#রঙিন_প্রজাপতি
লেখনীতে – Ifra Chowdhury
পর্ব- ৯
.
প্রণব হাসছে। ওর এই হাসি আর ভাব দেখে মনে হচ্ছে, নিশ্চিত কোনো গোলকধাঁধায় ফেঁসে গেছি আমি। যেটার রহস্য আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
আমি ব্যাকুল কন্ঠে প্রণবকে জিজ্ঞেস করলাম,
‘কীভাবে জানলেন, বলুন না?’
প্রণব মৃদু হাসি নিয়ে বলতে লাগলো,
‘তার আগে তোমার নামটা বলো দেখি? খেয়াল নেই।’
উনার প্রশ্নটা শুনে এবারও বেশ বিরক্ত হলাম। এক প্রশ্ন যে আর কয়দিন করবেন, আল্লাহ জানে!
আমি দাঁত চেপে জবাব দিলাম,
‘ফারিন দিবা।’
প্রণব হেসে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে বললো,
‘আহিল রাদিয়াত প্রণব।’
ওর এমন ব্যবহারে বেশ আশ্চর্য হলাম আমি। আজ এতো ফুরফুরে মেজাজে কথা বলছে.. ব্যাপারটা কী? যাক। আমি ওভাবেই অবাক হয়ে হাত বাড়িয়ে সাড়া দিলাম।
প্রণব হ্যান্ডশেক করে বলতে লাগলো,
‘তুমি যেদিন ঢিল মারো আমার জানালায়, আমি ছাদ থেকে ঠিকই দেখতে পেয়েছিলাম। তুমি যখন উঁকিঝুকি মারছিলে, তখনি আমি ওখান থেকে সরে গিয়ে দ্রুত আমার বাসায় চলে আসি। তারপর খানিক পর যে চেঁচামেচি শুরু করি, সেসব তো তোমরাও জানো!’
আমি বড় বড় চোখে তাকালাম,
‘কীভাবে জানি?’
প্রণব বাঁকা হেসে বাম ভ্রু উঁচু করে জেরা করলো,
‘এই তোমরা দুই বোন লুকিয়ে গিয়েছিলে না? হুম? হুম? সেটাও দেখেছি আমি।’
আমি আর সেটা অস্বীকার করতে পারলাম না। প্রণব সবই জানে তাহলে। এখন আর ভাব ধরে কিছুই হবে না। যা হওয়ার তো হয়েই গেছে।
প্রণব বলতে থাকে,
‘আমি তোমাদের দেখেও ঐদিন বিল্টুকে বকাঝকা করেছিলাম। সেটাও ইচ্ছে করেই করেছিলাম। যাতে তোমরা বুঝতে না পারো, যে আমি বুঝে গেছি.. হা হা হা।’
আমি প্রণবের দিকে হা করে তাকিয়ে মুহুর্তেই আবার লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলাম। মাথা চুলকে লুকিয়ে নিজের জিভ কাটলাম। ইশ.. এভাবে ধরা পড়ে যাবো, ভাবতেও পারিনি।
প্রণব ওর পকেটে হাত ঢুকিয়ে আবার বলা শুরু করে,
‘তারপর.. ঐদিন যে ড্রেসিং করে দেওয়ার পর, তোমায় আর তোমার বান্ধবীকে সিএনজি রিজার্ভ করে পাঠিয়েছিলাম না?’
‘হ্যাঁ।’
‘ঐ সিএনজির ড্রাইভার আমাদের পরিচিত, হাসান ভাই।’
বলেই প্রণব কেমন করে যেন দাঁত বের করে হাসলো। তারপর বললো,
‘এবার নিজেই বুঝে নাও সব।’
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে হাসান ভাই-ই তাহলে প্রণবকে সব বলে দিয়েছে। আমি আর মুমু যে মজা নিতে নিতে সব কাহিনী শেয়ার করছিলাম, ঐসব তাহলে হাসান ভাইয়ের মাধ্যমেই জেনে গিয়েছে প্রণব। ধ্যাৎ! নিজের ফাঁদে নিজেই অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে গেলাম।
আমি কপাল ভাঁজ করে ঠোঁট উলটে বললাম,
‘তো এতোদিন আপনি ইচ্ছে করেই সব না জানার ভান ধরেছিলেন? কেন করলেন, শুনি? হ্যাঁ? আবার আজকে সব ফাঁসও করে দিলেন..’
আমি শেষের কথাটুকু মিনমিনিয়ে বলে বাচ্চাদের মতো মন খারাপ করে মুখ নিচু করে নিলাম।
প্রণব হাসলো। বললো,
‘অনেক সময় এমনটা করেও কাউকে খুব ভালো জব্দ করা যায়!’
প্রণব হাসতে হাসতে আবারও প্রশ্ন করলো,
‘ঠিক বলিনি?’
