রোদ্দুরে মেঘের বর্ষন পর্ব -০৬

#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ০৬

“তানজুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো গুটিশুটি মেরে চোখ বন্ধ করে বসে আছে রিয়াদ!”ভিষণ ভয় হচ্ছে তাঁর, কিসের জন্য ভয় হচ্ছে, কেন ভয় হচ্ছে বুঝতে পারছে না কিন্তু এই মুহুর্তে তানজু না থাকলে সে হয়তো ভয়েই শেষ যেত এমন একটা অবস্থা!’রিয়াদ তানজুকে এতটাই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে যেন একটু আলগা হলেই তানজু পালিয়ে যাবে!’

“রিয়াদকে এত ভয় পেতে দেখে চরম অবাক তানজু!’সে বুঝতে পারছে না রিয়াদ কিসের এত ভয় পাচ্ছে,,তারওপর এখন কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না তানজু!’রিয়াদকে এতটা ভয় আর ঘাবড়ে যেতে এই প্রথম দেখছে তানজু,যার জন্য সে নিজেও প্রচন্ড ঘাবড়ে গেছে তারওপর অন্ধকার,তানজুর মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে,,কাউকে ডেকে হেল্প চাইবে সেটাও পারছে না কারন এখান থেকে কেউ ওর আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে না!’

“তানজু রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

—“কি হয়েছে স্যার আপনি এমন করছেন কেন আর এত ভয়ই বা পাচ্ছেন কেন?’

“উওরে রিয়াদ কিছু বলছে না চুপচাপ তানজুকে জড়িয়ে ধরে ভয়ে কাঁপছে সে!’বার বার তার সামনে তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক ভয়ংকর ঘটনার কথা ভেসে আসছে…

“রিয়াদ কাঁপছে,,রিয়াদের সমস্ত শরীর ঠান্ডায় জমে গেছে তারওপর গায়ের কোটটাও খুলে ফেলেছে সে,,তানজু তার মোবাইলের ফ্লাসলাইট অন করে রেখেছে কখন থেকে কিন্তু রিয়াদ ভয়ে চোখই খুলছে না!”তানজু আশেপাশে তাকিয়ে রিয়াদের কোটটা খুঁজে বের করলো তারপর রিয়াদের গায়ে কোটটা জড়িয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে রইলো,,হঠাৎই মনে হলো তার এই মুহুর্তে তাকে হেল্প একজনই করতে পারবে সে হলো আবির কিন্তু আবিরের নাম্বার কোথায় পাবে,,অনেক ভেবে চিন্তে রিয়াদের ফোনটা খুঁজে বের করলো তানজু,রিয়াদের ফোনের লক তানজু জানে তাই নিমিষেই ফোনের লক খুলে আবিরের নাম্বার খুঁজতে লাগলো সে!’

“এরই মাঝে কারেন্ট চলে আসলো!’যা দেখে সস্থির নিশ্বাস ফেললো তানজু!’তারপর রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল সেঃ

—“চোখ খুলুন স্যার দেখুন কারেন্ট চলে এসেছে এখন আর কোনো ভয় নেই আপনার…

“কিন্তু উওরে রিয়াদের কোনো সাড়াশব্দ মিললো না!’পরপর কয়েকবার ডাকতেও রিয়াদের সাড়া না পেয়ে আরো ভয় পেয়ে যায় তানজু!’

_________

“হতভম্ব হয়ে গাড়িতে বসে আছে তানজু আর ওর পাশেই রিয়াদ অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছে!’প্রচন্ড ঘাবড়ে গেছে তানজু, আবিরের নাম্বার খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ ড্রাইভারকে ফোন করে তানজু,তারপর ড্রাইভারের সাহায্যে রিয়াদকে নিয়ে বেরিয়ে আসে সে!’

“ডাক্তারকে অনেক আগেই কল করেছে তানজু,এখন শুধু অপেক্ষা কখন ওঁরা হোটেলে পৌঁছাবে!’

.

