প্রেমময়নেশা 💙 পর্ব ৩৮+৩৯+৪০

#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩৮
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
ইশা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে।আমি হাঁসতে হাঁসতে শেষ। আয়ুশ পিছনে তাঁকায় সেও হেঁসে দেয়। ইশা রাগে ফুসতে ফুসতে আমাকে বলে উঠে–
এই মেয়ে এই! বেশি হাঁসি পাচ্ছে তাইনা?? তুমি আমাকে ইচ্ছে করে ফেলে দিয়েছো। তোমাকে তো।
আমি উনার মতো ইনোসেন্ট ফেস করে বলে উঠলাম–সরি ইয়ার! আমি ইচ্ছে করে করেনি!! ভুলে।
💕💕
রিমির এইরকম ফেস দেখে আয়ুশ ফিক করে হেঁসে দিলো। রিমি একদম তার মতো করছে। সত্যি মেয়েটাও পারে।
ইশা রাগে থরথর করে কাঁপছে।
ইশা বলে উঠে–
আয়ুশ তুমিও হাঁসছো এই মেয়েটার সাথে???
আমি এদিকে পড়ে গিয়েছি তুমি আমাকে হেল্প না করে হেঁসেই যাচ্ছো হাউ কেন???

আয়ুশ কোনোরকম নিজের হাঁসি কন্ট্রোল করে বলে উঠে–
সরি!!
এই বলে আয়ুশ কোনোরকম ইশাকে উঠায়।
আমি মুগ্ধ হয়ে উনার হাঁসি দেখছিলাম।
একেবারে আমার সেই সাইকোর হাঁসি।
একেবারে নিখুত।
এই হাঁসি শুধুমাত্র আমার সাইকোর মুখেই মানায়।
হ্যা আমার সাইকো উনি।

ইশা বলে উঠলো–
আয়ুশ এখন অন্তত চলো।

আয়ুশ ইশাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।
আয়ুশ কি মনে করে যেনো পিছনে তাঁকায়।
রিমি তার দিকে ফ্লাইং কিস ছুড়ে দেয়।
আয়ুশ মুচকি হাঁসি উপহার দিয়ে চলে গেলো।

আয়ুশদের বাড়িতে বিভিন্ন
শপিং এর জিনিসপত্রের ছড়াছড়ি।
এলাহি ব্যাপার চলছে

মল্লিকা একের পর এক জুয়েলারি
ইশাকে পড়াচ্ছে।

মল্লিকাঃ পছন্দ হয়েছে??

ইশাঃ মল্লিকা আন্টি তুমি চয়েজ করেছো আর আমার পছন্দ হবেনা তা কী করে হয়।

ইশার মাঃ মল্লিকা ইশার এন্গেজমেন্ট এর সব ড্রসেস কিন্ত আমরা দিচ্ছি
শুধু ইশার গাউন ই
পুরো ২কোটি টাকা।

মল্লিকাঃ তোহ খান রা কি কম নাকি।
আয়ুশের একটা কোর্ট এ নিচ্ছি ১কোটিতে

ইশার মাঃ এইটাই তো আমাদের স্ট্রেন্ডার্ড

মল্লিকাঃ একদম ঠিক।
আমাদের বাড়ির বড় বউকে একেবারে এক্সক্লুসিভ জিনিসে মুড়িয়ে দিবো।

কিন্তু ইশার সেদিকে খেয়াল নেই।

সে তো আয়ুশকে খুজে যাচ্ছে।

মল্লিকা ব্যাপার টা বুঝতে পেরে বলে উঠলো–

ইশা!! আয়ুশকে খুজছো??

ইশাঃ তুমিতো জানো আন্টি অই মিডিল ক্লাস মেয়েটার জন্য আমি সবসময় আয়ুশকে নিয়ে চিন্তায়
থাকি।

মল্লিকাঃ উফফ বেবি আয়ুশ তো তোমারই।
পরশু ইন্গেজমেনট তারপর অর্ধেক তোমার হয়ে যাবে।

ইশাও যেনো শান্তি পেলো।
।।।।।।
In hospital,,
আমান স্যার আমাদের কিছু ইম্পোর্টেনট টপিক দেখিয়ে দিচ্ছে।
এই হসপিটালেই প্রতিবছর অনেক বড় কনফারেন্স হয়।
এইবারেও হবে।
অনেক বড় বড় ডক্টরের সাথে আমরা দেখা করার সুযোগ পাচ্ছি।
টিনা বলে উঠে–।ইসস উনারা কতকিছু জানে।

