চাদোঁয়া মহল পর্ব -২২

#চাঁদোয়া_মহল
পর্বঃ২২
#অত্রি_আকাঙ্ক্ষা

চাঁদোয়া মহলে পা রাখতেই দোয়া মির্জার মন শান্ত হয়ে গেল।ভেবেছিলেন এক মাস ভাইয়ের বাড়িতে কাটিয়ে আসবেন।তা আর হলো কই!দু’সপ্তাহ থেকেই অস্থির হয়ে পড়েছেন।সেই সাথে সবাইকে অস্থির করে তুলেছেন,তাকে চাঁদোয়া মহলে দিয়ে আসার জন্য।অবশেষে ভাইয়ের সাথে সাথে তার ছেলের ঘরের নাতিনকে এক প্রকার তাড়া দিয়ে নিয়েই এসেছেন।এজন্য মোরশেদ খন্দকার ভেতরে ভেতরে খানিকটা চটে আছেন।কতো আদর যত্ন করলেন!তার স্ত্রীকে দিয়ে নিয়ম করে দু’বেলা বোনের পা অবদি মালিশ করালেন!অথচ বোনকে রাখতে পারলেন না।আবার কবে না কবে দেখা হয়?অবশ্য বৃদ্ধ বয়সে মনটা ক্ষণে ক্ষণেই ব্যাকুল হয়ে পড়ে।বেশিদিন কোথাও মন টেকে না!মন কেবল এদিক ওদিক ছুটে বেড়াতে চায়।মোরশেদ খন্দকার দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লেন।বোনকে কি বলবেন?তার নিজেরও তো একই অবস্থা!তাই তো,বোনকে দেখার ভান করে প্রতি মাসে একবার এসে পুরো ঝিল্লিপুর ঘুরে যান।ফার্ম হাউজের মেইন দরজার ওপরে হাত রেখে দোয়া মির্জা ন্যাক ন্যাক করে কেঁদে উঠলেন।এক্সটেরিয়া ফ্রেঞ্চ ডোরটি তার স্বামী চাহান মির্জা কতো শখ করেই না আনিয়েছিলেন!এই দরজা সূদুর রাশিয়া থেকে শিপে করতে আনতে বহুত ঝামেলা পোহাতে হয়েছিলো।স্বচ্ছ কাচের হওয়ায় ভেঙে যাওয়ার ভয় ছিলো!দরজাটির এস্থেটিক ফিচার হলো,আউটসাইডার মানুষটিকে ভেতরে থাকা মানুষটি একদম স্পষ্টভাবে দেখতে পারবে।চাঁদোয়া মহল নিয়ে মানুষটির জল্পনা কল্পনার কোনো শেষ ছিলো না!অথচ চাঁদোয়া মহলে থাকা তো পরের কথা,দেখার সৌভাগ্যও তার হয় নি!এই দরজা আনার দুদিন পরেই তাদের সকলকে ছেড়ে চিরকালের জন্য চলে গেলেন।

মোরশেদ খন্দকার নির্বিকার।তিনি কলিংবেল বাজালেন।দোয়া মির্জার কান্না তার হৃদয় স্পর্শ করতে পারলো না।তার জন্য নতুন কিছু নয়।এসবে তিনি অভ্যস্ত!দু’মিনিট পর কেউ একজন দরজা খুললো।দরজার অপর পাশে চন্দ্ররেখাকে দেখে,দোয়া মির্জা খুশিতে জাপ্টে ধরলেন।

-‘আমার বুবুডা,কেমন আছে?এ কয়েকদিনে আমার কথা কি ভুইলা গেছেন?’

চন্দ্ররেখা কিছু বললো না।তার দৃষ্টি যেয়ে পড়লো মোরশেদ খন্দকারের নাতির ওপর।ছেলেটিকে দেখে রেখার অল্পবয়সী মনে হচ্ছে!কেমন হা করে তাকিয়ে আছে!জীবনের প্রথম কোনো মেয়ে দেখেছে নাকি?রেখা বিরক্ত হলো।দোয়া মির্জাকে আস্তে করে সরিয়ে দিয়ে,ওড়না ভালো করে মাথা সহ পুরো শরীরে জড়িয়ে নিলো।তারপর মোরশেদ খন্দকারের দিকে তাকিয়ে সালাম দিলো।এরপর আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা করলো না।হনহন করে কিচেনে প্রবেশ করলো।চন্দ্ররেখার আচরণে দোয়া মির্জা অবাক হলেন।

-“মাই গড!ইট’স এ হিউম্যান অর ফ্যারি?দাদুভাই মেয়েটা কে?”

দোয়া মির্জা জাহিদের দিকে কটমট করে তাকালেন।ঝাঁঝালো গলায় বললেন,

-“আমার নাতনি,শারাফের বউ।তোর ভাবি।”

ভাবি শব্দটি কানে পৌঁছতেই জাহিদের মুখ চুপসে গেল।ধ্যাত!কি ভেবেছিলো?আর কি হলো?মেয়েটি তার তিন চার বছরের ছোট হবে।একে এখন ভাবী বলে ডাকতে হবে?উফফ….রিডিকুলাস।কিন্তু মেয়েটি মধ্যে কিছু তো একটা ব্যাপার আছে।চোখ দুটো কি শান্ত!

—–

দোয়া মির্জাকে পেয়ে লুবনা,লাইলি হইচই বাঁধিয়ে দিলো।কি দিয়ে,কি করবে!তারা দিশেহারা।হাফিজ মির্জা এসে জাহিদ ও মোরশেদ খন্দকারকে তাদের জিনিস পত্রসহ গেস্ট রুমে নিয়ে গেলেন।তারা দু-তিন দিন এখানেই থাকবেন।এদিকে মোহিনী ও তৃণা মির্জা শ্বাশুড়িকে এতোদিন পরে কাছে পেয়ে খুশিই হলেন বৈকি!সবার সাথে কথা বার্তা শেষ করে দোয়া মির্জা নিজের কক্ষে যেতে চাইলেন।এমন সময় চন্দ্ররেখা কিচেন থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে এলো।

-“আমি আপনাকে রুম অবদি এগিয়ে দিয়ে আসি?”

-“এইডা আবার জিগান লাগে?জলদি চল!”

দোয়া মির্জা হাসি মুখে বললেন।চন্দ্ররেখাকে আগের মতো সবার সাথে মিশতে দেখে, মোহিনী মির্জা মনে মনে আনন্দ পেলেন।সেদিনের পর রেখা তাদের থেকে কেমন যেন দূরে দূরে থাকতো!এমনকি তার মায়ের সাথেও তেমন কথা বলতো না।শারাফের সাথে কথা বললেও,তা যেন মেপে মেপে!তার ছেলেটা এ কয়দিন যেই ছটফট করেছে!মেয়েটার মন ভালো করতে কতো কতো ফন্দি এঁটেছে!আজকে দু’দিন হলো রেখার জড়তা আগের থেকে কমে এসেছে।

কক্ষে প্রবেশ করতে চন্দ্ররেখা দরজা ভিড়িয়ে দিলো।দোয়া মির্জার সামনাসামনি যেয়ে দাঁড়ালো।মনের ভেতরে কথা সাজিয়ে নিলো।তারপর হিমশীতল কন্ঠে বলল,

-“কেন এমন করলে,নানু মণি?সবকিছু জেনে শুনে আমার মায়ের থেকে এতোবছর আমাকে কেন দূরে রাখলে?তুমি চাইলে তো মাকে বোঝাতে পারতে!”

দোয়া মির্জা কয়েক কদম পিঁছিয়ে গেলেন।তিনি যদি ভুল না হয়ে থাকেন তাহলে রেখা তাকে এইমাত্র নানু মণি ডেকেছে।এর মানে কি সব জেনে গেল…..?বাঁহাতে বুক চেপে ধরলেন।রেখার দিকে তাকাতেই তার হৃদয় লাফিয়ে উঠলো।গুনগুনিয়ে কেঁদে দিলেন।চন্দ্ররেখার হাত আঁকড়ে ধরে অস্পষ্ট গলায় বললেন,

-“আমার একটা ভুলে খেসারত যে এতো মানুষকে দিতে হইবে, আমি বুঝতে পারি নাই রে….বুবু।আমার ভুল আমার মাইয়ারে পাথর বানায় দিছে।নিধিরে অনেক বুঝাইছিলাম।মাফ চাইছিলাম যাতে সুধা….।”

দোয়া মির্জার কথার মাঝে ধরাম শব্দ করে দরজা খুলে গেল।দোয়া মির্জা ঝটপট চোখ মুছে চুপ হয়ে গেলেন।শারাফ এগিয়ে এলো।দোয়া মির্জাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলো,

-“কখন এসেছেন দাদি?”

দোয়া মির্জাকে চুপ থাকে দেখে চন্দ্ররেখা শারাফের দিকে তাকিয়ে জবাব দিলো,

-“আধঘন্টা আগেই এসেছেন।”

-“তো দরজা ভিড়িয়ে কি করছিলেন আপনারা?”

-“নানু মণির সাথে জরুরি কথা বলছিলাম।”

শারাফ মৃদু হাসলো।তারপর ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

-“কি এমন জরুরি কথা, একটু শুনি?”

