#পূর্ণশশী (রিপোস্ট)
পর্ব-৯
#ফারহানা_আক্তার_রুপকথা
___________________________
কুয়াশার চাদর ভেদ করেই আগমন ঘটে সূর্য্যিমামার। নতুন দিনে নতুন স্বপ্ন নতুন অঙ্গীকারনামা নিয়ে শুরু শশীর পথচলা। এ যেন এক গন্তব্যহীন পথিকের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলা। পূর্ণের জীবন স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে শুধু একটু ব্যতিক্রম চলে আজকাল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওয়াক করে কখনো কখনো থম মেরে বসে থাকে ল্যাপটপে মুখ থুবড়ে। দু’দিন আগেই লুকিয়ে কিচেনেও একটা ক্যামেরা লাগিয়েছে সে। শুধু শোবারঘরেও ক্যামেরায় আমাকে মন ভরে দেখা হয় না তার । আজকাল আমি সারাক্ষণ রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ নিয়ে পড়ে থাকি এজন্যই কিচেনেও ক্যামেরার ব্যবস্থা করা। অফিস কিংবা ঘর যেখানেই থাকুক ল্যাপটপ ছাড়া তার দু’মিনিটও চলে না। আমি সেই রাতের পর থেকে নিজেকে পাল্টে নিয়েছি অনেকটাই৷ অংশও মৌশিকে নিয়ে এসেছে দু’দিন পরই। মৌশি অবশ্য অংশকে দেখে চমকে গিয়েছিলো। মৌশির বাবাও চমকেছিলেন। অংশ মৌশির সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলো, “আর ক’দিন থাকবে এখানে?”
মৌশির মুখের কথা মুখেই জমে গিয়েছিলো। এক ঘরে তিন মাস কাটিয়েছে যে ছেলে তার সাথে কথা না বলে অথচ সেই ছেলে তাকে নিতে এসেছে! সত্যিই অবাক করা কথা ছিলো সেটা। এসেছিলো মৌশি খুশি মনে সেই খুশির চমক আমার অন্তরে তীরের মত বিঁধেছিলো। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে গেছি। আমার এই তো ছিলো ‘ভাগ্য’। অংশের বুকের পাথর নেমে গিয়েছিলো সেই রাতেই যেই রাতে সবটা সে আমায় জানিয়েছিলো। কিন্তু সেই পাথর তার বুক থেকে নেমে ভর করেছিলো আমার বুকে৷
মৌশি ফিরে আসার পর এক সকালে যখন পূর্ণ, অংশ আর আঙ্কেল নিজ নিজ কাজে চলে গেলো মৌশি আমার কাছে এলো। রানু আন্টিও হঠাৎ এসে যোগ দিলেন। দু’জনের মুখ দেখেই মনে হলো কিছু বলতে চায়। আমি অবশ্য তখন একটা জবের এপ্লিকেশন সাবমিট করছিলাম অনলাইনে। আমার বায়ো দেখে যদি পছন্দ হয় তবেই ইন্টারভিউ এ ডাকবেন। আপাতত এ বাড়ির কাউকে জানাইনি। একবার পূর্ণকে বলবো ভেবেছিলাম কিন্তু পূর্ণ আজকাল আমার বাবা মায়ের খুব বেশিই কাছের একজন হয়ে গেছে। তাই আর বলিনি হয়তো সে বাবা-মাকে বলে দিবে। আর বাবা কথা শোনাতে বাদ রাখবেন না একদম ঘষেটি বেগমদের মত৷ তাই কাউকে কিছু না জানিয়েই চেষ্টা চালাচ্ছি৷ কিন্তু মৌশি আর আন্টিকে দেখে ল্যাপটপটা সাইডে রাখলাম৷ ওহ, বলা হয়নি ল্যাপটপটা আমার নিজের না আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী আমার মামাতো বোন নিপার কাছ থেকে এনেছি কয়েক দিন আগেই। এটাও মা জানলে বাবাকে বলে দিতো তাই নিপাকে বলে দিয়েছি আমি যে এসেছি তার কাছে সে কথাটা কেউ যেন না জানে৷ যাক সেসব কথা মৌশি আমার দিকে তাকিয়ে কেমন যেন ইতস্তত করছে৷ বুঝতে পারলাম যা সে বলতে চায় তা বলতে বিব্রত বোধ করছে। তাই আমি নিজেই তাকে স্বাভাবিক করতে বললাম, “নাস্তা করেছো?”
মৌশি মাথা নেড়ে জবাব দিলো ‘হ্যাঁ’।
“কি যেন বলতে এসেছিলে, বললে না’তো!”
