#এক_শ্রাবণ_হাওয়ায়
#পর্ব ২+৩
#কায়ানাত_আফরিন
-‘হাউ স্ট্রেন্জ ! বিয়ে করা বউ তুমি আমার। তাহলে এত ওড়না প্যাচাপ্যাচি করছো কেনো? তুমি চাইলে ওড়না কেন সব খুলেই পেত্নীর মতো ঘুরতে পারো।আই ডোন্ট মাইন্ড!
এমন কথা শুনে চক্ষু চড়কগাছ আমার। অস্বস্তির মাত্রাটা ক্রমশই যেন বেড়ে উঠেছে। আনভীর আমার এ অবস্থা দেখে বাকা হাসি দিঁয়ে উঠে দাঁড়ালেন এবার। শেরওয়ানীর বোতামগুলো খুলতে খুলতে আমার দিকে এগোলেই আমার যেন শরীর পাথর হয়ে যায়। মানুষটার চোখে-মুখে দুষ্টু হাসি। সে আমার আরও কাছে এসে ঝুকতেই আমি বাথরুমের দরজার সাথে মিশে দাঁড়ালাম এবার।হায় আল্লাহ! আমি তো মনে করেছিলাম যে উনি হয়তো আমায় মেনে নিবেন না। তাহলে কি করতে চাচ্ছেন এসব। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আনভীর শীতল কন্ঠে বলে ওঠলেন,,,
-‘এমন খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছো কেনো? সরো , আমি গোসল করতে যাবো।’
সাথে সাথেই উনার দিকে চোখ তুলে তাকালাম আমি। উনি তুখর চোখ আমার দিকেই আবদ্ধ। আমার চোখ বন্ধ করার ফাঁকে ইতিমধ্যে পাশের ক্লথওয়াল থেকে তোয়ালে নিয়ে নিয়েছেন। লজ্জায় পড়ে গেলাম আমি। আমি ভেবেছিলাম কি আর হয়েছেটা কি। ধীরপায়ে সরে আসতেই ঝড়ের গতিতে উনি ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলেন। আমি এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লাম। এই মানুষটার কথাবার্তা আসলেই গা জ্বালানোর মতো। তখনকার কথাটি মনে পড়তেই বিড়বিড়িয়ে বলে উঠলাম,,,
-‘অসভ্য কোথাকার !’
আনভীর গোসল সেরে বেরিয়ে এলেন প্রায় দশমিনিট পর। আমি ইতিমধ্যে চুল ভালোমতো শুকিয়ে সিংগেল সোফাতে বসে আছি। আসলে আমার মনে অজানা আশংকা দানা বাধছে। আর যাই হোক বিয়েটা আমাদের হয়েছে অনিশ্চিতভাবে। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও উনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। তাছাড়া উনার মতো একজন মানুষ কি আমার মতো ছোট মফস্বল শহরের মেয়েকে পছন্দ করতে পারবে?আমায় সোফায় বসে থাকতে দেখে উনি চুল মোছা বন্ধ করে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকলেন আমার দিকে। স্নিগ্ধ মুখটাতে ছেয়ে গিয়েছে কৌতুহলতার ছাপ। এবার স্থিরভাবে তিনি ডেস্ক থেকে একটি কাগজ বের করে টেবিলের সামনে রাখলেন। আমি প্রশ্নবোধ চাহিনীতে উনার দীকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,
-‘কি এটা?’
-‘আমাদের এগ্রিমেন্ট পেপার। এগ্রিমেন্ট পেপার বুঝো তো? চুক্তিপত্র।’
আনভীর শান্ত কন্ঠে বললেন। আমি শুকনো ঢোক গিলছি ক্রমাগত। অতঃপর জড়ানো গলায় বললাম,
-কিসের চুক্তিপত্র এটি?
উনি হেসে ওঠলেন কিঞ্চিত। যেন আমার কথা শুনে মজা পেয়েছেন বেশ। তবুও স্থির কন্ঠে বললেন,,
-‘এটাতে লিখা আছে যে ছয় মাস আমরা একসাথে স্বামী-স্ত্রী হয়ে থাকতে পারবো। তারপর আমি আমার রাস্তায় আর তুমি তোমার রাস্তায়।’
আমি নির্বিকার। আমি ভেবেছিলাম হয়তো উনি আমায় মানতেই পারবেন না তবে এই ছয় মাস যে উনি আমায় সহ্য করতে পারবে এটাই আমার জন্য অনেক কিছু। আমি এবার প্রশ্ন করলাম,,,
-আমার জন্য আপনি অনেক ঝামেলায় পড়ে গিয়েছেন,,তাই না?
