মায়াবিনী_মানবী পর্ব ১৭

#মায়াবিনী_মানবী
#হুমাশা_এহতেশাম
#পর্ব_১৭

কৃত্রিম আলোতে চারপাশ আলোকিত হয়েছে। চাকচিক্য আষ্টেপৃষ্টে ঘিরে ধরেছে চারিপাশ। মানুষ ছোটাছুটি করছে।কেউ ছুটছে মাইক্রোফোন হাতে,কেউ ছুটছে কাধে ভারী ক্যামেরা বহন করে। একে একে পরিচিত সব মুখ, পরিচিত সব লেখক লেখিকারা আসতে লাগলো।লেখক লেখিকাদের মাঝে কিছু কিছু আর্টিস্টও এসেছে। বাড়তে লাগলো কোলাহল। এই কোলাহলের মধ্যে ই আলআবির গাড়ি থামলো।গাড়ি থেকে নামতেই ইন্ট্রেন্স সাইডে জটলা পেকে গেল। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট এসে পড়লো আলআবির মুখমন্ডলে সেই সাথে কর্ণপাত হলো ক্যামেরার ক্যাচ ক্যাচ করে ছবি তোলার শব্দ।

আলআবি ভক্তরা ছুটে আসলো তার একটা স্বাক্ষর এর জন্য।যাকে সবাই অটোগ্রাফ বলে।ইন্ট্রেন্স এরিয়া পাড় করে ভিতরে প্রবেশ করে আলআবি। গিয়ে প্রথম সারির একটা সিটে বসে পড়ে।চারপাশে একবার ভালো করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে পরখ করে নেয়। হাতে মোবাইল ফোন টা নিয়ে জায়েফ কে একটা ম্যাসেজ সেন্ট করে…

–তোর ওই রমণীগণের সাথে দেখা করা শেষ হলে আমার পাশে এসে বস।কথা আছে।

জায়েফের ম্যাসেজ টোন বেজে উঠতেই সামনের মেয়েটির হাত ছেড়ে দিয়ে বলল…

–ওয়েট অ্যা মিনিট বেবি।

ম্যাসেজ টা চেক করে তার সাথে থাকা মেয়ে টা কে উদ্দেশ্য করে বলল…

–আই হেভ টু গো।আবার জলদি এসে পড়ব।ডোন্ট ওয়ারি।

মেয়েটাকে একটা ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিয়ে চোখ টিপ দিল।মেয়ে টার খুশি দেখে কে! নীল আর্মস্ট্রং ও চাঁদে গিয়ে মনে হয় এতো খুশি হন নি।

জায়েফ এসে আলআবির পাশে ধপ করে বসে পড়ে।আলআবি জায়েফ এর দিকে তাকিয়ে দেখে না।জায়েফ আলআবি কে কিছু কথা বলতে না দেখে জিজ্ঞেস করে…

–ভাই আমাকে কি একটু প্রেমটাও শান্তি মতো করতে দিবি না?প্রেম ছাড়া কি আছে জীবনে?

আলআবি জায়েফের উদ্দেশ্য শান্ত কন্ঠে বলল…

–তোরে প্রেম করতে দেখলে প্রেমিক পুরুষ কম জোকার বেশি লাগে।

জায়েফ কিছু বলার আগেই স্টেজে একজন নারী দাঁড়িয়ে বলল…

–গুড ইভনিং লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস।

জায়েফ আলআবির দিকে তাকিয়ে বলল…

–তোরে পড়ে দেখে নিব আগে স্টেজ সাজানো দেখে নেই।

–তুই যে কোন স্টেজ দেখবি তা ভালো করেই জানি।

আলআবির কথাটা শেষ হতেই আবারও স্টেজে দাঁড়ান শাড়ি পরিহিত মেয়ে টা বলতে লাগলো…

–ওয়েলকাম টু দ্যা “বেস্ট রাইটার এওয়ার্ড – টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান”। ইন দিজ সুইট ইভনিং উই আর গোয়িং টু স্টার্ট আওয়ার এওয়ার্ড ফাংশন বাই সিংগিং আওয়ার “ন্যাশনাল এনথেম”।

