ভালোবাসার রাত পর্ব ২০

#ভালোবাসার-রাত
#রোকসানা রাহমান
পর্ব (২০)
ইচ্ছে হলো দৌড়ে গিয়ে রিদকে জড়িয়ে ধরে তার শুকনো আত্মাকে ভিজিয়ে নিতে। তিল বিছানা ছেড়ে এসে রিদের সামনে দাড়ালো। কিন্তু রিদকে জড়িয়ে ধরার বদলে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলো,রিদের ডানগালে। বা গালেও বসালো। তাতেও যেন তিলের মন ভরলোনা। নিজের হাত দুটো মুঠো করে রিদের বুকে মারতে মারতে বললো,
“” বলেন আপনি কাল সাথে এমন পঁচা কাজ কলছেন? কাল সাথে পঁচা কাজ কলে অসুখ বাধালেন? কাল জন্য আমাকে ছেলে এলেন…””
তিলের হাতদুটো চেপে ধরে রিদ ,
“” পঁচা কাজ মানে?””
“” এখন আপনাকে পঁচা কাজেল মানেও বুঝাতে হবে?? যখন কললেন তখন আপনাল মানেল প্লয়োজন ছিলোনা আল এখন লাগছে না? তাও আমাল কাছ থেকে মানে লাগবে? আপনি এতো পচা?””
রিদ তিলের দিকে হা করে তাকিয়ে রয়েছে। কি বলছে কিছুই মাথায় ঢুকছেনা। কোন পঁচার কথা বলছে তিল?? বেশ চিন্তিত হয়েই রিদ তিলের দিকে তাকিয়ে রইলো। তিলের চোখ দিয়ে পানি টপটপ করে পড়ছে। তিলকে কাঁদতে দেখেছে অসংখ্যবার। সবগুলোর কারনও ছিলো ও নিজেই। আজকের কাঁদার কারনটাও ও কিন্তু এই প্রথম তিলের কান্নাজড়িত চোখগুলো খুব মায়াবী লাগছে। মনে হচ্ছে তিলের প্রত্যেকটা চোখের পানির ফোটার সাথে মিশে আছে রিদের জন্য অসংখ্য ভালোবাসা। তিল আমাকে এতো কেন ভালোবাসে? আমি তো ওর ভালোবাসা পাওয়ার মতো তেমন কিছু করিনি,ওকে খুশি করার জন্য,মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কিছু করিনি। যা করেছি সব নিজের স্বার্থে। যার বিনিময়ে তিল তো শুধু কষ্টই পেয়েছে তবুও কেন ও আমাকে এতো ভালোবাসে??
তিল রিদের কলারটা চেপে ধরে বললো,
“” বলছেননা কেন? কোন বিদেশিনীকে ফাসিয়েছেন? ফাসিয়েছেন ভালো কথা তাই বলে পঁচা কাজও করতে হবে? আল কললেন তো ভালো কথা তাই বলে এইডসে আক্লান্ত লোগিল সাথেই কলতে হলো??””
“” এইডস!””
তিলের মুখে এইডস নাম শুনে রিদ হকচকিয়ে গেলো। তারমানে তিল সব জেনে গেছে? কিন্তু কিভাবে জানতে পারলো? আমি তো ওকে কিছু বলেনি শুধু ওকে কেন কাউকেই বলিনি তবুও কিভাবে জানতে পারলো ও তাহলে কি সিজাত বলে দিয়েছে? কিন্তু ও তো আমাকে প্রমিস করেছিলো!
“” কিছু বলছেননা কেন? পঁচা কাজ না কললে কি হতো?””
তিল নিজের ভাবনা থেকে বেড়িয়ে তিলের দিকে তাকালো। তিল কোন পঁচা কাজের কথা বলছে এবার বুঝতে পেরেছে। শুকনো ঠোঁটটায় হালকা হাসি ফুটে উঠেছে। তিলকে টেনে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে বললো,
“” শুধু পঁচা কাজ করলেই বুঝি এইডস হয়ে যায়?””
“” হুম!””
