ভালোবাসার_নীল_জোছনা পর্ব ২

0
3106

ভালোবাসার_নীল_জোছনা পর্ব ২
#লেখক_আরিয়ান_অরণ্য

স্যার বললেন সরকার একটি জরিপের কাজে কিছু তথ্য নেওয়ার জন্য কলেজের স্টুডেন্টদের মধ্যে থেকে ভলেন্টিয়ার খুঁজছে, আগ্রহীরা যেন তাদের নাম জমা দেয়। রাহুল ওর নাম জমা দিলো স্যারকে।
দুদিন পর যারা ভলেন্টিয়ার হবার জন্য নাম জমা দিয়েছেন তাদেরকে স্যার রুমে ডাকলেন। বললেন- তোমাদের মধ্যে থেকে দুজন করে নিয়ে প্রতিটা গ্রুপ করা হয়েছে। আমি কোন গ্রুপে কে থাকবে ঠিক করে রেখেছি। তোমরা তোমাদের গ্রুপ পার্টনার কারা দেখে নাও।
রাহুল গিয়ে দেখতে পেলো স্যার দিয়াকে ওর গ্রুপ পার্টনার করেছেন।
রাহুল আর দিয়া দুজনেই দুজনকে দেখে চমকে উঠলো। রাহুলতো জীবনেও এই গুন্ডি মেয়ের সাথে কাজ করবে না। সে তাড়াতাড়ি স্যারের কাছে গেল। ওর পিছন পিছন গেলো দিয়া।
– স্যার আপনি আমার পার্টনার চেঞ্জ করে দেন। (রাহুল)
– স্যার আমিও এই ছেলের সাথে কাজ করবো না, ওর বদলে যাকে ইচ্ছা তার সাথে দিন আমাকে। (দিয়া)
– কেন কি সমস্যা? (স্যার)
– এমনি স্যার আমার ওকে পছন্দ না। (দিয়া)
– আমারও ওকে পছন্দ না। (রাহুল)
– ( স্যার রেগে গিয়ে ) সাট আপ। আমি কি তোমাদের বিয়ে করতে পাঠাচ্ছি? দুজনে চুপচাপ একসঙ্গে কাজ করো না হলে নাম কেটে নাও এখান থেকে।
রাহুল আর দিয়া দুজনেই বুঝলো স্যারকে রাগানো ঠিক হবে না, তাই চুপচাপ মেনে নিলো স্যারের কথা। কিছুক্ষণ পরে স্যার রাহুলকে একা ডেকে নিয়ে বললেন- মনে কিছু করো না। দিয়া বদমেজাজি বলে ওর সাথে কাজ করতে চায় না কেউ। তোমার ব্যাপারে যা শুনেছি তুমি খুব ভালো আর ভদ্র, ওর সাথে সমস্যায় জড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে কম তোমার। তাই তোমাকে ওর পার্টনার বানিয়েছি। আশা করি কাজটা ভালোমতো শেষ করবে।
কিছুদিন পর ওদের কাজ শুরু হলো, একেক গ্রুপ একেক এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিদিন দুটো থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কাজ। রাহুল আর দিয়ার কাজ পড়লো কলেজ থেকে সবচেয়ে দূরের এলাকায়। তাই প্রতিদিন রিকশায় করে যেতে হয় ওদেরকে।
প্রথমদিন দুজনে চুপচাপ রিকশায় করে গেলো। রাহুল অনেকখানি চেপে বসলো যেনো দিয়ার গায়ের সাথে ওর স্পর্শ না লাগে। দিয়াও বুঝতে পারলো ব্যাপারটা, সেও অনেকটা সরে বসলো। দুজনে কারো সাথেই কোনো কথা বললো না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তথ্য নিতে লাগলো, কিছু প্রশ্ন রাহুল করে কিছু প্রশ্ন দিয়া করে। এর মধ্যে একবাড়িতে গিয়ে সোফায় বসে ওরা প্রশ্ন করছে, এমন সময় বাসার একটা ছোট ছেলে বললো- তোমরা কি জামাই বউ?
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here