আমি বলতেই মৌশি একবার রানু আন্টির দিকে তাকিয়ে বলল, “আপু আ’ম স্যরি।”
মাথা নিচু করে নিলো মৌশি। আমি ঠোঁট টেনে হেঁসে বললাম, স্যরি কেন?
“আমি উনাকে প্রথমবার আমাদের অফিসে দেখেছিলাম। ভালো লাগতো খুব কিন্তু সেই ভালোলাগার অর্থ না জেনেই আমি মিশতে চেষ্টা করতাম উনার সাথে আর উনি বয়সের পার্থক্যটা সামনে রেখেই আমায় স্নেহ করতেন। কিন্তু ….”
মৌশিকে থামিয়ে দিয়ে আমিই বললাম, “কিন্তু তোমার বাবা তোমার খুশির কথা ভেবে প্রস্তাব রাখে যখন প্রস্তাবে সে রাজি না হয় তখন তিনি একটা ছোট্ট চাল চেলে তোমার নাম তার জীবনে রেজিস্ট্রার করে দেন ব্যস এটুকুই।”
আমি থামলে মৌশির মুখের রং বদলে যায়। বুঝতেই পারছি মেয়েটা আমার,,না আমাদের জীবনে জোর করে ঢোকেনি৷ তবে থাক না এসব কথা। তাই আমি আবারও বললাম এবং আশ্বস্তও করলাম, “যা হয়েছে তাতে তোমার অন্যায় ছিলো না। আর জন্ম,মৃত্যু, বিয়ে তিনটাই আল্লাহর হাতে। তিনি সবার জোড়া আগেই তৈরি করে রাখেন তোমার জোড়া ওর সাথে ছিলো হয়েছে। আমাকে কেন স্যরি বলতে হবে তোমার? সুখে থেকো সুখে রেখো। আমি তো ভুলেই গেছি ওই সময়,সম্পর্ক সবটাই। তুমিও ভুলে যাও। নিজেদের সম্পর্ককে একটা সুযোগ দাও । দেখবে অংশ সব ভুলে তোমায় আপন করে নেবে৷ বিয়ে পবিত্র বন্ধন আর পবিত্র বন্ধনের শক্তির মত আর কোন সম্পর্কের শক্তি নেই৷”
“আপু আপনি কি আমায় ক্ষমা করবেন কখনো?” মৌশি প্রশ্ন করলো।
“আবারও একই কথা কেন বলছো? আমি কিন্তু এবার রাগ করবো মৌশি। তুমি আমার বোনের মত তোমার উপর আমি ক্ষোভই রাখি নি সেখানে ক্ষমার কথা কেন আসছে। আমরা সবাই পরিস্থিতির স্বীকার। যা হয়েছে তা হবার ছিলো । আচ্ছা শোনো একটা গুড নিউজ দেই।”
মৌশি এবার উৎসুক দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে। রানু আন্টি আমার আর মৌশির কথার ফাঁকেই উঠে গিয়েছিলেন এখন আবার এলেন সাথে ট্রে তে করে তিনটা মগ নিয়ে। নিশ্চিত কফি বানিয়েছেন।
“এই নাও মেয়েরা কফি খাও” বলেই পাশে বসলেন আন্টি নিজেও এক মগ কফি নিলেন। আমি আর মৌশিও নিলাম। মৌশি বলল, “গুড নিউজটা তো বললেন না আপু।”
রানু আন্টি এবার আমার দিকে তাকালেন। উনার দৃষ্টি বুঝতে পেরেই আমি বিষম খেলাম।
“আন্টি যা ভাবছেন আসলে তা নয়।”
মুখটা কাচুমাচু করেই জবাব দিলাম।
-পূর্ণ আর আমি তো এক ঘরেই থাকি না সেখানে বাচ্চা ওহ মাই গড কত্তো এডভান্স ভেবে নিয়েছেন আন্টি! বিড়বিড় করে বললাম। মৌশি বোধ হয় শুনেছে তবে স্পষ্ট বুঝতে পারে নি৷ তার কপাল কুঁচকে গেছে।
“আমি একটা জবের জন্য এপ্লিকেশন করেছিলাম। এটাই ছিলো গুড নিউজ। আসলে গুড নিউজ না কথাটা হবে নিউজ কারণ এখনও ইন্টারভিউ পর্যন্ত আগাতে পারিনি৷”
“ওহ, আমি ভাবলাম দাদী ডাক শুনবো এবার।”
