রাজ গাড়ি থেকে নেমে মাতাল অবস্থায় হাটছে,,, একটু পর একটা রুমে গিয়ে টুকা দিল,,,দরজা খুলে দিল মধ্যবয়সী একটা মেয়ে,,, আজ রাতটা এই মেয়েটার সাথেই কাটাবে ও,,,,নেশাধরা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে,,, শয়তানি হাসি দিয়ে কিছু না বলে,,,, ভোগ করতে শুরু করল,,,মেয়ে টাকে,,,,,,
,
রাজ চৌধুরী বড় লোক বাবার উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে,,,,ওর মা বাবা কেউ ই বেঁচে নেই, ,,, নিজের বিজন্যাস সামলায় এবং রাত হলে মেয়েদেরকে ভোগ করা,,,ওর নেশা,,,কত মেয়ের সাথে যে রাত কাটিয়েছে,,,সেটা বলা বাহুল্য,,,যাকে পছন্দ হয়েছে তাকেই অফার দিয়েছে ওর সাথে রাত কাটানোর জন্য,,, রাজি না হলে তুলে নিয়ে রেপ করেছ,,,,কিন্ত আজ পর্যন্ত কারো সাহস হয়নি ওর বিরুদ্ধে রেপ কেইস করার,,,অগণিত মেয়েরা কেঁদে কেঁদে বুক ভাসায়,,,ওর নির্মম অত্যাচারের কারনে,,,,, মেয়েদেরকে ব্যবহার করে টিস্যুর মত ছুড়ে ফেলে দেয়,,,, তবে সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথেই নেশাটা কেটে যায়,,,,বাড়িতে শুধু ওর ফুফু আর ফুপাত বোন ছাড়া আর কেউ নোই,,,,,,
,,,,,,,রাজের গার্ল ফ্রেন্ড আছে মেহেরিমা সুলতানা,,,কিন্ত মেয়েটা শুধু ওকে ব্যবহার করে,,, রাজের নামে সম্পত্তি নেই বলে,,বিয়ের কথা বললে,,,কিছু একটা বলে এড়িয়ে যায়,,,,
,
,
রাজের ফুপিঃ দেখ তো রেহেনা রাজ কেন এখনো আসছে না,,,
,
রেহেনাঃ উফফ মা তুমি কি ভুলে গেলে,,, তোমার গুণধর ভাইয়ের ছেলে,,, কি কাজ করে রাত হলে,,, প্রতিদিন তোমার এক কথা আমার ভালো লাগে না।
,
রাজের ফুপি আর কিছুই বলল না,,,চুপচাপ রাজের বাবার ছবির সামনে দাড়িয়ে,,,
রাজের ফুপিঃ আমাকে মাফ করে দে ভাই,,,তোর ছেলটাকে আমিও মানুষ করতে পারলাম না,,,আমার হাতে শপে দিয়ে গিয়েছিলি,,কিন্ত পারলাম না আমি,,,ক্ষমা করে দিস।
চোখের পানি মুছতে মুছতে ভদ্র মহিলা খাটে গা টা এলিয়ে দিল,,,
,
,
সকালে
ঘুম থেকে উঠেই নিজের বুকে কারো নিশ্বাসের ছোঁয়ায় চোখ খুলে তাকাল,,,,,মেয়ে টাকে এত কাছে দেখে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে,,,,,
,
রাজঃ এই মেয়ে তোর সাহস কি করে হয় রাজ চৌধুরীর বুকে শুয়ে আছিস,,,যা ভাগ এখান থেকে ( রাগী গলায়)
,
মেয়েটি জামা কাপড় নিয়ে এক দৌড়,,, রাজ নিজে জামা কাপড় পড়ে,,চলে আসল বাড়িতে।
,
রাজের ফুপিঃ দাড়া রাজ।
,
রাজঃ বলো( ওর ফুপিকে অনেক ভালোবাসে এবং প্রচুর ভয় পাই)
,
রাজের ফুপিঃ কোথায় ছিলি কালকে সারা রাত।
,
রাজঃ জানোই যখন তখন কেন জিজ্ঞেস করছ( মাথা নিচু করে)
,
