#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_১৮
______________________________
ইরার রুমে মুখোমুখি বসে আছে সূচনা আর ইরা।সূচনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ইরা।সূচনা ইতস্তত বোধ করছে কিছু জিজ্ঞেস করতে।লম্বা করে দম নিয়ে ইরার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো-
–‘তুমি কি কোনো কারণে ডিস্টার্বড ইরা?মন খারা/প?কিছু কী হয়েছে?
–‘না ভাবি কী হবে?আমি ঠিক আছি,সবাই একটু বেশি ভাবছ তোমরা।আসলে ঘরে বসে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছে,এখন কিছু করতেও ভালো লাগেনা। এজন্য আর কি, অন্য কিছু না।দুইদিন পর এমনি ঠিক হয়ে যাব।চিন্তা করো না।
ইরার কথা খুব একটা বিশ্বাস হলো না সূচনার কিন্তু এতটুকু বুঝতে পারল যে সে লুকচ্ছ কিছু।হয়তো তাকে বলতে ইতস্তত বোধ করছে। তাই আর কথা বাড়ালো না।বললো-
–‘ঠিক আছে বুঝলাম,কিন্তু কোনো সমস্যা হলে সেটা অবশ্যই কাছের কারো সাথে শেয়ার করবে।তোমার কাছে কঠিন মনে হলেও সে হয়তো সহজেই সমাধান দিতে পারবে।নিজের মধ্যে চাপিয়ে রেখনা।আমি অবশ্য এমনই, নিজের কথাগুলো না সবার মতো করে সহজেই কারো সাথে শেয়ার করতে পারি না,অসুখ হলে তো আম্মু ‘কে বলতেও ইতস্তত করতাম,জানাতাম না তাকে।নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছাগুলোও কারো সামনে তুলে ধরতে পারিনা। এটা মারা/ত্মক একটা সমস্যা,তুমিই বলো নিজের মনের কথা যদি নিজেই না প্রকাশ করতে পারি তাহলে মানুষ জানবে কি করে?আর না জানলে কেউ তো কিছু করতেও পারবে না।তবে একটা জিনিস কি জানো আমি প্রচুর বক/বক করি অথচ নিজের অনেক অব্যক্ত কথা আছে,যা অনেকেই জানে না।এমনকি আম্মুকেও বলতে পারিনি।ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত।যে কথাগুলো বলা দরকার সেগুলোবলতে পারিনা আর হুদাই বক/বক করি।তাই বলছি তুমি এমন করো না আবার।বুঝেছ?
ইরা মাথা নাড়িয়ে বললো-
–‘বুঝেছি, তুমি সত্যি ই বক/বক করতে পার।
ইরার কথায় হালকা হাসল সূচনা।
.
.
পার্কে বেঞ্চের দুই কোণায় বসে আছে দিনা আর জাওয়াদ।জাওয়াদের চোখে মুখে চরম বিরক্তির ছাপ। বার বার মুখ বা’কিয়ে তাকাচ্ছে দিনার দিকে।দিনা কাচুমাচু মুখ করে বসে আছে,আর আড় চোখে দেখছে জাওয়াদকে।সে জানে জাওয়াদ বিরক্ত আর বিরক্তির কারণ ও তার জানা।দু’জনের মধ্যকার দূরত্ব কিঞ্চিৎ ঘুচাঁল জাওয়াদ। দিনা ঝট করে চোখ তুলে তাকালো তার দিকে।জাওয়াদ পাত্তা দিল না তার দৃষ্টি,স্বাভাবিক ভাবেই বসে রইল সামনের দিকে তাকিয়ে। দিনা থেমে থেমে বললো –
–‘অত কা,,কাছে আ,,আসবেন না প্লিজ,আ,,আমার
–‘তোমার কী?কী সমস্যা তোমার?
