চাদোঁয়া মহল পর্ব -৩২

#চাঁদোয়া_মহল
পর্বঃ৩২
#অত্রি_আকাঙ্ক্ষা
গোটা এক শর্বরী অতিবাহিত হয়ে গেছে।দিনের আলো ফুটেছে। মানুষ যার যার মতো কর্ম চঞ্চলতায় মশগুল।গোডাউনের ভেতরে দিন রাত্রির কোনো ফারাক নেই। বাহিরের রোদ্র উজ্জ্বল পরিবেশের ছিটেফোঁটাও নেই।প্রভাতের আলো গোডাউনের বাহিরের দেয়ালের ওপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ঘুমের ঔষধের রেশ ইতিমধ্যে কাটতে শুরু করেছে।কয়েদীদের অনেকেই উঠে বসেছে।কেউ কেউ হাতের বাঁধন খোলার চেষ্টা করছে,কেউ বা পাথরের মূর্তির মতো বসে আছে।ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে।একা একাই ফিসফিস করছে।সুধা মির্জাকে তার নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে রেখে এসে বজলু।

-“তুমি বাবাকে দেখতে পাচ্ছো না?ভালো করে তাকাও,ওই তো প্রথম সেলের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে।তোমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।”

চন্দ্ররেখার শরীর শিরশির করে উঠলো।অদ্ভুত ভয় জেঁকে বসে আছে।তার মা মৃত একজন মানুষ দেখতে পাচ্ছে।অদ্ভুত ঠেকছে!কোনোভাবেই যেন হজম হচ্ছে না!শীতল পরিবেশের মাঝেও হাত পায়ের তালু ঘেমে যাচ্ছে।পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো।এ নিয়ে চতুর্থ বার!কাউকেই তো দেখতে পাচ্ছে না সে!বজলু অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে।রেখা তার অভিব্যক্তি বুঝতে পারলো। কাঠ কাঠ কন্ঠে বলল,

-“আমি কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না।সেখানে কেউ নেই। ”

নিধি মির্জা বেশ বিরক্তিবোধ করলেন।মাথার চুল দু’হাতে চেপে ধরলেন।কিছু সময় পায়চারি করলেন।তার মন অস্থির হয়ে উঠেছে।শাড়ির আঁচল জমিনে গড়াগড়ি খাচ্ছে।চন্দ্ররেখা ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।তার নিকট এই নিস্তব্ধতা বেশ ভারি ঠেকছে।

-“এখানে আর এক মূহুর্তও না।আমি বাড়ি ফিরতে চাই।আমার দম আঁটকে আসছে।”

নিধি মির্জা পায়চারি থামিয়ে রেখা কাছে এসে দাঁড়ালেন।

-“তাহলে কথা দেও,এই গোডাউন যেভাবে আছে ঠিক সেভাবেই রাখবে।আর যারা অন্যায় করবে তাদের এখানে রেখে শাস্তি দিবে!এতোদিন আমি যেভাবে এই গোডাউন পরিচালনা করেছি,ঠিক একই ভাবে তুমিও এই গোডাউনের সবকিছু সামলাবে।”

-“অসম্ভব।বরং আপনি এদের সবাইকে আজকের মধ্যেই মুক্তি দিবেন।তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইবেন।সেই সাথে আপনার বোনকেও আমাদের সাথে চাঁদোয়া মহলে নিয়ে যাওয়া হবে।”

নিধি মির্জা তেতে উঠলেন।রাগে তার পুরো মুখমণ্ডল লাল হয়ে গেছে।নির্ঘুম রাত্রিযাপন করায় চোখের সাদা অংশ অসম্ভব লাল হয়ে আছে।সেখান থেকে তপ্ত লাভা বের হবে।আর সেই লাভায় চন্দ্ররেখা জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

-“আর ইউ লস্ট ইউর মাইন্ড?তুমি জানো তুমি কি বলছো?এসবের পরিণাম কি হবে,ভেবেছ একবার?আর আমি বাবাকে কি জবাব দিবো?তাকে কথা দিয়েছিলাম আমি।”

-“দিনের পর দিন এতোগুলা মানুষকে বন্দি রেখে,শারীরিক মানসিক কষ্ট দেওয়ার আগে তো আপনি পরিণামের কথা ভাবেন নি!এদের পরিবারের কথা একবারও আপনার মাথায় আসে নি।নিজের মনগড়া আইন দিয়ে মানুষদের কষ্ট দিয়ে এসেছেন।তখন একবারও বুক কাঁপে নি আপনার?মানলাম তারা অন্যায় করেছে,তাই বলে আপনি তাদের শাস্তি দেওয়ার কে?তারা তো আপনার সাথে কোনো অন্যায় করে নি?আর যে অন্যায় করেছে তাকে পাঁচ বছর যাবত শাস্তি দিচ্ছেন।বিন্দু মাত্র কার্পণ্য বোধ ও করেন নি।আর কার কথা যেনো বলছেন?আপনার বাবা!সে আজ থেকে পঁচিশ বছর আগেই মারা গেছে। যিনি একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত লো……..”