জাতীয় সংগীত এর পর অনেক মুহূর্ত আর অনেক সময় পার হয়ে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসলো।সবাই উৎসুক হয়ে দৃষ্টি রাখলো স্টেজে। স্টেজ থেকে একটি মেয়ে আর একটি ছেলে একসঙ্গে গলা মিলিয়ে বলে উঠলো…

–আওয়ার বেস্ট রাইটার এওয়ার্ড টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান গোজ টু “আলআবি মাশরুখ” ফর “নিভৃতে প্রস্থান”।সো প্লিজ গিভ অ্যা বিগ হ্যান্ড।

করতালি তে মুখরিত হলো পুরো হল রুম।প্রত্যেকের মুখে হাসির ছাপ। জায়েফ গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল…

–এহ্ জীবনে একটা প্রেম করছ নাই কিন্তু প্রেম কাহিনী লিখে এওয়ার্ড পেয়ে গেলি।

তখন আবার স্টেজে থাকা ছেলেটা বলে উঠলো…

–আলআবি মাশরুখ প্লিজ কাম টু দ্যি স্টেজ।

আলআবি সিঁড়ি পেরিয়ে স্টেজ এ উঠে এওয়ার্ড গ্রহণ করলো।মাইক্রোফোনে আলআবি ধন্যবাদ জ্ঞেপন করে স্টেজ থেকে নামতে নিলে পিছনের থেকে ছেলেটা বলে উঠলো…

–স্যার অডিয়েন্সরা কিছু জানতে চায়।একটু সময় দেয়া যাবে?

আলআবি ঘুরে বলল…

–শিওর!

আলআবি আবার মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে পরলো। একজন জিজ্ঞেস করলো…

–ভাইয়া উপন্যাসের আলআবি চরিত্র আর আমাদের বাস্তব আলআবির মধ্যে মিল কতখানি?

আলআবি শান্ত ভঙ্গিতে জবাব দিল…

–আকাশ পাতাল তফাৎ।

আরেক জন জিজ্ঞেস করলো…

–ভাইয়া আপনার লেখা সব বইয়ের কাভার পেজ সাদা রঙের হয় কেন?

আলআবি মুচকি হেসে বলল…

–ইট’স অ্যা সিক্রেট!

একজন তরুণী দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো…

–স্যার আপনার সব উপন্যাসের পরিণয় সুখের হলেও “নিভৃতে প্রস্থান” কেন বেদনাময় হলো?

আলআবি বলতে লাগলো…

–জীবনে সব কিছুর আকটু আকটু এক্সপেরিয়েন্স থাকা দরকার। শুধু মিষ্টতায় জীবন চলে না।খেয়াল করে দেখবেন ঔষধ এর বেলাতেও তিক্ততা মিষ্টতা উভয়ই রয়েছে।

ওই একই তরুণীর পাশের সারি থেকে আরেক জন তরুণী দাঁড়িয়ে পরলো। আলআবি কে জিজ্ঞেস করলো…

–স্যার #মায়াবিনী_মানবী কি আপনার কল্পনা? নাকি সত্যি সে আছে?

আলআবি এক রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বলল…

–আছে আবার নেই।ইটস ভেরি কম্পলিকেটেড।

আলআবি কে আরও প্রশ্ন করতে চাইলে আলআবি আর উত্তর দেয় না।জায়েফের সঙ্গে বাইরে বের হয়ে আসে।গাড়ি তে উঠে আলআবি জায়েফ এর সামনে সামনে একটা ছবি তুলে ধরে।জায়েফ বিস্ময় নিয়ে জোরে বলে উঠলো…

–হাউ ইজ দিজ পসিবল ম্যান?
#মায়াবিনী_মানবী
#হুমাশা_এহতেশাম
“বোনাস পর্ব”

–দোস্ত এইটা এডিট না তো?

