#প্রেমময়নেশা( The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৪১
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)
সবাই রিমি ও আয়ুশের ডান্স মুগ্ধ হয়ে দেখছে। দুজনকে একসাথে বেশ ভালোই লাগছে।ইশা ডান্স বন্ধ করে দেয়। আয়ুশ আর রিমি অনেকটাই কাছে।
আমানেরও রিমিকে আয়ুশের এতো কাছে দেখে বড্ড কস্ট হচ্ছে। আয়ুশ ও রিমি একে অপরের চোখের গভীরতা মাপতে ব্যস্ত!!
🌸🌸🌸
হাল্কা মিউজিক!! হাল্কা আলো!! রিমির কপালের অবাধ্য চুল গুলো বড় যত্নে আয়ু্শ কানের কাছে গুজে দেয়। আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। আয়ুশ জানেনা সে কেন এমন করছে?? কিন্তু করতে বড্ড ইচ্ছে করছে।
🌸🌸🌸🌸🌸
তখনি মিউজিক থেমে যায়। মল্লিকা মিউজিক বন্ধ করে ফেলেছে।
মিউজিক বন্ধ হওয়াতে আয়ুশ ও রিমির ধ্যান ফিরে।
মল্লিকা ডান্স ফ্লোরে গিয়ে আয়ুশের হাত ধরে বলে উঠে–
আয়ুশ অনেক হয়েছে!!
অই দেখো ইশা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে আজ তোমাদের এন্গেজমেন্ট আর তুমি এখনো ডান্স করছো??
চলো আমার সাথে
এই বলে মল্লিকা আয়ুশের হাত ধরে স্টেজের দিকে নিয়ে গেলো।
আমার বড্ড অসহায় লাগছে। ইস একটু আগের মোমেন্ট গুলো অনেক সুন্দর ছিলো।
সময় যদি থেমে যেতো।
কিন্তু এখন আবার ভয় ঝেকে বসেছে।
উনি কি সত্যি এন্গেজমেন্ট করবে???
হায় আল্লহ কি হবে এখন???
আয়ুশের দৃসটি এখনো রিমির দিকে।
কিছুক্ষন পরেই এন্গেজমেন্ট শুরু হয়ে যাবে।
।।।।।
মল্লিকা আয়ুশ ও ইশাকে পাশাপাশি দাড় করালো।
তখনি নিদ্র বলে উঠে—
মল্লিকা!!
মল্লিকাঃ হুম বলো!!
নিদ্রঃ ইশান কি আজকের দিনেও আসবেনা??
কোথায় ও???
মল্লিকাঃ আমি কি করে জানবো? ইশান তুমি যেখানে আমিও সেখানে।
নিদ্রঃ তাহলে একটি কল করো।
আমাকে সবাই জিজ্ঞাসা করছে।
বড় ভাইয়ের এন্গেজমেন্ট অথচ ছোট ছেলে নেই।
মল্লিকাঃ আমার মনে হয়না ইশান এখন আসবে।
নিদ্রঃ মানে কি এইসব এর??।।ইশান বড্ড বাড়াবাড়ি করছেৃ
এই সিচুয়েশনের জন্য আমি তোমাকেই দায়ি করবো।
মল্লিকাঃ কি বললে??নিদ্র এইসব এর জন্য আমি দায়ি?? ইশান এইরকম করেছে তার জন্য তুমি আমাকে দায়ি করতে পারো নাহ ( খানিক্টা রেগে)
নিদ্র নিজেকে শান্ত করে বলে উঠে–
দেখো মল্লিকা একটা কাজ করো তুমি অকে একটা কল করে দেখো।
দেখো আসবে নাকি।
মল্লিকা নিজের ফোন টা বের করে ইশান কে কল করে।
ইশান নিজের শার্ট টা পড়ছে এবং বলে উঠে–
দেখো তোমার জন্য আমি এইবার তিন দিন থেকেছি
এইবার হেপ্পি??
বেডে চাঁদরে আবৃত একজন মেয়েলি কন্ঠ বলে উঠে–
নাহ আমার ইচ্ছে করে সারাক্ষন তুমি আমার সাথে থাকো আমি ভালো থাকি!
