শুভ্র বর্ষণ পর্ব ১১

#শুভ্র_বর্ষণ
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_১১

মিহা মা এবং মামিকে হাতে হাতে সাহায্য করছে। আজকের মিষ্টান্ন আইটেম গুলো সে নিজের হাতে রান্না করবে। মায়েদের সব রান্না প্রায় হয়ে গেছে। বাকি শুধু মিহার রান্না। ইতিমধ্যে ঘেমে গিয়ে নাক-মুখ তেলতেলে হয়ে গেছে ওর। কানের কাছ দিয়ে বয়ে চলা সরু ঘর্মাক্ত রেখা দৃশ্যমান। নিশান্ত ওকে দেখে বললো,

“ইশ! আমারতো আঁচল নেই। নাহলে একটু মুছে দিতে পারতাম। রুমালটাও ধুয়ে দিয়েছো। লুঙ্গি হলে চলবে?”

মিহা নিশান্তের কথা শুনে ঠোঁট চাপলো। লুঙ্গি দিয়ে ঘাম মুছে দিতে চাওয়ার কথাটা শুনে হাসি পাচ্ছে ভীষণ। কিন্তু হাসলে নিশান্ত আরো পেয়ে বসবে। এমনিতেই নিশান্তের লজ্জা জিনিসটা কম। কিছুটা রাগ করার চেষ্টা করে বললো,

“এই গরমের মধ্যে কেনো এসেছেন? সুখে থাকতে ভুতে কিলায় কেনো আপনাকে?”

“বাব্বাহ। মাহযাবীন আমাকে শাসন করছে! আমি কি স্বপ্নে দেখছি? একটা চিমটি দাওতো।”
নিশান্ত নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো। মিহা গলার স্বর নামিয়ে বললো,

“আপনি কি রাগ করলেন?”

“উহু। এমন কোমলভাবে শাসন করলে রাগও খুশি হয়ে যাবে।”

“কিন্তু আমি এখন অখুশি। কেউ এসে আপনাকে এখানে দেখলে কি ভাববে?”

“ভাববে তাদের মেয়ের জামাইটা কত্ত ভালো। মেয়েকে চোখে হারায়। তাই রান্নাঘরেও ছাড়তে চাইছে না।”
কথাটা বলে নিশান্ত মিহার কাধ জড়িয়ে আরামের ভঙ্গিতে দাড়াতে চাইলো। তার আগেই পেছন থেকে একটা বাজখাই গলা কানে এলো।

“ওম্মা! দুলাভাই কি আবার রানতে আইছেন?”

মিহা চমকে দূরে সরে দাড়ালো। হালিমার যা গলা তাতে এখানে কেউ উপস্থিত না থাকলে বুঝে যাবে নিশান্ত রান্নাঘরে এসেছে। হলোও তাই। সুমা বেগম হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো। নিশান্তকে দেখে বললো,

“তুমি এখানে কেনো বাবা? আজ কিন্তু রান্নার বায়না ধরলে চলবে না। এগুলো আমাদের কাজ। সমস্ত রান্না হয়ে গেছে। শুধু মিষ্টিটুকু বাকি।”

শ্বাশুড়ির আগমনে নিশান্ত বিব্রত হলো। জোর করে হাসার চেষ্টা করে বললো,
“না না আম্মা। আমি রাধতে আসিনি। আসলে এলাচ, দারুচিনি, জাফরানের সুগন্ধে সারা বাড়ি মৌ মৌ করছে বলে দেখতে এসেছি কি রান্না হচ্ছে। দেখা শেষ। আমি এবার আসি।”

নিশান্ত বেরিয়ে গেলো। মিহা তখনও একমনে ফিরনি রান্না করছে। যেন দুনিয়াতে আর কোনো খোজ তার নেই। সুমা বেগম ভাবলেন মিষ্টি পাগল নিশান্ত বোধহয় ফিরনির গন্ধ পেয়ে এসেছিলো। তিনি মেয়েকে তাড়া দিলেন। বললেন ফিরনি হলে যেন আগে ভাগে নিশান্তকে দেওয়া হয়।

