#হৃদমাঝারে_তুমি
#সাইয়ারা_মম
#পর্ব_৩৩+৩৪
সকালবেলা আরফান অফিসের জন্য রেডি হচ্ছে তখন কোথা থেকে মিহু এসে উদয় হলো । মিহুকে দেখে আরফানের ভ্রু কুঁচকে গেল । জিজ্ঞেস করল
– আপনি এখানে ? কিছু বলবেন ?
মিহু মুখে জবাব দিতে পারল না তাই মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বলল । আরফান তাই বলল – বলে ফেলুন । আমার হাতে বেশি টাইম নেই , অফিসে যেতে হবে ।
– মানে ইয়ে ,,,
– তাড়াতাড়ি বলুন ।
মিহু চোখ বন্ধ করে বলে ফেলল – আমার কয়েকটা বই আনা লাগবে । আপনি যদি একটু কষ্ট করে এনে দিতেন খুবই উপকার হতো
– ওকে । আমি বাসায় আসার সময় নিয়ে আসব । আপনি আমাকে নামগুলো লিখে দিন ।
মিহু আরফানের রুম থেকে কাগজ নিয়ে তার মধ্যে দুটো বইয়ের নাম লিখে দিল । তারপর মুখ গোমরা করে চলে গেল । আরফান কাগজটা নিয়ে চলে গেল ।
নীলুর রুমে আসতেই নীলু মিহুকে চেপে ধরল
– ভাবি কাজ কি হয়েছে ?
মিহু মুখ ভার করে মাথা ঝাকিয়ে না বলল । নীলু অবাক হয়ে বলল – কিন্তু কেন ?
– আমি উনার কাছে গেলে সব গুলিয়ে ফেলি । কি থেকে কি বলব ভেবে পাই না ।
– তাহলে তুমি ভাইয়াকে কিছুই বলতে পারো নি ?
– বলেছি দুইটা বই নিয়ে আসতে
– থাক কোনো ব্যাপার না । সন্ধ্যার পরে আমরা সবাই মিলে বের হবো । তখন তুমি বলে দিও ।
– আচ্ছা । কিন্তু ওনার কাছে গেলেই তো আমি গুলিয়ে যাই । তখন যদি না বলতে পারি ?
– ভাবি একটা সিম্পল কথা বলতে এতো ভয় কিসের ? তুমি শুধু ভাইয়াকে বলবে যে তোমার একটা ফ্রেন্ডের বাসায় যাওয়া লাগবে । তারপর তাকে নিয়ে একটু সময় ঘুরবে ।
– কিন্তু উনি যদি না করেন ?
– সে ব্যবস্থা আমি করছি । তুমি শুধু ভাইয়াকে নিয়ে একটু টাইম স্পেন্ড করবে । যাতে করে ভাইয়ার তোমার প্রতি আগের টানটা ফিরে আসে ।
———-
অফিসে বসে আরফানকে ফারিশ সব বোঝাচ্ছে যে এই কয়েকদিনে ওরা পারফিউম টা রেডি করে ফেলেছে এখন শুধু ওটা লঞ্চ করাই বাকি । আরফান সব বোঝার পরে জিজ্ঞেস করে
– তাহলে বিদেশের ক্লায়েন্ট দের সাথে কি হবে ? ঐ একই প্রোডাক্ট তাদের দেবো ?
