ভালোবাসাময় প্রহর পর্ব -০৫+৬

#গল্পের_নাম_ভালোবাসাময়_প্রহর
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্ব:৫

অধরার সামনে রাখা হয়েছে কয়েকটি ছবি যেখানে রক্তিম আর দিবা হাতে হাত ধরে আছে বলা সব ছবিই কাপল ছবির মতো।অধরা ছবি থেকে মুখ তুলে দিবার দিকে তাকিয়ে বললো,

~এসব কী দিবা আপু?

দিবা মনে মনে হাসলো কিন্তু মুখে অসহায় ছাপ ফুটিয়ে চোখে পানি এনে বললো,

~বলো তো অধরা ভালোবাসা কী পা/প?আমি আর রক্তিম দুজনই দুজনকে খুব ভালোবাসি কিন্তু কিছুদিন ধরে রক্তিম আমাকে ইগনোর করছে।

দিবার কথা শুনে অধরার হৃদয়টা ভে/ঙ্গে গেলো যতো স্বপ্ন এ দুদিনে বুনেছিলো তা সব ভে/ঙ্গে গেলো।এতোটা কষ্ট তার হচ্ছে যা সে কাউকে বলে বুঝাতে পারবেনা মনটাতে এক আকাশ পরিমাণ অভিমান জমা হলো তার। বিষাদে ভরে উঠলো তার ছোট্ট মনটা।তাহলে কী সব নাটক ছিল?সেই আবেগী চোখটাও কী মিথ্যে ছিল? আর কিছু ভাবতে পারছেনা অধরা তার মন চাইছে এখান থেকে দৌড়ে চলে যেতে আর রক্তিমের কাছে গিয়ে এসব প্রশ্নের জবাব চাইতে।কিন্তু সে এসব কিছুই করতে পারবেনা কারণ রক্তিমের ওপর তার কোনো অধিকার নেই।অধরাকে এভাবে চিন্তিত দেখে বাঁ/কা হাসলো দিবা আর বললো,

~তুমি জানো কেন সে আমায় ইগনোর করছে?কেন সে নিজের থেকে আমায় দূরে রাখছে?

অধরা কাঁ/পা স্বরে বললো,

~কেন?

দিবা অধরার হাত ধরে বললো,

~তোমার জন্য।

অধরা দিবার থেকে নিজ হাত ছাড়িয়ে নিলো দিবা আবার বললো,

~জানো সব ঠিকঠাক ছিলো কিন্তু গত ১মাস ধরে এসকল সমস্যা শুরু হয়েছে কারণ তোমার বাবার অনেক টাকা আমার মামার ব্যবসায় দেওয়া তাই আমার মামা চায় তাদের সম্পর্ক যাতে আরো মজবুত হয় তাই রক্তিম আর তোমার বিয়ে দিতে চায়।
যার কারণে রক্তিম আমার থেকে সরে গেছে তার বাবার জন্য আমি এটাও জানি রক্তিম তোমার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে যাতে তোমার মনটা পেতে পারে।তুমিই বলো রক্তিম কী তোমার সাথে আগে এমন ব্যবহার করতো?

অধরা কেন যেন দিবার কথা বিশ্বাস করতে পারলোনা সে কারো কথা জানে না কিন্তু তার বাবা কোনোদিন তার মতামত ছাড়া কিছুই করবে না।অধরা দিবাকে বললো,

~আপু,আমি জানি না আপনি সত্যি বলছেন কি না মিথ্যা কিন্তু আমি এতটুকু জানি আমার বাবা কোনোদিন আমার ওপর নিজ মতামত চা/পি/য়ে দিবে না।

দিবা অধরার কথা শুনে রেগে গেলেও নিজেকে সামলে বললো,

~তুমি কী আমায় অবিশ্বাস করছো?

অধরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,

~আপনি যেটা ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাই ভাবেন কোনো আ/প/ত্তি আমার নেই।

বলেই সে ব্যাগটা নিয়ে সেখান থেকে ৫০০ টাকা বের করে দিবার সামনে রেখে বললো,

~বিলটা পে করে দিবেন প্লিজ।

অধরা চলে গেলো সেখানে আর একদণ্ড ও দাড়ালো না দিবা ৫০০ টাকার নোটটা হাতে নিয়ে কটমট করে বললো,

~আমাকে অপমান করা হচ্ছে এর পরিণতির জন্য তুমি তৈরি থেকো।

অধরা কফি শপ থেকে বের হয়ে রিক্সায় উঠে বসলো তার দুচোখ বেয়ে পানি পরছে এতোটা কষ্ট হয়তো সে কখনো পায়নি।অধরার ফোন বেজে উঠলো ব্যাগ থেকে ফোন বের করতেই দেখতে পেলো ফোনের স্ক্রিনে “রক্তিম” নামটা জ্বলজ্বল করছে।অধরার রা/গে/র পরিমাণটা যেন বেড়ে গেলো সে ফোনটা কে/টে দিয়ে সুইচ অফ করে দিলো।
অধরার ফোন বন্ধ দেখে রক্তিমের টেন/শন হতে লাগলো কারণ সে কিছুক্ষণ আগেই জানতে পেরেছে অধরা আর দিবা একসাথে আছে।রক্তিম অফিস থেকে বের হয়ে সোজা চলে আসলো অধরার বাসার সামনে সেখানে আসতেই তার দেখা হলো দিবার সাথে।দিবা রক্তিমকে দেখে বললো,

~এসো পরেছো আহা একটু আগেই তো আ/গু/ন লাগিয়ে আসলাম।

রক্তিম রা/গে লাল হয়ে গেলো দিবার কথায় সে হাত উঠাতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,

~তোর সাথে পরে কথা বলছি।

দিবা রক্তিমের আরো কাছে গিয়ে বললো,

~আজ বাবা আসবে সেই ফাইলটা নিয়ে একবার সাইন করে দেও আর বাবার কাছ থেকে আমাকে চেয়ে নেও তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

দিবার কথা শুনে রক্তিমের গা ঘিন/ঘিন করে উঠলো একটা মেয়ে এতো নি/চু হয় কীভাবে? রক্তিম দিবাকে মৃদ্যু ধা/ক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে অধরার বাসার ভিতরে চলে গেলো।দিবা সেখানেই দাড়িয়ে রইলো আর রক্তিমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।অধরা রুমে বসে বই পত্র ছড়িয়ে রেখেছে তন্নি কেও রুম থেকে বের করে দিয়েছে বইতে মুখ গু/জে সে রক্তিমের কথা ভাবছে তার মনটা মানছেই না যে রক্তিম এরকমটা করতে পারে।তবুও সে নিজেকে বুঝাচ্ছে কিন্তু এই পা/গ/ল মন বুঝতেই চাইছে না সে কথা এসব ভাবনার মাঝেই দরজায় টোকা পড়লো পাশাপাশি তন্নির গলা ফাঁ/টা ডাক সে জোরে জোরে বলছে,

~আপু,রক্তিম ভাইয়া এসেছে দেখা করতে বের হও।

রক্তিম, নামটা শুনে অধরা গম্ভীর হয়ে উঠলো মনটা বিষাদে ভরে উঠলো অভিমান গুলো বিশাল আকার ধরাণ করলো।মানুষটি যে তাকে এক আকাশ স্বপ্ন দেখিয়ে এতো কাছে ডেকে এক
ধা/ক্কা দিয়ে সব চুর/মার করে দিলো।অধরার ভাবনার মাঝে তন্নি আবার ডেকে উঠলো অধরা এবার রে/গে গিয়ে বললো,

~আমি কারো সাথে দেখা করতে চাই না বলে দে।

পরের আওয়াজটা আর তন্নির আসলোনা বরং আকুল একটা কন্ঠস্বর অপর পাশ থেকে সেই কন্ঠস্বরটি হচ্ছে রক্তিমের সে বলছে,

~একটা বার দরজা খুলো অধরা।

অধরা বললো,

~বাবার সাথে কথা বলার পর আমি অন্য কারো সাথে কথা বলবো।

রক্তিম বললো,

~তুমি কী চাও আমি দরজা ভে/ঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি?