“সাদা তুলতুলে নরম বিছানায় নিজের রুমে শুয়ে আছে রিয়াদ!’পাশেই তানজু দাঁড়িয়ে আছে আর ডাক্তার একটা ইনজেকশন পুস করছে রিয়াদের হাতে!’রিয়াদকে ইনজেকশন পুস করতে দেখে তানজু তার চোখ বন্ধ করে নিলো কারন এসবে তার খুব ভয়!’

“কিছুক্ষণ পর….

—“ডোন্ট ওয়ারি,অত্যাধিক স্ট্রেচ আর অসস্থিকর পরিবেশে থাকার জন্য এমনটা হয়েছে,,ভয়ের কোনো কারন নেই আমি ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি,আর ওনার শরীর গরম হয়ে গেছে জ্বর এসেছে তবে এতে খুব একটা ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমি কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি দু’ঘন্টা পর ঘুম ভেঙে গেলে কিছু খাইয়ে এই ঔষধগুলো খাইয়ে দিবেন,কিছুদিন বেড রেস্ট থাকলেই ঠিক হয়ে যাবে….

“এতটুকু বলে চলে যায় ডাক্তার,,ডাক্তারের সাথে সাথে ড্রাইভারও চলে যায় আর সাথে নিয়ে যায় ঔষধের কাগজটাও….

“সবাই যেতেই তানজু ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিল!’তারপর চলে যায় সে রিয়াদের কাছে,, রিয়াদের কপালে হাত দিতেই আঁতকে উঠল তানজু,জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে একদম!’শুরুতে তানজু রিয়াদকে ঠিকমতো শুয়ে দিয়ে গায়ে মোটা কম্বল জড়িয়ে দিল!’তারপর বাটিতে করে পানি এনে তাতে কাপড় ভিজিয়ে রিয়াদের কপালে জলপট্টি দিলো!’

“এরই মাঝে কলিং বেল বেজে উঠল, তানজু বুঝতে পেরেছে ড্রাইভার রিয়াদের জন্য ঔষধ নিয়ে এসেছে!’তানজুও বেশি কিছু না ভেবে চলে যায় দরজার কাছে তারপর ড্রাইভারের কাছ থেকে ঔষধগুলো নিয়ে ড্রাইভারকে থ্যাংক ইউ বলে আবার চলে আসে রিয়াদের কাছে!’তারপর চুপচাপ বসে পড়ে নিচে,,

“বিছানা লেপ্টে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে রিয়াদ!’ তানজু কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো রিয়াদেরর মুখের দিকে,,তানজুর মাথায় এই মুহুর্তে একটা প্রশ্নই বাজছে__

—“কি এমন হলো যে রিয়াদের স্যার এতটা ভয় পেয়ে গেলেন!’

“প্রশ্নগুলো মাথায় এসে আবার বেরিয়ে যাচ্ছে তানজুর!’কিছুক্ষন পর পর রিয়াদের কপালে জলপট্টি দিচ্ছে তানজু,ঘড়ির কাটায় প্রায় সাড়ে বারোটা বাজে আর ডাক্তার বলেছিল দু’ঘন্টা পর রিয়াদের জ্ঞান ফিরবে!’

“নানা কিছু ভাবতে ভাবতে তানজু বিছানার উপর মাথা দিয়ে নিচে বসেই ঘুমিয়ে পরল!’আর রিয়াদ সেও ঘুমাচ্ছে,,রিয়াদের রুমের জানালার সাদা পর্দাটা বাতাসে নড়েচড়ে উঠছে বারবার,সাথে রাতের জোৎসা ভরা রাতের আলো,আর শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস,,তানজুর শীত করছে তাই ঘুমের ঘোরে রিয়াদের কোটটা গায়ে জড়িয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে সে!’

“ঘড়ির কাটায় দুটো বেজে দু’মিনিট!’

