প্রণয়ের সূচনা পর্ব – অন্তিম (প্রথমাংশ)

#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#অন্তিম_পর্ব(প্রথমাংশ)
____________________________
পুলিশ স্টেশনে মুখোমুখি বসে আছে সূচনা ও স্নেহা,স্নেহার পাশে একটা অচেনা মেয়ে। সূচনার জন্য অচেনাই কারণ এই মুখ তো সে আগে দেখেনি। প্রণয় বাইরে মুগ্ধর সাথে,সূচনা মুগ্ধকে জিজ্ঞেস করেছিলো-

–‘ভাইয়া রিয়াদকে কেন এরেস্ট করা হয়েছে?

মুগ্ধ উত্তরে শুধু এতটুকুই বলেছে-

–‘তার উত্তর দেওয়ার মানুষ আপনার জন্য ওয়েট করছে ওয়েটিং রুমে।

তারপর ওয়েটিং রুমে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। স্নেহাকে দেখে যেমন রা গ হয়েছে তেমনি ঘৃ না ও আসছে সূচনার।আসার পর থেকে সূচনা চুপ করেই ছিল।নীরবতা ভেঙেছে স্নেহাই।

–‘কেমন আছিস সূচি?

সূচনা কিঞ্চিত অবাক হলো স্নেহার তাকে ‘সূচি’ বলে সম্বোধন করায়।কিন্তু প্রকাশ করলো না।
কা ঠ কা ঠ গলায় জবাব দিলো-

–‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,অনেক ভালো আছি।

-আমাকে জিজ্ঞেস করবি না?

-জিজ্ঞেস করার কি আছে?সামনে বসে আছিস ভালো না থাকলে তো আর আসতে পারতি না।তাই না?

স্নেহা কিছু বললো না। সূচনার এমন ব্যবহারে হালকা হেসে বললো-

-আমি যা করেছি তার জন্য এই ব্যবহার আমার প্রাপ্য। সমস্যা নেই,তোকে কিছু বলার ছিলো।

-কি বলবি?তাড়াতাড়ি বললে উপকার হত, আ জে বা জে জিনিসে সময় নষ্ট করার সময় নেই।

–‘ঠিক আছে।শোন..রিয়াদ তোর সাথে ছয়’মাসের জন্য সম্পর্ক করতে চেয়েছিলো, শুধুমাত্র তার উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য।কিন্তু তার উদ্দেশ্য যে তোর সাথে ওইসব করা ছিলো সেটা বুঝতে পারিনি আমি। তুই যখন তার এতো চেষ্টার পরেও তার প্রোপোজালে রাজি হচ্ছিলি না তখন ও আমার হাতে পায়ে ধরে জোড়াজুড়ি করে আমাকে রাজি করায়। আমাকে বলে আমি যেনো তোকে আমাদের বাসায় ডাকি আর বাসা পুরো ফাঁকা থাকবে,সেই সময় তোকে প্রোপজ করবে। আমিও তার কথা বিশ্বাস করে ফেলি।কারণ তার এতদিনের সব পাগলামি দেখে আমিও ভেবেছিলাম সে সত্যি তোকে ভালোবাসে।কিন্তু আমি ভুল ছিলাম,যখন বাসায় এসে শুনি সে ও তোর সাথে ঔসব করার চেষ্টা করেছে তখন আকাশ থেকে পড়েছি,স্বপ্নেও ভাবিনি রিয়াদ এমন ধরনের ছেলে।তখনই বাসার সবাইকে সত্যি কথা বলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে তো কোনো প্রমাণ ছিলো না আর না তোর সাথে যোগাযোগ করতে দিচ্ছিল সে।আমাকে হুমকি দিয়েছিলো যে আমি যদি সত্যি কথা বলার চেষ্টা ও করি তাহলে তোর সাথে যেটা করতে পারেনি সেটা আমার সাথে করবে। এমনিতেও সে খুব ভালো ও ভদ্র, সবাই তাকে এমন বলেই জানে।সেখানে প্রমাণ ছাড়া তার সম্পর্কে কিভাবে এসব বলতাম?তার উপরে নিজের সতীত্ব হারানোর ভয়,তাই চুপ করে থাকতে হয়েছে।লজ্জায়, অনুশোচনায় তোর সাথে যোগাযোগ করিনি। দোষ তো আমার ও ছিলো। আমি যদি ওর কথা বিশ্বাস না করে তোকে ওর সাথে একা না ছাড়তাম তাহলে তো আর এতো কিছু হতোই না।শেষ পরীক্ষার দিন যখন তোর সাথে দেখা করলাম,আর তুই তার কথা জিজ্ঞেস করলি তখন রা গ হলো খুব।তোকে দেখে মনে হলো তোর মনের অবস্থা ভালো না।কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করতে পারিনি কারন আমি জানতাম যে তুই আমাকে মন থেকে ক্ষমা করিস নি।তাই কিছু বলতে যেয়েও আটকে যাচ্ছিলাম,অধিকার পাইনি।কিন্তু সময় যতো যাচ্ছিল আমার অনুশোচনা আর ক্ষো ভ বাড়ছিলো। ক্ষোভটা কেনো বাড়ছিলো জানিস?