রাজের ফুপিঃ তোকে আর কত বুঝাব বল,,,আমি একটা মেয়ে দেখেছি,,, কালকেই তোর বিয়ে আশাকরি চুপচাপ রাজি হয়ে যাবি।
,
রাজঃ ফুপি কি বলছ এসব আমি মেহেরকে ভালোবাসি কেন বুঝতে চাইছ না,,,এই বিয়ে আমি করতে পারব না।
,
রাজের ফুপিঃ আমার মুখে মুখে তর্ক,,,ঐ শঙ্খনির কথা মুখেও আনবি না,,,,ভুলে যাস না তোর সব সম্পত্তি আমার নামে,,, আমার কথা না শুনলে,,, সব সম্পত্তি বিদ্যাশ্রমে দিয়ে দিব,,,,আর ঐ মেয়ে টা তোকে ভালোবাসে না,,,তোর সম্পত্তি কে ভালো বাসে,,, না হলে বিয়ে তে রাজি হয় না,,,কেন। ( চোখ রাঙিয়ে)
,
রাজঃ আচ্ছা তুমি যা বুঝ তাই,,, আমি রাজি।
,
রেহেনাঃ ইয়াহু আম্মু তুমি শেষ পর্যন্ত রাজি করিয়েই ছাড়লে।
,
রাজের ফুপিঃ ওর ভালোর জন্য আমি,,, নরম ও হতে পারি কঠোর ও হতে পারি।
,
রাজঃ (রুমে গিয়ে) ফুপি বিয়ে তো করবই,,, ঐ মেয়ে কে দেখ কি হাল করি,,, তোমার কাছ থেকে সম্পত্তি নেওয়াই আমার আসল কাজ,,,কিন্ত মেহেরকে কি করে বুঝাব।
,
,
,
শেষ মেশ বিয়ে টা হয়েই গেলো,,,একেবারে সিম্পল ভাবে রাজ কোন ভাবেই রুমে ঢুকছে না দেখে,,,
রাজের ফুপিঃ এখনো দাড়িয়ে আছিস,,যা মেয়ে টা কখন থেকে তোর জন্য অপেক্ষায় আছে।
,
বিছানায় বসে আছে,,,মেয়েটি,, রাজ রুমে ঢুকা মাত্রই,,, খাট থেকে উঠে এগিয়ে গিয়ে,,, সালাম করতে গেলেই,,,
,
রাজঃ একদম না,,,তোমাকে বিয়ে করেছি শুধু ফুপির কথা রাখতে,,,, আমার থেকে স্বামীর অধিকার আশা করবে না,,,কারণ আমি মেহেরকে ভালোবাসি,,,ফুপির নামে সব সম্পত্তি,,,,তাই কথামত রাজি হয়েছি,,, আমার নামে নিয়েই যা করার করব,,,,,দুদিন পর আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব।
,
মেয়েটিঃ তাহলে তো আমাকে বলতে পারতেন,,, আমি নাহয় বিয়ে টা ভেঙে দিতাম( কেঁদে কেঁদে)
,
রাজঃ (ভয়েস টা এত চেনা চেনা লাগছে কেন,,, কে এই মেয়ে) তোমার নাম কি।
,
মেয়েটিঃ আগ্গে রহিমা।
,
রাজ ওহহহ আচ্ছা কান্নাকাটি করো,,,যাও খাটের এককোনে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়,,,আর শুন আমি তোমাকে এসব কথা বলেছি,,, ফুপিকে বলো না কেমন,,,( ভালো ব্যবহার করাই ভালো তা না হলে সব বলে দিবে ফুপিকে)
,
মেয়েটিঃ আইচ্ছা।
,
,
রাজঃ ( বেলকনিতে গিয়ে) মেহের প্লিজ আমাকে ভুল বুঝ না,,,আমি তোমাকেই ভালোবাসি।
,
মেহেরিমাঃ,,,,,,,,,,,।
,
রাজঃ আরে কি বলছ আমি মিষ্টি খেতে যাব কেন আজব,,,মেয়ে টাকে বলেছি সব,,,ও নিজের থেকেই নাকি চলে যাবে ( মিথ্যা কথা)
,
মেহেরিমাঃ,,,,,,,,,,,।
,
রাজঃ লাভ ইউ টু কলিজা উম্মাহ( যাক মেহেরকে বুঝানো গেছে)
,
,
রাজ এসে শুয়ে পড়ল,,,আজকে আর কাউকে ভোগ করতে পারল না বেচারা,,,ওর ফুপির অর্ডার গেলে খবর আছে,,,, ,চোখে ঘুম নেই মেয়েটির,,,রাজ কে দেখে শয়তানি হাসি দিল,,,
