তুমি এটা কীভাবে করতে পারলে ছিঃ আমার তো ভাবতেই তোমার উপর ঘেন্না চলে আসতেছে শেষে কী না তুমি আমার বোনের এমন সর্বনাশ টা করলে
।
সাঈদঃ পাগল হয়ে গেছো নাকি বাপের বাড়ি থেকে এসেই কী মাথা নষ্ট হয়ে গেছে নাকি আমি কী করলাম তোমার বোনের..?
।
।
আদ্রিতাঃ না বোঝার ঢং করার হচ্ছে এই নাও তোমার মেয়েকে আর আজ থেকে আমাদের সম্পর্ক এখান থেকেই শেষ…
।
সাঈদঃ What কী বলছো আদ্রিতা তুমি এসব….
।
চিৎকার চেচামেচি শুনে মা বাবা বাইরে বেড়িয়ে আসছে…
।
বাবাঃ কী হয়েছে বউমা…
।
আদ্রিতাঃ বাবা আপনার ছেলে আমার বোনের সাথে জোর জোবস্তি করেছে আমি নিজের চোখের দেখছি…
।
যার ঘরে বউ বাচ্চা থেকেও এমন করে তার সঙ্গে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব না আপনার নাতনি কে দিয়ে গেলাম বললেই চলে আসলাম….
।
।
বাবাঃ ছি তোকে আমার ছেলে বলে পরিচয় দিতে লজ্জা আসছে তোর মেয়েকে নিয়ে এখনি এই বাড়ি থেকে চলে যা
।
।
সাঈদঃ বাবা বিশ্বাস করো আমি কিছু করি নি…
।
মা তুমি তো চিনো আমাকে তুমিও এই কথা বলো না…
।
।
বাবাঃ বেড়িয়ে যা এই বাড়ি থেকে…
।
সাঈদঃ মিথ্যা আপরাধে অপরাধী হয়ে গেলাম আদ্রিতা এমনটা কীভাবে করতে পারলো আমি তো ওর বোনকে ঠিক মতো চিনিও না তাহলে….
।
এমনটা কেনো করলো..
।
একবারো আমাদের মেয়েটার কথা ভাবললো না…
।
আর ভাবলে এমনটা করতো না এটা ওর মেয়ে না আমার মেয়ে…
!
এদেশে থাকলে এই সমাজ আমার মেয়েটাকে স্বাধীন ভাবে বাচতে দিবে না….
।
ব্যাংক থেকে জামানো সব টাকা গুলো তুলে অফিস থেকে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা আসছিলো সেটা নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে আসলাম থাকবো না আর এই দেশে তার পর রাত নয়টার ফ্লাইটে চলে আসলাম আমেরিকায় এখানে নতুন করে নিজের জীবন টা কে শুরু করলাম দিন যায় দিন আসে দেখতে দেখতে প্রায় ১০ টা বছর কেটে গেলো আমার মেয়ে ওর নাম তাসফিয়া…
অনেকটা বড় হয়ে গেছে ক্লাস ৩ এ পড়ে….
।
।
তাসফিয়াঃ আব্বু আজ কিন্তু তুমিও কোথাও যেতে পারবা না বিকেল বেলা আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে…..
।
।
সাঈদঃ আচ্ছা 😇😇
।
।
।
।
।৷
অপর দিকে….
।৷
।
বাংলাদেশে
।
।
।
আদ্রিতার বোন নিদ্রা…
।
নিদ্রাঃ আপু একটা কথা বলবো…
।
আদ্রিতাঃ হ্যা বল…
।
নিদ্রাঃ এভাবে আর কত দিন থাকবি বল একটা বিয়ে করে নেয়…
।
আদ্রিতাঃ চুপ কর কত বার বলবো পুরুষ মানুষের উপর থেকে আমার বিশ্বাস টাই উঠে গেছে…
।
নিদ্রাঃ না মানে ইয়ে মানে একটা কথা বলবো রাগ করবি না তো…
।
আদ্রিতাঃ না বল..
