তুই আমারই থাকবি পর্ব ১

‘এই,ডাফার মেয়ে!তুই আমার কথা শুনবি?নাকি অন্যকিছু করবো, হ্যা?অবশ্য আমি ডিপ কিস সহ অনেককিছুই ভালো করতে পারি,তাতে আমারই বেশ সুবিধে হবে।জাস্ট দু’সেকেন্ড দিচ্ছি,এর মাঝে তুই যদি এই শাড়ি খুলে সর্ট গাউন না পড়িস, তাহলে আমি কী করবো,তা তুই কখনওই ভাবতে পারবি না,ডাফার মেয়ে!
!
-চিৎকার করে বললাম,না না না,আমি মরে পচে ভূত হয়ে গেলেও আমার সম্মান আমি নষ্ট করবো না।
!
-ঠাস ঠাস শব্দে আমি কেঁপে উঠলাম।নিজের গালে অজান্তেই হাত চলে গেলো। খুব জ্বলছে গালটা!আর আমার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনা জলের ধারা।
!
-তুই খুলবি না তো কি হয়েছে,আমিই খুলবো।(শয়তানি হাসি দিয়ে)
!
-প্লিজ প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করে দিন।প্লিজ প্লিজ,,,,
!
-এখন এভাবে মাফ চাইছিস কেন?যখন আমার গালে থাপ্পড় মেরেছিলি তাও আবার পুরো ভার্সিটির স্টুডেন্টদের সামনে তখন মনে ছিলো না?আমি আবরার আগুন চৌধুরী,কাউকে ক্ষমা করি না,ভয় পাই না।আর তুই শুধু শুধু আমার গালে চড় মারলি?এর শোধ তো আমি নেবোই,ইডিয়ট!
!
-আমি আসলে বুঝতে পারিনি।ভার্সিটির ফার্স্ট ডে ছিল তো আর গেটে ঢুকার সাথে সাথে কে যেন আমার ওড়না টেনে ফেলে দেয় আমি পেছনে তাকিয়ে আপনাকে দেখে ভাবলাম আপনিই হয়তো…. তাই রেগে…..(ভয়ে ভয়ে)
!
-ওহহ,,লাইক সিরিয়াসলি? তাই রেগে তুই এই আগুনের গায়ে হাত তুলেছিস,ড্যাম ইট!(চিৎকার করে)
!
-তারপর উনি এসে আমার কোমর চেপে ধরে ঠোঁটেঠোঁট মিলিয়ে দিলো।আমি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললাম,
!
-প্লিজ ছেড়ে দিন….আপনার পায়ে পড়ি….
!
-পায়ে কেন বুকে পড়লেও এই জীবনে আবরার আগুন তোকে কখনোই ক্ষমা করবে না।শুনেছিস তুই?(রেগে চিৎকার করে)
!
-দয়া করে…..ছেড়ে দিন।
!
-শয়তানি হাসি দিয়ে,,,তাই?তোকে ছেড়ে দিবো?তাহলে ডাফার মেয়ে শুনে রাখ তুই আমার বিয়ে করা বউ!আর নিজের বউকে কেউ ছেড়ে দেয়?চল..তোকে কয়েকটা ডিপ কিস করে দেই…..( শয়তানি হাসি দিয়ে)
!
-অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে চিৎকার করে বললাম,কীভাবে? আর আমি এসব মানি না,বিলিভ করি না।
!
-ড্যাম ইট,ডাফার!আবরার আগুনের সাথে এত উঁচু গলায় কেউ কথা বলতে পারে না।আর তুই এই বিয়ে মানিস আর না মানিস তাতে আমার কিছু যায় আসে না।বুঝেছিস?(রেগে)
!
-পরশু ভার্সিটিতে এই ঘটনা ঘটলো আর আজ আপনি এসে বলছেন, আপনি আমার স্বামী? তো বিয়েটা হলো কখন?
!
-দেখ,আমার সাথে এভাবে কথা বলবি তো তোর পুরো ফ্যামিলিকে রাস্তায় নামাবো তারপর মেরে দিবো!(রেগে)
!
-মানে?(অবাক হয়ে)
!
-মানে তোর পুরো ফ্যামিলির মানুষদের আমি মেরে ফেলবো,যদি তুই আমার সাথে এভাবে কথা বলিস!
!
-বললেই হলো….সাহস আছে নাকি আপনার?থাকলে আমাকেই একটু নমুনা দেখান।আর আপনার ফাউল কথায় আমি বিলিভ করিনা….
!
-এটুকু বলতে না বলতেই আমার পেটের উপর থেকে শাড়ি সরিয়ে ছুরি দিয়ে পোচ মেরে দিলো।চামড়া ছিড়ে রক্ত বেরিয়ে এলো।আমি ব্যাথায় ককিয়ে উঠলাম।তারপর আমার চুলের মুঠি ধরে এক ধাক্কা দিয়ে সোফায় নিয়ে ফেললো। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে পেট চেপে ধরলাম।তখনি উনি,,,
!
