‘প্রেম প্রাঙ্গণ’🍂
|পর্ব-১৪|
~সুনেহরা শামস
.
.
“গতকালকের অ্যাটাকটা কে করিয়েছে জানিস?”
সাহিল মাথা তুলে প্রাঙ্গণের দিকে তাকায়।যে এখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের গলার টাই ঠিক করছে।গতকালের ব্যাপারে সবই জানতে পেরেছে সাহিল প্রাঙ্গণের থেকে,,কিন্তু অনেক খোজ নিয়েও জানতে পারেনি এর পেছনে কে ছিল।কিন্তু প্রাঙ্গণের কথার ভাজ শুনে মনে হচ্ছে সে জানে আসল অপরাধী কে?
সাহিল নিজেকে আর দমিয়ে রাখতে পারল না,,প্রশ্ন করেই ফেলল,,
“কে করেছে এই কাজ??”
“এহসান সাহেব!”
মুহূর্তের মধ্যে কথাটুকু যেন বোমার মতো ফাটল সাহিলের কানে।এই লোক এত নিচ কাজ করতে পারল?অবশ্য এর আগেও জঘন্য কাজ করেছে কিন্তু প্রাঙ্গণের সাথে এমন করবে তা ধারণার বাইরে ছিল সাহিলের।
“তুই জানলি কিভাবে যে উনিই এইকাজ করেছে?”
প্রাঙ্গণ রেডি হয়ে এসে সাহিলের বরাবর বসে,,
“এহসান সাহেব ঈগল ভীষণ ভালোবাসেন,,এমনকি তার লো-কোর্টেও তিনি ঈগলের ব্যাচ বসাতে ভুলেননি।সেখানে গাড়ি কেন বাদ থাকবে?”
সাহিল হতভম্ব দৃষ্টি নিয়ে প্রাঙ্গণের দিকে তাকায়।
“তার মানে গাড়িতেও?”
“হ্যা,,তার মিতসুবিশির সামনে একটা ঈগলের স্টিকার দেখেছি আমি।আর আমি ড্যাম শিউর,,ঐটা এহসান সাহেবেরই গাড়ি ছিল”
“এখন কি করবি??”
“কি করব?”
ভাবলেশহীনভাবে কথাটুকু বলে উঠল প্রাঙ্গণ।সাহিল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,,এই ছেলে কখনো সিরিয়াস হবে না এসব বিষয়ে।
“তোকে এমনভাবে শুট করে চলে গেল আর তুই কিছুই করবি না?”
“করব তো,,”
সাহিল বুঝার চেষ্টা করে আসলে প্রাঙ্গণ কি করতে চাইছে,,
“আগে তার চ্যালা-প্যালা কে ধরতে হবে,,দেন না হয় ওনার কথা ভাবা যাবে”
প্রাঙ্গণ বাকা হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়,,সাহিলের মুখেও এখন হাসি।এদিকে প্রাঙ্গণ আর সাহিলের কথা বাইরে দাঁড়িয়ে সবই শুনেছে সুহা।সে অবাক!প্রেমের বাবা এমন কাজ,,তাও আবার মানুষ মারার মতো জঘন্য কাজ কেন করবে?…
~~~
প্রেম ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাধছিল এমন সময় পেছন থেকে কেউ তাকে জড়িয়ে ধরে।প্রেম প্রথমে ভয় পেলেও পরবর্তীতে বুঝতে পারে এ আর কেউ নয় প্রাঙ্গণ!প্রেমের ঘাড়ে মুখ গুজে সে।
গতকাল বিকাল থেকেই এমন অদ্ভুত আচরণ করছে প্রাঙ্গণ।কাল রাতেও তারা অনেক কাছাকাছি ছিল যদিও তাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি।কিন্তু প্রাঙ্গণের এমন সব আচরণ আর তার মতিগতি কিছুই বুঝতে পারছে না সে।তবুও একদম স্বাভাবিক আচরণ করে যাচ্ছে সে।যদিও সে এটাই চেয়েছিল যেন প্রাঙ্গণ অন্তত তার সাথে এমন আচরন করে।
“উমম,গুড মর্নিং!প্রেম”
“হুম”
প্রাঙ্গণ প্রেমকে নিজের দিকে ঘুরায়,,হাত দিয়ে প্রেমের চুলগুলো ঠিক করে দেয়,,প্রেম চোখ বুজে অনুভব করার চেষ্টা করে।কিন্তু কেন জানি কোনো কিছুই অনুভব করতে পারছে না সে।একটা জড়তা যে এখনো প্রাঙ্গণের মাঝে আছে তা ভালোভাবে বুঝতে পারে প্রেম।
প্রাঙ্গণের চুলগুলো হাতাতে হাতাতে প্রেম বলে উঠে,,
“কোথাও কি যাবেন আপনি?”
