তোমার প্রেমের ছোঁয়ায় পর্ব -০৬

#তোমার_প্রেমের_ছোঁয়ায়💜
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি💜
#পার্টঃ০৬
পর পর দুটো গাড়ি থামলো ক্লাবের সামনে।আদিয়াত, জিহান,সোহেব,এশা,রোজা একে সবাই গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো। তারপর সবাই ক্লাবে প্রবেশ করলো।ওরা সবাই গিয়ে টেবিলে বসে পড়লো।আর জিহান ড্রিংক্স অর্ডার দিলো।ছেলেদের জন্যে ওয়াইন আর মেয়েদের জন্যে লেমেন জুস।কারন রোজা আর এশা বারণ করেছে ওরা এসব খাবে না।সাউন্ড বক্সে গান চলছে জোড়েসোড়ে।আর অনেক ছেলে আর মেয়েরা গানের তালে তালে ড্যান্স করছে।কেউ কেউ ড্রিংক্স করছে।আদিয়াতের কিছুই ভালো লাগছে না।মাথায় হাজারও চিন্তা তার।শুধু বন্ধুদের কারনে এখানে আসা নাহলে ও জীবনেও আসতো না।ওর তো এখন একটাই লক্ষ্য কোথায় গেছে তার আহিয়ানা? কেন চলে গেলো? আদিয়াতকে একধ্যানে কি যেন ভাবতে দেখে ওর হাতের উপরে হাত রাখে এশা।হাতের উপর কারো ছোঁয়া পেয়ে মুখ তুলে তাকায় আদিয়াত দেখে এশা ওর দিকে মিষ্টি হেসে তাকিয়ে আছে।বিনিময়ে আদিয়াত ও জোড়পূর্বক হাসলো।
এশা বলে,

–” কেন টেন্সন নিচ্ছিস? আমরা আছি তো!”

আদিয়াত শুকনো হাসি দিয়ে বলে,

–” আ’ম ফাইন! ইউ ডোন্ট হেভ টু বি ওয়ারি।”

এশা ভ্রুকুটি করে বললো,

–” ইয়েস আই উইল।বিকজ….”

–” বিকজ হুয়াট?”

আদিয়াতের কুচকানো ভ্রুদেখে থেমে যায় এশা।কথা ঘুরিয়ে বলে,

–” বিকজ ইউ আর মাই বেষ্টফ্রেন্ড।আর আমার বেষ্টফ্রেন্ডকে এইভাবে মন মরা দেখতে পারি না।”

আদিয়াত কিছুই বললো না শুধু এশার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো।এশা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।ওকি কোনদিনও পারবে না আদিয়াতের মনে নিজের জন্যে জায়গা তৈরি করতে?কেন পারবে না?ও তো ভালোবাসে আদিয়াত কে।আদিয়াত কেন বুজে না ওর সেই চোখের আকুল গভীরতা তার ভালোবাসা কেন বুজে না।এশা চোখ ভরে আসতে চাইছে।তাও নিজেকে সামলে নিলো।কাঁদলে চলবে না।ওকে হার ছেরে দিলে হবে না।আহি নেই এই সুযোগে আদিয়াতকে নিজের করে নিতে হবে।যে করেই হোক নিতে হবেই।

আদিয়াত আর বাকিরা যখন আড্ডা দিতে ব্যস্ত তখন শুনতো পেলো কারো চেঁচামেচির আওয়াজ।রিতিমতো জিনিসপত্র ভাঙচুরের আওয়াজ আসছে। ক্লাবের অনেকের চেহারায় বিরক্তির ছাপ দেখা যাচ্ছে।

সোহেব বলে,

–” ভাই বুজি না কাহিনি কি?যেদিনই প্রাই ওই রুম থেকে এমন চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পাই।”

এশা বলে উঠে,

–” কোন একটা মেয়ের গলা শুনতেই পাচ্ছি।”

আদিয়াত বিরক্ত হয়ে বললো,

–” আজকাল কার মেয়েরা এমন বেপরোয়া আর খারাপ হয়েছে যে নেশা করা একটা শিশু খেলা।এদের মা, বাবা এদের ভালো শিক্ষা দিতে না পারায় এদের এই অবস্থা।”

জাহিন সহমত হয়ে বলে,

–” হ্যা ঠিক বলছিস একদম।ক্লাবে তো আরও মেয়েরা আসে তবে সবাই খারাপ না।এইযে আমাদের রোজা আর এশা কিন্তু আমাদের সাথে আসে তবে শুধু আমাদের সাথে একটু এঞ্জয় করার জন্যে।কিন্তু ওরা কখনোই এইসব নেশা টেশা বা নাঁচানাচি করে না।”