অধরা বললো,

~আপনার লজ্জা করছে না রক্তিম এসব যদি মা শুনে ফেলে।

রক্তিম বললো,

~তাই তো আন্টিকে আমার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

অধরা এবার শুকনো ঢোক গিললো সে ভাবলো রক্তিম যদি সত্যিই দরজা ভে/ঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তখন।এই পা/গ/ল মানুষ দ্বারা সব সম্ভব।তাই অধরা গিয়ে দরজা খুলে দিলো দরজা খোলা পেয়ে রক্তিম রুমে প্রবেশ করলো তন্নি মুচকি হেসে ছাদে চলে গেলো।অধরা জানালা দিয়ে আকাশপাণে তাকিয়ে রইলো রক্তিম অধরার সেই মলিন চেহারার দিকে তাকিয়ে বললো,

~আমি জানি না দিবা তোমাকে কী বলেছে?কিন্তু এতো টুকু তুমি বিশ্বাস করতে পারো তোমার রক্তিম শুধুই তোমার।আমি জানি হয়তো সবকিছু তোমার কাছে অনেক জলদি মনে হচ্ছে কিন্তু এগুলো সব ৫বছর আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে।

রক্তিমের কথা শুনে অধরা অবাক নয়নে তার দিকে তাকালো আর বললো,

~কী বলতে চাইছেন আপনি?

রক্তিম অধরার কাছে গিয়ে তার দুগাল জড়িয়ে ধরলো তারপর অধরার চোখে চোখ রেখে বললো,

~I love you Odhora.আমি তোমাকে সেই ৫বছর আগে থেকে সেই বৃষ্টিময় রাত থেকে ভালোবাসি❤️❤️

চলবে

(বিদ্র:কেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)#গল্পের_নাম_ভালোবাসাময়_প্রহর
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্ব:৬

রক্তিমের বলা প্রতিটি কথা অধরার হৃদয়ে গিয়ে বাঁ/ধ/লো তার মন চাইছে রক্তিমের কথা বিশ্বাস করতে কিন্তু সেই ছবিগুলো তার চোখের সামনে ভে/সে উঠলো।রক্তিম অধরার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে বললো,

~অধরা,আমাকে কিছুদিন সময় দেও আমি সব ঠিক করে দিবো।

অধরা রক্তিমের ছোয়া পেয়ে হালকা কেঁ/পে উঠলো সে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,

~আপনি এখন চলে যান রক্তিম ভাইয়া আমি একা থাকতে চাই।

রক্তিম অধরাকে ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো অধরা ধ/প করে বিছানায় বসে পরলো সে বুঝতে পারছেনা কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা?কিন্তু সে সবকিছু বুঝে শুনেই সিদ্ধান্ত নিবে যাতে তার দ্বারা কোনো অ/ন্যা/য় না হয়।সে কারো মনে কষ্ট দিতে চায় না কারো অ/ভি/শা/প নিয়ে সে নিজ ভালোবাসা চায় না।অধরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বারান্দায় চলে গেলো এখন সে প্রকৃতির সাথে সময় কাটাবে কিছুক্ষণ নিজ সমস্যা গুলোকে ভুলে থাকার জন্য।দিবার বাবা সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে সাথে আছে রক্তিমের বাবাও।রক্তিমের বাবা বেশ গম্ভীর কন্ঠে বললো,

~তুমি আবারো সেই একই প্রযেক্ট এর ফাইল নিয়ে এসেছো।তোমাকে রক্তিম অনেক সুন্দর করেই বুঝিয়ে দিয়েছিল এসব অ/বৈ/ধ জিনিসের ব্যবসাতে আমরা নেই।তুমি কেন বার বার আমাদের কাছেই আসছো দেখো এসব বিষয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে পারবো না।

দিবার বাবা হাত জোড় করে বললো,

~প্লিজ ভাইজান আমার দিকটা বুঝার চেষ্টা করুন আমি এই ব্যবসার জন্য মার্কেট থেকে অনেক টাকা উঠিয়েছি এসব স্বর্ণ যদি সঠিক সময় না পৌছায় তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।

রক্তিমের বাবা বললেন,

~দেখো হারুন(দিবার বাবা) আমি তোমায় আগেও বলেছি যেখানে স/র/কা/রে/র পারমিশন নেই সে কাজে আমার কম্পানিও নেই আমাকে মা/ফ করো ভাই।

রক্তিমের বাবার কথা শেষ হতেই রক্তিম সেখানে উপস্থিত হয়ে বললো,

~বাবা একদম ঠিক বলেছে ফুপা আপনি কেন বার বার আমাদের কাছে আসছেন?

