প্রেমনগর পর্ব ২

#প্রেমনগর
পর্বঃ২
লেখাঃনীলাদ্রিকা নীলা
.
অহনার বাবা তুলিকে নিয়ে হসপিটাল থেকে চলে গেলেন। আকাশ এবার অহনার দিকে তাকানোর সাথেই দেখতে পেলো অহনা আগে থেকেই আকাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আকাশঃ কি হলো আপনি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
অহনাঃ আপনি অনেক ভালো। আমার বাবার একমাত্র চিন্তা ছিলাম আমি।
আকাশঃ তো?
আহনাঃ আমার বিয়ের খবর শুনে বাড়িতে সবাই অনেক খুশি! কি যে চিন্তায় ছিলো আমাকে নিয়ে!আচ্ছা আমি বিয়েতে কোন শাড়ি পরবো বলুন তো। লাল শাড়ি না নীল শাড়ি!
.
আকাশ এবার হাসতে হাসতে বললো, কে বললো আপনি পাগল! আমি তো দেখছি আপনি একদম সেয়ানা পাগল। এরই মধ্য সব ঠিক করে ফেললেন!
আহনাঃ হুম শুধু প্রেমটা কিভাবে করতে হয় সেটাই জানিনা।
আকাশ আবারও হেসে ফেললো। এভাবেই দুচারটে কথা শুরু করতে করতে আকাশ সারারাত অহনার সাথে গল্প করলো আর অহনাকে পছন্দ করে ফেললো। দুজনে সারারাত হাসি ঠাট্টা করে কাটালো। এমন একটা মেয়েকে বউ হিসেবে পেলে তো জীবন হবে রসময়।
.
সকালবেলা নার্স কেবিনে ঢোকার সাথেই তার চোখ কপালে উঠে যায়৷ সে দেখলো আকাশ চৌধুরী অহনাকে খাবার খাওয়াচ্ছে। তাও আবার নিজের হাতে৷ এটার দেখার সাথে সাথে নার্স এক দৌড়ে চলে গেল রিসিপশনের ওখানে ম্যানেজারের কাছে খবরটা দিতে।
.
ঘন্টাখানেক পর আকাশ চৌধুরী প্রেমনগরের চৌধুরী মহলে ফিরলে ড্রইংরুমে বসা বাড়ির সকলেই চোখ বড় বড় করে আকাশের দিকে তাকায়।
আফতাব চৌধুরী তার হাতে থাকা নিউজ পেপারটা সরিয়ে বলেন, কোথায় ছিলি সারারাত!
আকাশঃ নাইট ডিউটি ছিল ড্যাড!
মনিরা বেগম চেচিয়ে বললেন, কি ডিউটি ছিল তা আমরা সকলেই জানি৷ মেয়েটি এখন কোথায়?
আকাশঃ ওকে বাড়ি নিয়ে গেছে। আর পরশু আমার বিয়ে। তোমরা সবাইকে খবর দিয়ে সব আয়োজন শুরু করে দেও।
.
এই কথা শুনে সবার চোখ গুলো তাদের কোটর থেকে বেড়িয়ে আসার উপক্রম হয়। মেঘ আর রৌদ্র চৌধুরী এক সাথে বলে উঠল, ভাইয়া তুই কি সত্যি সত্যি!
কথা শেষ করার আগেই মনিরা বেগম চিল্লিয়ে উঠলেন, একটা পাগল মেয়েকে আমি কিছুতেই আমার ছেলের বউ করবো না! তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে আকাশ!
আকাশঃ মা ও পাগল নয়! ও একদম সুস্থ মানুষ। পড়াশোনার কারনেই ওর মাথাটা একটু বিগড়ে গেছে এই আরকি। আর তাছাড়া আমি তো আছিই। আর আমি ওদের কথা দিয়ে ফেলেছি। এখন তোমরা যদি বিয়েতে মত না দেও আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব৷
আফতাব চৌধুরী এবার হুংকার দিয়ে বলে উঠলেন, এই প্রেমনগর ছেড়ে কেউ কোথাও যেতে পারবে না। তোর বিয়ে ওর সাথেই হবে।
.
এটা শুনে বাড়ির সকলেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে৷ আফতাব চৌধুরীর একমাত্র দুর্বলতা তিনি তার ছেলেদের এই বাড়ি থেকে অন্য কোথাও যেতে দেবেন না। বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার অজুহাত দেখাতে পারলেই তিনি ছেলেদের অনেক বিষয়ই চোখ বন্ধ করে মেনে নেন। মনিরা বেগম রাগে ফুসতে ফুসতে উনার ঘরে চলে গেলেন।
.