সূচনা প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকাতেই স্নেহা বলে উঠলো-

–‘সত্যি বলে দেওয়ার দুঃসা হস দেখাতে গিয়েছিলাম।
অতঃপর নিজের সর্বোচ্চ দামি জিনিসটাই হারাতে হলো।

স্নেহার কথা শুনে সূচনা আঁ ত কে উঠলো,বড় বড় চোখ করে তার দিকে তাকাতেই স্নেহা সহসা বলে উঠলো-

–‘যা ভাবছিস তা-ই।আম্মু কে মুখে বলার মতো সাহস আর মুখ দুইটার একটাও আমার ছিলো না। তাই চিঠি লিখেছিলাম আম্মু কে তোর ঘটনার শুরু থেকে একদম আমাকে হুমকি দেয়া সবকিছু লিখেছিলাম। কিন্তু আমার পো ড়া কপাল, চিঠিটা আম্মুর‌ হাতে পড়ার আগে তার হাতে পড়ে যায়। আর সে রাগের‌ বশে জোর করে আমায়……..

ফুঁপিয়ে কেঁ দে দিলো স্নেহা। সূচনা ব্য থা তুর নয়নে তাকিয়ে রইল। মাথায় ঢুকলোনা তার,মানুষ এতো নিষ্ঠুর হয় কিভাবে?

স্নেহা কান্না থামিয়ে ক্রো ধা ন্বিত কন্ঠে বললো-

–‘তাকে শা স্তি দেওয়ার জন্য যখন কোনো রাস্তা আমার ছিলো‌ না তখন পথ হিসেবে প্রণয় ভাইয়া নিজেই আসেন। মাহি ভাবি আর আমাকে জোড় করে নিয়ে আসেন তার অফিসে।আমি জানতাম না উনি তোর হাসবেন্ড,পরে যখন জানলাম,তখন খুশি হয়েছি অনেক,শান্তি লাগছিল জানিস।একটা মানুষ কতটা সুন্দর মস্তিষ্কের হলে তার স্ত্রীর এমন সত্যের কথা জেনে ও তাকে খারাপ না ভেবে উল্টো তার সাথে যারা খারাপ করেছে তাদের শা স্তি দেয়ার জন্য এত ঝা মেলা পোহাতে পারে।পুরো ঘটনা শোনার পরে উনি সত্যি যাচাই করার জন্য আম্মু কে ও ডেকে জিজ্ঞেস করেন।ও হ্যা আমাকে রে প করার ঘটনা টা আমার আম্মু আর আব্বু জেনে গিয়েছিলো তখন। বাবা বাসায় ছিলেন না কাজের প্রয়োজনে দেশের বাইরে ছিলেন। তাই রিয়াদের আম্মু-আব্বু ফুঁসলিয়ে ফাসলিয়ে আম্মুকে রাজি করিয়ে ফেলেন,যেনো এই ব্যাপারে কিছু না বলেন কাউকে।তারা তাদের ছেলেকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে অ্যামেরিকা চলে যান।যেহেতু আগে থেকেই সেটেল্ড ছিলেন সেখানে তাই যাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হয় নি।ও হ্যা তাদের ছেলের সাথে আমার-ই বিয়ে দেবেন এই ওয়াদাও করে গিয়েছিলেন আর আমার যাবতীয় খরচ ও দিয়ে গেছেন।প্রতিমাসে খরচ পাঠিয়ে দিবেন তাও বলেছেন।আম্মু কি লোভে পড়েছিলেন?নাকি আমাকে দিয়ে ব্যবসা করলেন? বুঝিনি,বোঝার অবস্থায় ছিলাম না। ট্র মাটা ই জড ছিলাম এক মাসের মতো, সেসময় তাদের মধ্যে কি হয়েছে না হয়েছে সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।কিন্তু যখন জানলাম তখন আম্মুর মুখের দিকে তাকানোর মতো অবস্থা ছিল না।কারণ রিয়াদ বিয়ে করে নিয়েছে আর তার স্ত্রী চার মাসের প্রেগন্যান্ট ছিল।আম্মুকে আবার সেসব বলে লজ্জা দিতে পারিনি,তাই সে সম্পর্কে কোনো কথা আজ পর্যন্ত বলিনি আম্মুর সাথে।আম্মুর সাথে আমার সম্পর্ক স্বাভাবিক না,ঠিক এই কারণেই।আব্বু আম্মুর সম্পর্কে ও ফা টল ধরেছে যখন আব্বু সব জেনেছে।প্রণয় ভাইয়া সব সত্যি টা বলে দেয়ার জন্য অনেক বুঝিয়েছেন আমাদের দুজনকে।অতঃপর যখন পুলিশের কাছে সবকিছু বললাম,এফআইআর ও করলাম,তখন রিয়াদকে এরেস্ট করা হলো।কিন্তু আমার আম্মু বা তার আব্বু আম্মুর জানার বিষয়টা স্কিপ করেছি আমি।প্রণয় ভাইয়া জানে এটা।কারণ তারা তাদের শাস্তি তো পাচ্ছে ই।রিয়াদের আম্মু স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে আছেন চার মাস ধরে।হুইলচেয়ার ছাড়া উনি অচল।রিয়াদের বাবার মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক বছর। আর আমার আম্মু?ওনাকে আমি কোনো শা স্তি দিতে চাইনা।যতই হোক আমার মা,আর উনি তো শা স্তি পাচ্ছেনই।ওনার স্বামী, সন্তান কারো সাথেই ওনার সম্পর্ক নেই,সবাই থেকেও কেউ নেই ওনার।তবে তুই চাইলে শা স্তি দিতে পারিস কারণ উনি তোর ও কালপ্রিট।চাইলে সবাইকে বলে দিতে পারিস।আমি নিষেধ করবনা।আর,,আর এই যে ও..ও হচ্ছে মাহিরা,মাহিরা ভাবী, রিয়াদের ওয়াইফ।

