তোলপাড়
পর্ব-১৭
ইসরাত জাহান তানজিলা
_________
সহসা এমন আক্রমনে চমকে গিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায় রুদ্র।অরূণীর হৃদয়ে উত্তাল মহাতরঙ্গ বয়ে গেলেও মুখে এক ঝলক হাসি।শাড়ি পরা অরূণী’কে চিনতে সময় লাগলো রুদ্রর। কিন্তু এই বাড়িতে কারো এত’টা সাহস নেই যে দুষ্টুমির ছলেও রুদ্রের কলার ধরে টান দিবে এভাবে। ছোট বেলা থেকে ভয়ঙ্কর মেজাজের রগচটা রুদ্র লাবন্যের সাথে প্রেম বিচ্ছেদের পর আরো কাঠখোট্টা হয়ে গেছে। রুদ্র হতবাক হয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অরূণীর দিকে,চোখে বিস্ময়।কার এত সাহস?কে এই মেয়ে? রুদ্রর এমন কঠিন দৃষ্টি উপেক্ষা করে অরূণী হেসে বলল, “চড় দিবেন না-কি আপনার সামনে আসলে?দেন এবার চড়।”
রুদ্র বিস্ময়ে হাঁ হয়ে গেল। বিস্ময় কাটাতে সময় লাগলো বেশ।এত চমকিত হয়েছে যে কলার ধরে টান দেওয়ার ঘটনা’টা চাপা পড়ে গেছে। রুদ্রের মুখ থেকে আপনাআপনি বেরিয়ে আসলো, “কে তুমি?”
অরূণী কপালে পড়া চুল গুলো ডান হাত দিয়ে সরাতে সরাতে স্বাভাবিক গলায় বলল, “চিনতে পারছেন না আমায়?এত উজ্জ্বল আলো তাও চিনতে পারছেন না? ঘন্টা দুয়েক আগেও তো ফোনে থাপ্পড় দেওয়ার হুমকি দিলেন।”
রুদ্র বাক্রূদ্ধ!মরিয়া হয়ে ওঠে বলল, “অরূণী তুমি!তুমি এখানে?তুমি কীভাবে এসেছো? মানে তুমি এখানে কেন?”
অরূণীর মন আনন্দে প্লাবিত হচ্ছে। রুদ্রের এমন অবাক হওয়া মুখ দেখে পরিতোষের ঢেউ বয়ে যেতে লাগলো অরূণীর মনে।
– “এত অবাক হওয়ার কী আছে বলুন?আর আমায় ভুলেও থাপ্পড় দেওয়ার কথা চিন্তা করেন না।প্রথমত,আমি অতিথি। দ্বিতীয়ত,আমায় থাপ্পড় দিলে বিয়েও ভেঙ্গে যেতে পারে।”
রুদ্রের চোখে-মুখে অস্থির ভাব।প্রত্যুত্তর করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। রুদ্র অস্থির চোখে আশেপাশে তাকাচ্ছে।কয়েক মুহূর্ত পর পর আবার বেজায় বিস্ময় নিয়ে অরূণীর মুখের দিকে তাকায়। অনেকক্ষণ পর বলল, “নিম্মি ভাবি তোমার কে হয়? কী কাকতালীয় ব্যাপার!খবরদার অরূণী! বাসার কারো সামনে উল্টাপাল্টা কাণ্ড ঘটিয়ো না। আর তুমি আমার শার্টের কলার ধরে টান দিয়েছো কেন?”
– “শার্টের কলার নয়! পাঞ্জাবির কলার।এত অস্থির হচ্ছেন কেন? আবোলতাবোল বকছেন।”
অরূণী একটু থেমে বলল, “আপনি বরের ভাই এটা জানার পর ঘুম তো হয় ই নি,সকালে ওঠে দেখি গায়ে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর। আর জ্বর আসবেও বা না কেন বলুন তো? আপনার সাথে প্রেম হবে না ভেবে নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জানার পর আমার মনের নিভে যাওয়া আশার প্রদীপ দাউদাউ করে জ্বলে ওঠেছে। আপনার ফোন নম্বর জোগাড় করতে কত বেগ পোহাতে হত।আপনায় দেখতে বাস স্ট্যান্ডে গিয়েছি কলেজ ফাঁকি দিয়ে। আপনি ই বলুন এমন পাগলামি কেউ করে কারো জন্য? আচ্ছা,আচ্ছা মানলাম করে এমন পাগলামি। কিন্তু আপনার জন্য কোনো মেয়ের গায়ে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর এসেছে বলুন?”