দুপুর নাগাদ আনোয়ার সাহেবের বাড়িটা মুখরিত হয়ে উঠলো। নিশান্তের পরিবার এসেছে কিছুক্ষন। তবে সবার আগ্রহ এবার নিশান্তের বড় ভাই অনন্তকে নিয়ে। তার সাথে এই প্রথম আলাপ এই পরিবারের। অনন্ত এসে সবার সাথেই পরিচিত হয়ে একান্তে সোফার এককোনে বসে রইলো। অনন্ত এবং নিশান্ত দেখতে অনেকটা মিল। অনন্তের উচ্চতা তুলনামূলক বেশি নিশান্তর থেকে। তাছাড়া স্বভাবেও অনন্ত নিশান্তের বিপরীত। কারো সাথে কথা বলার সময় ওর মুখে একটা মুচকি হাসির রেখা থাকে।বাকিটা সময় গোমড়া। যে কেউই ওকে প্রথম দেখলে ভাববে অনন্ত গোমড়া মুখো। ভাবলো মিহার পরিবারও। তাই খুব বেশি বিরক্ত করতে চাইলো না অনন্তকে।

ফাইজাকে আজ অন্যরকম খুশি দেখাচ্ছে। একটা ফুরফুরে ভাব লক্ষ্যনীয়। এর কারন অনন্ত। আজ ছয়মাস পর অনন্তর সাথে সামনা সামনি দেখা হলো। অনন্ত চাকরিতে থাকার সময়টা চলে টুকটাক ভিডিও কলের মাধ্যমে। অনেকদিন পর পর দেখা হয় বলে প্রতিবারই ফাইজার কাছে নতুন নতুন লাগে অনন্তকে। অনন্তরও তাই। বিয়ের চার বছর পরেও তাই লজ্জাভাব টা ছেড়ে যায়নি ফাইজাকে। ও এসেই আগে মিহার কাছে গিয়েছে। রান্না করতে দেরি হওয়ায় গোসল করে তৈরি হতেও সময় লাগছে মিহার। নিশান্ত নিজেই বলে দিচ্ছে কি কি পড়া উচিৎ, কিভাবে সাজা উচিৎ। নিশান্তের কান্ডে এমনিতেই মিইয়ে ছিলো সে। ফাইজার আগমনে সাজগোজ করতে মিহা আরো বিব্রতবোধ করলো। অথচ নিশান্ত আগের মতোই বলছে,

“কাজলটা আরেকটু গাঢ় করে দাও। হালকা হয়ে গেলো তো! ভেজা চুলগুলো ছেড়ে রাখো। মাথায় ঘোমটা দিলেই হবে।”

ফাইজা নিশান্তের কান্ড দেখে হেসে বললো,
“বাব্বাহ! বিয়ে করে দেবর দেখি বিউটি স্পেশালিষ্ট হয়ে গেছে।”

“সুন্দরকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য টুকটাক বিউটিশিয়ান হতে হয় বৈকি। তাছাড়া সাধনায় যখন প্রাপ্তি আসে তখন মনের কোণে লুকানো হাজারটা ইচ্ছা প্রকাশ পায়। আমারও তাই।”

ওদের কথায় মিহা অস্বস্তিতে ডুবে রইলো। তবে নিশান্তের শেষ কথাটার মানে বুঝলো না। সাধনার প্রাপ্তি মানে!
ফাইজা মিহাকে নিচ মুখি হয়ে বসে থাকতে দেখে বললো,
“নিশান্ত খুব জ্বালাচ্ছে তোমায় তাইনা মিহা?”

মিহা মুখ তুললো। মাথা নেড়ে না বোঝাতে যাওয়ার আগেই নিশান্ত বললো,
“জ্বালাতে দিলো কোথায়। যা বলি সব মেনে নিয়ে শুধু মাথা কাত করে সম্মতি দেয়। একদম শান্তশিষ্ট পতি নিষ্ঠ বউ আমার।”

“আপনার বুঝি ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে?” মিহা জিজ্ঞেস করলো।

নিশান্ত উত্তর দেওয়ার আগেই বাহিরে থেকে রাফাত এবং অভির গলা পাওয়া যায়। ওরা নিশান্তকে খুজছে। ও বেরিয়ে যাওয়ার আগে আস্তে করে মিহার কানে বলে গেলো,

“সব সম্পর্কে খুনসুটি দরকার হয়না। কিছু সম্পর্কে নিরবতাই সুন্দর।”
কথাটা শুনে মিহার মনে শীতলতার পরশ বয়ে গেলো। ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠলো লজ্জা রাঙা মিষ্টি হাসির রেখা।

নিশান্ত বাহিরে আসতেই অভি এবং রাফাত ঝাপিয়ে পড়লো ওর ওপর। রাফাত বললো,
“কি ভাই! শ্বশুর বাড়ি এসে দেখছি পোল্ট্রি মুরগী হয়ে গেছিস। রুম ছেড়ে বেরই হচ্ছিস না। সেই কখন বসিয়ে রেখে গেলি ভাবীকে আনবি বলে। অথচ নিজেই লাপাত্তা।”

নিশান্ত বড়দের সামনে পালটা উত্তর দিতে পারলো না। তবে আঙুল দিয়ে পেছনে ইশারা করলো। সবাই সেদিকে তাকাতেই দেখলো ফাইজা মিহাকে নিয়ে আসছে। মেরুন রঙের শাড়ি পরিহিতা টুকটুকে মিষ্টি একটি মেয়ে। যার মুখই বলে দেয় সে এক শান্ত দীঘির মতো নির্মল, কোমল।

_________

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে। কমলা আভায় চারপাশ মাখামাখি। সূর্যের প্রখরতায় ভাটা পড়েছে। মৃদুমন্দ বাতাসের উপস্থিতি রয়েছে চারপাশে। ছাদে নিশান্ত, মিহা, ফাইজা, অনন্ত, অভি এবং রাফাত বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। শোভাকে বাগানে দেখে অভি আড্ডা ছেড়ে নেমে এলো। শোভার কাছে এসে বললো,
“তোমার সাথে ফোনে কথা বলে বুঝিনি কিন্তু, তুমি যে এতো ছোট।”

শোভা বললো,
“আমি ছোট না। আসলে আপনি বড়।”

অভি হেসে মাথা নাড়লো। বললো,
“হুম, সেটাই হতে পারে। আমি বড় বলেই তোমায় বেশি ছোট লাগছে। তুমি ছাদে আসছো না কেনো? আমাদের সাথে কথায় পারবে না বলে ভয় পাচ্ছো?”

“মোটেও তেমনকিছু নয়। আসলে আপনারা সব বড় মানুষ একসাথে আড্ডা দিচ্ছেন। আমার বড়দের আড্ডায় থাকতে ভালো লাগে না। তাই যাইনি।”

টফি শোভার পায়ের কাছে এসে জোরে ডাকলো কয়েকবার। হুট করে ডাক শুনে শোভা লাফ দিয়ে উঠলো। ওকে এভাবে ভয় পেয়ে লাফাতে দেখে অভি হেসে ফেললো। শোভা একটু বিব্রত হলো। নিচু হয়ে টফিকে বললো,

“সমস্যা কি তোর? এভাবে ভয় দেখাচ্ছিস কেনো?”

টফি আবার ডাকলো। শোভা ঘাড় ঘুরিয়ে ইংলিশ আন্টির বাড়ির দিকে তাকালো। খেয়াল করলো রিয়াদ বুকে হাত গুজে এদিকেই নির্বিকার ভাবে তাকিয়ে আছে। টফিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। শোভা পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করলো। পুনরায় অভির সাথে গল্প করায় মেতে উঠলো। তবে টফির জ্বালাতন কমলো না। টফি শোভার চারপাশে ঘুরেফিরে যেন ওকে দূরে সরাতে চাইছে। শোভা এতে বেশ বিরক্ত হলো। কিন্তু রিয়াদ দূরে দাঁড়িয়ে আছে বিধায় কিছু করা যাবে না।

শোভা অভিকে একটু দাড়াতে বলে টফিকে কোলে তুলে নিলো। ছোট্ট হলেও বেশ ওজন আছে টফির। শোভার একটু কষ্ট হলেও নিয়ে হাটা দিলো ইংলিশ আন্টির গোমড়া মুখো ইংলিশ বয়ের কাছে। টফি ওর কোলে উঠে জিভ বের করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। সে যেন বেশ খুশি হয়েছে ওর কোলে উঠতে পেরে। শোভা বিড়বিড় করে বললো,

“তুই আর তোর ওই মালিক। দুইজনে আমাকে জ্বালিয়ে শেষ করার ফন্দি এঁটেছিস তাইনা! তোর মালিক সামনে না থাকলে তোকে কোলে নেওয়া তো দূর, ছুড়ে ফেলে আসতাম পুকুরে। হুহ!”

শোভা রিয়াদের কাছে গিয়ে টফিকে নামিয়ে দিয়ে বললো,
“আপনার টফিকে রেখে গেলাম। বেধে রাখুন।”

রিয়াদ টফিকে ধরলো না। তীক্ষ্ণ গলায় বললো,
“কেনো তোমাদের আড্ডায় সমস্যা হচ্ছে বুঝি?”

শোভার বলতে ইচ্ছা করলো,
“হচ্ছে। আপনি এবং আপনার এই কুত্তা, দুইজনেই আমার সমস্যা।” কিন্তু মুখে বললো,
“বাড়িতে গেস্ট এসেছে। টফি সেখানে হুটোপুটি শুরু করেছে। তাই বললাম।”

শোভা চলে যেতে নিলে রিয়াদ জিজ্ঞেস করলো,
“ছেলেটা কে?”

