তোমাতেই আমি মগ্ন পর্ব -১২

#তোমাতেই_আমি_মগ্ন 🌸

#পর্ব_১২

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

এভাবে সাত দিন কেটে গেলো।আজকে চৌধুরী পরিবার কানাডার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে।

অন্না তার ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে আছে।আজকে তাদের ভার্সিটিতে সুবর্ণজয়ন্তী।পুরনো সকল স্টুডেন্টরা আসবে।অন্না নিজেকে সাজিয়েছে নীল রঙের শাড়িতে।একদম হালকা সাজে পরিপাটি।অন্না কখনোই বেশি মেকআপ করা পছন্দ করে না।তাই সে সিম্পল ভাবেই নিজেকে সাজায়।

ফারাবী এসে তাজের সাথে বসে আছে।তার চোখ জোড়া একজনকে খুঁজছে।কিন্তু তাকে দেখতেই পাচ্ছে না।এর জন্য ফারাবীর মনটা একটু খারাপ।

হঠাৎ ফারাবীর সামনে বসে থাকা একটা মেয়ে চিৎকার করে বললো,

এই অন্না এদিকে আয়।(মেয়ে)

মেয়েটা যেদিকে তাকিয়ে ডাক দিয়েছে ফারাবী সেদিকে তাকালো।তাকিয়ে দেখে অন্না এগিয়ে আসে।অন্নাকে দেখে ফারাবী এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।অন্নাকে নীল শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগছে।অন্না কিছুটা কাছে আসতেই ফারাবী উঠে অন্নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

অন্না হা করে ফারাবীর দিকে তাকিয়ে আছে।তার এখন আর ফারাবী আর ফাহাদের মধ্যে পার্থক্য করতে কষ্ট নাহ্!তবে সে এটা ভেবে অবাক হচ্ছে ফারাবী এখানে আসলো কিভাবে?

আপনি হয়তো এটাই ভাবছেন আমি এখানে আসলাম কিভাবে?(ফারাবী)

হুম।(অন্না)

আসলে আমি এই ভার্সিটিতে এক বছর পড়েছিলাম।তারপরে……

এটুকু বলে ফারাবী থেমে যায়।অন্না ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে,

তারপরে কি?(অন্না)

থাক ওতো কিছু জানতে হবে না।বাই দ্যা ওয়ে আপনি একটা জিনিস খেয়াল করেছেন?(ফারাবী)

কি খেয়াল করবো?(অন্না)

আপনি নীল শাড়ি পড়েছেন আর আমি নীল পাঞ্জাবি।তাহলে ভেবে দেখুন আমাদের মনের কতো মিল রয়েছে।(ফারাবী)

অন্না ফারাবীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।আসলেই ফারাবী-ও নীল পাঞ্জাবি পড়েছে।অন্না চোখ সরিয়ে নিয়ে বললো,

এখানে অজস্র ছেলে-মেয়ে নীল পোশাক পড়েছে।সবার কি তাহলে মনের মিল রয়েছে?(অন্না)

আল্লাহ যাকে যার জন্য তৈরি করেছেন তাদের-ই মনের মিল রয়েছে মিস.অনুমা।(ফারাবী মুচকি হেসে বলে)

ফারাবী অন্নার সামনে থেকে চলে যায়।অন্না কিছুক্ষণ থ হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তার বান্ধবীদের কাছে চলে যায়।

সারাদিন দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলে।রাত হয়ে গেছে অনেক।অন্না ভার্সিটির সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু কিছু পাচ্ছে না।তিথি আর নিতু থাকে হোস্টেলে।আর দিশা জ্বরের কারণে অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি।এখন অন্নাকে একাই বাড়ি ফিরতে হবে।এমন রাতে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে অন্নার কিছুটা ভয় লাগছে।কারণ এমনই একদিন ফাহাদ তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গেছিলো।অন্না কিছুটা সাহস করে রাস্তার পাশে দিয়ে হাঁটা শুরু করলো।হঠাৎ অন্নার সামনে দুটো ছেলে এসে দাঁড়ালো।অন্না ছেলেগুলোকে চিনে।কারণ এরা তার ভার্সিটির বড় ভাই।তবে দুজনে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে।অন্না তাদের সাইড কাটিয়ে যেতে যাবে এমন সময় একটা ছেলে তার হাত টেনে ধরলো।

অন্নার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যাবে এমন সময় কে জেনো এসে ছেলেটার হাত চেপে ধরে অন্নার হাতটা ছাড়িয়ে দেয়।অন্না ভালো করে তাকিয়ে দেখে এটা ফারাবী।অন্নার মুখ থেকে আতঙ্কের ছাপ কেটে হাসি ফুটে।

