#প্রতারক
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
#পর্বঃ০৬
রাতের বেলা ঘুমুতে গেলাম।কিন্তু কেনো জানি
আমার ঘুম আসছিলো না।শুধু বারবার স্যারের কথা খুব মনে পড়ছে।।ভাবছি আজ যদি স্যার সময়মতো সেখানে না পৌঁছাতো তাহলে আমার কী হতো!!আল্লাহ সহায় হোক!!
———-স্যারের কথা ভাবতে ভাবতে আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম টেরও পাই নি।সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।।
———-এই আর্নিয়া উঠ মা!!সকাল হয়ে গেছে।।আর কত ঘুমাবি বল।ইদানীং তোর কী হয়েছে বল তো ঠিকমতো নামাজটা ও আদায় করছিস না।।
———–আহঃ মা!!তুমি আমাকে সময়মতো জাগিয়ে দিলে না কেনো!!ইসঃ তুমি ও না!!
————মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে ওয়াশরুমে গেলাম।ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।তারপর টেবিলে বসে নাস্তা করে নিলাম।।
———–কলেজের উদ্দেশ্যে বের হইলাম।বাসার গেইটের সামনে একটা বাইক দেখতে পেলাম।বাইকটা দেখে আমি বুঝতে পারলাম ওটা নীল স্যারের বাইক।।মনে মনে ভাবছি ইসঃ স্যার যদি আজকে আমাকে বাইকে চড়িয়ে কলেজে নিয়ে যেতো।।কত ই না আনন্দ পেতাম।।আসলে বাইকে চড়ার মজাটাই আলাদা।।
——–আমি স্যারের কথা ভাবছি আর স্যার এসে ই হাজির।।
আরে আর্নিয়া তুমি???
———জ্বী স্যার আমি কলেজে যাওয়ার জন্যে বের হইছি।।
———–চলো আর্নিয়া আমরা একসাথে যাই।আমিও তো কলেজে যাচ্ছি।তোমাকেও পৌঁছে দিবো।।
———-ওমা গো এইতো দেখছি মেঘ না চাইতে জল।আরে স্যার আমি তো এটাই চাচ্ছিলাম এতক্ষণ ধরে।শুধু লজ্জার কারণে বলতে পারছিলাম না।।{বিড়বিড় করে বলছি}
————কী ভাবছো আর্নিয়া??
———–কিছু না স্যার।চলুন।
———-তুমি আমার বাইকের পেছনে বসো।আর কালকের মতো ভালো করে বসবে!!
———–আচ্ছা স্যার।
কী আর বলি খুশিতে আমার লুঙ্গি ডান্স দিতে ইচ্ছা করছিলো।।কিন্তু লজ্জা-শরমের একটা ব্যাপার আছে না;;তাই এমন কিছু করছি না।একদম ভদ্র মেয়ের মত বসে রইলাম।।
————স্যার আপন মনে বাইক চালাচ্ছে আর আমি স্যারের পেছনে বসে আছি।যাইহোক স্যারের সাথে তো কলেজে যেতে পারছি।তাও নিজেকে একটু হালকা মনে করছি।।
হঠাৎ স্যার বাইক থামিয়ে দিলেন।।আমিও ভাবনার জগৎ থেকে ফিরলাম।চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম আসলে আমরা কলেজে পৌঁছে গেছি।।
———–আর্নিয়া এইবার তুমি সাবধানে নামো।।
———-হ্যাঁ স্যার।ধন্যবাদ আমাকে লিফট দেওয়ার জন্যে।।
———-আচ্ছা!!ঠিক আছে।তুমি যাও।।
———আমি কলেজের দিকে যখন গেলাম তখন দেখলাম সবাই আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।বিশেষ করে আহির আর মিমি।যেনো আমি এলিয়েন এসেছি।।
————কাউকে কিছু না বলে আমি সোজা কলেজ রুমে চলে গেলাম।সেখানে গিয়ে দেখি তিথি বসে আছে।
———-কী রে তুই এইভাবে হ্যাংলার মতো গোমড়া মুখ করে বসে আছিস কেনো??
———-তোর কারণে!!
———-এই বাবা আমি আবার কী করলাম??
———–আগে বল তুই আসতে এত লেট করলি কেনো??
———বলছি।।কিন্তু তার আগে তো তুই আমাকে বসতে দিবি নাকি।।
———–এই নে বস।।এইবার বল সব!!
————তারপর আমি তিথিকে সবকিছু খুলে বললাম।সব শোনে তিথি তো হতবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।।আর বলছে এতো কিছু কীভাবে হয়ে গেলো আর্নিয়া!!!
———কলেজ ছুটির পর আমি আর তিথি বের হচ্ছি।ঠিক তখনি কেমন জানি আমার মাথাটা ঘুরঘুর করছিলো।চারদিকটা কেমন জানি ঝাপসা ঝাপসা লাগছিলো।।আমি হঠাৎ গিয়ে আহিরের সাথে ধাক্কা খেলাম।।
———–আর্নিয়া তোমার কী হয়েছে??তুমি ঠিক আছো তো??
———–হ্যাঁ আহির আমি ঠিক আছি।তেমন কিছু হয় নি।শুধু মাথাটা কেন জানি ঝিম ঝিম করছে।।
————-হ্যাঁ এমন অভিনয় না করলে কী পর পুরুষের গায়ে ঘষাঘষি করতে পারবে।যত্তসব অভিনয়।।
———–আহঃ মিমি তুমি চুপ করবা।।কেন অযথা এইসব বলে এইখানে ঝামেলা করছো!!
———–ও এখন নিজের পুরানো প্রেমিকার জন্যে দরদ উতলে উতলে উঠতেছে বুঝি।।
———-দেখ মিমি আমি তোর সাথে কোনো তর্কে যেতে চাই না।।কারন তোর সাথে কথা বলার বিন্দুমাত্র রুচিবোধ টুকুও আমার নেই।আর আহির তোমার স্ত্রীকে ভালো করে শিখাবে কীভাবে অন্যের সাথে কথা বলতে হয়।।আর তোমাদের মাঝখানে আসার জন্যে সরি।।
———–আর্নিয়া চলে আয়!!!
————চল তিথি!!
————–আমি আর তিথি কলেজ থেকে বের হয়ে গেলাম।তিথি নিজের বাসায় গেলো।আর আমি গেলাম আমার বাসায়।।
———-রাতের বেলা বসে বসে পড়তেছি।রাত তখন সাড়ে নয়টা বেজেছে।হঠাৎ করে,,,,,,,,,,,,
চলবে……….