,
সারাঃ কি ভেবেছ রাজ তোমাকে আমি ছেড়ে দিব,,,ফিরে এসেছি আমি,,,শুধুমাত্র তোমার কারনে,,,আমার দুই বছরের চোখের পানির জবাব তোমাকে দিতে হবে,,,, আজ ঘুমাও কিচ্ছু বলব না,,,কাল থেকে শুরু হবে আমার মিশন,,,সামলাতে পারবে তো,,,আজ খুব মনে পড়ছে সেই দিনের কথা,,কি ভাবে ভুলে গেলে,,,,,
,
সারার মনে পড়ছে সেই দিনের কথা যেদিন রাজের সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল,,,,,
,
,
ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হয়েছে সারা,,, প্রথম দিন আসতে না আসতেই থামতে হলো ওকে সামনে কিছু ছেলেরা রেগিং করছে,,, সারা এসব তোয়াক্কা করে যেতে নিলেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু ছেলে,,, সারা কিছু কড়াকড়া কথা শুনিয়ে ক্লাসের দিকে পা বাড়ায়,,,নতুন কয়েকটা বন্ধু হয়,,, ভালোই কাটল প্রথম দিন,,,কিন্ত চোখ আটকে যায় রাজের,,, যেভাবেই হোক ওকে একরাতের জন্য হলেও চাই,,,প্রথমে প্রপোজ করে,,, সারা সাথে সাথে না করে,,দেয়,,,মাঠে হাত ধরে ফেললে,,,ঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় মারে,,,রাজের জেদটা একশত গুণ বেড়ে যায়,,,বন্ধুরা ট্রল করত থাকে সামান্য একটি মেয়ের হাতে মাইর খাইছে,,,তাও রাজ চৌধুরী,,, জেদ করে,,, সারাকে ওর নিজের ইচ্ছায় প্রেমে ফেলবে এবং নিজ থেকে ওর সাথে ডেটে যেতে রাজি হবে,,,, সারা মাঠে দাড়িয়ে আছে,,, এমন সময় রাজ ছাঁদে উঠে বলে,,,
,
রাজঃ সারা আই লাভ ইউ,,,তুমি যদি আমাকে এখন ভালোবাসি কথাটা না বলো তো আমি ছাঁদ থেকে ঝাঁপ দিব।
,
সারাঃ পাগলামো করবেন না নিচে নেমে আসুন।
,
অবশেষে হার মানতেই হলো,,,রাজের সাথে জরিয়েছে রিলেশনে,,,,রাজ বৃষ্টির দিন রাতে বাহিরে দাড়িয়ে থাকে সারাকে এক নজর দেখবে বলে,,,ভালোবাসা একেবারে গভীর থেকে গভীরতম হয়,,,স্বপ্ন দেখায় বিয়ে পর এমন করবে,,, সব সুখ সারার পায়ে এনে ফেলব,,,
,একদিন রাজ অফার করে রুমডেটের সারা মানা করে,,,কারণ সারা রাজের সব কৃতকর্ম জেনে ফেলেছে,,, রাজ প্রচুর ক্ষেপে গেছে,,, সারা কে ডেটের জন্য রাজি করাতে যতটানা কষ্ট করেছে,,, অন্য কোন মেয়ের জন্য চুল পরিমাণ করেনি,,,দুজনের সম্পর্ক ইতি টানে এখানেই,,,,কিন্ত সারা কে পাওয়ার লোভ যায়নি,,,একদিন প্রজেক্টের কাজ করত করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়,,,হোস্টেলে ফিরতে,, এই সুযোগে রাজ সারাকে তুলে নিয়ে রেপ করে,,, অতপর ভিডিও করে সকল বন্ধ বান্ধবদের দেখায়,,,প্রমাণ করে রাজ চৌধুরী যা চায় তা না পেলে কেড়ে নেয়,,,থেমে যায় সারার জীবন এমনই শতশত মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে,,,রাজ,,,,হোস্টেল থেকে বের করে দোওয়া হয় সারা কে,,,,চলে যায় অনেক দূরে ,,,, গত দুই বছরে কেউ সারার কোন হদিস পায়নি,,,গুজব বেরিয়েছে সারা আত্মহত্যা করেছে,,,, কিন্ত আত্মহত্যা করেনি,,,নিজেকে প্রস্তুত করেছে রাজের জন্য।