“রিয়াদ গভীর ঘুমে মগ্ন তখন!’হঠাৎই চোখের সামনে ভেসে উঠলো তার গভীর রাত তখন, অন্ধকার রাস্তা পেরিয়ে গাড়ি করে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একটা লোক আর একটা মহিলা,,গাড়ির পিছনে খুশি মনে বসে ছিল একটা ছোট্ট ছেলে বয়স তার দশ বারো হবে,হাতে আইসক্রিম খাচ্ছিল সে,এমন সময় হঠাৎই কোথা থেকে একটা ট্রাক এসে গাড়ি সমেত উড়িয়ে দিলো তাদের!’ছেলেটি ভয় পেয়ে চেঁচিয়ে উঠল!’

“হঠাৎই ঘুমের ঘোরে চেঁচিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো রিয়াদ!’ঘেমে একাকার হয়ে গেছে সে!’রিয়াদের চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় তানজুর হতভম্ব হয়ে শোয়া থেকে উঠে রিয়াদের পাশে বসে বলে উঠল সেঃ

—“কি হলো স্যার…

“উওরে রিয়াদ কিছু বললো না,আশেপাশে চারিদিকে তাকালো শুধু!’রিয়াদের রিয়েকশন দেখে তানজু বুঝতে পেরেছে রিয়াদ হয়তো কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখেছে!’তানজু পাশের টেবিলে থাকা পানির গ্লাসটা রিয়াদের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ

—“পানি খান স্যার…

“রিয়াদ একবার তানজুর মুখের দিকে তাকিয়ে ওর হাতের পানির গ্লাসটা নিয়ে ডগডগ করে পুরো পানিটা খেয়ে নিলো তারপর জোরে জোরে শ্বাস ফেললো সে!’তানজু রিয়াদের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললোঃ

—“এত ভয় পাচ্ছেন কেন স্যার,দেখুন এখানে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই!’

“রিয়াদ চুপচাপ বসে রইলো কতক্ষণ? ‘হয়তো নিজেকে শান্ত করার প্রচেষ্টা!’তানজু রিয়াদের কপালে হাত রাখলো,না জ্বর একটুও কমে নি,,তানজু রিয়াদের হাত থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে বলে উঠলঃ

—“আপনি বসুন স্যার আমি এক্ষুনি আসছি….

—“কোথায় যাচ্ছো…

—“আসছি স্যার জাস্ট ফাইভ মিনিট…

“এতটুকু বলে চলে যায় তানজু!’রিয়াদ তানজুর যাওয়ার পানে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আশেপাশে তাকালো সে!’গায়ের কম্বলটা সরিয়ে ফেললো রিয়াদ,হাত পা কাঁপছে রিয়াদের,,চোখের সামনে মা আর বাবার রক্তাক্ত দেহের কথা ভাবতেই কেমন লাগছে তাঁর,,নিমিষেই চোখ বন্ধ করে ফেললো সে!’

“রিয়াদ আস্তে আস্তে বিছানা থেকে পা রাখলো নিচে কিন্তু শরীরের সমস্ত শক্তি যেন কোথায় একটা হারিয়ে গেছে রিয়াদের!’তারপরও যথাসম্ভব শক্তি সঞ্চয় করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো সে!’চার পা হাঁটতেই পড়ে যেতে নেয় রিয়াদ…

“এমন সময় হাতে সুপের বাটি নিয়ে আসছিল তানজু!’রিয়াদকে পড়ে যেতে দেখে তাড়াতাড়ি সুপের বাটিটা টেবিলের ওপর রেখে দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেললো সে রিয়াদকে!’তারপর বললোঃ

—“কি করছেন স্যার এক্ষুনি তো পড়ে যেতেন?’

“রিয়াদ তানজুকে ধরে বললোঃ

—“আমি ওয়াশরুমে যাবো তানজু…

—“ওয়াশরুমে যাবেন এটা আমায় বললেই তো হতো,,

“এতটুকু বলে রিয়াদের হাত ধরে নিয়ে যায় তানজু!’

_______

“বিছানায় কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে আছে রিয়াদ!’পাশেই তানজু হাতে সুপের বাটি নিয়ে রিয়াদকে খাইয়ে দিচ্ছে,,রিয়াদের খেতে ইচ্ছে করছে না মটেও কিন্তু তারপরও তানজু জোর করে খাইয়ে দিচ্ছে তাকে!’রিয়াদ শুধু তাকিয়ে আছে তানজুর মুখের দিকে,,কিছু বলছে না!’

