“প্রিয় অসুখ সূচনা পর্ব

0
1180

প্রিয় অসুখ
সূচনা পর্ব
মিশু মনি
.

দরজায় ঠকঠক শব্দ হচ্ছে। শীতুলের পড়নে হাফপ্যান্ট। গোসলে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়লো। শীতুল একটা তোয়ালে কোমরে জড়িয়ে দরজার কাছে এসে বললো, ‘কে?’

ওপাশ থেকে হোটেল বয় এর কণ্ঠ শোনা গেলো, ‘স্যার, শরবত টা নিন।’
শীতুল দরজা খুলে শরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে উচ্ছ্বসিত গলায় বললো, ‘ওয়াও, আনারসের শরবত!’
– ‘স্যার, যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে কল করবেন।’

শীতুল দরজা লাগিয়ে দিয়ে ঢকঢক করে শরবত খেয়ে নিলো। তারপর গোসলে ঢুকতে যাবে এমন সময় আবারো দরজায় ঠকঠক শব্দ। শীতুল একা এই হোটেলে উঠেছে, কাজেই ওর রুমে হোটেল বয় ছাড়া আর কারো আসার প্রশ্ন নেই। এবার তোয়ালে ছাড়াই দরজা খুলে মাথা বের করে দিলো শীতুল। দরজার ওপাশে একজন সুন্দরী হাস্যজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে আছে। শীতুল যথাসম্ভব চেষ্টা করলো নিজেকে দরজার পেছনে আড়াল করার। মুখটাও দরজার আড়ালে ঢেকে জানতে চাইলো, ‘কি চাই এখানে?’

মেয়েটা স্পষ্টগলায় বললো, ‘আমি ভেতরে আসতে পারি?’
– ‘না না, পারেন না।’

মেয়েটি থতমত খেয়ে বললো, ‘আমার দরকার আছে, ভেতরে আসতেই হবে।’
– ‘আগে বলুন কি দরকার?’
– ‘একচুয়েলি এই রুমে আমি ছিলাম। কিছুক্ষণ আগেই রুমটা চেঞ্জ করেছি। আমার একটা জিনিস খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কাইন্ডলি একটু..’

শীতুল মেয়েটার মুখের উপর দরজা আটকিয়ে দিয়ে বললো, ‘ওয়েট এ মিনিট।’

দ্রুত কোমরে তোয়ালে পেঁচিয়ে দরজা খুলে দিয়ে বললো, ‘আসুন।’

মেয়েটা এতক্ষণে ভালোভাবে খেয়াল করলো শীতুলের চেহারা। নিষ্পাপ বিশুদ্ধ মুখশ্রী। চোখে মুখে শুভ্রতা লেগে আছে। গায়ের রং দেখে মনেহচ্ছে গরুর দুধে কাঁচা হলুদ ও জাফরান মেশানো। সেই রংয়ের উপরে কালো খোঁচা খোঁচা দাড়ি দেখে অভিভূত হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো মেয়েটি। চোখে পানি এসে গেলো ওর। বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম করে হাতুরি পিঠতে লাগলো। হঠাৎ করে এরকম আবেগী হয়ে পড়ার কারণ বুঝতে না পেরে মাথা নিচু করে ফেললো মেয়েটা।

মেয়েটার চোখের দিকে তাকিয়ে শীতুলের অস্থির লাগতে শুরু করেছে। কেন যেন মেয়েটাকে সেই চিঠির মেয়েটা মনেহচ্ছে। যার চিঠি পড়ে পাগলের মত অবস্থা হয়ে গেছের শীতুলের। যখন উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করতে যাবে, তোমার নাম কি শ্যামলতা? তার আগেই মেয়েটা বললো, ‘হাই, আমি শ্রবণা।’

আশাহত হয়ে মাথা নিচু করে ফেললো শীতুল। শ্যামলতা ছাড়া আর কারো দিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করা মানেই ওকে ঠকানো। শীতুল বাথরুমের দিকে যেতে যেতে শ্রবণাকে বললো, ‘আপনার কি হারিয়েছে সেটা খুঁজে নিন।’

শ্রবণা কিছু বলার আগেই বাথরুমে ঢুকে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো শীতুল। নাম শুনে এরকম মুখ কালো করলো কেন ছেলেটা? কেউ পরিচিত হতে চাইলে নিজের নামটা বলতে হয় সেই ভদ্রতাও নেই নাকি? মনেমনে নানান কথা ভাবতে ভাবতে শ্রবণা নিজের হারানো জিনিসটা খুঁজতে লাগলো। লোকটার সাথে দুটো কথাও হলো না। এটাই প্রিয় অসুখ কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যও তো কথা বলতে হবে। মন খারাপ করে রুম থেকে বেরিয়ে এলো শ্রবণা।