রানু আন্টি বলেই মুচকি হাসলেন। আমিও বুঝি উনার এক্সপেক্টেশন মৌশির ব্যাপারটা সবাই জানে তাই হয়তো তারা পূর্ণের বউয়ের অপেক্ষায় আছে কবে এমন একটা সুখবর শুনবেন। কিন্তু আমি তো পারবো না এমন কোন সুখবর দিতে। আমার আসলে যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণের জীবন থেকে সরে যাওয়া দরকার। আমি গেলেই না অন্য কেউ আসতে পারবে। আমিই বাঁধা তাদের সকল সুখের মুহুর্ত গুলোতে। বেশ কিছু সময় আলাপ আলোচনা চলল এই আলাপে জানতে পারলাম রানু আন্টি পূর্ণের আপন খালা। পূর্ণের মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরই রানু আন্টির বিয়ে হয় আর বিয়ের রাতেই উনার স্বামী মারা যান স্ট্রোক করে। শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা তাকে অপয়া, অলক্ষ্মী বলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন৷ পূর্ণ যথেষ্ট ছোট আর অংশ মোটামুটি বুঝতে পারে সবটাই। তাই আঙ্কেল নিজেই জোর করে বিয়ে করে আনেন আন্টিকে৷ পূর্ণের নানি খুশিই হয়েছিলেন কিন্তু নানা রাজি ছিলেন না৷ আর তাই আন্টিও রাজি ছিলেন না। কিন্তু মনে মনে পূর্ণ আর অংশের দ্বায়িত্ব নিতে চাইতেন। কারণ বোনের ছেলে দু’টোর জন্য সৎ মা আনলে হয়তো তাদের তেমন খেয়াল রাখতো না। আঙ্কেল অবশ্য পূর্ণের মা’কে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সেই কারণেই পূর্ণের নানা আঙ্কেল কে পছন্দ করতেন না। তিনি ভাবতেন বড় মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করে আট বছরের সংসারেই মেরে ফেলেছে৷ এখন আবার ছোট মেয়েকে নিয়েও তাই করবে তাই তিনি রাজি ছিলেন না। কিন্তু আঙ্কেল নিজের দুই ছেলের ভবিষ্যত ঠিক রাখতে রানু আন্টিকে অনেকটা জোর করেই বিয়ে করেন৷ তবে তাতে সময়টা অনেক বছর পর এসেছিল বলে ছেলে দুটো যথেচ্ছ বড় হয়ে গিয়েছিল। পূর্ণের ফুপু আবার পূর্ণের মা’কেও পছন্দ করতেন না তাই পূর্ণের খালা মানে রানু আন্টি কেও পছন্দ করেন না। কারণ হিসেবে শুধু একটা কথাই বলেন, “বাজে মেয়ে ছেলে একা একা বিয়ে করে চলে এসেছে।”
আমাকে আর মৌশিকেও একই কথা বলেন তবে কেউ উনার কথা ধরেন না৷ বয়স হয়েছে বলুক যা ইচ্ছে তবুও খুশি থাক৷ ওহ আজ আবার কথায় কথায় এও জানলাম এ বাড়িতে নাকি সবাই আমাকে আগে থেকেই চেনে এমনকি পূর্ণের নানা বাড়ির লোকেরাও৷ অংশের রুমে নাকি আমার একটা বড় ছবি ছিলো বাঁধাই করা। আমি অবশ্য জানতাম অংশের কাছে আমার একটা ছবি আছে বড় ফ্রেমে কিন্তু সেটা যে সকলের চোখে পড়ার মত বড় তা কখনো বলেনি সে৷ এখনও নাকি আছে ছবিটা তবে এখন আর তার রুমের দেওয়ালে নয় সেখান থেকে সরিয়ে রেখেছে৷ হয়তো মৌশির খারাপ লাগবে ভেবে৷ আজকে দুপুরে আমরা রান্না করিনি। গল্প করতে করতে কখন যে একটা বেজেছে কারো খেয়াল ছিলো না৷ কিন্তু আযান কানে আসতেই সবাই টেনশনে পড়ে গেলাম কারণ আঙ্কেল আর পূর্ণ লাঞ্চ করতে আসবে৷ কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে মনে পড়লো পূর্ণকে বলি আজকে বাইরে থেকে খাবার আনুক৷ যেই ভাবা সেই কাজ আমি পূর্ণকে কল করলাম। কল করে যখন বললাম, “আজকে রান্না করতে পারবো না খাবার নিয়ে এসো হোটেল থেকে আসার সময়।”
