#বর্ষণের সেই রাতে- ২
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
৭১.
আদ্রিয়ানের পায়ে কাঁচটা বেশ গভীরভাবে ঢুকে গেছে। এক পা টেনে গিয়ে রুমের লাইটটা জ্বালিয়ে সারারুমে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল।নিচে পানির গ্লাসটা কয়েক টুকরো হয়ে ছড়িয়ে আছে। তার মধ্যে একটা টুকরোই ওর পায়ে ঢুকে গেছে। অনিমা বিছানায় উল্টো ফিরে শুয়ে আছে আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। আদ্রিয়ান পা টেনে এগিয়ে গিয়ে টি-টেবিলে বার্গার আর আইসক্রিমের প্যাকেটটা রাখল। সোফায় ব্যাগটা রেখে বসে পড়ল। এরপর আস্তে করে পায়ের কাঁচটা বের করল। যথেষ্ট ব্যথা করছে কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথাটা সহ্য করে নিল। ব্যথা নিয়েই দ্রুত কাঁচগুলো পরিষ্কার করে ফেলল। বাড়ির কাউকে ডাকলে সবাই বুঝে যাবে ব্যপারটা। যদিও অনিমার অস্বাভাবিক ব্যবহারের কিছুটা আভাস সবাই পেয়ে গেছে। কিন্তু যতটুকু তারা দেখেছে সেটুকুতে মুড সুইং-ই ভেবেছে। কারণ অনিমা এখন রুম থেকে খুব কম বের হয়। আর আদ্রিয়ানও চায় না কেউ এখনই জানতে পারুক এই ব্যাপারে। তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে। যদিও রিক-স্নিগ্ধাকে জানিয়েছে ব্যাপারটা। কারণ ওরা দুজনেই ডক্টর। অনিমার দিকে তাকিয়ে দেখল বারবার চাদর খামছে ধরছে আর পা ঘষছে বিছানায়। বোঝাই যাচ্ছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এখনই কিছু করতে হবে নয়তো আবার পাগলামী শুরু করবে। অনিমা প্রেগনেন্ট, তাই ফ্রেশ না হয়ে ওর কাছে যাওয়াও ঠিক হবেনা। তাই কেটে যাওয়া পায়ে ঔষধ না লাগিয়েই শার্টটা কোনরকম খুলে একটা টিশার্ট আর টু কোয়ার্টার প্যান্ট নিয়ে দ্রুত চলে গেল ওয়াসরুমে। কোনরকম ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো। বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে অনিমা উঠে বসে পড়েছে। দরজা খোলার আওয়াজে অনিমা ক্ষিপ্ত চোখে তাকাল। ছলছলে চোখ দুটো লালচে হয়ে আছে ওর। অনিমা ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,
” কেনো এসেছেন বাড়িতে? এইটুকু সময়ের জন্যে আসার কী দরকার ছিল? বাকি সময়টা বাইরে কাটিয়ে দিলেই তো পারতেন। আর এসব এনে ন্যাকামো করছেন আমার সাথে? ন্যাকামো?”
কথাটা বলে উঠে দাঁড়িয়ে বার্গারের প্যাকেটটা ফেলার জন্য ধরতে গেলেই আদ্রিয়ান ধরে ফেলল অনিমাকে। একটানে নিজের কাছে এনে জাপটে ধরল। অনিমা ছোটার জন্যে ছটফট করছে কিন্তু পারছেনা। আদ্রিয়ান অনিমার ঘাড়ে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল,
” সরি বউ, অনেকগুলো সরি। আর কক্ষনো লেট হবেনা। প্রমিস।”
” দরকার নেই আপনার কোন সরি এর। চলে যান এখান থেকে। আপনার চেহারাও দেখতে চাইনা আমি।”
বলে ঝাড়া দিয়ে নিজেকে ছাড়াতে নিলেই আদ্রিয়ান আরও শক্ত করে অনিমাকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
” আচ্ছা আমার চেহারা দেখতে হবেনা চোখ বন্ধ করে থাকো।”
বলে অনিমাকে কোলে তুলে নিল। অনিমা নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে আদ্রিয়ানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর। কিন্তু গায়ের জোরে আদ্রিয়ানের সাথে পেরে ওঠা ওর পক্ষে সম্ভব না। এদিকে আদ্রিয়ান নিজের পায়ের তীব্র ব্যথাকে উপেক্ষা করে নিজের প্রেয়সীকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনিমাকে নিয়ে সোজা বিছানায় শুইয়ে দিয়ে অনিমাকে একদম আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে। অনিমা চেঁচিয়ে যাচ্ছে নিজের মতো করে,আর নিজের সব শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আদ্রিয়ান এখন ওকে ছাড়তে পারবেনা। এই মেয়েকে এখন ছেড়ে দিলেই সারা ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর শুরু করে দেবে। এতে বাচ্চাটারও ক্ষতি হতে পারে। তারচেয়েও বড় কথা অনিমা নিজেই হাতে পায়ে ব্যথা পাবে এরকম পাগলামো করতে গিয়ে। অনিমা মোচড়াতে মোচড়াতে বলল,
” ছাড়ুন আমাকে। নইলে আমি কিন্তু..”
