#তুমি_অতঃপর_তুমিই (পর্ব ১৪)
#Taniya_Sheikh
·
·
·
ইমা নেকিসুরে বিরবির করে শানকে বকতে বকতে এগোতে লাগল। বুকটা ভয়ে কাঁপছে। গলির নিস্তব্ধ আলোছায়ার পথ ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছে ইমা। একদিকে বাড়ির লোকের ভয় অন্যদিকে শানের সান্নিধ্যে যাওয়ার মধুর শিহরণ জাগানো অনুভূতি তাকে অস্থির করে তুলছে। পায়ের ব্যথাটাও মধুর লাগছে এই ক্ষণে।
কিছুদূর এগোতেই কারো পায়ের আওয়াজে লুকিয়ে পড়ল সামনের দোকানের বেঞ্চির এককোনে। একলোক সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে হেঁটে চলে গেল উল্টোদিকে। লোকটা অদৃশ্য হতেই চট করে উঠে দাঁড়াতেই ব্যথার ঝলক পায়ে অনুভব করে। হাত কামড়ে এ যাত্রায় ব্যথাটা দমিয়ে হাঁটতে লাগল ফের। গলির পাশের নির্জন স্থানটাতেই শান গাড়ি থামিয়ে রেখেছে। ইমা ঘাড় বাঁকিয়ে আরেকবার দেখল আশপাশটা। সামনের মেইন রাস্তা দিয়ে তখনও গাড়ি আসছে যাচ্ছে। চারপাশটা ভূতুরে লাগছে ম্লান আলোয়। ফুটপাতের এককোনে দু’টো কুকুর মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। ঠিক তার কিছুদূর পরেই শায়িত এলাকার বক্কা পাগলা। ইমা দ্রুত ঘাড় ফিরিয়ে নির্জন স্থানে পা রাখল পা টিপে টিপে। কোনোভাবে কুকুর দু’টো ওর উপস্থিতি বুঝতে পারলে বারোটা বেঁজে যাবে। সাবধানে এগিয়ে এসে শানের গাড়ির কাচে টোকা দিল ইমা। একবার,দু’বার এমন করে চার পাঁচ বার টোকা দেওয়ার পর দরজার লক খুললো শান। গাড়ির ভেতরটা অন্ধকার। ইমা মোবাইলের টর্চ শানের দিকে মারতেই শান ধমকের সুরে বলে,
” ইমা, হচ্ছেটা কী? আলো সরাও বলছি।”
ইমার বেশ লাগল শানকে বিরক্ত করতে। শানের ধমকের পরও লাইট একচুল নড়াল না। ঠোঁট টিপে হাসছে ইমা। হাত দিয়ে আলো রুখে মুখ ঘুরিয়ে রইল শান।
” এতো ফুলে আছেন কেন?” সাবধানে গাড়ির সিটে বসে দরজা বন্ধ করল ইমা। ব্যথায় মুখ কুঁচকে গেল সাথে সাথে। শান ইমার হাতের মোবাইল খপ করে কেড়ে নিয়ে পেছনের সিটে ফেলে দিল।
” এটা কী করলেন?”
” ঠিক করেছি। আলো মারছিলে কেন বার বার?” ঝুঁকে এসে বললো শান
” হু! এমন রাগ করে আছেন যেন আলো নয় গোবর মারছি আপনার মুখে।” মুখ ভেংচে নাকে কান্না করে বললো ইমা।
” গোবর! আলোর সাথে গোবরের কী সম্পর্ক? একটা ভালো এক্সাম্পলও কী দিতে পারো না তুমি? গোবর! ওহ! গড। মারো গোবরই মারো মুখে।” দাঁত চেপে বললো শান। ইমা শব্দ করে নাকে কেঁদে বললো,
” এতো রাতে ডেকে এনেছেন ঝগড়া করবেন বলে? কী ঝগড়াটে লোক! আর আসব না ফের ডাকলে। কাইষ্টা জানি কোথাকার।”
ইমা গাড়ির দরজা খুলবে বলে হাত বাড়াতেই শান হাতটা টেনে ধরে,
” যাচ্ছ কই?”
” জাহান্নামে। ছাড়েন।” নাক টানছে ইমা।
” আচ্ছা সরি! তুমি এতো দেরি করলে বলেই তো রাগ হলো। আসো একটা সরি সমৃদ্ধ পাপ্পি, ঝাপ্পি দেই।” ইমাকে দুবাহুতে বেঁধে কাছে টানতেই ইমার বা’পা সিটের এককোনে লাগে। চাপা আর্তনাদ বের হলো গলা দিয়ে। শানের দু’হাত খামচে কাঁধে ঠোঁট ঠেসে ধরে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে৷ শান বাহুযুগল ঢিলে করে ইমার মাথায় হাত রাখল। করুন গলায় বললো,
” ব্যথা লেগেছে? ”
ইমা কাঁধের কাছেই মাথা নাড়াল। শান ঘাড় ঘুরিয়ে ইমার মুখ দেখার চেষ্টা করে বললো,
” তাহলে?”