জায়েফ কথাটা ব্যাপক সন্দেহ নিয়ে বলল।আলআবি জায়েফ এর কথায় হো হো করে হেসে উঠলো। গায়ের কোর্টটা খুলে গাড়ির পিছন সিটে রাখতে রাখতে বলল…

–পিছনে দেখ আমার মায়ের বাণী লেখা আছে।

জায়েফ দ্রুত করে ছবির পিছনের লেখা পড়ল।লেখা টা পড়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।আলআবি গাড়ি স্টার্ট দিল।জায়েফ হাসতে হাসতে আলআবি কে বলল…

–এই না হলো কর্ণেলের স্ত্রী!

আলআবি ড্রাইভ করতে করতে বলল…

–কর্ণেলের স্ত্রীর জন্য ই তো ওকে পেলাম।

–তা তোর কর্ণেল বাপ কই? অনেক দিন আঙ্কেল এর সাথে দেখা হয় না।(জায়েফ)

–দুই দিন আগে মিশন থেকে এসেছে।আর কয়েকদিন পর রিটায়ার্ড হবে।(আলআবি)

অনেককাল নীরবতার পর জায়েফ আবার বলে উঠলো…

–আলুবাবু তোর জুলিয়েটের সঙ্গে বিয়েটা হয়ে গেলে আমার লাইনটা ও ক্লিয়ার করে দিছ।

আলআবি জায়েফ এর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই জায়েফ মুখে নকল হাসি আনার চেষ্টা করতে লাগলো।আলআবি দাঁতে দাঁত চেপে বলল…

–তুই চিরকুমার থাকবি।জীবনে ও তোর বিয়ে হইতে দিব না।

জায়েফ দ্রুত বলে উঠলো…

–আরে সরি! সরি!মুখ দিয়া আর ভুলেও আলুবাবু বের হবে না।এখন থিকা আমি কোন আলুবাবুরে চিনি না।

আলআবি বাড়ির সামনে এসে খুব জোরে গাড়ি ব্রেক মেরে বলে…

–আমিও কোন জায়েফরে চিনি না। যা ভাগ।

–ভাই এমন অন্যায় করিছ না আমার সাথে। সাদিয়ার বাচ্চার বাপ হইতে হইব আমার। বাচ্চা গুলা আমার অপেক্ষায় আছে। (জায়েফ)

–কার বাচ্চার বাপ হবি পরে দেখা যাইব।শালা নাম এখন।(আলআবি)

গাড়ি গ্যারেজে পার্ক করে দুজন বাড়ির ভিতর ঢুকে পরলো। ড্রইংরুমে আলআবির মা বাবা আর ভাই ভাবি ওদের অপেক্ষায় ছিল। ঢুকতে ই আলআবি গিয়ে তার বাবা কে জড়িয়ে ধরলো।

সিরাজ সাহেব ছেলের সংবাদ পেয়ে বেজায় খুশি। বন্ধু মহলেও ছেলেকে নিয়ে তার খুব গর্ব।এই গর্বের পিছনে তার আর মিসেস পারভীন এর অবদান অনেক বেশি। ছোট থেকে ই সিরাজ সাহেব দুই ছেলেকে অনেক যত্নে লালন পালন করেছেন।তিন বাপ ছেলের সম্পর্ক বন্ধুর ন্যায়।

আলআবির বড় ভাই ফারাবী যেদিন মিথিলা কে প্রপোজ করে সেদিন সবার আগে নিজের বাবা আর ছোট ভাইকেই বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।সেদিন ফারাবী বাড়ি ফেরার পর নিজের বাবাই সর্বপ্রথম জিজ্ঞেস করেছিল-“কি ইয়াং ম্যান?সে কি আমার বউমা হতে রাজি হয়েছে?” ফারাবী হেসে উত্তর দিয়েছিল-“তোমার মতো হ্যান্ডসাম বুড়োর এই হ্যান্ডসাম ছেলেকে কি না করতে পারে?”

রাতে ডিনারে আলআবির সব পছন্দের খাবার দিয়ে টেবিল সাজানো হয়েছে।খাবার টেবিলে সবাই একসাথে বসে খাচ্ছে। এমন সময় মিসেস পারভীন আলআবি কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো…

–আলআবি কালকে তুমি জুইঁ এর সাথে গিয়ে দেখা
করে আসবে।

আলআবি প্রশ্নসূচক চাহনি দিয়ে মিসেস পারভীন কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো…

–জুইঁ কে?

আলআবির প্রশ্নে জায়েফের পানি খেতে গিয়ে কাশি উঠে যায়।মিসেস পারভীন তারাতাড়ি উঠে এসে জায়েফ এর পিঠে হালকা করে চাপড় দিতে লাগেন।ফারাবী সন্দেহের রেশ টেনে বলে…

–জায়েফ?তোর কি হলো?মেয়ে দেখতে যেতে বলেছে আলআবি কে তুই বিষম খেলি কেন?

জায়েফ স্বাভাবিক হয়ে মেকি হেসে বলল…

–না মানে আলআবির বিয়ের কথা চলছে তো তাই খুশি আরকি বিষম লেগে গেল।

আলআবির ভাবি মিথিলা বলে উঠলো…

–যার বিয়ে সেই তো বিষম খেল না।ব্যাপার না,জুইঁ কে সামনাসামনি দেখে বিষম খেয়ে যাবে। আমার তো ওকে হেব্বি পছন্দ হয়েছে।

সিরাজ সাহেব রসিকতার ছলে বলে উঠলেন…

–আমাদের জায়েফ আর বাদ থাকবে কেন?ওর জন্যেও তো পাত্রী দেখতে বলতে হবে।

জায়েফ তড়িঘড়ি করে বলে উঠলো…

–হ্যাঁ। হ্যাঁ অবশ্যই।

জায়েফ এর কথায় মাশরুখ পরিবারের প্রত্যেকে হেসে উঠলো।

রাতে ডিনার শেষে আলআবি, জায়েফ,ফারাবী আর সিরাজ সাহেব বসেছেন ছাঁদে ক্যারোম খেলতে।খেলতে খেলতে সিরাজ সাহেব বললেন…

–এই কি সেই মেয়েটা আলআবি?

আলআবি বাবার দিকে একবার তাকিয়ে রেড পকেটে ফেলে কিঞ্চিৎ ঠোঁট প্রসারিত করে বলে…

–ধরে ফেললে?

সিরাজ সাহেব বললেন…

–এমনি এমনি কি আর বাবা হয়েছি?

পাশ থেকে ফারাবী বলে উঠলো…

–তাহলে এবার বিয়ে ফাইনাল?

আলআবির আগেই জায়েফ বলল…

–একশোবার ফাইনাল।ধরতে গেলে তো কালকেই অর্ধেক বিয়ে হয়ে যাবে।

ফারাবী জায়েফ এর দিকে তাকিয়ে বলল…

–যার বিয়া তার খবর নাই এদিকে জায়েফ এহমাদ এর ঘুম নাই।

আলআবি আর সিরাজ সাহেব এদের দুজনের কথায় হেসে দিল।আলআবি বলল…

–ফারাবী ভাই, কালকে এই বান্দররে সাথে নিলে নিশ্চিত জনগণের ধোলাই খাইতে হবে।তাই আমি কালকে একাই যাব।

ছাঁদে বসে চারজন আরও কিছু সময় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে নিচে নেমে আসে।ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১:৩০ মিনিট বাজছে।প্রতিদিনের মতো আজও আলআবি বের হলো সেই প্রিয় টঙ্গের দোকানটার উদ্দেশ্যে।আলআবির পাশে ই জায়েফ ফোনে অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে। এই কথা তার বন্ধ হবে ভোর বেলায়।সারারাত ফোনালাপ করে উঠবে দুপুর ১ টা ২ টায়।

আজকে সারাদিন আলআবি বেশ খোশমেজাজে ই ছিল।আসরের নামাজ পড়ে গায়ে সেই আগের ন্যায় একটা শুভ্র বর্ণের পাঞ্জাবি চাপিয়ে বেড়িয়ে পরলো ক্যাফেটোরিয়ার উদ্দেশ্যে।জায়েফ যে এমনেও ওখানে এসে পড়বে তা আলআবির ভালো করে জানা আছে। প্রায় ১ ঘন্টার মতো পথ অতিক্রম করে ক্যাফেটোরিয়ার সামনে এসে আলআবি গাড়ি থামালো।গাড়ি থেকে নামার আগে মুখে মাস্ক জড়িয়ে নিল।

ক্যাফেটোরিয়ায় প্রবেশ করতে ই একেবারে ফিটফাট হয়ে বসে থাকা জায়েফের দিকে সর্বপ্রথম আলআবির নজর পরলো।আলআবি কে দেখা মাত্র ই জায়েফ ঠোঁটের কোণে চওড়া এক হাসি টেনে আনলো।জায়েফ এর সামানের চেয়ার টেনে আলআবি বসে পড়লো।

–সারপ্রাইজ কেমন দিলাম?

বলেই জায়েফ ভ্রুযুগল উপর নিচ করতে লাগলো।
আলআবি হাতের ফোনটা টেবিলে রেখে জায়েফ কে বলল…

–আজকে যদি সেন্টমার্টিনের মতো কোন গন্ডগোল পাকাছ তাইলে জীবনে ও তোরে বিয়ে করতে দিব না।আর সাদিয়ার কথা তো ভুইলাই যা।

–মাম্মা আজকে শুধু দেখবা এই জায়েফ এর কেরামতি।(জায়েফ)

–হইছে, কেরামতি দেখাইতে যাইয়া আবার আমার বিয়ে লাটে উঠাইছ না।আগের বার তো কম কেরামতি দেখাছ নাই।(আলআবি)

আলআবির সঙ্গে কথা বলতে বলতেই হঠাৎ জায়েফ চমকে গিয়ে বলল…

–মাম্মা এইটা কোন পিছ?

আলআবি পিছনে ঘুরতেই চোখে পড়লো একটা মেয়ে ধীর পায়ে তাদের দিকেই আসছে। পড়নে তার হালকা নীল রঙা শাড়ি।স্তব্ধ দৃষ্টি তে আলআবি মেয়েটাকে দেখেই যাচ্ছে।আলআবির মনে হচ্ছে মেয়েটার চাহনি সব কিছু শীতল করে দিচ্ছে।অনেক দিন পর আজ সেই চোখের দেখা মিলল।মেয়ে টা ধীরে ধীরে এসে আলআবির সামনে দাঁড়িয়ে পরলো। তখনি হুট করে মেয়ে টার পাশে একটা ছেলে এসে দাঁড়িয়ে পরলো। আলআবি ছেলেটাকে আপাদমস্তক দেখে নিল।

একেবারে ই ছিপছিপে গড়নের ছেলেটা। গায়ের বর্ণ অতিরিক্ত ফর্সা।এতোটাই শুকনো যে ওয়েট মাপার যন্ত্রে দাঁড় করিয়ে দিলে ছেলেটার ওয়েট ত্রিশ এর উপরে উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। মনে হচ্ছে তাদের সামনে কোর্ট প্যান্ট এর মধ্যে কেউ বাঁশ দিয়ে তা দাঁড় করিয়ে রেখেছে।কাকতাড়ুয়ার চেয়ে কম কিছু নয়।এতক্ষণে জায়েফ এসে আলআবির পাশের চেয়ারটায় বসে পড়েছে।

চলবে………….

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here