জাহিনের কথায় এশা আর রোজা হাসিমুখে ওর দিকে তাকায়।মানে জাহিনের কথায় ওরা অনেক খুশি হয়েছে।

আদিয়াত আনমনেই বলে ফেলে,

–” আমার আহিয়ানা ছিলো পুরাই ভিন্ন।কখনো তাকে সেলোয়ার কামিজ আর হিজাব ছাড়া দেখিনি আমি।ছোট থাকতে অন্য কথা কিন্তু বড় হয়ে যখন ওর বুজার ক্ষমতা হলো ও কখনো ঘরে মাথায় কাপড় দেওয়া ছাড়া হাটাচলা করতো না।সবসময় উড়না মাথায় পেঁচিয়ে রাখতো।আমি কখনো ওকে ইচ্ছাকৃতভাবে চুল দেখিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখিনি।ঘরেও আমার আর বাবার সামনে আসতো না মাথায় কাপড় ছাড়া।আমি ও বড় হওয়ার পর শুধু ২ বার ওর চুল দেখেছি তাও এক্সিডেন্টলিভাবে।নাহলে কখনো না।বাহিরে গেলেও কি সুন্দর গোল জামা পরে তার সাথে হিজাব বাধঁতো।ওকে দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ না হয়ে পাড়তাম না।”

রোজা আদিয়াতের বাহুতে আঘাত করে বলে,

–” ভালোই তো বন্ধু আহির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।”

রোজার কথায় আদিয়াতের ধ্যান ভাংগে।ও মুচকি হেসে মাথার চুল চুলকালো।তারপর হঠাৎ আবার মন খারাপ করে বলে,

–” কিন্তু ও কোথায় যে আছে কে জানে? এখন তো আহিয়ানা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। কেমন হয়েছে দেখতে কে জানে?”

এদিকে এশা রাগে দুঃখে পারে না সব কিছু শেষ করে দিতে।কেইবা সয্য করতে পারে ভালোবাসার মানুষের মুখে অন্য কারো নাম।এশারও ঠিক একই কষ্ট হচ্ছে।মনে মনে নিজেকেই হাজার হাজার কথা শোনাচ্ছে।কেন যে সে আদিয়াতকে ভালোবাসতে গেলো।আজ আদিয়াতকে ভালো না বাসলে ওর এতোটা কষ্ট হতো না।কিন্তু কি করবে ও?ভালোবাসা কি জোড় করে আটকে রাখা যায়?ভালোবাসা তো মনের গহীন থেকে এমনি এমনি হয়ে যায়।ও বলছে না যে ও আহিকে সয্য কর‍তে পারে না।আহিকে ও প্রচন্ড ভালোবাসতো।অনেক কিউট একটা মেয়ে এশা দেখলেই ওর গাল টেনে দিতো।ভীষণ আদুড়ে একটা মেয়ে।কিন্তু আদিয়াতের ভালোবাসা আহির প্রতি এতোটা তীব্র দেখে ওর মনে কষ্ট হচ্ছে প্রচুর কষ্ট।”

এশাকে এরকম অন্যমনষ্ক হতে দেখে রোজা ওকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে,

–” কিরে কি ভাবছিস?”

এশা নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে জোড় পূর্বক হাসলো।মাথা নাড়িয়ে জানালো কিছু না।

—————–

এদিকে আহি একটা ওয়াইনের বোতল নিয়ে ঢকঢক করে পুরোটা খেয়ে শেষ করে দিলো।ওর মাথা পুরাই খারাপ হয়ে গেছে।তাই একেরপর এক প্যাগ খেয়েই যাচ্ছে।তার একটাই কারন আদ্র আর নিহান ওকে বাধা দিয়েছে।কেন বাধা দিলো?এতো সাহস কি করে হলো ওদের?আহিকে বাধা দেয় ওর কাজে।বোনকে এমন পাগলামি করতে দেখে নিহান আদ্রকে কিছু একটা ইশারা করলো। আদ্র মাথা ঝাকিয়ে দ্রুত গিয়ে আহিকে পিছন থেকে ঝাপ্টে ধরলো।তারপর নিহানকে ইশারা করলো ওর কাজ দ্রুত করতে। এদিকে আহি হুংকার দিচ্ছে,

–” আদ্র’র বাচ্চা তোর এতো বড় সাহস তুই আমাকে আটকাস।আমি তোকে কাঁচা খেয়ে ফেলবো।ফুটবলের লাত্থি দিয়ে তোর মেইন পার্টস উড়িয়ে দিবো।তোর যেন আর বিয়ে নাহয়।হারামি ছাড় আমাকে।ছাড়।”

