লাভার নাকি ভিলেন পর্ব ৩০+৩১

#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ৩০
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

আকাশঃ হইছে নিজের চাপা টা এবার বন্ধ করুন মিস মেঘলা।
যা এবার আমার পাশের রুম টা ইরার জন্য খুলে দে আর পরিষ্কার করে দে….

মেঘলাঃ আমি কেন করব?

আকাশঃ তুই ইরার কাজের মেয়ে তাই….দেখ মেঘলা এমনিতেই অনেক মার খেয়েছিস আর মারতে চাচ্ছিনা তাই মুখে মুখে কথা বলাটা এবার ছেড়ে দে বলেই আকাশ মেঘলাকে টেনে নিয়ে গেল তারপর কাজ করতে জোর করল।

ইরার ঘর টা একদম আকাশের পাশের রুম আর মেঘলার রুমের মুখোমুখি এ ঘরের দরজা খোলা থাকলে মেঘলার ঘর থে সব দেখা যাবে।

মেঘলার ঘর গোছানো শেষ হতে না হতেই আকাশ বলল যা গিয়ে আমাদের জন্য রান্না কর।

মেঘলাঃ আমি কি রান্না করি নাকি? তাহলে আজ আমি কেন রান্না করব…

আকাশ মেঘলাকে থাপ্পড় মেরে বলল মুখে মুখে কথা বলতে বারন করেছি না? যা বলছি রান্না কর, একটু এদিক থেকে ওদিক হলে তোকে আমি পাগলাগারদে পাঠাব….

মেঘলা গালে হাত দিয়ে মনে মনে আকাশকে বকা দিতে দিতে রান্না ঘরে গিয়ে রান্না শেষ করে আকাশ আর ইরাকে খেতে দিল।

আকাশ ইরার হাত ধরে নিয়ে নিচে নামছে

আকাশ আর ইরাকে পাশাপাশি দেখে মেঘলার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে…
মেঘলাঃ আমি তো আকাশ কে ভালবাসি না তাহলে কেন ইরা আপুকে আকাশের পাশে মানতে পাড়ছি না বুকের বাম পাশে কেন চিন চিন ব্যাথা অনুভব করছি?

আকাশ এসে বলল মেঘলা খাবার দে…

মেঘলা ২ টা প্লেটে খাবার দিচ্ছে দেখে ইরা বলল আরে মেঘলা ২ প্লেটে খাবার দিচ্ছ কেন আমরা তো এক প্লেটে খাব আকাশ আমায় খাইয়ে দিবে তাই না বেবি?

মেঘলাঃ কি আজব ঘটনা তোমার হাতে কি মরিচা ধরেছে নাকি ভাইয়ার কেন খাইয়ে দিতে হবে?

আকাশঃ ওই ইরা তোর ভাবি হতে চলেছে এসব কি ভাষায় কথা বলছিস ভদ্রভাবে কথা বল।আর হ্যা আমি খাইয়ে দিব তাতে তোর কিসের প্রবলেম তুই কথা বলছিস কেন…???

আকাশঃ বল মেঘলা বল প্লিজ… বলে দে মেঘলা তুই আমায় ভালবাসিস তাই তুই চাস না আমি ওকে খাওয়াই বল মেঘলা প্লিজ বল (মনে মনে)

মেঘলাঃ প্রবলেম টা তো আমারেই আপনার নয় তাই আমি কথা বলছি।যখন সবাই বলবে মেঘলার ভাই একটা প্রতিবন্ধীকে বিয়ে করেছে আমার ভাবি একটা প্রতিবন্ধী শুনতে কেমন লাগবে…

মেঘলা সত্যিটা বলল না জন্য আকাশের খুব রাগ হল ধমক দিয়ে মেঘলাকে চুপ করিয়ে দিল তারপর মেঘলার উপড় রাগ করে ইরাকে খায়িয়ে দিতে শুরু করল।

এসব ন্যাকামি মেঘলার সহ্য হল না তাই সেখান থেকে চলে গেল।

আকাশঃ খুব খারাপ লেগেছে তাই না? মুখ টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ইচ্ছে করছে একটু যদি আদর করে দিতে পাড়তাম কিন্তু আদর করতে গেলে তো হাজারটা বাজে কথা শুনাবি।তুই এভাবে কেন বদলে গেলি মেঘলা?

আকাশ খাওয়া শেষ করে গিয়ে সোফায় বসল।
তখন ইরা একটা কাগজ নিয়ে এসে বলল বেবি জানই তো বাবার অনেক ব্যাংক লোন হয়ে গেছে তুমি প্লিজ এই বিল টা পে করে দাও।

ইরার কথা শুনে মেঘলা এগিয়ে আসল,

আকাশ মেঘলার দিকে একবার তাকিয়ে ইরাকে জিজ্ঞাস করল কত টাকার বিল?

