#ভালোবাসা রং বদলায়
লেখক — #মাহমুদ
পর্ব — ১৮
*
রাতের খাবার শেষ করে থালাবাসন পরিষ্কার করে ঘরে ঢুকল রূপা। গিয়ে দেখতে পেল ধ্রুব অন্যপাশ ফিরে ফোন টিপছে। কোনরকম মেঝেতে বিছানা পাতালো সে। শরীরটা আজ তেমন একটা ভালো না। কমপক্ষে আজ ৪-৫ বার বমি করেছে সে। খুব দূর্বল লাগছে শরীরটা। এখন একটু বিশ্রামের প্রয়োজন। রূপা মেঝেতে শুতে যাবে এমন সময় ধ্রুব বলে উঠল,
– এখন ঠিক আছো তো?
আচমকা ধ্রুবের প্রশ্নে চমকে গেল রূপা। ধীর গলায় বলল,
– জ্বি।
– ওষুধ খেয়েছো তো?
– জ্বি… না।
– কেন? ওষুধ না খেলে কী চলবে? যাও এখুনি খেয়ে আসো।
– আমি এখন সুস্থ আছি। আপাতত ওষুধ খাওয়ার কোনো দরকার নেই।
– চুপ! যা বলেছি তাই করো।
– (নিশ্চুপ)
– কী বললাম, কানে যায়নি? যাও বলছি!
ধ্রুবের ধমকে, ভয়ে চটজলদি বসা থেকে উঠে ওষুধ খেয়ে নিল রূপা। শোবার জন্য বিছানায় যেতেই ধ্রুব বলল,
– থাক! আজ নিচে শুতে হবে না। খাটে শুয়ে পড়ো।
রূপা অবাক হল। বলল,
– মা-মানে? আ-মি…..
– এত ন্যাকামি করার কী আছে? তুমি অসুস্থ বলেই শুতে বলেছি। দ্যাটস ইট।
রূপা নিচু সুরে বলল,
– আমি এখানেই ঠিক আছি।
– একটা কথা কত বার বলতে হয় তোমাকে?
ভয়ে আর কিছু না বলে কাথা বালিশ নিয়ে বিছানার এক কোণা চেপে শুয়ে পড়ল রূপা। সঙ্গে সঙ্গে লাইট-টা অফ করে দিল ধ্রুব। ডিম লাইটের আলো জ্বলছে। সেই আলো দিয়েই ধ্রুব রূপার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রয়েছে। সবুজ বাতিতে মেয়েটার মুখটা আরো ফুটে উঠেছে বোধময়। রূপা আড় চোখে তাকাতেই টের পেল ধ্রুব তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অস্থিরতা বেড়ে গেল তার। রূপা একটু নড়ে উঠতেই ধ্রুব অপ্রস্তুত ভাবে চোখটা সরিয়ে নিল। ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক করার জন্য বলল,
– কাল আসলে কী? এটা নিয়ে তুমি খুব কনফিউজড! রাইট?
নাথা নাড়াল রূপা। ধ্রুব বলল,
– নিলু সবাইকে নিষেধ করে দিয়েছে, তোমাকে কিছু যেন না বলতে!
– (নিশ্চুপ)
– ওর কথা হল কাল বৌভাত, আর এটা তুমি কিভাবে ভুললে?
অবাক হল রূপা। বলল,
– কাল বৌভাত!
– ইয়েস!
– সরি…. আসলে আমি ভুলে গেছিলাম।
– সমস্যা নাই। আচ্ছা, তুমি এখন রেস্ট নাও, ঘুমাও। গুড নাইট।
প্রতিউত্ত্যুরে মাথা ঝাকাল রূপা। ধ্রুবের এমন স্বাভাবিক আচরণ গুলো কেন জানি হজম করতে পারছে না সে। এইতো এই একমাসে ধ্রুবের স্বাভাবিকতা নজরে এসেছে তার। আগে যেমন তাকে বিনা কারণে মারধর করত, গালিগালাজ করত, এখন তা একদমই করে না ধ্রুব। বরাবরই তার সাথে ভালোভাবে কথা বলে সে। আজ যেমন তার বিছানায় শুতে বলেছে রূপাকে। এটা কিভাবে সম্ভব? ধ্রুবের এমন স্বাভাবিক হবার কারণটি কী?
.
