#ক্রাশ
#নিহিন_ইলিয়ানা
#শেষ_পর্ব
এরপর অর্পনের আগমন ঘটলো,
জানিনা আমি ওকে মানতে পারবো কিনা,
বা আমার জীবনে কি ঘটতে চলেছে।
সে কি আগের মতই আমাকে ভালবাসে,
নাকি আমাকে এখন আর ভালবাসেনা।
সে আসার পর ঘরোয়া ভাবে দোয়া পড়ানো হলো।
অনুষ্ঠানের কথা ছিলো যদিও,কিন্তু আমি না করায় তা আর হলোনা।
তাছাড়া পরিস্থিতিও তো ভালোনা তাই আনুষ্ঠানিকতা বাদ গেলো আপাতত।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বড় করেই একটা রিসিপশন পার্টির আয়োজন করা লাগবে।
এটা কথা রইলো তাদের পক্ষ থেকে।
যেহেতু অর্পন পরিবারের ছোট ছেলে।
তাছাড়া ওদের আত্মীয়স্বজনও অনেক।
তাদের নিমন্ত্রণ করতে হবে।
অর্পনদের বাসায় এই প্রথম বারের মত আমার পা রাখা।
খুব ইচ্ছে ছিলো নিনিতের বউ সাজার।
কিন্তু বউ সাজাটা ছিলোনা আমার কপালে।
আমার বউ সাজা হয়নি।
সবাই বলেছিলো শাড়ী পরতে,গহনা পরতে।
যেহেতু আমি অর্পনকে মন থেকে গ্রহণই করতে পারিনি সেহেতু সাজবোই বা কার জন্য।
আমি নরমালি সেদিন ওদের বাসায় পা রাখলাম।
কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলে গেছে আমার।
সবাই ভাবছে বাবা মাকে ছেড়ে যাচ্ছি বলে কাঁদছি হয়তো।
কিন্তু আমিতো কাঁদছি নিনিতের কথা ভেবে।যাইহোক তবুও নিনিতের অস্তিত্ব বুকের মাঝেই রেখে শুরু করতে যাচ্ছি কঠিন একটা জীবন।
ওর ভাবী অর্পনের রুমে বসিয়ে দিলো আমায়।
আমি বসে আছি,অর্পন এলো।
তার প্রথম কথা ছিলো,
-ফাইনালি আমার ক্রাশ আমার ঘরে।
জানো,যেদিন প্রথম তোমার ওড়না মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলো আমি তুলে ধরেছিলাম, সেদিনই প্রথম তোমাকে আমার ভালো লাগে।
আর তুমি ভুল বুঝে আমাকে সেদিন থাপ্পড় দিলে।
আসলে সেদিন আমি তোমার ওড়না খারাপ কিছু ভেবে টেনে ধরিনি।
বরং তোমার ওড়না মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলো তাই আমি তুলে ধরেছিলাম।
আর তুমি আমাকে…
-সরি।
-সরি বলতে হবেনা,ওই থাপ্পড়ের জন্যই তো আজ তুমি আমার ঘরে।হা হা হা।
আচ্ছা তুমি এখনো কাঁদছো কেন?
বাসার কথা মনে পড়ছে?
আচ্ছা কালই আমি তোমাকে তোমার বাসায় নিয়ে যাবো।
এখন কান্না থামাও।
আমি যেই পরিবেশে মানুষ হয়েছি,অর্পনদের পরিবেশ তার থেকে একদম ভিন্ন।
তবুও মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি আমি।
এখানে কেউ আম্মুর মত আগলে রাখেনা।
নিনিতের সাথে আমি আর যোগাযোগ করিনি।কি লাভ যোগাযোগ করে ওর কষ্ট বাড়িয়ে।ও বরং জানুক আমি কাউকে পেয়ে ওকে ভুলে গেছি।
হয়তো ও ভালোই আছে।
আমিও হয়তো একদিন এই পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিবো।
কাটছে দিন,এইতো চলছে জীবন।
আর এভাবেই হয়তো চলতে থাকবে।
বিঃদ্রঃসবার অনুরোধে হ্যাপী এন্ডিং দিতে হলো।কেউ নাকি দুঃখের সমাপ্তি চায়না।
তাই সবার অনুরোধই রাখলাম।আরো লিখলে এন্ডিং টা আর হ্যাপী থাকতোনা হয়তো।
যাইহোক,সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সমাপ্ত
I must say I read a great article with pleasure
I think it is a fluent sharing, I will recommend your site to my friends
Thank You so much my dear shell and take my lots of love
দাদা গল্পের সমাপ্তি টা কেমন যেনো কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেলো মেয়েটার মনে অনেক কষ্ট রেখে ওর জীবন টা শুরু হলো
Thanks so much for the blog post.Thanks Again. Great.