সীমাহীন ভালোবাসার নীড় পর্ব -০৭

#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#সিজানঃ২
#পার্টঃ৭
,
,
,
,
—একে কালকে সকালের মধ্যে ঠিক চায়।ব্যন্ডেজ মেডিসিন সব দে।এর শাস্তি পাওয়া এখনো বাকি আছে।এতো সহজে এই মরবে না একে প্রতি নিয়ত নিজের মৃত্যুর জন্য কামনা করতে হবে নিজের মরণের জন্য একে আমার সামনে ভিক্ষা করতে হবে। এর এই ব্যাথায় পাওয়া চিৎকার আমাকে তৃপ্তি দেয়।(পাগলের মতো হেসে কথা গুলো বলে সেখান থেকে চলে গেলো)

মেয়েটা যেতেই বর্ডিগার্ড গুলো যেনো জান ফিরে পেলো। তারা তাদের জীবনে এতোটা নির্দয় কোন মেয়েকে দেখেনি। একে দেখার আগে তারা মনে করতো মেয়েরা হয় করুণাময়ী স্নেহশীল আর ভালোবাসায় ভরপুর একটু আহ্লাদী আর জেদী।কিন্তু একে দেখার পরে সবার ধারণা বদলে গেছে।

(আসুন পরিচয় টা জেনে নেই। আদ্রিতা খান উর্ফে Ak.।একজন রুপবতী মেয়ের মাঝে যা যা থাকা প্রয়োজন সব আছে।।কিন্তু বাকি ৫ টা মেয়ের মতো স্বাভাবিক হতে পারেনি সে।বাকি মেয়েদের শখ হলো চুরি মেকআপ গহনা আর আদ্রির শখ চাকু বন্দুক রক্ত।বাকিদের মতো তার মধ্যে নেই কোন প্রকার মায়া। চেহারা মায়া দিয়ে ভরপুর থাকলেও তার মাঝে মায়ার বালায় ও নাই। হিংস্র পশুর ন্যায় হিংস্রতা তার!!
যাকে বলা চলে সাইকো।)

—–
১ মাস পর
soul শহরে,,

সিড়ি বেয়ে উপরে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিলো আদ্রি।পিছন থেকে কারো আওয়াজে থেমে যায়।পিছনে তাকিয়ে দেখে আওয়াজ টা আর কারো না তার নিজের ভাইয়ের।আদ্রিয়ান খান এর

আদ্রিয়ানঃআজকে আবার নিশ্চয় কাউকে খুন করে আসছিস
(আদ্রির সামনে দাঁড়িয়ে)
আদ্রিঃরোজ রোজ একই প্রশ্ন করে ক্লান্ত হওনা তুমি ভাই
(বিরক্ত নিয়ে)
আদ্রিয়ানঃরোজ রোজ এই সব করে কি আনন্দ পাস তুই হ্যা(চিৎকার করে)
আদ্রিঃগলা নামায়ে মিস্টার খান। আমার সাথে উচু গলায় কথা বলার পার্মিশান আমি কাউকে দি না নোট ইভেন ইউ। (আঙুল তুলে চোখ রাঙিয়ে)
আদ্রিয়ানঃকেন মারিস তাদের। তাদের ও তো পরিবার আছে। তাদের কি কষ্ট হয়না
(নরম গলায়)
আদ্রিঃআমার ও পরিবার ছিলো কি হলো তাদের এই পৃথিবীর সব মানুষ স্বার্থপর যারা কি না একটা ১৬ বছরের মেয়েকে। হা বাদ দেও ভাই আমার রাস্তায় এসোনা নাহলে
আদ্রিয়ানঃনাহলে কি আমাকেও মেরে ফেলবি(হতাশ হয়ে)
আদ্রিঃনেএহ তোমাকে মারবোনা জাস্ট তোমার ভয়েস টা কাট করে দিবো(আঙুল দিয়ে কেচির মতো করে)

—–

আদ্রি ঘরে যেয়ে সাওয়ার নিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে তার মুখের ঠিক সামনেই একজন ষোড়শী কন্যার ছবি।আদ্রি চোখ বেয়ে নোনা জ্বল গড়িয়ে পরে।

