“প্রিয় অসুখ দ্বিতীয় পর্ব

প্রিয় অসুখ
দ্বিতীয় পর্ব
মিশু মনি
.

শীতুল এসিটা বাড়িয়ে দিয়ে গলা পর্যন্ত লেপ টেনে দিলো। তারপর চোখ বন্ধ করে শ্যামলতাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমানোর চেষ্টা করলো। শ্যামলতা কথাটা চিঠির মাঝখানেই পেয়েছে শীতুল। এছাড়া আর কোথাও অন্য কোনো নাম এখনো চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র এতটুকু একটা নাম দিয়ে এত বড় পৃথিবীতে মেয়েটাকে কোথায় খুঁজে পাবে কে জানে। শীতুল ওর কথা ভেবে সারারাত ছটফট করেছে। কল্পনায় একটা উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের মেয়ের ছবি একে নিয়েছে। শ্যামলতা যেভাবে ওকে নিয়ে ভাবে, শীতুল নিজেও মেয়েটাকে মনের মধ্যে গেঁথে ওকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে।

হঠাৎ শীতুলের মনে হলো শ্যামলতা ওর পাশে। ও হাত বাড়িয়ে শ্যামলতাকে জাপটে ধরতেই অনাবিল স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলো। মনেহচ্ছে এতদিন পর পূর্ণ হয়ে গেলো সে। নিজেকে কতটা সুখী মনে হচ্ছিলো শীতুল নিজেও তা অনুধাবন করতে পারছে না। ও জোরে জোরে বললো, ‘আজ থেকে তুমিও আমার একটা অসুখ। আমার প্রিয় অসুখ। এখন তোমাকে জড়িয়ে ধরে তোমার কানের কাছে ফিসফিস করে কথা বলতে বলতে ঘুমাবো আমি। ওকে?’

শীতুল সেটাই করলো। বিড়বিড় করে কথা বলছিলো আর থেকে থেকে শব্দ করে হাসছিলো। হাসতে হাসতে একসময় চোখে ঘুম নেমে এলো। ঘুমিয়েও পড়লো অনায়াসে।

এদিকে শ্রবণা স্থির থাকতে পারছে না। দরজার সামনে বারবার ঘুরঘুর করছে। লোকটা বাইরে গেছে নাকি ভেতরে আছে বুঝতে পারছে না ও। একবার ওর দরজার সামনে বারান্দাতেই বসে পড়লো শ্রবণা। কিছুক্ষণ মনেমনে প্রার্থনা করলো খুব তাড়াতাড়ি যেন লোকটার সাথে দেখা হয়ে যায় আর কথাও হয়। শ্রবণা নিশ্চিত হতে চায় এটাই ওর অসুখ কিনা।

গালে হাত দিয়ে অনেক্ষণ বসে রইলো ও। এখনো দরজা খুলছে না। লোকটাকে রুমে একাই দেখেছিলো, একা একটা লোক এতক্ষণ রুমে কি করছে? আজব ব্যাপার। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাচ্ছে। মানুষ বউ নিয়ে হানিমুনে এলেও তো একবার রুম থেকে বের হয়।

শ্রবণার মনটা বিষন্ন হয়ে আছে। একদিকে ডায়েরি হারিয়ে গেছে আরেকদিকে অসুখ বেড়ে গেছে। প্রিয় অসুখ আজ সামনে এসে হাজির। ওনার মুখটা আরেকবার দেখার জন্য মনটা আকুপাকু করছে উনি সেটা বুঝবেন কি করে। এ যে কেমন জ্বালা, কেবল যার হচ্ছে সেই টের পাবে। ডায়েরিতে লিখলে স্বয়ং ডায়েরিও বুঝবে না মেয়েটার বুকের ভিতর ছিঁড়ে খানখান হয়ে যাচ্ছে। কষ্টে কান্না আসছে শ্রবণার।

টানা দুই ঘন্টা দরজার সামনে অপেক্ষা করার পরও যদি কেউ দরজা না খোলে এভাবে বসে থাকাটা বোকামি হয়ে যায়। পরক্ষণেই শ্রবণার এটা মনে হলো যে, এতক্ষণ এভাবে বসে থাকার চেয়ে দরজায় নক করলেই তো সে দরজা খুলতো। অসুখকে দেখার পর থেকে সত্যি সত্যিই মাথার নাট বল্টু ঢিলা হয়ে গেছে। একটা বুদ্ধিও আসছে না।