–‘কিছু না।
–‘কিছু না কেন বলো।বলবে তোমার লজ্জা করে।দুনিয়ার সব মেয়েদের লজ্জা তো তুমি একাই বয়ে বেড়াচ্ছ।এম আই রাইট?
–‘দুনিয়ার সব মেয়েদের কথা তো জানিনা কিন্তু আমরটা আমি বয়ে বেড়াচ্ছি।
জাওয়াদ দাঁতে দাঁত চেপে বললো-
–‘হ্যা সেটাই তো কাল হয়েছে আমার।
–‘কী বললেন?
–‘আমার মাথা।
–‘দেখুন লজ্জা পাওয়া ও কিন্তু একটা আর্ট যেটা সবাই পারে না।
–‘হ্যা তো এই খুশিতে কেউ নোবেল ছুড়ে মা/রুক আপনার দিকে।
–‘এভাবে বলছেন কেন?
–‘এবার আর বলবনা কিছু, যা করার করব।
–‘কী করবেন?
–‘করলেই দেখবে।চলো।
–‘কোথায়?
–‘এখানে সঙ সেজে বসে থেকে তো লাভ নেই, বাসায় যাব।
জাওয়াদের ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলা কথাগুলোতে ব্যথিত দিনার হৃদয়।ভেতর থেকে কান্না আসছে তার।এভাবে না বললেই কী না?সে কি ইচ্ছে করে করে?আর জাওয়াদ তো কখনো এমন ব্যবহার করে না তাহলে আজকে কী হলো?
–‘উঠো
জাওয়াদের ধমকানো স্বর।কেঁপে উঠল দিনা।বেঞ্চ থেকে উঠে তার সাথে পা বাড়ালো।
.
.
মিসেস আফিয়া রান্না করছেন রান্নাঘরে।ফিরোজা খালা থালাবাসন ধুচ্ছিল। সূচনা দাড়িয়ে আছে চুপচাপ। তাকে মূলত কিছু করতে দিচ্ছেন না মিসেস আফিয়া।তাই মুখ ছোট করে দাড়িয়ে আছে।মিসেস আফিয়া তরকারি নাড়তে নাড়তেই জিজ্ঞেস করলেন –
–‘কী হয়েছে মুখটা অমন করে রেখেছিস কেন?
–‘আমার খালি বসে থাকতে ভালো লাগেনা।বাসায় তো আম্মুর সাথে কাজ করতামই তাহলে এখানে করতে কি সমস্যা?দুজন মিলে করি।আপনার আর খালার দুজনের ই চাপ কমবে,আর কাজ ও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।
মিসেস আফিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন-
–‘ঠিক বলেছিস।
মিসেস আফিয়ার কথা শুনে সূচনার মুখ টা চকচক করে উঠল।যাক এবার আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবেনা।এভাবে কতক্ষণ ভাল্লাগে বসে থাকতে।অসহ্য লাগে।
সূচনার মুখ দেখে মিসেস আফিয়া বললেন-
–‘অত খুশি হতে হবে না আমি ভেবে দেখব। এখন ও বলিনি কিছু।আচ্ছা শোন ইরার সাথে কথা হয়েছে?
–‘হ্যা হয়েছে। আপনি চিন্তা করিয়েননা,ঠিক হয়ে যাবে।
–‘ঠিক আছে।
.
.
.
বিছানায় বসে কাঁদতে কাঁদতে নাকের পানি চোখের পানি এক করতে ব্যস্ত দিনা। আর তার এই অবস্থা দেখে তিথি আর ইরার হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার উপক্রম। সূচনা ঠোঁটে ঠোঁট চেপে শক্ত হয়ে বসে আছে। বলা যায় না তাদের হাসি দেখে সে ও যদি হেসে দেয়।হায়!লজ্জা।কী ভাববে দিনা?যত যাই হোক বয়সে তো বড়।দিনা এবার রা/গে দুঃখে টিস্যু দলা পাকিয়ে ছুড়ে মা/রলো ইরা, তিথির দিকে।বাজ/খাই গলায় বললো-
–‘মজা পেয়েছিস হ্যা।আমি কান্না করছি আর তোরা দাঁত বের করে হাসছিস।চোখের সামনে থেকে যা।রুম থেকে বেরো।
ইরা হাসি থামিয়ে বললো-
–‘তুমি শুধু শুধু ই কান্নাকাটি করছ, ভাইয়া দেখবে একটু পরেই কল দিয়ে বলবে সরি লজ্জাবতী ভুল হয়ে গেছে। এবারের মতো মাফ করে দাও।
–‘সত্যি? তোর মনে হয়?