“আধ ঘন্টা পর….

“তানজু রিয়াদকে ঔষধ খাইয়ে দিল!’তারপর বললোঃ

—“এখন ঘুমিয়ে পরুন স্যার…

“উওরে মাথা নাড়ায় রিয়াদ!’তারপর তানজু রিয়াদকে সুন্দর করে বিছানায় শুয়ে দিল!’অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে হচ্ছে তার কিন্তু এই মুহুর্তে রিয়াদকে কিছু জিজ্ঞেস করা মোটেও ঠিক হবে না!’তাই আর কিছু বললো না তানজু…

.
.
.

“পরের দিন সকালে…..

“রিয়াদের রুমের সোফার ওপর ঘুমিয়ে ছিল তানজুর!’হঠাৎই ঘুম ভেঙে যায় তার তাড়াতাড়ি শোয়া থেকে উঠে বসলো তানজু!’আশেপাশে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি উঠে চলে যায় তানজুর রিয়াদের রুমে,বেঘোরে ঘুমাচ্ছে রিয়াদ,তানজু রিয়াদের কপালে হাত দিলো না জ্বর কমে নি এখনও প্রচন্ড গরম কপাল,,তানজু কিছু একটা ভেবে রিয়াদের রুম থেকে বেরিয়ে যায়,,তারপর নিজের রুমে গিয়ে ফটাফট ফ্রেশ হয়ে গায়ের ড্রেস চেঞ্জ করে একটা সাদা টিশার্ট আর ব্লাক জিন্স পড়ে চলে আসে সে রিয়াদের রুমে, রিয়াদ তখনও ঘুমিয়ে ছিলো!’রিয়াদের ঘুম ভাঙতেই তানজু তাড়াতাড়ি রিয়াদকে ফ্রেশ করে কিছু খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেয়!’সারাদিন এটা ওটা আর রিয়াদের সেবা করেই সকালটা কেটে যায়,,

“দুপুর_দুটো….

“রিয়াদকে খাবার আর ঔষধ খাইয়ে দিয়ে ওর মুখ মুছে পাশে বসলো তানজু!’জ্বর আগের চেয়ে একটু কমে গেছে রিয়াদের!’তানজু কিছুক্ষন চুপ থেকে ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলে উঠলঃ

—“একটা কথা বলবো স্যার….

“উওরে শুধু তাকায় রিয়াদ তানজুর দিকে!’রিয়াদের চাহনী দেখে তানজু নীরব কন্ঠে বলে উঠলঃ

—“কাল রাতে কি হয়েছিল স্যার,আপনি অন্ধকারে ভয় পান কিন্তু কেন?’

“উওরে রিয়াদ চুপ করে রইলো!’রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে তানজুও আর জোর না করে বলে উঠলঃ

—“আপনি বলতে না চাইলে আমি জোর করবো না স্যার আপনি ঘুমান আমি তাহলে আসি…

“বলেই খাবারের বাটিটা হাতে নিয়ে চলে যেতে নেয় তানজু!’তানজুকে যেতে দেখে রিয়াদ হাত ধরে বসলো তানজুর!’রিয়াদের কাজে তানজু অবাক হয়ে আবারো বসে পরলো বিছানায়!’তানজুকে বসতে দেখে রিয়াদ নীরব কন্ঠে বলে উঠলঃ