ইরাঃ খুব বেশি না এই জাস্ট দশ লাখের মত।

আকাশঃ ঠিক আছে পেন দাও সাইন করে দিচ্ছি বলে দিও আমার চেম্বারে এসে যেন নিয়ে যায়।

মেঘলাঃ আকাশ কি পাগল হয়ে গেছে এই মেয়ে কি পরিমান লোভি সেটা কি বোঝতে পাড়ছে না?

আকাশ সাইন করে বলল ইরা যাও রেডি হয়ে নাও আমরা ঘুরতে যাব।

ইরাঃ ওয়াও থ্যাংক্স বেবস আমি এখুনি যাচ্ছি।

আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল এই তুই ও যা রেডি হয়ে আয় তুই ও যাবি আমাদের সাথে কথা বাড়াবি তো মার খাবি… ভাবিস না ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছি তোকে ইরার কাজ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছি।

মেঘলা বাধ্য হয়েই রেডি হয়ে নিল।

আকাশ আর ইরা সামনে বসেছে আর মেঘলা পিছনে।আকাশ মেঘলাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ইরার কেয়ার করছে হাত ধরে গাড়িতে তুলেছে সীট বেল্ট লাগিয়ে দিয়েছে।

মেঘলা ইচ্ছা করেই সীট বেল্ট পড়ল না।
মেঘলার আকাশের কাহীনি ভাল না লাগলেও কি আর করবে বসে বসে দেখছে।আর গাল ফুলাচ্ছে।
অভিমানের পাহাড় বানাচ্ছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে আকাশ এটা দেখে খুব মজা পাচ্ছে কারন মেঘলাকে সে কস্ট দিতে চায়।

গাড়ি চলছে আকাশ আর ইরা গল্প করতে করতে যাচ্ছে কিছুক্ষন পর আকাশ গ্লাসে চোখ রেখে দেখল যাকে জ্বালানোর জন্য সে ইরার সাথে হাজার রোমান্টিক কথা বলছে সে সেসব কিছু না শুনে ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে।দেখেই আকাশের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে জোরে গাড়ির ব্রেক চাপলো।
মেঘলা হুরমুর করে পড়ে গিয়ে সামনের সীটে ধাক্কা খেল। সাথে সাথেই কপাল কেটে রক্ত বের হতে শুরু করল।মেঘলার ঘুমও ভেংগে গেল।

আকাশ মেঘলাকে জাগানোর জন্য একটা ঝাঁকি দিতে চেয়েছিল কিন্তু মেঘলা যে সীট বেল্ট পড়ে নি সেটা আকাশ খেয়াল করে নি তাই এমন টা হল।

আকাশ ধমক দিয়ে বলল ঠিক করে বসতে পাড়িস না দেখতো কি অবস্থা করেছিস? আকাশ গাড়ি থামিয়ে মেঘলাকে বাইরে এনে কপালে পানি দিতে লাগল।

মেঘলাঃ জন্ম থেকেই যার কপাল পোড়া এই পানিতে কি সেই আগুন নিভবে আকাশ(মনে মনে)

আকাশঃ তুই কি কিছু বল্লি মেঘলা?

মেঘলাঃ কই নাত কিছু না বলি নি।চলুন যাই।

আকাশঃ খুব ইচ্ছে করছে একটু জড়িয়ে ধরতে তুই কি বোঝিস না আমি তোকে কস্ট দিতে চাই না। কেন এভাবে সরে গেলি মেঘলা? তুই চাইলেই তো সুখের একটা জীবন হতে পাড়ত আমাদের।(মনে মনে)

মেঘলা গিয়ে গাড়িতে বসল।
আকাশ আর ইরার সাথে কোন কথা বলল না।
দেখতে দেখতে তারা মেলায় পৌছে গেল।

আকাশ ইরাকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে বলল মেঘলাকে একটু ভয় দেখাই?

ইরা খুশিতেই অনুমতি দিল।
আকাশঃ তাহলে তুমি এখানেই থাকো। মেলায় সব ঘুরে ঘুরে দেখো আমি একটু আসছি।

আকাশঃ এই মেঘলা চল…

মেঘলাঃ কোথায় যাব?