আত্মীয় স্বজনদের খবর দিয়ে বাড়িতে আনা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্য অনেকেই চলে এসেছেন। হঠাৎ করে বিয়ের খবর শোনায় আনন্দে বাড়িতে দিগুন পরিমাণ হৈচৈ হচ্ছে। বাড়ি সাজানো হচ্ছে। আগামীকাল সকালে গায়ে হলুদ হবে আর দুপুরের মধ্য বিয়ের সব কাজ কমপ্লিট করে বিকেলের মধ্যেই বউ নিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরবে।
মেঘ আকাশের রুমে উকি দিয়ে দেখলো আকাশ হেসে হেসে ফোনে কথা বলছে। দরজা থেকে কাশি দিয়ে আকাশ বলে উঠল, ভাবী কি খুব হাসায় ভাইয়া!
আকাশ চমকে উঠে পিছনে ফিরে বললো, ইয়ে মানে তুই এখানে কি করছিস! যা নিজের কাজ কর।
মেঘঃ নিজের কাজই তো করছি৷
বলেই একটা বাঁকা হাসি দিল। আকাশ উঠে এসে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়। মেঘের হাসি মুখটা বন্ধ হয়ে গেল। দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে মেঘ চেচিয়ে বলে ওঠে,নিচে তোকে ডাকাছে। কোন পাঞ্জাবিটা পড়বি সেটা দেখার জন্য! হুহ! তোর পিরিত শোনার জন্য আসি নাই।
তখনই মেঘের ফোনের রিংটন বাজতে শুরু করে। নীলা ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করার সাথেই নীলার ঝাঝালো কন্ঠের আওয়াজ পাওয়া যায়।
নীলাঃ কতক্ষণ আগে মেসেজ দিয়েছি! কোনো রিপ্লাই করছিস না কেন! ইচ্ছা হচ্ছে তোর মাথাটা ফাটিয়ে দেই।
মেঘঃ তুই এতো রেগে আছিস কেন। কি বলবি বল।
নীলাঃ আজ ক্যাম্পাসে আসলিনা কেন?তুই জানিস না তোকে একদিন না দেখতে পেলে আমার মাথাটা খারাপ হয়ে যায়?এ্যাই তোর বাড়িতে এতো হৈচৈ কিসের রে?
মেঘঃ কাল ভাইয়ার বিয়ে এজন্যই এতো হৈচৈ।
নীলাঃ বিয়ে? কই আগে তো কিছু বলিসনি।
মেঘঃ হঠাৎ করেই।
নীলাঃ এ্যাই শোন না তুই আমাকে নিয়ে এরকম কিছু ভাবিস না? সত্যি বলবি কিন্তু
মেঘঃ কি ভাববো?
নীলাঃ কি ভাববো মানে? তোর মন কি চায় তা তুই জানিস না!
মেঘঃ না রে জানিনা।
নীলাঃ মেঘ! তুই আমায় বুঝিস না??
মেঘঃ মানে? কি বুঝবো!
.
রাগে নীলা কলটা কেটে দেয়। মেঘ ভ্রু কুচকে ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে থেকে তার রুমে চলে গেল। নীলা এবার শ্রাবনীকে ফোন করে।
নীলাঃআরে আমি তো বোঝানোর চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছেনা। কি করলে মেঘের মন পাবো বলতো?
শ্রাবনীঃ তুই এক কাজ কর। কোনো কবিরাজের কাছে গিয়ে পানি পরা নিয়ে আয়।ওই পানি পরা খেয়ে মেঘের মনটা তোর জন্য গললেও গলতে পারে।
.