– তাদের সাথেও কথা হয়েছে । তারা বলেছে যে যদি এটা এই দেশের মানুষ পছন্দ করে তাহলে তারা ও এটা নেবে কিন্তু যদি পারফিউম টা অতটা জাগ্রত না হয় তাহলে তাদের সাথে এখনই ডিল ক্যান্সেল ।
– আচ্ছা যে স্যাম্পল টা নিয়ে শো অফ করা হবে সেটা কোথায়? আর এটা শো অফের তারিখ তো আর একদিন পরে
– হ্যাঁ কালকেই ডেইট । আর বিদেশি ক্লায়েন্ট রাও কালকের অনুষ্ঠানে থাকবে । আমি একটা স্যাম্পল এনেছি । এই যে
আরফান ছোট্ট একটা পারফিউমের বোতল হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে । সবার ওপরে বড় করে ডিজাইন করা AMA । লেখাটি দেখে আরফান কিছু একটা ভাবলো । তারপর ফারিশকে জিজ্ঞেস করল
– এখানে লোগো এটা করা হয়েছে কেন ? আমাদের লোগো তো ডবল এ থাকার কথা ।
– কেন আরফান তুই নিজেই তো লোগোটা করেছিলি । বলেছিলি যে তোর নাম আর মিহুর নাম মিলিয়ে এটা করেছিস
– মিহু ? তুই মিহুকে চিনিস কীভাবে?
– যাহ মজা করছিস ? নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের ওয়াইফকে চিনবো না এটা কেমন করে হতে পারে ?
– মজা আমি করছি না তুই করছিস ? আমি বিয়ে করলাম কবে ?
– দাঁড়া তুই এভাবে মানবি না । বলে ফারিশ নিজের ফোন থেকে আরফান আর মিহুর বিয়ের দিনের ছবি বের করল । আরফান ফোনটা নিয়ে দেখতে লাগলো । তারপর ওর মাথায় কিছু ঘটতে লাগল । ফোন ছুড়ে ফেলে দিয়ে মাথা চেপে বসে পড়ল । আরফানের এমন অবস্থা দেখে ফারিশ ঘাবড়ে গেল । ও তাড়াতাড়ি আরফানকে ধরল । তারপর মাথায় পানি দিয়ে বলল
– তুই ঠিক আছিস আরফান ?
আরফান একটু শান্ত হলো । তারপর ফারিশকে বললো
– তুই আগে বল ছবি গুলো পেলি কোথায়?
– এটা আসলে আমি তোকে বোকা বানানোর জন্য ইডিট করে করেছি । তুই শান্ত হয়ে বস ।
আরফান একটু শান্ত হলো । ফারিশকে চলে যেতে বলল ।তখনই ওর ফোনে এস এম এস আসলো
” আরফান আমি (……) এইখানে অপেক্ষা করছি । আশা করি তুমি আর দশ মিনিটের মধ্যে চলে আসবে । তোমার অফিসের কাছেই জায়গা টা ”
আরফান এস এম এস টা দেখে একটা মুচকি হাসি দিল । তারপর কিছু একটা ভেবে কাউকে ফোন দিল । চলে গেল এস এম এস এ দেওয়া ঠিকানায় ।
– আপনাকে কি আমি চিনি ? আর আপনি আমাকে এত আর্জেন্টলি ডেকেছেন কেন ?
মিহুর দাদু একটু হাসলেন । তারপর আরফানের দিকে তাকিয়ে বললেন – তুমি খুব মজা করতে পারো আরফান । তুমি আর যতই হোক আমাকে বোকা বানাতে পারবে না
– আচ্ছা তাহলে আমি বোকা বানাচ্ছি কাকে ?
মিহুর দাদু তার হাসি মুখটা হঠাৎ করেই গম্ভীর করে বললেন – আমি এখানে মজা করতে আসিনি । আমি কাজের কথা জানতে এসেছি । তুমি যে স্মৃতি হারাও নি এটা আমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না
আরফান একটু সিরিয়াস ভঙ্গি করে বলল – তাই নাকি ? তো আমি যদি স্মৃতি না হারাই সেটা আপনি জানলেন কীভাবে?