,
,অতীত মনে করে কষ্টে ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে সারার,,,তবে ও কাঁদবে না,,,
,
সারাঃ আজকে ঘুমাও মানা করব না,,,কাল থেকে তোমার সব স্বপ্ন আশা,,, তোমার সুখ সবকিছু কেড়ে নিব আমি,,,আমি সারা,,,সারামনি।
অতপর বেডের এক কোণায় গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়ল,,,,
,
,
,
সকালে
ঠাসসসস ঠাসসসসস
লাফ মেরে উঠল রাজ,,,, চোখের সামনে ও কাকে দেখছে,,, সদ্য গোসল করে এসেছে,,, সামনে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটি,,,, চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে,,,,,, সামন থাকা মেয়েটাকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠেছে রাজ,,,,,,এটা কি করে সম্ভব,,, না এ হতে পারে না,,,কিছুতেই না,,,,
রাজঃ সা,,,,রা,,,,তু,,,,মি।
,
সারাঃ তো কি ভেবেছিলে কলিজা,,, অন্য কেউ,,,সোনা,,, কালকেই তো আমাদের বিয়ে হলো,,,, ( রাজকে বালিশে শুইয়ে ঠোঁটে গভীর ভাবে কিস করে)
,
রাজঃ তুমি বেঁচে আছ,,,এটা কি করে সম্ভব তাহলে সুইসাইড করল কে,,,
,
সারাঃ আমি তো রহিমা কলিজা,,, বলেছিলে না আমার সাথে ঘর করবে,,,, আমাদের দুই দুইটা বাচ্চা হবে,,, সে কারনেই তো আমি তোমাকে বিয়ে করলাম( গালে ঠোঁটে মুখে চুমু দিয়ে) মর্নিং কিস সোনা।
,
রাজঃ( চোখ কচলিয়ে) ভূত।
,
সারাঃ (হাসতে হাসতে) আমি ভূত হা হা হা হাসালে,,,চুপচাপ উঠে গোসল করে আস যাও,,,,তোমার জন্যই তো আমি ফিরে এসেছি,,,শুধু তোমার জন্য।
,
রাজঃ ( ধাক্কা দিয়ে) ফুপি ফুপি তুমি কাকে বউ বানিয়ে এনেছ হ্যা এই মেয়েটা কোথা থেকে এলো।
,
রাজের ফুপিঃ ও তো সারা তোর সাথে কালকে বিয়ে হলো,,,কেন রে মেয়ে টাকে তুই রাতে দেখিস নি,,,কত সুন্দর মেয়ে।
,
রাজঃ এই মেয়ের সাথে আমি থাকব না,,,বলে দিলাম কালকেই ডিভোর্স দিব।
,
সারাঃ কলিজা এমন কথা বলে না সোনা,,,তুমি না আমাকে ভালোবাস আমি তো তোমাকে ভালোবাসি তাই আমাদের বিয়ে হলো।
,
রাজ হাত তুলে থাপ্পড় দিতে চাইলেই,,,,,হাত ধরে ফেলে সারা,,,,
সারাঃ তোমার সাহস কি করে হয়,,, মিস্টার প্লেবয় আমাকে থাপ্পড় দেওয়ার জন্য হাত তোলার,,,তুমি জানোনা,,,তোমার সব সম্পত্তি এখন আমার নামে আমি চাইলে যা কিছু করতে পারি,,,তুমি কিছুই করতে পারবে না,,,আমার গায়ে একটা আঁচড় পড়লে তোমার বিশ বছরের জেল হবে,,,, তুমি নিজেই সই করে দিয়েছ,,,কাঁচা খেলোয়াড় ভাব আমাকে।
