সীমাহীন পর্ব ২২

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ২২
আরাধ্যা রুমটার ভেতর ঢুকে দেখলো,
তার ছোট বেলার ছবি থেকে নিয়ে এই পর্যন্ত সব বিশেষ বিশেষ ছবি রয়েছে।
এমনকি স্কুলে একটা ছেলে ওকে ডিস্টার্ব সেই ছেলের ফুল দেওয়া ছবি টা , আকাশ, মাহিন আর কলেজের একটা স্যার ছিল বাজে স্বভাবের সুযোগ পেলেই সে এই সেই বাহানায় আরাধ্যা ও অনান্য মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতো।
১ মাস পর ওই স্যার নাকি অন্য কলেজে সিফট হয়ে গেছে।
এদের সবার ছবির মধ্যে লাল কালি দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়া।
বড় ধারালো একটা ছুরি টেবিলের উপর রাখা।
এবার আরাধ্যার বুঝতে বাকি রইলো না এই লোক গুলোর সাথে কি হয়েছে। আর কে করেছে এসব।
.
তার মানে রাফি আমাকে এই কথা টাই বলতে চেয়েছিল? কিন্তু কেন করলো এসব স্যার? আমাকে ভালোবাসে বলে? মনে মনে ভাবছে আরাধ্যা।
ফ্লোরে বসে পড়লো আরাধ্যা।
.
তাহলে তুমি এই রুমের রহস্য জেনেই গেছো আরু? পিছন থেকে বলে উঠলো আরিয়ান।
আরিয়ানঃ বিশ্বাস করো আমি তোমাকে “সীমাহীন ভালোবাসি”
আর তাই এসব করেছি।
যাতে কেউ তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে না পারে আরু।
আরাধ্যা নিশ্চুপ,
আরিয়ানঃ আরু কথা বলছো না কেন? রাগ করো না প্লিজ।
আরাধ্যাঃ আপনি একজন অসুস্থ মানুষ।
আপনার চিকিৎসা করানো উচিৎ।
আরিয়ানঃ হুম, আমি তোমার ভালোবাসার জন্য অসুস্থ। আমি তোমার জন্য পাগল। তোমার ভালোবাসাই আমার চিকিৎসা।
কথা টা বলে যেই আরিয়ান আরাধ্যার কাছে আসতে চাইলেই
আরাধ্যা বলল,
প্লিজ আমার থেকে দূরে থাকুন, আপনি একটা খুনী। আপনাকে আমি ভয় করি। একদিন আপনি আমাকেও মেরে ফেলবেন।
আরিয়ানঃ ছি ছি এমন বলো না সোনা,
আমি নিজেকে শেষ করে দিতে পারি কিন্তু তোমাকে না।
আরাধ্যাঃ চলে যান আপনি এখান থেকে,
আমার আপনাকে দেখলেও ভয় লাগে।
আরিয়ান মন খারাপ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
আরাধ্যা উঠে খাটে গিয়ে বসলো, আর ভাবলো
সবাই আমাকে এভাবে ঠেকিয়েছে। স্যারের সত্তিটা জানালে কি হতো? আমি বিয়েতে রাজি হতাম না? ভাবছে আর কাঁদছে আরাধ্যা।
.
.
সবার সাথে রাগ করে দুদিন ধরে কিচ্ছু খায়নি আরাধ্যা।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আরাধ্যা।
আসবো? রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলল রিধি।
আরাধ্যা চুপ করে মুখ ফিরিয়ে নিল,
রিধি ভেতরে এসে আরাধ্যার পাশে দাঁড়ালো।
.
রিধিঃশুন আরু, আমি তোকে কিছু বলতে এসেছি। সব শুনার পর তুই যদি এখানে আর না থাকতে চাস তাহলে আমরা আর তোকে আটকাবো না।
আরাধ্যা চুপ করে রিধির দিকে চেয়ে আছে।
.
রিধিঃ ভাইয়া তোকে সেই ছোট বেলা থেকেই পছন্দ করতো। তোর ফ্যামিলিও চাইতো তোর আর ভাইয়ার বিয়ে হোক।
আর এদিকে ভাইয়াও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসতো। তুই কি খাচ্ছিস, কই যাচ্ছিস, ছোট থেকে বড় সব কিছুর খেয়াল ভাইয়া রাখতো। তোর চাওয়া পাওয়া সব ঠিক রাখতো ভাইয়া। আর চাইতো যে তুই বুঝিস যে ভাইয়া তোকে ভালোবাসে। তুই বুঝার সুযোগ টা পাওয়ার আগেরই অন্য কেউ তোকে প্রপোজ করে বসতো।
ভাইয়া ওই সব ছেলে গুলোকে বার বার ওয়ার্নিং দিত, যাতে তোকে ডিস্টার্ব না করে, তোর আশে পাশে না ঘুরে। কিন্তু যখন ওরা কোনো ভাবেই মানলো না তখনই ভাইয়া ওদের খুন করতে বাধ্য হয়। কারণ ভাইয়া তোকে কোনো ভাবেই হারাতে চায় না। আর তুই তো জানিস ভাইয়া কেমন রাগি ও জেদি স্বভাবের।
তুই কখনও ভেবেছিস ভাইয়া এসব তোর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য করেছে। আর তুই কখনও ভাইয়াকে ভালোবেসেছিস? হয়তো তোর ভালোবাসা ভাইয়ার এই সীমাহীন রাগকে দূরে ফেলে দিতে পারে। তুই ঠিক কর তুই কি করবি। আমি এখন যাচ্ছি।
.
রিধি চলে গেল। আরাধ্যা অনেক্ক্ষণ বসে ভাবলো। তারপর উঠে সব গুছিয়ে নিল।
চলবে……
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here