“” থাপ্পড় খাবি একটা। গাধী কোথাকার,তোদের বইতে তো তিনটা কারন আছে তার মধ্যে তোর পঁচাটাই মনে রইলো আর সবগুলোকি গিলে খেয়ে ফেলেছিস??””
“” আপনি যেমন আপনাল সাথে তো পঁচাটাই যায়। আমি সিউল আপনি কালো সাথে পঁচা কাজ কলেছেন তাই আপনাল…””
রিদ ভ্র কুচকে বললো,
“” আমি যেমন মানে? আমি কেমন?””
তিল খানিকটা লজ্জা নিয়ে বললো,
“” ঐ যে সেদিন আমাকে চুমু….””
তিল কথা শেষ করার আগেই রিদ তিলের পাশ থেকে সরে এলো। যা থেকে সে পালিয়ে এসেছে তা আবার মনে করতে চাইনা। তিলকে কথা শেষ করতে না দিয়েই নিজে বলে উঠলো,
“” ছোটবেলা আমি একবার গুরুতর রোগে ভুগছিলাম,শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছিলো। ডক্টরের কথা অনুযায়ী আব্বু একজন ব্লাড ডোনার খুজে এনেছিলো। উনারা কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই আমার শরীরে রক্তের প্রবেশ ঘটিয়েছিলো। তাদের ঐ হেলার কারণেই আজ আমি ভুগছি। তারা যদি সেদিন ব্লাড টেস্ট করে নিতো তাহলে হয় তো আজ অন্যকিছু হতো।””
“” আপনি সিউল হলেন কি করে যে ঐটার জন্যই হয়েছে?””
“” আমি খোজ নিয়েছিলাম। যিনি আমাকে ব্লাড দিয়েছিলো উনি মারা গিয়েছে ২ বছর হলো। এইডস আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন।””
রিদ কথা শেষ করতেই তিল দৌড়ে এসে রিদকে জড়িয়ে ধরে। খুব শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
“” আমি আপনাল কিছু হতে দিবোনা,লিদ ভাইয়া!””
আজ একটা বছর পর তিলকে এভাবে দেখতে পাবে তা ভাবতেও পারেনি রিদ আর এভাবে ওর ছোয়া পাওয়াতো দুরে থাক। রিদের চোখটাও ভিজে আছে। খুব কষ্ট হচ্ছে তার কিন্তু নিজের জন্য না তিলের জন্য! সবসময় কোনো না কোনো কারন দেখিয়ে অনেক কষ্ট দিয়েছে তিলকে তাতে তো রিদের এতো খারাপ লাগেনি কিন্তু আজ যখন চাইছেনা ও কষ্ট পাক তবুও কেন এতো কষ্ট পাচ্ছে তিল? তিলের কষ্ট দেখে যে রিদের বুকটা জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে। তিল কেন আবার ওর সামনে এসেছে? এই একটা বছরে তো নিজের সাথে লড়েছি এই লড়ার মাঝখানে তিল কেন এলো? সবকিছু গোলমেল করার জন্য?? আমি তো মনের ভুলেও একবার ও ভাবিনি যে তিল আবার সামনে আসুক তবুও কেন সামনে এলো? কেন???
“” তুই এখানে কেন এসেছিস? কে নিয়ে এসেছে?””
“” বিয়ে কলাল জন্য এসেছি।””
তিলের ছোয়াকে অগ্রাহ্য করার সাহস পাচ্ছিলোনা, ইচ্ছেও করছিলোনা রিদের। কখনো কখনো ভালোবাসার মানুষের ছেয়াও অমূল্য হয়ে উঠে আর কেই বা চাইবে সে অমূল্য জিনিস হাত ছাড়া করতে?? ছাড়াতে গিয়েও থেমে গিয়েছিলো কিন্তু ওর মুখে বিয়ের কথা শুনে রিদ চমকে যায়। তিলকে পেছন থেকে টেনে নিয়ে সামনে এসে দাড় করালো।
“” বিয়ে করতে?””