–“রেখা।”

নিধি মির্জার চিৎকার করে উঠলেন।অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মেয়ের দিকে।চন্দ্ররেখার মুখনিসৃঃত কটুবাক্য তার হৃদয় জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

-“আমার বাবাকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বললে,ভুলে যাবো তুমি আমার সন্তান।ভেবেছিলাম তুমি অন্তত আমাকে বুঝতে পারবে।আমার অবর্তমানে সব কিছু সামলাতে পারবে।কিন্তু না!আমার ভাবনাতেই ভুল ছিলো।এই মূহুর্তে আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে হলো শারাফ মির্জার স্ত্রী।নিধি মির্জার মেয়ে নও তুমি।আমার মেয়ে এতো দূর্বল হতে পারে না।আমি জানি শারাফই তোমাকে উল্টো পালটা বুঝিয়েছে।সত্যি করে বলো তো এমন কি বলেছে যাতে তোমার ব্রেইন ওয়াশ হয়ে গেছে?”

নোনতা পানি ধারা রেখার গাল ভিজিয়ে দিচ্ছে।তার মা শারাফকে ভুল বুঝছে?যে মানুষটা তাদের মা মেয়েকে এক করতে এতোকিছু করেছে,সেই মানুষটাকে তার মা বিনা কারণে দোষারোপ করছে!আচ্ছা শারাফ কি এই গোডাউনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অবগত?কই কখনো তো রেখাকে এসব বিষয়ে কিছুই বলে নি?চন্দ্ররেখা ডান হাতে দু’চোখের জল মুছে নিলো।নিজের ভঙ্গুর মনকে বোঝালো।অতঃপর নিধি মির্জার দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কন্ঠে বলল,

-“বিয়ের পর একজন মেয়ের স্বামীই তার অভিভাবক।আমি আমার স্বামীকে যথেষ্ট সম্মান করি।আপনি আমার স্বামীর নামে যে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন সেটা আমার একদমই সহ্য হয় নি।আজ থেকে আপনার যা ইচ্ছে আপনি তাই করতে পারেন।আমি বাঁধা দিবো না।কিন্তু আমাকে আর এসবে জড়াবেন না।আমার এসব কিছুই লাগবে না।শারাফকে বলে সবকিছু পুনরায় আপনার নামে করে দিবো।চলি…..”

চন্দ্ররেখা তার অশ্রু ভেজা চোখ দিয়ে বজলুর দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো।যার অর্থ এই মূহুর্তেই দরজা খুলে দিতে হবে।রেখার চাহনিতে বজলু বিহ্বল হয়ে পড়লো।তড়িঘড়ি করে গোডাউনের প্রবেশ পথের সেই বর্ণহীন দেয়ালের দিকে এগিয়ে গেল।এমনকি নিধি মির্জার অনুমতি নেওয়া আবশ্যক মনে করলো না।চন্দ্ররেখা তার মাকে উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়ালো।সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সে আর এখানে থাকবে না।শারাফ ও তার মামা মামীকে বুঝিয়ে তাদের নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।নিধি মির্জা হতভম্ব।সন্তানের এরূপ অগ্রাহ্যতা বোধ হয় তার সহ্য হলো না।পেছন থেকে চন্দ্ররেখার কাঁধ আঁকড়ে ধরলেন।

-“প্লিজ!বোঝার চেষ্টা করো!দেখো বাবা ভীষণ কষ্ট পাবে।কেমন মন খারাপ করে তাকিয়ে আছেন তিনি।আমি বাবার কষ্ট সহ্য করতে পারবো না।যখন তোমার কেউ ছিলে না,তখন একমাত্র বাবা আমার পাশে ছিলেন।আমাকে বাবার কথা রাখতে হবে।তোমাকেও আমার পাশে চাই আমি।এমন করে না মা আমার!কেউ জানবে না,আমি আর তুমি মিলে এখানটা সামলে নিবো…….কেমন?”