” বিকেলে পা মচকে গিয়েছিল।”
” হোয়াট।”
ইমাকে দ্রুত পাশে বসিয়ে ইমার পা দু’টো কোলে তুলে নেয়। লজ্জায় মর মর অবস্থা ইমার।
” আরে! আরে কী করছেন? পা’ ছাড়েন। ছাড়েন না।”
” চুপ!” ঠোঁটে হাত রেখে চুপ করতে বলে শান। ইমা না চাইতেও চুপ করে বসে আছে। গাড়ির লাইট এই মুহূর্তে জ্বালানো ঠিক হবে না জেনে নিজের মোবাইলের টর্চ জ্বালালো। পায়ের উপর আলো ফেলতেই বা’পায়ের করুন অবস্থা চোখে পড়ল শানের। চোয়াল শক্ত করে ইমার দিকে তাকাল। মুখ কাচুমাচু করে নুয়ে রইল ইমা।
” এই পা নিয়ে আসলে কেন? বলতে পারলে না আগে?” শান বললো।
” আপনি কষ্ট পাবেন ভেবে বলি নি।” নিচু গলায় জবাব দিল ইমা।
” এখন কষ্ট পাচ্ছি না? এমন কেন করো তুমি? ফ্যামিলিকে বলছ না আমাকেও বলতে দিচ্ছ না৷ সারাটা দিন গেল একটা কল পর্যন্ত করলে না। সত্যি করে বলো কী চাও তুমি? তোমার দোহায় আমার মন নিয়ে খেল না ইমা। শান সব সহ্য করতে পারবে তোমার বিশ্বাসঘাতগতা সহ্য করতে পারবে না। আমাকে চাও না তো সরাসরি বলে দাও। ওয়াদা করছি আর এ মুখ দেখাব না তোমাকে। তবে ছলনা বরদাস্ত করতে পারব না। ”
শান ঢোক গিলে ইমার ফুলে ওঠা বা’পায়ের দিকে চেয়ে আছে। চক্ষু ছলছল শানের।ইমা পা’টা সরিয়ে শানের কোলে বসে দু’হাতে গলা জড়িয়ে ধরে।
” আমাকে দেখে আপনার কী মনে হয় বলুন তো? ছলনাময়ী নাকি বিশ্বাসঘাতিনী!”
এই প্রথম এতোকাছে একে অপরের চোখে চোখ রাখল দু’জন। শান চোখ সরাতে গেলে ইমা বাঁধা দেয়,
” একদম না। যা বলবেন এই চোখে চেয়ে বলুন।”
” মানুষ বদলে যায় ইমা। এই যে হঠাৎ পাওয়া সুখ আর তুমি! আমার কেন যেন ভয় করে তোমরাও না বদলে যাও। আমি দুঃখী হতে রাজি আছি তবু তোমাকে হারাতে রাজি নই। কথা দাও বদলে যাবে না। সুখ দুঃখ যাই আসুক পাশে রবে।”
ইমা সোজা জবাব না পেয়ে হতাশ হলো। তবে সেটা শানকে বুঝতে দিল না। শানের মনের শঙ্কা তাকে দূর করতে হবে। এই কঠিন হৃদয়ের লোকের অভ্যন্তরীণ ভীত যে এতো দূর্বল তা সহজে অনুমান করা কঠিন। আসলে এটাই স্বাভাবিক একদিক থেকে। ভালোবাসলে মানুষ বিচ্ছেদ শঙ্কায় দূর্বল হয়ে পড়ে। ইমা আরও মিশে বসল শানের কোলে। শান ভ্রুকুটি করে চাইল একবার। পরক্ষনেই দু’হাতে জড়িয়ে বললো,
” নিয়ন্ত্রণ হারালে কিন্তু আমাকে দোষ দিতে পারবে না।”
মুচকি হেঁসে ইমার গলায় নাক ঘষল। ইমা শিহরিত, চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর খুললো। গাড়ি স্টার্ট দিল শান। ইমা চুপটি করে শানের বুকে মাথা রেখে বসে আছে। পৃথিবীতে এই মুহূর্তে কতোকিছুই হচ্ছে। কিন্তু সে খবর কিংবা কোনো খবরের ধার ওরা ধারছে না।
