কল্পনায় হলেও শুধু আমারি থেকো💖 পর্ব ১৪

#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১৪
আমান নিজে খায় মেঘকে খাইয়ে দেয়।
তার পর মেঘকে বুকে নিয়ে শুয়ে পরে,
সারা দিনের ক্লান্তি দুর হয়ে যাচ্ছে আমানের।
–একটা কথা বলব?(মেঘ)
–হুম বলো।
–তুমি কি আমায় ভালোবাসো আমান?
হটাৎ এই প্রশ্নে আমান মেঘের দিকে তাকয়,
–কেন বলে ত।
–সত্যি বলো।
–হুম বাসি।
–তাহলে বিয়ের আগের শর্ত টা কেন ছিল?
–মেঘ এখন সময় নয়।
–না আমান এখনি সময় আমায় বলো,
–মেঘ এখন তুমি অসুস্থ,
–আমি সুস্থ আমান আমায় বলো প্লিজ বলো
–মেঘ এটা সময় নয়।
–তাহলে কবে সময় হবে?
আমি মরে গেলে?
মেঘের মুখে এমন কথা শুনে আমান মেঘের মুখ চেপে ধরে,
আমান মেঘের দিকে ছলছল দৃষ্টিতে তকিয়ে আছে,
–কি বলছো এগুলো?
–সত্যি ই বলছি কবে সময় হবে বলো সময় কি আদও হবে?
কখনো হবে?
আমাদ ত মনে হচ্ছে না হবে।
–মেঘ কেঁদো না।
–আমি কাঁদছি না যদি কষ্ট দেওয়ার ই হয় তবে আমায় আজি বেরিয়ে দিন আপনার জীবনের থেকে।
প্লিজ মায়ায় জড়িয়ে আমার থেকে আমার বাচ্চা কে কেড়ে নিয়ে তার পর আমায় নিশ্ব করবেন না সহ্য করতে পারবো না।
আমান মেঘের কথা গুলো খেয়াল দিয়ে শুনছে,
মেয়েটার প্রতিটা কথায় লুকিয়ে আছে কষ্ট,
আমান মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
–বলতে পারবো এই মুহুর্তে কিছু চাইলেও পারবো না।
আমান মনে মনে কথাটা বলে,
মেঘ কাঁদছে আমান মেঘের ঠোঁট জোড়া আঁকড়ে ধরে,
হটাৎ এমন কাজে মেঘ কিছুটা বেবদ বনে যায়,
বেশ কিছুটা সময় পর আমান সরে আসে,
মেঘ নিশ্বাস নেয়,
–এক দিন বুঝতে পারবে সব কিছু,
আমান তলিয়ে যায় মেঘের সাথে ভালোবাসার এক অন্য জগতে।
,
,
,
বাংলাদেশে,
মাহিমা রহমান খাবার রান্ন করে আজিজ রহমান কে খাইয়ে দিচ্ছেন।
আর কিছু একটা বক বক করছেন,
,–,এই অশান্তি আর ভালো লাগে না তোমার সাথে সংসার করে আমি সত্যি অসহ্য ধরে গেছে,
সত্যি অসহ্য তুমি।
কেন পারো না নিজের কজ নিজে করতে।
মেয়ে দুইটাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছো।
মেয়ে দুইটা তো শুখেই আছে।
আমার কপালে ত শুখ নাই তোমার মতো জামাই থাকতে শুখ থাকতে পারে বলো।
কিভাবে শুখ থাকবে তোমার মতো কেউ জীবনে থাকলে।
মেঘকে দেখ বাজিমাত করে দিচ্ছে আর আমি এখানে বসে বসে গুরুর ঘাস কাটছি,
–তুমি কি নিজের মেয়েকে হিংসা করো,
খুব কষ্টে আজিজ রহমান কথাটা বলে ওঠে,
–আমার মেয়ে না ও।
তুমি বেশ ভালো করেই জানো তোমার দুইটা মেয়ের একটাও আমার মেয়ে নয় তুমি জানো।
ওরা তোমার মেয়ে।
শুধু মাত্র তোমার,
–মাহিমা।
তুমি এটা বলতে পারলে?
— হ্যাঁ পারলাম বলতে কেন বলতে পারবো না।
আমার বুঝি রাগ নেই।
তোমার মেয়ে দু’টো র কপাল এতো ভালো কিসের জন্য।
,
— মাহিমা আমি কখনো বুঝি নি তুমি এমন করবে।
তোমায় আমি শুধুমাত্র আমার মেয়েদের জন্য বিয়ে করেছিলাম।
— তুমি চুপ করো।
মেয়ে মেয়ে মেয়ে।
তোমার মেয়েদের জন্য আমি নিজের জীবনের অর্ধেক দিয়ে দিয়েছি কিন্তু তোমার মেয়েরা এবং তুমি আমায় কি দিয়েছো?
— তুমি কি খারাপ আছো কিসের কষ্ট দিচ্ছি তোমায় আমি?
