মায়াবিনী_মানবী পর্ব ১৮

#মায়াবিনী_মানবী
#হুমাশা_এহতেশাম
#পর্ব_১৮

–আসসালামু আলাইকুম। আমি অবনী আজাদ।

শাড়ি পরিহিত মেয়েটা দাঁড়িয়েই আলআবি কে উদ্দেশ্য করে কথা টা বলল। আলআবির পাশে বসে থাকা অবস্থায় জায়েফ হালকা আলআবির দিকে ঝুঁকে বলল…

–কিরে তুই না বললি ওর নাম জুইঁ?

আলআবি একপলক জায়েফের পানে তাকিয়ে আবার দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার দিকে তাকালো।মুখে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটিয়ে সালাম এর উত্তর দিয়ে বলে উঠলো…

–বসো। বসে কথা বলি?

জুইঁ তার সাথে আসা ছেলেটাকে নিয়ে বসে পড়লো।

আলআবি জুইঁ কে বলল…

–তোমার ডাকনাম জুইঁ তাই না?তাহলে জুইঁ বলেই ডাকি?

তখন জুইঁর সাথে থাকা ছেলেটা বলে উঠলো…

–হ্যাঁ।অবশ্যই ডাকতে পারেন।

আলআবি আর জায়েফ উভয়ই অবাক হলো।কারণ ছেলেটা স্বাভাবিক এর তুলনায় একটু জোরে শব্দ করেই কথাটা বলেছে।

এরমধ্যে ই জুইঁ হুট করে ওর সাথে আসা সেই ছেলেটার হাত ধরে বলে উঠলো…

–ও হলো প্রিন্স।

জায়েফ প্রশ্ন করে বসলো…

–কোন দেশের প্রিন্স?

ছেলেটাকে কিছুটা অপ্রস্তুত দেখে আলআবি জায়েফ এর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ওকে ইশারায় চুপ থাকতে বলল।সঙ্গে জুইঁ আর ছেলেটার হাতের দিকে ও একবার কড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।

প্রিন্স নামের ছেলেটা একটু হাসার চেষ্টা করে বলল…

–আমার নাম প্রিন্স।

এবারও আলআবি আর জায়েফ অবাক হলো।ছেলেটা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আওয়াজ করে কথা বলছে।

জুইঁ প্রিন্সের হাত ধরেই বলতে লাগলো…

–আমি ওর গার্লফ্রেন্ড ও আমার বয়ফ্রন্ড।আমরা একজন আরেক জনকে ভালোবাসি।

আলআবির মনে হলো কেউ তার সামনে মুখস্থ পড়া বলছে।আলআবি বলার আগেই জায়েফ বলে উঠলো…

–এখন তোমরা দুজন বিয়ে করতে চাচ্ছো।আর এই বিয়েটা তুমি করতে পারবে না এইতো?

–জ্বী (প্রিন্স)

আলআবি জায়েফ এর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি হেঁসে দাঁড়িয়ে পরলো। জুইঁর কাছে গিয়ে একটানে প্রিন্সের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল…

–অনেক হাত ধরেছ আর ধরতে হবে না।

জুইঁ কেও হাত ধরে টান দিয়ে দাঁড়া করালো।জায়েফ এর উদ্দেশ্যে বলল…

–এই প্রিন্স কে ভালো মতো যত্ন-আত্তি করে বাড়ি পাঠিয়ে দিছ।

–ওকে ব্রো!(জায়েফ)

জায়েফের কথা শেষ হতেই জুইঁর হাত ধরে আলআবি ক্যাফেটোরিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে লাগলো। জুইঁ বুঝতে পারছে না আলআবি হুট করে এমন করছে কেন।পিছনের থেকে প্রিন্স জুইঁ কে আর আলআবিকে ডাকতে ডাকতে নিজেও চেয়ার ছেড়ে উঠে পরলো।কিন্তু মাঝখানে জায়েফ বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো।

জুইঁ নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আর তার হাত ছেড়ে দিতে বলছে। ক্যাফেটোরিয়া থেকে বের হয়ে আলআবি গাড়ির সামনে এসে জুইঁর হাত ছেড়ে দিল।জুইঁ অনেকটা রেগে গিয়ে আলআবিকে উদ্দেশ্য করে বলল…

–মিঃ মাশরুখ! এগুলো কোন ধরনের অসভ্যতামি?

আলআবি জুইঁর কিছু টা কাছে এগিয়ে এসে মুখের উপর মৃদু ফু দিয়ে বলল…

–অসভ্যতামি টা আবার কি?

জুইঁ আলআবির এরূপ আচরণে মাথা নিচু করে দুপা পিছিয়ে গেল।একটা ছেলে এভাবে কাছে আসায় কিছু টা লজ্জাও পেল।জুইঁ কে কথা বলতে না দেখে আলআবি বলে উঠলো…

–হবু স্বামী কে রেখে অন্য ছেলের হাত ধরাকে তাহলে সভ্যতা বলবে?