“হুম যাবো তো,,”
প্রেম প্রাঙ্গণের দিকে তাকায়।
“কোথায় যাবেন?”
প্রাঙ্গণের প্রেমের দিকে তাকায়,,বাকা হেসে বলে উঠে,,
“একটা কাজ করবে প্রেম?”
“কি?,,বলুন”
“আলমিরার ভেতরে একটা বক্স আছে বটল কালারের,,একটু নিয়ে আসবে?”
প্রেম ক্যাবিনেট থেকে চাবি থেকে নিয়ে আলমিরা থেকে বক্সটি নিয়ে প্রাঙ্গণের কাছে যায়।প্রেম ভালোভাবে লক্ষ্য করে বক্সটি অনেক এক্সপেন্সিভ!
“সুন্দর না বক্সটা?”
প্রেম বক্সটা ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে শুধু “হুম” বলে উঠে।
“ওপেন ইট!”
প্রেম প্রাঙ্গণের চেয়ে আছে।
“কি হলো?খুলো…”
প্রেম বক্সটি খুলে।বক্সটি খুলেই প্রেম বিস্ময়ভরা দৃষ্টি নিয়ে বক্সটির দিকে চেয়ে আছে,,হাত থরথর করে কাপছে তার ভীষণভাবে।প্রেম কাপা কাপা স্বরে বলে উঠে,,
“কি এ-টা?”
প্রাঙ্গণ মুখে বাকা হাসি ঝুলিয়ে বলে উঠে,,
“রিভলবারও চেননা তুমি??”
প্রেম এবার প্রাঙ্গণের দিকে চোখ তুলে তাকায়,,প্রাঙ্গণের মুখে বাকা হাসি দেখে বুঝতে বাকি রইল না যে তাকে ভয় দেখানোর জন্য প্রাঙ্গণ এই কাজ করেছে।
“এ-এইটা দিয়ে কি করবেন আপনি?”
প্রাঙ্গণ প্রেমের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে বলে উঠে,,,
“যেখানে যাচ্ছি সেখানে এটা কাজে লাগবে প্রেম”
প্রেম প্রাঙ্গণের কথার আগামাথা বুঝল না।
“কারণ এখনতো আমি একটা মার্ডার করতে যাচ্ছি প্রেম ডিয়ার!”
প্রেমের হাত থেকে বক্সটি পড়ে যেতে নিলে প্রাঙ্গণ তা ধরে ফেলে।
“একটা সাধারণ হালকা বক্স ধরতে পারো না?শেম অন ইউ প্রেম!”
প্রেম এখনো বুঝতে পারছে না বিষয়টা।প্রাঙ্গণ কি তার সাথে মজা করছে?প্রেম আমতা আমতা করব বলে উঠে,,
“আপনি সত্যিই কোনো খুন করতে যাচ্ছেন??”
প্রাঙ্গণ হো হো করে হেসে উঠে,,হাসতে হাসতেই তার চোয়াল শক্ত হয়ে আসে,,প্রেমের সামনে মুখ নিয়ে প্রাঙ্গণ বলে উঠে,,
“একটা না দুটোর বেশীও হতে পারে প্রেম!”
প্রেম হতভম্ব দৃষ্টিতে চেয়ে আছে প্রাঙ্গণের দিকে!
প্রাঙ্গণ প্রেমের গালে আলতো চুমু খেয়ে বের হয় গেল,,প্রেম আকস্মিক ঘটনায় অবাক!!
~~~
ঘুটঘুটে অন্ধকার ও নিস্তব্ধ এক ঘরে বসে আছে প্রাঙ্গণ,,পাশেই দাঁড়িয়ে আছে সাহিল।তাদের বিপরীতে তিনজন লোক বসে আছে যেখানে সবারই হাত-পা বাধা,,মুখ সহ।
এরাই সেই তিনজন যারা প্রাঙ্গণের উপর অ্যাটাক করেছিল।এহসান সাহেবের পালতু লোকেরা!প্রেম হালকা একটা নিশ্বাস ছেড়ে টেবিলের উপর হাত রেখে বলে উঠে,,
“শুট কে করেছিলি??”
তিনজনই একে অপরের দিকে তাকায় কিন্তু কেউ কিছু বলে না।প্রাঙ্গণ আবার বলে উঠে,,
“সত্যি করে বল,,যে এই কাজ করেছে তাকে বাদে সবাইকে ছেড়ে দেব।”
এবারও তাদের থেকে কোনো উত্তর খুজে পায় না।একদম নিশব্দ তারা,,সাহিল ওদের মুখে স্কচটেপ খুলে দেয়।প্রাঙ্গণ আবার জিজ্ঞেস করে উঠে,,
“লাস্ট বার বলছি,,বলবি কী না?”