আদ্রিয়ান হাতের বন্ধন আরও শক্ত করে বলল,
” আমার বউ আমি ছাড়বো কেন? যদি কেউ চুরি করে নিয়ে যায়?”
অনিমা থেমে গিয়ে কটমটে চোখে তাকিয়ে বলল,
” আপনি মজা করছেন আমার সাথে?”
” আজব! মজা করবো কেন? আমার এতো সাহস আছে নাকি?”
” ছাড়ুন!”
” আচ্ছা ছেড়ে দেব। কিন্তু তুমিতো বার্গার খেতে চেয়েছিলে। আমি কিনে এনেছি। খাবেনা?”
অনিমা কিছুটা শান্ত হয়েছিল। কিন্তু আদ্রিয়ানের কথা শুনে আবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। চেঁচিয়ে আবার নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলল,
” খাবোনা আমি এসব আর। আপনি আপনার কাজ করুন গিয়ে। আমার খাওয়া নিয়ে একদম ভাবতে যাবেন না। খবরদার না।”
আদ্রিয়ান ব্যপারটা বুঝতে পেরে বলল,
” আচ্ছা কুল! ঠিকই তো। একে তো লেট করে এসেছি। তার ওপর তোমার খাওয়া নিয়ে তদারকি করছি। বড্ড সাহস হয়ে গেছে আমার। শাস্তি দেওয়া উচিত তাইনা?”
অনিমা গাল ফুলিয়ে তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে। ছটফটানি একটুখানি কমালো। আসলে অনিমার অবস্থা এখন এরকম যে ওর সাথে যদি কেউ তালে তাল মেলায়, ওর কথায় সায় দেয়। ও যেটা বলছে সেটাকেই গুরুত্ব দেয় তাহলে ও কিছুটা হলেও শান্ত হয়। আদ্রিয়ান অনিমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
” শাস্তি দিতে চাও আমায়?”
অনিমা মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বলল। আদ্রিয়ান অনিমার পেটে আলতো করে হাত রেখে বলল,
” তুমি কী জানো আমাদের বেবি এখন অনেক টায়ার্ড হয়ে আছে? তুমি যদি জেগে থেকে আমাকে শাস্তি দাও। তাহলে আমাদের বেবি আরও টায়ার্ড হয়ে যাবে। তাই এখন ঘুমিয়ে পড়। কাল সকালে উঠে আমাকে শাস্তি দিও। হুম?”
অনিমা জেদ আর কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল,
” না, আমি এখনই দেবো। ছাড়ুন আমায়।”
আদ্রিয়ান হতাশভাবে একবার তাকালো অনিমার দিকে। ওর নিজেরই ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। সারাদিনের অনেক পরিশ্রম গেছে। একটু ঘুমের দরকার ছিল এখন ওর। লম্বা দুটো শ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলে অনিমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
” জানপাখি, তুমি রাত জাগলে বেবির কষ্ট হবে তো। ওতো তোমার ভেতরে আছে তাইনা? তুমি কষ্ট দেবে ওকে?”