—“সেদিন ছিল ৫ই সেপ্টেম্বর সালটা ঠিক মনে নেই,,তখন আমার বয়স দশ এগারো হবে হয়তো,বাবা মায়ের সাথে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলাম সেদিন আমি!’ খুব খুশি ছিলাম কারন সেদিন বাবা নিজের সব কাজ বন্ধ করে আমায় আর মায়ের সাথে টাইম স্পেন করেছিল,,সেদিন খুব দেরি করেই বাড়ি ফিরছিলাম আমরা,গভীর রাত তখন আমরা শহর থেকে অনেকটাই বাহিরে চলে গিয়েছিলাম একটা অন্ধকার রাস্তা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমি বাবা আর মা,,আমার এখনও মনে আছে মাও আমার মতো খুব খুশি ছিল,,হঠাৎ কি হলো আচমকা একটা ট্রাক এসে ধাক্কা মারলো আমাদের গাড়িতে!’মুহূর্তের মধ্যে সব এলেমেলো হয়ে গেল,,আমি পিছনের সিটে থাকায় পিছনের গ্লাস ভেঙে বাহিরের এসে পড়ি, সেদিন মাথায় খুব জোরে আঘাত পেয়েছিলাম আমি,,আমি যতক্ষণে দৌড়ে মা- বাবার কাছে গিয়েছিলাম ততক্ষণে গাড়ির ব্লাস্ট হয়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল গাড়িতে,আশেপাশে কেউ ছিল না যে আমাদের সাহায্য করবে,,আমি শুধু সেদিন বাবার মাথাটা দেখেছিলাম রক্তে মাখানো ছিল,,আর মায়ের হাত ব্যস আর কিছু মনে নেই,,

“পরেরদিন যখন হসসপিটালে জ্ঞান ফিরেছিল আমার!’তখন জানতে পারি মা বাবা আর নেই,,

“আর সেদিন থেকেই গভীর অন্ধকারে আমার ভয় হয় বারবার শুধু সেদিন রাতের কথা মনে পরে সাথে বাবা মা রক্তাক্ত অবস্থা!’এসব ভাবলেই মাথা ঝিমঝিম করে আমার কেমন একটা অস্থিরতা ফিল হয় কাল রাতে যখন হুট করে ওয়াশরুমে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল তখনও সেইম জিনিসটা হয়েছিল,,,

“আর কিছু বললো না রিয়াদ চুপ করে রইলো সে!’রিয়াদের এই অতীতের কথা জানতো না তানজু এমনটা নয় কিন্তু এই অতীতের সাথে যে রিয়াদের অনেক বড় দূর্বলতা আছে এটা জানতো না সে!’ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো তানজু রিয়াদের দিকে!” ওতটুকু বয়সে কতই না কষ্ট পেয়েছে রিয়াদ,,ভাবতেই এখন তানজুর কষ্ট হচ্ছে,,তানজু রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে রিয়াদকে শুয়ে দিয়ে বললোঃ

—“এখন ঘুমিয়ে পরুন স্যার আর কিছু বলতে হবে না….

“উওরে রিয়াদও আর কিছু বললো না চুপচাপ শুয়ে পরলো সে!’রিয়াদকে শুয়ে থাকতে দেখে তানজুও খাবারের বাটি নিয়ে এগিয়ে গেল কিচেনের দিকে…..

“মানুষের মনে কতই না কষ্ট আছে!’এত বড় একজন সেলিব্রেটির মনে এত কষ্ট জমে আছে বুঝতে পারে নি তানজু,,রিয়াদের হাসি খুশি ফেস দেখে কখনো মনেই হয়নি তানজুর যে রিয়াদের ভিতরও এত বড় অতীত আর যন্ত্রণা আছে,সে তো শুধু জানতো রিয়াদ যখন খুব ছোট তখন তার বাবা মা কার এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিল কিন্তু সেই কারে যে রিয়াদও ছিল এটা জানতো না তানজু….

ভাবতেই একটা দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসলো তানজুর….

______

“মাঝখানে কাটলো দু’দিন….

“এখন রিয়াদ মোটামুটি সুস্থ!’সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে বেঘোরে সোফায় ঘুমাচ্ছে তানজু!’গায়ে তার কম্বল জড়ানো, এই দু’দিনও তানজু রিয়াদের রুমেই ছিল,,সারাদিন সেবাযত্ন করে রাতে সোফায় ঘুমিয়ে পরতো সে…

“এমন সময় তার কাছে হেঁটে আসলো রিয়াদ…..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!”আর গল্প কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবে কিন্তু!’]

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here