জুইঁ আলআবির দিকে মাথা উঁচিয়ে তাকাতেই আলআবির মুখমন্ডলে কাঠিন্যতার আভাস পেল।জুইঁ এটুকু বুঝতে পারছে তার সামনে থাকা ব্যক্তিটা হয়তো রেখে আছে। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না।জুইঁ তবুও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। মুখ দিয়ে একটাও টু শব্দ করছে না।জুইঁর নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে আলআবির দমিয়ে রাখা ক্রোধ আরও বেড়ে গেল।

জুইঁ কে গাড়ি তে উঠতে ইশারা করে নিজে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পরলো।পাশে তাকিয়ে জুইঁ কে না পেয়ে বাইরে তাকাতেই দখলো জুইঁ গাড়ি তে না উঠে পূর্বের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।আলআবি গাড়ির কাচ নামিয়ে চেচিয়ে বলে উঠলো…

–এই মেয়ে!গাড়ি তে উঠতে বললাম না?

আলআবির বাজখাঁই গলার আওয়াজ পেয়ে জুইঁ তড়িঘড়ি করে গাড়ি তে উঠে পরলো। বসতে না বসতেই আবার সেই একই রকম আওয়াজ তুলে আলআবি বলে উঠলো…

–কি? সমস্যা কি তোমার? মুখ দিয়ে কথা বের হয় না কেন?

জুইঁ ভয়ের চটে হালকা লাফিয়ে উঠলো।চোখে তার পানি টলমল করছে। হয়তো এখনি গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়বে।জুইঁ অনেক চেষ্টা করছে যাতে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারে। কাঁপা কাঁপা গলায় জুইঁ বলল…

–আমি আপনাকে বিয়ে করব না।আমার বয়ফ্রে….

জুইঁ কে থামিয়ে দিয়ে আলআবি গর্জে উঠলো….

–একেবারে বয়ফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড করে ন্যাকামি করবা না।ওই পাটকাঠি যে তোমার সাজানো বয়ফ্রেন্ড সেটা ভালো করে জানি।আর কি বললা?বিয়ে করবা না?একশোবার বিয়ে করবে আর সেটা আমাকেই করবে।কালকেই আমাদের এনগেজমেন্ট হবে।এটা তোমাকে দেয়া আলআবি মাশরুখ এর ওয়াদা।

কথা গুলো বলে আলআবি ফসফস করে দম নিচ্ছে আর ছাড়ছে।একপলক জুইঁর দিকে তাকিয়ে দেখল মেয়ে টার চোখ থেকে টপ টপ করে অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে।শরীর তার অনড়।কান্নার দরুন মানুষের দেহ কেঁপে ওঠে কিন্তু এই মেয়ে টার তো তাও হচ্ছে না। নিরবে সে অশ্রু বির্সজনের খেলায় মেতে উঠেছে।

এমন অবস্থা দেখে আলআবি একটু ভীত চোখে জুইঁকে ভালো করে পর্যবেক্ষন করলো।কন্ঠে শীতলতা এনে জুইঁর দিকে দৃষ্টি দিয়ে খুব ধীরে সুস্থে বলতে লাগলো…

–আমি আমার এই #মায়াবিনী_মানবী টাকে প্রচুর ভালোবাসি।এই ভালোবাসা একদিনের নয়।এই ভালোবাসা ঠিক দু’বছরের।

আলআবি এতটুকু বলে সিটের সঙ্গে হেলান দিয়ে বুকে দু’হাত গুঁজে নিল

–জুইঁ মনে আছে আজ থেকে দুই বছর চারমাস আগে পরিবার নিয়ে সেন্টমার্টিনে ঘুড়তে গিয়েছিলে?তখন মাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া সদ্য কিশোরী ছিলে।বালুর মধ্যে বাচ্চাদের মতো পরিবার এর ছবি একেঁ বেড়াতে।বড় ভাই নিয়াজের সঙ্গে মারামারি করে না পেরে কান্না করে চোখ দুটো ফুলিয়ে ফেলতে। তোমার বাবাকেও অনেক ভয় পেতে। তোমার ফ্রেন্ড সাদিয়ার সঙ্গে একটা ছেলে হুট করে ফ্লার্ট করে বসেছিল বলে রেগেমেগে তার সাথে ঝগড়া করতেও চলে গিয়েছিলে।জানো সেই ছেলেটা কিন্তু জায়েফই ছিল।তোমার অগোচরে পুরো তিনদিন তোমাকে ফলো করে গিয়েছিলাম।নাম দিয়েছিলাম তোমার মায়াবিনী মানবী।জানো শুধু তোমার জন্য বাসের টিকেট কাটি ঢাকায় আসব বলে।সঙ্গে জোর করে জায়েফকেও নিয়ে আসি।সাদিয়ার কথা শুনে জায়েফ আসতে রাজি হয়।ভেবেছিলাম একেবারে তোমার বাসা পর্যন্ত তোমাকে ফলো করে বাসার ঠিকানা নিয়ে আসব।কিন্তু তা আর হলো কোথায়।