“” হুম।””
“” তুই বিয়ে করতে ইউকে চলে এসেছিস? কেন রে বাংলাদেশে কি ছেলের অভাব পড়েছে?””
“” হুম। যে দেশে আমাল লিদ ভাইয়া নাই সে দেশে শুধু ছেলে কেন সবকিছুল অভাব পলেছে। তাই তো এখানে চলে এসেছি।””
তিল কথা বলতে বলতে নিজের লাগেজটা খুলে একটা পান্জাবী বের করে রিদের সামনে ধরলো,
“” নিন এটা ঝটপট পড়ে ফেলুনতো।””
তিলের হাতে সাদা পান্জাবী দেখে রিদ আরো চমকে যায়।
“” আমি পান্জাবী পড়বো কেন?””
“” ওমা,এভাবে শার্ট পলে বিয়ে কলবেন নাকি? মানলাম কোনো আমেজ ছালা বিয়ে কলছি তাই বলে পান্জাবীও পলবেননা? আচ্ছা আপনাদেল এখানে বিয়ে কিভাবে হয়? কাজীলা কি ইংলিশে কবুল বলতে বলে? আমি তো ইংলিশে কবুল বলতে পালিনা। ইংলিশে কবুল কে কি বলে?””
রিদ তিলের হাত থেকে পান্জাবীটা নিয়ে ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিলো। তিলের হাত চেপে ধরে দরজার দিকে নিয়ে যেতে যেতে বললো,
“” সিজাত এনেছে তোকে তাইনা? আজকে ওকে খুন করে তারপর আমি জেলে যাবো। এতোবড় সাহস আমার কথার খেলাফ করে? আর তোরই বা এতো সাহস হলো কি করে আমি যা ফেলে এসেছি তা নিয়ে আমার সামনে দাড়াস?””
রিদের রক্তবর্ন চোখ দেখে তিলের একটুও ভয় হলোনা। রিদের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“” আপনাকে ছালা আমি মলে যাবো লিদ ভাইয়া!””
তিলের এমন কথায় রিদ থমকে যায়। তিলের দিকে তাকাতেই রিদের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে,এতো অসহায় কেন লাগছে তার তিলকে???
“” বিয়ে কলে নিননা প্লিজ! আমাল আপনাল বউ হওয়াল খুব শখ! শুধু বউ হতেই তো চাইছি আল কোনোদিন কিছু চাইবোনা। আপনাল বউ হিসেবে নিজেল পলিচয় বানাতে চাই!
রিদের সব রাগকে পানি করে দেওয়ার জন্য যেন তিলের এই অসহায়ত্ব কথাই যথেষ্ট। তিলের হাতটা ছেড়ে দিলো রিদ। দরজার সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। চোখ বন্ধ করেই রিদ বললো,
“” তুই কেন এমন অন্যায় আবদার করছিস?? যা আমি তোকে দিতে পারবোনা তা চেয়ে আমার কষ্টটাকে কেন দ্বিগুন করে দিচ্ছিস,তিল?””