অনিমা ভ্রু হালকা কুঁচকে খানিক অসহায় ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল আদ্রিয়ানের দিকে। এরপর কিছু একটা ভেবে আদ্রিয়ানের বুকে মুখ গুঁজে শুয়ে পড়ল। আদ্রিয়ান একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। ওদিকে ওর পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, ব্যথা অনুভব করছে। কিন্তু অনিমাকে না ঘুম পাড়িয়ে ঔষধ লাগাতে পারবে না। মানসিক, শারীরিক সব ভাবেই ক্লান্ত ও। মাঝে তিন মাস পেরিয়ে গেছে। অনিমা প্রায় ছ-মাসের প্রেগনেন্ট। কিন্তু গত তিনমাসে অনিমার অবস্থার অবনতি-ই হচ্ছে। নাহিদের পক্ষে বাচ্চার ক্ষতি এড়িয়ে যতটা চিকিৎসা করা সম্ভব সেটুকু করছে। কিন্তু এতে কিচ্ছু হবেনা। হাসান কোতয়াল নিজের মেয়ের এমন অবস্থা শুনে নিজেও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। আদ্রিয়ান ওনাকে কথা দিয়েছে যে ওনার মেয়ের কিচ্ছু হবেনা। সুস্থ হয়ে যাবে। এছাড়াও রিক, স্নিগ্ধা, নাহিদ, অভ্র এরা ব্যাপারটা জানে। ওরা বেশ চিন্তিত অনিমার ব্যপারটা নিয়ে। বাড়ির বাকি সবাইকে এখনো বুঝতে দেয়নি আদ্রিয়ান। অরুমিতা, তীব্র, স্নেহা এসেছিল অনিমার সাথে দেখা করতে কিন্তু ওরাও কিছু বোঝেনি। এভাবে চললে বেশিদিন ব্যাপারটা গোপন রাখা যাবেনা সেটাও বুঝতে পারছে ও। বাড়ির লোকেদের ইতিমধ্যেই ব্যাপারটা হালকা নজরে পড়েছে। কিন্তু কিছু করারও নেই। আদ্রিয়ান যখন বাচ্চাটাকে নষ্ট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বলেছিল যে যাই হোক না কেন ও অনিমাকে সামলে রাখবে। তখন নাহিদ বলেছিল, ব্যাপারটা কিন্তু এতোটাও সহজ হবেনা, যতোটা সহজ করে আদ্রিয়ান বলছে। আজ আদ্রিয়ান বুঝতে পারছে যে সত্যিই তাই। ব্যাপারটা এতোটাও সহজ নয় যতোটা ও ভেবে নিয়েছিল। অনিমার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ওকে সামলাতে আদ্রিয়ানকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হচ্ছে। প্রথমত গর্ভবতী, দ্বিতীয়ত মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে দিনদিন। অকারণেই হুটহাট রেগে যাওয়া, জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলা, অসময়ে বিভিন্ন বায়না ধরা এগুলোর মাত্রা সময়ের সাথেসাথে বেড়েই চলেছে। ওকে সামলাতে আদ্রিয়ানকে একপ্রকার যুদ্ধ করতে হচ্ছে। অথচ এই অনিমাই আদ্রিয়ান চোখ রাঙালেই চুপ হয়ে যেত, আদ্রিয়ানকে বুঝতো, সবার জন্য ভাবতো, পরিস্থিতি বুঝে ম্যাচিউরিটির সাথে সিদ্ধান্ত নিতো। ভাবতেই ভেতর থেকে চাপা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো আদ্রিয়ানের। সাথে কবির শেখের ওপর ভীষণ রাগ হচ্ছে। ওনার জন্যেই আজ মেয়েটা এতো কষ্ট পাচ্ছে।
কিন্তু না, ও হাল ছাড়বেনা। কিন্তু কীভাবে সামলাবে এতোসব? তবে আর মাত্র তিনটা মাস ওকে কষ্ট করতে হবে। পারতেই হবে ওকে, যেভাবেই হোক। যাকে ভালোবাসে তার জন্যে এইটুকু পারবেনা? স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কতো এমনই হওয়া উচিত। সুখের দিনগুলো যেমন দুজন একসাথে কাটায়। কোন একজনের দুঃখ বা সমস্যাটাও দুজনকেই ভাগ করে নিতে হয়। এসব ভাবতে ভাবতে অনিমার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো ও ঘুমিয়ে পড়েছে। মুচকি হেসে কপালে একটা চুমু দিলো। এরপর উঠে বসে দেখল পা দিয়ে এখনো রক্ত ঝড়ছে দ্রুত ঔষধ লাগাতে হবে। উঠে দাঁড়াতে গিয়েও থেমে গেল। আস্তে করে অনিমার পেটের ওপর হালকা করে হাত রেখে পেটে চুমু দিয়ে বলল,
” তাড়াতাড়ি চলে এসো চ্যাম্প। তোমার মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে। তুমি চলে এলে আমরা দুজন মিলে তোমার মাকে সুস্থ করে তুলব। একদম ফিট এন্ড ফাইন। ডান?”