স্নেহা তার পাশে থাকা মেয়েটাকে দেখিয়ে বললো।সূচনা পূর্ণ দৃষ্টি তে তাকালো মাহিরা নামের মেয়েটার দিকে।

–‘আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছি।

সূচনার তাকাতেই বললো মাহিরা। সূচনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো-

–‘কেন?

–‘স্নেহা আর আমাকে আপনার হাসবেন্ড তার অফিসে নিয়ে গিয়েছিল জোর করে, সত্যি টা জানার জন্য। কিন্তু স্নেহা সেসব কথা অনেক আগেই আমাকে জানিয়েছিল। স্নেহা সম্ভবত আমাকে এসবকিছু বলার জন্য ই আমার সাথে যোগাযোগ করে আর আমার বিশ্বাস অর্জন করে যেন ওর কথা আমি অবিশ্বাস না করি।আর হয়েছে ও তাই,স্নেহার সব কথাই বিশ্বাস করেছি আমি,আর না করেও কি করব কারণ আমি নিজেও জানতাম সেসব।রিয়াদ আগে থেকেই আমার সাাথে উল্টা পাল্টা বিহেভ করত আমেরিকাতে থাকতেই।রাত বিরাতে বাড়ি ফেরা,মেয়েদের নিয়ে ক্লাবে যাওয়া এসব কিছু নিত্যদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছিল তার।কিন্তু আমার কাছে রাস্তা ছিল না কোনো,আর দেশে ফিরতে হলেও রিয়াদকে ছাড়া পারবনা কারণ আমার পাসপোর্ট, ভিসা,যাবতীয় সব কাগজপত্র রিয়াদের লকারে ছিল।তাই নিরুপায় হয়ে পড়েছিলাম।কিন্তু ওনার মামার মৃ ত্যু হওয়ায় দেশে ফেরেন আর সেই সুযোগে আমিও দেশে ফিরি।দেশে ফিরেই সবার আগে লয়ারের সাথে কথা বলি।আর আশা করি রিয়াদের সব অপ রাধের কথা শোনার পর আদালতে তাড়াতাড়ি ই রায় হয়ে যাবে ডিভোর্সের ব্যাপারে।এরকম জ ঘন্য একটা মানুষের সাথে থাকার চেয়ে সারাজীবন একা থাকাও শ্রেয়।শুধু আমার ছেলে দুটো আমার কাছে পেলেই আমি খুশি।

সূচনা কিছু বললো না,স্নেহার সাথে এত এত অন্যায় হয়েছে আর সে স্নেহাকেই এত ভুল বুঝেছে,স্নেহাকে অপরাধী ভাবছিলো।ছিহ!

–‘সূচি?

ভাবনায় ছেদ ঘটলো সূচনার,চম কে তাকালো স্নেহার পানে।চকিত গলায়ই ডাকের সাড়া দিল-

–‘হ,,হ্যা।

–‘কী ভাবছিস?