তিল এবার প্রচন্ড রেগে যায়। চিৎকার করে বলে উঠলো,
“” কেন পালবেননা? যদি নাই পালবেন তাহলে আমাকে নিয়ে ভালোবাসাল খেলায় মেতে উঠেছিলেন কেন? আল এই যে আপনাল পুলো লুমে আমাল ছবি লাগিয়ে লেখেছেন কেন? ছবি লাগাতে পালেন আল আমাকে লাখতে পালবেননা? তাহলে এই ছবিও থাকবেনা।””
রিদের ছোট রুমটার আনাচে কানাচে সব জায়গায় তিলের ছবি দিয়ে সাজানো। তিল সেগুলো টেনে ছিড়তে থাকে।
তিলের এমন পাগলামী দেখে রিদ দৌড়ে এসে ওকে আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আজ যেন রিদের থেকে শক্তিতে তিল এগিয়ে। তিলকে কিছুতেই থামাতে পারছেনা রিদ। এক পর্যায়ে ওকে চেপে ধরে নিজের বুকের সাথে।
রিদের বুকের উষ্ণ ছোয়ায় তিল থেমে যায়। গভীরভাবে ছোয়া পাওয়ার জন্য তিলের বুকের সাথে নিজেকে ল্যাপ্টে নিয়ে শব্দ করে কেঁদে উঠে।
“” তিল,আমাকে বুঝার চেষ্টা কর প্লিজ। আমি একদম শেষ স্টেজে আছি। হয়তো আর ১-২ বছর তারপর কি হবে আমি জানিনা। আমি জেনেশুনে কি করে তোকে নিজের সাথে জড়াবো বল? আর বিয়ে মানে বুঝিস তো? বিয়ে মানে হলো একটা মেয়ের সম্পুর্ন দায়িত্ব নেওয়া। আর যেখানে আমি নিজেই নিজেকে বইতে পারছিনা তোকে কিভাবে সামলাবো? মাঝপথে তোকে ছেড়ে কিভাবে যাবো? তখন তো আমি মরেও শান্তি পাবোনা রে তিল। আর সব থেকে বড় কথা যে রোগে আমি নিজে ভুগছি সেই রোগে তোকে ভুগতে দিবো কি করে??””
তিল রিদকে ছাড়তে চাইলে ওকে আবার শক্ত করে চেপে ধরে রিদ।
“” এমন পাগলামী করিস না,তিল। যথেষ্ট বড় হয়েছিস,নিজের ভালো বুঝতে শিখ আর এখন তো তোকে শুধু তোর নিজের না আমার আর তোর পুরো ফ্যামিলির কথা ভাবতে হবে। তুই নিজেই যদি এভাবে ভেংগে পড়িস তাহলে….””
“” আপনার আর আমার ভালোবাসার পুর্নতা চাই আমি। আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিবেননা,প্লিজ। অনেক আশা নিয়ে এসেছি।””
রিদ তিলকে ছেড়ে বিরক্ত নিয়ে বললো,
“” উফ! তুই কেন বুঝতে চাইছিস না?””
“” আপনি কেন বুঝতে চাচ্ছেননা? আপনাকে ছালা আমি তো এমনিতেই মলে যাবো তাহলে আপনাল মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে মললে কি ক্ষতি?””
“” তিল,আমার কিন্তু মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।””
“” আমালও মাথা গলম হয়ে যাচ্ছে,লিদ!””
“” মানে?””
“” আপনি যদি আমাকে এই মুহুলতে বিয়ে না কলেন তাহলে…””
“” তাহলে?””
“” তাহলে আমি বিষ খাবো।””
“” বিষ?””
“” হুম বিষ। শুধু বিষ কেন বিষ খেয়ে গলায় লশিও দিবো। আপনাল জন্য তো একবাল সুইসাইড কললে চলবেনা তাহলে আমাল ভালোবাসাকে সবাই কম ভাববে কিন্তু আমি তো বেশি বেশি ভালোবাসি তাই ফাসিও নিবো!””
তিলের কথায় রিদ ধমকিয়ে উঠে,
“” তিল,কিসব উল্টাপাল্টা কথা বলছিস? তোকে এসব শিখায় কে?””
“” তা জেনে আপনাল কি? আপনি বিয়ে কলবেন নাকি তাই বলেন,আমাল হাতে বেশি সময় নাই। দু দুবার মলাল জন্য মানসিকভাবে প্লস্তুতি নিতে হবে।””
রিদ তিলকে ভালো করে পরখ করে দেখতে থাকলো। বুঝার চেষ্টা করছে ও কি এগুলো সত্যি সত্যি বলছে নাকি ওকে ভয় দেখানোর জন্য মজা করছে। কিন্তু এই প্রথম মনে হলো ও তিলকে বুঝতে পারছেনা। কিন্তু কেন? দীর্ঘদিনের দুরত্বের জন্য??