নিধি মির্জা মিনতির স্বরে বলে উঠলেন।চোখের কার্নিশ থেকে দুঃখের বৃষ্টি ঝরছে।রেখা একটা কথাও শুনলো না।এমনকি পেছনে ফিরে তার মায়ের দিকে তাকালোও না।হাত ঝাটকা মেরে সরিয়ে দিলো।অতঃপর স্যাঁতস্যাতে দেয়ালের দিয়ে এগিয়ে গেল।বজলু ইতিমধ্যে দেয়াল এক পাশ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।বাহিরের চকচকে আলো গোডাউনে প্রবেশ করলো।বন্দীদের কয়েকজন ছটফট করে উঠলো।কতো বছর পর এই রশ্মির সন্ধান পেলো তারা!রেখা ফাঁকা অংশ দিয়ে বাহিরে বেরিয়ে গেলো।সূর্যের দীপ্তিমান রোশনাই এর মাঝে হারিয়ে গেল। নিধি মির্জা ভগ্ন হৃদয়ে রেখার গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলেন।চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তার।দিকবিদিকশুন্য মনে হচ্ছে। আচমকা মাথা ঘুরে উঠলো।পাশে থাকা চেয়ারে ধপ করে বসে পড়লেন।দু’হাতে মাথার দুপাশ খামচে ধরলেন।সামনে দিকে তাকিয়ে ঘাড় বাঁকালেন নিধি মির্জা।উন্মাদগ্রস্তের ন্যায় বিড়বিড় করে বললেন,

-“আমি ব্যর্থ একজন সন্তান বাবা।তোমার কথা রাখতে পারি নি।আমাকে ক্ষমা করে দিও?”

দূর থেকে বজলু সবই দেখছিলো।সে তো কেবল হুকুমের দাস!চাহান মির্জার কেনা বস্তুও বলা চলে।তাকে আজ অবদি যেই কাজ দেওয়া হয় তিনি নির্দিধায় তা করেছে।ভালো মন্দের বিবেচনা করে নি।আজকে কেন যেন নিজের ওপর প্রশ্ন জাগছে!বিশেষ করে চন্দ্ররেখার সেই শান্ত চাহনি,তার হৃদয়ে পাপ-পূণ্যের এক উত্তাল ঝড় তুলে দিয়েছে।

——

শীতের মিষ্টি রোদকে নিধি মির্জার ভিষণ তেতো লাগছে। নয়টা বেজে গেছে।রেখা চলে গেছে আধঘন্টা হয়ে গেছে।চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন।দেয়ালে থাকা ভাঙা আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে গুছিয়ে নিলেন।সময় নিয়ে গোডাউন থেকে ধীরে সুস্থে বেরিয়ে গেলেন।শারাফের ওপরে তার প্রচন্ড রাগ জমেছে!তিনি নিশ্চিত রেখাকে সেই ভুলভাল কিছু বুঝিয়েছে।মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন। রেখাকে পুনরায় বোঝাবেন।হার মেনে নেওয়া নারীদের মত নন তিনি!মেয়ের জায়গায় অন্য কেউ প্রত্যাখান করলে এতোক্ষণে হয়ত একচোট দেখে নিতেন।কিন্তু এই মেয়ে তো তার সব!একে কষ্ট দেওয়া যাবে না।
—-
অফিস বিল্ডিং এ প্রবেশ করবেন নিধি মির্জা।এমন সময় সাইরেন বাজিয়ে পুলিশের দুটো জীপ মির্জা গ্রুপের বড় গেইট দিয়ে প্রবেশ করলো।নিধি মির্জার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।অসময়ের ঝামেলা মনে হলো!পার্কিং লটে জীপ দুটো পার্ক করে পাঁচ ছয় জন পুলিশ অফিসার ও হাবিলদার নিধি মির্জার সামনাসামনি এসে দাঁড়ালেন।নিধি মির্জা কপাল কুঁচকে বিরক্তিকর চোখে তাকিয়ে আছেন।অফিসারদের মধ্যে মশিউর রহমানও আছেন।নিধি মির্জার দিকে একটি সাদা খাম এগিয়ে দিলেন।মুখে বললেন,

-“শারাফ মির্জাকে সারোয়ার হোসেন হত্যার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে।সেই সাথে এখানে থাকা কোনো এক পরিত্যক্ত গোডাউনে মানুষদের দিনের পর দিন আঁটকে রাখা নিয়ে তিনি নিজ মুখে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।আমরা গোডাউন গুলোতে তল্লাশি চালাবে।আশা করি আপনি কো-অপারেট করবেন।”