শ্রবণা নিজের রুমে এসে বালিশে মুখ গুঁজে কেঁদে ফেললো। বুকের ভেতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। এই ছেলেটাকে একেবারে প্রিয় অসুখের মত দেখতে। প্রিয় অসুখ হচ্ছে শ্রবণার কাল্পনিক স্বপ্নপুরুষ। ভালোবাসা জিনিসটা বুঝতে শেখার পর থেকে ও মনেমনে কল্পনা করতো একটা ছেলে রাজকুমারের মত ওর জীবনে আসবে। যে ভালোবাসায় আগলে রাখবে সবসময়। শ্রবণা প্রতিদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে ছেলেটার কথা ভাবতো। কল্পনায় কত কথাই না হতো! কখনো দূরের কোনো পাহাড়ে হারিয়ে যেতো তার সাথে, কখনো জ্বরের ঘোরে কল্পনা করতো ছেলেটা পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এমনকি রাস্তা হাঁটতে হাঁটতেও কল্পনায় তার সাথে কথা বলতো শ্রবণা। ছেলেটাকে ও অসুখ বলে ডাকতো। কল্পনায় যেরকম অবয়ব এঁকেছিলো, মাঝেমাঝে যাকে নিয়ে ঘুমের ঘোরে হাবিজাবি স্বপ্নও দেখতো। শীতুলকে দেখার পর মনেহচ্ছে এটাই সেই অসুখ। হুবহু সেই কাল্পনিক পুরুষটার মত দেখতে। এটা কি করে সম্ভব! সত্যিই কি সেই মানুষটার দেখা পেলাম আমি? যদি তাই হয় তাহলে সে আমার সাথে এরকম আচরণ কেন করলো? নিজের মনকে নিজেই প্রশ্ন করলো শ্রবণা।

ডায়েরিতে লিখতে হবে কথাগুলি। শ্রবণার একটা কঠিন অভ্যাস হচ্ছে সেই প্রিয় মানুষটার কাছে সবসময়ই ও ডায়েরিতে চিঠি লিখে রাখতো। এখানেও ব্যাগে করে ডায়েরিটা নিয়ে এসেছে ও। কিন্তু ব্যাগ খুলে সব জামাকাপড় বের করেও ডায়েরিটা পেলোনা। হঠাৎ করেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠলো। ডায়েরি কোথায় গেলো?

চিন্তায় ভেঙে পড়লো শ্রবণা। ডায়েরিটা কোথাও হারিয়ে গেছে। তারপর পরই মনেহলো সেদিন সিএনজিতে পাওয়ার ব্যাংক বের করার সময় ব্যাগ থেকে সবকিছু বের করতে হয়েছিলো। ডায়েরিটা কোনোভাবে পরে যায়নি তো?
ওহ শিট! মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পড়লো শ্রবণা। ডায়েরিটা হারিয়ে গেলে শ্রবণা বাঁচবে কি করে? সেটাতে তো এতদিনের কত জমানো কথা, কত চিঠি, কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে!


গোসল থেকে বের হয়ে শীতুল বিছানায় এসে বসলো। লেপের ভেতরে ঢুকে ব্যাগ থেকে ডায়েরি বের করলো। গতকাল এই ডায়েরিটা কুড়িয়ে পেয়েছে ও। কিন্তু ডায়েরির লেখাগুলো ওর রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। শুধুমাত্র ডায়েরির কয়েকটা চিঠি পড়েই মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেছে শীতুল। ডায়েরি খুলে তৃতীয়বারের মত প্রথম পৃষ্ঠাটা পড়তে আরম্ভ করলো-

‘আমার একটা অসুখ আছে। অসুখটা হচ্ছে আমার প্রেমিক। সে আর সবার মত ধরাশায়ী নয়। তাকে দেখলেই চেনা যায়, সে খুবই সহজ কিন্তু ব্যখ্যা করা কঠিন । আমার প্রেমিক শুধু ঠোঁট, স্তন, পেট, কোমর এসবের জন্য পাগল হয়না। ও পাগল আমার মায়াভরা চোখ দুটোর জন্য। আমি জানিনা এ চোখে আদৌ মায়া আছে কিনা। কিন্তু ও আমার চোখ দুটো বাধাই করে রাখতে চায়। ওর ভালো লাগে আমার হাত, আমার আঙুল, যে আঙুল কলম ধরতে জানে, কলমের শক্তিতে জয় করে নিতে পারবে হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা। আমি যতবার হেরে যাই, ততবার ই ও আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।