আমানঃ তোমরাও আস্তে আস্তে জানতে পারবে।
অনেক বড় ডক্টর হবে তোমরা এই আশা রাখি এবং
আমাদের বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে।

আমরা সবাই ঘুড়ে দেখছি। হসপিটাল টা।
আজকে টকোপিও এসেছে আমাদের সাথে

ইশা একটা কাজে হসপিটালে এসেছিলো

কি যেনো মনে করে আবারোও ফিরে এসে রিমিকে দেখে থেমে যায়।
ইশাঃ আরে এইতো অই অসভ্য মেয়েটা।
আমাকে ইচ্ছে করে ফেলে দিয়েছিলো।
দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।

ইশা রিমির কাছে এসে বলে উঠে–
হেই!

রিমিঃ আরে এতো ইশা শাকচুন্নি
(মনে মনে)

ইশাঃ তুমি আমার উপর রাগ করে আছো।
আসলে আমার অইসময় মাথা ঠিক ছিলোনা সরি!!

রিমিঃ আরে আইভাবে বলবেন না ইটস ওকে।

ইশাঃ আওও তুমি অনেক সুইট একটা মেয়ে।

নিজের ব্যাগ থেকে একটি কার্ড বের করে
রিমির হাতে দিয়ে বলে উঠে–

এইটা আমার আর আয়ুশের এন্গেজমেন্ট কার্ড।
আগামী পরশুদিন আমাদের এন্গেজমেন্ট।
তুমি কিন্তু আসবে।

আমি যেনো মুহুর্তেই থমকে গেলাম
ইশা বলে উঠলো–

আরে আসবে কিন্তু আমাকে যতটা খারাপ মনে করছো আমি ততোটাও খারাপ নই।
তাছাড়া তোমাকে আমার বেশ ভালোই লেগেছে।

আমান ও ততক্ষনে টকোপিকে নিয়ে চলে আসে।

ইশাকে দেখে আমান বলে উঠে–
আপনারা এখানে?

ইশা বলে উঠে–
ডক্টর আমান! কিছুক্ষন এর ব্যবহার এর জন্য আমি লজ্জিত।

আমানঃ এতো তাড়াতাড়ি চেঞ্জ( মনে মনে)

ইশা আরেকটি কার্ড আমানের দিকে এগিয়ে বলে উঠে–
এই নিন
আমাদের এন্গেজমেন্ট পরশুদিন অবশ্যই আসবেন কিন্তু।
।।
আমান কিছুই বুঝতে পারছেনা। আসলে হচ্ছে টা কি

ইশাঃ আমি কিন্তু আপনাদের জন্য ওয়েট করবো।

এই বলে ইশা চলে গেলো।
আমি ছলছলে চোখে আমানের দিকে তাঁকালাম।
আই উইশ সবকিছু যেনো মিথ্যে হয়।

আমি মুখে হাত দিয়ে কেঁদে দিলাম।

রিমিকে দেখে আমানের বুকের ভিতর তোলপাড় শুর‍ু হয়ে গিয়েছে।

আমান রিমির কাছে গিয়ে বলে উঠলো–

রিমিপাখি প্লিয শান্ত হোও!!

আমি নিজের হাতের অনামিকা সেই আংটির দিকে তাঁকালাম।

রিমিঃ আমাদের তো এন্গেজমেন্ট হয়ে গিয়েছিলো।
আর একজন মানুষের তো একবারই এন্গেজমেন্ট হয় তাই না??
তাহলে উনার সাথে কি করে অই মেয়েটার এন্গেজমেনট করতে পারেন।
(কাঁদতে কাঁদতে)

আমাকে আমান বুকে আগলে নিলো।
আমি হিচকি দিয়ে কেঁদে যাচ্ছি।

আমান ঃ রিমিপাখি তুমি আমার স্ট্রং গার্ল এইভাবে ভেজ্ঞে পড়লে চলে?.
তোমার ভালোবাসা ঠিক জিতবে।

আমি এখনো কেঁদে যাচ্ছি।
আমি যে আর পারছিনা
কিন্তু একটা ভরসার হাত তো পেলাম।
আমান আমাকে শান্তনা দিয়ে যাচ্ছে।