শোভা দাড়ালো। বুঝতে না পেরে বললো,
“কি?”

রিয়াদ তাচ্ছিল্য করে বললো,
“একটু আগে যার সাথে কথায় ডুবে ছিলে তার কথা জিজ্ঞেস করছি। কে ছেলেটা?”

“সে আমাদের গেস্ট।”

“কে হয় তোমার?”

“আপনি জেনে কি করবেন? আপনাকে কেনো বলবো?”
শোভা বলা শেষ হতেই রিয়াদের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ ফলার মতো হয়ে উঠলো। বোঝা যাচ্ছে শোভার উত্তর সে পছন্দ করেনি।
শোভা পাত্তা না দিয়ে চলে যাওয়া ধরলো। বাধ সাধলো টফি। সে শোভার পায়ে পায়ে চলা শুরু করলো। শোভা বিরক্তি নিয়ে থেমে গেলো। এমনিতে তো টফিও ওকে সহ্য করতে পারে না। তবে আজ কেনো পিছনে ঘুরছে! রিয়াদ তখনো একভাবেই পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে।
শোভা বললো,

“ওকে একটু ধরে রাখুন না। আমার পেছন পেছন চলে আসছেতো।”

“তো! এখন টফি যদি তোমার সঙ্গ পছন্দ করে তোমারও উচিৎ ওকে সময় দেওয়া। এমনিতে তো এলাকার সব কুকুর বিড়ালদেরই সময় দাও। অথচ টফি ওদের থেকে পরিষ্কার ও সুন্দর দেখতে। ও কি দোষ করলো?”

“সুন্দর না ছাই। শিয়াল একটা।” শোভা বিড়বিড় করে বলতেই রিয়াদ বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলো,
“কিছু বললে?”

“নাহ নাহ, কিচ্ছু না। আমি ওকেও অনেক সময় দেই। কিন্তু আজ আমি ব্যস্ত আছি।”

রিয়াদ তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,
“হাহ, ব্যাস্ত! ছেলেদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত।”

“ছেলেদের বলে কি মিন করছেন আপনি?”

“যা বুঝছো তাই।”

শোভা ফুসে উঠলো। এই লোক আর কতভাবে অপমান করবে ওকে? সামান্য ফুল চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে এখনো এইভাবে ওকে অপমান করবে ভাবতেও পারেনি। ইচ্ছে করছে রিয়াদের কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো টেনে ছিড়ে দিতে। শোভা টফির গলার বেল্ট ধরে নিয়ে গেলো রিয়াদের বাগানের কাছে। সেখানেই কোনোমতে বেধে দিলো ওকে।

পুরোটা সময় নির্বিকার ভাবেই রিয়াদ শোভার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। শোভা চলে যেতে নিলে টফি ওর ওড়না কামড়ে ধরলো। এবার শোভা সত্যি সত্যিই অবাক হলো। টফি এর আগে কখনোই এমন আচরন করেনি। মুখের থেকে ওড়না ছাড়াতে গেলে সেখানে অভি উপস্থিত হলো। টফিকে দেখে বললো,

“বাহ, বেশ কিউট তো। ও তোমায় বুঝি খুব ভালোবাসে শোভা।”
শোভা হাসার চেষ্টা করে মাথা নাড়লো। ভালোবাসা উতলে পড়ছে আজ। অভি আবার বললো,

“বেচারা যখন তোমায় ছাড়তে চাইছে না তাহলে ওকে সাথে করে নিয়ে নাও। সমস্যা হবে না।”

শোভা টফির মাথায় হাত বুলিয়ে মুখ থেকে ওড়না টানছিলো। রিয়াদ কিছুটা দূরে ওদের সব কথাই শুনছিলো। শোভাকে হাসতে দেখে এগিয়ে এসে টফির বাধন খুলে নিলো। রিয়াদ ধরতেই টফি শোভার ওড়না ছেড়ে দিলো। তারপর টফিকে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে চলে গেলো রিয়াদ। শোভা হতভম্ব হয়ে গেলো রিয়াদের কান্ডে। অভিও বোকা চোখে তাকিয়ে রইলো শোভার দিকে। শোভার রাগ হলো। এতোক্ষন সে বললো টফিকে সামলাতে তখন চুপ ছিলো আর এখন অভির সামনে কেমন অভদ্রের মতো আচরন করে চলে গেলো। শোভা অভির দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করে বললো,

“ওই লোকটাকে যে দেখলেন, উনার মানসিক সমস্যা আছে। কিছু মনে করবেন না।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here