পরদিন সকাল বেলা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কনের বাড়ি থেকে অহনার খালাতো বোন তুলি এলো।গ্রামে বড় হয়েছে সে।এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল।অহনার বিয়ের জন্যই তাকে গ্রাম থেকে আনা হয়েছে।অহনার সাথে থেকে তার দেখা শোনা করার জন্য।
চৌধুরী মহলে ফুলের ডালি হাতে নিয়ে তুলি দরজার কাছে আসতেই দরজার অপর পাশ থেকে কেউ একজন বের হতেই তার সাথে ঢাক্কা খেয়ে ডালিসহ নিচে পরে যাওয়ার আগ মুহূর্তেই ওই ঢাক্কা লাগা ব্যক্তিটিই তুলিকে ধরে ফেললো। সে তুলির কোমরে এক হাত আর অন্য হাত তুলির কাধে দিয়ে ধরে রয়েছে। তুলি রৌদ্র চৌধুরীর সাথে ঢাক্কা খেয়েছে।রৌদ্র তুলির শরীর থেকে হাত সরাতেই তুলি নিজেকে সামলিয়ে নিতে নিতে চোখ গোল গোল করে রৌদ্রের দিকে তাকালো।রৌদ্র তুলিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকিয়ে তাকিয়ে এক নজরে দেখছে। তুলির ভীষণ লজ্জা লাগছে। অচেনা এক ছেলে মানুষ তার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে। তার ওপর আবার কয়েক সেকেন্ডে আগে যখন তার মুখের দিকে তাকিয়েছিল তুলি,তখন দেখতে পেয়েছিলো ছোট বেলায় দাদীর কাছে শোনা কোনো এক রুপকথার কল্পিত রাজকুমারের মতোই কেউ একজন তার সামনে এসে পরেছে।ভীষণ সুন্দর ছেলের মুখের দিকে তাকাতে তুলির খুবই লজ্জা করে।বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না৷ তুলি চোখ নিচের দিকে নামিয়ে নিলো। লজ্জায় তুলির মরে যেতে ইচ্ছে করছে। একটু আগে আবার তার সাথেই ঢাক্কা খেয়েছে। বডি স্প্রের তীব্র গন্ধ নাকে আসছে তুলির। লজ্জায় পা দুটো আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে দৌড়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেল।
.
ভিতরে গিয়ে বাড়ির অনেকের সাথেই তুলির কথা হয়। তুলিকে বাড়ির ছাদে যাওয়ার জন্য বলা হলো। ওখানেই গায়ে হলুদের স্টেজ সাজানো হয়েছে। সিড়ি দিয়ে ছাদে যাওয়ার সময় তুলি মেঘ চৌধুরীর মুখোমুখি পরে যায়। মেঘ তখন সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলো। তুলি মেঘের দিকে তাকানোর সাথেই লজ্জায় লাল হয়ে গেল। আবারো সে আরেকজন সুন্দরমত পুরুষের সামনে পরেছে।
মেঘ বললো,মানে আপনাকে তো চিনতে পারলাম না৷ আপনি কি কনের বাড়ি থেকে এসেছেন?

লজ্জায় তুলি কিছু বলতে না পেরে আকাশের সাইড ঘেসে সিড়ি দিয়ে তারাতারি উপরের দিকে চলে যেতে লাগলো। আকাশ ভ্রু কুচকে তুলির চলে যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে নিচে নেমে আসে।
.
বিকেল বেলা অহনাদের বাড়িতে বিয়ের সব কাজ কমপ্লিট হয়৷ এতক্ষন অহনা সাভাবিকই ছিল। কিন্তু এখন কেন জানি একা একাই দাঁত বের করে হাসা শুরু করেছে৷ এটা দেখে রৌদ্র মনের ভিতর কথা চেপে রাখতে না পেরে এবার মেঘের কানে কানে ফিসফিস করে বলেই ফেললো, ভাবি এভাবে হাসছে কেন রে?
মেঘঃ সেটা তো আমিও লক্ষ্য করছি। ভাইয়া কি সত্যি সত্যি কোনো পাগলী কে বিয়ে করে ফেললো নাকি!
মেঘের কথাটা একটু জোরেই ছিল তাই কথাটা আকাশের কানে যায়।
আকাশঃ তোরা তোদের নতুন ভাবীকে নিয়ে কি উল্টো পাল্টা কথা বলছিস! ক্ষমা চা! এক্ষুনি তোদের ভাবীর কাছে ক্ষমা চা!
অহনা ন্যাকামো করে বললো,এ্যাই কি হয়েছে?ওদের ওপর চিল্লাচ্ছো কেন?
আকাশঃ কিচ্ছু না জান! ওরা আমার ছোট ভাই। তোমার দুই দেবর। মেঘ আর রৌদ্র।
.
কনে বিদায়ের সময়ও অহনা দাঁত বের করে হাসছিলো।ছেলে পক্ষের মানুষ এটা দেখে একটু অবাকই হয়। প্রথমবার বাপের বাড়ি ছেড়ে শশুড়বাড়ি যাচ্ছে একটু কান্নাকাটি করবে তা নয়, নতুন বউ দাঁত বের করছে হাসছে। অহনার সাথে তুলিকে পাঠানো হচ্ছে। শশুড়বাড়িতে গিয়ে অহনাকে একটু দেখে শুনে রাখতে পারবে তাই। কিন্তু গাড়িতে ওঠার সময় তুলি বিগড়ে বসলো। আজকের সকালের কথা মনে করে তুলি এবার বলে ফেললো, আমি ওই বাড়ি যামু না! আমার শরম করে।
অহনার মাঃ ওমা, তোর আবার কিসের শরম। তুই তো যাচ্ছিস মেহমান হিসেবে।ওরা তোর খেতমতই করবে। আমি বিয়াইন সাহেবাকে আলাদা করে ফোনে বলে দিব৷ যা গাড়িতে গিয়ে ওট।
তুলি মাথা নিচু করে উত্তর দেয়, আমার শরম করতাছে খালা। আমি যাইবার পারুম না৷
অহনার মাঃ শরমের কিছু নেই। যা তো।
তুলি এবার অহনার কাছে গিয়ে বললো,আপা তুই একটু বোঝার চেষ্টা কর!