দিবার বাবা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,

~আপন ভেবেই আসছি যাতে তোমাদেরও লাভ হয়।

রক্তিম তাচ্ছিল্য পূর্ণ হাসি দিয়ে বললো,

~আমাদের লাভ?আপনি তো এসব করছেন যাতে আপনার
মা/ল কোথাও যদি ধ/রা পরে যায় তাহলে আপনি আমাদের ওপর সব দো/ষ চা/পি/য়ে নিজে কে/টে পরেন।আপনি কী ভেবেছেন আমি কী কিছুই জানি না সব খবর নিয়েছি আমি। আপনার মত আর আপনার মেয়ের মতো নি/চু মনের মানুষ আমি একটাও দেখিনি।

রক্তিমের কথায় তার বাবা একটু রেগে গিয়ে বললো,

~এসব কেমন কথা রক্তিম?বড়দের সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?

তাদের কথার আওয়াজে রাত আর রক্তিমের মাও বের হয়ে আসে দিবা বাসার দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে সে ভ/য়ে ঘামছে কারণ রক্তিম যদি সব বলে দেয়।রক্তিম তার বাবার কাছে গিয়ে দুহাত ধরে বললো,

~বাবা,তোমাকে অনেক কথা বলার আছে দিবার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো দিবাই প্রথম আমাকে এ কাজের অফার দেয় তাই আমি তাকে হ্যাঁও বলে দেই।কিন্তু সকল খোজ খবর নেওয়ার পর জানতে পারি এই প্রযেক্টা পুরোপুরোই
অ/বৈ/ধ।তাই আমি সেখান থেকে সরে আসি এরপর থেকে দিবা আমাকে নানান ভাবে বুঝাতে থাকে কিন্তু আমি তার ডাকে সাড়া দেইনি।এভাবেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খা/রা/প হয়ে যায় ফুপার প্লান টা খুব সুন্দর ছিলো কিন্তু আফসোস আমি তা পূরণ হতে দেইনি।

রক্তিমের কথা শুনে সবাই দিবার বাবার দিকে ঘৃনা ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো রক্তিমের বাবা বললেন,

~তুমি এখান থেকে এখনই চলে যাও হারুন নাহলে আমি ভুলে যাবো তুমি আমার বোনের স্বামী।

দিবার বাবা মাথা নিচু করে ফাইলটা হাতে নিয়ে চলে গেলো যাওয়ার সময় দিবার দিকে এক পলক তাকালো।দিবা চোখে পানি এনে রক্তিমের বাবার সামনে গিয়ে বললো,

~মামা,আমি জানতাম না যে প্রজেক্ট টা অ/বৈ/ধ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

রক্তিম দিবার কথা শুনে বললো,

~এতো অভিনয় কীভাবে করিস তুই?তুই সব জানতি তাই তো আমাকে বিয়ে করার জন্য কত রকমের পায়তারা করচ্ছিস।
যখন জানতে পারলি আমি অধরাকে আমি ভালোবাসি সেসময় থেকে তোর রূপ পাল্টাতে থাকে।

রক্তিমের কথা শুনে রক্তিমের মা ও বাবা অবাক হলো তার বাবা বললেন,

~তুমি অধরাকে ভালোবাসো?

রক্তিম বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,

~জ্বী বাবা অধরাকে আমি ভালোবাসি।

দিবা রক্তিমের বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,

~মামা,আমি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে এসব করেছি আমাকে
মা/ফ করে দিন।

রক্তিমের বাবা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,

~তুমি যেহেতু নিজ ভুল বুঝতে পেরেছো তাই আমি তোমাকে মা/ফ করে দিলাম কিন্তু তুমি এখনই এ বাসা থেকে চলে যাবে।

দিবা মাথা দুলিয়ে একবার রক্তিমের দিকে তাকিয়ে নিজ রুমে চলে গেলো ব্যাগ গুচ্ছাতে। রাত দিবার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললো,