এবারও কোনো উত্তর দেয় না তারা।প্রাঙ্গণ সরু দোখে সবাইকে লক্ষ্য করে,,সবার চেহারার মধ্যেই ভয় বিরাজমান,,কিন্তু একজন একটু বেশীই ঘামছে,,ভয় এ তার থুতনি পর্যন্ত কাপছে।প্রাঙ্গণ বাকা হাসে,,এরা ভালোভাবে শুট ও করতে পারে না আর ভালোভাবে অভিনয়ও করতে পারে না।
প্রাঙ্গণ সাহিলের কানে কানে কিছু বলে।যা বলে তা শুনে সাহিল শুকনো একটা ঢোক গিলে,,যা নিয়ে আসতে বলেছিল তা নিয়ে আসে।
সাহিলের হাতে ড্রিল মেশিন দেখে তিনজনেরই আত্মা কেপে উঠে।প্লাগ লাগিয়ে ড্রিল মেশিন চালু করে,,নিশব্দ ঘরে ড্রিলের আওয়াজে সবারই কানে তালা লেগে যাচ্ছে।
ঐ লোকটির কাছে এগিয়ে যায় প্রাঙ্গণ,,হাতে ড্রিল মাশিন,,লোকটি ভয়ে থরথর করে কাপছে!
“আগেই বলে দিয়েছিল কে করেছে তা বলে দিতে,,বাট কে শুনে কার কথা?এবার যা হবে তার জন্য আমি দায়ী নই,,”
কথাটুকু বলেই লোকটির হাতের উপর পিঠে ড্রিল মেশিন চালিয়ে দেয়,,পুরো হাত ভেদ করে চেয়ার এর কাঠও ছিদ্র হয়ে আসছে।এদিকে লোকটি চিৎকার করার আগেই সাহিল মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়।
তাদের সাথীর এমন করুণ ও নির্মম অবস্থা দেখে বাকী দুজনের অন্তর আত্মা কেপে উঠে,,এহসান সাহেব একবার বলেছিল”প্রাঙ্গণ ইজ ভেরী ডেঞ্জারাস,,বি কেয়ারফুল!”আজ তারা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে কথাটুকুর মানে,,,
“আমাকে মারতে চেয়েছিলি তাই না?”
মূহুর্তের মাঝে লোকটির হাতের কবজি বরাবর গেথে দেয় প্রাঙ্গণ।মুখ বাধা থাকায় লোকটি চিৎকারও করতে পারছে না।সারাশরীর বেয়ে ঘাম ঝড়ছে,,হাত-পা থরথর করে কাপছে,,হাতের শিরা বরাবর ঢোকায় আস্তে আস্তে হেলে পড়ছে লোকটি,,শরীর অসাড় হয়ে আসছে তার।সেকেন্ডের ব্যবধানে লোকটি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।
বাকী দুজনের অন্তরআত্মা কেপে উঠে তাদেরই সাথীর এমন করুন মৃত্যুতে।থরথর করে কাপছে,,এখন তাদের সাথে কি হবে ভেবেই শুকনো ঢোক গিলল দুজনে।
প্রাঙ্গণ উঠে দাঁড়ায়,,দুজনের দিকে তাকায়।একদম তাদের মুখ বরাবর দাঁড়ায়,,তার এক হাত পকেটে আরেক হাতে রিভলবার।
“বলেছিলাম আগে যদি বলতি আমাকে কে শুট করেছিল তাহলে তাকে বাদে বাকী দুজনকে ছেড়ে দিতাম কিন্তু…টেক কেয়ার ইউরসেল্ফ ইন হেল”
তারপর??পরপর তিনটে গুলি তিনজনের কপাল ভেদ করে বের হয়ে গেল।ঘরে এখন পিনপতন নিরবতা।প্রাঙ্গণ হাত থেকে রিভলভার রেখে ওয়াশরুমে যায়।হাত ধোয়ার সময় চোখ যায় মিররের দিকে।নিজেকে দেখে প্রাঙ্গণ ভালোভাবে,,মুখে বাকা হাসি ফুটিয়ে নিজেকে নিজেই বলে উঠে,,
“ইউ আর ঠু মাচ কিউট প্রাঙ্গণ রেহনেওয়াজ”
~~~
প্রেম এদিক থেকে ওদিক ঘুরছে চরকির মতো,,প্রাঙ্গণ গতকাল থেকে যে রুপ তাকে দেখাচ্ছে সে এখনও তা বিশ্বাস করতে পারছে না,,এমনকি গতকালের রাতের ঘটনা এখনো তার বার বার মনে পড়ছে,,,
.