রুদ্র নির্বাক শ্রোতার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।এত বিস্ময় হজম করতে সময় লাগছে বেশ। নিজেকে সংযত করে রুদ্র বলল, “আচ্ছা আচ্ছা যাও তুমি এখন।”
– “যাবো মানে? কোথায় যাবো?”
অরূণী আশেপাশে তাকিয়ে বলল, “বিয়ের আগে শ্বশুর বাড়ি এসে পড়লাম।”
রুদ্র বিস্ময় ভাব সম্পূর্ণ কাটানোর চেষ্টা করে, “অবান্তর কথা বলো না।তুমি তো অতিথি!যাও সবার সাথে গিয়ে বসো।”
অরূণী জোর গলায় বলল, “ উঁহু,আমি আপনার অতিথি।নয়ত এত জ্বর নিয়ে আসতাম না।”
– “অরূণী তুমি অতিরিক্ত পাগলামি করছো সেটা কী তুমি বুঝতে পারছো? আমি তোমার সাথে খারাপ আচরণ করতে চাচ্ছি না।তুমি মানুষের ভিতর বসে উল্টাপাল্টা কিছু করে বসো না। মান-সম্মানের ব্যাপার।”
অরূণী হেসে বলল, “দেখুন খুশিতে আমার হাত-পা কাঁপছে। আমি এই খুশির ব্যাখ্যা করতে পারবো না।আমি পাগলামি করব, খুব পাগলামি করব।আপনি আমার সাথে প্রেম করেন আর না করেন আমি পাগলামি করবই।”
রুদ্র কিছু’টা আতঙ্ক হয়ে পড়লো অরূণী পাগলামি করবে শুনে। অরূণীর কিছুতেই বিশ্বাস নেই।তার ওপর বাসা ভরা মেহমান।মান-সম্মান বলতে তো একটা জিনিস আছে। রুদ্র বলল, “কোনো পাগলামি করো না তুমি। তুমি ঠিকঠাক বাসায় যাও আমি ফোনে কথা বলবো তোমার সাথে।”
– “আপনি এমন কেন বলুন তো? একবারও ফোন দেন না আমার কাছে। তার ওপর সিম কার্ড পরিবর্তন করে ফেলেন।আপনি এত কাঠখোট্টা কেন?”
অরূণীর অযৌক্তিক অভিযোগের বিপরীতে রুদ্র বলল, “তুমি ছোট মানুষ। বাচ্চা একটা মানুষ।এসব পাগলামি বন্ধ করো।এসব পাগলামি করে কোনো লাভ নেই। শুধু শুধু তুমি নিজে কষ্ট পাচ্ছো।”
অরূণীর মন নিমিষেই খারাপ হয়ে গেল। গলা বেদনায় ছলছল।বলল, “আপনি আমার সব পাগলামি হাসিঠাট্টা ভাবেন। কখনো সিরিয়াস হয়ে কথা বলেন না।কেন এমন করেন? পৃথিবীর সবচেয়ে অপরাধী মানুষ কে জানেন?যে অন্যের আবেগের মূল্য দেয় না।”
অরূণীর মুখ থেকে এই প্রথম এমন সিরিয়াস কথা শুনলো রুদ্র। রুদ্র ও যে অরূণীর সাথে সিরিয়াস ভাবে কথা বলে এমনটাও নয়। রুদ্রের মুখের আদল পলকেই বদলে গেল। কী যেন ছিলো অরূণীর গলায়। রুদ্র গাঢ় গলায় বলল, “শোনো অরূণী,তোমার আবেগ’কে আমি হেয় করে দেখছি না। কিন্তু তোমার আবেগের মূল্যও আমি দিতে পারবো না।এসব মাথা থেকে নামিয়ে ফেলো।তুমি বাচ্চা বাচ্চা একটা মেয়ে,এত কিছু তুমি বুঝবে না। শুধু দুষ্টুমি করতে জানলেই মানুষ বড় হয় না।তোমার ভিতর পরিপক্ক চিন্তা-ভাবনা নেই। থাকলে এমন’টা করতে না।”
অরূণী একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস গোপন করলো।এর ভিতর খুব জরুরি গলায় কে যেন রুদ্রেকে ডাকলো।অরূণী’কেও খুঁজছে ওদিকে। রুদ্র চলে গেল সেখান থেকে।অরূণীও উদাস হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। হাজার চেষ্টা করেও মন ভালো করতে পারছে না অরূণী। আজকাল ছোট ছোট কারণে অরূণীর মন খারাপ হয়ে যায়। অথচ এমন’টা আগে কখনো হয় নি। অরূণী সবার ভিতর গিয়ে বসে। আশেপাশে কোথায়ও না তাকিয়ে মাথা নিচু করে রেখেছে।একটা মানুষের জন্য আর কত’টা বেহায়া হবে?পাশ থেকে শুভ্রা অরূণী’কে খোঁচা নিয়ে নিচু গলায় বলল, “কীরে অরূ আপা! হলো’টা কী তোর।”