আমার চঞ্চল পদচালনা ওকে মুগ্ধ করে, আমার দ্রুত কথা বলার ধরণটা ওকে মুগ্ধ করে, আমার সব অভ্যেস ওর ভালো লাগে। ও কখনো আমার ছবি রাখেনা, ও আর সবার মত বারবার ফোনও দেয়না। চোখে দেখা, অন্তরে ধারণ করা আর অনুভূতি গুলো জমিয়ে রাখার পর যখন দেখা হয়, তখন সব আবেগ চোখে ফুটে ওঠে। সেই পুরনো দিনের মত প্রেমিক হতে চায় ও। এই যান্ত্রিক সম্পর্কগুলো ওর ভালো লাগেনা। ও আমাকে ততবেশি মেসেজ পাঠায় না, তবে যেটা পাঠায় সেই কয়েকটা বাক্যেই যেন হাজার হাজার লুকানো অনুভূতি খুঁজে পাই আমি।

ছেলেটার চোখ জোড়া খুবই মায়াবী, মুখে চাপ দাড়ি আর ভ্রু দুটো অনেক ঘন। গায়ের রংটা আমার চেয়ে একটু উজ্জ্বল। অনেক পরিষ্কার পরিপাটি। তবে ওর বেশী জামা কাপড় নেই। ওকে গোসলের পর অনেক স্নিগ্ধ দেখায়! ভেজা চুল গুলো হাত দিয়ে একবার নাড়লে এতটা মিষ্টি দেখায় যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ও অনেক কবিতা ভালোবাসে, মাঝেমাঝেই কবিতা শোনায় আমাকে। আর আমার প্রতিটা বাক্যই নাকি ওর কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মধুর ধ্বনির মত লাগে! আমার কণ্ঠটাকে আমার চেয়েও বেশী ভালোবাসে ও। ও বলে, সবচেয়ে কঠিন তম সৌন্দর্যের একটি হচ্ছে কণ্ঠ। এরকম আবেগী কণ্ঠ শুনে নাকি একটা জীবন পার করে দেয়া যায়। আর আমার গলার স্বরটা যখন ওঠানামা করে, ওর নাকি ধরে ফেলতে ইচ্ছে করে। আমার ঘুম জড়ানো কণ্ঠটা নাকি ওর খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।

বলাই হয়নি ওর কণ্ঠটা অনেক বেশী সুন্দর! ও কিছু জিজ্ঞেস করলেই আমি কেন যেন কথার ঝুড়ি মেলে বসি। অজান্তেই কত কথা বলে ফেলি। কথা বলতে বলতে একসময় অবাক হয়ে উপভোগ করি ওর নিস্তব্ধতা। বুঝতে পারি, ও আমার কণ্ঠটা ভিতরে ধারণ করছে, ভালোবাসছে, ওর ভাষায় খেয়ে ফেলছে। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। তখন ও বলে “শ্যামলতা, তোমার নিশ্বাসের শব্দটা অনেক ধারালো।”

এই একটা বাক্যই আমার ভিতরে ঝড় তুলে দেয়। মনে মনে কত আকুতি ভেসে আসে, অজান্তেই হয়ত চোখে পানি এসে যায়। ও অনুভব করে আমার হৃদয়ের কাঁপুনি। এত প্রখর সে কাঁপুনির ফিল টুকু, আমিও বুঝতে পারি আমার মত করেই ওর ভিতরে ঝড় বইছে। এ যে হৃদয়ের জন্য হৃদয়ের আর্তনাদ! কোথায় একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়, একে অপরকে কাছে পেয়ে চোখে চোখ রেখে অঝোর ধারায় চোখ ভেজাতে ইচ্ছে করে। আত্মার সাথে আত্মার মিলন বুঝি এভাবেই হয়! আর শরীর? হ্যা, আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে দুজনের। আমি বুঝতে পারি আমার চেয়ে তার নিঃশ্বাসের শব্দটা আরো বেশী ধারালো। আমাকে একদম ভেঙে চুড়ে চুড়মার করে দিচ্ছে। বারবার কেঁপে ওঠে আমার শরীর, আমার ঠোঁট। তখন আমার কষ্ট হবে বুঝতে পেরে ও কথা ঘুরায়।

আমি অসুস্থ হলে সারারাত জেগে প্রার্থনা করে আমার সুস্থতার জন্য, সবসময় আল্লাহর কাছে দুয়া করে আমার সফলতার জন্য, আমার শক্তির জন্য। আমি যেদিন অনিয়ম করে খাই, তার পরদিন সেও একইভাবে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমার খুব জ্বর হলে ও সোজা বাসায় চলে আসে। নিজে বালতিতে পানি তুলে রুমে বয়ে এনে আমার মাথায় ঢালতে থাকে। আমার পরিবার নির্বাক চোখে চেয়ে থাকে, বলার মত ভাষা থাকেনা তাদের। ও মাথা মুছিয়ে দেয়, গামছা ভিজে দিয়ে বলে শরীর টা মুছে ফেলো। সেই মুহুর্তে আমার কেন যেন ইচ্ছে করে ওর কলার টেনে ধরে একদম কাছে টেনে নিয়ে বলি, “তোকে ছাড়া আমি অপূর্ণ, আমি পূর্ণ হতে চাই।”