-তখনি উনি একটা ভিডিও ক্লিপ আমার মুখের সামনে ধরলেন।সেখানে দেখা যাচ্ছে,একদল কালো কাপড় পড়া ভিলেন টাইপের লোক আমাদের বাসার সামিনে দাঁড়িয়ে আছে,,,উনি অর্ডার করলেই ওরা আমার ফ্যামিলিতে হামলা চালাবে!
!
-উনি শয়তানি হাসি হেসে বললো,ড্যাম ইট,দেবো নাকি ওদের অর্ডার?তোর পুরো ফ্যামিলিকে খতম করে দিবো?
!
-আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,না না প্লিজ।আমি আপনার কথা মতোই চলবো।প্লিজ আমার ফ্যামিলির কোনো ক্ষতি করবেন না।
!
-ওকে,ডান।তুই তো এখনো জামা-কাপড় খুললি না!এই ডাফার,তোর নাম কি?
!
-অবাক হলাম,আমার নাম না জানাতে!মিনমিন করে বললাম,শুভ্রতা জান্নাত খুশবু!
!
-খুশবু?কিন্তু তোর নাম খুশবু রাখলো কেন?তুই কি এমন সুগন্ধ ছড়াস যে নাম রাখলো খুশবু?
!
-দেখুন……আ,, আমি,,,
!
-এই,তুই আবার মুখে মুখে চোপা করছিস?ডাফার?আচ্ছা জামা খুলতে হবে না।বলেই গালে ঠাস করে থাপ্পড় মেরে দিলো।(রেগে)
!
-আমি উনার চিৎকারে চুপ হয়ে গেলাম।পেটের কাটা অংশটা জ্বলছে খুব….হাত দিয়ে চেপে ধরে আছি।
!
-এই তোর ঠোঁট গুলো এতো লাল কেন?হ্যা?তুই কি আমার সাথে পাঙ্গা নিতে চাস?তোর এতো বড় সাহস?
!
-অবাক হয়ে বললাম,মানে?
!
-ওহহ…তুই এখন ন্যাকা সাজছিস?ড্যাম ইট!দেখছিস না আমি কত ফর্সা, ঠোঁট গুলো কত্ত লাল,আর হাইট দেখেছিস? ছয় ফুট দুই!আর তুই?তোর হাইট কত?
!
-মিনমিন করে বললাম,পাঁচ ফুট দুই।
!
-ওহ..আমার মতো একজনের বউ নাকি ৫”২।আরে তোকে বউ বলছি কেন?তুই তো আমার দাসী। তারপর লাথি মেরে ফুলের ভাসটা ভেঙ্গে ফেললো।তারপর সাদা চাদর বিছানো বেডে গিয়ে শুয়ে পড়লো।আর আমাকে বললো,আমি যেন ফ্লোরে শুয়ে পড়ি।নো কাথা, নো বিছানা,নো বালিশ,নো মাদুর।অনলি ফ্লোর…. (রেগে)
!
-আমি ভয়ে সিঁটিয়ে রইলাম!ফ্লোরের এক কোণে বসে রইলাম।ভাবলাম,এত হ্যান্ডসাম, হিরো টাইপ সাইকো লোকটা সামান্য চড় খাওয়ার অপরাধে আমায় এত বড় শাস্তি দিচ্ছে!ভাবতে লাগলাম…..সেদিনের কথা…
!
-সেদিন ভার্সিটির ফার্স্ট ডে ছিলো।আমি আর আনিকা একসাথে ভার্সিটিতে গেলাম।গেট দিয়ে ঢুকতেই পেছন থেকে কে যেন আমার ওড়না টেনে ধরলো।আমার ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল ভার্সিটির ক্রাশ আবরার আগুন চৌধুরী, সম্ভবত উনি কারো সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ করছিলো।কিন্তু তখন উনাকে দেখে রাগের চোটে সবার সামনে গালে ঠাস করে থাপ্পড় মেরে অপমান করি।আর উনি রেগে থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলেন,কিছু বললেন না।সেদিনের পর আর ভার্সিটি যাইনি।আজ বাসা থেকে বের হয়ে ভার্সিটি যাবার পথে উনি আমায় তুলে নিয়ে আসলেন, একটা কাগজে সাইন করতে বললেন।আমি প্রথমে না করতে চাইলেও পরে টিপসই নিয়ে নেন জোর করে।সারাদিন আটকে রেখে এখন এই রাতে এসে আমার উপর অত্যাচার চালাচ্ছে….
!
-এসব আকাশ -পাতাল ভাবছি এমন সময়ই উনি বেড থেকে নেমে এসে আমার কোমর চেপে ধরলেন।কাটা জায়গাটা বেশ জ্বলছে।আমার ঠোঁটে এত জোরে কামড় দিলো যে দম চলে যাচ্ছে আমার।আমি ছাড়াতেও চাইলেও উনি আমার ঠোঁটে কামড় মেরেই যাচ্ছেন।আর আমার………’

(‘তোমাকে চাই ‘গল্পটা শেষের দিকে।আর তাই নতুন গল্প শুরু করেছি!)

চলবে…..

#তুই_আমারই_থাকবি_💜
#Esrat_Jahan_💜
#Part_1

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here