শ্রবণা দরজায় এসে কয়েকবার ঠকঠক করলো। শীতুলের ঘুম ভেঙে গেছে। ও ঘুমের ঘোরে বললো, ‘শ্যামলতা দরজাটা খুলে দাও তো।’ পরক্ষণেই লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে বললো, ‘না না শ্যাম তুমি শুয়ে থাকো। কে না কে এসেছে। আমি চাইনা আমি ছাড়া আর কোনো পুরুষ তোমাকে দেখুক।’

নিতান্তই একা একা কথা বলতে বলতে উঠে গিয়ে দরজা খুললো শীতুল। ঘুমের ঘোরে দেখলো সামনে শ্যামলতা দাঁড়িয়ে। হার্টবিট অনেকটা বেড়ে গেলো শীতুলের। শ্যামলতা! ও রীতিমত হাঁফাতে শুরু করলো। মনেহচ্ছে হাঁটু কাঁপছে ওর। মাথাটা ঝাড়া দিতেই টের পেলো সকালে যে মেয়েটা রুমে এসেছিলো তিনি আবার এসেছেন। ওনার নাম শ্যামলতা নয়, শ্রাবণী না কি যেন একটা নাম।

মেয়েটা নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে আছে। একবার চোখের পলকও ফেলছে না। আস্তে আস্তে চোখে পানি জমতে শুরু করেছে। বরফ ফ্রিজ থেকে বের করে বাটিতে রাখার পর যেমন ধীরেধীরে গলতে থাকে, ঠিক সেভাবেই মেয়েটার চোখের মণি থেকে আস্তে আস্তে জল গলছে। পা কাঁপানো থামিয়ে শীতুল জিজ্ঞেস করলো, ‘আবার কি খুঁজতে এসেছেন?’
– ‘আপনাকে।’
– ‘আমাকে? আমি কি আপনার জিনিস?’
– ‘জ্বি।’
– ‘জ্বি মানে!’

শ্রবণা থতমত খেয়ে বললো, ‘সরি। আসলে আপনার সাথে কথা বলতে এলাম।’

শীতুল কথা বলে খুবই ধীরগতিতে। ও ধীরগলায় বললো, ‘আমার সাথে কেন? শুনুন, আমি আপনার কোনো জিনিস না। আপনি আমার পরিচিত কেউ না। পরিচিত হওয়ার ইচ্ছেও আমার নেই। আমি ঘুমাচ্ছি, আপনি এখন যান।’

শ্রবণা বললো, ‘আপনি ঘুমান। আমি তো আপনাকে ঘুমাতে বারণ করবো না। আপনি ঘুমান না।’
– ‘এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমানো যায়? আমি তো ঘোড়া নই। আমি মানুষ, আমাকে শুয়ে শুয়ে ঘুমাতে হবে।’
শ্রবণা মৃদু স্বরে বললো, ‘তাহলে শুয়ে শুয়ে ঘুমান। আমি তো আপনাকে বাঁধা দিচ্ছি না।’

শীতুলের গলা অনেক শীতল, ঠাণ্ডা। অন্যান্য ছেলেদের মত দ্রুতগতিতে ও কথা বলতে পারে না। আর কোনো কথা বলার সময় ওর মুখে হাসিও আসে না।

শীতুল শীতল গলায় বললো, ‘এভাবে দরজা আটকে রাখলে কিভাবে ঘুমাবো? আমি কি দরজায় শুয়ে পড়বো?’
– ‘না না, আপনি ভেতরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ুন।’
– ‘একটা মেয়ে মানুষকে দরজায় রেখে আমি দরজা আটকে দিবো?’
– ‘না না দরজা আটকাতে হবে না।’
– ‘তাহলে কি দরজা খোলা রেখে ঘুমাবো?’
– ‘না না, আপনি এক কাজ করুন। দরজা লাগিয়ে দিন।’
– ‘ওকে, আপনি তাহলে চলে যান।’
– ‘না, না আমি তো চলে যেতে আসিনি।’

শীতুল ভ্রু কুঁচকে বললো, ‘তাহলে কি ঘুমাতে এসেছেন?’
– ‘না, না। আমি তো…’
– ‘আপনি সেই তখন থেকে না না না না করে যাচ্ছেন। কেন? আগে জানতাম মেয়েরা সুন্দর ছেলেদের দেখলে ভাইয়া বলে ডাকে। আপনি নানা ডাকছেন কেন?’

শ্রবণা শব্দ করে হেসে বললো, ‘না, না। আমি একদমই..’
– ‘আবার নানা?’
– ‘আচ্ছা বাবা ঠিকাছে। আর বলবো না।’
– ‘নানা থেকে বাবা?’
– ‘উফফ আপনি এমন ক্যান? যান গিয়ে ঘুমান।’

শীতুল একটা হাই টেনে বললো, ‘আপনার সাথে কথা বলতে বলতে আমার ঘুম পালিয়ে গেছে।’
– ‘ওয়াও! তাহলে আসুন আমরা চা খেতে খেতে কথা বলি?’

