#কাঞ্চাসোনা_২
#পর্ব_১২
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
ভোরের মিষ্টি আলোয় চোখ খুলে সকাল বিরক্তমুখে মাথাটা আবারো কম্বলের নিচে ঢুকিয়ে নেয়।পরক্ষণেই মাথা কাত করে ধ্রুবর দিকে ফিরে,ধ্রুবর হাতে এখনো সকালের লম্বা বেনী পেঁচানো,সেই হাতই গালের নিচে দিয়ে খুব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সে। সকাল ধ্রুবর দিকে কাত হয়ে শুয়। ঘুমের মাঝে ধ্রুবকে কি শান্ত লাগছে,অথচ জেগে থাকা অবস্থায় এই লোকটাই সকালকে ক্ষণে ক্ষণে লজ্জা দেয়, কাতর স্বরে ভালোবাসার চোখে তাকায়।সকাল ধ্রুবর ঠোঁটের দিকে তাকায়। তার লজ্জাহীন হয়ে ধ্রুবর ঠোঁট ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে মনে মনে সে নিজেকে শাসায়,এতোটা লজ্জাহীন যে একটা ছেলের ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়ার ইচ্ছে জাগছে!তার মনটা তেড়ে বললো,
‘এই ছেলেটা তোর বর,তার ঠোঁট ছুঁয়ে দিলে কিচ্ছু হবেনা।তুই মোটেই ভ/য় পাস না,ছুঁয়ে দে।’ সকাল নিজের মনো বাসনায় নিজেই লজ্জা পায়।এই ছেলে তো তার মনটাকে লজ্জাহীন বানিয়ে ফেলছে,আগে যা অনুভব হতো না এখন তা অনুভব হয়,ধ্রুবর দিকে তাকালে অকারণেই বুকটা কাঁপে,সারা শরীরে অন্যরকম শিহরণ নেচে বেড়ায়।সকাল অপলক ধ্রুবকে দেখে।এই ভ/য়ংকর দুষ্টু লোকটা তার,একান্তই তার।এটা ভাবতেই সকালের ঠোঁট গলে মিষ্টি হাসির রেখা ফুটে উঠে।সে খুব আস্তে করে ধ্রুবর হাত থেকে তার বেনী খুলে নেয়।ধ্রুব নড়েচড়ে কাত হয়ে শুয়।সকাল তখনো তাকিয়ে আছে।শক্ত সামর্থ্য পেটানো শরীরের গড়ন;পেশীবহুল হাত সকালের নজর কাড়ে।কাত হয়ে শুলেও কাউকে এতোটা ভালো লাগে?সকালের জানা নেই,কিন্তু সে এটা বেশ বুঝতে পারছে,ধ্রুব যেভাবেই থাকুক তার কাছে সুন্দর।প্রিয় মানুষের অগোছালো রূপ যেনো আরো সুন্দর।সকাল কম্বলের নিচে মুখ লুকিয়ে নেয়,ইশ!ধ্রুব এতো সুন্দর কেনো?ধ্রুবকে এতো ভালো লাগে কেনো?সকাল ধীরে ধীরে ধ্রুবর প্রেমে ডুবে যায়,কিশোরী মনে যে প্রেমের নীল আঘাতে শক্ত করে দাগ লেগে যাচ্ছে তা যেনো সকাল বুঝেও বুঝলো না।কম্বল সরিয়ে আস্তে-ধীরে উঠে ফ্রেশ হয়।সকালের বাহিরে যেতে ভ/য় লাগছে,ভ/য়ের মূল কারণ শাহীন।শাহীন যে এখনো বাসায়!সকাল বের হয়,তার বাবা মা যে এসেছে।রান্নাঘরের টুংটাং শব্দ অনুসরণ করে সেদিকে যায়।মনোয়ারা আর তাছলিমা ইতোমধ্যে নাস্তা বানানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।সকালকে দেখে মনোয়ারা হাসলেও তাছলিমার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।মুখভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে সকালকে দেখে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।পাশে দাড়ানো কাজের মেয়ে টুনির কাছে হাতের বেলুন দিয়ে হনহন করে বেরিয়ে যায়।উনার প্রস্থান দেখে সকালের মন খারাপ হয়ে যায়।মনোয়ারা সদ্য পুত্রবধূর মন খারাপের আঁচ চুলায় সেকা রুটির মতোই টের পায়,সকালের হাত ধরে বললো,
“এতো সকালে উঠলি যে?যা আরো শুয়ে থাক।”
মনোয়ারার কথায় সকাল অবাক হয়,ডাগর চোখ মেলে শাশুড়ীর দিকে তাকিয়ে থাকে।বিয়ের পরে সাধারণত প্রায় ঘরেই নতুন বউয়ের ঘুম নিয়ে ঝামেলা হয় কিন্তু তার বেলায় উল্টো কেনো?সকাল মনোয়ারার বোনের মেয়ে বলে?সকালের এমন ভাবমূর্তি দেখে মনোয়ারা সকালের হাতে ঝাকি দিয়ে বললো,
“কি ভাবিস?”
সকাল তার শাশুড়ীর দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমি তোমার বোনের মেয়ে বলেই কি আমার সাথে এই ব্যবহার খালা?”
মনোয়ারা হাতের কাজ থামিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো,
“মানে?”
“মনে করো আমি তোমার বোনের মেয়ে না।অন্য কোনো অচেনা মেয়েকে তোমার ছেলে বিয়ে করে ফেললো তাহলেও কি এভাবে মেনে নিতে?আরো বেলা করে উঠতে বলতে?”
মনোয়ারা হাসে।ঝলমল চোখে সকালকে দেখে।আসলে কথা ঠিক।ধ্রুব যদি অন্য কাউকে এমন হুট করে বিয়ে করে নিয়ে আসতো তাহলে নিশ্চয়ই মনোয়ারা নাখোশ হতো।বউয়ের বেলা করে ঘুম থেকে উঠা নিয়ে ছেলের সাথে একটা তর্কবিতর্ক হতো কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণ প্রথমত মেয়েটা আর কেউ নয় তার আপন বোনের মেয়ে সকাল।
দ্বিতীয়ত সকালকে উনি আগে থেকেই ধ্রুবর জন্য ঠিক করে রেখেছিলো সুতরাং সকালের ব্যাপারে নাখোস হওয়ার কোনো কারণই নেই।সে সকালকে বললো,
“ভালো প্রশ্ন;তোর জায়গায় অন্য কেউ হলে আমি বড্ড অখুশি হতাম।একমাত্র ছেলের এমন আচানক বিয়ে করে ফেলা কি মেনে নেয়ার মতো বল?”
সকাল নিজেও বুঝে।মাথা নেড়ে সায় দেয়।মনোয়ারা রুটি ছেকতে ছেকতে বললো,
“কিন্তু নিজের কষ্ট লাগলেও মেনে নিতাম কেনোনা আমার ছেলের পছন্দের গুরুত্ব দেয়াও আমার আবশ্যক।সংসার সে করবে আমি না।”
সকাল মনোয়ারাকে জড়িয়ে ধরে।মিষ্টি করে হেসে বললো,
“তুমি খুব ভালো খালা।”
মনোয়ারা চোখ পাকিয়ে তাকায়।
“এই!খালা কি?তোর আমার সম্পর্ক কি খালা বোনঝির?”
সকাল মিনমিন করে তাকিয়ে বললো,
“খালাই তো।”
“না।আমার একটা মাত্র ছেলে আমারো তো শখ আহ্লাদ আছে ছেলের বউয়ের মুখে আম্মা ডাক শুনতে।আম্মা ডাক।”
সকাল লজ্জামুখে মাথা নিচু করে ফেলে।ছোট থেকে যাকে খালা বলে জানে হঠাৎ করে উনাকে আম্মা কিভাবে বলবে?মনোয়ারা তাড়া দিয়ে বললো,
“কিরে বল।”
“আম্মা।”
মনোয়ারা সকালকে বুকে জড়িয়ে নেয়।সকাল আবার ডাকে আম্মা বলে।মনোয়ারা হাতের আঙুলে থাকা সোনার আংটিটা সকালের হাতে পড়িয়ে দেয়।
“আম্মা ডেকেছিস,এটা হলো শাশুড়ীর থেকে প্রথম উপহার।”
সকাল হাতের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে।তারপর বললো,
“আম্মা;আমি কিছু করি?”
“না। কিছু করতে হবেনা।রুমে যা।”
সকাল কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রুমের দিকে পা বাড়ায়।ডাইনিং রুমে এসে তার পা থমকে দাঁড়ায়,গলা শুকিয়ে হয় কাঠ।শাহীন ডাইনিং এর পাশে দাঁড়িয়ে পানি খাচ্ছে।সকাল পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে শাহীন আস্তে করে বললো,
“বাসর করে ফেলেছো?”
সকাল থমকে যায়,দম আটকে আসে।মাথা ঘুরিয়ে শাহীনকে একপলক দেখে ঘৃণায় মুখ কুচকে আসতে চায়।ইচ্ছা করে কিছু কটু কথা বলতে কিন্তু মন্দ লোকের মন্দ কথায় তাল মিলিয়ে গলা বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। চুপ করে চলে যেতে নিলে শাহীন আবারো বলে,
“আমার থেকেও বেশী আদর করেছে নাকি?আমার আদরের টেস্ট একবার নিতে।”
এবার সকাল আর চুপ করে থাকতে পারলোনা।মাথা ঘুরিয়ে সকাল শাহীনের দিকে ফিরে বললো,
“আপনার থেকে কম আর বেশী যেমনি আদর করুক কিন্তু আপনার মতো জানো/য়ার না।কালকে এতো কিছু হওয়ার পরেও যদি আপনার শিক্ষা না হয় আর কিছুতেই শিক্ষা হবেনা।”
শাহীন কিছু বলার আগেই সকাল ঝটপট রুমে চলে যায়।শাহীনের সাথে কথা বলতেও তার রুচিতে বাধে।
শাহীন অপলক সকালের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে,এইটুকু মেয়ে তাকে এভাবে কথা বললো!পছন্দের মেয়ে যখন অন্যকারো রুমে ঢুকে যায় তখন কেমন লাগে?তার ইচ্ছা করছে সকাল কে মাথায় তুলে আছাড় দিয়ে ফেলে দিতে।সে দাঁত কিড়মিড়িয়ে রুমের দিকে পা বাড়ায়।
সকাল রুমে এসে বুকে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করে।ধ্রুব তখনো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।সকাল বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়।আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শাহীন চলে যাবে,শাহীন চলে গেলেই সকাল শান্তি পাবে।আর যাই হোক কোনো অ/সভ্য লোক নিয়ে তো আর এক বাসায় থাকা যায় না।সকাল অন্যমনস্ক হয়ে ভোরের আদুরে কুয়াশা দেখে।শহরে গ্রামের মতো এতো ঘন কুয়াশা পরে না,কুয়াশার দিকে তাকিয়েই সকাল গ্রামকে মিস করে।হঠাৎ উপলব্ধি করে পাশে কেউ দাঁড়িয়ে।সকাল মাথা ঘুরাতে চাইলেও ঘুরাতে পারে না।ধ্রুব দুই দিকে দুই হাত দিয়ে তাকে বন্দী করে ফেলেছে।সকাল মুচকি হাসে।অসামান্য ভাবে তার বুকে মাদল বেজে যায়।ধ্রুবর দিকে না তাকিয়েই আমতা আমতা করে বললো,
“আমার না একটু কাজ আছে।সরুন।”
সকালের অহেতুক বাহানায় ধ্রুব হাসে,
“আমার থেকে ইমপোর্টেন্ট কি কাজ?”
ধ্রুব কিছুটা সকালের দিকে চেপে আসে।সকাল চোখ বন্ধ করে নেয়।ধ্রুবকে ভালো লাগে ঠিক কিন্তু কাছে আসলেও ভ/য় লাগে,অনুভূতির তোপে বুক কাঁপে।সে মাথা ঝুকিয়ে বললো,
“রান্নাঘরে যাবো।”
ধ্রুব সকালের কাঁপা গলার কথা শুনে হাসে।হাতের কাপন দেখে বললো,
“এখন না গেলেও হবে।”
সকাল চুপ হয়ে যায়।মাথা নিচু করে রাখে।ধ্রুব সকালের কাপাকাপি দেখে বললো,
“তোমার কি মৃগী রোগ আছে?”
সকাল চমকে যায়।মাথা ঘুরিয়ে ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে বললো,
“মানে?”
“এই যে আমি কাছে আসলেই এমন কাঁপতে থাকো।মনে হয় আমি কোনো জলন্ত আগুনের লাভা,কাছে গেলেই ঝলসে যাবে।”
সকাল মাথা নিচু করে নেয়।সে কিভাবে বলবে যে ধ্রুব আসলেই আগুন,যে আগুন কাছে আসলে সকালের অন্তর আত্মা কেমন তর অচেনা আগুনে পু/ড়ে যায়,যে আগুনের তাপ সয়া যায় না নেয়া যায় না কিন্তু তাপের জ্বালাপোড়া অনুভব করতে ভালো লাগে।সকাল মনের এই টানাপোড়নে বেশ বিরক্ত।ধ্রুব সকালের নিশ্চুপতা দেখে বললো,
“কিছু বলছো না যে।”
“কি বলবো?”
“তোমার বর কি আগুন?”