আলআবি বড় একটা তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল।আবার বলতে লাগলো…

–অনাকাঙ্ক্ষিত সেই দূর্ঘটনা তোমাকে আমার কাছ থেকে দুই দুই টা বছর দূরে পাঠিয়ে দিল।ওই দিন যদি এক্সিডেন্ট টা না হতো তাহলে হয়তো আজ আমাদের পরিণতি আর সম্পর্ক দুইটাই অন্য রকম হতো।এক্সিডেন্টে কি হয়েছিল আমি বলতে পারব না তবে আমার পা ভেঙে গিয়েছিল আর মাথায় নাকি হালকা চোট পেয়েছিলাম।আমি পরেরদিন নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করেছিলাম।জায়েফ আর আব্বু কে দিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজিয়েছিলাম তোমাকে। কিন্তু দু বছর চার মাস পেরিয়ে যায় এরমধ্যে। তোমার সন্ধান কোথাও পাইনি।সত্যি বলতে তিনদিনে তোমাকে ভালোবাসিনি।তোমার মায়ায় পড়ে গিয়েছিলাম।হসপিটাল থেকে এসে তোমাকে অনেক মিস করতে থাকি।এভাবে চারমাস কেটে যাওয়ার পরও তোমাকে ভুলতে পারিনি।প্রতিদিন তোমাকে নিয়ে কল্পনায় কিছু না কিছু লিখে রাখতাম। একপর্যায়ে অনুভব করি #মায়াবিনী_মানবী টাকেই অসম্ভব রকমের ভালোবেসে ফেলেছি।একদিন আবারও সেই হসপিটালে যাই যেখানে এক্সিডেন্ট এর পেশেন্ট গুলো নেয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ওরা বলে ওদের ওখানে জুইঁ নামে যে এসেছিল সে ইন্তেকাল করেছে। তখন থেকে তোমাকে খোঁজা বন্ধ করে দেই।বুকে একটা সূক্ষ্ম চাপা কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকি।আমার কল্পনার তুমি কে নিয়ে বই লেখি।এরপর হঠাৎ করেই যখন আম্মু এসে তোমার ছবি দেখায় তখন তোমাকে নিয়ে রিসার্চ করে জানতে পারি হসপিটালে তোমার নাম দেয়া ছিল অবনী আজাদ। আর আমি রিসিপশনে জুইঁ নামে তোমাকে খুঁজেছি।এই কথা গুলো তোমাকে আমি কোনদিনই বলতাম না। শুধু তুমি বিয়ে করতে চাচ্ছো না বলে বলতে বাধ্য হলাম।

আলআবি জুইঁর দুহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল…

–এখনও আমাকে ফিরিয়ে দিবে?

জুইঁ চোখের পানি নিজের বাহুতে মুছে বলে উঠলো…

–মিঃ মাশরুখ আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না।কারণ
#মায়াবিনী_মানবী
#হুমাশা_এহতেশাম
#বোনাস_পর্ব

–আমি আপনার কোন কথা শুনতে পাই নি।আমি কানে শুনতে পাই না।একেবারে যে শুনতে পাই না তা নয়।আমার সাথে কেউ উচ্চ আওয়াজে কথা বললে শুনতে পাই।যেমন টা আপনি রেগে গিয়ে বলেছিলেন।

জুইঁ কম্পিত কন্ঠে এটুকু বলে আলআবির দিকে একপলক তাকালো।আলআবি এমন অপ্রত্যাশিত কিছু শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না। তার হতভম্ব বদন খানা জুইঁর চোখে স্পষ্ট ধরা দিচ্ছে।

গাড়িতে দুটি মানব মানবী নির্বাক হয়ে বসে আছে। নীরবতার অবসান ঘটিয়ে জুইঁ বলতে লাগলো…

