#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১০
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের অন্ধকার নেমেছে।
মেঘ এখনো আমানের বাহুডোরে বন্দি আছে।
চোখ তুলে আমানের দিকে তাকায়।
টিপ টিপ লাল আলোতে ছেলেটা ফর্সা মুখটা ফুটে উঠেছে,
ছেলেটদ এতো সুন্দর কেন তা মেঘের জানা নেই।
হয়ত আলাদা একটা ভালোলাগা কাজ করছে ভেতরে ভেতরে কিন্তু এই ভালোলাগার নাম কি তা জানা নেই মেঘের।
আমানের চুল গুলো তার মুখের উপর পরেছে,
একটদ দুটো।
রাতের আকাশের উজ্জ্বল তারার মতো মেঘের চোখ দুটোও জ্বলজ্বল করছে,
যদি মেঘের দুনিয়ায় কোন মহাকাশ থাকে তবে আমান হলো সেখানের সব থেকে উজ্জ্বল তারা।
মেঘের জানা নেই ঠিক সত্যি কি হবে ২ বছর পর।
সত্যি কি এই মানুষ টার দেখা আর সে পাবে না।
মুহুর্ত গুলো এখানে কেন থমকে যায় না।।
তাহলে আর সময় কাটবে না আর কখনো সেই সময় আসবেও না।
আমানের চোখ গুলো আর বাচ্চামি সভাব সব যেন একটা আরেক দুনিয়ার কথা।
ও সব সময় ক্লিন সেভে থাকে তাই মনে হয় ছেলে টা আজও বাচ্চা সেই ১৬-১৭ বছর বয়সে আছে।
মেঘ হালকা করে নিজেকে আমান থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে ।
কিন্তু আমান মেঘকে আরও জড়িয়ে নেয়।
মেঘ আবার চেষ্টা করতে আমান চোখ খুলে মেঘের মুখের কাছে মুখ নিয়ে যায়।
আমানের গরম নিশ্বাস মেঘের গালকে স্পর্শ করছে বার বার।
মেঘ কেঁপে উঠছে বার বার।
–ভিশন লজ্জাবতী তুমি ( আস্তে করে মেঘের কানের কাছে মুখ নিয়ে )
মেঘ যেন আরো বেশি কেঁপে ওঠে,
আমান কথাটা বলে মেঘের থেকে সরে আসে।
মেঘ উঠে ওয়াসরুমে চলে যায়।
–আমি জানি তুমি কি ভাবছো।
ছেলেটা তোমায় এতো ভালোবাসে তবে এমন ডিল করলো কেন?
ও যদি তোমায় দুরে ঠেলে দেয় তবে এতো কাছে টানে কেন?
আমি জানি তোমার মনে অনেক প্রশ্ন প্রিয়।
কিন্তু বিশ্বাস করো আমিও হেল্পলেস।
জীবনে কখনো এমন বোধ -হয় নি যা তোমার কষ্ট দেখে হয়।
ভেতরে ভেতরে ভেঙে যাই আমি।। কিন্তু আমি কিছু করতে পারি না।
এই জীবনে প্রথম এতো হেল্প লেস আমি।
সত্যি আমি হেল্পলেস মেঘ।
কিন্তু কথা দিচ্ছি তোমায় সব সময় আগলে রাখবো।
কখনো কষ্ট পেতে দিবো না।
অনেক কিছু হারিয়ে তোমায় পেয়েছি।
তুমি না থাকলে হয়ত আমার পৃথিবীতে কোন ভালোবাসার অস্তিত্ব থাকতো না।
বড্ড একা হয়ে গেছিলাম যখন আমার আল্লাহ আমায় তোমাকে দিয়েছে।
ভালোবাসতে শিখিয়েছে।
,
আমান চোখ বন্ধ করে কথা গুলো বলছিল।
হটাৎ ফোনটা বেজে ওঠে।
ফোনটা পিক করতে চোখের রঙ চেঞ্জ হয়ে যায় আমানের।
রক্তবর্ণ ধারন করে।
তার পরে নিজের সার্টা টা পরে বেরিয়ে যায় বাইরে।
মেঘ গোসল সেরে এসে আমান কে না পেয়ে চুল সুখিয়ে নেয়,
–হাম খুদা লেগেছে,
মেঘের পেটে ছুঁচো ডল মারছে
মেঘ নিচে চলে আসে।
–আআ যদি এখন বিরিয়ানি কেউ রান্না করে দিতো কি না মজা হতো
কিন্তু আমার জন্য এখন বিরিয়ানি কে রান্না করবে।
মেঘ সার্ভেন্ট দের দিকে তাকায়।
সবাই যে যার কাজে ব্যাস্ত।
–আহা কষ্ট হয় ওদের কে কি জ্বালানো উচিত।
আর ওরা কি ফেমাস বাংলাদেশি বিরিয়ানি রান্না করতে পারে।
আমি ত গাধি।
তাই এসব ভাবছি।
আপনাও ভাবছেন আমি এগুলো কি ভাবছি আসলে সমস্যা হলো আপনাদের লেখিকা আপু মাঝে মাঝে এমন ভাবে কিন্তু সে নিজে রান্না জানলেও বিরিয়ানি রান্না করতে পারে না।
তাই খেতে ইচ্ছে হলে মাকে বার বার রিকোয়েস্ট করতে হয়।
যাই হোক গল্পে ফেরা যাক।
,
–সমস্যা নাই you tube দেখে আজ বিরিয়ানি বানাবো
মেঘ শুরু করে দেয় কাজ
মেঘকে কাজ করতে দেখে সার্ভেন্ট রা এগিয়ে আসে,
–mam may I help you.
what arw you doing now.
please tell me.
i will help you. or i can do the work.