কি ভাই রাতের বেলা মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করছেন কেনো?(ফারাবী)

একটা ছেলে ফারাবীর পাঞ্জাবির কলার চেপে ধরে বলে,

কে রে তুই?আমার হাত চেপে ধরিস।(ছেলে)

ফারাবী ছেলেটার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।এক ঝটকা দিয়ে ছেলেটার হাত কলার থেকে ছাড়িয়ে ফেলে।তারপরে ছেলেটার কলার চেপে ধরে বলে,

তোর বাপ।(দাঁতে দাঁত চেপে বলে)

ফারাবীর চোখ-মুখ দেখে একটা দৌড়ে পালিয়েছে।ফারাবী ছেলেটার কলার ছেড়ে দেয়।

এরপরে যদি আমার অনুমা-র হাত ধরার সাহস করিস তাহলে তোর হাত আর হাতের জায়গায় থাকবে না।(ফারাবী চোখ রাঙিয়ে বলে)

অন্না ফারাবীর কথা শুনে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ফারাবী কি বললো?সেটা তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

ছেলেটা ভয়ে চুপচাপ টলতে টলতে হেঁটে চলে যায়।ফারাবী গিয়ে অন্নার সামনে দাঁড়ালো।

আচ্ছা আপনি যেখানে যান সেখানে কি সঙ্গে করে এমন বখাটেগুলোকে নিয়ে যান।?(ফারাবী)

কি বলতে চাচ্ছেন আপনি?(অন্না ভ্রু কুচকে বলে)

না মানে সিলেটে গিয়ে আপনার হাত টেনে ধরে আবার ঢাকায় বসেও আপনার হাত টেনে ধরে!(ফারাবী)

অন্না কিছু না বলে হাঁটা শুরু করে।ফারাবী দৌড়ে গিয়ে অন্নার সামনে দাঁড়ায়।

আপনি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন কেনো?(অন্না)

আমি আপনাকে আপনার বাড়িতে দিয়ে আসবো।রাস্তায় আরো বিপদ ঘটতে পারে।(ফারাবী)

আমি একা চলে যেতে পারবো।(অন্না)

সব বিষয়ে জেদ দেখানো ভালো না অনুমা।আমি জানি হয়তো এমন কোনো কারণ আছে যার জন্য আপনি আমাকে ইগনোর করেন।তবে আমি সেই কারণটা জানতে চাই।(ফারাবী)

আপনি সেই কারণ জেনে কি করবেন?(অন্না)

আমি না জানলে আর কে জানবে?(ফারাবী)

অন্না কিছু না বলে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ফারাবী কিছু না বলে অন্নার সামনে থেকে চলে যায়।গাড়ি এনে অন্নার সামনে দাঁড় করিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দেয়।

অন্না ফারাবীর দিকে এক পলক তাকিয়ে গাড়িতে উঠে বসে।ফারাবী অন্নাকে তার বাড়িতে দিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়।

/🍂/

অন্না তার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বসে আছে আর ফারাবীর কথা ভাবছেন।

আমার কেনো জানি মনে হয় মি.খান আমার প্রতি দূর্বল।উনাকে আমার সবটা জানাতে হবে।তাহলে উনি আর আমার প্রতি আসক্ত হতে পারবেন না।(অন্না)

পরক্ষনেই অন্নার মনে পড়ে তার কাছে তো ফারাবীর নাম্বার নেই তাহলে সে কি করে ফারাবীকে তার সাথে দেখা করতে বলবে!

অন্না তার রুম থেকে বের হয়ে তার বাবার কাছে যায়।

বাবা তোমার কাছে ফারাবী খানের নাম্বার আছে?(অন্না)

কেনো পাখি মা? কি করবি?(অন্নার বাবা)

একটু দরকার আছে বাবা।(অন্না)

ওয়েট কর মা।(অন্নার বাবা)

মঈন সাহেব অন্নাকে ফারাবীর নাম্বার দিলো।অন্না নাম্বারটা নিয়ে তার রুমে চলে গেলো।

আচ্ছা অন্না ফারাবীর নাম্বার দিয়ে কি করবে?(অন্নার মা)

হয়তো ফারাবীকে পছন্দ হতে পারে।আর পছন্দ হবে নাই বা কেনো!এতো ভদ্র ছেলে সচারাচর দেখা যায় না।(অন্নার বাবা)

অন্নার তার রুমে এসে মেবাইল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তার অনেকটা সংকোচ বোধ হচ্ছে ফারাবীকে কল করতে।

!🖤!