— আরো দু’বছর আগে আমার একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল। সেই অ্যাক্সিডেন্টে আমার কানে আর গলার দিকে আঘাত লাগে। প্রথম ছয় মাস তো আমি কানে একেবারে শুনতেই পেতাম না। ধীরে ধীরে এখন কিছুটা উচ্চ আওয়াজ হলে তবেই শুনতে পাই। এমন একটা মেয়েকে কেউ তার জীবন সঙ্গী হিসেবে পাশে দেখতে চাইবে না। আরও অনেক সম্বন্ধ আমার জন্য এসেছিল তবে আমার সমস্যার কথা শুনে তারা সবাই নাকচ করে দিয়েছে। কাল আপনার বাবা-মা যখন আমাদের বাড়িতে এসেছিলো আমি তখনই তাদের বলে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু বারবার সম্বন্ধ ভেঙে যাওয়া তে আমার ফ্যামিলি আপনার বাবা মার কাছে আমার বিষয়টা চেপে যায়। ডাক্তার বলেছে আমি কানে আবার শুনতে পাবো। কিন্তু এতে আরো অনেক সময় লাগবে, অনেক বছর লাগবে। আমি কারো জীবনে এমন অপূর্ণতা নিয়ে যেতে চাই না। যেদিন আমি পুরোপুরি সুস্থ হব সেদিন ই বিয়ে করবো।

জুইঁ তার কথা শেষ করে আলআবির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। আলআবির দিকে দৃষ্টি দিয়ে নিজেই একটু ভড়কে গেল। কারণ আলআবি একদৃষ্টিতে জুইঁর দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে মুখে খেলা করছে একরাশ মুগ্ধতা।আলআবি এরমধ্যে ই বিমোহিত কন্ঠে উচ্চারণ করলো…

–তুমি কথা বললেও ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে তোমার গজ দাঁত টা উঁকিঝুঁকি মারে। খবরদার মানুষের সামনে বেশি দাঁত বের করে কথা বলবে না তাহলে ওরা আলআবির গজদন্তিনীর প্রেমে পড়ে যাবে।

জুইঁ আলআবির ঠোঁট নাড়ানো দেখে ঠাহর করতে পারল আলআবি কিছু একটা বলছে।কিন্তু তা জুইঁর কর্ণপাত হচ্ছে না। ধীর কন্ঠে জুইঁ বলল…

–আপনি কি বললেন আমি শুনতে পাইনি একটু জোরে বললে ভালো হতো।

আলআবি জুইঁর কথায় গাড়ি স্টার্ট দিয়ে জুইঁ যেন শুনতে পায় তাই জোরে আওয়াজ তুলে বলল…

— ভাবছি শীঘ্রই বিয়েটা সেরে ফেলতে হবে ভালো পাত্রী থাকলে বলবেন। তাড়াতাড়ি যেন বিয়েটা করতে পারি।

জুইঁ আলআবির কথায় একটু ও অবাক হলো না। আগে থেকেই সে ধারণা করে রেখেছিল এমনটাই হবে। তারউপর আলআবি একজন জনপ্রিয় লেখক। সে তো আর জুইঁর মত কাউকে ডিজার্ভ করে না। বরংচ তার থেকে বেটার ডিজার্ভ করে।

কোন দিন প্রেম ভালোবাসা করা হয়ে ওঠেনি জুইঁর। সর্বদাই তাকে তার বাবার দেয়া একটা স্ট্রিক্ট রুলসের মধ্যে থাকতে হয়েছে।বিয়ে, ঘর-সংসারের প্রতি তার আগ্রহ যতটুকু ছিল অ্যাকসিডেন্টের পর তাও লোপ পেয়েছে। জুইঁর বাবা জুইঁ কে যে তারাতাড়ি বিয়ে দিতে চায় বিষয় টা এমন নয়।কিন্তু ভালো প্রতিষ্ঠিত পাত্র পেলে হাতছাড়া ও করতে চান না।

জুইঁর আকাশকুসুম ভাবনার মধ্যেই আলআবির গাড়ি ব্রেক কষলো। জুইঁ গাড়ির কাঁচ ভেদ করে বাইরে তাকাতেই তাদের বাসার মেইন গেট চোখে পড়ল।আলআবি কে ভদ্রতার খাতিরে জুইঁ একটা ধন্যবাদ দিয়ে সিট বেল্ট খুলে গাড়ি থেকে নামার জন্য উদ্যত হতেই আলআবি বলে বসলো…

–তুমি তো এয়ার মেশিন ব্যবহার করতে পারো।তাহলেই তো প্রবলেম সলভ।

আলআবি জুইঁ কে কথা টা জোরেই বলেছে।তাই জুইঁ আলআবি কে উদ্দেশ্য করে বলল…

— নির্ভরশীল পূর্ণ জীবন যাপন আমার মোটেই পছন্দ নয়।

বলেই জুইঁ গাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।এক কদম সামনে এগোতেই নিজের নাম শুনে জুইঁ পিছনে ফিরে তাকালো। দেখলো আলআবি গাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির সঙ্গে ই হেলান দিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। জুইঁ পিছনে তাকাতেই আলআবি হাত নাড়িয়ে বলে উঠলো…

–বিয়েতে আবার দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ।

জুইঁ আর কিছু না বলে দ্রুত পা চালিয়ে বাসার ভিতর ঢুকে পরলো।

চলবে………….

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here