এদিকে আদ্র নিজেও রেগে গেলো আহির কথায়।ও আরো জোড়ে ঝাপ্টে ধরলো আহিকে।

–” চুপ একদম চুপ।কোন সাউন্ড হবে না।”

–” আদ্র ছাড় বলছি আমাকে।ভালো হবে না কিন্তু।”

কথাটা বলতেই আহির চোখ যায় নিহানের হাতে একটা ইঞ্জেকশনের সিরিজ দেখে। এটা দেখে আহি আরো ক্ষেপে গেলো।

–” নিহান ভাই একদম না।আমি বারন করেছি তোকে।এটা করবি না তুই।”

নিহান একপলক আহির দিকে তাকিয়ে তারপর আহির বাহু ধরে ‘ সরি ‘ বলেই ইঞ্জেকশন পুশ করে দিলো।আহি আরো কিছুক্ষন চিল্লাপাল্লা করে আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়ে নিহানের বুকে।নিহান পরম যত্নে বোনকে আগলে নেয় নিজের সাথে।আসলে এই উপায় ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না।আহি বেশি উত্তেজিত হয়ে গেলে ওর ব্রেনে সমস্যা হতে পারে।তাই নিহান ওকে ঘুমের ইঞ্জেকশন পুশ করে দিলো। এটা ডাক্তার থেকেই শিখে নিয়েছে ও।আহিকে নিয়ন্ত্রনে আনার এই একটাই উপায়।নাহলে যে তার বোনটা এতো চাপ সয্য করতে না পেরে মরেই যাবে।

নিহান বোনকে কোলে নিয়েই ম্যানেজারকে ইশারা করলো।ম্যানেজার দ্রুত পায়ে কাছা আসলে নিহান বলে,

–” কতো টাকার জিনিস নষ্ট হয়েছে?”

ম্যানেজারের লোভে চোখ চিকচিক করে উঠলো আহি যতোটাকার জিনিস ভেঙে নষ্ট করেছে তার থেকে বেশি বাড়িয়ে বললো,

–” স্যার সব মিলিয়ে এক লক্ষ টাকা।”

নিহান নিজের গার্ডদের ইশারা করলো টাকা পরিশোধ করার জন্যে।তারপর আহিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে গেলো।আর ওর পিছে পিছে আদ্রও যাচ্ছে।

————————

আদিয়াত যখন আড্ডায় ব্যস্ত তখন ওর চোখ যায় একটা ছেলে একটা মেয়েকে কোলে নিয়ে এদিকেই আসছে।কিন্তু মেয়েটার চেহারা দেখা যাচ্ছে না।চুলগুলো সারামুখে ল্যাপ্টে আছে বিধায় দেখা যাচ্ছে না।আদিয়াত চোখ সরিয়ে নিলো।এরই মাজে ও ওয়েটারকে বিল দিতে নিয়ে ওর পকেট থেকে ক্রেডিট কার্ডটা পড়ে যায়।আদিয়াত ঝুকে সেটা উঠিয়ে নিয়ে আবার চোখ উঠাতেই আদিয়াত ধমকে যায়।একি দেখছে সে এটা কি স্বপ্ন নাকি অন্য কিছু।এটা কি সত্যিই ও।না-কি আদিয়াত অতি চিন্তার কারনে ওকে কল্পনা করছে।আসলে নিহানের বুক থেকে আহির মাথাটা পড়ে যেতে নিতেই আদ্র দ্রুত আহির মাথাটা ধরে সামলে নেয় তারপর আহির মুখের উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দেয়।যার ফলে আহির মুখটা স্পষ্ট হয়ে যায় আর তখনি আদিয়াতের নজর আহির উপর পড়ে।আদিয়াতের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।এটা কি সত্যি আহি?কিন্তু ওর আহিয়ানা তো এরকম ছিলো না।ওর আহিয়ানার সাথে এই আহিয়ানার একটুও মিল নেই।একটুও না।এই আহিনা জিন্স, একটা লং শার্ট পড়া।চুলগুলো স্টাইল করে কাটা আর কালার করা চুল।ওর আহিয়ানা তো এরকম খোলামেলভাবে চলাফেরা করতো না।তবে আদিয়াত এসব কি দেখছে।নাহ এই অসয্যকর দৃশ্য আদিয়াত সয্য করতে না পেরে ধুপ করে বসে পড়ে চেয়ারে।ঢকঢক করে দু গ্লাস পানি খেয়ে শেষ করে গেলে ও।ততোক্ষনে নিহান আহিকে নিয়ে ক্লাবের বাহিরে চলে গেলো।আদিয়াত আবারো তাকাতেই দেখে নেই তারা।আদিয়াত অস্থির হয়ে এদিকসেদিক তাকাতে লাগলো।আদিয়াতকে এরকম অস্থির আচড়ন করতে দেখে এশা দ্রুত উঠে আদিয়াতকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

–” কি হয়েছে আদিয়াত?”