প্রেম বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছিল,গোল চাঁদটা কত সুন্দর আলো দেয় এই পুরো পৃথিবীতে,,প্রেম বুঝে না,কিভাবে এই ছোট্ট একটা চাঁদ এত আলো বিলিয়ে দেয়।প্রেম বরাবরই বিজ্ঞানে কাচা ছিল,তাই এ সম্পর্কে তার জ্ঞান নেই।চাঁদ দেখে আজকে বাবা-মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়ছে তার,,বাবা সবসময় তাকে চাঁদের সাথে তুলনা করে প্রশংসা করত।বাবার মতে “সে নাকি চাঁদের মতো আলোকিত,,চাঁদের মতো স্নেহময়ী,,যেখানে আছে সৌন্দর্যের কলঙ্ক।”
প্রেম তখন খিলখিলিয়ে হাসতো,,তার মতে বাবা তাকে সবসময় বানিয়ে বানিয়ে প্রশংসা করে।কিন্তু আজকে বাবার সেই বানানো প্রশংসাগুলো প্রেম অনেক মিস করছে,,,,!
দুটো শীতল হাত প্রেমের কোমড় আকড়ে ধরে,,প্রেম ধড়ফড়িয়ে পেছনে ঘুরে তাকায়।প্রাঙ্গণ এভাবে তাকে হুট করে জড়িয়ে ধরবে তা প্রেমের কল্পনার বাইরে ছিল।কারণ প্রাঙ্গণ এরকম মানুষই নয়।
“কি সমস্যা আপনার?”
প্রেমের কথায় প্রাঙ্গণ শান্তসুরে বলে উঠে,,
“কিসের সমস্যা?”
“এমন হুট করে এভাবে…”
প্রেম অস্বস্তিতে পড়ে যায়।প্রাঙ্গণ হয়তো বুঝে!
“তোমাকে হুট করে জড়িয়ে ধরার অধিকার আমার আছে প্রেম!”
প্রেমের কথাটার মানে বুঝতে একটু অসুবিধা হয়।
“কিসের অধিকার?”
প্রাঙ্গণ রেলিং ধরে পাশে দাঁড়ায় প্রেমের।
“আমার চাঁদের উপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে,,তাকে আমি তিন কবুলকে ঘিরে নিজের করেছি,,এখন তার গন্ডি আমাকে ঘিরেই।”
প্রেম অবাক,,নিজের কবে করল প্রাঙ্গণ তাকে?বিয়েটা আদেও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কি?আর চাঁদ কে?
“আপনি আমাকে নিজের কোনো উদ্দেশ্য পূরণেই বিয়ে করেছেন প্রাঙ্গণ,,যা আমার সম্পুর্ন অজানা।কবুলের জোরেই এখন দাবি নিয়ে এসেছেন যেখানে এই শব্দটার কোনো মূল্য আপনার কাছে নেই।”
“সেই উদ্দেশ্য না হয় অজানাই থাক তোমার।আমার চাঁদকে আমি নিজের মতো গুছিয়ে নেব।”
“কে চাঁদ?”
প্রাঙ্গণ প্রেমের মুখের সামনে এসে বলে উঠে,,
“কেন তুমি…”
প্রেম অবাকদৃষ্টি সহিত বলে উঠে,,
“কিভাবে?”
“তুমিই আমার চাঁদ কারণ তোমার সৌন্দর্য এখন আমার মধ্যে বরাদ্দ।তোমার আলো এখন আমার মাঝেই ছড়াবে,,আর তোমার গায়ে কলঙ্ক থাকবে আমার নামে”
প্রেম অবাক!প্রাঙ্গণের কি হয়েছে,,সে আদেও বুঝতে পারছে না সামনের ব্যাক্তি কি প্রাঙ্গণ নাকি অন্য কেউ?
“কিন্তু আপনি তো আইজাকে ভালোবাসেন”
প্রাঙ্গণ কিছু বলে না,,অনেক্ষন জবাব দেয় না।যেই প্রেম কিছু বলতে নিবে ওমনি প্রাঙ্গণ তাকে পাশের দেয়ালে চেপে ধরে।দূরুত্ব মাত্র দুই হাত!