শানের বেডরুমে পূর্ণ চাঁদের আলো পড়েছে। জোস্নার স্নিগ্ধতা বহুগুন বেড়ে গেল ওদের ভালোবাসার আবেশে। লজ্জায় মেঘের আড়ালে লুকালো চাঁদটা একসময়।
পা ঝুলিয়ে কিচেন কেবিনেটের উপর বসে ফালুদা খাচ্ছে ইমা। খালি গায়ে একটা টাওজার পড়নে প্যানকেন বানাতে ব্যস্ত শান। আজ ইমাকে জোর করে শাড়ি পরিয়েছে সে। আঁচলটা বার বার পড়ে যাচ্ছে অথচ ওর মনোযোগ ঐ ফালুদা খাওয়ায়। শান প্যানে ব্যাটারটা দিয়ে ঢেকে এগিয়ে দাঁড়াল ইমার সামনে। ইমার ঠোঁটের দু’পাশে লেগে থাকা ফালুদা আঙ্গুলে মুছে মুখে পুরে নিল শান। লজ্জায় মুখ নুয়ে ফালুদার গ্লাসে কপাল ঠেকায় ইমা।
” গ্লাসেই ঢুকে যাও।”
শানের গম্ভীর গলার স্বরে লজ্জা ভুলে ভ্রুকুটি করে তাকায় ইমা। শান ঘুরে আবার এলো চুলার কাছে। ঢাকনা সরিয়ে প্যানকেক উল্টে দিয়ে বললো,
” শাড়ির আঁচল সামলে রাখতে পারছ না আবার এলাকায় লেডি ডন সেজে ঘুরে বেড়াও। মন তো চাচ্ছে এই শাড়ি দিয়ে হাত -পা বেঁধে রুমে বসিয়ে রাখি।”
ইমার চোখ এতোক্ষনে বুকের উপর পড়ে। আসলেই তো আঁচল নেই সেখানে। জিহ্বা কামড়ে আঁচলটা উঠিয়ে নিল। শানের চোয়াল শক্ত করা দেখে গাল ফোলায়।
” কাইষ্টা নাম কী এইটার এমনিতেই রাখছি? বদ কোথাকার। হুদাই ঝাড়ি দেয় খালি। পরুম না তোর শাড়ি। পিন্দাইছোস কেন? বউ! সোনা বউ! বাল বউ আসো শাড়ি পরিয়ে দেই। আর এখন দেখো একটু আঁচলটা পড়ছে দেখে কেমন করছে। খবিশ।” কটমট করে শানের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে ইমা। শান চোখের কোনা দিয়ে ইমার ওমন তাকানো দেখে বলে,
” সাহস থাকে তো জোরে বলো। মিনমিন করে কী বলো? হুম।”
” এই আমি থাকুম না৷ এক্ষুনি যামু গা। দিয়া আসেন আমারে।”
ইমা লাফ দিয়ে নামতে গিয়ে পা’ ব্যথায় কুঁকড়ে ওঠে। শান চুলা বন্ধ করে ছুটে এসে ধরতে গেলে ইমা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। নিজেকে সামলে শান কোলে তুলে নেয় ইমাকে। ইমা চেঁচিয়ে বলে,
” কথায় কথায় কোলে তুলবেন না৷ নামান। নামান বলছি।”
সোফায় নামাতে গিয়ে নামায় না শান। কোলে করে দাঁড়িয়ে থাকে। ইমার কপোল চুমে বলে,
” একটু ধমক সহ্য হয় না আর যদি মার দেই?”
” আমাকে মারবেন তো ডিভোর্স,,,! ”
ইমার ঠোঁট নিজ স্টাইলে বন্ধ করে বসে পড়ে সোফায়। হাত পা ছোড়ে ইমা। ঠিক তখনই ঠোঁটে তীক্ষ্ণ মধুর ব্যথা অনুভব করে। শান ওকে ছেড়ে হেঁটে চলে যায় রান্নাঘরে। ইমা ঠোঁটের ব্যথাযুক্ত স্থানে আঙ্গুল ছুঁয়ে দেখল রক্ত লেগে আছে আঙ্গুলে। নাক,মুখ, ঠোঁট ফুলিয়ে চেঁচাতে লাগল ইমা।
” আমার ঠোঁট কেটে দিছেন কেন? রাক্ষস লোক একটা। এই অত্যাচার আমি সহ্য করব না৷ আজই,,,!”
” আরেকবার যদি ওটা মুখে এনেছে ইমা!”