।।।।।।।।
আয়ুশের আজ প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে
তার কিছুতেই এন্গেজমেন্ট এ মন নেই।।শুধুমাত্র মল্লিকার কথায় রাজি হয়েছে।
বার বার অই মেয়েটি( রিমির মুখ) ভেসে উঠে।
আয়ুশও আজকে একটি কাজের জন্য হসপিটালে এসেছিলো।

রিমিকে আমানের এতোটা কাছে দেখে আয়ুশের মাথায় হ্যাং হয়ে গেলো।

আয়ুশ আড়ালে দাঁড়িয়ে
নিজের কপাল স্লাইড করতে করতে বলে উঠলো–

আচ্ছা অই মেয়েটা অই ডক্টরের এতোটা কাছে কেন??
অই মেয়েটার কাছে তো আমি থাকবো এই আয়ুশ খান থাকবে। (খানিক্টা কান্নার সুরে)

আয়ুশ প্রচন্ড জোড়ে ড্রাইভ করছে।
।।।।।।।।।।।।।

আমি বলে উঠলাম– এখন কী হবে??

আমান বলে উঠলো–
আমরা যাবো এন্গেজমেন্ট দেখবো
সাইকো কীভাবে তার রিমিপরী ছাড়া অন্যকাউকে আংটি পড়ায়

(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
আমানে কথায় আমি যেনো অনেকটা ভরসা পেলাম।

আমিও মাথা নাড়ালাম
।।।।।।

এদিকে জনিকে পাওয়া যাচ্ছেনা।

সবাই অনেক চেস্টা করছে।
থানা-পুলিশ করেও জনিকে পাওয়া যাচ্ছেনা
ম্যাচ এর পরে একটা ছেলে কীভাবে এতো তাড়াতাড়ি নিখোজ হতে পারে???
জানেনা কেউ।

আয়ুশের মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
সে নিজের ফার্ম হাউসে গিয়ে সবকিছু ভেজ্ঞে ফেলছে।

যেখানে অই মেয়েটার সম্পর্কে বাজে কথা বলাতে
জনিকে এতো নির্মম ভাবে মারলো আয়ুশ সেখানে অই ডক্টর কীভাবে রিমিকে স্পর্শ করলো???

হাউ!!

আয়ুশ অনেকটা পাগলের মতো করছে।

আচ্ছা অই ডক্টরকেও যদি আয়ুশ মেরে ফেলে
তখন কি হবে?

আয়ুশ শয়তানি হাঁসিতে মেতে উঠে–

আয়ুশঃ আচ্ছা একটি সিক্রেট বলি???
হুহ কাউকে বলবেন না তো??

অই জনিকে আমি মেরেছি একেবারে শেষ।
ফুসসস।
হা হা হা।
অনেক নির্মমভাবে।

আয়ুশকে অনেকটা সাইকোর মতো লাগছে।
হিংস্র একেবারে হিংস্র সাইকো।

এদিকে আমি ভেবে যাচ্ছি
কি করে উনাকে ফিরিয়ে আনবো।
পরক্ষনে কিছু একটা ভাবে মুচকি হাঁসলাম

।।।।
আয়ুশঃ অই মেয়েটার সব কিছুতেই এই আয়ুশ খান থাকবে।

আয়ুশ প্রচন্ড ড্রিংক করে যাচ্ছে।

সবকিছু ঝাপ্সা দেখছে।

তার কলে বার বার ইশা ফোন করে যাচ্ছে সেদিকে তার হুশ নেই।

আয়ুশ ফোনটা আছাড় মেরে ফেলে দেয়।

সে তো শুধু রিমিতে আশক্ত।

আজ রিমিকে বড্ড কাছে ছাইছে আয়ুশ।

এইসব নেশা অই মেয়েটার থেকে নিছক তুচ্ছ।

আয়ুশ বাঁকা হাঁসি দিচ্ছে।

তার মাথায় শুধু একটা প্ল্যান ঘুড়ছে।

আয়ুশ ও রিমি দুজনের মাথায় দুই প্ল্যান ঘুড়ছে।
কী হবে আয়ুশ রিমির ভবিষ্যৎ?