-+ কষ্ট দিচ্ছো না কিন্তু তোমার মেয়েরা ত আমার থেকে ভালো আছে।
— তোমার এতো হিংসা হয়।
— হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ আমার হয় হিংসা কি করবা বলো এখন।
আমায় ডিভোর্স দিয়ে দেও আমি থাকতে চাই না আর।
— মাহিমা।
— হ্যা তোমার মেয়েদের শুখ নিয়ে তুমি থাকো আমার সন্তান নেই কখনো ছিল না।
— মাহিমা ভুলে যেও না তোমার কখনো সন্তান হবে না এই জন্য তুমি আমায় বিয়ে করেছিলে।
— হ্যাঁ আমি জানি এখন আমি ডিভোর্স চাই।
নাহলে তোমার মেয়েদের জীবন আমি শেষ করে দিবো তুমি জানো তা আমি পারবো।
— মাহিমা তুমি কখনো কিছু চাইলে আমি না করি নি।
— হুম আমি জানি।। —
— তাই আজও না করবো না।
তোমার যা ইচ্ছে করো।
— ঠিক আছে রেডি থাকো,
এদিকে,
কোরিয়া,
রিমি আজ রওনা হচ্ছে।
মেঘের মন খারাপ।
— আপু আবার আসবো বাবার অবস্থা কেমন কি হচ্ছে কিছুই জানি না আর পরিক্ষা গুলো দিয়ে খুব জলদি পার্মানেন্ট আসবো এখানে।
— হুম।
আই মিস উ গুড্ডি।
— আই মিস উ টু বড়ো।
রিমি চলে যায়।
মেঘ আবারো একা।
,
দিন টা বই পড়ে টিভি দেখে গেম খেলে কাটে।
রাতে আমান আসে লোকটা ভিশন টায়ার্ড।
মেঘ আমান কে নিয়ে খেয়ে নেয়,
বেডরুমে,
মেঘ চুল বাঁধছে।
আমান মেঘের খোলা কাঁধের দিকে তাকিয়ে আছে,
মেয়েটাকে যেভাবে দেখা হয় সেভাবে যেন বেশি প্রেমে পড়ে যেতে হয়।
অসম্ভব সুন্দর এই মেয়েটা।
সত্যি ভিশন সুন্দর।
এতো সুন্দর কেন এই মেয়েটা।
আমান মেঘকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।
মেঘের চুলে নাক ডোবায়,
— তোমার চুলে এতো সুন্দর ঘ্রাণ কিসের।
কেন এতো সুন্দর ঘ্রাণ তোমার চুলে।
— স্যাম্পুর ঘ্রাণ ওটা।
— মেঘ।
— হুম৷। –
— চলো আজ কিছু অন্য রকম দেখাই তোমায়।
আমান মেঘকে পাজকোলে তুলে নেয়,
আর সোজা ছাঁদে চলে আসে,
আজ পূর্ন পূর্ণিমা।
চাঁদটা সত্যি অনেক বড়ো।
আমান মেঘ কে নিয়ে ছাঁদে থাকা দোলনায় বসে।
মেঘের কোলে মাথা দিয়ে।
মেঘের হাতটা আমানের মাথায় দেয়,
মেঘ হাত বুলিয়ে দিতে থাকে,
— শান্তি এটাই। (আমান)
— আচ্ছা তাই।
— হ্যাঁ তাই।
চাঁদটা দেখো আমার চাঁদ কে দেখে হিংসা করছে।
ওর থেকে আমার চাঁদ টা বেশি সুন্দর দেখেছো তুমি।
— আচ্ছা তাই।
— হুম।
মেঘ মৃদু হাসছে।
আমানের এই বাচ্চামি সভাব গুলো মেঘের সত্যি ভিশন পছন্দ।
এই দুষ্টুমি।
এই ভালোবাসা গুলো মেঘকে প্রেমে পরতে বাধ্য করে,
কিছুক্ষণ পরে আমান মেঘের কোল থেকে উঠে বসে,
— চলো এখন যাওয়া যাক।
— আরেকটু থাকি। ভালো লাগছে।
— না এখন না।
আমান মেঘকে নিয়ে রুমে চলে আসে,
— আমান তুমি ত আমাকে এভোএট করো কাছে আসবা না৷। —
— আমার বউ এর কাছে আমি আসবো তোমার কি।। —
— আরে আজব।
— আজব নাই সব ভালো।
,
,
,
পরের দিন,
রিমি বাংলাদেশে পৌঁছে যায়,
বাংলাদেশে পৌঁছে বাসায় এসে কিছুটা অবাক হয়।। অনেক মানুষ তাদের বাসায়।
রিমি ভেতরে যায়,
— কি হচ্ছে এখানে?
রিমির বাবার দিকে তাকায়।
বাবা এক কোনে চুপচাপ চোখের জল ফেলছে,
দৌড়ে বাবার কাছে যায়,
— বাবা কি হয়েছে তোমার?
আজিজ রহমান নিশ্চুপ।
— বাবা ও বাবা কি হয়েছে বাবা বলো না।
আজিজ রহমান রিমির হাত ধরে কেঁদে দেয়,
— বাবা মা কই কি হয়েছে বাবা কাঁদছো কেন বাবা৷
রিমি উঠে মাকে খুঁজতে থাকে, টেবিলে উকিলের সাথে বসে কথা বলছে,
— মা এগুলো কি হচ্ছে?
— আমি তোমার মা না।
— কেন মা কি হয়েছে।
বাবা কাঁদছে তুমি এগুলো বলছো কি হয়েছে।
— কিছু না।
— মা কি হয়েছে টা কি?
— কিছু না তুই যা বাবার কাছে যা আর মা মা করিস না।
— মা প্লিজ বলো কিছু।
— না মা বলিস না।
রিমি বাবার কাছে আসে,
— বাবা কিছু বলো।
চলবে,
(আসসালামু আলাইকুম।
আমি অসুর ছিলাম গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখিত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here