অহনাঃ কি বুঝবো? হুম? কি বুঝবো?
তুলিঃ তোর দুই দেবর…আপা আমি কইবার পারুম না। আমার শরম করতাছে।
তুলি সামনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো, মেঘ আর রৌদ্র দুইজনই তুলির দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
অহনার মাঃ আরে যা তো। ওট।
অহনার মা জোর করে ঠেলে তুলিকে গাড়িতে তুলে দিলো।
.
প্রেমনগরে আসার পর চৌধুরী মহলে নতুন বউ অহনাকে বরণ করে ঘরে তোলা হয়। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আত্নীয়সজনেরা যে যার মতো শুয়ে পরেছে। তুলি শুয়েছে অহনার শাশুড়ি মনিরা বেগমের সাথে। কারণ মনিরা বেগম একাই এক ঘরে এসে আছেন। অহনার শশুড়ের সাথে তার নাকি ঝগড়া হয়েছিল গত পরশু রাতে। ঝগড়াটা ছিল ছেলের বিয়ে নিয়েই। ঝগড়ার এক পর্যায়ে কথার মাঝে নাকি অহনার শশুড় তাকে অপমান করার চেষ্টা করেন৷ সেটার জেদ ধরেই তিনি একাই এই রুমে এসে শুয়েছেন। বাড়ি ভর্তি মেহমান থাকায় বউয়ের অভিমানও ভাঙানোরও সুযোগ পাচ্ছেন না আফতাব চৌধুরী। একা একাই নিজের রুমে চিন্তা করে পায়চারি করতে করতে কোনো সুযোগ খুঁচ্ছেন।
মনিরা বেগমঃ ওহো, রাতে শোবার আগে রৌদ্রকে এক মগ কফি দেবার কথা। আমি তো ভুলেই গেছি। মা তুলি তুমি রুমে থাকো। আমি কফিটা বানিয়ে তারপর ওকে দিয়েই জাস্ট আসছি। ভয় পাবে না কেমন। এক্ষুনি আসছি।
তুলিঃ জি আচ্ছা।
মনিরা বেগম কফি বানিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হতেই আফতাব চৌধুরী সামনে এসে দাঁড়ালো। তিনি চোখ গরম করে উনার দিকে একবার তাকিয়েই পাশ কাটিয়ে হনহনিয়ে রুমে চলে এলেন।
মনিরা বেগমঃ তুলি মা, তুমি কফিটা একটু রৌদ্রের ঘরে দিয়ে এসো তো। উপরে গিয়ে সোজা বা দিকের কর্নারের রুমটা।রৌদ্রের বাবার সাথে আমার খুবই জরুরি কথা আছে।ঝগড়াও হতে পারে। উনি দরজার বাহিরে এখনো দাঁড়িয়ে ঘুর ঘুর করছেন।
তুলিঃ আচ্ছা আমি দিয়ে আসছি।
.
তুলি উপরে গিয়ে রৌদ্রের ঘরের দরজায় এসে দাড়াঁতেই দেখতে পেলো রৌদ্র বিছানায় বসে ল্যাপটপে ভিডিও দেখছে। ভিডিওতে মেয়ে গুলো সবাই শুধুমাত্র ব্রা আর প্যান্টি পরা। এটা দেখে তুলি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে পেছাতে গিয়ে দরজার সাথে বারি খেল। শব্দ হওয়ার সাথে সাথে রৌদ্র পিছনে তাকায়। ভিডিও চলছে। বারি খেয়ে তুলি চমকে উঠে চোখ খুলতেই রৌদ্রকে তাকিয়ে থাকতে দেখেই কফির মগ হাত থেকে ফেলে দিয়ে দৌঁড় দেয়।
.
এদিকে নতুন বউ অহনা বাসর ঘরে বসে রয়েছে।আকাশ দরজা খুলে ভিতরে আসতেই অহনা দাঁত বের করে হাসতে শুরু করে দিলো।
আকাশঃ কি হলো এভাবে হাসছো কেন?
.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here