ইশান বিরক্ত হয়ে বলে উঠে–
এখন অন্তত বলো নাহ আরো কয়দিন তোমার কাছে থাকতে।
সে বলে উঠে–।
আমাকে তোমার বাড়িতে কবে নিয়ে যাবে??
ইশান শার্টের হাতা ফল্ড করতে করতে বলে উঠে–
আগে নিজেকে সেটেল করেনি।তারপর
সে এইবার খানিক্টা তাছিল্যের সুরে বলে উঠে–
সেটেল তাও আবার তুমি???
হুহ
সারাদিন নাইট ক্লাব ছাড়া কি করো?.
ইশান খানিক্টা রেগে বলে উঠে–
তোহ কি করবো???
আমার সবকিছুই তো ও শেষ করে দিয়েছে।
কেউ না জানুক তুমি তো জানো
আমি কোনোদিন ডক্টর হিসেবে জয়েন করতে পারবো না্হ।
ও আমার সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে
তুমি জানো নাহ?? পুরো শেষ করে দিয়েছে।
সে এইবার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে উঠে–
ইশান প্লিয!! নিজেকে সাম্লাও!!
ইশান আয়নায় গিয়ে নিজের চুল সেট করতে করতে বলে উঠে–
কয়দিন একটু বিজি থাকবো।
জানোই তো ভাইয়ের বিয়ে।
আজ শুধু তোমরার জন্য এন্গেজমেন্ট টা এটেন্ড করতে পারিনি
মা বার বার ফোন করছিলো।
সে বলে উঠে–
হুম!! দয়া করেছো আমার উপর!
ইশানঃ প্লিয এখন আবার ইমোশোনাল হওয়ো নাহ।
আচ্ছা এখন আমি যাই বরং।
সে নিজেকে চাঁদরে ঢেকে আবারও শুয়ে পড়ে।
ইশান বেড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ইশা ও আয়ুশের হাতে এক একটি করে ডায়মন্ড কেসিলের আংটি দেওয়া হলো।
আদিও এসেছে আজ!!
নিজের বন্ধুর জন্য আজ সে খুশি।
তখনি তার কলে ফোন আসে।
অজান্তেই তার মুখে হাঁসি ফুটে উঠে।
মল্লিকাঃ কিরে আয়ুশ আংটি টা পড়ায়।
আমান ঃ এইটা কী করে হতে পারে??
আল্লাহ কিছু একটা করো।
ইশার মাঃ আগে ইশা পড়াক।
মল্লিকাঃ অবশ্যই!!
আমার মনে পড়ে গেলো।
উনি কীভাবে আমার অনামিকায় আংটি পড়িয়েছিলাম।
আমিও উনার সেই আজ্ঞুলে আংটি পড়িয়েছিলাম।
আজ সেই হাতে অন্য কেউ আংটি পড়াবে???
শুধুমাত্র জীবনসজ্ঞীই সে অনামিকায় আংটি পড়াতে পারে।
যেই আংটি আমি উনার হাতে পড়িয়েছিলাম
আজ কি সেই হাতে অন্য কেউ পড়াবে।
উনি তো বলেছিলেন অয়ন শুধুই রিমির!!
তাহলে???
ইশা শয়তানি হাঁসি নিয়ে রিমির দিকে তাঁকায়.।
ইশা আন্টি টা হাতে নিয়ে আয়ুশকে পড়াতে যায়।
আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।
আমি পারবো নাহ এই দৃশ্য দেখতে আমার সাইকো অন্যকারো হয়ে যাবে এ আমি কী করে মেনে নিতে পারি??
আমি ছুটে চলে গেলাম।
মল্লিকা অনেক খুশি।
ইশা আয়ুশকে রিংটা পড়াতে যাবে তার আগেই
আয়ুশ হাত সরিয়ে।
আমান মুখে ফুটে উঠে হাঁসি।
মল্লিকাঃ আয়ুশ হাত টা সরিয়ে নিলে কেন???
আয়ুশ বলে উঠলো–
আসলে আমার হাতে ব্যান্ডিজ
ইশা অবাক হয়ে বলে উঠে—
ব্যান্ডিজ মানে??
আয়ুশঃ আসলে আমার হাত টা কেটে গিয়েছিলো।
নিদ্রঃ আয়ুশ তুমি আগে এইসব বলবে নাহ???
মল্লিকাঃ আজকে তোমার এন্গেজমেন্ট আর তুমি হাত কেটে বসে আছো???
আয়ুশঃ আমার সত্যি খেয়াল ছিলো নাহ।
ইশাঃ এখন কী হবে??( ছলছলে চোখে)
ইশার বাবা ঃ এখন আমার মেয়ের কী হবে??
এতো আয়োজন সব বৃথা যাবে??
আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠ–
অনামিকা আজ্ঞুল শুধু কেটে গেছে।
বাকি গুলো তো ঠিক আছে নাকি।
ইশার মাঃ কিন্তু অনামিকা আজ্ঞুলেই
রিং পড়াতে হয়।
মল্লিকা এইবার বলে উঠলো–
আয়ুশ তো ঠিক ই বলেছে
অন্য আজ্ঞুলেই রিং পড়ানো হোক।
এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইশা অন্য আজ্ঞুলে আংটি পড়াই।
আয়ুশ অন্য আজ্ঞুলে পড়েছে তাই আয়ুশও ইশাকে
অন্য আজ্ঞুলে পড়ায়।।
আমানঃ সত্যি??
জীবনসাথি ছাড়া কারো সাধ্য নেই অনামিকায় আংটি পড়ানোর।
যার সাথে যার জোড়ি সেই শুধু অনামিকায় আংটি পড়াতে পারে।
আচ্ছা রিমিপাখি কোথায়???
রিমিপাখি জানলে খুশি হবে কত(মনে মনে)
।।।।।
অনুসঠান প্রায় শেষের দিকে,,
আমান রিমিকে খুজে যাচ্ছে কিন্তু পাচ্ছেনা
আমানঃ রিমিপাখি আবার কোথায় গেলো???
আয়ুশ কিছু একটা ভেবে শয়াতানি হাঁসি দিচ্ছে ঠিক তার প্লান মতোই সবকিছু হচ্ছে।
আয়ুশ বারে যায়। সেখানে গিয়ে তার চোখ কপালে
রিমি একের পর ড্রিংক করেই যাচ্ছে।।
আয়ুশঃ আরে এই মেয়ে এখানে ড্রিংক করছে
ওহ মাই গড।
আয়ুশ রিমির কাছে যায়।
ততক্ষনে রিমি মাতাল।
আয়ুশ রিমির কাছ থেকে ড্রিংক কেড়ে নেয়।
এইভাবে হাত থেকে ড্রিংক কেড়ে নেওয়ায় রিমি উপরে তাঁকিয়ে দেখে আয়ুশ।
আমি মুচকি হাঁসি দিয়ে বলে উঠলাম–
আরে সাইকো তুমি???
আয়ুশঃ এই মেয়ে তুমি এইসব কি খেয়েছো??
( রেগে)
রিমি ঃ কেন আমি এখন থেকে দেবদাশ তাই দেবদাশ এর মতো
ড্রিংক করবো। কারন আমার সাইকো আমাকে ছেড়ে দিয়েছে
(হেঁসে)
আয়ুশ রাগে চেচিয়ে বলে উঠে–
ওকে ড্রিংক কে সার্ভ করেছে???
একজন ওয়েটার কাচুমাচু হয়ে বলে উঠে–
আসলে ম্যাডাম নিজ ইচ্ছায় একের পর এক ড্রিংক করে যাচ্ছিলো।।
আয়ুশ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে এখন
রেগে লাভ নেই।
আগে রিমিকে হুশে আনতে হবে।
আয়ুশ আর কিছু না ভেবে রিমিকে
কোলে তুলে নেয়।
আমি হাত-পা ছুটাছুটি করে বলে উঠলাম–
এই সাইকো ছাড় আমাকে ছাড় তুই তোর ইশার কাছে যাহ।।
আয়ুশঃ বাবারে আপনি থেকে তুমি আর তুমি থেকে
ডাইরেক্ট তুই.?
(মুচকি হেঁসে)
এদিকে সবাই নিজেদের মধ্যে কথা বলছে।
কিন্তু অনেক্ষন ধরে ইশা আয়ুশকে দেখা যাচ্ছেনা
ইশাঃ আয়ুশ আবার কোথায় গেলো।
।।।।
এদিকে আমানের বড্ড চিন্তা হচ্ছে রিমিপাখি কোথায়???
।
।
।
আয়ুশ কোনোরকম রিমিকে হোটেলের একটি রুমে আনে।
রিমি বেডে বসে নিজে নিজে বিড়বিড় করে যাচ্ছে।
আয়ুশ রুমের দরজা টা আটকে দেয়
।
আয়ুশ; এখন এই মাতাল কে তালে আনতে হবে।
একটা কাজ করি সার্ভেনট কে ডাকি।
আয়ুশ যেতে নিলে রিমি তার হাত খপ করে ধরে ফেলে।
রিমিঃ এই সাইকো এই কোথায় যাচ্ছিস??
আয়ুশঃ আমি এখনো আসছি।
রিমি একেবারে আয়ুশকে নিজের কাছে টেনে নেয়।
তারপর আয়ুশের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে।
আয়ুশঃ আরে এইসব কি করছো??
আমি এখনি আসছি
রিমিঃ আমি জানি রে সাইকো তুই আসবিনা।।তুই অনেক বার বলেছিস তুই আসবি কিন্তু তুই আসিস না বড্ড খারাপ তুই। আমাদের বিয়ের সময়ও আসিস নি।
আমাকে বিয়েও করলিনা তুই।
আমাকে না বলেছিলি আমাকে মিস্টি বউ করে নিয়ে যাবে কই তুই তোর কথাও রাখলি না।
তুই শুধু অই ইশা শাকচুন্নির কাছে যেতে চাস।
রিমি আয়ুশের কোমর জড়িয়ে বলে উঠে–
এই সাইকো তুই না বলতি তুই শুধু আমার।
তাহলে তোর অনামিকায় অই ইশা শাকচুন্নি
কী করে আংটি পড়াতে পারে বল??
তোর কি একটুও তোর রিমিপরীর কথা মনে পড়েনা??
এই বলে রিমি কেঁদে দেয়। ভালোবাসিরে সাইকো
রিমির জলে আয়ুশের শার্ট ভিজে যাচ্ছে।
আয়ুশের চোখ থেকেও টুপটুপ করে জ্বল গড়িয়ে পড়ছে। রিমির প্রত্যেকটি কথা তার হ্রদয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।
।
।।।।।#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover).
#পর্ব-৪২
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)
আয়ুশের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে।আয়ুশ রিমিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।আয়ুশ শান্ত গলায় বলে উঠে–তুমি কি করে জানলে ইশা আমার
অনামিকায় আন্টি পড়িয়েছে?? হুম
আমি বলে উঠলাম– আমি জানি তো তুই আমার আর আগের সাইকো নেই তুই অই ইশা শাকচুন্নির হয়ে গিয়েছিস। প্রতিউত্তরে আয়ুশ মুচকি হেঁসে দিলো। আয়ুশ নিজের চোখের জল মুছে বলে উঠলো–আচ্ছা তুমি কি জেলাস??
আমি বলে উঠলাম–হুসস কিসের জেলাস আমি তোকে আর একটুও ভালোবাসি নাহ হুহ!
আয়ুশ রিমিকে সোজা করে উঠে বসায়।
আয়ুশঃ তাহলে একটু আগে যে বললে ভালোবাসি সাইকো।
আমি চোখ চোঝ ছোট ছোট করে বলে উঠলাম–
আমি আবার কখন বললাম!!
আয়ুশ ঃ তুমি বলেছিলে।
রিমিঃ সত্যি???( ভ্রু কুচকে)
আয়ুশঃ একেবারে সত্যি( মাথা নেড়ে)
আমি সোজা শুয়ে পড়লাম বেডে।
রিমিঃ তাহলে মনে হয় বলেছিলাম(গাল ফুলিয়ে)
আয়ুশ ও রিমির পাশে শুয়ে পড়ে।
আয়শঃ কিন্তু ম্যাডাম গাল টা ফুলিয়েছেন কেন???
আমি বলে উঠলাম–
বলবা না তোকে যাহ!!
আয়ুশঃ কিন্তু আপনাকে এই অবস্হা যে বেশ কিউট লাগছে তা কি আপনি জানেন???
ইচ্ছে করছে!!
আমি বলে উঠলাম–
কিহ ইচ্ছে করছে???
আয়ুশঃ তোমাকে গাপুশ করে খেয়ে ফেলি।
আমি কান্নাসুরে বলে উঠলাম–
তুই আমাকে খেয়ে ফেললে তো
আমি তোকে বিয়ে করতে পারবো নাহ।
আয়ুশ গালের উপর ভর দিয়ে বলে উঠে–
আমাকে বিয়ে করতে ইচ্ছে করে বুঝি?
আমি বলে উঠলাম– তুই তো আমার সাইকো।
আচ্ছা সাইকো তুই আমাকে বিয়ে করবি???
আয়ুশ চুপ করে যায়।
আমি বেড থেকে উঠে বলে উঠি–
আমি যাইগা।
আয়ুশঃ আরে কই যাচ্ছো???
তুমি এখন ড্রাংক আগে তোমাকে হুশে আনতে হবে।
আমি বলে উঠলাম–
দরকার নাই হুহ 🤐!!
তুই আমাকে ভালোবাসিস না আমাকে বিয়েও করবিনা আমি তোর কাছে থাকবো নাহ।
এই বলে আমি যেতে নিলে আয়ুশ রিমির হাত খপ করে ধরে ফেলে—
দেখো এই অবস্হায় বাইরে গেলে কেলেংকারী হয়ে যাবে।
আমি এইবার উনার গলা জড়িয়ে বলে উঠলাম–
তাহলে তুই অই ইশা শাকচুন্নির কাছে যাবি না
কথা দে???
তাহলে আমিও যামুনাহ।।।
আয়ুশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠে–
আচ্ছা বাবা যাবো নাহ।
আমি বলে উঠলাম– আচ্ছা তোর কি মনে নেই!!
তোর এই অনামিকায় আমি আন্টি পড়িয়েছিলাম
তাহলে অই ইশা কী করে অই হাতে আন্টি পড়াতে পারে বল??
( আয়ুশের অনামিকা আজ্ঞুল দেখিয়ে)
আয়ুশ মুচকি হেঁসে বলে উঠে—
কিন্তু আমার অনামিকায় তো ইশার দেওয়া সেই আন্টি নেই!!
দেখো।
আমি কিছুটা ভাবার ভান করে বলে উঠলাম–
হ্যা তাই তো
ইশা শাকচুন্নির আন্টি নেই এখানে।
আয়ুশ এইবার বলে উঠে–
এইবার লক্ষি মেয়ের মতো অইখানে( একটি চেয়ার)
গিয়ে বসে পড়ো।
আমি আবারও সাইকোর টাই টা আমার আজ্ঞুল দিয়ে পেঁচাতে পেঁচাতে বলে উঠলাম–
।বাট একটা কথা???
আয়ুশঃ কি( ভ্রু কুচকে)
রিমিঃ তার মানে তুই এখনো আমার সাইকো আছিস
হি হি হি কি মজা!!
এই বলে আমি বেডে দাঁড়িয়ে জোড়ে জোড়ে হাত তালি দিতে থাকি!!
আয়ুশ মুগ্ধ হয়ে রিমিকে দেখে যাচ্ছে।
মেয়েটার মুখে হাঁসি বড্ড মানায়।
কিন্তু ভাগ্যের খেলায় মেয়েটার জীবনে কস্টের শেষ নেই।
হঠাৎ বুকে ভাড়ি কিছু অনুভব করায় আয়ুশ ভাবনা থেকে বের হয়।
রিমি আয়ুশের বুকে মাথা রেখে আছে।
আয়ুশঃ কি হয়েছে??তোমার?