আনভীর গহীন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। হয়তো আমার মনের কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করছেন। হঠাৎ আমার কাছে সামান্য ঝুকে আসতেই আমি পাথর হয়ে গেলাম। হাত কচলিয়ে যাচ্ছি আনমনে। আনভীর তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললো,,,
-‘আমার দেখা ওয়ান অফ দ্য মোস্ট স্টুপিড পারসনের মধ্যে তুমি একজন। কে বলেছিলো তোমায় গতরাতে আমার জন্য এত চিন্তা করতে? আমার জ্বর হয়েছিলো আমি মানি বাট তুমি তো অন্য রুমেও ঘুমাতে পারতে। হ্যা মানছি যে আমরা এক বিছানায় ঘুমাইনি তবে এক ঘরে তো ঘুমিয়েছিলাম। মানুষ তো এগুলো দেখে উল্টাপাল্টা মনে করবে এটাই স্বাভাবিক। তোমার বিয়ে ভাঙার জন্য সব দোষ তোমার,,,,আর শেষ পর্যন্ত কি হলো ? বাবা আমায় তোমার সাথে বিয়ে করিয়ে দিলো। আমার লাইফ ক্যারিয়ার সব কিছু এখন একটা বিয়ের জন্য ডেস্ট্রয় হয়ে গেলো…….[কিছুটা দম নিয়ে]………লিসেন আহি! তোমার এই ছোট্ট ভুলটার জন্যই তোমায় সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করা শুরু করেছি আমি। তবুও তোমার সাথে আমি ছয় মাস থাকবো শুধু তোমার আর আমার ফ্যামিলির কথা ভেবে। তারপর তুমি তোমার রাস্তায় আর আমি আমার রাস্তায়।’
আনভীরের তিক্ত কথাগুলো বারবার কাপিয়ে তুলছে আমাকে। আনভীরের চোয়ালে শক্ত হয়ে ওঠেছে,,,মুখে অস্বাভাবিক রাগের ছাপ। আমার এখন নিজেকে অসহায় লাগছে খুব। আসলেই তো,,,দোষটা আমারই ছিলো। কেন আমি উনাকে আনতে গেলাম আমার রুমে? উনি তো জ্বরের ঘোরে বারকয়েকবার না করেছিলেন , কিন্ত আমি শুনিনি তার কথা। আর তাই জন্যই তো ভাগ্য দুজনের মিলে গিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। আমি কান্না চাপিয়ে বললাম,,,
-‘ঠিক আছে। এই ছয় মাস আমরা একসাথেই থাকবো। তারপর আর কখনোই আপনাকে বিরক্ত করবো না। ‘
আনভীর সরে আসলেন আমার ওপর থেকে এবার। শান্ত গলায় বললেন,,
-এগ্রিমেন্ট পেপারটা তোমার কাছে রাখো।
উনি সময়বিলম্ব না করে এবার বিছানায় আয়েশ করে শুয়ে পড়লেন। আমি ঠোঁট চেপে সোফাতেই বসে আছি। আসলে বুঝতে পারছিনা যে ঘুমাবো কোথায়। উনি তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন যে উনি আমায় ঘৃণা করেন। তাছাড়া আমি যে কাজ করছি সেখানে ঘৃণাটাই স্বাভাবিক,,,,বরং আমার মতো ছোট শহরের মেয়েকে মেনে নেওয়াটাই অস্বাভাবিক।
উনি হঠাৎ চোখ মেলে তাকালেন আমার দিকে। আমায় এখনো একই জায়গায় বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে বললেন,,,
-‘বিয়ের শোকে কি সোফায় আত্নহত্যার করার ইচ্ছে আছে? ঘুমাতে আসলো জলদি। রাতে তোমায় এভাবে দেখলে তো পরে আমারই ইন্নাল ইল্লাহ হয়ে যাবে।’
এই মানুষটার ঠোঁটকাটা কথাগুলো আচ্ছা বিরক্তিকর তো ! তবুও ব্যাপারটা বুঝতে দিলাম না তাকে। খানিকটা দ্বিধা নিয়ে বললো,,
-‘আমি,,,,,,আমি ঘুমাবো কোথায়?’
আমার বোকাসুলভ প্রশ্ন শুনে রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে শোয়া থেকে উঠে বালিশে হেলিয়ে বসলেন আনভীর। বোঝাই যাচ্ছে উনি আমার কথায় প্রচন্ড বিরক্ত। তুখর কন্ঠে বললেন,,
-‘এটা কোনো পুর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি না যে স্বামী বিয়ে মানবে না দেখে স্ত্রী বারান্দায় বালিশ নিয়ে ঘুমাসবে। বিয়েটা আমাদের হঠাৎ হলেও লিগ্যালি তুমি আমার ওয়াইফ। সো চুপচাপ বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়ো আমার পাশে। আদারওয়াইজ বাথরুমে জায়গা আছে। ওখানে ঘুমাবে?’
বলেই ঠোঁট টেপে হাসলেন উনি। চোখে মুখে রম্যতার ছাপ। আমি চোখ ছোট ছোট করে তার পাশে শুয়ে পড়লাম এবার। আমায় শুতে দেখে উনিও লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়লেন অন্য কাত হয়ে। কিন্ত আমার চোখে ঘুম নেই অজানা উত্তেজনায়। হুমায়ূন আহমেদ তবে ঠিকই বলেছেন, বিয়ের পর নতুন একজন যুবকের সাথে এক বিছানায় ঘুমানোর মতো অস্বস্তির জিনিস আর হয় না !
___________________________
ফুরফুরে হাওয়ার আদলে সকালটা বেশ স্নিগ্ধ। অজানা এক ঘ্রাণ মৌ মৌ করছে পুরো ঘরটিতে আড়মুড়িয়ে চোখ খুললাম আমি। প্রথমেই চোখ গেলো জানালায়। সাদা পর্দা উড়ে চলাতে নয়নাভিরাম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমি এবার উঠে বসার চেষ্টা করতেই থমকে গেলাম হঠাৎ। অনুভব করতে পারছি এক বলিষ্ঠ হাত গভীরভাবে আমার পেট আকড়ে ধরে আছে। মাথাটা তাই কাত করে উনার দিকে ঘুরালাম আমি। আনভীর ঘুমে কুপোকাত। ঘুমন্ত অবস্থাতেই হয়তো অজান্তে উনার হাত এখানে চলে এসেছে। আমি গভীরভাবে পরখ করে নিলাম আনভীরকে। গৌরবর্ণের মানুষটির খাড়া নাক,,চাপা ঠোঁট দেখতে সুন্দর। তবে আমার মনে হয় চশমা পড়লেই উনাকে মারাত্নক লাগে দেখতে। আমি আস্তে করে উনার হাত সরিয়ে দিলাম এবার। বুঝার চেষ্টা করছি উনি জাগনা আছেন কি-না। কিন্ত আমায় অবাক করে দিয়ে উনি আবারও আবার পেটের ওপর হাত রাখলেন। আমায় কোলবালিশ ভেবে হাতটা আরও ওপরে ওঠাতেই তড়িঘড়ি করে বিছানা নেমে নেমে গেলাম আমি।
উনি তো ঘুমে বিভোর। এদিকে আমার অবস্থা বলার বাইরে। বুকে দ্রিম দ্রিম শব্দ তৈরি করছে উত্তেজনায়। বুঝতে পারলাম উনি ঘুমে থাকলে আর কোনো হুঁশে থাকেন না। নাহলে পেটের একটু ওপরে হাতটা……ভাবতেই মুখে আমার লজ্জার আভা ছাড়িয়ে গেলো। ঘড়ির কাটায় তাকিয়ে দেখি সাতটা বাজে ৫ মিনিট হয়েছে। তাই দ্রুত মুখ হাত ধুয়ে আমি রুমের বাইরে বেরিয়ে এলাম।
_________________
আনভীরের বাবা স্বভাবতই উঠেন সকালে। তাই ড্রইংরুমে যেতেই আমি দেখি উনি সোফায় বসে পত্রিকা পড়ছেন। অদূরেই দাঁড়িয়ে আছেন আনভীরের মা। আমি সেখানে গিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলে ওঠলাম,,,
-‘আসসালামু আলাইকুম !’
মুচকি হাসলেন আনভীরের বাবা। প্রসন্ন গলায় প্রতিউত্তর দিলেন,,
-‘ওয়ালাইকুম আসসালাম আহি মা। রাতে ঘুম হয়েছে তো?কোনো সমস্যা হয়নি?’
-না বাবা। কোনো সমস্যা হয়নি।
আনভীরের বাবা প্রসন্ন হলেন। হয়তো তিনি দ্বিধায় ছিলেন ছেলে এ বিয়ে মানবে কি-না। উনি আমায় ইশারায় সোফায় বসতে বললেই আমি কথামতো সোফায় বসে পড়লাম। এর মধ্যেই আমার চোখাচোখি হলো আনভীরের মা সেলিনা বেগমের সাথে। উনি বরাবরের মতোই নীরব দর্শকের ভূমিকায়। হয়তো আমায় ছেলের বৌ হিসেবে এখনও মানেন নি। আনভীরের বাবা এবার সেলিনা বেগমকে বললেন,,
-‘ওগো ! নুড়ী উঠেছে নাস্তা বানাতে? একটু পর তো সবাই উঠে যাবে। আজ ভালো খাবার রান্না করতে বলো। নতুন সদস্য এসেছে তো।
আমি এবার আগ বাড়িয়ে বললাম, ‘বাবা আমি নাস্তা বানাই?’
