বলে এসব না না আমি থাকছিনা এ বাসায়। শ্বশুর আংকেল কে ডাক দিন আমি বাসায় যাবো।
চলবে,,,,….