ফারাবী বেলকনিতে বসে তার গিটারটা নিয়ে টুংটাং করছে।আর অন্নার কথা ভাবছে।হঠাৎ করে তার ফোনটা বেজে উঠলো।রুমে এসে দেখে আননং নাম্বার থেকে কল এসেছে।এতো রাতে আননং নাম্বার থেকে কল এসেছে দেখে ফারাবী প্রথমে ধরতে চায়নি।পরে আবার কি ভেবে কলটা রিসিভ করলো।

হ্যালো কে বলছেন?(ফারাবী)

ফারাবীর কন্ঠ শুনে অন্না চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।তার কিছু বলতেই কেমন জানি লাগছে।

হ্যালো কে আপনি?(ফারাবী)

এবার অন্না নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে বললো,

আমি অন্না।(অন্না)

ওয়াও!মিস.অনুমা আমাকে কল করেছে।বাই দ্যা ওয়ে নাম্বার কোথা থেকে পেলেন?(ফারাবী)

বাবার থেকে নিয়েছে।কালকে আমার সাথে………. রেস্টুরেন্টে দেখা করবেন বিকাল চারটায়।(অন্না)

অন্না কথাটা বলে ফোনটা কেটে দিলো।তার কেমন জানি অস্থিরতা ফিল হচ্ছিল।তাই সে কলটা কেটে দিয়েছে।মোবাইল টা বালিশের পাশে রেখে অন্না শুয়ে পড়লো।

ফারাবী মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছে।

কি মেয়ে রে বাবা!কথা শুরু হওয়ার আগেই শেষ করে দিলো।(ফারাবী হেসে দিলো)

|🦋|

জানালার পর্দা সরিয়ে সকালের সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে ফাহাদ।তার মনটা ভিষণ খারাপ।কারণ সে এখনো মিমিকে খুঁজে পায়নি।তারপরে আবার জানতে পেরেছে তার বাবা-মা আর ভাই আবার ঢাকাতে এসেছে।খবরটা পাওয়ার পরেও সে লজ্জায় তাদের দেখা করতে যায়নি।কোন মুখে তাদের সামনে দাঁড়াবে সে!এতো অনুতপ্ত বোধ কাজ করার পরেও তার মধ্যে পরিবর্তন আসেনি।সে এখনো আগের মতোই রয়েছে।

বিছানা শুয়ে থাকা মেয়েটা পোশাক পড়ে ফাহাদের কাঁধে হাত রাখলো।ফাহাদ পিছনে ফিরে দেখে রাকা দাঁড়িয়ে আছে মুচকি হেসে।ফাহাদ পিছনে ফিরতেই রাকা ফাহাদের গলা জড়িয়ে ধরলো।

রাতটা কেমন কাটলো ফাহাদ বেবি?আজ রাতে কি আবার আসবো নাকি?(রাকা)

ফাহাদ বাঁকা হাসি দিয়ে মেয়েটার হাত তার গলা থেকে ছাড়িয়ে নিলো।অন্যদিকে ঘুরে বললো,

ফাহাদ হোসেন ইউজ করা জিনিস আর ইউজ করে না।সো তুমি এখন আসতে পারো ডার্লিং।(ফাহাদ)

///

অন্না কফিশপে এসে বসে আছে।ফারাবী এখনো আসেনি।আসলে অন্না-ই কিছুটা আগে চলে এসেছে।অন্না সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে ফারাবী তার দিকে এগিয়ে আসছে।অন্না ফারাবীকে দেখে উঠে দাঁড়ালো।ফারাবী এসে অন্নার সামনে ভ্রু কুচকে দাঁড়িয়ে আছে।

আমি কি সেলিব্রিটি নাকি?যে আমাকে দেখে উঠে দাঁড়াতে হবে।(ফারাবী)

আমি আপনাকে এখানে আসতে বলেছি।একটু সিমপ্যাথি তো দেখাতেই হয়।(অন্না)

ওকে ম্যাডাম বসে পড়ুন।(ফারাবী)

অন্না মুচকি হেসে বসে পড়লো।ফারাবী-ও বসলো।

তা বলুন কি খাবেন?(অন্না)

ডেকেছেন আপনি।কিন্তু খাওয়াবো আমি।(ফারাবী)

অন্না কিছু বলতে যাবে ফারাবী ইশারা করে চুপ থাকতে বললো।অন্না ওয়েটারকে ডেকে খাবার অর্ডার দিলো।

কি জন্য ডেকেছেন সেটা বলুন।(ফারাবী)

আপনি আমার জীবন সম্পর্কে সবকিছু জানেন না।আমি একজন ধর্ষিতা।(অন্না)