“” আপনাল বিশ্বাস হচ্ছেনা তো? না হলে নাই। তালাতালি আমাকে বালিতে ফেলাল ব্যবস্থা কলুন মলাল আগে সবাইকে একবাল দেখে তো নিতে হবে! আল ওখানে মলতেও সুবিধে হবে আপনাকে কষ্ট কলে কাদতে হবেনা। আপনাকে তো জানানোও হবেনা আমি কখন মললাম,কেউ তো আপনাল খোজ জানেনা!””
তিল মনমরা হয়ে রিদের খাটের মাঝখানটাই পা তুলে বসে পড়লো। তার এখন কান্না পাচ্ছেনা। রিদের মুখ দেখে তার তো হাসি পাচ্ছে। ভীষন ভয় পাচ্ছে তা মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তার রিদ ভাইয়াও যে ভয় পাই আজকে না দেখলে তো সে জানতোই না।
রিদ তিলকে কিছু বলতে গিয়েও বললোনা। চট করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। কেন বেড়িয়ে গেলো তিল ঠিক বুঝতে পারলো। বিছানা থেকে নেমে রুমটা ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে নিলো। পান্জাবীটা তুলে ঝেড়ে নিয়ে নিজের শাড়ীটাও ঠিক করতে লাগলো। একটু পরেই তো সে তার রিদ ভাইয়ার বউ হবে। ঠিকঠাক মতো শাড়ী না পড়লে চলবে???? আচ্ছা আমাকে কি এখানে ইংলিশে কবুল বলতে হবে? আর এখানকার কাজীরা কেমন হয়? তারাও কি পান্জাবী আর টুপি পড়ে নাকি প্যান্ট,শার্ট,স্যুট পড়ে থাকে???
তিলের চিন্তা বিনাশ করতেই হয়তো রিদ বাঙালী কাজী খুজে নিয়ে এসেছে,সাথে সিজাতও আছে,শুধু কাজী হলে তো হবেনা সাক্ষীও লাগবে!
কাজী,সিজাত তিলের মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আধঘন্টা ধরে কাজী বসে আছে কিন্তু তাকে দিয়ে কবুল বলানো যাচ্ছেনা। যেই কাজী বলছে বলো মা কবুল! অমনি তিল হাসি মুখে রিদের দিকে তাকাচ্ছে তো বেজার হয়ে মুখ ফিরিয়ে কাজীকে বলছে,হয়নি আবার প্রথম থেকে সব বলুন!
এবার সিজাত ধৈর্য্য হারিয়েই তিলকে বললো,
“”তিয়ামতী,তুমি কি কবুল বলবে?
“” কি করে বলবো? আমি অমন রাগী মানুষকে বিয়ে করতে পারবোনা। উনি অমন রাগ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন? মনে তো হচ্ছে কবুল বললেই উনি আমাকে এক কামড়েই গিলে খেয়ে ফেলবেন! উনাকে বলুন একটু হাসি মুখ করতে তাহলেই আমি কবুল বলবো!হুহ!””
সিজাতের অনেক চেষ্টার ফলে রিদের ঠোটে কৃত্রিম হাসি ফুটেছে আর তিলও খুশিতে বেশ জোরেই কবুল বলে উঠলো।
কাজীকে বিদায় দিয়ে তিলের উদ্দশ্যে রিদ বললো,
“” হয়েছে তোর বউ হওয়া? শান্তি? আমি সিজাতকে সব বলে দিয়েছি সব ব্যস্থা করতে। তুই কাল পরশুই বাড়ি ফেরত চলে যাবি।””
রিদের কথায় তিল মাথা নাড়াতেই রিদ আবার বললো,
“” এখনো বসে আছিস কেন? সারারাত কি বসেই কাটিয়ে দিবি? ঘুমিয়ে পড়।””
তিল বসা থেকে উঠে গিয়ে বললো,
“” ঘুমাবো মানে? আমরা বাসর করবোনা?””
তিল কথা শেষ করতেই রিদ ঠাস করে থাপ্পড় মেরে বসলো ওর গালে। তিলের মাথার চুল টেনে ধরে বললো,
“” এই মুখ দিয়ে আর একটা শব্দ বের হলে তোর মুখ আমি টেনে ছিড়ে ফেলবো।””
চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here