আমি রাগ ও কাঁদোকাঁদো ভাব নিয়ে জবাব দিলাম,
‘আপনি খুব খারাপ! খুব বেশি খারাপ। অনেক বেশি খারাপ। খারাপের চেয়েও বেশি খারাপ। এত্তো এত্তো খারাপ। বড্ড বড্ড বড্ড বেশি খারাপ!’
প্রণব হাসিমুখেই জবাব দিলো,
‘হতে পারে!’
আমি কথার পিঠেই বলে উঠলাম,
‘হতে পারে নয়, এমনই আপনি। একদম খাঁটি সত্যি কথাই বলেছি আমি। কেন করলেন এমন, হ্যাঁ?’
প্রণব খিলখিল করে হেসেই চলেছে। ওকে এমনভাবে হাসতে এই প্রথম দেখছি আমি। তাই খুব বেশিই অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে।
প্রণব হাসি নিয়েই উত্তর দিলো,
‘কে জানে.. জানি না।’
আমি আর কথা বাড়ালাম না। রাগে জব্দ হয়ে প্রণবকে এক প্রকার ধাক্কা দিয়েই সরিয়ে বললাম,
‘যান সরুন তো। আল্লাহ হাফেজ।’
বলেই আমি নিজের মতো চলে এলাম। ওদিকে প্রণবের হাসির মাত্রা যেন আরও বেড়ে গেল। আজব! পাগল টাগল হলো নাকি? আমি পেছন ফিরে তাকিয়েও দেখি প্রণব হাসছে। ওর হাসি দেখে একচোট মুখ ভেংচিয়েই আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
__________________________
দুপুর থেকে একা বারান্দায় বসে মাথার চুল শুকাচ্ছিলাম। আমার একটা অভ্যাস, গোসলের পর রোদের দিকে পিঠ দিয়ে বসে চুলগুলো মেলে রেখে গায়ে রোদ লাগানো। আর অন্যদিকে হাতে ফোন নিয়ে এফবির নিউজফিড স্ক্রল করা।
রোজকার মতো আজও ঠিক তাই করছিলাম৷ কিন্তু আজ এফবি ঘাটতেও মজা লাগছে না। ভাবলাম, ফোনটা হাত থেকে রেখে দিই। কিন্তু তাতেও শুধু শুধু বসে থাকতে বোরিং লাগবে৷
তাই মোবাইলটা রাখছি না। অতঃপর এফবি থেকে লগ আউট করে গেইম খেলার কথা চিন্তা করলাম৷ কিন্তু বাচ্চাকাচ্চার ভয়ে তো ফোনে গেইমও রাখি না। আচ্ছা, গান শুনবো? হ্যাঁ, গানই শুনি একটু। প্লেলিস্টে গিয়ে গান চালু করলাম। গান শুনছি, কিন্তু আমি তো সেই বসেই আছি!
আর এই আমার আরেকটা স্বভাব। খালি হাতে বসে থাকতে পারি না। আমি সবসময় কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকবো, বা আমার হাতে কিছু না কিছু একটা থাকতেই হবে। যেটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করা যাবে।
ফলে শুধু শুধু বসে গান শুনতেও ভালো লাগছে না। বিরক্ত হয়ে আবারও ফোনটা হাতে নিলাম। এবার ফোন ঘাটতে ঘাটতে সোজা গ্যালারিতে গিয়ে ঢুকলাম। তারপর একে একে স্লাইড করে পিক দেখতে লাগলাম।
হুট করে একটা ছবিতে চোখ আটকে গেল আমার। স্লাইড থামিয়ে মনোযোগ সহকারে ছবিটা দেখছি আমি। একদম স্বাভাবিকভাবেই। তবুও কেমন একটা অজানা আকর্ষণ বোধ করছিলাম আমি।
প্রণবের ছবি ঐটা। ভার্সিটিতে লুকিয়ে তুলেছিলাম। কারণটা ছিল এমন-
প্রণব প্রতিদিনকার মতোই ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো। ও একটা বাঁকা নারিকেল গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। আর সম্ভবত চুইংগাম চিবোচ্ছিলো।
যাকগে!