সকাল মাথা নেড়ে বললো,
“না।”
ধ্রুব সকালের দিকে আরো খানিকটা চেপে আসে।আস্তে করে বললো,
“তাহলে এভাবে পিছলাও কেনো?হ্যাঁ!”
ধ্রুবর গায়ের স্পর্শ পেয়ে সকাল ঠোঁট সামান্য ফাকা করে শ্বাস ফেলে।গলায় সামান্য জোড় এনে বললো,
“আপনি এতো খারাপ?”
ধ্রুব জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,
“বেশী খারাপ?একদম বেশী?”
সকাল বুঝলো ধ্রুব মানুষটা বেশ দুষ্ট,এর হাত থেকে ছাড়া পাওয়া মুশকিল তারপরও সামান্য সাহস করে ধ্রুবকে সামনে হাত দেখিয়ে বললো,
“সামনে এটা কি?”
সকালের কথায় ধ্রুব সামনে তাকিয়ে বললো,
“কই?”
ধ্রুবকে ফাঁকি দিয়ে সকাল ছুটে পালিয়ে যায়।সকাল চলে যাবার পরে ধ্রুবর বোধগম্য হয় যে সকাল এখান থেকে চলে যাবার জন্যই তাকে মিথ্যে বলেছে।মুচকি হেসে মাথা চুলকে বললো,
“পালাও পাখি যতো ইচ্ছা পালাও,সময় হলে ঠিক খাচায় আসবা।”
সামির ফোনটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে।মিতুর লাগাতার কলের জ্বালায় সে অতিষ্ঠ।মাথা চুলকে মোবাইলটা বিছানায় ছুড়ে মারে।সে তার নিজের উপর বিরক্ত,আল্লাহর উপরে তার ভিষণ রাগ,তার জীবনটাই কেনো এমন হতে হবে?তার নিয়তি কেনো এতো খারাপ?মিতু ম্যাসেজ পাঠিয়েছে।সামির মোবাইলটা হাতে নেয়।
“সামির ভাই,আমার দম আটকে আসছে প্লিজ একটু কথা বলেন।”
সামির কিছুক্ষণ দম আটকে বসে থাকে।বাচ্চার বাচ্চামিতে সায় দেয়ার বয়স বা পরিস্থিতি কোনোটাই সামিরের নেই,কিন্তু মিতুর বাচ্চামিতে সায় দিতে তার ইচ্ছা করে।মিতুর নাম্বারটায় গিয়ে ডায়াল করে।মিতু ফোন ধরেই বললো,
“ওই…”
সামিরের বুকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়।মিতুর গলা শুনে চোখজোড়া আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়।আস্তে করে বললো,
“এতো ফোন দিচ্ছো কেনো মিতু?কি চাই আমার কাছে?এতো জ্বালাইয়ো না প্লিজ।”
মিতু ফুপিয়ে উঠে বললো,
“ফোন ধরেন না কেনো?আমি কতোটা ভ/য় পেয়েছিলাম।”
“আমি তোমার কে যে আমি ফোন না ধরলে ভ/য় পেতে হবে।”
মিতু কিছু না বলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে।
“আপনি বলেন আপনি আমার কে।”
“কেউ না।”
মিতু ফুপিয়ে উঠে বললো,
“আপনি এত্তো পাষাণ।”
“আর জ্বালাইয় না মিতু।প্লিজ।”
মিতু গলা ধরে আসে।
“আমি জ্বালাই?”
“হ্যাঁ।”
“আমি না জ্বালালে আপনি খুশি? ”
“হ্যাঁ।”
“ভালোবাসি বুঝে ফেলেছেন তাই এতো অবহেলা করছেন তাই না?”
সামির কিছু বলে না।সামিরের নিশ্চুপতা দেখে মিতু বললো,
“আপনি আমাকে শুধু একটু ভালোবাসবেন আমি আপনার পায়ের কাছে সর্বসুখ এনে দেবো।প্রমিস।”
সামির ফিসফিস করে বললো,
“আমাকে কষ্ট দিতে এতো ভালো লাগে?”
মিতু হতবাক হয়ে যায়।
“কষ্ট দিলাম কই?”
“এই যে সাতার জানা সত্বেও নদীর পানিতে নামতে পারছিনা।এটা কষ্ট না?আমার নিয়তিটাই খারাপ।”
চলবে,,,,,,,,
” গল্প দেয়ার কথা থাকলেও দিতে পারিনি,আমি জানি আমার পাঠকরা খুবই রেগে আছে।এই যে সব পাখিরা আমি খুবই দুঃখিত।সরি সরি এত্তগুলা সরি হ্যাঁ? “”