মিহুর দাদু একটা রিপোর্ট আরফানের দিকে মেলে ধরল । তারপর হাইলাইট করা জায়গায় আঙুল দিয়ে বলল
– এখানে যে পয়জনের কথা বলা আছে সেটা কখনোই মানুষের স্মৃতি নষ্ট করে না । শুধু ক্ষণিকের জন্য ভ্রমের মধ্যে ফেলে দেয় । আর তুমি ভালো করেই জানো আমি জুওলজি নিয়ে পড়েছি তাই এই বিষয়ে অন্যরা তোমার কথা বিশ্বাস করলেও আমি করি না ।
– আর সেই জন্যই আপনি মিহুর মাকে রসায়নের ওপর পড়াশোনা করিয়ে আপনার কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন যেটায় উনি রাজি না হওয়ায় ওনার জীবন শেষ করে দিলেন ?
মিহুর দাদু রাগন্বিত হলেন খুব । কিন্তু তিনি নিজের রাগকে কন্ট্রোল করলেন । তারপর ঠোটের কোণায় হাসি এনে বললেন – আমি তোমার কথা অস্বীকার করবো না । কারণ তুমি অনেক কিছু জেনে ফেলেছো যেটা তোমার জানা উচিত না । তবে একটা কথা তুমি এত কিছু শিওর হলে কীভাবে ?
– সেটা আপনাকে বলতে বাধ্য নই মিস্টার এসকে রহমান ওরফে সরোয়ার কাজী রহমান
মিহুর দাদু স্তম্ভিত হলেন । ওনার আসল পরিচয় এতদিনে কেউ জানতো না । এমন কি মিথ্যা রটনা ছড়িয়েছে যে সরোয়ার কাজী মারা গিয়েছে । আর উনি হলেন এসকে রহমান । কিন্তু আরফান অনেক বেশিই জেনে ফেলেছে । তিনি এবার রাগন্বিত হলেন না তবে কড়া গলায় বললেন
– তুমি আমার সম্পর্কে এত কিছু জেনে ঠিক করোনি আরফান । এর জন্য তোমাকে পস্তাতে হবে । তবে তুমি যেখান থেকেই তথ্য গুলো জেনে থাকো তোমার কাছে কোনো প্রুভ নেই আমার বিরুদ্ধে । তাই সাবধানে পা ফেলো । মনে রেখো আমি তোমার থেকে দুই প্রজন্ম বড় । আমার সাথে লাগতে এসো না , একদম মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে ।
মিহুর দাদুর দেওয়া থ্রেড শুনে আরফানকে তেমন অস্থির বা ভীত দেখা গেল না । সামনে রাখা গ্লাস টা মিহুর দাদুর দিকে এগিয়ে বলল
– পানি খেয়ে নিজের মেজাজ শান্ত করুন । আর শুনুন এটা ভেবে খুশি হবেন না যে মিহুকে আপনি আমার লাইফে পাঠিয়েছেন তারপর আবার আপনি সরিয়ে নিবেন । এটা ভুল ভাবনা । মিহু আমার ভাগ্যে ছিল তাই ও আমার কাছেই থাকবে । ওকে আপনি চাইলেও আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবেন না
মিহুর দাদু মুখটা শক্ত করে পানির গ্লাসের দিকে তাকিয়ে আছে । আরফান সেটা দেখে গ্লাসটা সরিয়ে বলল – ওহ সরি সরি , আপনি মনে হয় রোজা । আমি ভেবেছিলাম যে এত মিথ্যা কথা বলে সে রোজা থাকবে না । আপনি এত কষ্ট করে রোজা রাখছেন ! আপনি বরং একটা কাজ করুন বলে একজন ওয়েটার কে ডাকল
– এই ওয়েটার
– জ্বী স্যার ।
– এখানে এক প্লেট বিরিয়ানি দেবেন । ( মিহুর দাদুর দিকে তাকিয়ে) বিরিয়ানি খেলে আবার গ্যাসে সমস্যা হবে তাই না দাদু । আপনি বরং এক কাজ করুন সাদা ভাত আর মুরগির মাংস নিয়ে আসুন। তারপর মুখের ভঙ্গিটা একটু দুঃখের মতো করে দাদুকে বলল – গরুর মাংস খেলে প্রেসারে সমস্যা হবে । কাজী বংশের ছেলেকে কি আর নিরামিষ খাওয়ানো যায়?