।
নিদ্রাঃ আসলে আমার একটা মিথ্যার জন্য তোর জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে…
।
আদ্রিতাঃ মানে তুই আবার কী করলি…
।
নিদ্রাঃ আসলে দশ বছর আগে তুমি যাকে আমার সঙ্গে রুমে দেখেছিলে সে সাঈদ নয় বরং আমার boyfriend ছিলো ওকে বাঁচানোর জন্যই মিথ্যা কথা বলছি….
।
।
।
আদ্রিতাঃ কী বলছিস এসব আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না,…
।
নিদ্রাঃ সব সত্যি কথা বলছি এখন তোর যদি মনে হয় আমাকে শাস্তি দিবি তাহলে দেয় আমার একটু কষ্ট হবে না কিন্তু তোর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না এখনো তাহলে তোদের ডিভোর্স হয় নি যা ফিরে…
।
।
আদ্রিতাঃ তুই আমার বোন হয়ে আমার এত বড় সর্বনাশ টা করতে পারলি তোর একটা মিথ্যা কথার জন্য আমি সব কিছু ছেড়ে আসছি নিজের মেয়ের কাছ থেকে দুরে সরে এসেছি আমি তোকে কখনো ক্ষমা করবো না….
।
।
।
।
আদ্রিতাঃ কী করবো কিছু মাথায় আসছে দশটা বছর কেটে গেছে জানি না মানুষ টা কেমন আছে একটা ভুলের জন্য এত বড় শাস্তি দিয়েছি হয়তো কোন দিন ক্ষমা করবে না তবুও ক্ষমা চেয়ে নিবো বিছানা থেকে উঠে শাড়িটা পড়ে বেড়িয়ে পড়লাম সেই জায়গায় যেখানে দশ বছর আগে সব কিছু ফেলে চলে এসেছিলাম রাস্তাটা ঠিক একি রকম আছে কিন্তু বদলে গেছে পরিবেশ টা বদলে গেছে মানুষ জন…
।
।
।
গাড়ি থেকে নেমেই সোজা বাসার কলিং বেলটা বাজাতেই ..
।
।
সাঈদর বাবাঃ এত দিন পর কী মনে করে…
।
আদ্রিতাঃ বাবা আমি ভুলে করেছি আমি না বুজেই এমনটা করে ফেলেছি আমি ওনার সঙ্গে একবার দেখা করতে চাই।।
।
।
বাবাঃ ওমন চরিত্র হীন ছেলে থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো যেদিন তুমি নিজের মেয়েকে ওর কোলে তুলে দিয়ে চলে গেছো ঠিক তার পরেই আমিও তাকে এ বাসা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে দশটা বছর হয়ে গেলো আজ পযন্ত কোন খোজ খবর নেই…
।
।
।
আদ্রিতাঃ আসলে ওনার দোষ ছিলি না ওই দিন সব দোষ আমার নিজের বোনের কথা শুনে এত বড় একটা শাস্তি দিয়ে বসলাম এ ভুলের হয়তো কোন দিন ক্ষমা হবে না…
।
।
বাবা আমি কী এ বাড়িতে থাকতে পারবো…
।
।
বাবাঃ আমাদের কোনো সমস্যা নেই বাসাটা এমনিতে পুরো ফাকা….
।
।
।
।
।
।
।
অন্য দিকে…
।
।
।
তাসফিয়াঃ আব্বু আমার আম্মু কোথায়…
।
সাঈদঃ এই এক কথা প্রতি দিন বলো কেনো…
।
তাসফিয়াঃ যখনি জিজ্ঞেস করি তখনি তুমি চুপচাপ বসে থাকো কিছু বলো….
।
সাঈদঃ কীভাবে বলবো বলার কোনো ভাষাই নেই
।
তাসফিয়াঃ আজ কিন্তু তোমাকে বলতেই হবে…
।
সাঈদঃ জেদ করে না সোনো…
।
তাসফিয়াঃ না আব্বু আমাকে সব সত্যি করে বলো আম্মুর সাথে কী হয়েছিলো তোমার….