–‘আমি ভুল ছিলাম স্নেহু,এত গুলো দিন ধরে আমি তোকে ভুল ভেবে আসছি,তোকে অ প রা ধী ভেবে আসছি।

–‘তুই ভুল ছিলিনা,পরিস্থিতি ই এমন ছিল,তোর জায়গায় যে ই থাকত না কেন সে-ই এমনটা ভাবত।ভুলে যা সব,যা হয়েছে।আ’ম সরি।

–‘দোষ তো কারোই ছিল না, সরি বলছিস কেন?আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারতি,সব বুঝিয়ে বলতে পারতি আগেই।

–‘যা হওয়ার ছিল হয়েছে এবার সেসব বাদ দেই?

–‘আ’ম সরি।

স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে ক্রন্দনরত কণ্ঠে বললো সূচনা।স্নেহা ও আঁকড়ে ধরলো তাকে।সূচনা মাহিরার দিক এক হাত বাড়িয়ে দিয়ে চোখের ইশারায় বললো, তাকেও আসতে।মাহিরা ও হেসে জড়িয়ে ধরলো দুজনকে।চোখজোড়া তিনজনের ই ভেজা হলেও মনে প্রশান্তি তাদের।
__________________________
–‘সব খারাপের ইতি ঘটলো তবে,যারা থাকার ছিল তারাই থাকলো,যারা ক্ষণিকের জন্য এসেছিল তাদের প্রস্থান ঘটলো।কিন্তু ক্ষণিকের জন্য আগমন করা মানুষ গুলো যে ঝড় বয়ে আনে সে ঝড় গুলো আজীবন আমাদের বয়ে বেড়াতে হয়,একদম তছনছ করে দিয়ে যায় আমাদের জীবনটাকে।এই যেমন আমার জীবনে হঠাৎ আগমন ঘটা এক আগুন্তকঃ রিয়াদ,হুট করে এসে অনুভূতির জোগান দিয়ে, অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা ঘটিয়ে চলে গেল,যে ঘটনার রেশ বয়ে বেড়াতে হলো বছরের পর বছর,যদি প্রণয় নামক মানুষটা না আসত,আপনি না আসতেন তাহলে হয়তো আরও কয়েক বছর বয়ে বেড়াতে হত।অন্য দিকে স্নেহা ছোট্ট এক ভুলে শেষে কি না নিজের সতিত্ব ই হারাতে হলো,আর মাহিরা?এমন একটা মানুষের সাথে পবিত্র বন্ধনে জুড়লো যে সেই বন্ধনটা ই কল ঙ্কিত হয়ে গেল,মাঝে দুটো নিষ্পাপ বাচ্চা কে অনাথ হতে হলো,বাবার পরিচয় ছাড়া বড় হতে হবে তাদের। দাদা-দাদি, বাবার ভালোবাসা পাবেনা তারা।তাদের মা হয়তো সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে,তাদের কোনো অভাব বুঝতে দিবেনা।হাহ…আমাদের সমাজের আনাচে কানাচে সূচনা,স্নেহা আর মাহিরার মতো এমন কতশত মেয়ে আছে কিন্তু পার্থক্য এক জায়গাতেই যে সবারটা প্রকাশ হয় না।সবাই ন্যায় পায় না,কারণ সবার জীবনে আপনার মতো কেউ থাকেনা।সবাই এত সুন্দর হয় না,উহুম…বাহ্যিক না অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য।

–‘তার মানে আমি দেখতে সুন্দর না?

প্রণয়ের কথা শুনে সূচনা ভ্রু কুটি করে প্রণয়কে জিজ্ঞেস করলো-

–‘আমি কখন বলেছি?

–‘এই তো বললে।

–‘আমি বলিনি।

–‘বলেছো।

–‘বললাম না বলিনি।

–‘বলেছো।

–‘বললাম না বলিনি।

–‘আচ্ছা ঠিক আছে বলোনি,রে গে যাচ্ছ কেন?

–‘ রা গ ছি কোথায়?

–‘আচ্ছা রা গো নি বুঝেছি।

–‘হু।

–‘মুখ ফুলিয়ে রেখেছো কেন?

–‘ফুলাইনি।

–‘আসো।

দুহাত প্রসারিত করে সূচনাকে বুকে মাথা রাখার জন্য জায়গা করে দিয়ে বললো প্রণয়।সূচনা মুখ ফুলিয়ে জবাব দিল-

–‘আসবনা।

–‘বেশি বলবনা,আসলে আসো না আসলে…

পুরো বাক্য শেষ হওয়ার আগেই সূচনা হাম লে পড়লো প্রণয়ের বুকে।প্রণয় তাকে জড়িয়ে ধরে চুলে চুমু খেল।নিঃশব্দে হাসলো,হাসি সরলো না তার মুখ থেকে।

#চলবে

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here