দোয়া মির্জা উত্তর দেওয়ার আগে মোহিনী মির্জা কক্ষে প্রবেশ করলেন।তারপর শারাফকে তাড়া দিতে লাগলেন,

-“তোরা দু’জন কোথাও যেন যাবি?তাহলে এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন!জলদি যেয়ে রেডি হ।সন্ধ্যা তো হয়ে এলো।”

চন্দ্ররেখার বিস্মিত হলো।শ্বাশুড়ির কথা তার বোধগম্য হলো না।কই তাদের তো তেমন কোনো প্লেনিং নেই!শারাফের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাল।শারাফ রেখার সেই দৃষ্টি উপেক্ষা করে,তার মায়ের দিকে শান্ত চাহনি নিক্ষেপ করলো।ছেলের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে মোহিনী মির্জা জীভে কামড় দিলেন।ইসস,বলে ফেলেছেন!আচমকাই দুজনকে ঠেলে রুমের বাহিরে বের করে,দরজা লাগিয়ে দিলেন।এদিকে দোয়া মির্জা নিজের সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে না পারায়,মনে মনে আক্ষেপ করতে লাগলেন।

———-

-“হুট করে আমাকে নতুন শাড়ি পরতে বলে,নিজেও পাঞ্জাবি পরে তৈরি হয়ে গেলেন।কোথায় যাচ্ছি আমরা?কোনো স্পেশাল ফাংশন নাকি?”

শারাফের মৌনতায় চন্দ্ররেখার বিরক্ত হলো।পুনরায় প্রশ্ন করলো,

-“সত্যি করে বলুন তো!আপনার মতলব কি?”

-“আপনাকে ভালোবাসা।”

শারাফ অকপটে জবাব দিলো।চন্দ্ররেখা পাল্টা প্রশ্ন করলো,

-“ভালোবাসলে কেউ কি কখনো কষ্ট দিতে পারে না?”

-“আমি আপনাকে কষ্ট দেই নি।”

-“কষ্ট দেন নি,ঠিক আছে।কিন্তু কিছু জিনিস জেনে বুঝে আড়াল করে গেছেন।আগে সবকিছু ক্লিয়ার করলে হয়তো,আমাদের ডেসটিনেশন আলাদা হতো।”
শারাফ পাল্টা উত্তর করলো না।অহেতুক কথা টেনে সে এই মূহুর্তে নিজের মুড খারাপ করতে চাইছে না।চন্দ্ররেখার কষ্ট যে পুরোপুরি লাঘব হয় নি,সে বুঝতে পারলো।কিছু বলা মানে আগের কথা মনে করিয়ে দেওয়া।এতে তার চন্দ্রপ্সরা আরো দুঃখ পাবে!আর শারাফ এই মূহুর্তে তা একদমই চাচ্ছে না।

গন্তব্যে পৌঁছতেই তারা গাড়ি থেকে বাহিরে বের হলো।আশেপাশের পরিবেশ দেখে চন্দ্ররেখা মুগ্ধ হয়ে গেল।খুব সিম্পল একটা রিসোর্ট।সারি সারি ছোট ছোট কয়েকটি ঘর।ঘর গুলোর দেয়াল কাঠের তৈরি হলেও,ছাদ ছন দিয়ে ডেকোরেট করা।শারাফ চন্দ্ররেখাকে নিয়ে একটি ঘরে প্রবেশ করলো।বাহির থেকে ছোট মনে হলেও,ঘরের ভেতরটা বেশ প্রশস্ত।মিডিয়াম সাইজের বিছানায় গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিছানার পাশে টেবিলের ওপরে একটা কেক।চন্দ্ররেখা সেদিকে এগিয়ে গেল কেকের ওপরের লেখাটি পড়ে,সে বেশ অবাক হলো!সময় যে কতো তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হয়!হঠাৎ শারাফ পেছন থেকে রেখাকে জড়িয়ে ধরলো।কাঁধে মুখ গুঁজে দিলো।চন্দ্ররেখার কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে ফিসফিস করে বললো,

-“হ্যাপি ওয়ান মান্থ অ্যানিভার্সারি,চন্দ্রপ্সরা।আমার হৃদয়ান্ত অভিপ্সা জীবনের আগমনী মাসগুলো যেন আপনাকে পাশে নিয়ে অতিবাহিত করতে পারি।”

স্বামী নামক মানুষটির নিবিড় স্পর্শ পেতে চন্দ্ররেখার শরীর শিরশির করে উঠলো। দেহস্থ কেঁপে উঠতেই পেছনে ঘুরে শারাফকে জড়িয়ে ধরলো।বিড়বিড় করে বলল,

-“আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন!আমার অসুখটা কি একটু সারিয়ে দিবেন?আপন মানুষদের ছলনা আমার হৃদয় জ্বালিয়ে দিয়েছে।অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুই ভুলতে পারছি না।চোখ বুঝতেই অনাদর-অবহেলার দিনগুলোতে তাড়া করে বেড়ায়।”