ফারাবী কিছুটা অবাক হলো।তারপরে নিজেকে শান্ত করে বললো,

কি বলছেন এইসব?(ফারাবী)

হ্যাঁ যা বলেছি একদম ঠিক।(অন্না)

অন্না ফারাবীকে সবটা খুলে বললো।ফারাবী বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছে।ফারাবী নিজেকে স্বাভাবিক করে হাসি দিলো।

দেখুন এইসব নিয়ে এতোটা ভেঙে পড়ার কিছু নেই।আসলে বর্তমান যুগে এমন অনেক মেয়েই ধর্ষণ হচ্ছে।আর যারা এই পাপ কাজ করছে তাদের কোনো শাস্তি-ও হয় না।কয়দিন ধরে রাখে অপরাধীকে দ্যান সেই অপরাধী আবার ঘুরে বেড়ায়।যাক এইসব বাদ দেন।আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই।(ফারাবী)

অন্না ভেবেছিলো ফারাবী হয়তো এইসব শোনার পড়ে চলে যাবে।কিন্তু সে নাকি তাকে কিছু বলতে চায়!

অন্না নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,

জ্বী বলুন।(অন্না)

ফারাবী পকেট থেকে একটা আংটির বক্স বের করলো।তারপরে অন্নার চেয়ারের সামনে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলো।অন্না ততক্ষণে দাঁড়িয়ে গেছে।

কি করছেন আপনি?(অন্না)

ফারাবী বক্স থেকে আংটিটা বের করে অন্নার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

আমি আপনাকে প্রেম করার প্রস্তাব দিবো না।কারণ বিয়ের পরে প্রেম করে সবচেয়ে বেশি মজা।আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।Will you marry me Miss.Onuma.(ফারাবী মুচকি হেসে বললো)

অন্না অনেকটা চমকে গেছে।আশেপাশের সবাই অন্নাকে বলছেন ফারাবীকে একসেপ্ট করতে।অন্নার অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে তার হাত বাড়িয়ে দিলো।ফারাবী মুচকি হেসে অন্নার হাতে আংটিটা পড়িয়ে দিলো।চারিপাশের সবাই হাততালি দিলো।

ফারাবী আর অন্না রেস্টুরেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।

আচ্ছা আমি তাহলে আসি।(অন্না)

আমি কিন্তু আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে পারি।(ফারাবী)

দরকার নেই।আমি যেতে পারবো।(অন্না)

অন্না পিছনে ঘুরে যেই হাঁটতে যাবে হঠাৎ তার মাথা ঘুরতে লাগলো।অন্না পড়ে যেতে যাবে তার আগে ফারাবী তাকে ধরে ফেললো।তাকিয়ে দেখে অন্না সেন্সলেস হয়ে গেছে।ফারাবী কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।ফারাবী অন্নাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে খুব দ্রুত হসপিটালে যায়।ডাক্তার অন্নাকে চেক-আপ করে।অন্নার জ্ঞান ফিরেছে।

কি হয়েছে উনার ডক্টর?(ফারাবী)

ডাক্তার বললো,
She is pregnant.(সে প্রেগন্যান্ট)

ফারাবী কিছুটা চমকে যায়।ফারাবী নিশ্চিত এটা ওই ধর্ষকের পাপের ফল।অন্নার তো চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।ফারাবী গিয়ে অন্নার একটা হাত শক্ত করে ধরে।

আচ্ছা কে করেছে এমনটা?(ফারাবী)

ফাহাদ হোসেন।(অন্না)

নামটা শুনে ফারাবীর আত্মা কেঁপে উঠে।ফারাবী নিজেকে সামলে উঠে দাঁড়ায়।

চলুন আমার সাথে।(ফারাবী শক্ত গলায় বলে)

কোথায়?(অন্না)

আমি আজই আপনাকে বিয়ে করবো।(ফারাবী)

অন্না ফারাবীর কথা শুনে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।ফারাবী অন্নার হাত ধরে গাড়িতে নিয়ে বসায়।

দেখুন আপনি এগুলো কি পাগলামো করছেন?আমাদের ফ্যামিলি বলেও একটা বিষয় আছে।(অন্না)

আপনি একদম চুপ করে থাকুন।আমি আর একটা কথাও শুনতে চাই না।(ফারাবী গম্ভীর কণ্ঠে বললো)

অন্না ফারাবীর এমন কণ্ঠ কখনো শুনে নাই।সে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।অন্না চুপ করে বসে আছে।

#চলবে……………………………..

[ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।নেক্সট না লিখে গঠনমূলক মন্তব্য করবেন তাহলে আমাদের লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here