সবাই আদিয়াতকে প্রশ্ন করছে আদিয়াত কিচ্ছু বলছে না শুধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।রোজা এইবার রেগে গিয়ে এক ধমকে বলে,

–” কি সমস্যা বলছিস না কেন?কি হয়েছে? কেন এমন করছিস?”

আদিয়াত এইবার কান্নাভেজা চোখে তাকিয়ে বলে,

–” আমি.. আমি আহিয়ানাকে দেখেছি।এইখানে একটু আগেই দেখেছি।”

এশার বুকটা ধুক করে উঠলো।তবে কি ও যেই ভয়টা পাচ্ছিলো সেটাই সত্যি হয়ে যাবে।কিন্তু আদিয়াতের কথা মতো তো আহি এইসব জায়গায় আসার মতো মেয়ে না।তাহলে আদিয়াত এইসব কি বলছে?”

–” আদিয়াত তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস?কি বলছিস এসব আহি এখানে আসবে কোথা থেকে?”

রোজাও বলে,

–” হ্যা আদি ও এখানে আসবে কোথা থেকে।ও তো এরকম মেয়ে না।তুই তো নিজেই বলেছিস!”

আদিয়াত চিৎকার করে বলে,

–” আমি সত্যি বলছি আমি ওকে দেখেছি।”

জিহান ওকে শান্ত করার জন্যে বলে,

–” আচ্ছা! আচ্ছা! তুই শান্ত হো।বি কুল ম্যান।আমরা আছি তো।”

সোহেব এর মাজে ম্যানেজারকে ডেকে আনলো।ম্যানেজার বললো,

–” জ্বি স্যার বলুন।এনি প্রোবলেম?”

আদিয়াত জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিলো।বললো,

–” একটু আগে একটা ছেলে একটা মেয়েকে কোলে নিয়ে এই ক্ল্যাব থেকে বের হয়ে গেলো সাথে অনেকগুলো গার্ড ছিলো।”

ম্যানেজার এইবার কপাল কুচকে বিরক্তি নিয়ে বলে,

–” ওহ ওই মেয়ে।এই মেয়ের কথা আর কি বলবো।বাবা মার বিগরে যাওয়া মেয়ে।একটা উশৃঙ্খল একটা মেয়ে।কারো কথা শুনে না।”

আদিয়াত রেগে গিয়ে ম্যানেজারের কলার ধরে বলে,

–” তোকে এসব বলতে বলেছি।জাস্ট ঠিকঠাকভাবে কথা বল।নাহলে তোর জিব টেনে ছিড়ে ফেলবো।”

জিহান আর সোহেব দ্রুত আদিয়াতকে সরিয়ে আনে।এইবার এশা শান্ত স্বরে বলে,

–” মেয়েটা কে সোজাভাবে বলুন।”

ম্যানেজার ভয়ে ভয়ে বলে,

–” মেয়েটার নাম আহিয়ানা তাবাসসুব যীনাত।আজ চারবছর যাবত এই ক্লাবে প্রতিদিন রাতে এসে নেশা করে।পরে ওর ভাই মানে যার কোলে ও ছিলো এসে জোড়জবরদস্তি করে নিয়ে যায়।আর পাশে যে ছেলেটা ছিলো ওটা ওর বয়ফ্রেন্ড।মেয়েটা একেবারে নেশাখোর হয়ে গেছে।কারো কথা শোনেনা।দেখলেন না কিরকম চিৎকার চেঁচামেচি করলো ওকে আটকাতে ওর ভাই আর বয়ফ্রেন্ড এসেছে বলে।ঘরের সব ভেঙে ফেলেছে।ওদের প্রচুর টাকা।তাই তো এতোসব জিনিস নষ্ট করে ফেলেছে তাও অনায়াসে তার সব ক্ষতিপূরন দিয়ে দিলো ওর ভাই।”

ম্যানেজার কথাগুলো বলে দ্রুত পায়ে চলে গেলো।এদিকে সবাই স্তব্ধ হয়ে আছে।এমন কিছু কথা যে ওরা আহিয়ানার ব্যাপারে শুনবে স্বপ্নেও ভাবেনি কেউ।আদিয়াত মুখ ডেকে বসে আছে।তার আচমকা কারো কোন কথা না শুনেই দ্রুত বেগে ক্লাব থেকে বেড়িয়ে গেলো।এদিকে পিছন থেকে ওরা এতো ডাকলো একটা জবাবও দিলো না।

#চলবে___________

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।আমি প্রচুর অসুস্থ আমার জন্যে দোয়া করবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here