।#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩৯+৪০(স্পেশাল মোমেন্ট🌸🌿)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
——- 🌸
অজেনা ব্যক্তির দেওয়া সেই নীল শাড়ি নিজের গাঁয়ে জড়িয়ে নিলাম। হাতে পড়েছি সেই নীল চুড়ি।
উনার এন্গেজমেন্ট এ যাবো বলে। হায় আমার ভাগ্য। নিজের হাতের সেই অনিমিকা আন্টির দিকে আরেকবার তাঁকালাম। এখনো চিকচিক করছে।
বড় যত্নে রেখেছিলাম। আমাদের বিয়ের একটি বড় স্মৃতি। উনি আমার জন্মদিনের দিন আমাকে পড়িয়েছিলেন। ভাবতেই কান্না চলে আসে।
দরজায় টুকা পড়তেই আমার ধ্যান আসে। আমি তড়িঘড়ি করে দরজা খুলে দেখি আমান স্যার।
আমান রিমিকে দেখে যেনো আবারও থমকে গেলো।
আবারও সেই শাড়ি। কতবছর পর রিমিকে এই শাড়ির তে দেখেছে সে।
আমানের বুকে মনে হয় কেউ হাতুড়ি পিটাচ্ছি।
ঢিপ ঢিপ করেই যাচ্ছে।
আর আগে একবার রিমিকে সেই গোলাপি বেনারসিতে দেখেছিলো সে তখনি তার হার্টব্রিট ফাস্ট হয়ে গিয়েছিলো।
যাকে বলে লাভ এট ফার্স্ট সাইড। এতোবছর পর আবার সেই নীল শাড়ি পড়েছে রিমি।
একেবারে পুর্ন নারী লাগছে। আহা কি মায়া। আমানের ইচ্ছে কর বড্ড ইচ্ছে করে।
রিমিকে দেখে সারাজীবন আমান কাটিয়ে
দিতে পারবে। দুচোখ ভরে তার রিমিপাখিকে দেখতে ইচ্ছে করে কিন্তু আদোও কি তা সম্ভব।

আমান মনে মনে এইসব ভাবছিলো তখনি আমার ডাকে তার হুশ আসে।

আমি বলে উঠলাম–
আমান স্যার আপনি এই সময়??

আমান বলে উঠে–
আসলে আমি এসেছিলাম বলতে
সময় হয়ে গিয়েছে।
চলো গাড়িতে।

আমি বলে উঠলাম– চলুন!!!
।।।।।।।


আয়ুশ নীল কোর্ট পড়েছে।
কোর্ট টা আয়ুশের জন্য স্পেশাল করে প্রিপারর্ড করা হয়েছে।
হাতে ব্রেন্ড্রেড ওয়াচ। চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করে নিয়েছে।
আয়ুশের সবকিছুই পার্ফেক্ট।
মুখে ভয়ংকর সে বাঁকা হাঁসি যেই হাঁসিতে সব মেয়েরাই ঘায়েল।

আয়ুশ হোলে এসে পড়েছে।

আয়ুশকে আসতে দেখে মল্লিকা বলে উঠলো–
অইতো আমার৷ বেটা চলে এসেছে।

নিদ্র ও এসে পড়েছে।

নিদ্রঃ আমার বেটাকে কত ডেশিং লাগছে।

মল্লিকাঃ আমার ছেলে তো সবসময়ই ডেশিং

ইশার বাবা বলে উঠলো–
আমাদের প্রিন্স এর বাবাকে কি কম ডেশিং লাগছে

ইশার মাঃ আর আমাদের মল্লিকা তো সবসময় নিজেকে পার্ফেকট রাখে।

নিদ্র মল্লিকার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে–
তাই তো তোমাকে এত্তো ভালোবাসি।
ডার্লিং!!

মল্লিকাঃ তুমি একটু চুপ করবে।

মল্লিকা ঃ আচ্ছা আমাদের এই প্রোগ্রামের মেইন
আমাদের আয়ুশ তো চলে এসেছে আরেকজন আমাদের ইশা কোথায়?? যার জন্য এতো আয়োজন।

ইশার মা বলে উঠে–
এইতো আসছে।

আয়ুশের সেসবে খেয়াল নেই।
সে তো ফোন টিপাতে ব্যস্ত।

তার চোখ বার বার হলরুমের গেটের দিকে।
।।।।।।
তখনি বড় করে শব্দ আসে।

ইশা তার বড় বারবি লং ড্রেস নিয়ে নামছে।
মুখে ভাড়ি মেকাপ। অনেক ডায়মেন্ডের জুয়েলারি বেশ ভালোই লাগছে।
মেয়েরা তার হাত ধরে সিড়ি দিয়ে নেমে আনছে
আকাশে বড় ফানুশ উড়ে যায়।

আজ যে ইশা ও আয়ুশের এন্গেজমেন্ট।
বড় সেলিব্রেশন তো হবেই।

সবাই ইশাকে দেখে যাচ্ছে।

ইশাকে পুতুলের থেকে কম সুন্দর লাগছেনা।

আয়ুশ একবারও ঘুড়ে তাঁকাইনি।

ইশা বার বার মুগ্ধ হয়ে আয়ুশকে দেখে যাচ্ছে।
কিন্তু আয়ুশ একবারো ইশার দিকে ফিরেও তাঁকাই নি।
যার জন্য এতো কিছু সে যদি না দেখে তাহলে এইসব করে কি হবে??
আয়ুশ ইশার যেনো অনেক দূরে সরে গেছে।একবার বিয়েটা হয়ে যাক।
তারপর আয়ুশকে নিজের ভালোবাসার মায়ায় আটকাবে ইশা।
একেবারে আগের আয়ুশে পরিনত করবে।
যে আয়ুশের মনে শুধুই ছিলো ইশার বসবাস।
।।।।।।
ইশাকে স্টেজে আনা হয়।
আয়ুশের পাশেই বসানো হয়।

মল্লিকাঃ ওহ আমি ইশা ইউ লুক সাচ আ গর্জিয়াস
ইশারমাঃ একেবারে একটি মিস্টি পুতুল লাগছে।
কারো নজর যেনো না লাগে।

এই বলে ইশার মা ইশার কপালে চুমু খায়।
আয়ুশ এখনো ফোন ফোন টিপে যাচ্ছে।

ইশা এতো সুন্দর করে আজ সেঁজেছে
সবাই কত প্রশংসা করছে আর আয়ুশ??
মন ব্যথিত হলো ইশার।

ফোন টিপতে টিপতে আয়ুশের চোখ আটকে গেলো
এক শাড়ি পরিহিতা নারীর দিকে।
একেবারে ষোড়ষী নারী।
যার জন্য হ্রদয়ের স্পন্দন থেমে যায়।

ডাগর ডাগর মায়াবী চোখ হাল্কা কাজল।
ঠোটে হাল্কা লিপ্সটিক।
নীল শাড়ি ও চুড়ি বেশ আয়ুশকে শেষ করার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট রিমির।

হ্যা রিমিও আমান এসেছে।

আয়ুশ চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে দেখে যাচ্ছে
সেই মায়াবতীকে।

এদিকে আমি উনাকে আর ইশাকে একসাথে একই স্টেজে দেখে সহ্য করতে পারছিনা

কান্নাগুলো গলায় দলা পাকিয়ে যাচ্ছে।
ভাবতেই অবাক লাগে নিজের ভালোবাসার মানুষের এন্গেজমেন্ট এর নিমন্ত্রন রক্ষা করতে এসেছি।

রিমিকে দেখে আমানের ঠিক লাগছেনা।

তাই আমান শক্ত করে আমার হাত ধরে ফেলল।
এবং চোখ দিয়ে ইশারা করলো
শান্ত হতে।
আমিও নিজেকে সাম্লিয়ে নেওয়ার চেস্টা করছি।

আয়ুশ রাগে ফুসছে।
তার চোখ লাল হয়ে গেছে।

আমান আজকে ফরমাল ড্রেসাপ এ বেশ ডেশিং লাগছে।

কিন্তু আমার দিকে সবাই কেমন ভাবে তাঁকিয়ে আছে।

ইশা রিমিকে দেখে
তার কাছে ছুটে আসে।

ইশা ঃ আরে রিমি তুমি এসেছো।
আমি কিন্তু তোমাকে এক্সপেক্ট করিনি

আমি বলে জঠলাম–
ইনভাইট করেছেন নিমন্ত্রন রক্ষা করতেই হয়।

মল্লিকাঃ উফফ এই মেয়েটা এখানে কেন??
ভালোই ভালোই এন্গেজমেন্ট টা হলে বাঁচি

মল্লিকা এইবার বলে উঠলো–
ডক্টর আমান নাইচ টু মিট ইউ

আমানঃ সেম টু ইউ!!

মল্লিকাঃতোমাকে এখানে কে এসেছে??(রিমিকে উদ্দেশ্য করে)
আচ্ছা এসেছো তো এসেছো এইরকম শাড়ি পড়ে??