“জানি সত্য কখনো লুকায় না,,কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসার ধারণা অন্যদের চেয়ে আলাদা।তারা একজনকেই ভালোবেসে নিজের মরণ ঘটায় আর আমি ভালোবাসায় বাচতে শিখি”
প্রেমের ভালোবাসাএ ধারণা একেবারেই নিম্ন।সে আদেও জানেনা ভালোবাসা কি তবে প্রাঙ্গণ এর সঙ্গা তার কাছে একেবারেই নতুন।
প্রেম কিছু বলতে যাবে তার আগেই প্রাঙ্গণ তার ঠোটে আঙুল রাখে,,তারপর একদম চুপ সে!ধীরে ধীরে ঠোটের দিকে আগায় প্রাঙ্গণ।প্রেম প্রাঙ্গণের পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অবগত,,সে চোখ খিচে বন্ধ করে নেয়।একটু পরই নিজের ঠোটে কারো ঠোটের অস্তিত্ব অনুভব করে,,শিরদাড়া বেয়ে তার ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়।কিছুক্ষন মোচড়ায় সে,,কিন্তু ব্যর্থ হয় সে।তারপর?এক ভয়ঙ্কর নিস্তব্ধতা,,প্রাঙ্গণ চোখ তুলে তাকায়,,প্রেমের হুশ নেই,জ্ঞান হারিয়েছে সে।প্রাঙ্গণ ঠোট কাপিয়ে হালকা হেসে উঠে হাসে,,,,
~~
কেউ কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে উঠে,,
“আমার চাঁদ!”
প্রেম চোখ খুলে,,গতকালকের ঘটনাগুলো যতবার মনে পড়ে ততবারই আপনায়াপনি তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে।প্রেম কন্ঠস্বর শুনে বুঝতে পারে এ আর কেউ নয়,,প্রাঙ্গণ।
প্রাঙ্গণ নিজের দিকে ঘুরায় প্রেমকে,,মুখে ঝুলছে হাসি!প্রেমও একটা মেকি হাসি ঝুলায় মুখে।প্রাঙ্গণ কাছে এসে তাকে বলে উঠে,,
“আমার জন্য তোমার অনূভুতি আছে চাঁদ?”
প্রেম এ মুহূর্তে এমন প্রশ্ন শুনে ভ্যাবাচেকা খায়।পলক ফেলে বলে উঠে,,
“হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
“যদি অনূভুতিগুলো মজবুত হয় তাহলে তোমাকে আমার জন্য একটা কাজ করতে হবে”
চলবে…’প্রেম প্রাঙ্গণ’🍂
|পর্ব-১৫|
~সুনেহরা শামস
.
.
হুড়মুড়িয়ে সাহিলের রুমে ঢুকে প্রেম,,এখন ভরদুপুর।সাহিল মাত্রই শাওয়ার নিয়ে টি-শার্ট পড়তে পড়তে ঘরে ঢুকছিল,,অর্ধ পরিহিত অবস্থায় এভাবে প্রেমের সামনে পড়ায় একটু না অনেক বেশীই লজ্জা পায় সে।এদিকে প্রেমও হালকা লজ্জা পায় এভাবে সাহিলের রুমে না বলে ঢোকায়,,কিন্তু এখন লজ্জাকে সাইড রেখে সাহিলের হাত ধরে টেনে বেডে বসায় সে,,সাহিল এদিকে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।প্রেমকে দেখে একটু বেশীই চিন্তিত মনে হচ্ছে তার কাছে।সে একগ্লাস পানি আনতে যাবে এমন সময় প্রেম তার হাত চেপে হাপাতে হাপাতে বলে উঠে,,
“আরেহ আরেহ কোথায় যাচ্ছো?তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে,,ভীষণ জরুরি।”
“কি এমন জরুরি কথা যে তার জন্য এমন ভরদুপুরে কথা বলতে এসেছো?”
“আইজার ব্যপারে বাকী কথাগুলো জানতে চাই আমি”
সাহিল একটু অবাকই হয় বটে,,সেদিনের পর প্রেম তাকে এই নিয়ে আর কিছু বলেনি।তাহলে হঠাৎ এই প্রসঙ্গ কেন তুলছে সে?
“এনি প্রবলেম প্রেম?”