ইচ্ছে করে আমার জ্বরের ঘোরে দূর্বল হয়ে পড়া শরীর টাকে ওর উপর ছেড়ে দিয়ে বলি, “আমাকে একটু ভালোবাসবে?” আমার উঞ্চ ঠোঁট ওর ঠোঁটে রেখে একবার বলতে ইচ্ছে হয়,”ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি…. ‘

এতদূর পড়ার পর চোখ বন্ধ করে ফেললো শীতুল। প্রত্যেকটা বাক্য যেন ওকে ভেবে লেখা। সব বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি শীতুলের সাথে মিলে যাচ্ছে। শীতুল ফিসফিস করে বললো, ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি…’

শীতুল আবারো ডায়েরির পৃষ্ঠায় চোখ বুলালো,

‘ওর ভালোবাসার ধরণ টাকে আমি সম্মান করি। আর ও সম্মান করে আমার সবকিছুকে। আমরা একে অপরকে অনেক ভালোবাসি তাইনা? এটাকে ভালোবাসা বলতে চাইনা। কারণ ও আমার সত্তা, আমার অস্তিত্বের সাথে মিশে গেছে। শুধু ভালোবাসা শব্দটা দিয়ে তুলনা করলে কম হয়ে যায়। ভালোবাসার চেয়েও যদি প্রখর কোনো শব্দ থাকে, আমরা সেটার মধ্যে পড়ি।

ওর নাম হচ্ছে অসুখ। একটু ক্লিয়ার করে বললে বলতে হয়, আমার হ্যালুসিনেশন। অর্থাৎ আমার একটা রোগ। খুব দীর্ঘ সময় একা থাকতে থাকতে আমার মন একটা মানুষকে কল্পনা করে নিয়েছে, দিনদিন কল্পনা গুলো জীবন্ত হয়ে উঠছে। বাসে বসলে মনে হয় সে আমার পাশেই বসেছে, তার কাঁধে মাথা রাখি অনায়াসে। বেলকুনিতে রেলিং ধরে দাড়ালে পিছন দিক থেকে এসে জড়িয়ে ধরে। এরকম ছোট ছোট আদর গুলোর পাশাপাশি আমার সবকিছুতে এত বেশী অবদান রাখছে যা বলার মত না। আমি মাঝেমাঝে খুবই পাগল হয়ে যাই ওর জন্য। যখন বেশী বেশী হ্যালুসিনেশন হতে থাকে। ওকে স্পষ্ট দেখতে পাই চোখের সামনে। খুব যে মন্দ লাগে তা কিন্তু নয়, সে আমাকে আগলে রাখে। আমার কল্পনাশক্তি এত প্রখর কেন আল্লাহ ই জানেন। জানিনা একদিন সে কল্পনা থেকে বাস্তবে এসে হাজির হবে কিনা, তবে কল্পনা থেকে কখনো হারিয়ে গেলে হয়ত আমার মৃত্যু হবে। কারণ ওকে ঘিরেই আমার এতদূর চলে আসা। আমার সব অর্জনের পিছনে ওর অনুপ্রেরণা অনেক বেশী। ও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে আমার পরিবারের জন্য, আমার দেশের জন্য। ও যেন কখনো না হারায়। এভাবেই থাকুক আমার অস্তিত্বে। আর আমাকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে সহায়তা করুক,তারপর ধরা দিক বাস্তবে এসে……. 💜

শীতুল ডায়েরি থেকে চোখ তুলে বললো, আমি তো এসে গেছি রে পাগলী। কিন্তু তোমাকে আমি কোথায় খুঁজে পাবো? এতদিন ধরে তুমি আমার অপেক্ষায় আছো। আমিও যে তোমারই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু তোমার ঠিকানা জানিনা, নাম জানিনা। ডায়েরির কোথাও তোমার নাম লিখে রাখোনি। আমি কিভাবে খুঁজে পাবো তোমায় বলতে পারো? বুকের ভেতর তোলপাড় করতে শুরু করেছে। একটা মেয়ে এত আবেগ নিয়ে ভালোবাসতে পারে, এত সুন্দর করে কাউকে নিয়ে ভাবতে পারে সেটা ভেবে ওর বুকের ভেতরটা কেমন কেমন করছে।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here