চন্দ্ররেখার উষ্ণ আলিঙ্গনে শারাফের মনের নিষিদ্ধ অনুভূতিরা জেগে উঠলো।অনুভূতিকে কিছুটা প্রশ্রয় দিতেই তা গাত্রের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে পড়লো।শারাফ চন্দ্ররেখার মুখ আলতোভাবে দু’হাতে ছুঁয়ে দিলো।কপালে ওষ্ঠ বুলিয়ে ফিসফিস করে বললো,

-“আজ না হয় নতুন করে আমার হয়ে যান,কথা দিলাম আপনার সব অসুখ আমি নিজের মাঝে ধারণ করে নিবো।আপনার সমস্ত পীড়াদায়ক স্মৃতি মুছে দিবো।”

চন্দ্ররেখার ঘোর লাগা চোখে শারাফের দিকে তাকাল।শারাফের কন্ঠনালি তপ্ত ওষ্ঠ বুলিয়ে দিলো।একে অপরের চোখে চোখ রাখলো।অনুভূতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিলো।শারাফ রেখাকে নিয়ে গেলো ভালোবাসা অন্বেষণের অচেনা এক রাজ্যে।

—–

-“পরের বার যখন আমাদের ফ্যাক্টরি আর গোডাউন সার্চ করতে আসবেন,মনে করে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে আসবেন।পুলিশ মানুষ এতো বেখেয়ালি হলে চলে নাকি?”

সুধা মির্জার ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি। তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছেন ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান।দু’মাস হয়েছে তিনি ঝিল্লিপুরে ট্রান্সফার হয়েছেন।কিছুদিন আগে এই এলাকায় সংঘটিত ক্রাইম সম্পর্কে ধারণা পেতে,বিগত কয়েকবছরের রেকর্ড চেক করছিলেন।এর মধ্যে একেক পরিবারের নারী,পুরুষ,যুবক সহ মিলিয়ে মোট ২৫ টা আনসলভড মিসিং কেস তার সামনে উঠে আসে।নারী মাত্র দু’জন,পুরুষের সংখ্যাই বেশি!খোঁজ খবর নিয়ে সব কেসের মধ্যে কমন একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেন তিনি।এরা নিরুদ্দেশ হওয়ার কিছুদিন আগে পারিবারিক কোলাহল নিরসনের জন্য ঝিল্লিপুর মহিলা কল্যাণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি সুধা মির্জার কাছে গিয়েছিলেন।সুধা মির্জা অবশ্য আগে সহ সভাপতি ছিলেন।চার বছর হয়েছে তিনি সভাপতি দায়িত্বে এসেছেন।মিসিংদের বেশির ভাগ এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার,ইভটিজিং,রেপের মতো অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো।সুধা মির্জা গ্রামের গণ্যমান্য লোক নিয়ে তাদের জনসম্মুখে যথাযথ শাস্তিও দেন!কিন্তু শাস্তি পাওয়ার কয়দিন পরই এরা উধাও হয়ে যায়।আর আজকে তিনি মির্জা ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন সুধা মির্জার সাথে কিছু আলোচনা করার জন্য। যদিও আলোচনা করে তেমন কোনো তথ্য হাসিল করতে পেরেন নি!সুধা মির্জা বেশ কৌশলের সাথে সব প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।এমনকি মুখের ওপর কয়েকবার অপমানও করে বসেছেন!আলাপের এক পর্যায়ে মশিউর রহমান সবগুলো গোডাউনে তল্লাশি চালানোর কথা জানালে সুধা মির্জা তাকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে আসার কথা বলে।এতেই মশিউর রহমানের মেজাজ বেশ চটে আছে।সুধা মির্জাকে তার কাছে বেশ ধূর্ত স্বভাবের মনে হচ্ছে।চোখের মণিকোঠায় অজস্র রহস্যের সম্ভার।মশিউর রহমান মনে মনে ভাবলেন,

-“এ নারীটিকে নিজের আয়ত্তে আনতে হলে,বেশ প্রস্তুতি নিতে হবে।একে তো প্রভাবশালী তার ওপর গ্রামের অধিকাংশ মানুষের কাছে এই মহিলা দেবীতুল্য।বিশেষ করে অসহায় নারীদের মসীহ!প্রমাণ ছাড়া সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।”

মশিউর রহমান কিছু না বলে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন।তার প্রস্থানের দিকে তাকিয়ে সুধা মির্জার মুখে তাচ্ছিল্য ফুটে উঠলো।

চলবে

আজকের পর্বটা বেশ অগোছালো তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।আপনারা একটু বেশি বেশি কমেন্ট করবেন।ভুলগুলো তুলে ধরবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here