ওয়েটারকে বলল – ওনার কাছ থেকে বিল নেবে না । আমি পে করে যাচ্ছি ।
বলে আরফান চলে গেল । মিহুর দাদুর চোখ হালকা লাল হতে দেখা গেল । টেবিলে রাখা গ্লাসটা চেপে ধরল । তারপর সেটা ফ্লোরে আছাড় মেরে বলল
– ইউ ব্লাডি ****** । তোমাকে যদি আমি এর পাল্টা জবাব না দিয়েছি তাহলে আমিও সরোয়ার কাজী না । এর জন্য তুমি নিজেই একদিন কান্না করবে । আমার কাছে মাথা নত করবে কিন্তু আমি তোমাকে তখন ক্ষমা করব না ।
————
– ভাবি দেখো এই জামাটা সুন্দর না ?
মিহু একপাশে দাঁড়িয়ে শপের বিভিন্ন জিনিস দেখছিল তখন নীলুর বলা কথায় নীলুর কাছে গেল । দুজনে মিলে দেখতে লাগল । আজকে পুরো পরিবার মিলে শপিং করতে এসেছে । পিয়াসের মা ও এসেছে । দূরে বসে আরফান এই গুলো দেখে একটা দম ফেলল । না জানি কি দুর্যোগ তার এই পরিবারের ওপরে আসে । মিহুর দাদুকে আগে থেকেই সন্দেহ হয়েছিল যেদিন চিঠি পাঠিয়ে বলেছিল তিনি ওদের শুভাকাঙ্ক্ষী । পরে আরফান খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মিহুর দাদু না অন্য একজন মহিলা বুক করেছিল । কিন্তু সেই মহিলাকে আরফান খুঁজে পায় নি । এতক্ষণ পর্যন্ত ও যা জেনেছে সব ওর ধারণা । ওর কাছে শুধু একটা জিনিস খারাপ লাগে , মিহুর সাথে ও এই বিষয়ে কোনো কিছু শেয়ার করতে পারবে না । আবার কিছু না বললেও পরে ভুল বুঝবে । এর শুধুমাত্র একটাই সমাধান মিহুর মায়ের ডায়েরি । কোথায় পাবে ডায়েরি টা । আরফান এদিকে ওদিকে পায়েচারি করতে থাকে । কি করবে ?
হঠাৎ পেছনে ফিরতেই চমকে ওঠে । মিহু একটা পাঞ্জাবি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । হঠাৎ করে মিহুকে দেখায় আরফান একটু ঘাবড়ে গেল । চোখ পিট পিট করে নিজেকে শান্ত করল । তারপর বলল
– মিহু তুমি কি কিছু বলবে আমাকে ?
আরফানের হঠাৎ তুমি করে বলায় মিহু একটু চমকে উঠল । তারমানে কী আরফানের স্মৃতি ফিরে এসেছে ?
– কি বললেন আপনি একটু আগে ?
আরফান ঘাবড়ে গিয়ে বলল – কিছু বলবে ?
– না তার আগে কি বলেছেন ?
– বলেছি তুমি কিছু বলবে ?
– আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন ?
হঠাৎ আরফানের খেয়াল এলো ও কি বলেছে । বিষয় টা এড়িয়ে যেতে বলল – আসলে তুমি আমার ছোট তো তাই তুমি করে বললাম ।আচ্ছা তুমি কি জন্য এসেছো ?