আকাশঃ রাইডে চড়বি।

মেঘলাঃ ইরা আপু যাবে না।

আকাশঃ না..তুই আর আমি যাব বলেই আকাশ মেঘলাকে নিয়ে রাইডে চড়ে বসলো।
মেঘলা জানত না এখানে কি হতে চলেছে।

রাইড চলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল। রাইড একটা টানেলে ঢুকল।
মেঘলাঃ এটা কেমন রাইড বলতে না বলতেই আবছা আলোতে কিছু অদ্ভুত চেহারার আবির্ভাব হলো যা দেখেই মেঘলা চেঁচিয়ে উঠল।
তারমানে আমরা ভুতের ট্রেনে চড়েছি…

আকাশ হাসতে হাসতে বলল হুম।

মেঘলাঃ আপনি জানেন আমি এসব ভয় পাই তাও কেন…??আমি নামবো প্লিজ আমাকে নামিয়ে দিন।

আকাশঃ এখানে তুই চেঁচালেও কেউ তোর কথা শুনতে পাবে না তাই যতক্ষন না রাইড শেষ হচ্ছে চুপচাপ বসে থাক কিছুই হবে না।

চারদিকে আবছা আলো, ভয়ানক শব্দ তার সাথে ভয়ংকর সব মুর্তি তার মাঝখান দিয়ে ট্রেন চলছে মেঘলা ভয়ে আকাশকে জড়িয়ে ধরেছে…

আকাশঃ এটাই তো চাইছিলাম।ভালভাবে বল্লে তো জড়িয়ে ধরবি না।সময় কত ভয়ানক,আজ তোকে জড়িয়ে ধরার জন্যেও অযুহাত খুজতে হয়।

মেঘলা চোখ বন্ধকরে আকাশকে জড়িয়ে ধরে দোয়া করছে তাড়াতাড়ি যেন রাইডের সময় পাড় হয়।
কিন্তু হঠাৎ করেই রাইড চলা বন্ধ হয়ে গেল।
মেঘলা খেয়াল করে দেখল রাইডের সামনে পিছনে আর কেউ নেই শুধু সে আর আকাশেই।
মেঘলা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল এখানে আর কেউ নেই কেন? আর এই রাইড চলাই বা বন্ধ হয়ে গেল কেন?আমরা বের হব না?

আকাশঃ হয়ত কোন সমস্যা হয়েছে ঠিক হলে বের হব।
মেঘলাঃ কি বলছেন এসব এখন যদি এই ভুতগুলি উল্টো পালটা কিছু করে?

আকাশঃ বোকা কোথাকার এগুলি মানুষ….ভুত নয় শুধু মুখোশ পড়েছে।

মেঘলা সে যাই হোক তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করুন আমার ভয় লাগছে।
আকাশ মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল চোখ বন্ধ করে থাক ভয় করবে না।
মেঘলাও আকাশকে আঁশটে পিশটে পেঁচিয়ে ধরে রেখেছে।
বেশ কিছুক্ষন পর আকাশ আর মেঘলা বের হয়ে আসল।

আসতেই ইরা আকাশের উপড় খবরদারি শুরু করে দিল।

ইরাঃ এটা কেমন রাইড যেখানে অন্য কেউ চড়তে পাড়বে না শুধু তোমরা ২ জন চড়েছো বাকি সব সীট খালি তার মধ্যে ভিতরে এত সময় নিয়ে কি করছিলে তোমরা?

আকাশঃ আজব আমি অন্য কারো সাথে রাইডে কেন চড়ব?আকাশ চৌধুরীর একটা স্ট্যাটাস আছে ওকে?আর রাইডে কোন গন্ডগোল হলে আমাদের কি করার আছে?
কিন্তু তুমি আমার কাছে কইফত চাওয়ার কে?

ইরাঃ আকাশ শোনো তোমাদের মধ্যে যদি কিছু থাকে তাহলে এখুনি বলে দাও আমাকে নিয়ে তোমরা খেলতে পাড়ো না। বিয়ের আগে এসে হুট করে বলবে বিয়ে করবে না সেটা তো হতে পাড়েনা তাই না? আমারও তো মান সম্মান আছে নাকি?

মেঘলাঃ আমাদের মধ্যে কিছু নেই আপু তুমি চিন্তা করো না এমন কিছু হবে না।আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি এমন কিছু হতে আমি দিব না।
আর আমি উনাকে একদমি পছন্দ করি না তাহলে বিয়ে কেন করব?

মেঘলার প্রতিটা কথা আকাশের মনে তীরের মত আঘাত করছে।মেঘলার প্রতিজ্ঞার কথা শুনে মেঘলাকে নিজের করে পাওয়ার সব আকাশ ছেড়ে দিল।

আকাশঃ মিথ্যা আমি বলতে পাড়ি না আর ছলনা করার ইচ্ছাও আমার নেই যা বলার সরাসরি বলি আমি মেঘলাকে ভালবাসি নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসি মেঘলা একবার বল্লে আমি শুধু বিয়ে কেন হাসতে হাসতে নিজেকেউ শেষ করে দিতে পাড়ি।
আকাশ মেঘলা সামনে হাঁটু ঘেরে বসে বলল জীবনের শেষবার তোকে জিজ্ঞাস করছি তুই কি আমার হবি?দেখ মেঘলা আমি সবার সামনে ২ হাত বাড়িয়ে তোর কাছে ভিক্ষা চাইছি,
তুই আমায় আমাকে ফিরিয়ে দিস না প্লিজ মেঘলা….আমার উপড় দয়া কর…
আকাশের চোখ থেকে পানি পড়ছে। আকাশ ঠিক মত কথা বলতে পাড়ছে না কথা জড়িয়ে যাচ্ছে….সবাই মিলে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।

এতকিছুর পড়েও মেঘলার মন গলল না সে নির্দয়ের মত বলল আমি একটু আগেই প্রতিজ্ঞা করেছি… আমি আর কখনো আপনার জীবনে ফিড়ব না।তাই শুধু শুধু সিনক্রিয়েট করবেন না উঠুন।

আকাশ চোখ মুছে উঠে দাঁড়িয়ে বলল ১ বার ভুল করলে সুযোগ দেওয়া যায় ২য় বার ক্ষমা করা যায় ৩য় বার অনুরোধ করা যায় আমি আজ ৩ টা ধাপেই পেড়িয়ে গেলাম। এবার তুই বোঝবি জীবন কি জিনিস…আজকের পর ভুলে যাব আমি মেঘলা নামের কাউকে চিনতাম…
আমার ফ্যামিলি, আমার চরিত্র বা যেকোন সন্দেহ যে সমস্যায় থাক না কেন তুই আমাকে বলতে পাড়তি তুই আজ জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল টা করলি যার মাসুল সারাজীবন ধরে দিতে হবে।আমি সুখি হব মেঘলা আর তুই সেটা চোখের সামনেই দেখবি। আমার কাছে তুই আজ মরে গেছিস।

ইরা আমি মেঘলাকে ভালবাসতাম কিন্তু আজ ওর প্রতিজ্ঞার কথা শুনে মনে হচ্ছে ভুল মানুষ কে ভালবেসে ফেলেছি।মেঘলা আজ আমার কাছে মরে গেছে। এরপর কি তুমি আমায় বিয়ে করবে?
যদি আমার অতীত মেনে নিয়ে বিয়ে করতে পারো বলো। আর যদি না পারো সেটাও বলো।কারন আমি আগামি ৭ দিনের মধ্যেই বিয়ে করব সেটা তুমি হও বা অন্য কেউ।

ইরা এসে আকাশ কে জড়িয়ে ধরে বলল তুমি যেমন মেঘলাকে ভালবাসো আমিও তেমন তোমায় ভালবাসি ২ বছর আগে থেকেই তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি আজ তা কি করে ভেংগে দেই বলো তোমার অতীত যাই থাকুক আমি তোমার সাথেই থাকতে চাই আকাশ…

।#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ৩১
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

আকাশ মেঘলাকে কথাগুলি বলে ইরাকে বলল চলো ইরা আমার ভাল লাগছে না আমরা এখন যাই।
ইরাও আকাশের কথায় সায় দিয়ে বলল হুম চলো।

আকাশ আর ইরা চলে যাচ্ছে মেঘলাও ওদের সাথে সাথে আসছিল কিন্তু আকাশ থেমে গিয়ে বলল তুই কোথায় যাচ্ছিস?

মেঘলাঃ বাসায় যাব না?

আকাশঃ হ্যা যাবি কিন্তু আমাদের সাথে না।
নিজের ব্যবস্থা নিজে করে নে… বলে আকাশ ইরাকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল।
একটু এগিয়ে গিয়ে আবার ফিড়ে এসে বলল,
মেঘলা তোর ফোন টা দে তো….

মেঘলা ফোনটা দিতেই আকাশ সেটা ভেংগে ফেলল তারপর মেঘলার হাত থেকে রিংগুলি খুলতে খুলতে বলল তোর মত মেয়ে আমার ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য না।
রিংগুলি খুলে নিয়ে পাশের একটা ডোবায় ফেলে দিল।

মেঘলা কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু আকাশ না শুনেই হন হন করে হেঁটে চলে গেল।

মেঘলা আকাশ আর ইরার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকল আস্তে আস্তে মেঘলার দৃষ্টির সীমা পেড়িয়ে চলে গেল আকাশ।