তো হঠাৎ আমি খেয়াল করলাম, ওর শার্টের চার নং বোতামটা খোলা। ঠিক খোলাও না, আসলে বোতামটাই উধাও মনে হলো। হয়তো অসাবধানবশত বোতামটা ছিঁড়ে বা খুলে কোথাও পড়ে গেছে। তাও আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম না। বেশ দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম তো, তাই।
মুমু, শুভ আর অনন্যাও ছিলো সাথে। তো ওদেরকেও ব্যাপারটা দেখালাম।
‘দেখ্, প্রণবের বোতাম ছেঁড়া।’
বলেই কিছুক্ষণ হাসলাম আমরা। ওরাও আমার মতো সন্দিহান ছিলো। যে বোতামটা কি আসলেই নেই, নাকি প্রণবই বোতামটা লাগাতে ভুলে গেছে।
ঠিক সেটাই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটা বুদ্ধি খেলে গেল আমার মাথায়। তক্ষুণি ফোনটা বের করে ওখান থেকেই লুকিয়ে একটা ছবি তুলে নিলাম। আর তারপর ছবিতেই জুম করে বোতামের জায়গাটা দেখার চেষ্টা করতে লাগলাম।
যাক! যে কারণে ছবিটা তুলেছিলাম, সেই কার্যে সফল হয়ে গেছি। প্রণবের বোতামের রহস্য বের করে ফেলেছি। জুম করে ওর বোতামটা ঠিক জায়গাতেই দেখতে পেলাম আমরা। তার মানে, প্রণব ভুলবশতই বোতামটা খোলা রেখেছে।
তো সেই কারণেই ছবিটা তোলা। প্রণবের এই ছবিটা দেখেই হেসে ফেললাম আমি। জানি না কেন। প্রণবের কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়া অজান্তেই পিকটা তুলেছিলাম, তাও কতো সুন্দর এসেছে ছবিটা। বাহ!
ঐদিনের মতো আবারও জুম করে দেখতে লাগলাম। বোতামটা দেখলাম প্রথমে। তারপর ওর চেহারার দিকে ফোকাস করলাম। ওর বন্ধুদের দিকে দাঁত বের করে একটা হাসি দিয়েছিলো প্রণব। দাঁতগুলোর মাঝখানে কামড়ে ধরা গোলাপি রঙের সেন্টার ফ্রুটটা হালকা দেখা যাচ্ছে।
আমি আবারও মুচকি হাসলাম। ওর খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলো দেখতে লাগলাম এবার। আর মনে মনে ধারণা করলাম, সম্ভবত তিন চার দিন আগেই সে দাড়ি কামিয়েছে। ব্যাপারগুলো ভাবছি আর একা একাই হাসছি। মুখের হাসিটা যেন লুকোচ্ছেই না।
হঠাৎ করে কেউ ছোঁ মেরে আমার হাতের ফোনটা নিয়ে নিলো। আমি তাকিয়েই দেখি দিয়া এসেছে। ও আমার ফোনটা নিয়েই স্ক্রিনের দিকে তাকালো। তারপর আমার দিকে সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে টিপ্পনী কেটে বলতে লাগলো,
‘ওহ আচ্ছা। তো তলে তলে এইসব চলছে? হুম?’
আমি অপ্রস্তুত কন্ঠে বলতে লাগলাম,
‘ক-কীসব চলছে, হ্যাঁ?’
‘এই যে.. আপনার আর প্রণব ভাইয়ার কেমিস্ট্রি!’
ওর কথা শুনেই আমি চোখ রাঙিয়ে তাকালাম,
‘হ্যাঁ? বড্ড পেকে গেছিস, তাই না? কিসের কেমিস্ট্রি? প-প্রণব তো আমার চরম শত্রু। চ-চিরশত্রু।’
দিয়াও চোখদুটো বড় বড় করে অদ্ভুত ভঙ্গিতে বললো,
‘ওহ আচ্ছা, আচ্ছা? চরম শত্রু? তা চরম শত্রুর পিক বুঝি মানুষ এভাবে এতো জুম টুম করে দেখে?’