–‘আরে হ্যা রে ভাই।
–‘ঠিকই বলছে ইরা।মামী খেতে ডেকেছে আপু ফ্রেশ হয়ে আসো।(সূচনা)
–‘ঠিক আছে আসছি।
.
.
পশ্চিমা বাতাস স্পষ্ট জানান দিচ্ছে শীতের আভাস।বাতাসে শরীরে কাটা দেয়ার মতো।সূচনার হাত খোঁপা করা চুলগুলো খুলে গেছে,শ্যাম্পু করেছে আজকে এজন্যই বোধহয়।চুল খোপা করে ব্যালকনির একপাশে শুকাতে দেয়া জামাকাপড় গুলো নিয়ে রুমে
আসলো। ভাজ করে কাবার্ডে রেখে দিয়ে ওয়াশরুমে গেল ওযু করতে।আজকে বাসায় আসেনি প্রণয়।দুপুরেই ফোন দিয়ে বলেছে –
–‘শোনো,আজকে আসতে দেরি হবে।অনেক কাজ,অফিসে খেয়ে নিব আমি।
জবাবে শুধু হুম বলতেই ফোন রেখে দিয়েছে প্রণয়।হয়তো ব্যস্ত।
নামাজ পড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে বিড়াল পায়ে এগিয়ে গেলো রান্নাঘরের দিকে।চা বানাবে সবার জন্য। এ বাড়ির সবারই চা খাওয়ার অভ্যাস।তবে ইসহাক সাহেব গ্রীন টি আর রং চা ব্যতিত খান না।ইসহাক সাহেবের সাথে তেমন কথা বা দেখাও হয় না বলতে গেলে।উনি সকাল সকাল ই চলে যান অফিসে,রাতে আসে,এশারের নামাজ পড়ে তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়েন। সেই যে প্রথম দিন তার সাথে কথা হয়েছিল সূচনার।সেদিন তো মনে হয়েছিল অনেক সহজ,সরল, খোলামেলা স্বভাবের।কিন্তু মিসেস আফিয়ার কাছ থেকে জেনেছে উনি নাকি গম্ভীর স্বভাবের অনেকটা,তেমন কথা বলেন না,অত কথা পছন্দ ও করেন না।পৃথিবীতে দু রকমের মানুষ ই তো আছে। কেউ সহজেই সবকিছু শেয়ার করতে পারে, খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতে পারে।কেউ আবার পারে না,গম্ভীর স্বভাবের হয়।ইরা আর তিথি নিচতলার ফ্লাটে গিয়েছে। কোনো দরকারে বোধহয়।দিনা এখনোো মন খারাপ করে বসে আছে। ফোন করে নি জাওয়াদ আর।সে ও রা/গ করে আর কল দেয়নি।কিন্তু কেঁদে কেটে ভাসাচ্ছে।ট্রেতে করে চা নিয়ে প্রথমে মিসেস আফিয়ার কাছে গেল সূচনা। দরজার কাছে যেয়ে দাঁড়াতেই মিসেস আফিয়া ভেতর থেকে বললেন-
–‘আয় ভেতরে।
রুমে প্রবেশ করে টেবিলের ওপর ট্রে রেখে একটা কাপ বাড়িয়ে দিল তার দিকে।চা খেতে খেতে মিসেস আফিয়া বললেন-
–‘শোন এখন থেকে রোজ করে এসময় টায় আমার রুমে আসবি।এক সাথে আড্ডা দিব।মা -মেয়ে মিলে।
মাথা নাড়ালো সূচনা।মিসেস আফিয়া কথা বলতে বলতে তার কণ্ঠ মলিন হলো হুট করে।মলিন কণ্ঠেই বললেন-