অরূণী উন্মনা হয়ে না সূচক ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকায়। তারপর আবার আগের ন্যায় বসে থাকে।
রুদ্র সব কিছুর খবরদারি করছে।বোঝা গেল বাসার সবাই ই রুদ্র’কে মোটামুটি ভয় করে। রুদ্রের মা’কে দেখে অরূণী অবাক।বোঝারই উপায় নেই এই ভদ্রমহিলার এত বড় দুই’টা ছেলে আছে। প্রাণবন্ত যুবতী যেন। তানভীর দেখতেও রুদ্রের মত। চেহেরায় বেশ মিল আছে! সবাই বরের কপালে হলুদ লাগালেও অরূণী এক কোণে বসে আছে। রুদ্র কোত্থেকে যেন হন্তদন্ত হয়ে এসে বলল, “কী অরূণী চুপচাপ কেন? এভাবে বসে আছো কেন? দুলাভাইয়ের গায়ে হলুদ-মরিচ লাগাও যাও।”
অরূণীর বুকের ভিতর শিরশির অনুভূতি হলো। মাথা উঁচিয়ে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে একটু ম্লান হাসলো।কোনো প্রত্যুত্তর করলো না। রুদ্র উত্তরের আশা করেছিলো যেন। সবাই আনন্দ করছে। অরূণীর তেতো লাগছে সবকিছু। এরপর আর রুদ্র’কে দেখা গেল না।অরূণী মনে মনে খুঁজলো বেশ রুদ্র কে।
রুদ্রদের বাসা থেকে ফেরার সময় সবাই একে একে গাড়িতে ওঠছে। রুদ্র’কে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে দেখা গেল।অরূণী তাকালো অনেকবার। গাড়ি ছেড়ে দিলো। আবছা অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা গেল না রুদ্র’কে।আস্তে আস্তে দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে গেল।
বাসায় গিয়ে কারো সাথে কোনো প্রকার কথা না বলে অরূণী সোজা রুমে চলে গেল। অরূণীর এমন অদ্ভুত আচরণ সবার চোখে বিঁধলো। বাসার সবাই ব্যস্ত। রুদ্র’দের বাসা থেকে মানুষ আসলো।অরূণী জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে। রুদ্র’কে খুঁজলো। রুদ্র আসে নাই।
কিছুক্ষণ পর সেলিনা আহমেদ আসলো। চিন্তিত গলায় বলল, “অরূণী তোর কী হয়েছে?”
অরূণী উত্তর দিলো না। সেলিনা আহমেদ পুনরায় জিজ্ঞেস করল, “শরীর খারাপ লাগছে তোর?”
অরূণী মাথা ঝাঁকিয়ে না বলল। সেলিনা আহমেদ অনেকক্ষণ ধরে প্রশ্ন করে যাচ্ছে। অরূণী মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ হুঁ বলছে শুধু। সায়মা,শুভ্রা এসে কয়েক বার ডেকে গেছে অরূণী’কে। অরূণী ঘাপটি মেরে শুয়ে আছে।রাতে আর রুম থেকে বের হলো না।
________
সাত টার দিকে ঘুম ভাঙ্গে অরূণীর নিম্মির ডাকে।নিম্মি রেগে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “রাতে কী হয়েছিল তোর?”
অরূণী আড়মোড়া ভেঙ্গে ওঠে বসে। ঘুম ঘুম চোখ দুটো বুঁজে আসছে বার বার।জড়াগ্রস্থ গলায় বলল, “কিছু হয় নি।মাথা ব্যথা করেছে।”
অরূণীর কথা বিশ্বাস করলো না বোধ হয় নিম্মি। আবার জিজ্ঞেস করল, “ওই বাসায় গিয়ে রুদ্রের সাথে কথা হয়েছে? রুদ্র তোর সাথে খারাপ আচরণ করেছে বা কিছু?”
অরূণী চোখ কচলাতে কচলাতে বলল, “আরে আপা না। কারো খারাপ আচরণে কী আমার মন খারাপ হয়?”
অরূণী’কে অনেকক্ষণ জেরা করলো নিম্মি।এক পর্যায়ে নিম্মি বলল, “অরূণী সব বুঝি আমি।তুই রুদ্রের সাথে কোন রকম কথা বলবি না।এত ভাব কীসের রুদ্র?”