শীতুল কি যেন ভেবে বললো, ‘ওকে। আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। এখানে চা কোথায় পাওয়া যাবে?’
– ‘আমি এখানে দাঁড়াচ্ছি, আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন।’

শীতুল দ্রুত হাত মুখ ধুয়ে একটা আকাশী রংয়ের টিশার্ট পরে বাইরে এলো। শ্রবণার এদিকে হার্টবিট বাড়তে বাড়তে ফেটে যাওয়ার জোগার। এতক্ষণ কথা বলে ও এতটুকু নিশ্চিত হয়েছে যে প্রিয় অসুখের সাথে শীতুলের অনেক মিল। কথা বলার ধরণ, হাসি, চুল, দাঁত সবকিছুতেই। এখন মনের খোঁজ নিলেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে এটাই সত্যিকার অসুখ কিনা।
শীতুল একবারও শ্রবণার দিকে তাকাচ্ছে না। ও মাথা নিচু করে হাঁটছে। বাইরে এসে দুটো চেয়ারে বসে পড়লো দুজনে। শ্রবণা হোটেল বয়কে দুকাপ চা দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে শীতুলকে বললো, ‘আপনার ঘুম ভাঙিয়ে তুলে আনার জন্য সরি।’
– ‘ইটস ওকে। কিন্তু মিস শ্রাবণী, আপনি কি যেন বলতে এসেছিলেন?’
– ‘শ্রাবণী নয়, শ্রবণা।’
– ‘ওহ নাইস নেম। আমি শীতুল।’

শ্রবণা একটা ঢোক গিললো। নিশ্বাস ভারী হয়ে এলো ওর। কান দিয়ে শো শো করে বাতাস প্রবেশ করলে যেমন অনুভূত হয়, ঠিক সেরকমই লাগছে। এমন যন্ত্রণা হচ্ছে কেন? শীতুল! মনেহচ্ছে নামটা অনেক পরিচিত, আপন। তবে কি এটাই প্রিয় অসুখটা?

শীতুল বললো, ‘কি ভাবছেন?’
চমকে উঠে শ্রবণা বললো, ‘কিছু না। কি যেন বলবেন বলেছিলেন?’
– ‘না মানে, আচ্ছা আমার কণ্ঠ আপনার কেমন লাগে?’
– ‘অদ্ভুত প্রশ্ন! আপনার কণ্ঠ আমার আবার কেমন লাগবে?’

শ্রবণা লজ্জা পেয়ে বললো, ‘সরি। আমার গলাটা বসে গেছে তো, সে কারণেই জিজ্ঞেস করলাম। আপনার কি ফ্যাসফেসে লাগছে?’

শীতুল হেসে বললো, ‘একদম ই না। কারো বসে যাওয়া গলা যদি এত সুমধুর হয় তাহলে আমি চাইবো জগতের প্রত্যেকটা মেয়ের গলা বসে যাক।’
– ‘হা হা হা। কি যে বলেন…’

হেসে উড়িয়ে দিলেও শ্রবণার বুকে শীতল রক্তের স্রোত বইছে। এত বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সে সামনে এসে দাঁড়ালো। কিন্তু সে কি চিনতে পারবে আমায়? সে হয়ত আমার অসুখ, আমি তাকে নিয়ে ভাবতাম। কিন্তু সে হয়ত কখনোই আমাকে নিয়ে ভাবেনি। তাই তার মাঝে কোনো অনুভূতিও নেই।

আনমনা হয়ে এসব ভাবছিলো শ্রবণা। শীতুল জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনার কি কোনো সমস্যা হয়েছে?’
– ‘না। আপনি কোথায় থাকেন?’
– ‘ঢাকায়। কয়েকদিনের চাপে একেবারে ভুনাভাজা হয়ে গিয়েছিলাম। সে জন্যই রিল্যাক্সের প্রয়োজন অনুভব করলাম। ভাবলাম দুটো দিন কোনো রিসোর্টে কাটিয়ে আসি।’
– ‘ওহ আচ্ছা। চা টা কিন্তু সুন্দর হয়েছে তাই না?’
– ‘হ্যাঁ।’