আমি কল করেছি এতেই বোধ হয় পূর্ণ বিস্ময়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে। আমি ফোন রাখার দশ মিনিট পর থেকে তার অবিরত কল পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর আসছেই৷ কখনো বলছে কি খাবার আনবো? কখনো বলছে ক’য় জনের জন্য আনবো কখনো বলছে ডেজার্ট এ কিছু আনবো? আমি বিরক্ত হয়ে আন্টি কে ফোন ধরিয়ে দিলাম। আঙ্কেল এসে গোসল করবেন এরপর নামাজ পড়ে খাবার খাবেন ততক্ষণে ভাত হয়ে যাবে৷ তাই আমি ভাত বসিয়ে দিয়েছি মৌশি গোসল করতে চলে গেছে। আন্টি টুকটাক এটা সেটা করে নিচ্ছেন। পূর্ণ যখন বাড়ি এলো আঙ্কেলও তখন এসেছেন৷ সবাই একসাথেই খাবার খেয়েছি তবে ভাত আর খাওয়া হয়নি পূর্ণ বিরিয়ানি, কোল্ড ড্রিংকস আর আইসক্রিম এনেছিলো। অংশ ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলো ঘরের। মৌশির জন্য পূর্ণ চকলেট নিয়ে এসেছে অনেক গুলো৷ আইসক্রিম আমার ফেভারিট হয়তো তাই আইসক্রিম এনেছে।পূর্ণ মৌশিকে ছোট্ট বোনের মত ভেবেই অনেক কেয়ার করে তা আমি বেশ বুঝতে পারি আমার খুব ভালোও লাগে এই বিষয়টা। আমি এখানে আছি মাস পেরিয়ে গেছে৷অংশ, আমি আর পূর্ণ আমরা তিনজন একে অপরের সাথে স্বাভাবিক নই এখনও হয়তো হয়ে যাবো কোন এক সময় তবে সেই সময়টা যে খুব নিকটে নয় তা আমি বেশ বুঝতে পারছি।হয়তো অংশ আর আমার মধ্যে সবটা স্বাভাবিক হওয়াটা এতোটাও মুশকিল হতো না যদি আমি এ বাড়িতে মানে তার চোখের সামনে না থাকতাম।কথায় আছে ‘কায়া দেখলে মায়া বাড়ে’ তবে নিশ্চয়ই দূর থেকে মায়াটা একটু হলেও কমে যেত৷ এতে করে অংশ আর মৌশির সংসারটা আরেকটু এগুতো।
সন্ধ্যার পর আজ পূর্ণ বায়না ধরলো লুডু খেলবে। আমি অপেক্ষায় আছি সেই জবের ইন্টারভিউ মেসেজ আসে কিনা তা জানার। কথা ছিলো সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে জানিয়ে দিবে। এখন আট টা পয়ত্রিশ আমি ল্যাপটপ নিয়ে বসবো বসবো করেও বসতে পারছি না। পূর্ণ সেই কখন থেকে বসে আছে সামনে আর মৌশিও দু’জনের লুডু খেলতেই হবে৷ দু’জনে কম ছিলো যোগ হলো রানু আন্টিও। বাধ্য হয়ে বসতেই হলো খেলায়। যুগলবন্দী হয়ে খেলছি পূর্ণ চেয়েছিলো আমি যেন তার পার্টনার হই কিন্তু আমার ইচ্ছে নেই৷ তাই মৌশিকে পূর্ণের সাথে দিয়ে আমি আর রানু আন্টি এক দলে। প্রথম দিকে খেলার আগ্রহ না থাকলেও পরে বেশ জমে যাচ্ছিলো বলে আমারও আগ্রহ জাগলো৷ শেষ পর্যন্ত জিততে হবে ভেবেই খেলছিলাম৷ সেই সময় অংশের আওয়াজ পাওয়া গেল৷ ‘মৌশি’ বলে ডাকছে সে৷ অংশ যতবার মৌশিকে ডাকছে ঠিক ততবার আমার বুকের ভেতর এক চাপা কষ্টের উদ্রেক হচ্ছে। মৌশি চলে যেতেই সুযোগ পেলাম খেলা ছেড়ে উঠে যেতে। এরপর,, এরপর আমি আর কারো দিকে না তাকিয়ে ল্যাপটপটা নিয়ে অন করে বসলাম৷ রানু আন্টি আর পূর্ণ চুপচাপ কিছু মুহুর্ত আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন আমি টের পেয়েছি কিন্তু কোন কিছু বলার মত পায় নি তারা।
রাতে সবাই নিজ নিজ রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে পূর্ণ তখন নিজের কাগজপত্র আলমারি থেকে নিয়ে গেস্ট রুমে চলে গেছে। কিন্তু সে হয়তো খেয়াল করেনি যাওয়ার সময় আলমারি থেকে কিছু একটা নিচে পড়েছে৷ পূর্ণ ঘর ছেড়ে যেতেই আমি আলমারির কাছে যেতেই মনে হল ওটা ডায়েরি।
চলবে
(আজকে হাবিজাবিই পড়েন । ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন)