#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_২৫
#অধির_রায়
শহরের বুকে ভোর নেমে এসেছে প্রায় তিন ঘন্টা আগে৷ গ্রীষ্মের সোনালী রোদে ঝলমল করে উঠছে ঢাকা শহরের জনকীর্ণ। গুলশান দুই নং সেক্টরে ছোঁয়ার জন্য অপেক্ষা করছি৷ গ্রীষ্মের তান্ডবে ঘেঁমে একাকার হয়ে যাচ্ছি। এইতো কিছুদিন আগে বসন্ত ছিল৷ তখনই মনে নাড়া দিয়েছে কবিদের কন্ঠে,
আহা আজই এই বসন্তে
কতো পাখি ডাকে, কতো ফুল ফুটে।
বাহারি রকমের গাছের ডালপালায়,
কচি পাতা প্রাণ পায়৷
বসন্তের সৌন্দর্যের মুখরিত চিন্তার মাঝে চকচকে টয়োটা গাড়ি আমার সামনে এসে থামে৷ ছোঁয়া লুকিং গ্লাস নামিয়ে বলল,
“চলে আয় শালিক৷”
আমি অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গাড়িতে উঠে বসলাম৷ ছোঁয়ার পীঠে ধু’ম করে একটা থা’প্প’ড় বসিয়ে বললাম,
ছোঁয়াইয়্যার বাচ্চা ছোঁয়াইয়্যা তোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ম*রে যাচ্ছিলাম৷”
ছোঁয়া বাংলার পাঁচের মতো মুখ করে বলল,
“সরি দোস্ত। আম্মুর হাজারটা উপদেশ শুনতে শুনতে লেট হয়ে গেছে৷ আর কখনও লেট হবে না৷”
“তুই আমাকে গ্রীষ্মের তান্ডব রোদে দাঁড় করিয়ে সরি বলছিস৷ তোকে দুই হাতে পিটাতে পারলে আমি শান্তি পেতাম৷”
“শালিক তুই আমার গায়ে আর একবার হাত দিয়ে দেখ৷ তোর হাত ভেঙে ফেলব।”
দু’জনের মাঝে হয়ে গেল তুমুল ঝগড়া। কেউ কাউকে ছাড় দেওয়ার পাত্রী নয়৷ আমি আহ্লাদী স্বরে বললাম,
“আমার ছোঁয়াইয়্যা কথা বলতে পারে না৷ এই ছোঁয়া এভাবে ঝগড়া করতে জানে আমি জানতাম না৷”
ছোঁয়ার মুখে কোন কথা নেই৷ আমার হাতে কয়েকটা দা*প*দু*প খেয়ে মুখ গোমড়া করে বসে আছে৷ দু’জনে একসাথে ক্লাস রুমে প্রবেশ করলাম৷ ধীরে ধীরে ছোঁয়ার সাথে আমার সম্পর্ক অনেক গাঢ় হয়ে গেছে৷ ছোঁয়া শালিক বলতে পা’গ’ল৷ তেমনই আমারও ছোঁয়াকে ছাড়া ভালো লাগে না৷ কখন দু’জন বেস্ট ফ্রেন্ডে পরিণত হয়েছি জানা নেই৷ ছুটির পর কলেজের চা স্টলে পাশাপাশি বসে আছি চারজোড়া চোখ। বিরক্ত নিয়ে বললাম,
“দিনে দিনে চা খুব বা’জে হয়ে যাচ্ছে৷ এসব চা আমার খেতে ইচ্ছা করে না৷”
তিন জোড়া চোখ আমার দিকে তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ অর্পি ব্রু নাচিয়ে বলল,
“তোকে চা খেতে হবে না৷ তুই আমাকে চা দিয়ে দিতে পারিস৷ আমি কোন কিছু মনে করব না৷”
নীরা ন্যাকামী করে বলল,
“অর্পি তোর কথা শুনে আমার বমি আসে৷ তুই অন্যের মুখের খাবার খাবি৷ তোর থ্রাডক্লাস মনোভাব কবে যাবে?”
ছোঁয়া চায়ের কাপে চুমু দিয়ে বলল,
“নীরা তোকে খেতে হবে না৷ ছেলেদের দেখে শিখ এক সিগারেট দুই তিন জন মিলে খাচ্ছে৷ একসাথে সিগারেট খেতে খুব ভালো লাগে৷ চল আমরাও সিগারেট খাই৷”
ছোঁয়ার কথা শুনে তার দিকে তিন জোড়া ক্ষিপ্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করি৷ ছোঁয়া আবার চায়ের কাপে চুমু দিয়ে আমতা আমতা করে বলল,
“এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেন? আমি কি ভুল বললাম?”
অর্পি উৎসাহের সাথে বলল,
“ছোঁয়া একদম ঠিক কথা বলছিস৷ আমরাও আকাশ প্রাণে ধোঁয়া উড়িয়ে বলব ❝আহা কি শান্তি।❞ সিগারেটের স্বাদটাও নেওয়া যাক।”
আমি অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম ছোঁয়া এবং অর্পির উপর৷ আমি কিছু বলার আগেই নীরা মুখ ছি’ট’কে বলল,
“ছি! ছি! তোরা মেয়ে হয়ে সিগারেট খাবি৷ তোদের থ্রাড ক্লাস চিন্তা ভাবনা বাদ দে ভাই৷ আমার মম জানতে পারলে আমাকে পি*টা*বে৷ এমনি মম বলে তোদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে৷”
অর্পি নীরাকে রাগানোর জন্য বলল,
“তুই এখানে আর একবার ম্যা ম্যা কর৷ লা*থি দিয়ে অন্যদেশে পাঠিয়ে দিব৷ শা*লা বলদ৷”
অর্পির কথা নীরা তেমন বুঝতে পারল না৷ তবে রাগান্বিত কন্ঠে বলল,
“তোর কথা শুনলে যে কেউ বমি করে দিবে৷ শালিক হোয়াটস ইস বলদ।”
অর্পি ক্ষিপ্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
“তুই আবার ইংরেজি কস৷ আর একটা কথা কহ তোরে আমি কি করি? তোর লাইগ্যা আমি শুদ্ধ বাংলা বলি৷”
নীরা, অর্পির ঝগড়া দেখে আমরা দু’জন উচ্চস্বরে হাসি দিলাম৷ চায়ের স্টলের অনেকের দৃষ্টি আমাদের দিকে৷ তাদের পাত্তা না দিয়ে চার জোড়া চোখ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে উচ্চ হাসি দিলাম৷
কলেজ গেইটে পা রাখতেই দৃষ্টি পড়ে ইহানের উপর৷ বারবার হাতের ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন। দেখে মনে হচ্ছে কোন বিষয়ে চিন্তিত। আমি ছোঁয়াকে তাড়াতাড়ি বিদায় দিয়ে উনার সামনে দাঁড়ালাম৷ চোখ থেকে কালো চমশা মাথা রেখে ক্ষোভ নিয়ে বলল,
“তোমার মোবাইল কই? কতবার ফোন দিয়েছি। একটি বার রিসিভ করার প্রয়োজন মনে করলে না৷”
ক্লাস করার সময় মোবাইল সাইলেন্ট করে রেখেছিলাম৷ আড্ডার মাঝে সবকিছু ভুলে যায়৷ এখন কি বলব? হাত কাচুমাচু করছি৷ মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না৷ তিনি পুনরায় প্রশ্ন করল,
“কি হলো শালিক? আমার কথা তোমার কানে যাচ্ছে না৷ আমি তোমার সাথে কথা বলছি৷ ফোন তোলার প্রয়োজন মনে করলে না৷”
ভয়ে ভয়ে বললাম,
“ক্লাস করার সময় ফোন সাইলেন্ট ছিল৷ সেজন্য বুঝতে পারিনি৷”
ফোন বের করে দেখি সতেরো টা মিসকল৷ শালিক তুই সত্যিই একটা গাধা। তোর তো খেয়াল রাখার কথা ছিল ইহানের কথা৷ আমাকে ঘড়ি দেখিয়ে বলল,
“ক্লাস শেষ হয়েছে প্রায় দুই ঘন্টা আগে৷ এক মিনিটের জন্য ফোন বের করার প্রয়োজনবোধ করনি৷”
অসহায় দৃষ্টি মেলে বললাম,
“বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিছিলাম। পাবলিক প্লেজে কান ধরে ক্ষমা চাইব? আপনি যা বলবেন তাই করব৷ ওকে আমি কান ধরছি৷”
ইহান মুচকি হেঁসে বলল,
“হয়েছে। অপেক্ষা করতে করতে আমি ক্লান্ত৷ তোমাকে নিয়ে আজ একটু ঘুরবো৷ অনেকদিন হলো তোমাকে সময় দিতে পারিনি৷ আজ তোমার সাথে ঘুরব বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি৷”
উনার ভালোবাসা দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। রিক্সায় পাশাপাশি বসে আছি আমরা৷ পড়ন্ত দুপুর৷ সন্ধ্যার আবির্ভাব ঘটবে ধরনীর বুকে৷ গোধুলি বেলায় কনে দেখানোর উপযুক্ত সময়৷ আমি উনার কাঁধে মাথা রেখে প্রশান্তি খুঁজার চেষ্টা করলাম৷ মুচকি হেঁসে বলল,
“তোমাকে আজ খুব খুশি খুশি লাগছে৷ তোমার সাথে আরও একটা মেয়েকে দেখলাম৷ বিদায় দিয়ে আমার কাছে আসলে।”
সন্দিহান দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম উনার মুখ প্রাণে। গম্ভীর কন্ঠে বললাম,
“আপনি আমার বান্ধবীর দিকে নজর দিছেন কেন? লুকিয়ে লুকিয়ে এসব দেখা হচ্ছে৷ লজ্জা করে না ঘরে বউ থাকতে অন্য মেয়ের দিকে তাকাতে৷”
আমার কোমরে হাত দিয়ে নিজের দিকে ঘুরান৷ মিষ্টি মধুর স্বরে বলল,
“আমার দৃষ্টিতে তোমাতে লিপ্ত। অন্য কাউকে দেখার জন্য দৃষ্টি যায়না৷”
অভিমানী স্বরে বললাম,
“আমি কোথাও যাব না৷ আমি বাড়িতে যাব৷ আমি বাড়িতে না থাকলে মায়া ফুপির উপর অনেক চাপ যাবে৷ বয়সের তুলনায় মানুষটা অনেক কাজ করেন৷”
আমাদের রিক্সা থামে একটা শপিংমলের সামনে৷ আমাকে নিয়ে শপিংমলে প্রবেশ করেন৷ আমার জন্য কয়েকটা থ্রি পিচ কিনেন৷ সাথে কিনেন সাথে চারটা জামদানী শাড়ি৷ চকিত হয়ে বললাম,
“এতগুলো শাড়ি দিয়ে কি করবেন? আমার তো অনেকগুলো শাড়ি আছে৷”
মুচকি হেঁসে বলল,
“এগুলো তোমার জন্য নয়৷ তোমাকে অন্যদিন কিনে দিব৷”
সন্দিহান দৃষ্টিতে বললাম,
“এগুলো কাকে দিবেন? অন্য কোন মেয়েকে এসব দিলে আমি আপনাকে খু*ন করে ফেলব৷ আমি চ’রি’ত্র’হী’নে ঘৃ*ণা করি৷
“এগুলো মা, মায়া খালা, শ্রুতি ভাবীর জন্য। অন্যটা স্পেশাল কাউকে দিব৷ তোমাকে বলতে পারব না৷”
“আপনার চ’রি’ত্র যদি ইমন ভাইয়ার মতো হয় আমি আপনাকে খু’ন করব। আপনাকে খু*ন করে জেলে বসে থাকব৷”
উনি কোন জবাব দিলেন না৷ মুচকি হেঁসে অন্যদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন৷ উনার এতটুকু অবহেলায় আমি মেনে নিতে পারছি না৷ বুকের কোণে সূক্ষ্ম ব্যথা অনুভব করলাম৷ চোখ থেকে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল৷ উনি এখনও আমার দিকে তাকালেন না৷ অন্যদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই আমার কোমরের হাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে নেন৷ নুন ছিঁ*ড়ানো যোকের মতো ছটফট করলাম৷ একটুও নড়াচড়া করতে দিলেন না৷ খুব জোরে চেপে ধরে আছেন৷ বাড়িতে এসে একটা শাড়ি আমার হাতে দিয়ে বলল,
“যাক মাকে এই শাড়ি দিয়ে আসেন৷ বাকিটুকু আমি ভাবী আর খালাকে দিয়ে দিব৷”
আমার হাত কাঁপছে। পা স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি নেই৷ মুচকি হেঁসে আমতা আমতা করে বললাম,
“আমি ম্যাডামের সামনে যেতে পারব না৷ আমাকে ম্যাডাম আস্ত গি’লে খাবেন।”
“মা আপনার উপর ক্ষিপ্ত। আমাদের বিয়ের প্রায় ১ বছর হতে চলল। এখন মা আমাদের উপর রেগে আছেন৷ আপনি মায়ের সামনে দাঁড়ালে মা আপনাকে ফিরিয়ে দিবেন না৷ মা সব ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত।”
“ম্যাডাম যদি… ”
“কোন কথা নয়৷ আর হ্যাঁ বাবাকে পাঞ্জাবিটা তুমি দিবে৷”
“কিন্তু… ”
আমার কথা শোনার সময় হলো না৷ তিনি হনহন করে চলে গেলেন৷ আমি দু-টানায় পড়ে গেলাম৷ সামনে খা’দ পিছনে কুমির। কোনদিকে যাব কিছুই বুঝতে পারছি না৷ দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ধীর পায়ে স্যার ম্যাডামের রুমের দিকে অগ্রসর হলাম৷ কাঁপা কাঁপা হাতে দরজায় নক করি। ম্যাডাম মৃদু স্বরে বলল,
“কিছু বলবে? ভিতরে আসো৷”
কাঁপা কাঁপা হাতে আফসানা চৌধুরীর হাতে শাড়ি দিলাম৷ শরীফ চৌধুরীর হাতে পাঞ্জাবি দিলাম৷ শরীফ চৌধুরী সাথে সাথে পাঞ্জাবি বের করে বলল,
“বাহ খুব সুন্দর হয়েছে৷ তোমার পছন্দ খুব ভালো৷”
এলোমেলো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আফসানা চৌধুরীর দিকে৷ তিনি শাড়ি হাতে নিয়ে বসে আছেন৷ কোন কথা বলছেন না৷ শাড়ি কি উনার পছন্দ হয়নি? অসহায় দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি৷ আমি মাথা নিচু করে বললাম,
“আমি আসছি৷ মায়া ফুপি একা একা রান্না করছেন৷ উনাকে হাতে হাতে কাজ করে দিলে একটু স্বস্তি পাবেন৷”
আমি কপাটের কাছে আসতেই আফসানা চৌধুরী গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“আমি তোমাকে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি৷ গুরুজনের কথা শেষ না হওয়ার আগে স্থান ত্যাগ করার স্প’র্ধা কিভাবে হলো?”
ভয়ে ভয়ে উনার দিকে ঘুরলাম৷ শুকনো ঠোঁট জিহ্ব দিয়ে ভিজিয়ে নিলাম৷ ভয়ার্ত কন্ঠে বললাম,
“ম্যাডাম কোন দরকার ছিল৷ আমাকে বলেন আমি সব করে দিচ্ছি৷”
আমার হাত ধরে বিছানায় বসালেন৷ তীব্র দৃষ্টি আমার দিকে। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসচ্ছে। অস্থিরতা ঘাড়ে চেপে বসেছে৷ প্রাণ পাখি যায় যায় অবস্থা। আজ শালিকের দিন শেষ৷ শাকিল পাখি আর কথা বলবে না৷ আফসানা চৌধুরী গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“শ্বাশুড়িকে ম্যাডাম ডাকতে কে বলেছে? শ্রুতি আমাকে ম্যাডাম ডাকে?”
ভেজা গলায় বললাম,
“না। শ্রুতি ভাবী ‘মা’ বলে সম্মোধন করেন৷”
“তুমিও আমাকে আজ থেকে মা বলে ডাকবে৷ তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই৷ তোমাকে ইহানের বউ হিসাবে অনেক আগেই মেনে নিয়েছি৷ আমি তোমার সাথেও অনেক অন্যায় করেছি৷ আমাকে ক্ষমা করে দাও৷”
“মা আমার সাথে এমন করবেন না৷ আপনি তো কোন দোষ করেননি৷ আপনি কেন আমার কাছে ক্ষমা চান? আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন৷ আমার জন্য ইহান আপনার সাথে কথা বলেন না৷”
আফসানা চৌধুরী মুচকি হেঁসে বলল,
“ছেলের অভিমান ভাঙলে আমার কাছে আসবে৷”
আফসানা চৌধুরী বিছানা থেকে উঠে আলমারি খুলেন৷ আমার হাতে গহনার বক্স ধরিয়ে দেন৷ মিষ্টি মধুর স্বরে বলল,
“এগুলো সব তোমার গহনা৷ আমি এগুলো ইহানের বউয়ের জন্য বানিয়েছিলাম৷ এখন থেকে এসব গহনার উপর তোমার অধিকার।”
চোখের কোণে পানি টলমল করছে৷ আবেগে ঝিলের ঝরনার মতো টুপ করে গড়িয়ে পড়ল। উনি আমার চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে বলল,
“চোখে কান্না শোভা পাইনা৷ চোখে আমি প্রতিবাদের আগুন দেখতে চাই৷ সব সময় প্রতিবাদ করে যাবে৷”
“আমার গহনা লাগবে না৷ আপনি এগুলো আপনার কাছে রেখে দেন৷ আমার লাগলে আপনার কাছে চেয়ে নিব৷”
“না এগুলো তোমার কাছে রাখো। এসব গহনার উপর আমার কোন অধিকার নেই৷ তুমি না নিলে ভাববো তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও নি৷”
আর একবার ‘না’ বলার আগে আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন৷ উনার চাহনি দেখে নিজেকে গুটিয়ে নিলাম৷ আজ আমি এতোটা খুশি হয়েছি বলে বুঝাতে পারব না৷ মনের মাঝে ডাক ঢোলের বাজনা বাজছে৷
চলবে…
চতুর্থ জামদানী শাড়ি নিয়ে শালিক ইহানের মাঝে ভুল ঝড় তুলবে কি? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না৷