নিধি মির্জা বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছেন।তার সারা শরীর কেঁপে উঠলো।নিজের কান দিয়ে শোনা সমস্ত কথা তার মিথ্যা মনে হলো।হতবিহ্বল হয়ে পড়লেন।কাউকে কিছু না বলে গাড়ির দিকে ছুটে গেলেন।

——–

বাড়ির সামনে এতো ভীড় দেখে রেখার বুক মুচড়ে উঠলো।সিএনজিতে কাচুমাচু করে বসে আছে সে।কি হয়েছে বোঝার চেষ্টা করছে!সিএনজিতে বসেই পরনের সুতি ওড়না দিয়ে সারা শরীর ও পাতলা শাল দিয়ে মুখ ঢেকে নিলো।টালমাটাল পায়ে বেরিয়ে এলো।ভাড়া আগেই পরিশোধ করে দিয়েছে সে।একবার মনে হলো ভুল বাড়িতে এসে পড়েছে।নেইম প্লেট খোঁজার চেষ্টা করলো।মানুষের ভীড়ে কোণায় থাকা নেইম প্লেইটি ঢাকা পড়ে গেছে।ভিড়ের মাঝে রেখা কয়েকজনকে চিনতে পারলো।এদের অনেককেই ঝিল্লি পুরের মহিলা পরিষদের দেখেছে সে।তারা কিছু বলছে।রীতিমতো ফিসফাস করছে।রেখা কান খাঁড়া করলো।

-“শারাফ ভাই খুনি!সামনাসামনি না দেখলে তো বিশ্বাসই হইতো না।”

রেখার কানে কেউ যেন গরম সিসা ঢেলে দিলো!ঘোরগ্রস্তের ন্যায় সামনের দিকে হেঁটে গেল।তার শ্বাশুড়িকে দেখতে পেলো। যিনি আপাতত একপাশে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন।রেখার কাঁপা কাঁপা পায়ে সেদিকে এগিয়ে গেল।দু’জন পুলিশ একজন লোককে গাড়িতে তুলছে।লোকটির সামনে দিকে থাকায় রেখা তার মুখ দেখতে পারলো না।কিন্তু পেছনের গঠন দেখে তার চিনতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হলো না।রেখা মস্তিষ্ক কয়েক সেকেন্ডের জন্য ফাঁকা হয়ে গেল।কিছু না ভেবে সে পাগলের মতো দৌড়াতে লাগলো।গাড়ি ইতিমধ্যে ছেড়ে দিয়েছে।রেখা মানুষকে ঠেলে গাড়ির পেছনে পেছন ছুটলো।চিৎকার করলো,কিন্তু কোনো শব্দ বের হলো না।নিজের আত্ম চিৎকার কেবল নিজেই শুনতে পেল।গাড়িতে থাকা মানুষটি যেন শুনেও শুনলো না!কোনোরকম কোনো সাড়াও দিলো।এদিকে রেখা নিজের মতো ছুটছে।চলন্ত গাড়িটির কাছে পৌঁছতে চাইছে।গায়ের জড়ানো শাল ইতিমধ্যে রাস্তায় পড়ে গেছে।সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেই।হুট করে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলো।পিচ ঢালা রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় হাত পা ছিলে গেছে।পেটে ভীষণ ব্যথা পেলেও তোয়াক্কা করলো না।ব্যথা মিশ্রিত কোনো শব্দও বের হলো না মুখ থেকে!মনের ব্যথা এই মূহুর্তে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠে দাঁড়াতে চাইলো।পা মচকে গেছে তার।ঝাপসা চোখে গাড়ির দিকে তাকিয়ে রইল।কেউ একজন এসে রেখাকে জড়িয়ে ধরে রাস্তায় বসে পড়লো।বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।রেখা এখনো এক দৃষ্টিতে গাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।শরীর অসম্ভব কাঁপছে।কিছুটা দূরে যেতে গাড়িটি মোড় ঘুরলো।চোখে পলকে রেখার কাছের মানুষটি দূরে চলে গেল।তৈরি হলো যোজন বিয়োজন দূরত্ব!

-“”শারাফ।”

অস্ফুটে গলায় চিৎকার করলো রেখা।এক সেকেন্ডের মাঝে চৈতন্য হারিয়ে শরীরের ভর ছেড়ে দিলো।নওশিন দু’হাতে রেখাকে আগলে রাখলো।জ্ঞানহীন, রক্তশূন্য,নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে তার কান্না পেয়ে গেল।

চলবে

শেষ করবো করবো করেও,শেষ হচ্ছে না।আপনার প্লিজ বিরক্ত হবেন না😑।বানানে ভুল থাকতে পারে।একটু শুধরে দিয়েন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here