শীতুল খুব আর্ট করে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। এত আর্ট করে চা খাওয়ার কি আছে, মনেমনে এটা বললেও খুব ভালো লাগছে শ্রবণার। হা করে শীতুলের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে। ছেলেটার চোখেমুখে এত মায়া কেন! নাকটা চিকন আর লম্বা। চুলগুলো যথেষ্ট সিল্কি। ভাবতে ভাবতে শীতুলের পায়ের দিকে তাকালো শ্রবণা। পায়ের নখগুলা দেখেও ওর মায়া লাগলো। খেয়াল করে দেখলো হাত পায়ের নখ বড় বড় হয়ে গেছে। এগুলোতে ময়লা জমলে তো পেট খারাপ করবে।

উদ্বিগ্ন হয়ে শ্রবণা বললো, ‘আপনি নিয়মিত নখ কাটেন না?’
শীতুল লজ্জা পেয়ে হেসে বললো, ‘সময় পাইনা। তাছাড়া আমার এসব মনে থাকে না।’
– ‘নিজের কেয়ার করার কথা মনে না থাকলে আরেকজনের কেয়ার কি করে করবেন?’
– ‘সরি, কি বললেন?’

শ্রবণা এবার লজ্জা পেয়ে বলল, ‘কিছু না। বলছিলাম নখ বড় হয়ে গেছে।’

শীতুল অন্যমনস্ক হয়ে পড়লো। আরেকজনের কেয়ার করতে হবে। হ্যাঁ, শীতুল এখন একা নয়। ওর শ্যামলতার কেয়ার ওকেই করতে হবে। এখন থেকে আর আগের মত বেখেয়ালি হলে চলবে না। হঠাৎ একদিন শ্যামলতার সাথে দেখা হয়ে যেতে পারে। দেখা হলে শ্যাম যেন এতটুকুও কষ্ট না পায়।

শ্রবণা খেয়াল করে দেখলো শীতুল আনমনা হয়ে কি যেন ভাবছে। ও জানতে চাওয়া মাত্রই শীতুল ব্যস্ত হয়ে বললো, ‘আমি একটু রুমে যাবো।’

কথাটা বলেই চায়ের কাপ রেখে দ্রুত রুমের দিকে গেলো শীতুল। শ্রবণা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। এভাবে রুমে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারলো না ও। একটা ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে বাকিটুকু চা শেষ করলো।

শীতুল রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিয়ে ছুটে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো। ওকে দেখে মনেহচ্ছে বিছানায় ওর পাশে একজন আছে। কিন্তু আদৌ কেউ নেই। তবুও একজনকে কল্পনা করে নিয়ে শীতুল বললো, ‘সরি শ্যামলতা। তোমাকে রুমে একা রেখে বাইরে গিয়েছিলাম। মন খারাপ কোরো না প্লিজ। আসো, আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাও।’

তারপর এমনভাবে ডান হাতটা বুকের উপর চেপে ধরলো যেন কেউ ওর বুকে মাথা রেখেছে। একা একা বলতে লাগলো শীতুল। বাস্তবিক পক্ষে ওকে দেখে একা একা কথা বলছে মনে হলেও ও কল্পনায় শ্যামলতার সাথে কথা বলছে। তাকে বলছে, ‘আমার বুকে মাথা রাখলে তুমি অনেক শান্তি পাও তাইনা শ্যামলতা? আমাকে তুমি জগতের সবচেয়ে বেশি ভরসা করবে বুঝেছো? তোমার বাবার পরে আমাকেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করবে।’

এভাবে শ্যামলতার সাথে কথা চালিয়ে গেলো শীতুল। শ্যামলতার অসুখটা আজ থেকে ওরও প্রিয় অসুখ। বুকের ভেতর কি নিদারুণ যন্ত্রণা হচ্ছে। কবে যে সেই প্রেয়সীর দেখা পাবে! এই যন্ত্রণা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকাও যায় না। বুকের ভেতর শুধু উথাল পাথাল করে শ্যামলতার জন্য। শ্যামলতা, কোথায় তুমি!

এমন সময় আবারো দরজায় ঠকঠক শব্দ!

আবার হোটেল বয় এসেছে। দুপুরের খাবার তৈরি হয়ে গেছে, খাওয়ার জন্য ডাকছে।

খাবার জন্য ক্যান্টিনে এসে শ্রবণার সাথে দেখা। পুরো ক্যান্টিনে শ্রবণা ছাড়া আর কেউ নেই। সব চেয়ার টেবিল ফাঁকা। শ্রবণার পাশের টেবিলে বসে পড়লো শীতুল। খাবার পরিবেশনের জন্য ছেলেটি আসলে তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘পুরোটা ফাঁকা যে?’
– ‘স্যার আজকে আমাদের আর কোনো গেস্ট নেই। পুরো রিসোর্ট জুরে শুধু আপনারাই দুজন আছেন।’

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here