– কাল ভাইয়া-ভাবির বৌভাত, বুঝেছ? প্রায় কাল সবাই’ই আসবে। তুমিও প্লিজ এসো।
– কিভাবে আসি, বলো? আমি তো এখন ঢাকার বাইরে।
– তো, কি হয়েছে? রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসতে টাইম লাগেনা তেমন। তুমি ভোরের দিকে রওনা দিও বুঝলে? ১০ টার ভিতরে তো মাস্ট পৌঁছে যাবা।
– তা হয় না নিলু। এখানে আমার বাবামা আছে। তাদের কে রেখে আমি কিভাবে ঢাকায় যায় বলো? আর তুমি তো জানো, আমার বাবার অবস্থা কতটা ক্রিটিকাল? বাবা ঠিকমত ওষুধও খায়না। ডক্টর বলেছেন ঠিকমত ওষুধ না খেলে বাবার সুস্থ হবার পসিবিলিটি খুব কম। এর মধ্যে নতুন ওষুধের নামও লিখে দিয়েছেন। টাকার অভাবে সেগুলো কিনতেও পারছি না। এখন যে কী করবো আমি, বুঝতে পারছি না।
– তুমি চিন্তা করো না শরৎ। টাকার ব্যবস্থা আমিই করে দিব। তুমি শুধু আংকেল এর পাশেই থাকো। উনাকে যেভাবেই হোক সুস্থ করতেই হবে তোমাকে।
– তোমাকে যে কী বলে ধন্যবাদ দেব আমি? আমার কোনো ভাষায় নেই বলার মত। তুমি এলওয়েজ আমাকে নানাভাবে হেল্প করেছ। আমি খুবই কৃতজ্ঞ তোমার উপর। আমি কথা দিচ্ছি, অফিস থেকে টাকা পেলেই তোমাকে দিয়ে দিব।
– সেসব কথা পরে। আগে বলো, আন্টি কেমন আছেন?
– আলহামদুলিল্লাহ্ মোটামুটি ভালোই আছেন।
– মোটামুটি বলতে?
– মা কিছুদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। প্রেসার লো হয়ে গিয়েছিল বলে। আমার চাচা মাকে হসপিটালে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। চাচা ফোন করে সবটা জানালে ছুটে রাজশাহীতে চলে যায়। পরে ডক্টরের থেকে জানতে পারি মায়ের বড় ধরণের রোগ হয়েছে। এখুনি চিকিৎসা না করালে হাল বেহাল হয়ে যেতে পারে। তখন আমি কী করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। সেদিন টাকাও হাতে ছিলনা আমার। টাকার চিন্তায় পাগল হয়ে গিয়েছিলাম একেবারে। এরপরই তো তোমার থেকে টাকা চেয়ে নিয়েছিলাম। সত্যিই তুমি যতটা না আমাকে হেল্প করেছ ততটা অন্যকেউ কারো জন্য করে কিনা সন্দেহ।
– হয়েছে হয়েছে এত গুণগান করতে হবে না। আমি যা করেছি আমার ভালোবাসার মানুষটির জন্য করেছি। বুঝেছ?
– হু…. আই লাভ ইউ লাভ বার্ড। এন্ড অ্যাম সরি।
– সরি কেন বলছ?
– তোমার ভাইয়ার বৌভাতে যেতে পারছি না বলে।
– সমস্যা নাই। আগে আংকেল-আন্টি… তারপর অন্যকিছু।
– থ্যাঙ্ক ইউ বেবি। অনেক মিস করছি তোমাকে।
– আমিও।
.
সকালবেলা রূপা ঘুম থেকে উঠতেই মনে হল কেউ তাকে মোটা জাতীয় দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছে। আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলে তাকাতেই নিজেকে কারো বাহুডোরে আবিষ্কার করল সে। উঠার চেষ্টা করলেও উঠতে পারল না রূপা। ঘুমের রেশ কাঁটতেই দেখতে পেল ধ্রুব তাকে নিজের বুকের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে করে জড়িয়ে রেখেছে। রূপা এবারও চেষ্টা করল উঠবার জন্য। কিন্তু বরাবরই এবারও উঠতে পারল না সে। বুঝতে পারল, ধ্রুব তার এক পা রূপার গায়ের উপরে আয়েশ করে রেখে দিয়েছে। এখন কয়টা বাজে? ঘড়িতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল রূপা। সাড়ে ছয়টা বাজে। তার মানে নামাজের ওয়াক্ত চলে গিয়েছে। মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল রূপার। এমনটা কখনওই হয়নি যে সে দেরী করে উঠেছে, নামাজ কাযা করেছে। আজ কেন জানি, ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গিয়েছিল সে।
শোয়া থেকে আবারও উঠতে চাইল রূপা। কিন্তু এবারও উঠতে পারল না সে। এভাবে আর কতক্ষণ ও বা থাকবে সে? ওইদিকটাই যে দেরী হয়ে যাচ্ছে। রূপা ফিসফিসানি সুরে ধ্রুবের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
– এই যে শুনছেন?
