#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১৫
রিমি উঠে মাকে খুঁজতে থাকে, টেবিলে উকিলের সাথে বসে কথা বলছে,
— মা এগুলো কি হচ্ছে?
— আমি তোমার মা না।
— কেন মা কি হয়েছে।
বাবা কাঁদছে তুমি এগুলো বলছো কি হয়েছে।
— কিছু না।
— মা কি হয়েছে টা কি?
— কিছু না তুই যা বাবার কাছে যা আর মা মা করিস না।
— মা প্লিজ বলো কিছু।
— না মা বলিস না।
রিমি বাবার কাছে আসে ,
— বাবা কিছু বলো ।
আজিজ রহমান কাঁদছেন,
— বাবা বলো না ,
— তোর মা আর তোদের দয়িত্ব নিবে না তার অবসর লাগবে রে মা ,
— কি বলছো বাবা এগুলো,।মা তুমি মা প্লিজ মা তুমি এরকম করো না ।
তুমি চলে গেলে কি নিয়ে থাকবো আমরা।
ও মা প্লিজ,
রিমি ত মাহিমা রহমান কে নিকের মাই মনে করে,
কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে।
নিজের মা ওর সাথে এমনটা করবে এটা সত্যি আসা করা যায় না।
সত্যি কি মাহিমা রহমান এমনটা করলো অংক কেমন ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে কিছুই মিলছে না,
– – ও মা কথা বলো,।
মাহিমা রহমান আর কোন কথা বললো না,
সে সাইন করে পেপার টা ছুড়ে চলে এলো বাসা থেকে বাইরে,
রিমি কার্টুন এর মতো দাঁড়িয়ে রয়,
এটা কি তার মা,
আদও কি মা এমন করতে পারে।
পারলেও কিভাবে পারে কিছুই বুঝতে পারছে না রিমি,
কষ্ট হচ্ছে ভিশন,
বাবার হাটুর কাছে গিয়ে বসে,
রিমি,
— সত্যি বলো ত বাবা কি হয়েছে বাবা বলো না,
— কিছুই হয় নি রে মা ।
তোদের কপালে মায়ের ভালোবাসা নেই,
— বাবা,
— মাহিমা তোর আসল মা নয়,
— মানে,
— মাহিমা কে বিয়ে করেছিলাম যখন তোর বয়স মাত্র ১ বছর আর মেঘের বয়স ৪ বছর,
— মেঘ আপু জানত এটা ?
— হ্যাঁ ও জানত ।
— তবে আমায় কখনো বলে নি কেন ?
— কারন ও চায় নি তুই কখনো মাহিমা কে পর করে দেখ,
ও সব জেনেও চুপচাপ মাহিমাকে ভালোবেসেছে,
মাহিমা যে তোদের কম ভালোবেসেছে তা না৷।
কিন্তু আমি কখনো বুঝি নি ও তোদের হিংসা করে,
ভিশন হিংসা করে,
— বাবা মা হিংসা করে আমাদে র ?
— হ্যাঁ হিংসা করে ,
— বাবা ,
— এটাই সত্যি মা ,
তোরা ভালো আছিস তাই সেও ভালো থাকতে চায়,
ও ভালো থাক,
আমরাও ভালো থাকার চেষ্টা করি,
রিমি কাপড় পাল্টে রান্না করে বাবাকে খাইয়ে দিলো,
তার পর ঘুম দিতে গেল ,
,
,
,
কোরিয়া ,
মেঘ বসে কোরিয়ান ড্রামা দেখছে
আমান গোসল করে এসে দেখে মেঘ বসে কোরিয়ান ড্রামা দেখছে,
-আমান গিয়ে মেঘের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে,
— কি দেখছো ?
— লিজেন্ড অফ দ্যা ব্লু সি
অনেক সুন্দর এই সিরিজ টা,
–, তাই নাকি ।
— হুম তুমিও দেখো কতো ভালোবাসা দু’জনের মধ্যে ।
— আমিও তোমায় অনেক ভালোবাসি কিন্তু,
,– আমি জানি ।
— সত্যি জানো কতোটা জানো ?
— অনেকটা জানি ।
— মিথ্যা কথা,
— মিথ্যা কেন হবে ( মেঘ ভ্রু কুঁচকে )
— কারন তুমি আমার থেকে শুধু পালাও ৷
— আমি কই পালালাম ।
— আচ্ছা তাহলে তুমি বলছো তুমি পালাও না তাই।
— হ্যাঁ আমি পালাই না ,
— তাহলে দেখা যাক এখন কি করো ,
আমান মেঘ কে কোলে তুলে নে ,
— এ ই কি করছো ।
— তুমি ত বললে পালাও না তাহলে কথা বলছো কেন ।
— আমি কি এসবের কথা বলেছি নাকি ।
— হুস আমার বেবি চাই ,
আমানের মুখে বেবি চাই কথাটা শুনে মেঘের মুখের হাসি উধাও হয়ে গেল
আমান বুঝতে পারলো মেঘের মনের কথা ,
তাও না বুঝার ভান করে মেঘকে নিয়ে রুমে গেল ,
দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেঘের উপর শুয়ে পরলো,
— কি হচ্ছে ?