–‘জানিস প্রণয় ছোট বেলায় না একেবারে ভিতু টাইপ ছিল। একটু কিছু তেই ঘাবড়ে যেত,রীতিমতো কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে যেত তার।কিন্তু আপা মা/রা যাওয়ার পর সবকিছু কেমন যেন বদলে গেল।ইরা তো ছোট ছিল তখন।সব চেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে প্রণয়ের মধ্যে। আগের মতো আর কোনো পরিস্থিতিতে ভয় পায় না,ঘাবরায় না,কাউকে কিছু বলেও না,নিজের মতো করে সব করে।
মিসেস আফিয়ার কথার মাঝেই কলিং বেলের আওয়াজ।উনি ব্যস্ত গলায় বললেন –
–‘প্রণয় বোধহয় এসে গেছে যা রুমে যা তাড়াতাড়ি।
মিসেস আফিয়ার কথায় সূচনার লজ্জা হলো খাানিক।এভাবে উঠে রুমে চলে আসবে,ব্যাপারটা কেমন যেন লাগছে তার।মিসেস আফিয়া আবারও বললেন-
–‘কী হলো যা।
এবার উঠে পড়লো সূচনা।ট্রে হাতে বেড়িয়ে পড়ল রুম থেকে।রান্নাঘরে গেল প্রণয়ের জন্য শরবত বানাতে।ফিরোজা খালা বোধহয় শরবত বানাতেই নিচ্ছিলেন।সূচনা ধীর কণ্ঠে বললো –
–‘খালা আমি বানাই।
ফিরোজা খালা জোড়াজুড়ি করলেন। সূচনা বলতে পারলনা প্রণয় বলেছে তাকে বানাতে।তবুও বুঝ দিল। সূচনা ই বানালো।গুটি গুটি পায়ে প্রবেশ করলো রুমে হাতে গ্লাস নিয়ে।প্রণয় দু হাত দু দিকে মেলে দিয়ে,চোখ বন্ধ করে বিছানায় বসে ছিল।পায়ের আওয়াজে চোখ খুলে তাকালো। সূচনাকে দেখেই ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো-
–‘কোথায় ছিলে?
–‘মামীর রুমে।
–‘আমি এসেছি দেখনি?
–‘দেখেছি তো।
–‘তাহলে আসো নি কেন?
সূচনা জবাব দিতে পারলনা।
–‘শরবত দিবে না নিয়ে দাড়িয়ে ই থাকবে?
হকচকিয়ে গেল সূচনা।তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে দিল গ্লাস।প্রণয় ভ্রু কুচকে বললো –
–‘দুই দিন না যেতেই ভুলে গেছ।
সূচনা প্রশ্ন সূচক দৃষ্টি তে তাকালো তার দিকে। প্রণয় বিরক্তি মাখা কণ্ঠে বললো –
–‘কে বানিয়েছে?
–‘আমি
–‘খেয়ে দেখো।ফাস্ট।
একচুমুক খেয়ে প্রণয়কে গ্লাসটা দিল সূচনা।
সূচনাকে গ্লাস ফেরত দিয়ে আদেশের স্বরে বললো-
–‘এখন থেকে আমি আসলে দরজা তুমিই খুলবে।যদি কোনো কাজে ব্যস্ত থাকো তাহলে দরকার হয় আধা ঘন্টা দাড়িয়ে থাকব আমি তবুও তুমিই খুলবে আর আসার পর আমার পিছন পিছনই ঘুরঘুর করবে।বোঝা গেছে কথা?