নিজেকে খুব অসহায় লাগছে মেঘলার। তার কাছে কোনো টাকা নেই বাসায় কিভাবে যাবে ভাবতে ভাবতে হাঁটছে মেঘলা, বাসা এখান থেকে ৫ কিলো দূরে। হেঁটে যাওয়া অসম্ভব নয় কিন্তু কষ্টকর।যতই কস্টকর হোক মেঘলার আর কোন উপায় নেই তাই হেঁটে হেঁটেই বাসায় যেতে লাগল
এক সময় বাসায় পৌছও গেল, ৩ ঘন্টা লেগেছে মেঘলার আসতে।
শরীর অসম্ভব ক্লান্ত লাগছে সে বাসায় ফিড়েই নিজের ঘরে চলে গেল।বিছানায় গা মিশাতেই মেঘলার ইচ্ছা করছে ঘুমের রাজ্য পাড়ি দিতে কিন্তু তা আর হল না আকাশ এসে মেঘলার হাত ধরে টানতে লাগল।

মেঘলা তাকাতেই আকাশ তাকে টেনে নিয়ে গেল। নিয়ে ওয়াশরুমে ধাক্কা দিয়ে ফেলল আর অনেক গুলি কাপড় চোপড় দিয়ে বলল কেচে দিতে।

রাত তখন ১১ তাই মেঘলার আপত্তি করার কথা ছিল কিন্তু সে একটা কথাও না বলে কাপড় ধুতে শুরু করল।

ঘরে বসে আকাশ আর ইরা নানান গল্প করছে বিয়েতে কি কি করবে এমন কি বাচ্চার নামও রেখে ফেলেছে।
মেঘলা সব শুনতে পাচ্ছে নিজের অজান্তেই জল জমছে মেঘলার চোখের কোণে। যে চোখের জল কে চোখের কোনেই লুকিয়ে রাখতে হয় বাইরে গড়িয়ে পড়তে দেওয়া যায় না।বুক ফাঁটা কান্না যাকে বলে।



ঘড়ির কাঁটা ১২ টার ঘর পার হওয়ার পর আকাশ ওয়াশরুমে গেল।সেখানে গিয়ে সে অবাক হয়ে গেল কারন মেঘলা কাপড় ধোয়া বাদ দিয়েছে। সেটা তাও মানার মত ছিল কিন্তু মেঘলা ওয়াশরুমে বসে দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে দেখে আকাশ ভীষন অবাক হল। আকাশ সাথে সাথে এক বালতি পানি নিয়ে মেঘলার উপড় ঢেলে দিল।
মেঘলা ধরফরিয়ে উঠল,

আকাশঃ এখন এই ভিজা অবস্থাতেই তুই কাপড় ধুবি এই প্রথম কাউকে দেখলাম যে কিনা ওয়াশরুমেও ঘুমাতে পাড়ে যতসব আজাইরা অভিনয়।বলে আকাশ চলে গেল।

রুমে এসে আকাশ বসতেই তার মাথায় একটা চিন্তা এসে ভর করল।
আকাশঃ মেঘলার এই যখন তখন যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়াটা কি স্বাভাবিক ?নাকি কোন গাফলা আছে এর পিছনে?না এতটা হেঁটে এসেছে তাই মনে হয় ক্লান্ত ছিল অথব অভিনয় করে।



মেঘলা ঠান্ডার মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে কাপড় ধুয়ে শেষ করল।

আকাশ মেঘলার আচারনে অবাক হচ্ছে কারন মেঘলা আকাশের সব কাজ বলার সাথে সাথেই করছে কোন আপত্তি করছে না।
এমন কি কথা বলাও কমিয়ে দিয়েছে…

মেঘলা সব কাজ করে রুমে যাচ্ছিল তখনি ইরা এসে বলল মেঘলা তোমাকে বলেছিলাম না দিন একদিন আমারো আসবে দেখেছো এসেছে।তোমার চোখের সামনে আকাশ আমার হবে তুমি কিছুই করতে পাড়বে না।

মেঘলাঃ আমি নিজেই চাই আকাশ তোমার হোক বলে একটু হেসে চলে গেল।

মেঘলা ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
পরদিন সকালে মেঘলা সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেল কিন্তু তাতেও দুর্ভোগ হল আকাশ চা খাওয়ার বদলে মেঘলার উপড় ছুড়ে মারল।

মেঘলা এবারো কিছু বলল না।

সকালে সবার খাওয়ার পর মেঘলা যখন খেতে বসবে তখন আকাশ বলে বসল মেঘলার খাওয়া বন্ধ কেউ যেন তাকে খাবার না দেয়।

মেঘলা এবার আর মানতে পাড়ল না বলে উঠল আমি রাতেও কিছু খাইনি ভাইয়া খুব ক্ষিদে পেয়েছে অল্প কিছু খেতে দিন প্লিজ…

যদিও মেঘলা অনুরোধ করেছিল কিন্তু কথাটা বলার সাথে সাথে আকাশ মেঘলাকে থাপ্পড় মারল।
মেঘলা ছিটকে গিয়ে নিচে পড়ল।আকাশ মেঘলার গায়ে হাত দিয়ে অনুভব করল মেঘলার গা গরম হয়ে আছে।জ্বর এসেছে হয়তো কাল ওইভাবে ভিজার জন্য।

আকাশ তবুও বাইরে চলে গেল কোনরকম দয়া দেখাল না।এদিকে ইরা সারাদিন ধরে মেঘলাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করিয়েছে।

রাত হয়ে গেছে মেঘলার শরীর আর চলছে না।

মেঘলা বসে ছিল আকাশ আর ইরাও ছিল।হটাৎ একটা পার্সেল আসল। তাও মেঘলার নামে।
মেঘলা অবাক হয়ে পার্সেল রিসিভ করল।প্যাকেট খুলে দেখল তাতে একটা সুন্দর চকলেট কেক যার উপড় লিখা আছে বেস্ট উইস ফর মেঘলা।

মেঘলা কেক টা দেখে খুব খুশি হয়েছিল কারন চকলেট কেক তার খুব পছন্দের মনে মনে ভেবেছিল হয়ত আকাশ অর্ডার দিয়েছে।
কিন্তু আকাশের কথা শুনে মেঘলার কেক খাওয়ার ইচ্ছা চলে গেল।

আকাশঃ বাহ আজ তোর জন্মদিন নাকি মেঘলা? কই আমরা তো জানতাম না রাস্তায় ফেলে রাখা কার না কার জারজ সন্তান তার আবার জন্মদিন হা হা হা এই হাস্যকর কাজ টা কে করল বলতো?
নিশ্চুই তোর কোনো নাগর তাই না?

মেঘলা উত্তর না দিয়ে কেক এর প্যাকেট টা রেখে চলে যেতে চাইল কিন্তু ইরা এসে বলল ওয়াও কি সুন্দর কেক টা….

মেঘলা হেসে বলল তুমি খাবে?
ইরা ছুড়ি হাতে নিয়ে বলল অবশ্যই।ইরা যেই কাটতে যাবে আকাশ এসে ইরার হাত ধরে ফেলল।

ইরাঃ কি হল?

আকাশঃ কাজের মেয়ে থাকতে তুমি কাটবে কেন ওই কেটে তোমাকে দিবে তুমি কস্ট করবে কেন বেবি?

ইরা মেঘলার হাতে ছুড়ি হাতে দিয়ে বলল কেটে দাও।

মেঘলা কেটে দিল। কিন্তু ইরা যেই মুখে দিতে নিবে আকাশ আবার ইরাকে বাধা দিয়ে কেক এর টুকরা টা নিয়ে মেঘলাকে খেতে বলল।

কিন্তু মেঘলা খাবে না বলল।
ইরা রেগে গিয়ে বলল কি হল আকাশ?

আকাশঃ এটা কে পাটিয়েছে আমরা সঠিক জানি না এটা তো মেঘলার চালও হতে পাড়ে যদি এতে বিষ মিশানো থাকে? তাই আগে ও খেয়ে প্রমান করুক এটা ভাল….তারপর তুমি খাবে আফটার অল তুমি আমার একটাই বউ।

ইরাঃএভাবে তো ভাবি নি ঠিকি বলেছো…

আকাশ মেঘলার মুখে কেক দিয়ে বলল খা মেঘলাও খেয়ে নিল।

আকাশঃ এবার ইরাকে এক পিস কেটে দে ও তো আর তোর এঁটু করা টা খাবে না।

মেঘলা কেটে দিল। আর আকাশ মেঘলার খাওয়া টুকরাটাই খেল।

আকাশঃ তুই আজ তারিখ টাও ভুলে গেছিস মেঘলা? কিন্তু একদিন তো তুই ই বলেছিল তুই এই দিনটা সবসময় পালন করবি….যেদিন তুই প্রথম বলেছিল আমরা আর জগড়া করব না সবসময় মিলে থাকব।আজ তুই ই ভুলে গেছিস? যাক ভুলে গেলেও তুই ই কেক টা কেটেছিস আর তুই ই প্রথম খেয়েছিস তাতেই হবে….

ছোট বেলাটাই ভাল ছিল রে মেঘলা,তুই কেমন আমার সব বদঅভ্যাস গুলি তোর ভালবাসা দিয়ে বদলে দিতি।ভালবাসা তো তুই ই প্রথম শিখিয়েছিলি আমি তো সারাদিন দুস্টামি করতাম তোকে মারতাম জগড়া করতাম কিন্তু তুই এসে প্রথমে বন্ধুত্ব করবি বলেছিলি আমাকে বদলে দিয়েছিলি আর আজ তুই এই আমাকে ছুড়ে ফেলে দিলি (মনে মনে)



যদিও ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিয়ের তারিখ ঠিক করা হল ১ মাস পর।আর দেখতে দেখতে সময়ও কেটে গেল আকাশ আর ইরার বিয়ের দিনটাও চলে আসল।

আজকাল মেঘলা আর আগের মত ছটফট করে না।আকাশও মেঘলাকে নিয়ে তেমন চিন্তা করে না।ইরা মেঘলার উপড় নানা রকম অত্যাচার করে আকাশ দেখেও কিছু বলে না।ইরা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে মেঘলাকে মার খাওয়ায়।

প্রায় প্রতিদিনি মেঘলাকে মার খেতে হয়। মোট কথা মেঘলা আকাশের চোখের সামনে পড়লেই মারে।আর কোন ভুল করলে তো কথায় নেই।এই এক মাসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস হয় নি মেঘলার,সবসময় নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হয়েছে।

ইরা মেঘলাকে ঠিক মত খেতে পর্যন্ত দেয় না।বাসায় প্রচুর পানি থাকতেও মেঘলাকে রাস্তার ট্যাপে গিয়ে গোসল করতে হয় রাস্তার লোকেরা বাজে ভাবে তাকিয়ে থাকে তাতেও আকাশের খারাপ লাগে না।
মেঘলা আকাশের কাছে কোন অভিযোগ করলে মার খেতে হয়।আকাশ কে ইদানিং মেঘলা খুব ভয় পায় আকাশ কে দেখলেই মেঘলা ভয়ে কুঁকড়ে যায়।আকাশ রাগি লুক নিয়ে তাকালে নিজের অজান্তেই কাঁপতে থাকে মেঘলা কারন আকাশ কোন রকম মায়াদয়া ছাড়াই কারনে অকারনে মেঘলাকে মারে।আগে মারলে ওষধ দিত এখন মেঘলা ব্যাথা সহ্য করতে না পেড়ে নিজে ওষধ খেতে চাইলেও আকাশ খেতে দেয় না।

আকাশ বাড়ির সব কাজের লোকদের বিদায় করে দিয়েছে রান্না থেকে শুরু করে ঘর মুছা বাসন মাজা কাপড় ধোয়া এমনকি বাজার করা সব মেঘলাকে দিয়ে করায়।
বাজারে ছেলেরা মেঘলাকে আজেবাজে কথা বলে জন্য মেঘলা একদিন বলেছিল অন্তত বাজারের জন্য একটা লোক যেন রাখে,
কিন্তু এটা বলার জন্য আকাশ মেঘলাকে খুব মেরেছিল মারার পড়ে আবার সারাদিন বাথরুমে বন্দি করে রেখেছিল। এরপর থেকে মেঘলা কোনদিন কোন কাজে আর আপত্তি জানানোর সাহস পায় নি।

এই একমাসে মেঘলা বোঝে গেছে আকাশ এর মনে থেকে তার সব চিহ্ন একেবারে মুছে গেছে।মেঘলার কলেজে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে কারন বাসার কাজ একটু উনিশ বিশ হলেই আকাশ ভয়ানক শাস্তি দেয়।
মেঘলা কবে পেট ভরে খেয়েছিল সেটাও আজ ভুলে গেছে।এক বেলা খেতে পেলে ২ বারেই খেতে দেয় না।বাড়ির কেউ আকাশের কথার উপড় কথা বলার সাহস পায় না।আকাশ সবসময় রেগে থাকে।শুধু যে মেঘলার উপড় রাগ দেখায় তাই না সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে প্রতিদিনি আকাশ কে নিয়ে নিউজ হয় আকাশ বাইরেও খুব মারামারি করে।

কিন্তু সবার সাথে খারাপ আচারন করলেও আকাশ ইরাকে খুব ভালবাসে ইরা যাই বলে তাই করে একমাত্র ইরার সাথেই সে একটু ভাল সময় কাটায়, তাকে নিয়ে প্রায়েই ঘুরতে যায়,সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলেও সময়ময় বাসায় এসে নিজের হাতে ইরাকে খায়িয়ে দিয়ে যায় যত ব্যস্তই থাকুক এটা কখনো মিস করে না। ইরার জন্য দামি দামি গিফট নিয়ে আসে আকাশ। ইরার খুব যত্ন নেয় যেমন টা আগে মেঘলার নিত।আকাশ আস্তে আস্তে ইরাকে মেঘলার জায়গাটা দিয়ে দিয়েছে ইরাও আকাশ কে খুশি রাখে।




আগামিকাল ইরা আর আকাশের বিয়ে,
মেঘলা রাতে শুয়ে আছে চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে মেঘলার কারন আজও সে মার খেয়েছে।ইরা মেঘলাকে জুতা পড়িয়ে দিতে বলেছিল মেঘলা আপত্তি করায় আকাশ বাড়ি ভর্তি মেহমানের সামনে যা নয় তাই বলে অপমান করেছে মেঘলাকে বাবা মার পরিচয় নিয়ে কথা বলেছে এমনকি তার মায়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সবার সামনে জুতা পড়িয়ে দিতে বাধ্য করেছে জোরে জোরে থাপ্পড় ও মেরেছে।

মেঘলাঃ আচ্ছা ভালোবাসা বোঝি এমনি হয়? আকাশ আপনি কি সত্যিই আমায় ভালবাসেন বা কোনদিন বেসেছিলেন?
আমার জন্য আপনার যেটা ছিল হয়ত ভাললাগা ছিল কিন্তু সেটা ভালবাসা কিছুতেই হতে পাড়ে না।
ভালবাসা কখনো স্বার্থের জন্য হয় না। আজ আমি আপনাকে খুশি করতে পাড়ি নি বলে আপনি আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন? একবারো ভাবলেন না আমি যাই করে থাকি আমি তো আপনাকে ছেড়ে চলে যাই নি…আচ্ছা আমি কি এমন করেছিলাম?শুধু এইটুকুই তো বলেছিলাম যে আপনার সাথে প্রেম করব না তাই বলে অন্যকারোর হাত ধরে চলে তো যাই নি আপনার কাছেই ছিলাম।আগেও যেমন আপনার সেবা করতাম এখনো হয়ত তাই করতাম কিন্তু শুধু প্রেম করব না এই একটা কথায় আপনাকে কতটা বদলে দিল? আজ আমার জন্য আপনার কোনো ইমোশান কাজ করে না আপনি হয়ত ভুলেই গেছেন আমিও রক্তে মাংসে তৈরি একটা মানুষ কোন রোবর্ট নই।যে আকাশ আমাকে এত কেয়ার করত সে আজ রাতের বেলা আমাকে একা রেখে চলে আসতেও দ্বিধা করে না ছেলেরা বাজে ভাবে তাকালেও তার খারাপ লাগে না। ব্যাথায় ছটফট করলে একটা ওষধ দেয় না বরং ওষধ খাওয়ার অপরাধে আরও মারেন ক্ষিদের জ্বালায় একবার খাবার চাইলে, খাবার দেওয়ার বদলে পরের বেলার খাবারটাও বন্ধ করে যদি ভালবাসতেন তাহলে কি পারতেন এমন করতে?

নাইবা করলাম বিয়ে,দিলাম নাহয় হাজার কস্ট আপনাকে তাই বলে ভালবাসা কমে যাবে? এটাই বোঝি ভালবাসা?না এটা আর যাই হোক ভালবাসা হতে পাড়ে না সার্থের জন্য ভালবাসা বদলায় না যেমন আমি পাড়িনি বদলাতে হাজার কস্ট সহ্য করেও আপনার কাছেই পড়ে আছি পাড়ি নি আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পাড়ি নি।পাড়িনি নিজেকে বদলাতে কিন্তু আপনি বদলে গেছেন

ভাল হয়ত আপনিও বেসেছেন কিন্ত আমায় নয় ভালবেসেছেন নিজেকে…
তাই তো যখন শুনছেন আমি আপনার সাথে প্রেম করব না সাথে সাথে নিজেকে ভাল রাখতে অন্যকাউকে বেচে নিয়েছেন।আপনি নাকি আমার মনের কথা শুনতে পেতেন তাহলে আজ কোথায় গেল সেই মনের টান কেন আমার নিশব্দ কান্নার আওয়াজ আপনার কানে পৌছাচ্ছে না?

এই স্বার্থপর আকাশকে তো আমি কখনই চাই নি। আমার আকাশ হারিয়ে গেছে,যা হচ্ছে ভালই হচ্ছে।
কিন্তু আমি যে শুনেছিলাম প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে নাকি অনেকেই সারাজীবন আর বিয়ে না করে প্রেমিকার স্মৃতি আখরে ধরে বেঁচে থাকে,অনেকেই নাকি সোসাইড পর্যন্ত করে সেসব কি তাহলে মিথ্যা?
নাকি এমন নিস্বার্থ ভালবাসা পাওয়ার জন্য ভাগ্য লাগে? যে ভাগ্য হয়ত আমার ছিল না…

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here