“তোমাকে যেটা জিজ্ঞেস করেছি সেটা বল আগে”
সাহিল একটু সময় নেয়।তারপর বলতে শুরু করে,,
“আমরা একসাথে অনেকগুলো সময় কাটাই ইন্টারমিডিয়েট দেওয়ার পর ,,নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম একসাথে।প্রাঙ্গণ বড় হওয়ার সাথে সাথে অনেকটা জেদি হয়ে উঠেছিল।”মা-বাবা ওর কোনো কেয়ার করত না” এই কথাটা একদম তার মাথায় গেথে গিয়েছিল।সত্যিকার অর্থেই প্রাঙ্গণকে নিয়ে তারা কখনোই ভাবত না কিন্তু তারা ঠিকই প্রাঙ্গণের সব ডিশিসনই নাক গোলাতো।এদিকে আইজা আর প্রাঙ্গণের প্রেম একদম জমে উঠেছিল,,আইজাকে সবসময় আগলে রাখত প্রাঙ্গণ,,তার চাওয়া-পাওয়া পূরণের চেষ্টা করত সবসময়।আইজার সাথে থাকলে প্রাঙ্গণের মুখের হাসিটা সবসময় দেখা যেত।অথচ এখন হাসি কি প্রাঙ্গণ সেটাই জানে না।”
সাহিল থামে,,যত এগোচ্ছে ততই কষ্টগুলো গাঢ় হচ্ছে তার।জীবনে তো কাউকে কাছে পায় নি সাহিল,,কিন্তু যাদের কাছে পেয়েছিল তাদের চলে যাওয়াটা জীবনে কতটা শুন্যতার সৃষ্টি করে তা হয়তো অন্য কেউ বুঝতে পারে না।
সাহিলের বলার অপেক্ষায় বসে আছে প্রেম।কিন্তু সাহিল কিছু বলছে না দেখে একটু বিরক্তই হলো সে।
“কি হলো বল।”
সাহিল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,,প্রেম হয়তো বুঝতে পারছে না এই কথাগুলো বলতে যে সাহিলের কতটুকু কষ্ট হচ্ছে।বোঝার কথাও না,,কারণ সেই মুহূর্তে,সেই সময়গুলোতে প্রেম ঘটনা গুলোর সাক্ষী ছিল না।সাহিল আবার বলতে শুরু করে,,
“তখন প্রাঙ্গণের বয়স ২২।এমন সময় প্রাঙ্গণের মা তার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে শুরু করেন।এদিকে এই ব্যপারে প্রাঙ্গণ কিছুই জানত না,,সে নিজের মতো তার দিনগুলো কাটাচ্ছিল।একদিন এক মেয়েকে প্রাঙ্গণের ফ্লাটে নিয়ে আসে,,আমি আর প্রাঙ্গণ ঐ ফ্লাটেই থাকতাম আর আইজা তার আশ্রমে।মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রাঙ্গণকে তা জানান।প্রাঙ্গণ তখন একটু না অনেক বেশীই অবাক হয়েছিল।প্রাঙ্গণ যখন জিজ্ঞেস করর তার মাকে যে কেন এই মেয়ের সাথে এত তারাতারি তাকে বিয়ে দিতে চান।তখন জানো আন্টি কি বলেছিল?মেয়ের বাবা অনেক বড়লোক,,হাই সোসাইটির একজন নামি-দামি ব্যক্তি,,সো তার মেয়ের সাথে বিয়ে হলে তাদের অনেক কিছুই হাতিয়ে নিতে পারবেন তিনি।প্রাঙ্গণ সেদিনই বুঝেছিল যে তার মা তাকে নিজের ছেলে না,,গোল্ড ডিগার মনে করেন।যার মাধ্যমে তিনি নিজের জন্য অর্থ আয় করবেন।
প্রাঙ্গণ জানত তার মা অনেক জেদি,,তিনি জোর করে,,ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল কোরে প্রাঙ্গণকে এই মেয়ের সাথে বিয়ে দিবেই।তাই প্রাঙ্গণ অপকটে আইজার আর তার সম্পর্কের কথা তার মাকে জানায়।প্রাঙ্গণের মা অনেকক্ষন চুপ ছিলেন এই কথা শুনে,,সেদিন কিছু না বলেই চলে যান।এরপর থেকে প্রায়ই সময় আইজাকে যেয়ে তিনি প্রাঙ্গণের থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য অনেকবার বলেছিলেন।সময় যায়,,তিনি নানাভাবে আইজাকে লোভ দেখাতেন যেন সরে যায় কিন্তু আইজা তো প্রাঙ্গণের প্রাণ-ভোমরা ছিল!একসময় না পেরে সে প্রাঙ্গণকে সব বলেই দেয়।
এদিকে প্রাঙ্গণ জানত তার মা যায় চায় তা করেই ছাড়ে।সে ভীষণ রকমের ভয় পেয়ে যায়,,প্রাঙ্গণ তখন তাড়াহুড়ায় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়,সে আইজাকে বিয়ে করবে।তার মা অন্তত তাদের বিয়ের পর দূরে রাখতে পারবে না।অতঃপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা বিয়ে করে নেয়।”
এতুটুকু বলে থেমে যায় সাহিল।প্রেম এখনো এক ঘোরের মাঝে আছে,,প্রাঙ্গণ আর আইজা তাহলে বিয়েও করে নিয়েছিল?অথচ এখন সে প্রাঙ্গণের সাথে থাকার স্বপ্ন দেখছে?কি বলবে ভেবে পায় না প্রেম,,উঠে দাঁড়ায় সে।উদ্দেশ্য প্রাঙ্গণের রুম।প্রেম যেতে নিলে সাহিল পেছন থেকে বলে উঠে,,
“কি হলো?পুরোটা শুনে যাবে না?”
“ইচ্ছা মরে গেছে”
“কেন?”
“তোমাকে বলতে বাধ্য নই”
সাহিল প্রেমের এমন কাঠকাঠ জবাবে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,,সাহিল জানে প্রেম প্রাঙ্গণকে ভালোবাসে।অন্তত তার কাজকর্মে এটা বোঝাই যায়।তাই হয়তো প্রাঙ্গণ-আইজার বিয়ের কথা শুনে প্রেম ব্যথিত হয়েছে।
“অর্ধেক সত্য অনেক ভয়ঙ্কর প্রেম!”
“যে সত্যি জেনে আমার কোনো লাভ নেই,,সেটা না জানাই ভালো।”
“জানলে কিন্তু তোমার লাভ আছে প্রেম।”
প্রেম পেছনে ঘুরে তাকায় সাহিলের দিকে।
“কি হবে এই সত্যি জেনে?নিজের কষ্ট কেন নিজে বাড়াতে যাব আমি?কেন?”
“তোমার কেন কষ্ট হয় প্রেম?”
“কারণ আমি প্রাঙ্গণকে ভালোবাসি।”
কথাটুকু বলেই প্রেম থেমে যায়,হাপাচ্ছে সে!ভীষণ রকমের হাপাচ্ছে সে।এতুটুকু কথাতেই কতটা উত্তেজিত হয়ে গেছে তা দেখে সাহিল একটু হাসে।জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়,,বিকেলের সূর্য ডুবে যাচ্ছে।পরন্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে সাহিল ভাবে,,ভালোবাসা বড় অদ্ভুত জিনিস,,এর থেকে নিস্তার কেউ পায় না।কিন্তু সকলের ভালোবাসা যে এক না।কিছু আছে সাবলীল আর কিছু আছে একদম ভয়ঙ্কর!
“বাকীটুকু শুনবে না প্রেম?”
“না!”
সাহিল হালকা হাসে,,লম্বা একটা দম নিয়ে বলে উঠে,,
“বিয়ের দিনই আইজা মারা যায় প্রেম!”
চকিত দৃষ্টিতে সাহিলের দিকে তাকায় প্রেম।কথাটার মানে বুঝতে প্রেমের অনেক সময় লাগে,,একদৃষ্টে সে তাকিয়ে থাকে সাহিলের দিকে পরবর্তী কথাটুকু শোনার অপেক্ষায়,,
“বিয়ে মূলত মসজিদেই হতো।আইজা অনেকবার প্রাঙ্গণকে বুঝিয়েছিল যে সে এভাবে অন্তত বিয়ে করতে চায় না।কি হবে এভাবে বিয়ে করে?আলাদা হয়তো করতে পারবে না কিন্তু সারাজীবন তার দৃষ্টিতে তো খারাপ হয়েই থাকতে হবে।কিন্তু প্রাঙ্গণের এতে কিছু যায় আসে নি,,সে আইজাকে নিজের করে পাবে এই খুশিতে সে ঐদিন আর কোনো ভাবনাই মাথায় আনেনি।
সেখানে বিয়ের ঠিক ১৫মিনিট আগে প্রাঙ্গণের মা উপস্থিত হয়।সে একদম স্বাভাবিক ছিল তখন।তাকে দেখে আমরা সকলেই অবাক হয়েছিলা,,কিন্তু জানো প্রাঙ্গণ ভীষণ খুশি হয়েছিল,সে তার মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক্ক্ষণ বসেছিল।যথারীতি বিয়ে হয়,,আইজা আর প্রাঙ্গণ ভীষণ হাসি-খুশি ছিল।বিয়ের সব আইন-কানুন শেষ হলে আমরা সকলেই বাসায় চলে যাই।তখনও ঐ মহিলা একদম স্বাভাবিক ছিল।তেমন কোনো আয়োজন ছিল না বিধায় কোনোরকম আলাদা বাসরের আয়োজনও করা হয় নি।আইজা অনেকক্ষন খালি পেটে থাকায় তার খুদা লেগেছিক ভীষণ।প্রাঙ্গণ হয়তো বুঝতে পেরেছিল তাই তাকে খাওয়ার জন্য তাকে কিচেনে নিয়ে যায়।কিচেনে তখন আন্টিও উপস্থিত ছিল,,প্রাঙ্গণ কখনো নিজের মাকে কিচেনের ধারেও ঘষতে দেখেনি।তাই সে অবাকই হয়েছিল বটে।প্রাঙ্গণের মা তখন কিছু না বলেই বের হয়ে গিয়েছিল।আইজা -প্রাঙ্গণ তখনও কিছুই বুঝে উঠেনি।
প্রাঙ্গণ নিজ হাতে খাবার প্লেটে নিয়ে আইজাকে খাইয়ে দিয়েছিল।আইজার চোখে সেদিন পানি চিকচিক করেছিল এই ভেবে যে তার মতো এতিমের ভাগ্যেও এসব লেখা ছিল?কিন্তু কে জানত তার ভাগ্যে এর বেশী আর সুখ লেখা ছিল না?”