–‘আপনার পেছনে ঘুরঘুর করব মানে?আমার খেয়ে কাজ নেই?আর মামী বলেছে এই সময়টায় ওনার সাথে বসে কথা বলতে ওনার রুমে।
–‘অতকিছু দেখার বিষয় আমার না, যা বলেছি তা হলেই হয়।আমি আবার ভালোর ভালো খারা/পের থেকেও বহুগুণে খারা/প।আমার কথার নড়চড় হবে এটা আমার পছন্দ না। গট ইট?
সূচনা মুখ বা’কিয়ে বললো-
–‘হু বুঝেছি।
–‘দেটস গুড।
______________________________________
অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ।মেঘের আনাগোনা ও নেই,না আছে তারার মেলা।কেমন যেন গুমোট পরিস্থিতি।শুধু বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টির পানির ঝাপটায় প্রণয় হয়তো ভিজেও যাচ্ছে খানিক। কিন্তু সূচনা বলতে পারল না।ঘন ঘন পলক ফেলে তাকিয়ে রইলো তার দিকে।ব্যালকনির গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে প্রণয়। মনে মনে ভাবছে অনেক কিছু ই।সূচনা প্রণয়ের পেছন পেছনই এসেছে সেই কখন।কিন্তু কেন যেন তার সামনে যেয়ে দাঁড়াতে ঘিরে ধরেছে আড়ষ্টতা। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কাম/ড়াচ্ছে সে।তার বদ অভ্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম এটা।কত শত ব/কা খেয়েছে এরজন্য তার হিসাব নেই।কিন্তু ঔ-যে বলে না মানুষ অভ্যাসের দাস।তার ক্ষেত্রেও তাই।সে বদলাতে পারেনি,অতিরিক্ত টেনশন বা ভয় হলেই আপনা আপনি ঘটে যায় এই ক্রিয়া।
তুমি যদি না দেখা দাও,কর আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদলা-বেলা।
সামনে চোখ রেখেই রবি ঠাকুরের উক্ত উক্তি টুকু করল প্রণয়। সূচনা অবাক হয়ে গেল। তার বিস্ময়াভাব কাটার আগেই প্রণয় বললো-
–‘এভাবে পেছনে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঠোঁট কামড়ালে হবে,কাছে আসো,দেখা দাও পাশাপাশি দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখব।বউ থাকতেও যদি এই মুহূর্ত উপভোগ না করতে পারি তাহলে তে বলতে হবে “প্রণয় তুই বিবাহিত ব্যাচলর।”
সূচনা ধীর পায়ে এগিয়ে এসে প্রণয়ের পাশাপাশি দাড়ালো। করবে না করবে না করেও জিজ্ঞেস করেই ফেললো-
–‘আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি পেছনে তাও আবার ঠোঁট কামড়া/নোর কথাটা,,
প্রণয় হাসল।শব্দহীন সেই হাসি,গম্ভীর, গভীর আখিঁ জোড়া তার।শীতল কণ্ঠে বললো –
–‘সে জানে না তাকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করে কেউ,বিশেষ করে সে যখন তার আশেপাশে থাকে।
সূচনা থমকালো। অজান্তেই শিরদাঁড়া বেয়ে বয়ে গেল শীতল স্রোত,মুষ্টি বদ্ধ হলো হাত নিজেকে সংযত রাখতে।নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে রইলো দুজন বাইরের দিকে।কমে এসেছে বৃষ্টি। বৃষ্টির পানির হালকা ঝাপটা তবে তার জোর কম বিধায় স্পর্শ করছে না শরীর।
#চলবে
আসসালামু আলাইকুম। আজকে কিন্তু অন্যদিনের তুলনায় বড় করে দিয়েছি।তাই গঠনমুলক মন্তব্য চাইইই।হ্যাপি রিডিং ❤️। আসসালামু আলাইকুম।)