আদ্রিঃচিন্তা করোনা আপু-মাম্মা যে যায় বলুক না কেন আমি তাদের ছাড়বোনা। একটা গুড নিউজ আছে আমি সে ৭ জনের ঠিকানা পেয়ে গেছি খুব শীঘ্রই আমি তাদের কাছে পৌঁছে যাবো। যাদের জন্য আমি তোদের হারিয়েছি আমার ছোট বেলা হারিয়েছি তাদের কে নিজ হাতে শাস্তি দিবো আর সেটা আমার প্রমিজ।
(চোখ মুখ শক্ত করে)

হঠাৎ করে আদ্রির ফোনে একটা কল আসে আদ্রি সেটা রিসিভ করার কিছুক্ষন পরেই আমি আসছি বলে বেরিয়ে পরে।
——–

ড্রিংক্স বারে একের পর এক ড্রিংক করছে নিহাল চৌধুরীর বড় ছেলে নির চৌধুরী। কিন্তু আজকে তার নেশা ধরছেনা।আজকে তার চোখ আটকে গেছে অন্যরকম এক নেশায়।

মেয়েদের নেশা কোন কালেই নির এর ছিলোনা। কিন্তু আজকে লেগেছে তার নেশা।এক আগুন সুন্দরীকে দেখে।ডান্স ফ্লোরে নিজের মতো করে নেচে যাচ্ছে মেয়েটা। টানা টানা চোখ। নির এর দৃষ্টিতো সেই চোখেই আবদ্ধ হয়ে গেছে।কতো সহস্র বছর যেনো দেখে নি এই আখি দ্বয়ের মালিক কে হিসাব নেয়
নির নিজের আসন থেকে উঠে মেয়েটার কাছে যেতে নিলেই কয়েকটা ছেলে এসে তাকে ঘীরে ধরে।

আদ্রির মুখে বাকা হাসি ফুটে উঠে।হ্যা মেয়েটা আদ্রিই। আদ্রি খোজ পেয়েছিলো এই ক্লাবে কিছু ছেলে আছে যারা ড্রাগস পাচার আর মেয়েদের সাথে খারাপ আচারণ করে।

ছেলে গুলোর মধ্যে একটা ছেলে বিচ্ছিরি হাসি দিয়ে বলে উঠে
ছেলেঃকি গো সুন্দরী আমাদের নেও তোমার সাথে একা একা ডান্স করে কি মজা গো

ছেলেগুলো এক সাথে হেসে উঠে।নির এর মাথায় রক্ত উঠে যায় ওয়াটার এর ট্রে থেকে একটা বেয়ার এর বোতল নিয়ে লোকগুলোদের কাছে যাবে তার আগেই আদ্রি একটা ভাংগা বোতল নিয়ে একজনার পেটে ঢুকিয়ে দেয়।ছেলেটা ব্যাথায় আর্তনাদ করে মাটিতে লুটিয়ে পরে।

নির সহ সবাই অবাক গান বাজানোও স্টোপ হয়ে যায় এক এক করে সবাইকে খুব হিংস্রতার সাথে মেরে তার গার্ডদের বলে ওদের নিয়ে যেতে আদ্রি যেতে নিলেই নির আদ্রির হাত ধরে ফেলে।

আদ্রি ক্ষিপ্ত বাঘিনীর মতো তাকায় নির এর দিকে।পাস থেকে চাকু নেয় নির কে আঘাত করার জন্য কিন্তু তার আগেই নির আদ্রির কানের কাছে এসে স্লো ভয়েজ এ বলে উঠে

নিরঃকংগ্রেচুলেশানস
আদ্রিঃহোয়াই
নিরঃবিকজ আই লাইক ইউ(আদ্রির কানে ফু দিয়ে। আদ্রির হাত থেকে চাকু টা নিয়ে নেয়)
আদ্রিঃবাচে থাকার ইচ্ছা মরে গেছে বুঝি কিছু ক্ষন আগেই ছেলে গুলোর অবস্থা কি করেছি দেখেন নি মনে হয়।ক্লাবে সিসিটিভি আছে পুনরায় দেখে নিয়েন
(হাত ছাড়ায় নিয়ে)
নিরঃউফ এই রাগী মুখ। সুইট হার্ট তুমি যাদের মেরেছো তারা নির ছিলোনা।
আদ্রিঃগেট লোস্ট
নিরঃইশ বাঘের বাঘিনী রে(বুকের বাম পাশে হাত দিয়ে পরে যাওয়ার ভান করে)

আদ্রি পকেট থেকে গান বের করতে যাবে তার আগেই সেখানে তার পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট সেখানে চলে আসে।নির আদ্রির পিক তুলে সেখান থেকে চলে যায় বাকা হাসি দিয়ে।

আদ্রির এসিস্ট্যান্ট আসলে তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো
আদ্রিঃএই লোকটা এখানে কেন কি করছে তার ফুল বায়োডেটা ইম্ফোর্মেশান আমি চাই

আদ্রি আর কিছু বলতে পারলোনা তার আগেই তার ফোনে টুং করে একটা ম্যাসেজ আসলো আননোন নাম্বার থেকে যেখানে রয়েছে নির এর বায়োডাটা আর নিচে লিখা

নিরঃসুইটহার্ট এতো কষ্ট করে আমাকে খুজতে হবে না নেও আমার সমস্ত কিছুর বায়োডাটা

আদ্রি অবাক হয়ে যায় সাথে তার মুখে ফুটে উঠে ভয়ংকর এক হাসি

আদ্রিঃআপনি নিজেও জানেন না নির আপনি ঠিক কার সাথে পাঙ্গা নিতে এসেছেন।আপনি আগুন নিয়ে খেলতে চাচ্ছেন। খেলেন আমিও দেখি আপনার দৌড় কতোদূর। ফার্স্ট টাইম কেউ সাহস করেছে আদ্রিকে স্পর্শ করার।আপনার জন্য যে কতোটা ভয়ংকর মৃত্যু অপেক্ষা করছে আপনি নিজেও জানেন না(বাকা হাসি দিয়ে)

আদ্রিঃড্যানি(এসিস্ট্যান্ট) এই নির চৌধুরীর ব্যাপারে খোজ লাগাও

ড্যানিঃনির চৌধুরী মানে যে কিছু ক্ষন আগেই এখান থেকে গেলো
(ভয়ে তোতলানো শুরু করে দিয়েছে)

আদ্রি অবাক হয়ে যায় ড্যানিকে ভয় পেতে দেখে।যে ছেলে কি না এতো বড় বড় মাফিয়া কে ভয় পায়না সে কি না সামান্য একটা বিজনেস ম্যান কে ভয় পাচ্ছে।

আদ্রিঃকি হয়েছে এই ভাবে ঘামছো কেনো

ড্যানিঃম্যাম প্লিজ এই ছেলেটার থেকে দূরে থাকুন এই জলন্ত আগুন। যে কি না মহূর্তে পুরা পৃথিবীতে আগুন লাগানোর ক্ষমতা রাখে।যাকে দেখে শুধু বাংলাদেশের না বাহিরের দেশের মাফিয়ারাও ভয় পায়।

আদ্রিঃতাহলে অনেক দিন পরে আমার টক্করের কেউ আসছে বাহ মজা হবে এই খেলায়।

আদ্রি কথা গুলো বলে গাড়ি নিয়ে ফুল স্প্রীডে চালিয়ে সেখান থেকে চলে যায় কোন এক অজনা গন্তব্যেরর উদ্দেশ্য

ড্যানি তাড়াতাড়ি খান ম্যানসন এ যায় আদ্রিয়ান এর কাছে

ড্যানিঃস্যার স্যার
আদ্রিয়ানঃকি হয়েছে ড্যানি তুমি এতো রাতে। মিষ্টি বাচ্চার কিছু হয়নিতো
(উদ্ধিগ্ন হয়ে)
ড্যানিঃহয়নি কিন্তু হবে
আদ্রিয়ানঃমানে
ড্যানি সব বললো। সব শুনে আদ্রিয়ান প্রশান্তির এক নিশ্বাস নিলো

আদ্রিয়ানঃযা হচ্ছে হতে দেও ড্যানি।এবার আমার বনুটা নিজের আগের রুপ ফিরে পাবে। ঘুমিয়ে পরো ড্যানি।আজকে অনেক দিন পরে শান্তির একটা ঘুম হবে(হাম তুলে)

ড্যানি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো

ড্যানিঃদুই ভাই বোনের মাথার তার ছিড়া। ধুর(ড্যানিও বিরক্তি নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো)ম্যাম এর সৃতির পাতা থেকে ১ টা মাস মুছে গেছে না।জানি কি হতে চলেছে(চিন্তিত ভংগিতে)

আদ্রি গাড়ি টা একটা মেন্টাল হস্পিটালের সামনে দাড় করায়ে ভিতরে ঢুকে
,

,
চলবে”!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here