~এক বি/প/দ কে/টে/ছে তন্নিকে গিয়ে খবরটা দিয়ে আসি।

রাত ধীর পায়ে সেখান থেকে চলে গেলো রক্তিম তার বাবার সামনে দাড়িয়ে আছে। রক্তিমের মা বললেন,

~দেখেন যা হওয়ার হয়ে গেছে যেহেতু ছেলে অধরাকে চায় আমাদের উচিত সব ঠিকঠাক করে দেওয়া।

রক্তিমের বাবা বললেন,

~তাই করতে হবে আমি চেষ্টা করবো যদি অধরা রাজি থাকে বিয়েতে তাহলে সব ঠিকঠাক করা যাবে।

রক্তিম মায়ের দিকে তাকিয়ে ইশারায় ধন্যবাদ জানালো রক্তিমের বাবা বললেন,

~আজ রাত আমরা অধরার বাসায় যাবো।

অধরা বাবাকে সব বলেছে দিবার বলা প্রতিটা কথা সব শুনে অধরার বাবা বললেন,

~এ ধরনের কোনো কথা হয়নি আমার সাথে হ্যাঁ ব্যবসায় আমার টাকা রয়েছে দিবা তোমায় সব মিথ্যে বলেছে।আর রক্তিমের সাথে দিবার কোনো সম্পর্ক নেই আমি জানি দিবা এসব কেন করছে?

বাবার কথায় অধরা মুখ তুলে তাকালো আর বললো,

~কী কারণে বাবা?

অধরার বাবা কিছু বলতে যাবে তার আগেই কলিংবেল বেজে উঠলো অধরার মা রান্নাঘর থেকে হাত মুছতে মুছতে বের হলো আর দরজা খুলে দিলো।দরজা খুলতেই রক্তিম সহ পুরো পরিবারকে দেখে অবাক হয়ে গেলো অধরার মা হেসে বললো,

~আরে আপনারা আসুন ভিতরে।

সবাই ভিতরে প্রবেশ করলো অধরা আর তার বাবা রুম থেকে বের হয়ে রক্তিমদের দেখে একটু অবাক হলো।রাত এসে অধরাকে বললো,

~তোর শাঁ/ক/চু/ন্নি বোনটা কই রে?

অধরা রাতের কান ম/লে দিয়ে বললো,

~শুনলে তোকে আ/স্তো রাখবে না রুমে আছে কাল পরীক্ষা তাই হয়তো ব্যস্ত।

রাত বললো,

~যাই সুখবরটা দিয়ে আসি।

অধরা বললো,

~কীসের সুখবর?

রাত একবার রক্তিমের দিকে তাকালো তারপর বললো,

~সব জানতে পারবি।

বলেই সে তন্নির রুমের দিকে চললো অধরা এখন ভাবনায় চলে গেলো।রক্তিমের বাবা অধরার বাবাকে বললেন,

~আজ তোর কাছে একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। আমি জানি তুই আমার কথাটা রাখবি।

অধরার বাবা বললেন,

~কেমন প্রস্তাব?

রক্তিমের বাবা বললেন,

~আমি রক্তিমের জন্য অধরাকে চাই।

রক্তিমের বাবার কথা অধরার কানে পৌচ্ছাতেই সে বলে উঠলো,

~বাবা যে কোনো সিদ্ধান্তের আগে আমি রক্তিম ভাইয়ার সাথে কথা বলতে চাই।

রক্তিম অধরার কথা শুনে বললো,

~আমি জানি তোমার অনেক প্রশ্ন রয়েছে আজ আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিবো।

অধরা আর রক্তিম ছাদে দাড়িয়ে আছে হালকা হাওয়ার তালে অধরার চুলগুলো উড়ছে অধরা অধীর আগ্রহে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে আছে।রক্তিম ফোনটা বের করে কিছু একটা বের করে অধরার সামনে তা তুলে ধরলো অধরা ফোনের দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে যায় এগুলো সে কী দেখছে?মানুষ এতোটা নিচ কীভাবে হতে পারে?রক্তিম অধরাকে বললো,

~এখন আমি যে কথা গুলো বলবো তা মন দিয়ে শুনো।

অধরা রক্তিমের দিকে তাকালো রক্তিম বলতে শুরু করলো

চলবে

(বিদ্র:কেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো 🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here