ধ্রুব একটু নড়েচড়ে উঠল। আরো গাঢ়ভাবে রূপাকে জড়িয়ে ধরল সে। রূপা এবার মুশকিলে পরে গেল। ধ্রুব এমনভাবে তাকে আঁকড়ে ধরেছে যে আর কিছুক্ষণ এভাবে থাকলে মরে যাবে সে। রূপা আবারও বলল,
– শুনতে পাচ্ছেন? এই যে আমি বলছি….
– উফ ঘুমাতে দাও তো।
বলেই আবারও রূপাকে জড়িয়ে ধরল সে। রূপা চিন্তায় পড়ে গেল। এখান থেকে সে উঠবে কিভাবে? ধ্রুব যে তাকে ছাড়তেও চাচ্ছে না। তাহলে এখন
রূপা বুদ্ধি করে তার চুলগুলো দিয়ে ধ্রুবের মুখের উপরে সুড়সুড়ি দিতে লাগল। আর চেচিয়ে বলতে লাগল,
– উঠুননননন….
ধড়মড়িয়ে ধ্রুব শোয়া থেকে উঠে বসল। বলল,
– ওয়াট দ্যা হেল!!!!
রূপা মাথা নিচু করে বলল,
– সরি… এটা ছাড়া আপনাকে ঘুম থেকে উঠাবার জন্য আমার কাছে আর কোনো উপায় ছিলনা।
– তাই বলে এভাবে?
– স-সরি…..
– ওকে, প্রব্লেম নাই। তুমি এখন সুস্থ আছো তো?
– জ্বি…
– গুড। এখন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও।
– হুম।
.
বৌভাতের উপলক্ষে রূপা আজ নীল রঙের জামদানী শাড়ি পড়েছে। চুলগুলো সুন্দর করে ঝুলানো খোপা করা, কানে ছোট দুটো সাদা পাথরের ঝকঝকে দুল, ডান হাতে সাত-আটটা নীল পাথরের চুরি আর বাঁহাতে ব্রেসলেট সিস্টেম একটি দামী ঘড়ি। আর তার সাজসজ্জা কেবল চোখে গাঢ় আকারের কাজল আর ঠোঁটে হালকা গোলাপী রঙের লিপস্টিক বেশ মানায়। সেখানে নতুনভাবে অধরারঞ্জনীর প্রয়োজন না হলেও চলে।
ধ্রুব দূর থেকে দাঁড়িয়ে আয়নার ভিতর দিয়ে রূপার এই নতুনত্ব রূপ দেখছে। যেন আপাদমস্তক মানুষটাই এক নতুন কেউ। তাকে দেখে ওর কাছে কেবল মনে হচ্ছে, পড়ন্ত বিকালের লালচে হলুদ মিষ্টি রৌদ্রের মাঝে একগুচ্ছ স্বর্ণচাঁপা দুপুর বা গন্ধরাজ বিকেল জুড়ে আছে এই ঘরের ভিতরে। কিন্তু কিছু একটা মিসিং আছে মনে হচ্ছে। পরোক্ষণে আয়না থেকে একটা নীলটিপ নিয়ে কপালে বসিয়ে দিল রূপা। ধ্রুব মুঁচকি হাঁসি দিয়ে বিড়বিড় করে বলল,
– এই অপরূপ সৌন্দর্য্যের মাঝে এই নীলটিপ-টা যেন আরো দ্বিগুণ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে রূপবতী কন্যারত্নকে।
হঠাৎ পিছন ঘুরে তাকাতেই ধ্রুবকে দেখতে পেল রূপা। নীল রঙের পাঞ্জাবী, সাদা রঙের পাজামা, বুকের এক সাইডে সাদা স্টোনের ব্রুজ, হাতা কবজি পর্যন্ত স্লাইড করে গোটানো। সবমিলিয়ে যেন কোনো হিরোর থেকে কম লাগছে না তাকে দেখতে। কতসময় ধরে একেঅপরের দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রয়েছে দুজনে। নিলুরর আগমনে দুজনের ঘোর ভেঙে যায়।
– ভাবি! আমার একটু সেপ্টিপিন-টা একটু লাগিয়ে দাও।
বলতে বলতেই দুজনের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে নিলু বলে উঠল,
– বাব্বাহ! নীল রঙে যে দেখছি দুনিয়াটা গাঢ় রঙিন হয়ে উঠেছে। আহা! দুজনকে সেই লাগছে সেই।
বলেই আবারও দুজনের দিকে তাকিয়ে নিলু বলল,
– ভাবি তোমাকে কেমন দেখাচ্ছে জানো? একদম নীল পরিদের মত। কোনো অপপ্সরীও হার মানবে তোমার এই সৌন্দর্যের কাছে। আর আমার প্রাণের প্রিয় ভাই। তোকে এই মুহূর্তে কেমন দেখাচ্ছে জানিস? একদম নীল তিমি মাছের মত।
বলেই ঘর কাঁপিয়ে হেঁসে দিল নিলু। ধ্রুব বলল,
– চড়িয়ে তোর সব দাঁত ফেলে দেব, বদমাইশ।
– ওকে ওকে সরি। তোমাকেও কিন্তু পরীদের থেকে কম সুন্দর লাগছে না।
বলেই আবারও হেঁসে দিল নিলু। রূপাও না পেরে হেঁসে দিল। ধ্রুব রাগে কঁচলাতে কঁচলাতে বলল,
– তোদের দুজনকে পরে দেখে নেব আমি।
বলেই ধ্রুব হনহন পায়ে চলে গেল। রূপা-নিলু যেন এবার হাসির রাজ্যে খুলে বসল।
.
বাড়িতে আজ মেহমানে ভরপুর। সবাই যেন বউকে দেখবার জন্য কাতর হয়ে উঠেছে। খাওয়া-দাওয়া চুকিয়ে সবাই প্রথমেই রূপাকে দেখতে ব্যস্ত। রূপা বরাবরই মোমের পুতুলের মত বসে রয়েছে। অস্বস্তি লাগছে খুব। শরীরটাও জ্বলে উঠছে। বমি যেন উবে আসতে চাইছে। এভাবে সে আর কিছুক্ষণ বসে থাকলে কেলেংকারির আর সীমা থাকবে না। রূপার বমির প্রবণতা আরো বাড়তে আরম্ভ করল। এখানে আর একসেকেন্ডও বসে থাকা তার কাছে দূস্কর। রূপা এদিকওদিক তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। ঘরের দিকে পা বাড়াতে যাবে এমন সময় ফারজানা বলে উঠলেন,
– কোথায় যাচ্ছিস?
– মা, আমি একটু রুমে যাচ্ছি। শাড়ির পিন খুলে গিয়েছে।
– আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসিস কিন্তু।
– জ্বি।
রূপা চলে গেল। ঘরে ঢুকামাত্র সে প্রথমে বাথরুমে গেল। গড়গড় করে বমি করল । কোনরকম হাতমুখ ধুয়ে আবারও বসা ঘরের দিকে পা বাড়াতেই একটা চেনাপরিচিত ছেলের দিকে চোখ গেল তার। ছেলেটাকে দেখার চেষ্টা করলেও স্পষ্ট ভাবে দেখতে পেল না সে। রূপা আর সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করল না। সিড়ি বেয়ে কোনরকম রেলিং ধরেই নিচে নেমে গেল। শরীরটা খুব দূর্বল লাগছে তার।
রূপা চুপচাপ বসে রয়েছে। আর পাশে বসেছে ধ্রুব। একেএকে সবাই তাদেরকে কিছু না কিছু বলে যাচ্ছে। একজন বলেছে, ‘পারফেক্ট কাপল।’ আরেকজন বলেছে, ‘ধ্রুব ভাবি কিন্তু সেই পেয়েছিস।’ কেউ কেউ ফারজানাকে ডেকে বলেছেন, ‘বউমা কিন্তু তুমিই একটা পেয়েছ বলতে গেলে। একদম লক্ষি মেয়ে।’ ফারজানা উত্তরে বলেছেন, ‘হ্যা, তা যা বলেছ। সত্যিই আমরা একটা লক্ষি মেয়ে পেয়েছি। এই যুগে এমন মেয়ে ভাগ্য করে পাওয়া যায়।’ বলেই মুঁচকি হেঁসে ছিলেন।
ফারজানা রূপাকে ডেকে বললেন,
– এদিকে আয় মা।
রূপা উঠে ফারজানার কাছে চলে গেল। বলল,
– মা ডেকেছিলেন?
ফারজানা একটা মহিলাকে ইশারা করে বললেন,
– হুম। ইনি হচ্ছেন তোর খালাম্মা। মানে আমার ছোট বোন মনোয়ারা।
– আসসালামু আলাইকুম খালাআম্ম। কেমন আছেন?
– ওয়ালাইকুম আসসালাম। এই তো মা ভালো। তুমি কেমন আছ?
– জ্বি ভালো।
কিছুক্ষণ ওরা কথোপকথন চালিয়ে গেল। এরপর মনোয়ারা বেগমের ফোন বেজে উঠতেই চলে গেলেন। ফারজানা বেগমও অন্যকাজে চলে গেলেন। থেকে গেল রূপা। সেও স্টেজ এর দিকে এগুতেই চোখ দুটো বড়বড় হয়ে গেল তার। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগল। সামনের দিকে এগুতে চাইলেও পারল না। বরফের মত যেন জমে গেল। রূপা অস্ফুট সুরে বলে উঠল,
– স-সৈকত…….
চলবে,,,,,,
লেখকের অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষিদ্ধ