‘তুমি পারবে নাস্তা বানাতে? ছোট শহরের মেয়ে ,,,,,তোমাদের তো আবার আদরে আদরে বড় করে।’
আনভীরের মা রূঢ় গলায় বললেন।উনার কথা শুনে মনোক্ষুন্ন হয়ে গেলেন বাবা। কিছু বলতে না দিয়েই আমি নীরবে বললাম,,,
-ছোট শহরের মেয়ে তো কি হয়েছে?মা নেই তো,,,,,,,রান্নাবান্নাটাই আগে শিখতে হয়েছে।
আমার কথা শুনে কোনো কথা বাড়ালেন না উনি। আনভীরের বাবা উৎফুল্ল গলায় বললেন,,
-তাহলে নাস্তা বানাও তুমি। আজ তোমার হাতের রান্নাটা একটু খেয়ে দেখবো।’
আমি রান্নাঘরের দিকে আগ বাড়াতেই সেলিনা বেগম বললেন,,
-‘নুড়ীকে ডেকে দিচ্ছি আমি। সে তোমায় সাহায্য করবেনে।’
আমি মাথা নাড়ালাম এবার। উনি রূঢ় হলেও যথেষ্ট যত্নশীল এই বিষয়টি মানতে হবে।
.
.
সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি, আলু ভাজি, ডিম পোচ আর সবজি রান্না করলাম আমি। নুড়ী আপা আমাকে এক্ষেতে সাহায্য করেছে অনেক। এবাড়ির বিশ্বস্ত কাজের মানুষ উনি। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর এখানেই কাজ করছেন বছরখানেক ধরে। অল্পসময়েই উনার সাথে সখ্যতা হয়ে গেলো আমার। বলতে গেলে উনি ভারী মজার মানুষ। তবে কাজকর্মে শ’খানেক ভুল করেন বিধায় প্রায়ই আনভীরের মা’র কাছে বকা খেতে হয়। মাঝে মাঝে শিউলি ভাবি যে উনাকে বাঁচান সে বিষয়টাও বলেছে।এরই মধ্যে কাজ শেষ করার পর সে আটার বাক্সটা উপরের তাকে রাখতে যাবে অসাবধানতায় হাত পিছলে আমার ওপর ফেলে দিলো তা। আমার পুরো শরীর আটায় মাখামাখি এবার। শিউলি ভাবে ইতিমধ্যে এসে আমায় এ অবস্থায় দেখে তো ফিক করে হেসে দিলেন। তারপর নুড়ীকে বললেন,,,
–নুড়ী আপা। আজ যে ভুল করছেন….মা কেন ; বাবাই আপনাকে বরখাস্ত করবে।আটা ফালানোর জন্য নতুন বৌকেই পাইলেন?
-আফা আমারে মাফ কইরা দেন !
আমার উদ্দেশ্যে উনি কথাটি বলতেই আমি বলে উঠলাম,,
-থাক! আমার কাছে মাফ চেতে হবে না। আমি এসব সাফ করে আসছি।
বলেই আমি রান্নাঘর ছেড়ে রুমের দিকে চলে গেলাম। আনভীর এখনও ঘুমাচ্ছেন। আমি এবার তাড়াতাড়ি জামাকাপড় নিয়ে চলে গেলাম বাথরুমে। গোসল সেরে এসে শরীরটা হালকা লাগছে এখন।তাছাড়া গরম আর আটার চাপে নিজেকে কোনো জোকারের থেকে কম মনে হচ্ছিলো না। আমি একটা নীল শাড়ি পড়লাম এবার। কালো ব্লাউজের সাথে নীল শাড়িটা সুন্দরই মানিয়েছে। আয়নায় দাঁড়িয়ে চুল ভালোমতো মুছার চেষ্টা করলাম আমি। আর যাই হোক চুলে টপটপ করে পানি পড়ার মতো বিদঘুটে জিনিস আমার কাছে আর হয়না। চুল মুছছিলাম হঠাৎই পেছন থেকে কেউ চেচিয়ে বলে উঠলো,,,
-এইযে চুলে যত্নবান নারী ! চুলে তো ভালোই নজর দিচ্ছেন,,,এইদিকে শাড়ির কুচি যে খুলে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল আছে? ইয়া খোদা ! প্রথমদিনই এই অবস্থা। পরে আবার কি খুলে টুলে যাবে আল্লাহ মালুম !
.
.
.
~চলবে…..ইনশাআল্লাহ
ভুলক্রুটি ক্ষমাসুলভ চোখে দেখবেন।