– ওহ । এই পাঞ্জাবি টা আপনি একটু ট্রাই করে আসতে পারেন ? আমি একজনকে দিতে চাই সেই জন্য
আরফান ওকে বলে ট্রায়াল রুমের দিকে চলে গেল । মিহু চারদিকে তাকিয়ে মনে করতে লাগল প্রথম যেদিন আরফান ওকে শপিং মলে নিয়ে এসেছিল তখন কী ভয় টাই না দেখিয়ে ছিল । আর এখন ? এসব ভেবে মিহুর চোখ থেকে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে ।
– তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি দুঃখিত বেলী ফুল । তবে তুমি চিন্তা করো না খুব শিঘ্রই এসবের সমাধান হবে । কিন্তু তুমি আমাকে ভূল বুঝো না । তুমি ছাড়া যে আমি নিঃস্ব ।
পিয়াস চোরের মতো লুকিয়ে একটা প্যান্ট আলাদা করে রাখল । আর সেটা ওর মায়ের কাছ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে রাখল । কিন্তু কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় ? ঠিক সেরকমই পিয়াসের মা ওর প্যান্ট টা দেখে ফেলল।তিনি জিন্স টা মেলে ধরে গম্ভীর মুখ করে বলল
– এই ছেড়া প্যান্ট পড়ার শখ হয়েছো তোর ?
– মা এগুলো স্টাইল । অনেক আগে থেকেই এগুলো চালু হয়েছে । সবাই পড়ে এখন এগুলো
– আচ্ছা তাই । বলে আরফান আর নেহালের দিকে তাকিয়ে বলল- কই ওরা তো এগুলো পড়েনি । আর তাছাড়াও টাকা দিয়ে এগুলো কেনার কী দরকার ? ঘরেই তো আছে
পিয়াস খুশি হয়ে বলল – মা তুমি আমার জন্য আগেই কিনে রেখেছো । বললেই পারতে ।
– তোর যে প্যান্ট গুলো পুরোনো হয়ে যায় সেগুলো আমি রান্নাঘরের ন্যাকরা বানিয়ে ফেলি । তারপর এক সপ্তাহ পরে ওগুলোও এইরকম হয়ে যায় । তোর লাগলে বলিস আমি ইদের আগে তোকে একটা বানিয়ে দেবো
বলে তিনি চলে গেলেন । পিয়াস ফাটা বেলুনের ন্যায় চুপসে গেল । তার এত আশা করা উচিত হয়নি । আগেই বোঝা উচিত ছিল মা জাতি হার না মানা জাতি । তারপর সামনের দিকে হাটতে লাগল । নেহাল পিহুর জন্য শাড়ি সেলেক্ট করছিল , পিয়াস গিয়ে ওর সাথে ধাক্কা খেল । নেহাল বিরক্ত হয়ে বলল
– কাজ নাই কোনো? এভাবে মুখটা বানিয়ে রেখেছিস কেন ?
– আজ একটা বৌ নাই বলে এরকম শপিং ধরার আর সারা মল ঘোরার চাকরি টা নেই । তাই আমি কাজহীনা ঘুরছি
নেহাল বুঝলো ওর হাতের ব্যাগ গুলো দেখে পিয়াস ওকে টিটকারী মারছে । তাই ওকে বলল – তাহলে তুই আমার এসিস্ট্যান্ড হয়ে কাজ কর । নে আমার হাতের ব্যাগ গুলো তুই ধর । তোর শখ পুরণ হবে
একটা ক্যাবলার মতো হাসি দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ধরল । তারপর হ্যালো হ্যালো করতে করতে অন্য দিকে হেটে গেল । যেতে যেতেই একটা হালকা আকাশি কালারের গাউনের দিকে চোখ পড়লো । পিয়াসের কেন যেন বিদিশার কথা মনে হলো । তাই বিদিশার ইনবক্সে গিয়ে দেখলো বিদিশা ওকে ব্লক করে রেখেছে । কারণ বিদিশা অনেকবার ওকে ফোন দিয়েছিল কিন্তু ও ফটোগ্রাফির ঐ সমস্যার জন্য বিদিশার সাথে কথা বলতে পারেনি । তারপর ই ওকে ব্লক করে রেখেছে । ফটোগ্রাফির কথা মনে পড়তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো । সবসময় সবার শখ পূরণ হয় না । কিছু জিনিস জীবন থেকে সরিয়ে ফেললে বা মুছে ফেললে জীবন অনেক সুন্দর হয়।
#চলবে
(