আদ্রিয়ানের যেনো মনে হলো অনিমার পেটের মধ্যে থেকে ওর বাচ্চাও ওকে বলছে ‘ডান’। নিজের এরকম অদ্ভুত ভাবনায় নিজেই হেসে ফেলল ও।
__________
আদ্রিয়ানের গ্যাং এর জন্যে যে অফিস রয়েছে তার কেবিনে আদ্রিয়ান, রিক, অভ্র, আদিব আর হাসান কোতয়াল বসে আছেন।নাহিদ নিজের কাজে গেছে। সকলেই গভীর ভাবনায় মগ্ন। কিছুক্ষণ আগেই কবির শেখ ফোন করেছিল। একপ্রকার কটাক্ষ করেই কথা বলেছে আদ্রিয়ানের সাথে। তার প্রথম কথাই ছিল,
” বউকে সামলে আমার পেছনে লাগার সময় পাচ্ছোতো ভাগ্নে?”
কিছুক্ষণ কথা লড়াই হওয়ার পর আদ্রিয়ান শক্ত কন্ঠে বলেছিল,
” তোমাকে আগেও বলেছিলাম মামা। আমার ওপর আঘাত করলে ততটাই শাস্তি পাবে যতটা অন্যায় করেছো। কিন্তু অনির গায়ে যদি আঁচ আসে তাহলে ভীষণভাবে পস্তাবে। কিন্তু তুমি সেই ভুলটাই করলে। সুতরাং পস্তানোর জন্যে তৈরী থাকো।”
এখন আপাতত ওনারা কবির শেখ আর রঞ্জিত চৌধুরীর লোকেশন জানার চেষ্টায় আছে। সেটা নিয়েই মিটিং। হাসান কোতয়াল অসহায় কন্ঠে বললেন,
” মামনীর কী অবস্থা এখন?”
আদ্রিয়ান স্হির চোখে তাকাল ওনার দিকে এরপর মলিন একটু হাসি দিয়ে বলল,
” সিনিয়র চিন্তা করোনা। ও ঠিক হয়ে যাবে।”
হাসান কোতয়াল এতেই বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারলেন যে অনিমার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। আরও কিছু দরকারি কথা সেরে হাসান কোতয়াল বেরিয়ে গেলেন। ওনাকে আবার নিজের অফিসে যেতে হবে। কিছুক্ষণ পর আদিব বলল,
” আশিসের কোন খবর জানিস?”
আদ্রিয়ান ল্যাপটপ ওপেন করতে করতে বলল,
” হ্যাঁ জানি। কিন্তু তোদের জানাবোনা। ওর আরেকটু শাস্তির দরকার আছে। ও যেটা করেছে সেটা কোন ছোটখাটো অন্যায় না। আগে আমার মনমতো শাস্তি হোক, বাকিটা পরে দেখছি।”
বাকিরা কিছু বলল না কারণ ওরা জানে আদ্রিয়ান ওর সিদ্ধান্তে অটল। অভ্র একটু ইতস্তত করে বলল,
” স্যার আমার কিছু বলার ছিল।”
আদ্রিয়ান ল্যাপটপে চোখ রেখেই বলল,
” জাবিন আর তোমার প্যাচ আপ হয়ে গেছে। তাও তিনমাস আগেই। এই তিনমাস দুজনে জমিয়ে প্রেম করেছো। এটাই বলবে তো? তুমি না বললেও আমি জানি। এসব ঝামেলা মিটে গেলে এনগেইজমেন্ট আর জাবিনের পড়াশোনা কম্প্লিট হলে বিয়ে। কিছু বলার আছে?”
রিক, অভ্র, আদিব একপ্রকার হা করে তাকিয়ে আছে। এতো ঝামেলার মধ্যেও এই ছেলের সবদিকে নজর থাকে। কীকরে? এইজন্যই হয়তো লোকটা স্পেশাল। অভ্র নিজেকে সামলে বলল,
” না স্যার, ঠিক আছে।”
আদ্রিয়ান যেভাবে ওদের তিনমাসের কীর্তির রশিদ এনে হাতে ধরিয়ে দিল এরপর আর কিছু বলার থাকে? সত্যিই এই ছেলে মারাত্মক। হঠাৎ করেই আদ্রিয়ানের মাথায় কিছু একটা এলো। কাউকে কিছু না বলেই ঝটপট বেরিয়ে পড়ল ওখান থেকে।
#চলবে…
[