রান্নাঘর থেকে চড়া গলা শোনা গেল শানের। ইমা চুপ করে নাকে কাঁদছে। শান রেগে গেছে বুঝে দাঁত কামড়ে নিজের রাগ চেপে গেল।
টেবিলে ব্রেকফাস্ট সাজিয়ে রুমে গেল শান৷ বেশ কিছুক্ষণ পর শাওয়ার শেষ করে বেরোয় সে। ভেজা এলোমেলো চুলের আংশিক কপালে এসে পড়েছে। ইমার সামনে দাঁড়িয়েই গায়ে ধূসর রঙের টিশার্টটা পরল শান। ইমা কাটা ঠোঁটে হাত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। শান এগিয়ে এলো। কোলে তুলে নিয়ে চেয়ারে বসাতেই ইমা গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। কপাল কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে শান বললো,
” কী হলো নামো।”
” না! আপনি রাগ করে থাকলে আমি খাব না।”
” আমি রাগ করি নি। বসো তুমি।”
ইমাকে বসিয়ে খাবার প্লেটে বেড়ে দিল। ইমা ঠোঁটে হাত রেখে বললো,
” এই যে দাগ করে দিলেন এখন সবাইকে মুখ দেখাব কী করে?”
” সবাইকে মুখ দেখানোর দরকার কী? আজ থেকে বোরখা পরবা তুমি।”
” অ্যা!”
” হ্যাঁ!”
” আপনার কী কষ্ট হচ্ছে না এমন নিষ্ঠুর আচরণ করে?”
” তোমার কী মনে হয় তাই বলো?” শান ধীরে ধীরে খাবার চর্বণ করতে করতে ইমার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকায়। ইমা চোখ নামাতেই ওর হাতের কব্জি চেপে ধরে বলে,
” আমার ভালোবাসা অন্য সবার মতো নয় ইমা। তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি আমি। আমার সামনে ফের ঐ শব্দটা নিলে কী করব সত্যি জানি না আমি।”
” হু! সাইকো জানি একটা। একটু দুষ্টুমিও করা যাবে না তার সাথে।” হাত ছাড়িয়ে মুখ কালো করে বলে ইমা।
” আচ্ছা দুষ্টুমি ছিল ওটা?” শান ভ্রু তুলে বলে। ইমা উত্তপ্ত স্বরে বলে,
” আমার দিকে তাকাবেন না বলে দিচ্ছি। নিষ্ঠুর, পাষাণ কোথাকার। একটু দুষ্টুমিও করা যাবে না তার সাথে। হুদাই পার্ট নেয়।”
শান টেনে কোলে এনে কাঁধে ঠোঁট ছুঁয়ে বলে,
” দাগ থেকে যদি দারুন কিছু হয় ক্ষতি কী?”
” দারুন কিছু! কী দারুন হলো? আমার মা এটা দেখে প্রশ্ন করে কান ঝালাপালা করবে এটা দারুন? নাকি ঝাল খেতে গেলে জ্বলবে এটা দারুন?” কোমরে জড়ানো শানের হাত দু’টো ছাড়াতে ছাড়াতে বললো। শান আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
” এই দাগ দেখলে নেক্সট টাইম এমন ফালতু শব্দ বলবা না এটা হচ্ছে দারুন কিছু। আর আমার শ্বাশুড়ি মা যদি প্রশ্ন করে তো সত্যিটা বলে দিবা। তারও তো জানা দরকার দু’দিন বাদেই তার নাতি নাতনি আসবে।”
” নাতি- নাতনি?” চোখ বড় বড় করে ফেলে ইমা।
” হ্যাঁ! আমি তো নামও ভেবে রেখেছি। ছেলে হলে,,! ” শানের মুখ চেপে ধরে ইমা। শান ভ্রু নাড়াতেই অন্য হাতে চোখ বন্ধ করে কানের কাছে মুখ এনে চাপাস্বরে বলে,
” আপনার মতো এক পাগলেই আমার বারোটা বাজাই দিছে আর পাগলের আপাতত দরকার নাই। আগে আপনার স্ক্রু টাইট করি পরে ওসব।” শানের কান কামড়ে উঠে দাঁড়ায়।
” এটা কী হলো? আর পাগল কে? হুমম।” শান কানে হাত বুলাতে বুলাতে উঠে দাঁড়ায়।
” ওটা ছিল ভালোবাসার প্রতিদান৷ ইমা ঋণ রাখে না কারো। সো শোধবোধ। পাগল আপনি আর আপনার ঐ যা বললেন।” ইমা মুচকি হেঁসে জিহ্বা দেখায়।
” ঐ কী বললাম?” শান এগোতে এগোতে জিজ্ঞেস করে।
ইমা বা’পা তুলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সোফায় কাছে আসতেই শান ফের কোলে তুলে নেয়।
” বলো ঐ কী?”
” জানি না!”
ইমা মুখ লুকিয়ে ফেলে শানের বুকে। শান মুচকি হেঁসে বলে,
” আমি জানি। চলো বলছি তোমাকে ঐ টা কী।”
শান এক চোখ টিপতেই ইমা নামার জন্য ছুটোছুটি শুরু করে। কিন্তু এই বডি বিল্ডারের সাথে পেরে ওঠার সাধ্য কী ওর আছে? রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল শান।
·
·
·
চলবে……………………..