।
।
।
সাঈদঃ সত্যি টা শুনলে হয়তো অনেক কষ্ট পাবে কিন্তু সত্য এটাই যে তোমার মা স্বার্থপর
।
দশ বছর আগে….
।
।
।
।
।
বাবাঃ সাঈদ এদিকে শুন….
।
সাঈদঃ হ্যা বলো…
।
বাবাঃ তুই বলে তোর মাকে বলছিস বাইক কিনে চাচ্ছিস…
।
।
সাঈদঃ না মানে ইয়ে মানে হ্যা…
।
বাবাঃ আচ্ছা যা কিনে দিবো কিন্তু এক সত্য
।
সাঈদঃ যা বলবে আমি তাই করবো 😍
।
তার পর শো রুম থেকে পাঁচ লাখ টা দিয়ে একটা R15 কিনে দিলো…
।
।
তার পরেই হাতে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বললো যা ভালো লাগে ইচ্ছে মতো শপিং করে নিয়ে আয়…
।
হায় আল্লাহ কপাল খুলে গেছে দেখছি আমার এত কিপ্টে বাপ এতো মহান কবে থেকে হলো…
।
যাই হোক এভাবে চলতে থাকলে আমারি ভালো🤭🤭…..
।
।
৮ হাজার টাকার ইচ্ছে মতো শপিং করলাম বাকি দু হাজার বন্ধুদের ট্রিট দিয়ে সব টাকা শেষ বাসায় এসে…
।
।
সাঈদঃ মা ও মা…
।
মাঃ কী হয়েছে…
।
সাঈদঃ বাবা দশ হাজার টাকা দিচ্ছে এত কম টাকায় শপিং হয় আরো পাচ হাজার পাবে টাকা দাও…
তার পর মার কাছ থেকে পাচ হাজার টাকা নিয়ে বিন্দাস কয়েক টা দিন ঘুরে বেড়াতে লাগলাম হঠাৎ…
।
।
।
।
বাবাঃ সাঈদ তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয়…
।
সাঈদঃ কেনো…
।
বাবাঃ বিয়ে বাড়িতে যাবো…
।
।
সাঈদঃ কীহ বিয়ে বাড়ি 😍😍😍 আমি এখনি আসতেছি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমি রেডি চলো বাইক এ উঠতে যাবো ওমনি বাবা….
।
।
বাবাঃ বাইকে না গাড়িতে চল।…
।
সাঈদঃ কিন্তু কেনো..
।
বাবাঃ বললাম না চল বলছি…
।
সাঈদঃ তার পর গাড়িতে চড়ে চলে আসলাম আসা মাএই বরের জায়গায় আমাকে বসিয়ে দিলো বুঝলাম ব্যপার টা কী…
।
।
বাবাঃ তোর আজ বিয়ে বুঝলি চুপচাপ বসে থাক এখানে…
।
।
সাঈদঃ কীহ এত বড় ছলনা করলে আমার সঙ্গে
।
বাবাঃ 😁😁 বাপকে কখনো শিখাতে নেই বিয়ে করবি না বলে কেমন দিলাম…
।
।
সাঈদঃ তাই তোমরা আমাকে বাইকের লোভ দেখিয়ে এমন টা করলে….
।
।
কিছু খন পরে বিয়ে হয়ে গেলো এখনো পযন্ত মেয়েটার মুখটা দেখলাম জানি না কেমন দেখতে…
।
আশে পাশে পরীর মতো সুন্দরী মেয়েরা ঘুরে বেড়াচ্ছে মনে হচ্ছে একটাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পালিয়ে যাই…
।
তার পর যখনি যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাকে আমার সামনে আনতেই…..
।
।
।
চলবে…
।
।
যদি সত্যি টা জানতে
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ১