#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#২_পর্ব
,
মেহরাব নিচে নেমে দেখলোও যে ও যে চেয়ারে বসে খাই সেই চেয়ারে মাহি বসে আরামসে খেয়ে যাচ্ছে,, এটা দেখে তো মেহরাব এর মাথা গরম হয়ে গেলো কেননা ওর চেয়ারে কেউ বসে না এই বাড়ির সবাই জানে যে ওই চেয়ারে বসলে মেহরাব রেগে যাবে তাই কেউ বসে না। মাহিকেও নিষেধ করা হয়েছিলো কিন্তু মাহি তো মাহি ও কারো কথা শোনে না, জেদ ধরে বসলোই।
এসব কি মা?? তুমি জানো না আমি পছন্দ করি না যে কেউ আমার জিনিসে হাত দিক তুমি তো জানো তার পরেও ও এখানে বসলো কার কথায়(রেগে বলল মেহরাব)
সবাই তো ভয়ে খাওয়া অফ করে মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে আছে,,, আর ওদিকে মাহি গপাগপ খেয়েই চলেছে কেননা মাহি জানে ও যদি একবার খাওয়া অফ করে তাহলে আর এই মজার খাবার গুলো খাওয়া হবে না,, তাই আগে খাবার খাচ্ছে পরে বকা খাবে।
তোকে কতবার বললাম যে এখানে বসিস না, এখন দেখছিস তে কি হচ্ছে,,, কিরে আমার কথা শুনছিস??(ফিসফিস করে বলল মেঘলা)
হুম হুম (খেতে খেতে বলল মাহি)
কি হুম হুম করছিস ভাইয়া কিন্তু রেগে একেবারে বোম হয়ে গেছে।
মেহরাব ভাইয়া আপনি এখানে বসেন আমার খাওয়া হয়ে গেছে (মাহি খাওয়া শেষ করে বড় একটা ঢেকুর তুলে দাঁত কেলিয়ে বলল)
মেহরাব মাহির দিকে রেগে তাকিয়ে উপরে চলে গেলো।
কিরে মাহি তোর আমার ছেলের পিছনে না লাগলে ভালো লাগে না বুঝি??(রুপালি,,মেহরাব এর মা)
কি বলোতো মামীমা আমি তো কিছু করতে চাই না কিন্তু তোমার ছেলেকে দেখলে মন চাই শুধু জ্বালায় হিহিহি.।
হাসো হাসো পরে মজা বুঝবে আমি জানি তো ভাইয়া চুপ করে বসে থাকবে না নিশ্চয়ই কিছু করবে তখন বুঝবি মজা(মনে মনে বলল মেঘলা)
পাগলি মেয়ে একটা (রুপালী)
আচ্ছা মামীমা আমি আসি তাহলে কলেজ যেতে হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে যা,, সাবধানে যাস।
ওকে,,,এই বলে আমি চলে আসলাম,, মেহরাব ভাইদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি বেশি দূরে নয় কাছেই হেঁটে গেলে ,,, ২০,,, ৩০ মিনিট লাগে,,আর মেহরাব হলো আমার বড় মামার একমাত্র ছেলে।
কিরে তোর মামি এসেছে?? (মাহির মা)
হুম আসছে বলেই তো আমি আসতে পারলাম(রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল মাহি)
আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি.
না মা আমি খাবো না,, খেয়ে এসেছি, আমি এখন সোজা কলেজে যাবো, তা মনির (ছোট ভাই) আর আব্বু কোথায়??
তোর আব্বু তো অফিসে গেছে আর মনির স্কুলে গেছে।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি তাহলে গেলাম বলো (এই বলে রুমে যেয়ে রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ল)
এই এক জ্বালা তারাতারির সময় কোনো গাড়ি পাওয়া যাই না,, এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে তার উপর আবার মামার ওখান থেকে এতো খেয়েছি যে এখন হাঁটতেও পারবো না উফফ বেশি খাওয়া হয়ে গেছে। (দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি মেহরাব ভাই গাড়ি নিয়ে আমার সামনে থামালো)
কিরে কলেজে না গিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস??(মেহরাব)
দেখছেও গাড়ি পাচ্ছি না তারপরেও আবার জিগাস করছে কানা একটা (মনে মনে বলে তারপর মুখে বললাম)
গাড়ি পাচ্ছি না।(মাহি)
ওহ এই বেপার, চলে আয় আমি পৌঁছে দিচ্ছি।
কিরে সকালের ঘটনা টা কি একে বারে বেমালুম ভুলে গেলো?? কোনো রিআ্যাকশন নেই বেপার কি (মনে মনে বলল মাহি)
কিরে এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস চলে আয় দেরি হয়ে যাচ্ছে তো(মেহরাব)
আসছি,, এই বলে গাড়িতে উঠে বসলাম ভাইয়ার পাশের সিটে।
সিট বেল্টটা লাগিয়ে নে।
ওকে। ভাইয়া গাড়ি চালাতে শুরু করলো কিছু দূর যাওয়ার পর আমি বললাম।
আসলে ভাইয়া সকালের জন্য সরি আমি বুঝতে পারিনি আপনি এভাবে রেগে যাবেন (মাহি)
আরে রাগ করার কি আছে বেপার না,,,, তারপর আবার গাড়ি চলতে লাগল অনেকটা যাওয়ার পর ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে বলল।
একটু নাম তো মনে হয় গাড়িতে প্রোবলেম হয়েছে (মেহরাব)
আচ্ছা ঠিক আছে,, এই বলে আমি গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াতেই ভাইয়া গাড়ি স্টার্ট দিলো কিছুটা গিয়ে গাড়ি স্লো করে গাড়ির জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল।
এখান থেকে রিক্সা পাওয়া খুবি মুশকিল আর তোর কলেজ টাও অনেক দূর,, সকালে আমার সাথে ওমন করার শাস্তি এটা এখন হেঁটে হেঁটে কলেজ যা,, এর পর আমার সাথে লাগতে আসবি না ওকে (এই বলে ভাইয়া গাড়ি নিয়ে সাঁই করে চলে গেলো)
আমি তো ওখানে দাঁড়িয়েই রেগে বোম হয়ে গেছি,,, সালার মেহরাব কতবড় সাহস এর প্রতিশোধ তো আমি নেবোই,,,, রেগে হাঁটতে শুরু করলাম,, অনেকটা পথ, শেষে মেষ কলেজে আসতে পারলাম ঘেমে নেয়ে একেবারে অবস্থা খারাপ এক ক্লাস শেষ হয়ে আরেক ক্লাস শুরু হয়ে গেছে আমি ওমনি ক্লাসে ঢুকলাম স্যার অনেককিছু শোনালো ক্লাস ভরা স্টুডেন্ট এর সামনে,
এই সব হয়েছে ওই লম্বার উপর খাম্বার জন্য এর প্রতিশোধ তো আমায় নিতেই হবে।
এদিকে,,,,
মেহরাব একা একাই মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে অফিসে ঢুকলো,, আজকে মাহিকে ভালোই শিক্ষা দিয়েছে,, মেহরাব কে হাসতে দেখে সবাই মেহরাব এর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে।
কি হলো সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?? যান সবাই সবার কাজে যান (নিজেকে ঠিক করে বলল মেহরাব)
,,,,,,,,,,,,
,,,মেঘলা ভার্সীটিতে যাচ্ছিলো তখনি সামনে পুলিশের জিপ এসে থামলো, মেঘলাতো পুরো ভয় পেয়ে গেছে চোখ বন্ধ করে মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে।
মেঘ গাড়ি থেকে নেমে দেখলো মেঘলা চোখ বন্ধ করে বিরবির করে কি যেনো বলছে, মেঘের খুব হাসি পাচ্ছে তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করে মেঘলার সামনে দাঁড়ালো।
মেঘলা চোখ বন্ধ করেই বলল।
দ,,,দেখুন আমি কিছু করিনি প্লিজ আমাকে থানায় নিবেন না, আমার কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার বান্ধবীর.
মেঘ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে মেঘলার দিকে কি বলছে কি মেয়েটা,, কিছুই তো বুঝতেছি না তবে আম শিওর ও নিশ্চয়ই কিছু করেছে নয়ত এসব বলছে কেনো।
আর ওদিকে মেঘলা কালকে ওর বান্ধবী কে পালিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করেছে তাই ও ভাবছে এর জন্যই মনে হয় পুলিশ ওকে ধরতে এসেছে,, তাই চোখ বন্ধ করে ওসব বলল।তারপর চোখ খুলে দেখলো যে মেঘ।
আরে এটা তো ভাইয়ার বন্ধু খাইছে রে যদি ভাইয়াকে বলে দেয় তাহলে তো আমি শেষ। (মনে মনে বলল মেঘলা)
চলবে,,,,,,??#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#৩_পর্ব
,
আপনি যেটা করেছেন সেটা মোটেও ঠিক করেননি এর জন্য আপনাকে আমার সাথে থানায় যেতে হবে ( পুরাই ঢপের চপ কি করেছে আল্লাহ জানে,, আন্দাজে ঢিল মারলাম দেখি কি হয়।)
থ,,,,থানায় যেতে হবে কেনো?? ব,,,,বিশ্বাস করেন আমি কিছু করিনী শুধু সাক্ষী হিসেবে সাইন করেছি এই আর কি প্লিজ আমাকে জেলে দিবেন না(কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলল মেঘলা)
হুমম এবার বুঝলাম পুরো কাহিনি এ তারমানে ওনার কোনো এক বান্ধবীকে পালাতে সাহায্য করেছে,,,বাহ এতো দেখি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ইয়েস (মনে মনে বলল মেঘ)
আপনার নামে থানায় কমপ্লেন করা হয়েছে,,(ডাহা মিথ্যা কথা)
কি???
হুম আর আপনি তো মেহরাব এর বোন ওকে তো বেপ্যার টা জানাতে হচ্ছে (পকেট থেকে ফোন বার করতে করতে বলল মেঘ)
না না প্লিজ ভাইয়াকে বলবেন না,, এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি আর কাওকে বিয়ে করতে সাহায্য করবো না প্লিজ আমাকে জেলে দিবেন না (কেঁদে বলল মেঘলা)
ওহহ বেবিটা কান্না করে দিসে কত্ত কিউট লাগছে মন চাইছে একটা পাপ্পি দিই,, মনে মনে বলল মেঘ।
আচ্ছা ঠিক আছে এখন আপাতত আপনাকে ছেড়ে দিলাম তবে তার আগে আপনার ফোন নাম্বারটা দেন কথা বলবো।
মানে??
ইয়ে মানে এই বেপ্যারে কথা বলবো এই আর কি এখন যলদি করে আপবার ফোন নাম্বারটা দেন (মেঘ)
ও,,,ওকে এই নিন,, তারপর মেঘলা ওর ফোন নাম্বারটা মেঘকে দিয়ে বলল।প্লিজ ভাইয়াকে বলবেন না যেনো।
ওকে বলবো না,, এখন আপনি যান (খুশি হয়ে বলল মেঘ)
,,,,,,,,
রাগে বোম হয়ে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলো মাহি ব্যাগটা ধরাম করে সোফার উপর রেখে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।
আরে ফুপি আর দিও না তো পেট ভরে গেছে আমার।। পাশে কারো কথা শুনে মাহি পিছনে তাকিয়ে দেখলো মেহরাব ডাইনিং টেবিলে বসে গপাগপ গিলছে আর ওর মা ওনাকে জামাই আদর করে খাওয়াচ্ছে,,দৃশ্য টা দেখেই মাথা গরম হয়ে গেলো,, রেগে টেবিলের কাছে গেলেই মা বলল।
কিরে কখন আসলি??
এই তো এইমাএ(মেহরাব এর দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে)
আচ্ছা গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে আয় খেয়ে নে।
হ্যাঁ হ্যাঁ যা যা গোসল করে আয় তোর গা থেকে ঘামের গন্ধ আসছে ইয়াক (খেতে খেতে বলল মেহরাব)
মাহি কিছু না বলে বড় বড় পা ফেলে রুমে চলে গেলো,, তারপর জামা বার করতে করতে একা একাই বলতে লাগল।
কি ভাবে কি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? আমাকে হেনস্তা করে আবার আমারি বাড়ি এসে কেমন গপাগপ করে গিলছে আবার বলে খেতেই পারি না,,, দেখে নেবো ওনাকে,, এসব বলতে বলতে গোসল করে বেরিয়ে সোজা ডাইনিং টেবিলে গেলো।প্লেটে ভাত নিয়ে যেই তরকারি নিতে চামচে হাত রাখলো তখনি মেহরাব নিজের হাত মাহির হাতের উপর রেখে তরকারিটা নিজের পাতে নিতে নিতে বলল।
আরে কি করছিস মাহি আর দিস না আমি তো খেতেই পারছি না পেট ভরে গেছে আমার (মেহরাব)
মাহি তো ওদিকে রেগে মনে হয় এখনি বোম ব্লাস্ট করবে তখনি মাহির মা বলল।
আরে মাহি তোকে তো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি,,
কি কথা মা।
ওই যে মীরার বাবা এসেছিলো পরশো দিন মীরার জন্মদিন আমাদের সবার দাওয়াত দিয়ে গেছে এই যে কার্ড।
মাহি মায়ের কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থাকলো তারপর কিছু একটা ভেবে রীনাখান মার্কা একটা হাসি দিয়ে,, মেহরাব কে বলল।
আরে মেহরাব ভাই আপনি তো কিছু নিচ্ছেনই না নিন মাছটা নিন,, পারলে পুরা দুনিয়া টা গিলে নিন হেহেহেহে (মেহরাব এর প্লেটে মাছ দিতে দিতে বলল মাহি)
কি হলো ফুপির কথা শুনে মাহি এমন পান্টি খেয়ে গেলো কেনো হুম নিশ্চয়ই কোনো ফন্দি এঁটেছে মনে মনে, মেহরাব সাবধানে থাকতে হবে তোকে (নিজেই নিজেকে বলল মেহরাব)
খাও বাছা খাও আমি যে কি জিনিস তুমি জানো না, আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়া না?? এবার বুঝবে মজা,, (মনে মনে বলল মাহি)
মেহরাব ভ্রু কুঁচকে মাহির দিকে তাকাতেই মাহি একটা কেবলা মার্কা হাসি দিলো।
,,,,,,পরশো দিন,,,,,
মাহি কলেজ থেকে ফিরতেই দেখলো ঘরে তালা দেওয়া ফোন বার করে মা কে ফোন দিতেই মা বলল, মেঘলার সাথে চলে আসতে ওখানে সব রাখা আছে। মাহিও ভালো মেয়ের মতো মেহরাবদের বাড়িতে চলে গেলো।
কিরে আপু পুরা বাড়ি ফাঁকা কেনো?? মামা মামিরা সব কই??(রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল মাহি)
আরে আম্মু আব্বু আর ফুপিরা তো সেই কোন সকালে চলে গেছে আমি তুই আর ভাইয়াই বাকি আছে।
কেনো মেহরাব ভাই যাইনি কেনো??
আরে ভাইয়াতো অফিসে গেছে তাই মা বলেছে আমদের দুজনকে ভাইয়ার সাথে চলে যেতে ভাইয়াও এখনি চলে আসবে।
মাহি মনে মনে কিছু একটা ভেবে বলল।
আপু আমরা দুজন তাহলে শাড়ি পড়ে যাবো কি বলো।
কিহ?? শাড়ি?? কিন্তু পরিয়ে দিবে কে?? আমি তো পরাতে পারি না আবার তুইও পারিস না তাহলে??
আরে ইউটিউব আছে তো(মাহি)
কিন্তু ইউটিউব দেখে পরতে গেলেও তো হবে না কেননা ওখানে কেমন যলদি যলদি পড়ে নেয় আমরা কিছুই বুঝবো না, আর একজন কে তো ফোনের কাছে থাকতে হবে যে ভিডিও টা টেনে টেনে দেখাবে,, কে থাকবে আমরা দুজনেই তো শাড়ি পরবো তাহলে।(মেঘলা)
মাহি কিছুক্ষণ ভেবে মেঘলার কানে কানে কিছু একটা বলল।
অসম্ভব আমি এটা কিছুতেই করতে পারবো না ভাইয়া আমাকে মেরেই ফেলবে আমাকে ছেড়ে দে (মেঘলা)
করতে তো হবেই তোমাকে আপু, তুমি যদি এটা না করো তাহলে কিন্তু আমি আর কখনো তোমার সাথে কথা বলবো না বলে দিলাম (মাহি)
কিন্তু ভাইয়া যদি একবার জানতে পারে এসবের পিছনে আমিও আছি তাহলে তোকে তো ধুবেই সাথে আমাকেও।
আরে মেহরাব ভাই জানতেই পারবে না,, এখন আমি তোমাকে যা যা বললাম তুমি তাই তাই করো কোনো ভুল যেনো না হয় (মাহি)
ওকে,,, আল্লাহ বাঁচাও,, কাজটা করলেও মরবো না করলেও মরবো, তুমিই রক্ষা করো (এটা বলতে বলতে মোঘলা চলে গেলো)
এবার বুঝবে মিস্টার মেহরাব চৌধুরী এই মাহি কি জিনিস (একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বলল মাহি)
কিছুক্ষণ পর মেহরাব আসলো, এসে সোজা নিজের রুমে গেলো ফ্রেস হয়ে রেডি হবে।
ওয়াশরুম থেকে গোসল করে রুমে এসে ড্রেস পরে আয়নার সামনে দাড়িয়ে হাত দিয়ে চুল ঝাড়ছিলো তখনি মাহি রুমের বাইরে থেকে বলল।
আসবো মেহরাব ভাই (দরজায় টুকা দিয়ে)
মেহরাব চোখ ছোট ছোট মাহির দিকে তাকিয়ে বলল,, আয়।
মাহি রুমে ঢুকে সরাসরি মেহরাব এর সামনে দাঁড়ালো তারপরই,,,,,,
চলবে,,,,,,??
(আপনাদের কি মনে হয় মাহি কি করার কথা ভাবছে??)