অরূণী কেমন অসহায় গলায় বলল, “কথা না বলে পারি না তো আপা। এগুলো কী পাগলামি বলো? মেয়েরা কী আগ বাড়িয়ে ভালোবাসতে পারে না?”
নিম্মি অত্যাশ্চর্য হয়ে বলল, “অরূ তোর এত উপচে পড়া প্রেম দেখলে আমি অবাক হয়ে যাই।”
অরূণী আর কিছু বলল না।বাসা জুড়ে গানের শব্দ। সুস্মিতা ওঁরা আসলো অরূণী’কে নিতে। অরূণী ওঁদের ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দিলো। সেলিনা আহমেদ কিছুক্ষণ পর পর এসে ঝংকার দিয়ে যায়। হোসনে আরা বেগম এসে খুব উৎসুক গলায় বলল, “সবাই মিলে নাচছে।তোর মামাও। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ।যা দেখে আয়।”
অরূণী বিরক্ত গলায় বলল, “আমার শরীর খারাপ লাগছে মামি।”
হোসনে আরা বেগম বিরক্ত হয়ে বলল, “হয়েছি কী তোর? সন্ন্যাসী সেজেছিস?”
অরূণী ভারি বিরক্ত চোখে তাকালো হোসনে আরা বেগমের দিকে। কিছুক্ষণ পর পর কেউ না কেউ এসে অরূণীকে রুম থেকে বের হতে তাড়া দেয়। অরূণী শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঁর নানুর রুমে চলে গেল।
অরূণী’কে দেখে ঠাহর করতে পারলো না আমেনা বেগম। চোখে পড়া মোটা ফ্রেমের চশমা’টা পরিষ্কার করে আবার চোখে দিলো। অরূণী গিয়ে আমেনা বেগমের কাছে গিয়ে বলল, “আমি অরূণী নানু।”
– “ও অরূণী।বোস বোস।আমি ভেবেছি শুভ্রা।”
অরূণী পাশ ঘেঁষে বসে।আমেনা বেগম বলল, “নাচ দেখিস না দাদু?”
– “না নানু ভালো লাগছে না আমার।”
অরূণী বসে বসে আমেনা বেগমের সাথে কথা বলছে।পার্লার থেকে লোক এসেছে নিম্মি’কে সাজাতে। অরূণী’কে সেখানে ডাকলো অনেকবার।অরূণী চুপচাপ আমেনা বেগমের কাছে বসে রইলো।
সাহেদ আহমেদ রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ডাকলো অরূণী’কে। রুদ্রের ভাইয়ের সাথে বিয়ে কথা’টা জেনে সাহেদ আহমেদও অবাক হয়েছিল বেশ। অরূণী সাহেদ আহমেদের ডাকে সাড়া দিয়ে দরজার সামনে যায়।সাহেদ আহমেদ ধমক দিয়ে বলল, “হয়েছে কী তোর?”
মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে অরূণী। সাহেদ আহমেদ আবার ধমক দিয়ে বলল, “বরযাত্রী আসবে একটু পর। তুই রেডি হচ্ছিস না কেন?”
অরূণী মেনিমুখো হয়ে বলল, “হবো রেডি।”
একে একে সবাই এসে ধমকে যাচ্ছে অরূণী’কে। কিছুক্ষণ পর শোনা গেল বরযাত্রী এসেছে। বাড়ি জুড়ে হৈচৈ শুরু হয়ে গেল। অরূণী ছাদে ওঠে আড়াল থেকে দাঁড়িয়ে দেখলো রুদ্র এসেছে।কালো রঙের একটা পাঞ্জাবি গায়ে। অরূণীর মনের ভিতর ছটফটানি শুরু হয়ে গেল। মনের ভিতর থাকা অভিমান ঝেড়ে ফেলে ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে রুদ্রের দিকে। এই তীব্র ইচ্ছা সংযত করতে পারছে না অরূণী। নিজের মন কে শক্ত করে আবার গিয়ে রুমে দাঁত কামড়ে বসে থাকলো ।কিছুতেই রুমে বসে থাকতে পারছে না। মনের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ রুদ্রের ফোন নম্বর থেকে ম্যাসেজ আসলো, “অরূণী কোথায় তুমি?”
অরূণীর বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠল।সব রাগ অভিমানের অবসান ঘটিয়ে পরনে যা ছিলো তাই পরে দৌড়ে গেল রুদ্রর কাছে।
(চলবে)