— ভালোবাসি বউ টাকে ,
— হুম হয়ত ।
— কেন কোন সন্দেহ আছে নাকি ?
— জানা নেই আমার ।
আমার অন্তর আত্মা আর আমার অবস্থা দুইটা আমাকে দুই রকম কথা বলে,
আমি কিছুটা দোমুখো হয়ে আছি ।
— মেঘ ,
— জি ।
— আমান মেঘকে অনেক ভালোবাসে এটা তুমি সত্যি জানো না ।
— হুম জানি ত ।
আমান তার স্ত্রী এর সন্তান কে বেশি চায়।
আমান মেঘকে আর কথা বলতে না দিয়ে ঠোঁট দুটো আঁকড়ে ধরে ,
তলিয়ে যায় ভালোবাসার এক মহা সাগরে ,
,
,
বাংলাদেশে ,
রিমি বাবার সাথে বেলকনি তে বসে আছে চারিদিকে পিনপিন নিরবতা ,
রিমি কেন জানি না এখনো বোধহয় স্বপ্ন দেখছে তাই মনে হচ্ছে তার ,
— বাবা ।
— হ্যাঁ মা ।
— আমার মা কেন মারা গেছিল
শোন তবে ,
অতিত ,
— আজিজ তুমি কই আজিজ ,
— হ্যাঁ এইত আমি ত তৈরি ,
— তুমি ত বেশি সময় লাগাও রেডি হতে ,
— আচ্ছা চলো দেখি যাওয়া জাক ।
— বাবা আমি বনুকে কোলে নিবো । ( মেঘ )
ছোট্ট মেঘের আবদার শুনে আজিজ রহমান তাকে কোলে তুলে নেয়,
— ও আমার মেঘ শোনা বোনুকে কোলে নিবে ।
কিন্তু আমার মেঘ ত নিজেই একটা বাচ্চা ।
— বাবা আমি কি এখনো বাচ্চা ।
— হ্যাঁ মা ।
— তাহলে চাচ্চু সেদিন বলল কেন মেঘ মা বড়ো হয়ে গেছে ,
, — ও আমার মেঘ শোনা সেটা ত এমনি বলেছিল কারন সে তোমায় ছোট থাকতে দেখেছিল না কিন্তু এখন ত তুমি ছোট থেকে বড়ো হয়েছো তাই না ।
— হ্যাঁ তা ত হয়েছি ।
— চাচ্চু সেটার কথাই বলেছিল ।
— ও আচ্ছা।
— হুম চলো এখন যাওয়া যাক ।
অরিন বেগম ( মেঘে আর রিমির আসল মা )
এগিয়ে এলো রিমিকে কোলে নিয়ে ,
– -চলো আজিজ ,
— হ্যাঁ চলো ,
তারা আসলে সুন্দর বন যাবার জন্য রওনা হচ্ছে,
রিমির জন্ম হবার পর আসলে তেমন কোথাও যাওয়া হয় নি কিন্তু এখন যাবে,
ঘুরতে যাবে।
সুন্দর বন যাবার পর সবি ভালো ভাবে হয়,
সুন্দর করে ঘুরে ফিরে ছবি তুলে আসে তারা,
কিন্তু হটাৎ করে আসার সময় অরিন বেগম আইসক্রিম দেখে,
মেঘ বায়না করছিল আইসক্রিম খাবে আইসক্রিম আনতে গিয়ে আসার সমশ হটাৎ একটা এক্সিডেন্টে,
সবি পাল্টে যায়,
রিমি একা হয়ে যায়।
সবি শূন্য হয়ে যায়।
কিন্তু আজিজ রহমান মেয়েদের শুখের জন্য অরিনের বান্ধবী মাহিমা কে বিয়ে করে মাহিমার কখনো বাচ্চা হবে না।
তাই মাহিমা রহমান আজিজ রহমান কে বিয়ে করে মেঘ আর রিমিকে নিজের সন্তান এর মতো মানুষ করবে বলে,
এটা মেঘ জানলেও কখনো রিমিকে জানতে দেয় নি,
মাহিমা রহমান কখনো তেমন খারাপ ব্যবহার ও করে নি।
চলবে,