আমি কঠোরভাবেই বললাম,
‘দিয়া, ঢং করিস না তো৷ দে, মোবাইল দে।’
দিয়া আমার কথায় কোনো পাত্তা না দিয়ে উল্টো দুষ্টামির হাসি হেসে বলতে লাগলো,
‘হয়, হয়। প্রথম প্রথম প্রেমে পড়লে.. এমনটাই হয়।’
ওর কথা শুনেই আমি উঠে ওর দিকে তেড়ে গেলাম,
‘তবে রে…’
দিয়া আমাকে ওর দিকে এগিয়ে যেতে দেখেই হাসতে হাসতে আমার ফোন হাতে নিয়েই দৌড়ে ভেতরে চলে গেল। আর বলতে লাগলো,
‘দেবো না, দেবো না।’
ও দৌড়তে দৌড়তে একবার ডাইনিং টেবিলে কয়েক বার রাউন্ড দিলো। সেই সাথে আমিও। তারপর দৌড়ে ড্রয়িংরুমের এক দরজা দিয়ে ঢুকে আরেক দরজা দিয়ে আমার রুমে ঢুকলো। আমিও ছুটছি ওর পিছুপিছু। ঢুকেই রীতিমতো আমার বিছানাতেও উঠে পড়লো। আর বিপরীত পাশে নেমে ঘুরে দাঁড়ালো। আমি আর দিয়া এই মুহুর্তে আমার বিছানার দুই পাশে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি।
আমি মুখে বিরক্তি আর রাগী ভাব নিয়ে কোমরে হাত গুজে দিয়াকে বললাম,
‘দিয়া, ফোন দে বলছি।’
দিয়া দাঁত বের করে বললো,
‘আগে ঘুষ দে। তারপর…’
‘কিসের ঘুষ রে? দেবো এক থাপ্পড়। আমি যে সেদিন তোর প্র্যাক্টিকেলে হেল্প করলাম, তুই দিলি আমায় কোনো ঘুষ? সর্। তুইও পাবি না। ভালোয় ভালোয় ফোনটা দিয়ে দে।’
দিয়া মুখে একটা ভেংচি কেটে বললো,
‘এহ! যা চলে গেছে, চলে গেছে। তা নিয়ে আবার চুক্তি কেন? প্র্যাক্টিকেলের কাজ আগেই শেষ। তো এখন আর সেটাকে আনবি না। এখন তোর মোবাইল দরকার, সেটা নিয়ে যা। আর তার বদলে কিছু ঘুষ দে। নাহলে তুইও মোবাইল পাবি না। বসে থাক্।’
আমি বেশ বুঝতে পারলাম, এমনি এমনিই দিয়ার থেকে ফোনটা পাবো না আমি। তাও বললাম,
‘ঘুষ দেওয়ার মতো কিছু নেই এখন। পরে দিয়ে দেবো। এখন ফোন দে।’
কথাটা বলতেই দিয়া মুখ বেঁকিয়ে বললো,
‘ইশ.. মা গো মা। কতো মিথ্যা কথা বলিস রে তুই! গতকালই তো তোর ড্রয়ারে তিনটা ডেইরি মিল্ক দেখলাম আমি।’
বলেই বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হাসলো দিয়া। আমার বুঝতে আর বাকি রইলো না, যে ওর গোয়েন্দাগিরির কাছে আমি পেরে উঠবো না কখনোই। লুকিয়ে কয়েকটা ডেইরি মিল্ক সরিয়ে রেখেছিলাম, সেটাও পেয়ে গেলো?
বাপ রে! আমি নিশ্চিত- আমার পেটের ভেতরেও যদি কোনো চকলেট, আইসক্রিম লুকিয়ে রাখি, সেটাও দিয়া খুঁজে বের করবেই, করবে!
যাই হউক। আমি হাল ছেড়ে দিলাম। আপাতত ড্রয়ারের ডেইরি মিল্কগুলো ঘুষ দিয়ে, ফোনটা আবার নিজের দখলে নিতে হলো।
____________________________
বিকেলে চেয়ার নিয়ে এসে একটু বারান্দায় বসলাম। মনোরম হাওয়া, বেশ ভালোই লাগছে আজ। দিয়া একটু আগে চা বানিয়েছিলো। সেখান থেকেই এক কাপ নিয়ে এসে চুমুক দিচ্ছি, আর চারপাশটা দেখছি। নিচে যানবাহন চলাচল করছে, সেটা দেখতেও মন্দ লাগছে না। আকাশটাও দারুণ লাগছে।
হুট করে বিপরীত পাশের বিল্ডিংয়ে প্রণবকে দেখতে পেলাম। ওর বাসাতেই। এক বালতি পানি আর মগ নিয়ে ওর বারান্দায় এসেছে। বুঝে গেলাম, ওর বারান্দার টবগুলোতে পানি দিতে এসেছে। ওর পরনে একটা টি শার্ট ও শর্ট প্যান্ট। আর গলায় টাওয়েল ঝুলছে। চুলগুলো ভেজা মনে হচ্ছে। ও কি এখন গোসল করে এলো? যাকগে! আমার কী?
আমি ওকে দেখে চায়ের কাপটা ওখানে রেখেই দ্রুত ভেতরে ঢুকে গেলাম। আমার বুকের ভেতরটা ঢিপঢিপ করছে। কেন, জানি না। বেলকনির পর্দার আড়াল থেকে হালকা উঁকি দিয়ে প্রণবকে দেখার চেষ্টা করলাম।
হঠাৎ করেই যেন প্রণবকে বেশ ভালো লাগতে শুরু করেছে আমার। এটা কেমন ভালো লাগা, আমি জানি না। ভালোবাসা কি এটা?
যদি তাই হয়,
তবে আমার মনেও ভালোবাসা রঙিন প্রজাপতির মতো ডানা ঝাপটানো শুরু করেছে হয়তো।
ইচ্ছে করছে, দুজনেই উড়াল দিই ভালোবাসার সীমাহীন আকাশে।
মনটা আমার উড়ুউড়ু করছে, ঠিক যেন রঙিন প্রজাপতির মতো!
.
.
চলবে..