।
।
।
আদি মুচকি হেঁসে ফোনটা রিসিভ করে বলে উঠলাম–
আমার ছোঁয়ামনির আমার কথা মনে পড়ছে বুঝি??
অইপাশ থেকে ছোয়া বলে উঠে–
আমার কথা তো তোমার একটুও মনে পড়েনা।
ভালোইবাসো নাহ!!
আদিঃ আরে ছোয়ামনি তোমার কথার সনসময় মনে পড়ে। এতো মনে পড়ে যে
আজকেত বন্ধুর এন্গেজমেন্টেও তোমার ভাইয়াকে পটানোর চেস্টা করছি।
ছোয়াঃ আমান ভাইয়া অইখানে কি করে??( অবাক হয়ে)
আদিঃ মেইবি নিদ্র আংকেল ইনভাইট করেছে।
ছোয়াঃ রিমিয়াপু ও এসেছে???
আদিঃ হুম!!
ছোয়াঃ আপু তো আয়ুশ ভাইয়াকে অয়ন ভাইয়া
মনে করছে।
আদিঃ তোমার ভাইয়াও দেখি মেয়েটাকে সাপোর্ট করছে।
ছোঁয়াঃ৷ ভাইয়া যে রিমিয়াপুকে বড্ড ভালোবাসে।
রিমিয়াপুর ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সবকিছু করতে পারে।
আদিঃ আমান ভাইয়ার ভালোবাসা নিঃশ্বার্থ।
হুম সেটা তো আমিও জানি।
কিন্তু আমরা তো জানি আয়ুশ ডক্টর অয়ন নাহ।
আজ ইশার সাথে আয়ুশের এন্গেজমেন্ট হয়ে গেছে
হয়তো দুজনের চেহারা এক।
কিন্তু সত্যি এইটাই যে ডক্টর অয়ন চৌধুরী বেঁচে নেই।
ছোঁয়াঃ কিন্তু রিমিয়াপু সেটা বিশ্বাস করতে পারছেনা।
আদি ঃ সত্যিটা মেনে নিতেই হবে।
রিমির উচিৎ অতীতকে পিছনে ফেলে আমান ভাইয়ার সাথে বাকি পথ চলা।
ছোঁয়াঃ রিমিয়াপু যে কবে বুঝবে আমার ভাইয়ের ভালোবাসা টা!
আমার ভাইয়ার যে এইভাবে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আদিঃ হুম!! ঠিক বুঝবে।
( আদি ও ছোয়ার পরিচয় ফেসবুক থেকে।
আমান যখন এক্টি টুরে লন্ডনে এসেছিলো
তখন ছোঁয়াও এসেছিলো। আদি ও ছোঁয়া একে অপরের সাথে দেখা করে ঘুড়াঘুড়ি করে।
এবং একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে।
ছোঁয়া সব কথা আদিকে শেয়ার করে।
আদিও সব কথা ছোঁয়াকে সব শেয়ার করে।
দুজন দুজনকে বড্ড ভালোবাসে)
এদিকে আমানের বড্ড ভয় হচ্ছে তার রিমিপাখির কোনো বিপদ হলো না তো??
কিচ্ছু মাথায় ঢুকছেনা আমানের কি হবে??
আমানঃ রিমিপাখি কোথায় থাকতে পারে??
আচ্ছা ওর যদি কিছু হয়ে যায়। নাহ
আমান তুই নেগেটিভ কিছু ভাবিস নাহ।
সব ঠিক হবে হ্যা সব ঠিক হবে।
আমান ঃ আচ্ছা রিমিপাখি হোটলে ফিরে যায়নি তো??
আমান ফোন বের করে রিমির নাম্বারে কল করে নাম্বার অফ।
আমানঃ নাম্বার তো অফ!!
আচ্ছা বাকি স্টুডেন্টস দের
ফোন করে দেখি।
।।।।
ইশাকে চারপাশে এইভাবে তাঁকাতে দেখে
মল্লিকা বলে উঠে–
কি হয়েছে ইশা??
