এই মেয়ে কোনো ভদ্রতা জানো না? এভাবে ফকিরের মত কলেজে এসেছো কেন? ডিসগাস্টিং।
একনাগাড়ে কথাগুলো বললো হায়া,
হায়া, পুরো নাম হায়া রহমান, সিলেটের সবচেয়ে স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী আতিউর রহমানের একমাত্র মেয়ে, রুপ আভিজাত্য তার মুখে ফুটে উঠেছে।
তার একটা বড় ভাই আছে আস্তে আস্তে তার সম্পর্কে জানা যাবে
আর সামনে যে দাঁড়িয়ে এই মেয়েটি আজকেই প্রথম কলেজে এসেছে, পড়নে তার খুবই সাধারণ লাল টকটকে জামা। দেখে বোঝা যাচ্ছে হায়ার মত অত বড়লোক না তাইতো ভুল বশত গায়ে টাচ লাগার কারণে এত অপমানিত করছে মেয়েটাকে।
কি হলো এই মেয়ে? কথা বলছো না কেন?
এবার যেনো মেয়েটি আর সহ্য করতে পারলো না
সে এবার একটু চেচিয়েই বলে উঠলো,
এক্সকিউজ মি
আমার নাম মুনতারিন। বার বার এই মেয়ে এই মেয়ে করে বলছেন কেন? আর আপনার সাথে আমার ভুলবশত ধাক্কা লেগেছে ইচ্ছে করে তো আর দেইনি।
মেয়েটার এমন কাটকাট কথায় যেন আগুন ধরে গেলো হায়ার মাথায়,
সে অনেক রাগান্বিত হয়ে বললো,
তোমার তো সাহস কম না, তুমি জানো আমি কার মেয়ে? আমি আতিউর রহমানের মেয়ে আমার এক ইশারায় তুমি এই কলেজ থেকে আউট হয়ে যাবে, গট ইট?
so say sorry to me right now..
হায়ার চিল্লানো তে কলেজে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে, সবার কম বেশি হায়ার অহংকার এর বিষয়ে জানা আছে তাই কেও কিছু বলছে না শুধু তামাশা দেখছে।
আর যদি না বলি?
মুনতারিনের এমন উত্তরে হায়ার রাগ দ্বিগুন বেড়ে গেলো সাথে সাথে সজোরে ধাক্কা মারলো তাকে।
#ধোয়াশা
পর্ব-১
চলবে…