ইশার মাঃ আচ্ছা তুমি কি জানো নাহ লন্ডনে এইসব শাড়ি চলে নাহ??

অন্য একজন মহিলা বলে উঠে–
এরা কি কখনো এইসব বড় বড় পার্টিতে এসেছে তাই তো ক্ষেত মার্কা শাড়ি পড়ে এসেছে।

ইশা মল্লিকা সহ সবাই হেঁসে দেয়।
আমার লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে।
আমি কি সার্কাস এর জোকার??

আয়ুশের মাথা রাগে ফেটে যাচ্ছে।
সে স্টেজ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলবে
তার আগেই আমান বলে উঠে–
ব্যাস অনেক শুনেছি।

আচ্ছা মিসেস মল্লিকা শাড়ি নাকি ক্ষেত??
তাহলে আপনার ভাষায় স্টাইল কি অই ছোট ফ্রক?? জানেন তো একটি নারীকে শাড়ির থেকে সুন্দর আর কোনো পোষাকে লাগেনা

শাড়ি বাজ্ঞালি মেয়েদের অহংকার।
তারা যে বাজ্ঞালি তা তাদের শাড়িতেই প্রকাশ পায়
আর আপ্নারা নিজেরাও বাজ্ঞালি। একজন বাজ্ঞালি হয়ে নিজের সংস্কৃতিকে হেও করছেন?

আজ বিদেশি সংস্কৃতি আপনাদের কাছে সবকিছু।
তাহলে বলতে বাধ্য হোলাম এইসব সংস্কৃতি আমাদের জন্য নাহ।

সবাই হাতে তালি দিচ্ছে আমানের কথা শুনে।

আমি মুগ্ধ হয়ে উনার কথা শুনে যাচ্ছি।
আমান স্যার কে যত দেখি ততই অবাক হয়ে যাই।

মল্লিকা চুপ হয়ে যায়।

ইশা রাগে ফুসছে।
রিমিকে অপমান করার একটি সুযোগ পেয়েছিলো

নিদ্র ঃ এইভাবে বলবেন না মিঃ শিকদার।
একটু আগে যা হলো তার জন্য আমি লজ্জিত।
কিন্তু আপ্নারা এখন যাবেন না।

আমান বলে উঠলো–
আর আমরা বাজ্ঞালি বলেই নিমন্ত্রন রক্ষা করতে জানি। তাই আমরা থাকবো।

আয়ুশ আবারও নিজের জায়গায় বসে পড়ে।

ইশা গিয়েও বসে পড়ে।

এইবার ইশার বাবা বলে উঠে–
আজ আমার মেয়ে
নিদ্র খানের বড় ছেলে আয়ুশ খানের এন্গেজমেন্ট সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।

মলিক এইবার বলে উঠে–
তার আগে আমাদের নিউলি কাপল
আয়ু্শ আর ইশার একটি কাপল ডান্স দেখবো
কি তাইতো।

আমি উনার দিকে তাঁকালাম।

আয়ুশ ও রিমির দিকে তাঁকালো মেয়েটার মুখে একেবারে শুকিয়ে গেছে।

আয়ুশ বলে উঠে–
বাট মম আমাকে দিয়ে এইসব ডান্স হয়না।

ইশাঃ এইসব কি বলছো আয়ুশ আরো অনেকেই তো
ডান্স করবে।

আয়ুশ কিছু বলবে তার আগেই
মিউজিক শুরু হয়ে যায়।

ডান্স ফ্লোরে আরো অনেক কাপল চলে আসে।

ইশাও আয়ুশকে নিয়ে ডান্স ফ্লোরে যায়।

এদিকে আমার কিচ্ছু ভালো লাগছেনা।

ইশা আয়ুশের কাধে হাত রাখে অনেক কাছাকাছি দুজন।

আমার সবকিছু অসহ্য লাগছে। উনি কি করে
অই মেয়েটার এতো কাছে??