,
রাজঃ ফুপি কি বলছে ও এসব।
,
রাজের ফুপিঃ ও যা বলেছে সব সত্যি এই দেখ পেপারস( সই করা পেপারস গুলা দেখিয়ে)
,
রাজঃ এটা হতে পারে না,,,ফুপি তুমি আমার সাথে গেইম খেললে।
,
রাজের ফুপিঃ হ্যা খেললাম,,,একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে,,, তুই সুখী হবি ভেবেছিস,,,কোন দিনও না তাই,,, সারা কে তোর সাথে বিয়ে দিয়েছি,,,এবং সব সম্পত্তি আমি ওর নামে লিখে দিয়েছি।
,
সারাঃ ( কলার চেপে ধরে) আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে রেপ করে,,, সেটা ভিডিও করে সবাইকে দেখিয়েছ তুমি,,,আমার লাইফটা শেষ করে দিয়েছ তুমি,,,কি দোষ করেছিলাম,,,,আমি হ্যা যে এমন করলে,,,ভালোই বেসেছিলাম,,,, আমি ফিরে এসেছি রাজ তোমার জন্য,,, তোমার সব খেলা শেষ এবার শুরু হবে আমার খেলা,,,শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে,,,কিন্ত কিছুই বলতে পারবে না,,,,,।
,
রাজঃ আমার সাথে পাঙ্গা লড়তে এসে,,, অনেক বড় ভুল কেরেছ,,,সারা এর পরিনাম খুব খারাপ হবে ( দাঁতে দাঁত চেপে)
,
সারাঃ দুই টা বছর শুধুমাত্র তোমার জবাব দিব বলে,,,নিজেকে প্রস্তুত করেছি,,,আমি কাউকে ভয় পাইনা,,,আজকের পর থেকে শুধু দেখবে,,,তোমার সাথে কি কি হয়।
,
রাজ রাগের চোটে ধাক্কা দিতেই,,,,সারা ছিটকে গিয়ে,,, দেওয়ালে লেগে যাওয়ার আগেই নিজেকে সামলে নেয়,,,
,
সারাঃ বুনো ওলের সাথে লড়তে গেলে,,, বাঘা তেঁতুল তো হতেই হয়,,,আমি ও বাঘা তেঁতুল হয়েই এসেছি,,,চিন্তা করো না জান তোমাকে তোমার যোগ্য জবাব দিয়েই ছাড়ব তা না হলে আমার নামও সারা না,,,আর কি যেন বলেছিলে স্ত্রীর অধিকার দিবানা,,,, ওকে তোমাকে দিতে হবে না,,,আমি নিজেই নিয়ে নিব।
,
বলেই রাজকে বেডে ধাক্কা দিয়ে ফেলে,,, কিছু বুঝে উঠার আগেই ঠোঁটে গভীর ভাবে কিস করল,,,রাজ সারাকে নিজের উপর থেকে সরিয়ে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার টা ছেড়ে দাড়িয়ে ভাবছে,,
,
রাজঃ না এ হতে পারে না,,,এটা কি করে সম্ভব সারা বেঁচে আছে।
,
সারা রাজের অবস্থা দেখে বিশ্ব জয় করা হাসি দিয়ে,,,ঠোঁট মুছতে মুছতে,,,,
,
সারাঃ চিন্তা করো না জান,,, Just wait and see,, তোমার সাথে আমি আর কি কি করি,,, আমার সাথে হওয়া এমনকি প্রত্যেকটা মেয়ের সাথে হওয়ার সব হিসেবে আমি কড়াই গন্ডায় শোধ করব,,,সো নো টেনশন আই লাভ ইউ রাজ ,,,কষ্ট ও দিব আদরও করব,,,,, বিয়ে যেহেতু একবার হয়ে,,,গেছে তাহলে আমি আমার অধিকার নিয়েই ছাড়ব।
❤বসন্তের ছোঁয়া❤
লিখাঃ Ayesha Ariya Afiya
পর্বঃ ১
চলবে,,,,,,,,,❤❤❤❤
( নতুন গল্প কেমন লাগল জানাবেন)