প্রেম সববুঝলেও শেষের কথাটুকু বুঝতে পারে না।এটা তো সত্যি যে আইজা অনেক ভালোবাসত প্রাঙ্গণকে।আর এটাও সত্যি যে প্রাঙ্গণও ভালোবাসত আইজাকে।শুধু “মৃত্যু” নামক একটা শব্দ দুজনকেই আলাদা করে দিয়েছে।
“তারপর?”
“আমি তখন পানি আনতে যাচ্ছিলাম কিচেনে,,সারাদিনের ব্যস্ততায় একফোটা পানিও খেতে পারিনি।কিচেনে ঢোকার আগে লক্ষ্য করি আইজা প্রাঙ্গণকে জড়িয়ে ধরে কাদছে।হয়তো অতি সুখে।আর প্রাঙ্গণ তাকে নানাভাবে সান্তনা দিয়েই যাচ্ছিল আর হাসছিল।হুট করেই আইজার প্রচন্ড কাশি শুরু হয়,,প্রাঙ্গণ ঘাবড়ে যায়!আইজার কাশতে কাশতে একদম বেহাল অবস্থা,,এদিকে প্রাঙ্গণও বারবার মাথায় হাত বুলাচ্ছে। প্রাঙ্গণ পানি আনতে বললে আমি তারাতারি পানি নিয়ে আসি।কিন্তু পানি খাওয়ার আগমূহূর্তে আইজার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়।প্রাঙ্গণের অবস্থা তখন পাগল প্রায়!এদিকে আমিও কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না।সবাই এসে জড়ো হয়।কিছুক্ষন বাদেই হুট করে আইজার কোনো সারাশব্দ পাওয়া যায় না,,সে একদম নিরব হয়ে যায়।মাথা আস্তে আস্তে প্রাঙ্গণের কাধে হেলে পড়ে।এদিকে প্রাঙ্গণ তখনও ঘোরের মাঝে ছিল,,আইজা যে আর নেই তা সে বিশ্বাসই করতে পারেনি।সেদিনের পর প্রাঙ্গণ আড়াই মাস ঘরবন্দি ছিল,,কিছুদিন তো সাইক্রাটিস্ট এর আন্ডারেও রাখতে হয়েছিল তাকে।তার এই অবস্থার জন্য প্রাঙ্গণের মা-বাবা আর বিয়ে নিয়ে তোরজোর করেনি।তা না হলে,প্রাঙ্গণকে ধরে-বেধে বিয়ে দিয়েই দিত।”
প্রেম বাইরের দিকে চোখ রাখে,,সূর্যাস্ত কিছুক্ষন আগেই হয়ে গেছে।মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছে দূর হতে।প্রেমের মনে একটা প্রশ্নের উদয় হয়,,
“আচ্ছা তোমার নাম সাহিল তালুকদার কেন?”
“বোর্ডিং এ থাকাকালীন মামুন নামের একজন লোক এসেছিল আমার সাথে দেখা করতে,,তার সম্পুর্ন নাম মামুন তালুকদার ছিল।নিজের নামের সাথে মিলিয়েই আমার নাম সাহিল তালুকদার রাখেন”
“ওহ”
প্রেম নিশব্দে ঘর ত্যাগ করার জন্য পা বাড়ায়।দরজা পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে থেমে যায়।সাহিলের দিকে না ঘুরেই বলে উঠে,,
“আমার বাবার সাথে কি শত্রুতা প্রাঙ্গণের?”
“আমি জানি না।এ সম্পর্কে প্রাঙ্গণ আমাকে কখনো কিছু বলে নি”
“ওহ”
প্রেম নিশব্দে রুম ত্যাগ করে।সাহিল সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে,,প্রেম কি করবে এখন??
চলবে…
[ভুল-ত্রুটি আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আজকের পর্ব সম্পর্কে একলাইনের একটি মন্তব্য ছেড়ে যাবেন।ধন্যবাদ।]
[ভুল-ত্রুটি আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আজকের পর্ব সম্পর্কে একলাইনের একটি মন্তব্য ছেড়ে যাবেন।ধন্যবাদ।]