আয়ুশা ডান্স করতে করতে রিমির চোখের দিকে তাঁকিয়ে গেয়ে উঠে
Haan kar Dena chhoti moti galtiyon ko maaf 🌸🌸

iTna sa bas iehsaan kar de 🌸🌸
kar Dena Chhoti
Moti Galtion Ko Maaf 🌿

Itna Sa Bas Ehsaan Kar De 🌸

Tu Jo Hai Naraaz Meri
Saansein Na Chalein 🌸🌸🌸
( আয়ুশ যেন রিমির জন্য গানটি গাইছে)

(আমি উনার থেকে মুখ ঘুড়িয়ে নেই)

MaanJa Tu Jeena Assan Karde 🌿
Tu Khol Mere Dil Ko Aur
Le Le Talaashi Koi Na
Milega Tere Siwa Tere Siwa
🌿🌿

Teri Aankhon Mein Dikhta
Jo Pyaar Mejhe 🌸🌿🌿
Meri Anankhon Mein Bhi
Tujhe Dikhta Hai Kya 🌿🌿
(সব কাপলরা আয়ুশের গানে নেচে যাচ্ছে)
ইশা ও আয়ুশের সাথে নেচে যাচ্ছে)

(এইবার আমি আর নিজেকে সাম্লাতে পারলাম নাহ প্রচন্ড রাগ হচ্ছে তাই আমিও আমান স্যারকে নিয়ে ডান্স ফ্লোরে চলে আসলাম।
তার কাধে হাত রেখে আমি গাইতে শুরু করলাম।)

Bharke Rakhti Hoon Jebein 🌸🌸
Mein Dil Ki Apne Bol
Tu Kitna Maange Udhaar
🌸
(আমান পুরোই শখ রিমিপাখি তার সাথে ডান্স করছে আয়ুশকে দেখিয়ে আমান স্যার হাত কোমরে রেখে গাইতে শুরু করলাম)
Bina Biyaaz Ke Doongi
Tu Maange Toh Sahi Bol
Kitna Tu Maangega Pyaar 🌸🌸
(আয়ুশের চোখে আমি ভয়ংকর রাগ দেখতে পারছি
কিন্তু তাতে কি আমিও নাচতে শুরু করলাম)

Bhetha Hai Gussa Teri Naak 🌿🌿

Pe Aise Dhoka Diya Tujhko
Main Chhod Diya Jaise
Marke Bhi Chhodu Na Tu
Maange Kaise 🌸🌸
(আয়ুশের মাথায় ধপ করে আগুন জ্বলছে।
সব কিছু ধ্বংস করতে ইচ্ছে করছে)

(গাইতে গাইতে হঠাৎ চোখে জল চলে আসলো)
সব নেচে যাচ্ছে গান গাওয়ার সাথে সাথে কাপল চেঞ্জ হচ্ছে আমি আয়ুশের সাইডে আসলে
আমানকে সরিয়ে আয়ুশ রিমিকে একেবারে নিজের কাছে টেনে নিলো। আমান কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা। ইশাও রাগে ফেটে যাচ্ছে তাও অন্যজনের সাথে নেচে যাচ্ছে)
(আয়ুশ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে গাইতে শুরু করে)

Nikal Na
Jubaan Se Aise Marne Ki Baaat 🌿🌸
Pyaar Aisa Karguna ke Tu🌿
Degi Sabaashi Mishaal Mein
Dunga Apne Pyaar Ki Bana 💕💕💕💕
আমিও গাইতে শুরু করলাম—
Teri Aankhon Mein Dikhta
Jo pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi
Tujhe Dikhta Hai kya৷ 🌸🌸
(আয়ুশ আমাকে একেবারে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে আয়ুশের হাত আমার আচল বেধ করে পেটে রয়েছে। আমার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়েই সে গেয়ে যাচ্ছে। আমি বার বার কেপে যাচ্ছি। আবার সেই স্পর্শ)
কম আলো তাই কেউ দেখছেনা

Ishq ko Oodhle Sab Hadhein
Tod De Aaj Dono Milke
Ek Naye Rishte Ko Jod De 💕🌿

(আমি এইবার গেঁয়ে উঠলাম)

Tu Bole Na Mujhle Kuch
Aur Main Sunti Rahoon
Aise Pyaar Karte karte
Duniya Ko Chhod Doon
🌿🌸🌸
(আয়ুশ আমাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে নেয়
আমি তার কাধে হাত রাখি। আয়ুশ আমাকে কোমর জড়িয়ে নেয়)
(আমরা দুজন দুজনের চোখে চোখ রেখে গাইতে থাকি)
O Teri Aankhon Mein
Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankon Mein Bhi
Tujhe Dikhta Hai Kyaaa 🌸🌸

(সবাই নিজের নাচ বন্ধ করে আয়ুশ আর রিমিকে মুগ্ধ হয়ে দেখে যাচ্ছে)





)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here