ইশাঃ দেখো নাহ আন্টি আয়ুশকে কোথাও দেখছিনা।
ইশার মা বলে উঠে–
আয়ুশ তো এখানেই ছিলো কোথায় গেলো??
নিদ্র বলে উঠে–
আয়ুশ যা ছেলে দেখ মনে হয় বাড়িতেই চলে গেছে।
ইশার বাবাঃ কিন্তু আমাদের না বলে এইভাবেই চলে গেলো??
মল্লিকাঃ মনে হয় কোনো ইম্পোর্টেনট কাজ আছে তাই!!
নিদ্রঃ আয়ুশ তো ফোন ও রিসিভ করছেনা।
ইশাঃ আমার বড্ড টেনশন হচ্ছে।
মল্লিকাঃ টেনশন করো না ইশা।
আয়ুশ তো এমনই করে।
মেইবি কোনো কাজ আছে।
ইশাঃ তাও আমার টেনশন হচ্ছে।
মল্লিকাঃ এতো টেনশন করার কি আছে??
এইযে আজকে এন্গেজমেন্ট হয়ে গেলো
এখন থেকে আয়ুশ তোমার।
মল্লিকার কথায় ইশা বোধহয় অনেক টা নিশ্চিন্ত হলো্।
এদিকে,৷
আয়ুশঃ কি হয়েছে সরুন( কিছুটা কাঁপা কন্ঠে)
রিমি আয়ুশের অনেকটাই কাছে।
এরুপ অবস্হায় আয়ুশের কতবার হার্টব্রেক হয়েছে
তার ঠিক নেই।
আয়ুশঃ কি হচ্ছে কি??
আমি বলে উঠলাম– অই সাইকো আমি সুন্দর নাহ(ঠোট উল্টিয়ে)
সজ্ঞে সজ্ঞে আয়ুশ পিছনে ঘুড়ে যায়।
আমি বাঁকা হেঁসে বলে উঠলাম– কিরে সাইকো বলনা???
আমি সুন্দর নাহ
দেখ আজকে শাড়িও পড়েছি।।
।
আয়ুশ নিশ্চুপ!!
আমি এইবার কান্নার সুরে বলে উঠলাম–
আমি তো সুন্দর নাহ! অই ইশা শাকচুন্নি সুন্দর পুতুলের মতো তাই তুই ওর দিকে তাঁকিয়ে ছিলি।
আর আমি দেখতে বাজে তাই আমার থেকে তাঁকাচ্ছিস ও নাহ।।
আয়ুশ এইবার রিমির দিকে ঘুড়ে
রিমির গালে হাত দিয়ে বলে উঠে–
কে বলেছে তুমি দেখতে খারাপ???
আচ্ছা নিজেকে কোনোদিন ভালো করে আয়নায় দেখেছো??
শাড়িতে তোমাকে কতটা সুন্দর লাগে তুমি কি তা জানো?? উহু জানো না একটুও না জানো নাহ।বোকা তুমি!!
আমি কান্নারসুরে বলে উঠলাম–
আমি বোঁকা??
আয়ুশঃ বোঁকাই তো। নাহলে অই ম্যাকাপের প্রলেপের আধুনিকতায় শুধু সাময়ীক সুন্দর হওয়া য়ায়। যাতে রয়েছে শুধুই ভেজাল।
কিন্তু
হাল্কা কাজল পড়া চোখে শাড়ি পরিহিতা তুমি যে বড্ড সুন্দর। যাতে নেই কোনো ভেজাল আছে শুধুই মায়া।
আমি বলে উঠলাম–
উফফ বাবা রে বাবা এতো ভারি কথা সব মাথার উপর দিয়ে গেলো।
আয়ুশ হেঁসে দেয়।
আয়ুশঃ আচ্ছা তুমি থাকো আমি দেখছি লেবুর শরবত এর ব্যবস্হা করি।
আমি বলে উঠলাম–
নাহ!! তুই যাবিনা
আয়ুশঃ তাহলে কী করবো?( বিরক্ত হয়ে)
রিমি ঃ আমাকে আদর করবি
আয়ুশঃ কিহ??
( এতো পুরোই মাতাল হয়ে গেছে)
।
।
।
।
।
।
।
।