–no It’s ok but you can help me,
actually now I made a famous Bangladeshi dish witch called biriyani.
–o ok mam
সার্ভেন্ট দের সাহায্য দ্বারা মেঘ রান্না করতে সক্ষম হয়।
রান্না করে আমানের কথা মনে পরে
–আচ্ছা উনি কোথায় গেল।
আমায় কেন কিছু বলে গেল না।
মেঘ আমান কে ফোন করে কিন্তু কলটা বার বার কেটে আসছিল
আমানের ফোনে জাচ্ছিল না।
মেঘ চিন্তায় পরে যায়।
–কি হলো হটাৎ এমন ত ও কখনো করে না।
ও মিটিং এর সময় ও আমার ফেন পিক করে,
মেঘ আমানের গার্ড কে ফেন করে।
কিন্তু ফলাফল শূন্য।
কেউই ফেন তুলছে না।
মেঘ বেশ চিন্তায় পরে যায়।
চিন্তার জন্য খাওয়ার কথাও ভুলে যায়।
কেটে যায় ২ ঘন্টা।
আমানেী কোন খোঁজ নেই মেঘ অফিসে খোজ নিয়েছে আমান সেখানে নেই।
মেঘ বুঝতে পারছে না কি হলো।
হটাৎ মেঘের ফোনে কোন অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে,
মেঘ ফোনটা পিক করতে ওপাশ থেকে এক জন বলে ওঠে,
—Mrs. Khan, please go to the secluded street next to your house without further ado, otherwise you will not be able to save your husband. .
আর কথা শেষ করেই ফেন কেটে দেয় মেঘকে কিছু না বলতে দিয়ে।
মেঘ উত্তেজিত হয়ে পরে।
কি হলো এগুলো।
মেঘ দৌড়ে বাসার বাইরে চলে আসে,
বাসার কাছেই যে নিরিবিলি রাস্তা।
সেখানে যেতেই কেউ মেঘের মুখ পেছন থেকে রোমাল দিয়ে আঁটকে ধরে।
মেঘ নড়াচড়া করতে থাকে কিন্তু লোকটা মেঘকে ছাড়ে না যতোক্ষণ না মেঘের সেন্স হারায়।
লোকটা মেঘকে গাড়িতে তুলে কাকে একটা ফোন করে,
–ম্যাম ডান।
মিসেস খান এখন আমাদের কবলে,
ওপাশ থেকে,
–গুড ভেরি গুড।
এখন ওকে নিয়ে বেধে রাখ।
আর আমান৷ কে কল কর।
–জি ম্যাম।
–আর শুন ওকে তোরা সুট করবি আমানের সামনে যাতে আমান মেঘের মৃত্যু নিজের চোখের সামনে দেখতে পারে আর আবার সেই যন্ত্রণা ভোগ করে যা আমি ওকে দিতে চাই।
–ওকে ম্যাম।
মেঘকে একটা দুরবর্তী রাস্তায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে,
আমানের ফোনটা হটাৎ চুরি হয়ে যায় সাথে আমানের গার্ড দেরও।
হটাৎ এমন এক সাথে হওয়াতে আমানের বেশ অদ্ভুত লাগে।
বেশ বুঝতে পারছে মেঘের সাথে কিছু হতে চলেছে।
কিন্তু আমান যেখানে গেছিল সেখান থেকে ফিরতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগবে।
আমান দ্রুত ড্রাইভ করছিল তখন তার সিক্রেট ফোন যেটা আমান শুধু মাত্র ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করে এটার নাম্বার মেঘের কাছেও নেই।
সেই ফেনে একটা ভিডিও আসে।
আমান ফোনটা হাতে দেখতে পায় মেঘকে।
মেঘের এমন অবস্থা দেখে আমানের গাড়ওটা হটাৎ ই কন্ট্রোল হিন হয়ে যায়।
নিজেকে সমলে অনেক জোরে ব্রেক চেপে গাড়িটা আয়ত্তে আনে।
গার্ড রা গাড়ি থামিয়ে আমানের কাছে চলে আসে।
–sir are you ok.
–no.
মেঘ বিপদে,
–বাট স্যার ম্যাম কে ত,
–বাসার দিকে অগ্রসর হও জলদি।
ওরা আমার স্ত্রী কে মেরে ফেলবে।
আমান চিৎকার করে বলে সবাই আমানের কথায় দ্রুত নিজেদের অবস্থান ঠিক করে।
আমান এর গাঠি তার একটা গার্ড চালায়,
আমান পেছনে বসে,
ড্রাইভ করার মতো অবস্থা নেই তার,
চলবে,